জাতীয় পার্টি
জাপার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না জিএম কাদের: আপিল বিভাগ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এছাড়া আপিল বিভাগ ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতকে জাপা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার রায়ের বিরুদ্ধে কাদেরের করা আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।
আদালতে আবেদনকারী জিয়াউল হক মৃধার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা এবং জিএম কাদেরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টে স্থগিত
এছাড়া আপিল বিভাগের আদেশ জাপা সিসিইফ হিসাবে কাদেরকে কাজ করতে বাধা দেয়। সিরাজুল বলেন, এখন আমাদের মৃধার বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনের শুনানি করতে হবে।
এর আগে সোমবার, আপিল বিভাগ ১৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন।
৩০ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ এম ইনায়েতুর রহিম জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে তার পদে দায়িত্ব পালনের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।
২৯ নভেম্বর হাইকোর্ট একটি পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতের নিষেধাজ্ঞা ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের পথ পরিষ্কার করেন।
৪ অক্টোবর জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন জিয়াউল হক মৃধা।
৩০ অক্টোবর ঢাকার যুগ্ম জেলা দায়রা জজ আদালত-১ জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
শেখ সিরাজুল ইসলাম ও কলিম উল্লাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী ৬ অক্টোবর আদালতে জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন নিয়ে আদালতে আবেদন করেন।
আবেদনে, ১৬ নভেম্বর আইনজীবীরা একই আদালত কর্তৃক বরখাস্ত করা দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যান হিসাবে তার ভূমিকা পালনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য আদালতের প্রতি আহ্বান জানান।
পরে নিম্ন আদালতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন কাদের।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দলটির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যান।
হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় (২৮ ডিসেম্বর ২০১৯) কাউন্সিলে জালিয়াতির মাধ্যমে কাদের নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন।
পরে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করে দলের চেয়ারম্যান হিসাবে কাদের রাঙ্গা, গাজীপুর মহানগর শাখার উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর সিকদারসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে বরখাস্ত করেন।
এছাড়া ১৪ সেপ্টেম্বর রাঙ্গাকে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ এবং ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে দল থেকে অপসারণ করা হয়।
মামলায়, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সমস্ত অপসারণ এবং কাউন্সিলকে অবৈধ ঘোষণা করার আদেশ চাওয়া হয়েছিল এবং হাইকোর্টের রিট পিটিশন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলের পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কিনা জানা যাবে আগামীকাল
জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা বহাল
জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কিনা জানা যাবে আগামীকাল
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কি না তা জানা যাবে আগামীকাল। এ বিষয়ে সোমবার শুনানি শেষ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ আগামীকাল মঙ্গলবার আদেশের জন্য ধার্য করেছেন।
আদালতে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলাকারী জিয়াউল হক মৃধার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা। আর জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম।
জিয়াউল হক মৃধার আবেদনে গত ৩০ অক্টোবর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত।
পরে ওই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করেন জি এম কাদের। পরে আবেদনটি শুনানি করে গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্ট দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে জিয়াউল হক মৃধা আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন।
এই আবেদন শুনে গত ৩০ নভেম্বর জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
চেম্বার আদালতের এই আদেশের ফলে জি এম কাদেরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ বহাল থাকে। একই সঙ্গে জিয়াউল হক মৃধার আবেদন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সে অনুযায়ী আজ শুনানি হয়। এখন আগামীকাল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টে স্থগিত
গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত ১নং প্রতিপক্ষ (জিএম কাদের), ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে যেন পার্টির কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত এবং কোনো কার্য গ্রহণ করতে না পারে সে মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। পরে এ আদেশ প্রত্যাহারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের আবেদন ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন একই আদালত।
আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ খারিজাদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন জিএম কাদের। জেলা জজ এ আবেদন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন রাখলেন। কিন্তু আমরা ২৪ নভেম্বর দরখাস্ত দিয়ে বললাম ৯ জানুয়ারি রাখাতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ আছে। অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। তাই আজকেই শুনানি করেন। আমাদের ২৪ তারিখের দরখাস্তটা জেলা জজ রিজেক্ট করে দিলেন। এর বিরুদ্ধে আমরা রিভিশন করেছি। আমরা হাইকোর্টে বলেছি ২৪ তারিখের আদেশটা অবৈধ। কোর্ট রুল দিলো আর ৩০ অক্টোববের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জি এম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।
গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা বহাল
জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা বহাল
রওশন এরশাদের সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা এবং জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় গুলশানের একটি হোটেলে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি না দিলে সংসদে যাবে না জাপা
সাক্ষাৎকালে বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় বিরোধীদলীয় নেতা চীনের সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য রাহগির আল মাহি (সাদ) এরশাদ এবং বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ্।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছেন রওশন এরশাদ, জাপায় ঐক্যের ডাক
জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা বহাল
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ আগামী সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহমান এ আদেশ দেন।
চেম্বার আদালতের এই আদেশের ফলে জিএম কাদেরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী জিয়াউল হক মৃধার আইনজীবী ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা।
তিনি বলেন, বিচারিক আদালত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। সেই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে নিম্ন আদালতে আবেদন করেন জিএম কাদের। ওই আবেদন খারিজ করেন বিচারিক আদালত। এরপর তার বিরুদ্ধে আপিল করেন। যে আপিলের ওপর জানুয়ারিতে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এরই মধ্যে হাইকোর্টে জিএম কাদের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট বিচারিক আদালতে আদেশ স্থগিত করেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে আবেদন জানাই। আজ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করে আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। সোমবার এ বিষয়ের ওপর ফের শুনানি হবে।
গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত ১নং প্রতিপক্ষ (জিএম কাদের), ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে যেন পার্টির কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত এবং কোনো কার্য গ্রহণ করতে না পারে সে মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। পরে এ আদেশ প্রত্যাহারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের আবেদন ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন একই আদালত।
আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ খারিজাদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন জিএম কাদের। জেলা জজ এ আবেদন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন রাখলেন। কিন্তু আমরা ২৪ নভেম্বর দরখাস্ত দিয়ে বললাম ৯ জানুয়ারি রাখাতে, আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ আছে। অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। তাই আজকেই শুনানি করেন। আমাদের ২৪ তারিখের দরখাস্তটা জেলা জজ রিজেক্ট করে দিলেন। এর বিরুদ্ধে আমরা রিভিশন করেছি। আমরা হাইকোর্টে বলেছি ২৪ তারিখের আদেশটা অবৈধ। কোর্ট রুল দিলো আর ৩০ অক্টোববের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।
গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ।
জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টে স্থগিত
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের (জিএম) দায়িত্ব পালনে নিম্ন আদালতের দেয়া অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে জিএম কাদেরের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন-ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাহিদা খাতুন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কোহিনুর আক্তার ও সাবিনা পারভীন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন-আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ঢাকার ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া উত্তোলনে জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
তিনি বলেন, এ আদেশের ফলে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই।
এরআগে ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত ১নং প্রতিপক্ষ (জিএম কাদের), ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে যেন পার্টির কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত এবং কোনো কার্য গ্রহণ করতে না পারে সে মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
পরে এ আদেশ প্রত্যাহারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের আবেদন ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন একই আদালত।
আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ খারিজাদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন জিএম কাদের।
জেলা জজ এ আবেদন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন রাখলেন।
কিন্তু আমরা ২৪ নভেম্বর দরখাস্ত দিয়ে বললাম ৯ জানুয়ারি রাখতে, আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ আছে। অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। তাই আজেকই শুনানি করেন।
আমাদের ২৪ তারিখের দরখাস্তটা জেলা জজ রিজেক্ট করে দিলেন। এর বিরুদ্ধে আমরা রিভিশন করেছি। আমরা হাইকোর্টে বলেছি ২৪ তারিখের আদেশটা অবৈধ। কোর্ট রুল দিলো আর ৩০ অক্টোববের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
এরপর বিবাদী জি এম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।
৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন।
১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন।
অন্যদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: দণ্ডিত আবদুস সামাদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার এক জঙ্গির জামিন প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্ট
জাতীয় পার্টি কারো দাসত্ব করবে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, তারা বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে নেই, বিএনপির সঙ্গেও নেই।
কাদের বলেন, ‘জাপা যেকোনো দলের বন্ধু হতে পারে, কিন্তু কারও দাসত্ব করবে না।’
রবিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয়ে ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলি, আমরা দেশের মঙ্গলের জন্য রাজনীতি করি। আমাদের রাজনীতি দেখে অনেকেই মনে করছেন, আমরা অন্য কারো সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। আমরা আসলে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করছি। কারো সাথে নাকে খদ দিয়ে রাজনীতি করবো না। কারো দালালী করতে জাতীয় পার্টির রাজনীতি নয়।
এসময় কাদের আরও বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। আমরা মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএম-এ নির্বাচনের বিরোধীতা করছি। আমরা মনে করি, ইভিএম-এ কারচুপির সুযোগ আছে। ইভিএম-এ কারচুপি করে ফলাফল ঘোষণা হলে, চ্যালেঞ্জ করা যায় না।
আরও পড়ুন: অনিয়ন্ত্রিত সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না: জিএম কাদের
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের কেউ কেউ মনে করছেন, একটি দল নির্বাচনে কারচুপি করে বিজয়ী হয়ে শর্টকাট পদ্ধতিতে তাদের মন্ত্রী-এমপি করবেন। এটা যারা মনে করেন তারা জাতীয় পার্টির জন্য জীবাণু। তাদের জাতীয় পার্টি থেকে চলে যেতে হবে অথবা সংশোধন হতে হবে। আমরা শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়তে, সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবো। প্রয়োজনে অপ্রিয় কিছু সিদ্ধান্ত নিতেও পিছপা হবো না।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুর্নীতি, দুঃশাসন আর দলীয়করণের মাধ্যমে দেশের মানুষের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। তাই, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে তৃতীয় একটি শক্তিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। দেশের মানুষ এখনো জাতীয় পার্টির স্বর্নালী যুগের কথা মনে রেখেছেন। তারা আবারো জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমরা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতেই রাজনীতি করছি।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার সংবিধান কাটাকাটি করে এক ব্যক্তির হাতে সকল ক্ষমতা দিয়েছে। নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা এবং বিচার বিভাগের বেশির ভাগই এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রনে। এটা কখনোই গণতন্ত্র হতে পারে না।
এসময় ফখরুল ইমাম এমপি, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন মুক্তি এবং ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টি, ময়মনসিংহের সকল উপজেলা এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ জিএম কাদেরের
কোনো ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্য ভাঙতে পারবে না: চুন্নু
নির্বাচনের আগে প্রগতিবিরোধী দলের শাসন অশনি সংকেত: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দলের বারবার বাধা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য অশুভ লক্ষণ।
শনিবার আততায়ীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পিরোজপুরের জাতীয় পার্টির নেতা শফিকুল ইসলামকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে না পারলে আগামী দিনে দেশে মারাত্মক রাজনৈতিক সহিংসতা দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে আমাদের বিভিন্ন জায়গায় বাধা দেয়া হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধায় গাজীপুরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে পারেনি তার দল। তাদের দল গাজীপুরে শান্তিপূর্ণভাবে মত প্রকাশের জন্য সমাবেশ করার চেষ্টা করেছিল।
কাদের আরও বলেন, ‘আমরা যদি বাধাপ্রাপ্ত হই, তাহলে রাজনীতি কীভাবে স্বাভাবিক হবে এবং স্বাভাবিক রাজনীতি কোথায় বিরাজ করবে? যদি এভাবে স্বাভাবিক রাজনীতির পথ রুদ্ধ করা হয়, তাহলে আমি আশঙ্কা করছি দেশ ভবিষ্যতে বড় ধরনের সহিংসতার দিকে যাবে এবং এটা আসন্ন নির্বাচনের জন্য অশুভ লক্ষণ‘।
সংসদের উপনেতা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দল বিরোধীদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে একটি বার্তা দিচ্ছে যে তারা আগামী নির্বাচনে তাদের পেশীশক্তি ব্যবহার করতে প্রস্তুত। ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা সহিংসতায় বিশ্বাস করি না।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশ ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যদি এসব করতে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে এখানে স্বাভাবিক রাজনীতি চলবে না। স্বাভাবিক রাজনীতি হিংসাত্মক রাজনীতিতে রূপ নিবে এবং স্বাভাবিক রাজনীতি শেষ পর্যন্ত বিলুপ্ত হতে পারে, আমাদের জন্য একটি বিশাল বিপদ ডেকে আনবে’।
জিএম কাদের বলেন, তিনি গুরুতর আহত শফিকুলকে দেখতে গিয়ে তার অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তুসখালী ইউনিয়নে স্থানীয় জাপার সাধারণ সম্পাদক শফিকুলকে (শফিকুল) স্থানীয় আদালতে যাওয়ার পথে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা কুপিয়ে তার একটি পা কেটে ফেলেছে।
জিএম কাদের দুঃখের সঙ্গে বলেন, ‘শফিকুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে। এখন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বেঁচে গেলেও তাকে সারাজীবন পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়েই থাকতে হবে’।
তিনি শফিকুলের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে প্রগতিবিরোধী দলের শাসন অশনি সংকেত: জিএম কাদের
কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ সরকার: জিএম কাদের
আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোনো জোটে থাকবে না: জিএম কাদের
আকবর আলী খানের মৃত্যুতে জিএম কাদেরের শোক প্রকাশ
রাঙাকে জাতীয় পার্টির সব পদ থেকে অব্যাহতি
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙাকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সব পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
বুধবার একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের সংবিধানের ক্ষমতাবলে চেয়ারম্যান জিএম কাদের তার বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গৃহীত সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ: জিএম কাদের
দলটির সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা এখনও সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ পদে আছেন।
আগামী নির্বাচনকে ঘিরে দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জিএম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসার সময়েই এমন অপসারণের ঘটনা ঘটলো।
এর আগে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ আকস্মিক ২৬ নভেম্বর দলের জাতীয় কাউন্সিল করার ঘোষণা দেন।
এর একদিন পর জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল রওশন এরশাদকে বাদ দিয়ে জিএম কাদেরকে সংসদের প্রধান বিরোধী নেতা করার অনুরোধ জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
২ সেপ্টেম্বর দেয়া এক বিবৃতিতে জিএম কাদের বলেন, রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার করে তৃতীয় পক্ষ একটি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে।
দলটির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পদচ্যুত করেছিলেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
২০২০ সালের ১৪ জুলাই এরশাদের মৃত্যুর পর জিএম কাদের দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙাকে পদ থেকে সরিয়ে দলের কো-চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে ওই পদে মনোনয়ন দেন।
এরপর বাবলু মারা গেলে গত বছরের ১০ অক্টোবর দলের কো চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নুকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মনোনীত করা হয়।
আরও পড়ুন: সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
অসুস্থ রওশনকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা থেকে সরাতে চায় জাপা
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার পদ থেকে রওশন এরশাদকে সরাতে জাতীয় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের অনুরোধ সম্বলিত একটি চিঠি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে দিয়েছে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল।
বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতা জনিত কারণে বিদেশে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এসময় জিএম কাদের সংসদীয় উপনেতা হিসেবে কাজ করছেন।
পড়ুন: জাতীয় পার্টির মহাসচিব রাঙ্গার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় মামলা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে জাপা প্রতিনিধি দল স্পিকারের চিঠি দপ্তরে চিঠিটি প্রদান করেন।
চুন্নু বলেন, ‘বিরোধী দলীয় নেতা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, দীর্ঘদিন ধরে তিনি সংসদে আসতে পারছেন না। জাতীয় পার্টির ২৬ জন সংসদ সদস্যের সংসদীয় দলের ২৩ জনের উপস্থিতিতে ও একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া অপর একজন টেলিফোনে তার মতামত জানিয়েছেন,পরে তিনি সাক্ষর করবেন।’
চুন্নু বলেন, জাতীয় সংসদ ভবনের জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের কার্যালয়ে এক বৈঠকে বিরোধী দলীয় নেতা পরিবর্তন ও তা স্পিকারের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
রওশন বর্তমানে ব্যাংককে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন: জাতীয় পার্টির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু
রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের শনিবার বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতের সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়ে সম্প্রতি দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের দায় সরকার এড়াতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘এরূপ বক্তব্য আমাদের বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী দেশ ভারতের জন্য বিব্রতকর। এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জাতীয় পার্টির বনানীর কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের গুণীজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর একটি অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারতের সরকারকে সহযোগিতা করতে তিনি অনুরোধ করেছেন।
হিন্দু ধর্মের উদ্ধৃতি দিয়ে জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, দেবতা কৃষ্ণ দুষ্টকে ধ্বংস করতে ও সত্য প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীতে এসেছিলেন। ‘কিন্তু আমাদের দেশে দুষ্টরা নিরাপত্তা পাচ্ছে আর ভালোরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কেবল সংখ্যালঘুরা নয় মুসলিমরাও সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও রাজনৈতিক কারণে দেশ ছাড়ছে।’
আরও পড়ুন: ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে সৎ মানুষরা চাকুরি পাচ্ছে না এবং আদর্শিক মানুষ ব্যবসাও করতে পারছে না।’
অনেক মানুষ বাঁচার জন্য দেশত্যাগ করে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দুর্নীতির সুনামিতে ভেসে যাচ্ছে আদর্শ ও বিচার।’
তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নিরাপত্তা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠনে সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে।
জিএম কাদের বলেন, তাদের পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচএম এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করা হয়। জবাবদিহিতার অভাবে প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি হচ্ছে। যদি কেউ এর সমালোচনা করে তাহলে সরকার তাকে ষড়যন্ত্রকারী কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে বিবেচনা করে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা নিশ্চিত করতে অবশ্যই সমালোচনা সহ্য ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
জিএম কাদের আরও বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিষয় তুললেই সরকার হাস্যকরভাবে উড়িয়ে দেয়। ‘ফলশ্রুতিতে বিশ্বের কাছে আমরা মিথ্যাবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হয়েছি।’
নির্বাচন পদ্ধতিকে ধ্বংস করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিয়ে নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের ‘সমর্থন চাওয়া’ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি
রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের