বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
খাদের কিনারা থেকে ফিরে এসেছে দেশের ব্যাংক খাত: গভর্নর
গত এক বছরে দেশের ব্যাংকিং খাত খাদের কিনারা থেকে ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলেই এই খাতটি ধ্বংসের মুখ থেকে ফিরতে পেরেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রবিবার (১০ আগস্ট) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, ‘গত বছরের আগস্টে সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় ব্যাংক খাত একেবারে খাদের কিনারায় ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দুটি প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল—ম্যাক্রোইকোনমি স্থিতিশীল করা এবং আর্থিক খাত সংস্কার। এক বছরে পূর্ণ সংস্কার সম্ভব নয়, তবে আমরা প্রতিটি খাতে সংস্কার শুরু করেছি।’
আরও পড়ুন: পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে: গভর্নর
ঋণ সংযোগ (লাইন অব ক্রেডিট) বজায় রাখতে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তিনি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানান।
গভর্নর বলেন, ‘আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি— আমরা আমাদের সব পাওনা পরিশোধ করব, এবং আমরা তা করেছি। আমাদের অবস্থা শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের মতো হয়নি।’
গত এক বছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রপ্তানি আয়ই ঋণ পরিশোধে বড় সহায়তা করেছে বলে মনে করেন তিনি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকেও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, গত বছরের ১৪ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে এক ডলারও বিক্রি করেনি, বরং বাজারে চাপ সত্ত্বেও প্রতি ডলার ১২২ টাকায় কিনেছে। ফলে বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে এবং ভবিষ্যতে তা ৫ শতাংশের নিচে নামবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
গভর্নর আরও বলেন, ‘এখন দেশের ব্যালান্স অব পেমেন্টস উদ্বৃত্তে আছে, তবে বিনিয়োগ আকর্ষণে এখনও পিছিয়ে রয়েছে অর্থনীতি।’
‘নির্বাচনের আগে বড় বিনিয়োগ আসবে না, তবে আমরা নির্বাচন-পরবর্তী সময়ের জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’
কেন ব্যাংক কমিশন গঠন করা হয়নি— এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কমিশন করলে সিদ্ধান্ত নিতে ৬ থেকে ৯ মাস সময় লাগত। তাই আমরা ব্যাংক খাত সংস্কার, বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে তিনটি টাস্কফোর্স গঠন করেছি।’
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করে এর জন্য ৮ থেকে ১০টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
গভর্নর জানান, বৃহৎ পরিসরে আইনি সংস্কার চলছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংস্কার (যাতে সম্পদ পুনরুদ্ধারের ধারা যুক্ত করা হচ্ছে) এবং বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার সংশোধনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জবাবদিহিতা ও স্বাধীনতা বাড়ানো। এ ছাড়া দীর্ঘদিনের ঋণ খেলাপি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স আইন ও ঋণ আদালত আইন সংশোধন করা হবে।
অনিয়মের কারণে কোনো ব্যাংকের তারল্য সংকট দেখা দিলে ব্যাংলাদেশ ব্যাংক যেন সেটি অধিগ্রহণ করতে পারে, এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক রেজল্যুশন অর্ডিন্যান্সেও সংশোধন আনার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সংকটে থাকা ইসলামী ব্যাংকগুলোকে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় একীভূত করা হবে: গভর্নর
সবাইকে সতর্ক করে গর্ভনর বলেন, ‘আর কোনো ছাড় নয়। কোনো ব্যাংক যদি সঠিকভাবে চলতে না পারে, বাংলাদেশ ব্যাংক তা নিজের হাতে নেবে।’
সব ব্যাংক পর্যবেক্ষণের জন্য ‘৩৬০ ডিগ্রি মনিটরিং’ নামে একটি সংস্থা গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ক্যাশলেস ব্যবস্থায় রূপান্তরের ওপর জোর দেন গর্ভনর। এ জন্য কিউআর কোড ব্যবহারে উৎসাহ, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের প্রসার, ক্ষুদ্র ঋণ (ন্যানো লোন), স্কুল পর্যায়ে ব্যাংকিং শিক্ষা, শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০ টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, আবাসন খাতে সংস্কার, রাজস্ব বিভাগ পুনর্গঠন এবং স্মার্টফোনের দাম কমিয়ে ডিজিটাল ব্যাংকিং বিস্তারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
১১৭ দিন আগে
দেশে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা
দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে ৩ লাখ ৪৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ব্যাংক থেকে যে পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসেবে তুলে নেওয়া হয়েছে, তার ২০ দশমিক ২০ শতাংশই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গভর্নর।
ড. আহসান জানান, গত সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮৫ কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ব সরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপির পরিমাণ বেশি।
তিনি জানান, গত সেপ্টেম্বরে ৪০ দশমিক ৩০ শতাংশ ঋণগ্রহীতা খেলাপি হলেও ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ৮০ শতাংশে। অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে এই সময়ে খেলাপি ঋণ ১১ দশমিক ৯০ থেকে বেড়ে ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশে পৌঁছেছে।
গভর্নর বলেছেন, কিছু ব্যাংকের পরিস্থিতির উন্নয়ন করতে হলে ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে ব্যাংকগুলোর আমানত রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার আওতায় থাকায় আমানতকারীদের চিন্তার কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: খেলাপি ঋণের ধকল কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নিয়ম কতটা কার্যকর
এ সময় আর্থিক খাতে বর্তমানে বা নিকট ভবিষ্যতে কোনো সংকট নেই বলেও আশ্বস্ত করেন গর্ভনর। তিনি বলেন, আইএমএফের মানদণ্ড অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২ হাজার ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
তিনি জানান, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার, লেনদেনের ভারসাম্য ও চলতি হিসাব এখন স্থিতিশীল ও ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে।
দেশের দুর্বল কিছু ব্যাংকের অবস্থার উন্নতি করতে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি খসড়া আইন পর্যালোচনা করেছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, আইন পাস হলে ওই ব্যাংকগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মনসুর বলেন, নিরাপত্তার কারণে ব্যাংকের সদরদপ্তরে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে দেখা করার আগে অবশ্যই অনুমতির প্রয়োজন হবে বলে জানান তিনি।
২৮২ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা
তারল্য সংকটে পড়া কয়েকটি ব্যাংককে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন গভর্নর।
ব্যাংকিং খাতে তারল্য বাড়াতে টাকা না ছাপানোর সিদ্ধান্ত থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সাময়িকভাবে সরে এসেছে বলে স্বীকার করেছেন ড. মনসুর।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর মুডির অবনমন অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিফলন নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই পদক্ষেপ সাময়িক। এটি খাতটির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং আর্থিক প্রবাহ বজায় রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে। ‘কঠোর আর্থিক নীতি অপরিবর্তিত রয়েছে এবং বাজারে অতিরিক্ত তারল্য কমানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
নতুনভাবে সংযোজন করা তহবিলের সম্ভাব্য অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে গভর্নর বলেন, বর্তমান পদক্ষেপগুলো সাম্প্রতিক অতীতে যা দেখা গিয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি নয়। সেসময় অর্থ মুদ্রণের ফলে অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল।
ড. মনসুর বলেন, 'চুরির সুযোগ দূর করে স্বচ্ছ ও নিরাপদে তহবিল বরাদ্দের বিষয়টি এবার নিশ্চিত করেছি আমরা।’
আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির ওপরও জোর দেন গভর্নর।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ব্যাংকে প্রত্যেক মানুষের আমানত নিরাপদ ও সুরক্ষিত। আমানতকারীদের আস্থা ধরে রাখতে অবিরাম প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের সাময়িক ঘাটতি মেটাতে গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলনের সুযোগ করে দিতে তারল্য সহায়তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সহায়তা সহজতর করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের অস্থায়ী প্রয়োজন মেটাতে সাময়িকভাবে অর্থ মুদ্রণ করবে।’
ব্যাংকে সব আমানত সুরক্ষিত রয়েছে বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন গভর্নর। জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়া বা অযথা অর্থ উত্তোলন না করার আহ্বান জানান তিনি।
বাজারে প্রবর্তিত অতিরিক্ত তারল্য মুদ্রাস্ফীতির চাপ রোধে বিভিন্ন ধরনের বন্ডের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এস আলম গ্রুপের হুঁশিয়ারি
৩৭২ দিন আগে
বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি নেই, প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ে এক সভা শেষে ড. মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, 'বর্তমানে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রায় কোনো ঘাটতি নেই, যে কেউ এলসি খুলতে পারবেন ‘
বাজারে চাহিদা পূরণে প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে ড. মনসুর ব্যবসায়ীদের দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি পরামর্শ দেন, 'এলসি খুলুন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করুন এবং বাজারের চাহিদা মেটান।’
আরও পড়ুন: পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করল সরকার
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর তার বক্তব্যে একটি মুক্তবাজার অর্থনীতিতে তার বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন। আস্থা প্রকাশ করেন যে, বাজার শক্তি বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, 'আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব, তবে পরিস্থিতি শান্ত হতে সময় লাগবে।’
ড. মনসুর রেশনিং কর্মসূচি সম্প্রসারণসহ মূল্যস্ফীতি কমানোর লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি ঘোষণা করেন সরকার শিগগিরই ১ কোটি সুবিধাভোগী পরিবারের প্রত্যেকের জন্য বর্তমান পাঁচ কেজি থেকে বাড়িয়ে ১০ কেজি করে প্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্যের সহজলভ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) উদ্যোগের জন্য ট্রাকের সংখ্যা বাড়াচ্ছি।’
মুদ্রাস্ফীতিকে সরাসরি মোকাবিলা করে ড. মনসুর জোর দেন, মুদ্রাস্ফীতি ‘শেষ পর্যন্ত একটি আর্থিক ঘটনা’ এবং এটি অবশ্যই কার্যকর মুদ্রানীতির মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে। তিনি অতিরিক্ত বাজার হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করেন এবং অতীতের ঘটনাগুলোও স্মরণ করিয়ে দেন। যেখানে কঠোর পদক্ষেপের ফলে পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: এলএনজি-সার, সয়াবিন তেল, চিনি ও ছোলা আমদানির অনুমোদন
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করি তবে পণ্যগুলো বাজার থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে। ১/১১-এর সময়কালে এবং সাম্প্রতিক ডিম সংকটের সময়ও আমরা তা দেখেছি। বরং এর পরিবর্তে, তিনি ‘সহনশীল ও কার্যকর পর্যবেক্ষণের’ পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আমরা সংলাপের মাধ্যমে চাপ দিচ্ছি, অতিরিক্ত পর্যবেক্ষণ নয়।’
বাজার নিয়ন্ত্রণে একটি পরিমিত পদ্ধতির উপর জোর দেন, আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকে নিরুৎসাহিত করেন ড. মনসুর। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতির লক্ষ্য রাখি। এ প্রেক্ষাপটে হঠকারী সিদ্ধান্তের কোনো সুযোগ নেই। আমরা বিশ্বাস করি যে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে - এটি কেবল সময়ের প্রয়োজন।’
সরবরাহ বাড়ানোর সরকারি প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত স্বস্থি আনতে সহায়তা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খেলাপি ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংক ১১% বললেও প্রকৃত চিত্র ২৫%: ড. আহসান এইচ মনসুর
৩৯৩ দিন আগে
গভর্নমেন্ট সিকিউরিটিজ আগামী সপ্তাহে সেকেন্ডারি মার্কেটে ট্রায়াল হবে: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, পুঁজিবাজারকে প্রাণবন্ত করতে আগামী সপ্তাহ থেকে সেকেন্ডারি মার্কেটে সরকারি সিকিউরিটিজের ট্রায়াল ট্রেডিং শুরু হবে।
তিনি বলেন, দেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির জন্য বিশাল বিনিয়োগের প্রয়োজন, যা শুধুমাত্র ব্যাংক ঋণ দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, প্রবৃদ্ধির জন্য পুঁজি তৈরির জন্য সকল শ্রেণির মানুষকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ভবনে সপ্তাহব্যাপী ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নর এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার
এসময় গভর্নর জনগণকে বন্ড মার্কেট এবং শেয়ার মার্কেট উভয় ক্ষেত্রেই তাদের অর্থ বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। কারণ সরকার বিনিয়োগকারীদের জন্য নিয়ম ও প্রবিধান সহজ করার জন্য কাজ করে।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদি আমানতের বিপরীতে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদে ঋণ দেয়ায় খেলাপি ঋণ বাড়ছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) সচিব শেখ মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ বলেন, মন্ত্রণালয় সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য শেয়ার লেনদেনে স্বয়ংক্রিয়তা ও স্বচ্ছতার জন্য বিবি, এনবিআর ও বিএসইসির সঙ্গে কাজ করছে।
অন্যান্য বক্তারা শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ার পাশাপাশি মানুষের আর্থিক জ্ঞান বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান, অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, নির্বাহী পরিচালক জিন-পল ব্যুরোড, এফএআইআর, কানাডা বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি কী নোট পেপার উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি সাঈদুর রহমান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিক লিস্টেড কোম্পানির সেক্রেটারি আমজাদ হোসেন, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএবি) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসি, আইওএসসিও (দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশনস (আইওএসসিও) এর সদস্য হিসেবে, বিশ্বের সিকিউরিটিজ ও ফিউচার মার্কেট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর একটি সংস্থা, ফিটিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে সপ্তাহটি পালন করছে।
পুঁজিবাজার সম্পর্কে আরও জ্ঞান অর্জনের প্রয়োজনীয়তার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় অনুষদে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: টাকার মান আরও ১ টাকা ৬০ পয়সা কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক
১১৫৯ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগে বয়সসীমা বাড়াতে সংসদে বিল
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৬৭ বছর করার জন্য বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক (সংশোধনী) বিল- ২০২০ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
১৯৭৬ দিন আগে