নোয়াখালী
নোয়াখালীতে ৪ লাখ টাকা চুক্তিতে সিএনজি চালককে হত্যা: গ্রেপ্তার ৮
নোয়াখালী সদর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আব্দুল হাকিমকে (৩৫) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুর সংবাদ সম্মেলনে এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বরিশালে নৌ-পুলিশের ওপর হামলা: অর্ধশত জেলের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৮
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজলার পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের মো. মমিন উল্যার ছেলে মো. মহিন (২৭), পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের রেজিয়াগো বাড়ির মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো. কামাল ওরফে কামাল ডাকাত (৩৮), হারুন মোল্লা বাড়ির আনোয়ারুল হক নশুর ছেলে মো. আজাদ হোসেন (৩২), পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের অজি উল্যাহ পাটোয়ারী বাড়ির শাহজাহানের ছেলে রিপু মিয়া (২১), আক্কাস সওদাগর বাড়ির আক্কাস সওদাগরের ছেলে জাহিদ হাসান (২৮), পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের মাহফুজের বাপের বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে সোহেল হোসেন ওরফে শাকিল (২৪), একই গ্রামের দোকান বাড়ির মকবুল আহমেদের ছেলে মমিন উল্যাহ (৩৭) এবং পাটোয়ারী বাড়ির অজি উল্যার ছেলে নূর আলম মিস্ত্রি (৫৫)।
পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীর সঙ্গে নিহত সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক আব্দুল হাকিমের শক্রতা ছিল। একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা চলমান রয়েছে। পরিকল্পনাকারী শক্রতার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য আব্দুল হাকিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অর্থের লোভ দেখিয়ে আব্দুল হাকিমের সিএনজি অটোরিকশার মালিক মহিনকে ব্যবহার করা হয়।
ঘটনার দিন রবিববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা হিসেবে মহিম তার বাড়িতে কামাল, রিপু, মোমেন, নূর আলমসহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে অবস্থান করে। মহিন আব্দুল হাকিমকে অটোরিকশা রাখার কথা বলে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নেয়।
তিনি আরও জানান, এরপর হাকিম অটোরিকশা জমা দেয়ার সময় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচজন মিলে তার মুখ বেঁধে ফেলে।
পরবর্তীতে সব আসামিরা হাকিমকে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের সফিগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ রাস্তার পূর্ব পাশে ইদ্রিস মিয়ার বাড়ির পেছনের ডগির ভেতরে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিতের পর সব আসামিরা মিলে হাকিমের লাশ বস্তার ভেতর ঢুকিয়ে মাটি চাপা দেয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, তদন্তকালে আসামি সোহেলের ভাষ্যমতে আসামি রিপুর বাড়ি থেকে হত্যঅয় ব্যবহৃত শাবল ও কোদাল উদ্ধার করা হয়। মূল পরিকল্পনাকারী হত্যাকাণ্ডের জন্য আসামি মহিমের সঙ্গে চার লাখ টাকা চুক্তি করেছিলেন।
এছাড়া তিনি জানান, আসামি রিপু ও সোহেল ওরফে শাকিল হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। শনিবার ও রবিবার বিকালে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাদরাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
কলাপাড়ায় ১০ বছরের শিশুকে যৌন হয়রানি, গ্রেপ্তার ১
ভাসানচর পরিদর্শনে ৪ দেশের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত ৪ দেশের রাষ্ট্রদূত নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসানচর পরিদর্শন করেছেন। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে জাপান, চায়না, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও তাদের প্রতিনিধি দল ভাসানচর পৌঁছান।
সকাল ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে ভাসানচর পৌঁছান জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো।
তাদের সঙ্গে আছেন, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের অফিসার-ইনচার্জ সিমোন পার্চমেন্ট।
একই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলও ভাসানচর আসেন।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য ইইউ’র ৩ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা
এই দলে আছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. সালাহউদ্দিন, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের একান্ত সচিব মো. কায়ছারুল ইসলাম, পরিচালক-৯ মোহাম্মদ নাজমুল হক, পরিচালক-১৪ ডা. মোহাম্মদ মহিবুল হাসান।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ৪ দেশের রাষ্ট্রদূতসহ প্রতিনিধি দল সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। এ সময় ভাসানচরের বিভিন্ন ওয়্যার হাউজে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদের সুযোগ-সুবিধা, জীবনযাত্রার মানসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন তারা। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ভাসানচর পরিদর্শন শেষে তারা ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাশা পূরণে আরও সম্পদ প্রয়োজন: রাষ্ট্রদূত নাওকি
ভাসানচর পরিদর্শন করলেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি
মাকে ৫ টুকরো করে হত্যা: সুবর্ণচরে ছেলেসহ ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মাকে পাঁচ টুকরো করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ছেলেসহ সাত আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়।
২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বুধবার বিকালে উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামের নূরজাহান বেগম (৫৮) এর খন্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলো- ওই ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামের আবদুল বারেক, নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবির (৩২), একই গ্রামের মিলন মাঝির ছেলে নিরব (২৬), নূর আলমের ছেলে কসাই নূর ইসলাম (৩২), দুলাল মাঝির ছেলে কালাম ওরফে মামুন (২৮), মমিন উল্যার ছেলে মো. ইসমাইল (৩৫), হারুনের ছেলে মিলাদ হোসেন সুমন (২৮) এবং মারফত উল্যার ছেলে হামিদ (৩৫)।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিলুফার সুলতানা এ রায় দেন।
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ হত্যার ঘটনায় প্রথমে নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় একটি মামলা করে। মামলার সূত্র ধরে পুলিশী তদন্তে হত্যার সঙ্গে সন্তানের সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। একইসঙ্গে তার ৬ সহযোগী মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রমাণ পায় পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, রায় ঘোষণার সময় আদালতে ৭ আসামি উপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় ২৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। একইসঙ্গে আটক নিহতের ছেলের বন্ধু নিরব ও নূর ইসলামের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাপাতি, বালিশ, কোদাল ও নিহতের ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বুধবার বিকালে উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামের একটি বিল থেকে নূরজাহানের পাঁচটি খন্ডিত অংশের একটি অংশ উদ্ধার করে। পরে, পুলিশ নিহতের শরীরের আরও চারটি খন্ডিত অংশ উদ্ধার করে।
এর আগে, জমি বিরোধ নিয়ে বাকবিতণ্ডার পর ৬ অক্টোবর রাতে খাওয়ার পর নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন নূরজাহান। রাত ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে কোন এক সময় হুমায়ুন কবির তার ৬ সহযোগীকে নিয়ে ঘুমন্ত নূরজাহানকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, নিহতের লাশকে পাশ্ববর্তী একটি ধানখেতে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা আলাদাসহ পাঁচ টুকরা করে খন্ডিত অংশ ধানখেত ও বিলের মধ্যে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় মামলা করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে হুমায়ুন কবিরকে আটক করে। পরে, জিজ্ঞাসাবাদে তার পরিকল্পনা অনুযায়ী খুন হয়েছে প্রমাণ হয় এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তার ছয় সহযোগীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
ঢামেকে ৭০ বছর বয়সী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
রংমালা দারুস সুন্নাহ মডেল মাদরাসার সাবেক ছাত্র সংস্থার বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের আলোচিত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রংমালা দারুস সুন্নাহ মডেল মাদরাসার সাবেক ছাত্রদের সংগঠন ‘সাবেক ছাত্র সংস্থা রংমালা দারুস সুন্নাহ মাদরাসা’ বৃত্তি পরীক্ষা-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ শনিবার সকাল ১০.৩০ মিনিট থেকে শুরু হয়ে এই বৃত্তি পরীক্ষা চলে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত৷
কোম্পানীগঞ্জের ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণির মোট ৯৬৫জন পরীক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করে৷
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে এসএসসি পরিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
রংমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও রংমালা দারুস সুন্নাহ মডেল মাদরাসার পৃথক পৃথক কেন্দ্রে বৃত্তি পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়৷
এতে উপস্থিত থেকে পরীক্ষাটি সার্বিক তদারকি করেন রংমালা দারুস সুন্নাহ মডেল মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্র সংস্থা রংমালা মাদরাসা সেক্রেটারি তোফাজ্জল হোসেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু তৈয়ব ও উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আলা উদ্দিন, রংমালা দারুস সুন্নাহ মডেল মাদরাসার সাবেক ছাত্র যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ, চট্টগ্রাম ড. মো. শহিদুল ইসলাম সাবেক ছাত্র ডাক্তার ফখরুল ইসলাম ইমরান, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদের সদস্য মৌলভী জামাল উদ্দিন ও অভিভাবক সদস্য মামুন হায়দারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এতে উপস্থিত ছিলেন৷
এই সময় পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন সাবেক ছাত্র সংস্থা রংমালা মাদরাসার সভাপতি মো. মাকসুদ জামিল৷
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মাগুরায় এসএসসি পরিক্ষার্থীসহ মৃত্যু ২
চট্টগ্রামে এইচএসসি পরিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ৯৬৩ রোহিঙ্গা
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ৯৬৩ রোহিঙ্গা। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০ হাজার ৭৯ জনে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে ১৪তম ধাপে কক্সবাজার থেকে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজযোগে রোহিঙ্গারা ভাসানচর পৌঁছায়।
নৌবাহিনী সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার থেকে বানৌজা টুনা, বানৌজা ডলফিন এবং বানৌজা পেঙ্গুইন যোগে ৯৬৩ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে আনা হয়। এছাড়াও বানৌজা হাতিয়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের লাগেজ ভাসানচরে আনা হয়।
নৌবাহিনীর ভাসানচর ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট হাসেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নতুন রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়িযোগে ৮৮, ৮৯ ও ৯০ নং ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, কক্সবাজার থেকে আগমন থেকে শুরু করে ভাসানচর আসা পর্যন্ত পুলিশ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে রয়েছে। ভাসানচর নামানোর পর বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন: মিয়ানমারের উদ্দেশে মোমেন
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এ হাজার ৮০৪ জন, ২০২১ সালের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় তিন হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় তিন হাজার ১৮ জন, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ চার হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল চার হাজার ৩৭২ জন, সপ্তম দফায় ২৫ নভেম্বর ৩৭৯ জন, অষ্টম দফায় ১৮ ডিসেম্বর ৫৫২ জন, নবম দফায় ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি ৭০৫ জন, দশম দফায় ৩১ জানুয়ারি এক হাজার ২৮৭ জন, একাদশ দফায় এক হাজার ৬৫৫ জন ও দ্বাদশ দফায় দুই হাজার ৯৮২ জন এবং ত্রয়োদশ দফার তিন হাজার ৫৩২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
এ ছাড়া, এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য চেষ্টা করা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়।
জানা যায়, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি অবহিত করলেন মোমেন
নোয়াখালীতে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত, আটক ৪
নোয়াখালী পৌরসভায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জের ধরে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার রাত ৮টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার চন্দ্রপুর মহল্লার শাহাজাহানের বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। পরে একই রাতে জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে চার জনকে আটক করে পুলিশ।
নিহত কামরুল হোসেন জোবায়ের (১৮) বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাদিন নগরের কাজী বাড়ির কামাল উদ্দিনরে ছেলে এবং সোনাপুর আইডিয়াল পলিটেকনিক্যালের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
আটকরা হলেন, নোয়াখালী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বোরহান উদ্দিন রাকিব (২২), আশরাফুল ইসলাম পিয়াস (১৯), আরিফুল ইসলাম (১৬) ও আলম রিমন (১৬)।
আরও পড়ুন: শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলে, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে সোমবার সকালে জোবায়েরের সঙ্গে স্থানীয় রাকিব ও পিয়াসের ছোট ভাই আরিফুল ইসলামের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সন্ধ্যার পরে জোবায়েরকে তার বন্ধু লাদেন মুঠোফোনে বাসা থেকে ডেকে আনে। এরপর কিশোর গ্যাংয়ের ১০ সদস্য রাকিবের নেতৃত্বে জোবায়েরকে তার বাসার সামনে রাস্তায় বেধড়ক পিটিয়ে ছুরিকাঘাত করে। এতে জোবায়ের গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে রাত ১০টার দিকে কুমিল্লায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ছুরিকাঘাতে বিজিবি সদস্য নিহত
তিনি বলেন, হত্যার ঘটনায় চার জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সুবর্ণচরে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলায় বজ্রপাতে গরুসহ এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চরবাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সবিতা রাণী দাস (৩৫) ওই গ্রামের পবিত্র দাসের দাসের স্ত্রী।
সাত নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার বাবলু চন্দ্র দাস বলেন, বেলা পৌনে ১১ টায় সবিতা রাণী দাস গোয়াল ঘর থেকে বাড়ির পাশে মাঠে গরু নিয়ে যান। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতের শিকার হয়ে গরুসহ তার মৃত্যু হয়।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছাদ থেকে পড়ে ব্যক্তির মৃত্যু
করতোয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত এবং মিঠামইনের আ.লীগ নেতার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
করোনায় আরও ২ মৃত্যু, শনাক্ত ৫৭২
নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা: প্রাইভেট শিক্ষকের ৩ দিনের রিমান্ড
নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদীতে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত প্রাইভেট শিক্ষককে তিনদিনের রিমান্ড এবং অন্য তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
নিহত তাসনিয়া হোসেন অদিতা (১৪)পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার মৃত রিয়াজ হোসেনের মেয়ে এবং নোয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
গ্রেপ্তার প্রাইভেট শিক্ষক আবদুর রহিম রনি (২০) একই এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে। এবং বাকি গ্রেপ্তাররা হলেন-সুধারামপুর থানার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার অজি উল্যাহের দুই ছেলে ইসরাফিল (১৪), সাঈদ (২০)ও ইমাম।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে শিক্ষকের স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা
শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজ নোয়াখালী মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে প্রধান অভিযুক্ত আবদুর রহিম রনির ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ এমদাদ রনির তিনদিনের রিমান্ড ও অন্য আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, নিহত স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময়ে ওই ছাত্রীকে উত্যাক্তকারী কিশোর ইসরাফিল, তার ভাই সাঈদ ও সাবেক প্রাইভেট শিক্ষক আবদুর রহিম রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাবেক প্রাইভেট শিক্ষক রনির মাথা, ঘাড়, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নখের আঁচড় দেখে তাকে এঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগে ওই স্কুলছাত্রী রনির কাছে প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দিয়ে অন্যস্থানে প্রাইভেট শুরু করে। এতে ক্ষিপ্ত হলেও রনি ওই স্কুলছাত্রীর বাসায় আসা যাওয়া করতো। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে ২টার মধ্যে কোন একসময় ওই ছাত্রীর ঘরে গিয়ে ধর্ষণ ও পরে ঘটনা দামাচাপা দেয়ার জন্য ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে গলা ও হাতের রগ কেটে হত্যা করে। ঘটনা ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য ঘরের আলমারিতে থাকা জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে। কিন্তু ঘরে থাকা কোন মূল্যবান জিনিস বা স্বর্ণালংকার সে নেয়নি।
এসপি আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পারিবারিক বা অন্যকোন বিষয় আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি জানান, রনি ও ইসরাফিলকে হত্যা মামলা এবং সাঈদ ও ইমামকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত, ডিএনএ ও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াখালী জেলা শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার জাহান মঞ্জিলের একটি কক্ষ থেকে স্থানীয় একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর তালাবদ্ধ ঘরে গলাকাটা ও অর্ধনগ্ন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে পুলিশ তাৎক্ষণিক চারজনকে আটক করে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে অটোরিকশার চালককে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ
স্বামীকে ছেড়ে দেবরকে বিয়ে: নারীকে গলাকেটে হত্যা, সাবেক স্বামী আটক
সুবর্ণচরে পাচারকালে রোহিঙ্গাদের ২ ট্রাক চাল জব্দ, আটক ৩
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ দুই ট্রাক চাল জব্দ করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হাতিয়ার ভূমিহীন বাজার থেকে সুবর্ণচরে পাচারের সময় উপজেলার মঞ্জু চেয়ারম্যান বাজার ও তোতার বাজার এলাকা থেকে এই চাল বোঝাই ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ট্রাক চালকসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে জব্দ করা চাল কত টন হবে তা এখনও পরিমাপ করা হয়নি।
আটকরা হলেন- চালের মালিক দাবিদার সুবর্ণচর উপজেলার উত্তর চরজুবলি গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে মনির হোসেন(৩৮), গাড়ি দুটির চালক একই উপজেলার চর আমান উল্যাহর শাহাদাত হোসেন শামীম (২৬), চরমজিদ গ্রামের ওসামন গনি (২৫)।
মঙ্গলবার সকালে চাল জব্দের তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
জানা গেছে, সোমবার বিকালের কোন একসময় ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে ‘ফোর্সিবলি ডিসপ্লেসড মিয়ানমার ন্যাশনালস’(এফডিএমএন) -এর রিলিফের চালগুলো ট্রলার যোগে মেঘনা নদী হয়ে হাতিয়ার জনতার ঘাটে নিয়ে আসা হয়। পরে তারা ভূমিহীন বাজারে এনে কিছু বস্তা পরিবর্তন করে রাতে ট্রাক যোগে পাচারের উদ্দেশ্যে সুবর্ণচরের দিকে নিয়ে আসে। ওই স্থান থেকে বিষয়টি গ্রাম পুলিশ নূর করিমকে জানানো হয়। তথ্যটি পেয়ে রাতে মঞ্জু চেয়ারম্যান বাজারে অবস্থান নেন নূর করিম। রাত ১টার দিকে প্রথমে একটি ট্রাক ভূমিহীন বাজার থেকে আসতে দেখেন তিনি। বাজারের ভিতরে ঢুকলে ট্রাকটি গতিরোধ করার চেষ্টা করলে তাকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত বাজার পার হয়ে যায় ট্রাকটি। পরে সে বিষয়টি চরজব্বার থানায় জানালে উপপরিদর্শক (এসআই) নূর নবী তোতার বাজার এলাকায় ওই ট্রাকটি আটক করে।
পরে আরও একটি ট্রাক একই স্থান হয়ে আসলে গ্রাম পুলিশ নূর করিম স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ীকে নিয়ে ওই ট্রাকটির গতিরোধ করে চালসহ পুলিশকে সোপর্দ করে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, সরকারি রিলিফের চাল জব্দের ঘটনায় আটককৃত ৩জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সাংবাদিক হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫০টি স্বর্ণের বার জব্দ, ভারতীয় নাগরিক আটক
নোয়াখালীতে বিএনপির প্রতিবাদ সভার মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
নোয়াখালীর চাটখিলে বিএনপির ডাকা প্রতিবাদ সভার মঞ্চ, চেয়ার ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চাটখিল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু হানিফ ও সদস্য সচিব শাহজাহান রানাসহ ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হওয়ার দাবি করছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
শুক্রবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে চাটখিল পৌরসভার চাটখিল আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে ভাঙচুরের এই ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রীয় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, জ্বালানি তেল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চাটখিল পৌরসভার এলাকার আলিয়া মাদরাসার সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিকাল ৪টার দিকে এই সভার জন্য সকাল থেকে প্যান্ডেল ও মঞ্চ বানানো হয়। জুম্মার নামাজের শেষে হঠাৎ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মী এসে হামলা চালিয়ে মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করেন। প্রতিবাদ সভায় আসার পথে বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে আমাদের ৩০ জন নেতাকর্মীকে আহত করা হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির ১২ নেতা-কর্মী আটক
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, গত তিন দিন ধরে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি প্রতিবাদ সভা করেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির প্রতিবাদ সভা পণ্ড করার কোনো নির্দেশনা নেই। তবে চাটখিল উপজেলা বিএনপির মধ্যে দুটি গ্রুপ রয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারণে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবাদ সভাস্থলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কোনো নেতা-কর্মী হামলা করেনি বলে তিনি দাবি করেন।
এব্যাপারে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.গিয়াস উদ্দিন বলেন, এই রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।