চাকরি
চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ২ শিক্ষার্থীর আবেদন
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন দুই শিক্ষার্থী। এই দুই শিক্ষার্থীর আবেদনের ওপর বুধবার (১০ জুলাই) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।
আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের আদালত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে এফিডেভিট দায়েরের জন্যে ওই দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলন: রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের কঠোর ‘বাংলা ব্লকেড’
চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এফিডেভিট দাখিলের জন্যে অনুমতি দেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দায়ের করা হয়।
আবেদনকারী দুই শিক্ষার্থী হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আলসাদি ভূঁইয়া ও আহনাফ সাঈদ খান।
তাদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রিটকারী পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি মুলতবি করা হয়।
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সংহতি প্রকাশ
রিট আবেদনকারীপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘নট টুডে’ (আজ নয়) বলে আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেন সর্বোচ্চ আদালত।
এ আদেশের পর কোটাবিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, চাইলে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারেন। এমন মন্তব্যের পর মঙ্গলবার দুইজন শিক্ষার্থী আন্দোলনকারীদের পক্ষে আবেদন করেন। আবেদনে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৫ জুন হাইকোর্ট নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা গত ৯ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ৪ জুলাই শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের অবরোধ
সেই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। ক্রম অনুসারে বিষয়টি উঠলে রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী অন রেকর্ড মো. জহিরুল ইসলাম একদিনের (নট টুডে) সময়ের প্রার্থনা জানান।
লবিং-রেফারেন্স ছাড়াই চাকরি পেতে প্রয়োজনীয় কিছু দক্ষতা
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজার, সেই সঙ্গে বদলাচ্ছে বাজারের চাহিদাগুলো। এরপরেও লবিং ও রেফারেন্সের মতো চিরাচরিত বিষয়গুলো প্রায়ই প্রার্থীদের মৌলিক দক্ষতা ও যোগ্যতাকে ছাপিয়ে যায়। ফলে সঠিক জানাশোনা বা সুপারিশ ছাড়া চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করতে যেয়ে তাদেরকে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। এই বিড়ম্বনাগুলোকে পাশ কাটানোর জন্য দক্ষতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া উচিৎ। চাকরি ক্ষেত্রে যে সক্ষমতাগুলো দুর্লভ ঠিক সেই দক্ষতাগুলোকে অর্জন করা সম্ভব হলে আলাদা করে আর কোনো কিছুরই প্রয়োজন হয় না। চলুন, চাকুরী পেতে রেফারেন্স বা লবিংয়ের বিকল্প হতে পারে এমন কিছু অপরিহার্য দক্ষতার ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
যে দক্ষতাগুলো চাকরি পেতে লবিং বা রেফারেন্সের বিকল্প হিসেবে কাজ করে
ব্র্যান্ডিং
লাখ লাখ প্রতিযোগীদের ভিড়ে আলাদাভাবে নিজেকে প্রকাশ করার একটি মোক্ষম উপায় হচ্ছে সেল্ফ-ব্র্যান্ডিং। এটি একজন ব্যক্তির কাজ, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও অর্জনগুলো পরিবেশনের মাধ্যমে তার একটি স্বতন্ত্র পেশাদার পরিচয় তৈরি করে। এর ফলে নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রির নিয়োগকর্তারা তাদের নির্দিষ্ট কাজের জন্য সঠিক ব্যক্তিটিকে খুঁজে নিতে পারেন।
বর্তমানে অনলাইন যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে আরও কার্যকরভাবে ব্র্যান্ডিং করা যায়। একটি পেশাদার লিঙ্কডইন প্রোফাইল, একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বা পোর্টফোলিও বর্তমানে ডিজিটাল ব্র্যান্ডিংয়ের পরিচয় বহন করে। জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমগুলোর পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রি কেন্দ্রিক ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ও ফোরামগুলোতে সক্রিয় থাকার মাধ্যমেও ব্র্যান্ডিং করা যায়।
এভাবে অনলাইনে ব্যক্তির পেশাগত অবস্থিতি নিয়োগকর্তার কাছে তাকে দৃশ্যমান করে তোলে। এছাড়া জব পোর্টালগুলো বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিত্তিতে নিয়োগকর্তা ও চাকরি প্রার্থীদের একত্রিত করে। এই ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যেও সুবিধা থাকে রিজুমি, সিভি ও ডিজিটাল পোর্টফোলিওর মাধ্যমে সেল্ফ-ব্র্যান্ডিংয়ের।
আরও পড়ুন: ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট কী? কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
যোগাযোগের দক্ষতা
শুধু কর্মক্ষেত্রেই নয়; জীবনের যে কোনো কাজের জন্য সঠিকভাবে যোগাযোগ করা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতা। এটি মূলত মৌখিক ও লিখিত- এই দুইভাগে বিভিক্ত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আচরণগত ভাষা মৌখিক যোগাযোগকে সহজে বোধগম্য করে তোলে। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ নামে পরিচিত এই ধরনটি মূলত দেহের অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কোনো কিছু বোঝানোর চেষ্টা করে। হাত বা মাথা নাড়ানোর সঙ্গে মুখের কথার সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া জরুরি।
একটি পূর্ণাঙ্গ যোগাযোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার জন্য এই সঙ্গতি অপরিহার্য। কেননা একটি যোগাযোগ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হচ্ছে বক্তার কথা বলা, আর দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে শ্রোতার প্রত্যুত্তর। এই জবাবে শ্রোতা বক্তার কথা বুঝেছেন কি না তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
সাক্ষাৎকার, মিটিং বা আড্ডার সময় মৌখিক যোগাযোগের দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ। আর লিখিত যোগাযোগ সক্ষমতা কাজে লাগে ইমেইল, প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পেশাদার নথির খসড়া তৈরির সময়। বলার সময় কথা ও লেখার সময় বাক্য যত স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত হয় ততই তা শ্রোতা বা পাঠকের জন্য সহজ হয়ে ওঠে। এর সঙ্গে সব ধরনের মানুষের বোঝার নিমিত্তে সার্বজনীনতা বজায় রাখা আবশ্যক।
সমস্যা সমাধানের দক্ষতা
চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত সাধারণ দায়িত্বগুলোতে আলাদা মান যুক্ত হয় সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে। এই দক্ষতার মধ্যে রয়েছে সঠিক সমস্যাটি শনাক্ত করা, বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তা বিশ্লেষণ করা এবং কার্যকর সমাধানটি বের করে সেই সমস্যাটির যেন পুনরাবৃত্তি না হয় তা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: চাকরির ইন্টারভিউয়ে প্রত্যাশিত বেতন নিয়ে যেভাবে কথা বলবেন
নিয়োগকর্তারা এমন ব্যক্তিদের পছন্দ করেন, যারা অপ্রত্যাশিত সমস্যাগুলোর একটি সৃজনশীল সমাধান বের করতে পারে। এ ধরনের ব্যক্তিরা প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহের সময় তার খুটিনাটি পর্যবেক্ষণ করেন এবং সমাধানের ক্ষেত্রে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হন। এতে বিশদ গবেষণা ও সুচিন্তার প্রয়োজন থাকলেও যারা যত দ্রুত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন তারা প্রতিযোগিতায় তত বেশি এগিয়ে থাকেন।
যে কোনো পরিবেশে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া
শুধুমাত্র নতুন চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নয়, নতুন পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নেওয়া অভিজ্ঞ লোকদের জন্যও জরুরি। কেননা প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই আসছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। প্রতিনিয়ত সামনে আসছে নতুন নতুন শর্ত, নতুন পদ্ধতি ও নতুন পরিস্থিতি। আর সেই সঙ্গে পুরনো দায়িত্বের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হচ্ছে নতুন দায়িত্ব। এমন পরিবর্তনের ধাক্কা সামলাতে প্রায়ই প্রয়োজন হচ্ছে দ্রুততার সঙ্গে নতুন কিছু শিখে নেওয়া।
যারা নিজেদের আরামপ্রদ জায়গাটি একবার খুঁজে পাওয়ার পর সেখান থেকে আর বেরতে চান না, তারা এই অবস্থায় সমূহ বিড়ম্বনার শিকার হন। কারণ এক সময় যে কাজ বা দক্ষতাটি বেশ চাহিদা সম্পন্ন ছিল, কয়েক বছরের মধ্যে তার বাজার আর নাও থাকতে পারে। আর তাই ক্যারিয়ারের অগ্রগতির আরেক অর্থ হচ্ছে অভিযোজন ক্ষমতা।
দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রবণতা
একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মানেই অনেক লোকের সমাগম। আর যে কাজে যত বেশি লোক জড়িত থাকে সে কাজে তত বেশি প্রয়োজন হয় সংগঠনের ক্ষমতা। এর জন্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তির মনস্তত্ব ভালোভাবে বোঝার দরকার হয়। এর ধারাবাহিকতায় আরও যুক্ত হয় কাজের পদ্ধতিগত নির্দেশনা প্রদান, কাজ ভাগ করে সমবন্টন ও কোনো সমস্যা হলে সহযোগিতা করা। অর্থাৎ এখানে একসঙ্গে দুটি দক্ষতার প্রয়োজন- এক, যোগাযোগ এবং দুই, সমস্যা সমাধান।
আরও পড়ুন: চাকরির জন্য সিভি তৈরিতে যে বিষয়গুলো পরিহার করবেন
একাধিক মানুষের কারবার থাকলে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে ছোট-বড় দ্বন্দ্বের ব্যাপার থাকে। তাই এখানে দরকার হয় সমঝোতা, আপোস ও গঠনমূলক প্রতিক্রিয়ার। সহকর্মীদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করা হলে লক্ষ্য অর্জন সহজ হয় ও সেই সঙ্গে কাজের প্রতি সন্তুষ্টিও থাকে।
সময়ানুবর্তিতা
যে কোনো উৎপাদনশীলতাকে তার স্বর্ণশিখরে পৌঁছে দিতে পারে সময়ানুবর্তিতা। জীবনের নানা ক্ষেত্রে সারাদিনে কাজের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাছাড়া চাকরি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান থেকে ঠিক করে দেওয়া লক্ষ্যকে অর্জন করতেও অনেক বেগ পেতে হয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুয়েকটা কাজ বেশি সম্পন্ন করা সম্ভব হলেও অন্যান্যদের থেকে একটু এগিয়ে থাকা যায়। এরকম কাজের চাপের ক্ষেত্রে গুরুত্বের ভিত্তিতে কাজগুলোকে আগে-পরে সাজানো উচিৎ।
প্রত্যেকটি কাজের জন্য ঠিক করতে হবে একটি নির্দিষ্ট সময়। অতঃপর সেই সময় অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই নির্দিষ্ট কাজটি করার ক্ষেত্রে বদ্ধ পরিকর থাকতে হবে। এভাবে প্রতিদিন নিজের সঙ্গে নিজেই প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়া যেতে পারে।
মধ্যস্থতা বা আপোসের দক্ষতা
বিভিন্ন পেশাগত পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের জন্য সুবিধাজনক ফলাফল অর্জনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপোসের দক্ষতা। চাকরির ইন্টারভিউয়ে বেতন, নতুন বিনিয়োগ বা ঋণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত, কিংবা নানা ধরনের প্রকল্পের শর্তাদি প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। এমনকি প্রতিটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মৌলিক কাজ তথা পণ্য বা সেবা বিক্রির জন্য এই দক্ষতা থাকার আবশ্যক। এই দক্ষতার এক বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে সঠিক যোগাযোগ।
আরও পড়ুন: ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
এর সঙ্গে যুক্ত হয় কৌশলগত চিন্তাভাবনা এবং প্রত্যেক পক্ষের চাহিদার ব্যাপারে সম্যক ধারণা। এখানে সার্বিকভাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোকে উপজীব্য করে আলোচনায় দৃঢ়তা রাখা জরুরি। তবে সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হয় কূটনৈতিক আলোচনা যেন দ্বন্দ্বের দিকে পরিচালিত না করে।
আত্মবিশ্বাস
এটি এমন এক মৌলিক বৈশিষ্ট্য যার অভাবে যথেষ্ট পারদর্শিতা থাকার পরেও নিমেষেই তা মূল্যহীন হয়ে যেতে পারে। একজন আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিদের নিজের কর্মক্ষমতার ব্যাপারে দৃঢ় ভাবে অবস্থান নিতে এবং তার কাজ সংক্রান্ত ব্যাপারে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত দিতে পারে। এতে করে যিনি কাজ দিচ্ছেন তিনি সেই ব্যক্তির উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
যে কোনো জরুরি অবস্থায় এ ধরনের ব্যক্তিরা তার আশেপাশের লোকদের পরম নির্ভরতার খোরাক যোগান। একটি টিমে কোনো সদস্য যখন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সিদ্ধান্ত প্রদান করেন, তখন তার সহকর্মীরা লক্ষ্য অর্জনে নিশ্চয়তা বোধ করেন। এই মানসিকতা তাদের প্রত্যেকের দিক থেকে শতভাগ চেষ্টা করার ইন্ধন যোগায়।
ডিজিটাল সাক্ষরতা
বর্তমানের প্রযুক্তি-নির্ভর কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি বিভাগের জায়গা দখল করে নিচ্ছে ডিজিটাল ব্যবস্থা। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সফ্টওয়্যার। এমনকি যে প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য-প্রযুক্তির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরক্ষ কোনো ভাবেই জড়িত নয়, সেগুলোতেও এখন হরহামেশাই ব্যবহার হচ্ছে নানান ধরনের ডিজিটাল টুল্স।
আরও পড়ুন: চাকরির ইন্টারভিউয়ে নিজেকে শান্ত রাখার উপায়
মাইক্রোসফ্ট অফিস, গুগল ওয়ার্কস্পেস, হোয়াট্সঅ্যাপ এবং জুমের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলো চালানোর দক্ষতা কোনো চাকরি বিজ্ঞপ্তিতে আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয় না। নিদেনপক্ষে ধরেই নেওয়া হয় যে কম্পিউটার কিবোর্ড টাইপ করার মতো এই বিষয়গুলোতেও প্রার্থীর অভ্যস্ততা রয়েছে। তাছাড়া ইন্টারনেট নির্ভর দুনিয়ায় ডিজিটাল সাক্ষরতা না থাকলে চাকরির জন্য সেল্ফ-ব্র্যান্ডিং ও যে কোনো মুহূর্তে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব নয়।
পেশাদারিত্ব
ইন্ডাস্ট্রি ভেদে প্রতিটি কাজেরই রয়েছে কিছু নিজস্ব নীতিমালা। এই নিয়মগুলোর আঙ্গিকে একজন ব্যক্তি তার কাজের প্রতি কতটা নিবেদিত তা যাচাই করা হয়। যেমন প্রতিষ্ঠানগত আচরণপ্রথা, সময়ানুবর্তিতা, উপযুক্ত পোশাক, গোপনীয়তা ও ব্যক্তিগত আবেগের বশবর্তী হয়ে বিচার না করা। এগুলো কেবল কর্মজীবনের জন্য পৃথক কোনো বৈশিষ্ট্য নয়। বরং শিক্ষা জীবন থেকে একজন স্বশিক্ষিত ব্যক্তির মাঝে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এগুলোর আবির্ভাব ঘটে।
বিশেষ করে অনুকরণ প্রক্রিয়াটি শৈশব থেকেই মানুষের মধ্যে বিদ্যমান। তাই পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও অনেকেই অফিসের অদ্ভূত নিয়ম-কানুনেও অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারে। এখানে সেই অভিযোজন ক্ষমতাও চলে আসে, যা বিশেষ করে শিক্ষানবীশদের জন্য অতীব জরুরি। তাছাড়া এই গুণাবলী সহকর্মী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্ক তৈরিতে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে।
শেষাংশ
এই দক্ষতাগুলোর সঠিক প্রদর্শনের মাধ্যমে লবিং বা রেফারেন্স নির্ভর চাকরির বাজারের দৃশ্যপটে অনেকটাই পরিবর্তন আনা যেতে পারে। বিশেষ করে ডিজিটাল সাক্ষরতার সঙ্গে অনলাইন মাধ্যমগুলোতে নিজের ব্র্যান্ডিং করাটা ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ উপযোগী। কেননা এখন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলার পূর্বেই তার ব্যাপারে সম্যক ধারণা লাভের চেষ্টা করে। এখানে যাচাই হয়ে যায়- প্রার্থী কি কি সমস্যা সমাধানে পটু, কতটা বৈচিত্র্যপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেছে, এবং তাতে কতটুকু সুসংঘটিত থাকার বিষয় ছিল।
আরও পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
পরিশেষে সরাসরি সাক্ষাতের সময় এই ধারণাগুলো প্রতিফলনের পাশাপাশি দেখে নেওয়া হয় তার আপোস করার ক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস ও পেশাদারিত্ব। এই দক্ষতাগুলো কেবল চাকরি পাওয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তারও পরে কর্মজীবনে উত্তরোত্তর অগ্রগতির জন্যও সহায়ক।
বাকৃবিতে ৪০ প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে চাকরি মেলা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব (বাউসিসি) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ন্যাশনাল ক্যারিয়ার কার্নিভালের দ্বিতীয় ও শেষ দিনের আয়োজন হিসেবে চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এবারের চাকরি মেলায় ৪০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।
শনিবার (৮ জুন) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রশিক্ষণ বিভাগের জিমনেসিয়ামে ওই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মেলায় ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই সরাসরি ও অনলাইনে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), এসিআই, প্রাণ, স্কয়ার, সি.পি বাংলাদেশ, নাবিল গ্রুপ, প্যারাগন গ্রুপ, ব্র্যাক, ড্যানিশ, আফতাব, নাহার এগ্রো, সিনজেনটা, প্রভিটা গ্রুপ, কাজী ফার্মসসহ আরো অনেক দেশীয় ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান।
বিভিন্ন স্টল ঘুরে জানা যায়, অংশগ্রহণকারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠান কৃষির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কিছু প্রতিষ্ঠানে কৃষি অনুষদের স্নাতকধারী, কিছু প্রতিষ্ঠানে ভেটেরিনারি এবং পশুপালন স্নাতকধারী আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের স্নাতকধারীরা প্রাধান্য পেয়েছে। কিছু প্রতিষ্ঠানের সেলস ম্যানেজার, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এবং অ্যাকাউন্টেনস ম্যানেজমেন্ট পদগুলোতে সবাই জীবন বৃত্তান্ত জমা দেয়ার সুযোগ পেয়েছে।
চাকরি মেলা শেষে বিকাল ৫টায় বাউসিসির পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদনে সবধরনের সহায়তা দেবে সরকার -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
সরকারি চাকরিতে ৩ লাখ ৭০ হাজার পদ খালি: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত পদ ১৯ লাখ ১৫১টি। এর মধ্যে শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি।
মন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সব সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে ২৯ শতাংশ নারী কাজ করছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ অংশ নিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ২ জুন
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে (বিসিএস) নারীরা পিছিয়ে যাচ্ছে, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৮৪ জন সচিবের মধ্যে ১১ জন নারী। অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৭৫ জন, যুগ্ম সচিব রয়েছেন ১৬৪ জন, উপসচিব রয়েছেন ৩৯৪ জন।’
তিনি আরও বলেন, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত ৬৫৮ জন। এ ছাড়াও ৬৪ জেলার মধ্যে জেলা প্রশাসক হিসেবে ৭ জন নারী এবং ইউএনও হিসেবে কর্মরত ৫১ জন নারী। এসিল্যান্ড হিসেবে ৮৮ জন কর্মরত। এছাড়াও একজন নারী বিভাগীয় কমিশনার আছেন।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, বিগত ১০ বছরে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের ৩৫১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। এরমধ্যে গুরুদণ্ড পেয়েছেন ৪১ জন, লঘুদণ্ড পেয়েছেন ১৪০ জন। সবমিলিয়ে শাস্তি পেয়েছেন ১৮১ জন। আর ১৭০ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
পদোন্নতির ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করেই পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়। আমাদের এখানে একটা শৃঙ্খলা চলে এসেছে।
তিনি বলেন, যখন আমরা পদোন্নতি দেই, একটা প্রশ্ন আসে- পদের চেয়ে পদোন্নতির সংখ্যা বেশি। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আমাদের অনেক কিছু খেয়াল করতে হয়। আমাদের খেয়াল রাখতে হয়-বেশ কিছু কর্মকর্তা বিদেশে অধ্যয়নরত থাকেন। সরকারের বিভিন্ন স্কলারশিপের অধীনে। বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরতদের বিষয় তো রয়েছেই। তারপর একটি বিষয় রয়েছে-কিছু সংখ্যক মানুষ থাকে যারা অসুস্থ থাকেন। সেটি বাদেই আমাদের পদোন্নতি দিতে হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন পদে যখন পদোন্নতি দিচ্ছি, তখন কিন্তু যে পদ আছে সেই পদের চেয়ে বেশি দিতে হয় যৌক্তিক কারণে। কিছুদিনের মধ্যেই বা ছয় মাসের মধ্যেই বেশ কিছু কর্মকর্তা পিআরএলে চলে যাচ্ছেন। তারপরে বেশ কিছু আমাদের রিজার্ভে রাখতে হয়। কারণ হচ্ছে- যদি কেউ অসুস্থ হয়ে যায়, সেই জায়গাটি পূরণ করার জন্য।
সংলাপে বিএসআরএফ’র সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পটুয়াখালীতে মাছের ঘের, পুকুরসহ ৭৬০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব: শরীয়তপুরে বিদ্যুৎহীন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ
প্রাইভেট বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার চাকরির বাজারের জন্য উদ্বেগপূর্ণ: বিশ্বব্যাংক অর্থনীতিবিদ
প্রাইভেট বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকা এবং জিডিপিতে এর ন্যূনতম অবদান রাখায় দক্ষিণ এশিয়ার চাকরির বাজারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ রয়েছে বলে এক সেমিনারে এমনি মতামত তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল ) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন মিলনায়তনে 'দক্ষিণ এশিয়া কি কর্মহীন উন্নয়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করছে?' ‘বিশ্ব ব্যাংকের 'দক্ষিণ এশিয়া উন্নয়ন হালনাগাদ' ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের প্রতিবেদন’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও বিশ্বব্যাংক।
সেমিনারে অন্যান্য উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার আশাবাদী প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে, তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতাগুলোর কথা উল্লেখ করে চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় নীতি সংস্কারের অভাববেই দায়ী করেছেন।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. ফ্রান্সিসকা ওনসর্গ তার 'রিপোর্ট ফোকাসিং অন জব রেজিলিয়েন্স ইন সাউথ এশিয়া এপ্রিল-২০২৪' শীর্ষক উপস্থাপনায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির বাধা দূর করতে নীতি সংস্কারের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ড. ওনসর্গের মতে, অন্যান্য উন্নয়নশীল অঞ্চলের তুলনায় বেসরকারি বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকা এবং জিডিপিতে এর ন্যূনতম অবদান দক্ষিণ এশিয়ার চাকরির বাজারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়।
বাণিজ্য উন্মুক্ততা এবং প্রাতিষ্ঠানিক গুণমানকে এই অঞ্চলে কাজের সুযোগকে জোরদার করার মূল কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ড. ওনসোর্গ দক্ষিণ এশিয়ায় নিম্ন বাণিজ্য-জিডিপি অনুপাত তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত এবং ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি (আইটি) শিল্পের মতো প্রবৃদ্ধির নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উচ্চ বাধা আরোপের জন্য বাংলাদেশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটি প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আরও পড়ুন: এপ্রিল থেকে সুদের হার ১৩.৫৫ শতাংশ, ভোক্তা ঋণে যোগ হবে আরও ১ শতাংশ
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপাচার্য ড. রুবানা হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা এবং বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন।
প্যানেলিস্টরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কাজের গুণগত মান এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে কর্মশক্তিতে একীভূত করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
বার্নার্ড হ্যাভেন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগের উপর জোর দিয়েছিলেন, আরও বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) এবং অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশের পক্ষে ছিলেন। তিনি কর্মী ও দৃঢ় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং মানব মূলধনে বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেন।
হ্যাভেন আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উৎপাদনশীল জনশক্তি নিশ্চিত করতে উন্নত দৃঢ় ব্যবস্থাপনা, নারীর শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের জন্য সমর্থন, অভিবাসন ব্যয় হ্রাস এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
বেকারত্বহীন প্রবৃদ্ধির ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং তাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ব্যাপক নীতি সংস্কার গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সেমিনারটি শেষ হয়।
আরও পড়ুন: তৃতীয় কিস্তির ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ পেতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জোর আইএমএফর
একীভূত করলেও পদ্মা ব্যাংকের কোনো কর্মচারী চাকরি হারাবেন না: এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান
পদ্মা ব্যাংক শরিয়াহভিত্তিক এক্সিম ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে একীভূত হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে এই একীভূতকরণ সম্পন্ন হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারসহ দুই ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুর্বল ও সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক উদ্যোগের পর এটিই প্রথম দেশে দুই ব্যাংকের একীভূতকরণ বাস্তবায়ন করা হলো।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, আগামীকাল থেকে পদ্মা ব্যাংকের আর অস্তিত্ব থাকবে না। একীভূতকরণের ফলে নতুন করে এক্সিম ব্যাংক নামে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: সোমবার একীভূতকরণে সমঝোতা স্মারক চুক্তি করবে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক
তিনি আরও বলেন, একীভূতকরণের কারণে কোনো কর্মী চাকরি হারাবেন না। তবে পদ্মা ব্যাংকের পরিচালকরা এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে থাকতে পারবেন না। দুই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ ছিল না, বরং সরকারের পক্ষ থেকে এটি একটি পরামর্শ ছিল। দেশের স্বার্থে, অর্থনীতির স্বার্থে আমরা এটা করেছি।’
একীভূতকরণের ফলে আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডারদেরও কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, 'ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের দুটি পদ্ধতি রয়েছে- অধিগ্রহণ ও একীভূতকরণ। আমরা অধিগ্রহণ করিনি, আমরা একীভূতকরণ করেছি।’
সূত্র জানায়, পদ্মা ব্যাংকের প্রায় ১২০০ কর্মী এখন থেকে এক্সিম ব্যাংকে অধীনে কাজ করবে।
পদ্মা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রায় চার হাজার কোটি টাকা এবং পদ্মার কাছে সরকারি ব্যাংকগুলোর দায় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, 'পদ্মা একীভূত হয়ে যাওয়ায় পদ্মা ব্যাংকের সব দায় এখন এক্সিম ব্যাংকের।’
শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এক্সিম ব্যাংক শরিয়াহভিত্তিক। পদ্মা ব্যাংক সাধারণ হলেও যেহেতু আমরা (এক্সিম) একীভূত করেছি, তারাও শরিয়াহভিত্তিক হবে। এক্সিম ব্যাংকের প্রতিটি সূচক ভালো অবস্থানে আছে, আশা করি আরও ভালো করবে।’
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে পদ্মা ব্যাংক
চাকরির জন্য সিভি তৈরিতে যে বিষয়গুলো পরিহার করবেন
কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সিভি তৈরি, যেখানে প্রতিটি শব্দ অত্যন্ত মূল্যবান। নিয়োগকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য যেখানে সুযোগ থাকে এক অথবা সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠার মধ্যে নিজেকে উপস্থাপনের। অসম্পূর্ণ সিভি যেমন কাম্য নয়, ঠিক তেমনি অপ্রাসঙ্গিক, অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় তথ্যের সয়লাবও সিভিকে গুরুত্বহীন করে তোলে। তাছাড়া শব্দের আধিক্যের সঙ্গে থাকে ভুল-ভ্রান্তির আশঙ্কা। এমনকি কোনোভাবে ইন্টারভিউ পর্যন্ত পৌঁছতে পারলেও ঘটতে পারে বিপত্তি। চলুন, জেনে নেওয়া যাক চাকরির সিভিতে ঠিক কোন বিষয়গুলো পরিহার করা জরুরি।
সিভি লেখার সময় যে বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকা উচিৎ
বানান ও ব্যাকরণগত ভুল
একটি সিভির উপাদানগুলো চাকরির অঙ্গন, প্রার্থীর দক্ষতা ও সৌন্দর্য্য বোধের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। কিন্তু সবকিছুর উর্ধ্বে প্রতিটি সিভি বানান ও ব্যাকরণগত দিক থেকে নির্ভুল হওয়া আবশ্যক। এই ধরনের ত্রুটিগুলো প্রার্থীর সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে। কেননা বাক্য গঠনের ন্যূনতম নিয়ম-কানুন অনুসরণের মাঝে আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রতিফলন ঘটে। অনিচ্ছাবশতও যদি তা হয়ে যায়, তখন ধরেই নেওয়া হয় যে খুঁটিনাটি বিষয়গুলোতে তার বিশদ মনোযোগ নেই।
দীর্ঘ প্যারাগ্রাফ দিয়ে শুরু করা
চোখের সামনে একটি সিভি ধরা হলে স্বাভাবিকভাবেই প্রথমে দৃষ্টি পড়ে শিরোনামের দিকে। সিভির একদম উপরের অংশে নামের নিচের এই জায়গাটুকু এক নজরে প্রার্থীর সম্পর্কে ধারণা লাভের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে। এখানে পরিচিতি পর্বটা দীর্ঘ হলে এই সিভির বাকি অংশ পড়ার আর আগ্রহ থাকে না। তাই এই সূচনা শব্দগুলো হওয়া উচিৎ সুচিন্তিত, সংক্ষিপ্ত এবং আগ্রহ উদ্দীপক।
আরও পড়ুন: ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
এক সময় সিভির শুরুতে ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ বেশ জনপ্রিয় ছিলো। কিন্তু প্রশ্ন যখন কম সময়ে হাজার সিভি দেখার, সেখানে ৩ থেকে ৪ লাইনের প্যারাগ্রাফ পড়া নিতান্তই সময়সাপেক্ষ।
অপ্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা
বর্তমানে প্রতিযোগিতাপূর্ণ যুগে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি। কিন্তু একই সঙ্গে এও সত্য যে সময়ের প্রয়োজনে বড় বড় কাজগুলো ভেঙে এখন ছোট ছোট পদের সৃষ্টি হচ্ছে। বিকেন্দ্রীকরণের এই ব্যবস্থায় অগ্রাধিকার পায় কিছু সুনির্দিষ্ট পারদর্শিতা। তাই শুধুমাত্র সেই পারদর্শিতাগুলোকেই অন্তর্ভূক্ত করা উচিৎ, যেগুলো উদ্দিষ্ট চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া হয়েছে।
তাছাড়া স্কুল-কলেজ জীবনের এমন অনেক অর্জন রয়েছে, যেগুলো কোনো ভাবেই উল্লেখিত পদের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। যারা জীবনের প্রথম চাকরির জন্য চেষ্টা করছেন তাদেরও এই বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। অসামঞ্জস্য তথ্য দিয়ে দুই পৃষ্ঠার সিভি অপেক্ষা প্রত্যক্ষ ভাবে সম্পর্কিত তথ্যে ভরপুর এক পৃষ্ঠার রেজুমিই উত্তম।
আরও পড়ুন: উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করবেন যেভাবে
অস্পষ্ট সফট স্কিল ও অভিজ্ঞতা
সমস্যা-সমাধানকারী, স্বপ্রণোদিত, শৃঙ্খলাবদ্ধ, পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারা; এরকম সফট স্কিলগুলো অনেকেই তাদের সিভিতে রাখতে পছন্দ করেন। কিন্তু এগুলো জায়গার অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। এগুলোর পরিবর্তে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে হার্ড স্কিলগুলো দেয়া ভালো; যেমন গাড়ি চালানো, বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সম্পাদন সফটওয়্যার বা কোনো নির্দিষ্ট মেশিন অপারেশনে পারদর্শিতা। তবে উত্তম পন্থা হলো সফট স্কিলগুলো কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করা।
এটি অভিজ্ঞতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। শুধুমাত্র কোম্পানি ও পদবির নাম সংযোজনটাই যথেষ্ট নয়। এক লাইনের মধ্যে উপযুক্ত শব্দ চয়নের মাধ্যমে প্রতিটি বিবরণ শেষ করা উচিৎ।
এক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত শব্দগুলোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। যেমন ‘রেস্পন্সিবল’, ‘লিডার’, ‘সাক্সেস’ প্রভৃতি শব্দগুলো খুব বেশি দেখা যায়। অন্যান্য সিভির মত একই শব্দ ব্যবহার করা মানে সিভির বিশেষত্ব নষ্ট করা। এগুলো অল্প কথায় সিভির জায়গা বাঁচায় ঠিক, কিন্তু প্রার্থী সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে পারে না।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করবেন যেভাবে
কিন্তু এর বদলে পরিমাপযোগ্য ফলাফল দেয়া হলে একসঙ্গে দুটো উদ্দেশ্য হাসিল হয়। এক. বহুল ব্যবহৃত শব্দ এড়ানো যায় এবং দুই. নিজের পারদর্শিতার ব্যাপারে সঠিক ধারণা দেওয়া যায়।
৪০% চাকরিকে প্রভাবিত করবে এআই: আইএমএফ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নতুন বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরিকে প্রভাবিত করবে।
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ‘বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্ভবত সামগ্রিক বৈষম্যকে আরও খারাপ করবে।’
তিনি আরও বলেন, নীতিনির্ধারকদের ‘উদ্বেগজনক প্রবণতা’ মোকাবিলা করা উচিৎ, যাতে এই প্রযুক্তি ‘সামাজিক উত্তেজনা’ আরও বাড়িয়ে তুলতে না পারে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এআইয়ের বিস্তার বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিটির সুবিধা ও ঝুঁকি বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যান বরখাস্ত
আইএমএফ বলেছে, এআই সম্ভবত চাকরির বাজারের বড় অংশকে প্রভাবিত করবে। এর ছোঁয়া ভবিষ্যতের অর্থনীতির ৬০ শতাংশে লাগতে পারে।এই পরিস্থিতিতে অর্ধেক ক্ষেত্রে এআইয়ের সমন্বিত প্রয়োগে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে তুলবে এমনটা প্রত্যাশা করতে পারেন কর্মীরা।
অন্য ক্ষেত্রে, আগে মানুষের করা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার সক্ষমতা থাকবে এআইয়ের। ফলস্বরূপ, কর্মীদের প্রয়োজনীয়তা কমবে এবং বেতন কাঠামোতে প্রভাব পড়বে। ক্ষেত্র বিশেষে আগের চাকরি নিঃশেষও হতে পারে।
তবে, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে প্রযুক্তিটি চাকরির বাজারকে ২৬ শতাংশ প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ।
জর্জিয়েভা বলেন, ‘এগুলোর অনেক দেশে এআইয়ের সুযোগসুবিধা কাজে লাগানোর জন্য যথেষ্ট অবকাঠামো ও দক্ষ জনবল নেই। এতে সময়ের আবর্তনে প্রযুক্তিটি বিশ্বে দেশগুলোর বৈষম্যমূলক অবস্থা আরও খারাপ করতে পারে।’
সামগ্রিক বিবেচনায় এআই গ্রহণ ও প্রয়োগের পর উচ্চ আয়ের ও কমবয়সী কর্মীরা অন্যান্যদের সঙ্গে মজুরিতে অসামঞ্জস্য অবস্থার বৃদ্ধি দেখতে পারে। এই অবস্থায় আইএমএফ মনে করছে, নিম্ন আয়ের ও বয়স্ক কর্মীরা পিছিয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম এআই সংবাদ উপস্থাপক 'অপরাজিতা'
বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে ডিপিআই ও এআই আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
নড়াইল ও যশোর ডিসি অফিসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে পাঁচ ব্যক্তির কাছ থেকে ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস এম রায়হান আলী ওরফে শওকত হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
রায়হানকে শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রায়হান যশোর শহরের খড়কি এলাকার সৈয়দ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: মা ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা: প্রধান আসামি জহিরুল গ্রেপ্তার
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোসা. সাদিরা খাতুন শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাদিরা খাতুন জানান, রায়হান ওরফে শওকত হোসেন ডিসি অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ‘অফিস সহায়ক’ পদে চাকরির কথা বলে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পাঁচ ব্যক্তির কাছ থেকে ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশে চাকরি করতে যাওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশে চাকরি করতে যাওয়া এবং তাদের সহায়তাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) নিজ কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, এখানে অনেকে ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে বিভিন্ন চাকরির জন্য বিদেশে যাচ্ছেন। এমনকি চিকিৎসক ও প্রকৌশলীর জাল সনদও এসব কাজে ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সবার সঙ্গে সমানভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘তারা কীভাবে এই জাল সার্টিফিকেট পায়, কীভাবে তারা জাল সার্টিফিকেট নিয়ে যায় এবং কারা তাদের সহায়তা করে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তা চিহ্নিত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সহায়তা করবে।
বৈঠকে ‘ফরেন এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশন (সংশোধন) আইন ২০২৩’-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়। এছাড়া বৈঠকে প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন নীতির অনুমোদনসহ আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আইন (সংশোধন) ২০২৩-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়।
আরও পড়ুন: শনিবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বের কিছু বড় শক্তি বাংলাদেশে তাদের অনুগত সরকার চায়: প্রধানমন্ত্রী