চাকরি
প্রাইভেট বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার চাকরির বাজারের জন্য উদ্বেগপূর্ণ: বিশ্বব্যাংক অর্থনীতিবিদ
প্রাইভেট বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকা এবং জিডিপিতে এর ন্যূনতম অবদান রাখায় দক্ষিণ এশিয়ার চাকরির বাজারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ রয়েছে বলে এক সেমিনারে এমনি মতামত তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল ) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন মিলনায়তনে 'দক্ষিণ এশিয়া কি কর্মহীন উন্নয়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করছে?' ‘বিশ্ব ব্যাংকের 'দক্ষিণ এশিয়া উন্নয়ন হালনাগাদ' ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের প্রতিবেদন’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও বিশ্বব্যাংক।
সেমিনারে অন্যান্য উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার আশাবাদী প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে, তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতাগুলোর কথা উল্লেখ করে চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় নীতি সংস্কারের অভাববেই দায়ী করেছেন।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. ফ্রান্সিসকা ওনসর্গ তার 'রিপোর্ট ফোকাসিং অন জব রেজিলিয়েন্স ইন সাউথ এশিয়া এপ্রিল-২০২৪' শীর্ষক উপস্থাপনায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির বাধা দূর করতে নীতি সংস্কারের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ড. ওনসর্গের মতে, অন্যান্য উন্নয়নশীল অঞ্চলের তুলনায় বেসরকারি বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকা এবং জিডিপিতে এর ন্যূনতম অবদান দক্ষিণ এশিয়ার চাকরির বাজারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়।
বাণিজ্য উন্মুক্ততা এবং প্রাতিষ্ঠানিক গুণমানকে এই অঞ্চলে কাজের সুযোগকে জোরদার করার মূল কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ড. ওনসোর্গ দক্ষিণ এশিয়ায় নিম্ন বাণিজ্য-জিডিপি অনুপাত তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত এবং ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি (আইটি) শিল্পের মতো প্রবৃদ্ধির নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উচ্চ বাধা আরোপের জন্য বাংলাদেশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটি প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আরও পড়ুন: এপ্রিল থেকে সুদের হার ১৩.৫৫ শতাংশ, ভোক্তা ঋণে যোগ হবে আরও ১ শতাংশ
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপাচার্য ড. রুবানা হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা এবং বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন।
প্যানেলিস্টরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কাজের গুণগত মান এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে কর্মশক্তিতে একীভূত করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
বার্নার্ড হ্যাভেন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগের উপর জোর দিয়েছিলেন, আরও বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) এবং অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশের পক্ষে ছিলেন। তিনি কর্মী ও দৃঢ় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং মানব মূলধনে বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেন।
হ্যাভেন আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উৎপাদনশীল জনশক্তি নিশ্চিত করতে উন্নত দৃঢ় ব্যবস্থাপনা, নারীর শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের জন্য সমর্থন, অভিবাসন ব্যয় হ্রাস এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
বেকারত্বহীন প্রবৃদ্ধির ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং তাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ব্যাপক নীতি সংস্কার গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সেমিনারটি শেষ হয়।
আরও পড়ুন: তৃতীয় কিস্তির ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ পেতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জোর আইএমএফর
একীভূত করলেও পদ্মা ব্যাংকের কোনো কর্মচারী চাকরি হারাবেন না: এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান
পদ্মা ব্যাংক শরিয়াহভিত্তিক এক্সিম ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে একীভূত হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে এই একীভূতকরণ সম্পন্ন হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারসহ দুই ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুর্বল ও সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক উদ্যোগের পর এটিই প্রথম দেশে দুই ব্যাংকের একীভূতকরণ বাস্তবায়ন করা হলো।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, আগামীকাল থেকে পদ্মা ব্যাংকের আর অস্তিত্ব থাকবে না। একীভূতকরণের ফলে নতুন করে এক্সিম ব্যাংক নামে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: সোমবার একীভূতকরণে সমঝোতা স্মারক চুক্তি করবে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক
তিনি আরও বলেন, একীভূতকরণের কারণে কোনো কর্মী চাকরি হারাবেন না। তবে পদ্মা ব্যাংকের পরিচালকরা এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে থাকতে পারবেন না। দুই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ ছিল না, বরং সরকারের পক্ষ থেকে এটি একটি পরামর্শ ছিল। দেশের স্বার্থে, অর্থনীতির স্বার্থে আমরা এটা করেছি।’
একীভূতকরণের ফলে আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডারদেরও কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, 'ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের দুটি পদ্ধতি রয়েছে- অধিগ্রহণ ও একীভূতকরণ। আমরা অধিগ্রহণ করিনি, আমরা একীভূতকরণ করেছি।’
সূত্র জানায়, পদ্মা ব্যাংকের প্রায় ১২০০ কর্মী এখন থেকে এক্সিম ব্যাংকে অধীনে কাজ করবে।
পদ্মা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রায় চার হাজার কোটি টাকা এবং পদ্মার কাছে সরকারি ব্যাংকগুলোর দায় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, 'পদ্মা একীভূত হয়ে যাওয়ায় পদ্মা ব্যাংকের সব দায় এখন এক্সিম ব্যাংকের।’
শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এক্সিম ব্যাংক শরিয়াহভিত্তিক। পদ্মা ব্যাংক সাধারণ হলেও যেহেতু আমরা (এক্সিম) একীভূত করেছি, তারাও শরিয়াহভিত্তিক হবে। এক্সিম ব্যাংকের প্রতিটি সূচক ভালো অবস্থানে আছে, আশা করি আরও ভালো করবে।’
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে পদ্মা ব্যাংক
চাকরির জন্য সিভি তৈরিতে যে বিষয়গুলো পরিহার করবেন
কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সিভি তৈরি, যেখানে প্রতিটি শব্দ অত্যন্ত মূল্যবান। নিয়োগকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য যেখানে সুযোগ থাকে এক অথবা সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠার মধ্যে নিজেকে উপস্থাপনের। অসম্পূর্ণ সিভি যেমন কাম্য নয়, ঠিক তেমনি অপ্রাসঙ্গিক, অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় তথ্যের সয়লাবও সিভিকে গুরুত্বহীন করে তোলে। তাছাড়া শব্দের আধিক্যের সঙ্গে থাকে ভুল-ভ্রান্তির আশঙ্কা। এমনকি কোনোভাবে ইন্টারভিউ পর্যন্ত পৌঁছতে পারলেও ঘটতে পারে বিপত্তি। চলুন, জেনে নেওয়া যাক চাকরির সিভিতে ঠিক কোন বিষয়গুলো পরিহার করা জরুরি।
সিভি লেখার সময় যে বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকা উচিৎ
বানান ও ব্যাকরণগত ভুল
একটি সিভির উপাদানগুলো চাকরির অঙ্গন, প্রার্থীর দক্ষতা ও সৌন্দর্য্য বোধের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। কিন্তু সবকিছুর উর্ধ্বে প্রতিটি সিভি বানান ও ব্যাকরণগত দিক থেকে নির্ভুল হওয়া আবশ্যক। এই ধরনের ত্রুটিগুলো প্রার্থীর সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে। কেননা বাক্য গঠনের ন্যূনতম নিয়ম-কানুন অনুসরণের মাঝে আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রতিফলন ঘটে। অনিচ্ছাবশতও যদি তা হয়ে যায়, তখন ধরেই নেওয়া হয় যে খুঁটিনাটি বিষয়গুলোতে তার বিশদ মনোযোগ নেই।
দীর্ঘ প্যারাগ্রাফ দিয়ে শুরু করা
চোখের সামনে একটি সিভি ধরা হলে স্বাভাবিকভাবেই প্রথমে দৃষ্টি পড়ে শিরোনামের দিকে। সিভির একদম উপরের অংশে নামের নিচের এই জায়গাটুকু এক নজরে প্রার্থীর সম্পর্কে ধারণা লাভের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে। এখানে পরিচিতি পর্বটা দীর্ঘ হলে এই সিভির বাকি অংশ পড়ার আর আগ্রহ থাকে না। তাই এই সূচনা শব্দগুলো হওয়া উচিৎ সুচিন্তিত, সংক্ষিপ্ত এবং আগ্রহ উদ্দীপক।
আরও পড়ুন: ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
এক সময় সিভির শুরুতে ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ বেশ জনপ্রিয় ছিলো। কিন্তু প্রশ্ন যখন কম সময়ে হাজার সিভি দেখার, সেখানে ৩ থেকে ৪ লাইনের প্যারাগ্রাফ পড়া নিতান্তই সময়সাপেক্ষ।
অপ্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা
বর্তমানে প্রতিযোগিতাপূর্ণ যুগে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি। কিন্তু একই সঙ্গে এও সত্য যে সময়ের প্রয়োজনে বড় বড় কাজগুলো ভেঙে এখন ছোট ছোট পদের সৃষ্টি হচ্ছে। বিকেন্দ্রীকরণের এই ব্যবস্থায় অগ্রাধিকার পায় কিছু সুনির্দিষ্ট পারদর্শিতা। তাই শুধুমাত্র সেই পারদর্শিতাগুলোকেই অন্তর্ভূক্ত করা উচিৎ, যেগুলো উদ্দিষ্ট চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া হয়েছে।
তাছাড়া স্কুল-কলেজ জীবনের এমন অনেক অর্জন রয়েছে, যেগুলো কোনো ভাবেই উল্লেখিত পদের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। যারা জীবনের প্রথম চাকরির জন্য চেষ্টা করছেন তাদেরও এই বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। অসামঞ্জস্য তথ্য দিয়ে দুই পৃষ্ঠার সিভি অপেক্ষা প্রত্যক্ষ ভাবে সম্পর্কিত তথ্যে ভরপুর এক পৃষ্ঠার রেজুমিই উত্তম।
আরও পড়ুন: উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করবেন যেভাবে
অস্পষ্ট সফট স্কিল ও অভিজ্ঞতা
সমস্যা-সমাধানকারী, স্বপ্রণোদিত, শৃঙ্খলাবদ্ধ, পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারা; এরকম সফট স্কিলগুলো অনেকেই তাদের সিভিতে রাখতে পছন্দ করেন। কিন্তু এগুলো জায়গার অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। এগুলোর পরিবর্তে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে হার্ড স্কিলগুলো দেয়া ভালো; যেমন গাড়ি চালানো, বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সম্পাদন সফটওয়্যার বা কোনো নির্দিষ্ট মেশিন অপারেশনে পারদর্শিতা। তবে উত্তম পন্থা হলো সফট স্কিলগুলো কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করা।
এটি অভিজ্ঞতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। শুধুমাত্র কোম্পানি ও পদবির নাম সংযোজনটাই যথেষ্ট নয়। এক লাইনের মধ্যে উপযুক্ত শব্দ চয়নের মাধ্যমে প্রতিটি বিবরণ শেষ করা উচিৎ।
এক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত শব্দগুলোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। যেমন ‘রেস্পন্সিবল’, ‘লিডার’, ‘সাক্সেস’ প্রভৃতি শব্দগুলো খুব বেশি দেখা যায়। অন্যান্য সিভির মত একই শব্দ ব্যবহার করা মানে সিভির বিশেষত্ব নষ্ট করা। এগুলো অল্প কথায় সিভির জায়গা বাঁচায় ঠিক, কিন্তু প্রার্থী সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে পারে না।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করবেন যেভাবে
কিন্তু এর বদলে পরিমাপযোগ্য ফলাফল দেয়া হলে একসঙ্গে দুটো উদ্দেশ্য হাসিল হয়। এক. বহুল ব্যবহৃত শব্দ এড়ানো যায় এবং দুই. নিজের পারদর্শিতার ব্যাপারে সঠিক ধারণা দেওয়া যায়।
৪০% চাকরিকে প্রভাবিত করবে এআই: আইএমএফ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নতুন বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরিকে প্রভাবিত করবে।
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ‘বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্ভবত সামগ্রিক বৈষম্যকে আরও খারাপ করবে।’
তিনি আরও বলেন, নীতিনির্ধারকদের ‘উদ্বেগজনক প্রবণতা’ মোকাবিলা করা উচিৎ, যাতে এই প্রযুক্তি ‘সামাজিক উত্তেজনা’ আরও বাড়িয়ে তুলতে না পারে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এআইয়ের বিস্তার বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিটির সুবিধা ও ঝুঁকি বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যান বরখাস্ত
আইএমএফ বলেছে, এআই সম্ভবত চাকরির বাজারের বড় অংশকে প্রভাবিত করবে। এর ছোঁয়া ভবিষ্যতের অর্থনীতির ৬০ শতাংশে লাগতে পারে।এই পরিস্থিতিতে অর্ধেক ক্ষেত্রে এআইয়ের সমন্বিত প্রয়োগে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে তুলবে এমনটা প্রত্যাশা করতে পারেন কর্মীরা।
অন্য ক্ষেত্রে, আগে মানুষের করা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার সক্ষমতা থাকবে এআইয়ের। ফলস্বরূপ, কর্মীদের প্রয়োজনীয়তা কমবে এবং বেতন কাঠামোতে প্রভাব পড়বে। ক্ষেত্র বিশেষে আগের চাকরি নিঃশেষও হতে পারে।
তবে, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে প্রযুক্তিটি চাকরির বাজারকে ২৬ শতাংশ প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ।
জর্জিয়েভা বলেন, ‘এগুলোর অনেক দেশে এআইয়ের সুযোগসুবিধা কাজে লাগানোর জন্য যথেষ্ট অবকাঠামো ও দক্ষ জনবল নেই। এতে সময়ের আবর্তনে প্রযুক্তিটি বিশ্বে দেশগুলোর বৈষম্যমূলক অবস্থা আরও খারাপ করতে পারে।’
সামগ্রিক বিবেচনায় এআই গ্রহণ ও প্রয়োগের পর উচ্চ আয়ের ও কমবয়সী কর্মীরা অন্যান্যদের সঙ্গে মজুরিতে অসামঞ্জস্য অবস্থার বৃদ্ধি দেখতে পারে। এই অবস্থায় আইএমএফ মনে করছে, নিম্ন আয়ের ও বয়স্ক কর্মীরা পিছিয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম এআই সংবাদ উপস্থাপক 'অপরাজিতা'
বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে ডিপিআই ও এআই আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
নড়াইল ও যশোর ডিসি অফিসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে পাঁচ ব্যক্তির কাছ থেকে ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস এম রায়হান আলী ওরফে শওকত হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
রায়হানকে শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রায়হান যশোর শহরের খড়কি এলাকার সৈয়দ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: মা ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা: প্রধান আসামি জহিরুল গ্রেপ্তার
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোসা. সাদিরা খাতুন শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাদিরা খাতুন জানান, রায়হান ওরফে শওকত হোসেন ডিসি অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ‘অফিস সহায়ক’ পদে চাকরির কথা বলে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পাঁচ ব্যক্তির কাছ থেকে ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশে চাকরি করতে যাওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশে চাকরি করতে যাওয়া এবং তাদের সহায়তাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) নিজ কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, এখানে অনেকে ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে বিভিন্ন চাকরির জন্য বিদেশে যাচ্ছেন। এমনকি চিকিৎসক ও প্রকৌশলীর জাল সনদও এসব কাজে ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সবার সঙ্গে সমানভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘তারা কীভাবে এই জাল সার্টিফিকেট পায়, কীভাবে তারা জাল সার্টিফিকেট নিয়ে যায় এবং কারা তাদের সহায়তা করে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তা চিহ্নিত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সহায়তা করবে।
বৈঠকে ‘ফরেন এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশন (সংশোধন) আইন ২০২৩’-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়। এছাড়া বৈঠকে প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন নীতির অনুমোদনসহ আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আইন (সংশোধন) ২০২৩-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়।
আরও পড়ুন: শনিবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বের কিছু বড় শক্তি বাংলাদেশে তাদের অনুগত সরকার চায়: প্রধানমন্ত্রী
লাইভে সার্টিফিকেট পোড়ানো মুক্তা সুলতানাকে চাকরি দিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার বনগ্রামের মুক্তা সুলতানা রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ২০১৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি গত ২৩ মে ফেসবুক লাইভে এসে ২৭ বছরে অর্জিত সব অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন।
বিষয়টি বায়ান্ন টেলিভিশনের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দৃষ্টিগোচর হয়।
আরও পড়ুন: ফ্রিল্যান্সারদের সরকারিভাবে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে: পলক
প্রতিমন্ত্রী মুক্তা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তার দপ্তরে আসার জন্য অনুরোধ জানান।
তার সঙ্গে আলোচনার পর প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’- প্রজেক্টে ‘কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট এন্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন অফিসার’- পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। তার বেতন ৩৫ হাজার টাকা।
চাকরি পেয়ে মুক্তা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সহানুভূতির কারণে আমি চাকরি পেয়েছি। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।’
একজন প্রতিমন্ত্রী ফেসবুক ভিডিও দেখে নাগরিকের ক্ষোভ-দুঃখ হতাশা দূর করতে তাকে খুঁজে এনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাকরির ব্যবস্থা করবেন, তা এখনো তার কাছে বিস্ময়ের বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পলক বলেন, দেশের মেধাবী তরুণ-তরুণীরা যেন হতাশাগ্রস্ত না হয় এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, যথাযথ শিক্ষাগ্রহণ করলে বাংলাদেশে কোনো শিক্ষিত তরুণ-তরুণী বেকার থাকবে না। তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দিয়ে নিজেকে তৈরি করতে পারলে চাকরির পেছনে ঘুরতে হবে না। বরং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে।
আইসিটি বিভাগ তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে বলেও তিনি জানান।
এসময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার এবং ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’- প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ছয় মাসের মধ্যে দেশের ১ লাখ ৯ হাজার প্রতিষ্ঠান অপটিক্যাল ফাইবারে যুক্ত হবে: পলক
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবর্ধনা সভার আয়োজন
বিদেশে চাকরি প্রত্যাশীদের প্রতারক ও মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে রক্ষা করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে চাকরি প্রত্যাশীরা যেন জালিয়াতি ও মধ্যস্বত্বভোগীর শিকার না হন তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তাই আমাদের সবসময় বিবেচনা করতে হবে যে এই প্রার্থীরা যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশে যেতে পারে এবং উপযুক্ত চাকরি পেতে পারে। এই লোকেরা যেন প্রতারক ও মধ্যস্বত্বভোগীদের শিকার না হয় তা নিশ্চিত করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: রমজানে আন্দোলনের ডাক দেয়ায় বিএনপিকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বিভিন্ন ট্রেডে যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলার পাশাপাশি জনশক্তি প্রেরণের জন্য নতুন গন্তব্য খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে আমাদের জনশক্তি আছে। কিন্তু আমাদের আরও গন্তব্য খুঁজতে হবে। সরকার নতুন কিছু দেশে জনবল পাঠানো শুরু করেছে। কিন্তু আমাদের দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে হবে। আমরা প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।’
কোন দেশে কী ধরনের দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন তা খুঁজে বের করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দেব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, বিদেশে চাকরির জন্য অসাধু মধ্যস্বত্বভোগী ও প্রতারকদের টাকা দেওয়ার জন্য মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ও জমি বিক্রি করে।
তিনি মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে চাকরির জন্য বিদেশে যাওয়ার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতির ওপর সৃষ্ট চাপের সময় প্রবাসীদের আয় দেশের রিজার্ভ এবং সামগ্রিক উন্নয়নে প্রচুর অবদান রেখেছে।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনামের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে প্রবাসীদের ঋণ প্রদানের জন্য।
শেখ হাসিনা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য দেশের ফ্রিল্যান্সারদের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ফ্রিল্যান্সাররাও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। নিবন্ধন প্রক্রিয়ার আওতায় এনে আমরা তাদের সার্টিফিকেট দিয়েছি।’
তিনি প্রবাসীদের বৈধ উপায়ে তাদের টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে আমরা দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি।’
বর্তমানে দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে এবং মানুষ বেশি উপার্জন করছে। তিনি উল্লেখ করেন যে দিনমজুররা আগে দৈনিক ২০০-৩০০ টাকা উপার্জন করত, এখন কাজের ধরন অনুযায়ী প্রতিদিন ৬০০-১০০০ টাকা উপার্জন করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামাঞ্চলে উপার্জন এই পরিমাণের চেয়ে বেশি। ধান কাটার মৌসুমে তিনবেলা খাবারসহ ৭০০-৮০০ টাকা উপার্জন করা যায়।
তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির অনেক উন্নতি হয়েছে। কেউ যদি গ্রামাঞ্চলে যান তাহলে দেখবেন সেখানে জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে। মাঝে মাঝে শ্রমের অভাবও দেখা যায়, কারণ মানুষ স্বচ্ছল হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: বহুমুখী সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
কুমিল্লা পুলিশ সুপার পরিচয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ
কুমিল্লা পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে নতুন কনস্টেবল নিয়োগে প্রতারণার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
বুধবার ঢাকা ও মাদারীপুর জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ওই তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির মামলায় কুষ্টিয়ায় কোর্ট পরিদর্শকের কারাদণ্ড
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় পুলিশে চাকরি নিয়ে দেয়ার কথা বলে মরিয়ম বেগম নামে এক নারীর কাছ থেকে ঘুষ হিসাবে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।
প্রতারক মেরাজুল ইসলাম ফোনে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, মো. আলীমুজ্জামান কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপারের পরিচয় দেয়। মো. রিপন ফকির তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। তাদের সবার বাড়ি মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এই ঘটনায় কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, মরিয়ম বেগম তার নাতিন ফাহিমের জন্য পুলিশে চাকরির চেষ্টা করে প্রতারণার শিকার হচ্ছিলেন। ঘটনাটি পুলিশ টের পেয়ে যাওয়ায়-দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতারকদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি, কুমিল্লায় জন প্রতি মাত্র ১০৬ টাকা খরচ করে ২০৬ জন পুলিশে চাকরি পেয়েছে। এই নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
মামলার বাদী মরিময় বেগম বলেন, আমরা বুঝতে পারিনি প্রতারণার শিকার হবো। কিন্তু এই যাত্রায় বেঁচে গেছি। চাকরির জন্য ছয় লাখ টাকা যোগাড় করতে আমাদের জীবন যায় যায় অবস্থা হয়েছিলো। পুরো টাকা হারালে আমাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যেত।
পুলিশ জানায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ১৯ তারিখ পর্যন্ত বিকাশ ও নগদে প্রতারকরা টাকা নিয়ে যায়। এসব টাকা ঢাকা, মাদারীপুর ও সুনামগঞ্জ থেকে তোলা হয়।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ হ্যালো পার্টির মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসারদের নাম পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলো।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার
সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় দম্পতি কারাগারে
চাকরির কথা বলে খুলনায় নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
ইটভাটায় রান্নার চাকরি দেয়ার কথা বলে খুলনা শহরে এনে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী থেকে খুলনার শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় নিয়ে আসে তারই গ্রামের ডালিম নামের প্রতিবেশী।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪
সোমবার ভোরে জিরো পয়েন্টের ফাতেমাবাগ এলাকার একটি বাড়িতে চারজন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করে।
বিকালে ওই বাড়ি থেকে তিনি পালিয়ে আসলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এবং ওসিসির ফোকাল পার্সন ডা. অঞ্জন চক্রবর্তী জানান, ভুক্তভোগীকে কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে।
এছাড়া মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা আকবর হোসেন জানান, ইটভাটায় রান্নার চাকরির কথা বলে রবিবার দুপুরে ওই নারীকে খুলনায় নিয়ে আসে ডালিমের লোক।
রাতে খুলনায় পৌঁছে ফাতেমাবাগ এলাকার এক বাড়িতে তাকে রাখা হয়। ভোররাতে ডালিমসহ চারজন তাকে ধর্ষণ করে।
সকালে তিনি ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে রাস্তায় চলে আসেন। তখন তিনিসহ আরও কয়েকজন মিলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ডা. অঞ্জন চক্রবর্তী জানান, হাসপাতালেও ওই নারী একই তথ্য দিয়েছেন। নগরীর জিরো পয়েন্ট ও ফাতেমাবাগ এলাকা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের লবণচরা থানার আওতাধীন।
বিকাল সাড়ে ৪টায় লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, এখনও ধর্ষণের কোনো সংবাদ পাইনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ৩
সীতাকুণ্ডে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার