প্রাণহানি
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এ বছর ২০৯৭ জনের প্রাণহানি
বাংলাদেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ১৯.২৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত দুই হাজার তিনটি দুর্ঘটনায় দুই হাজার ৯৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১
রবিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার একটি নতুন প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
গত বছর প্রথম ১০ মাসে এক হাজার ৬৫৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক হাজার ৭৫৮ জন নিহত হয়েছে।
এটি বলেছে যে এই বছরের তুলনায় এই সময়ের মধ্যে দুর্ঘটনার সংখ্যা ২১ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৭৬৪ জন ছাত্র, যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং চার দশমিক ৩৮ শতাংশ মোটরসাইকেলের দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত পথচারী।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ কিশোরের মৃত্যু
৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সড়ক নিরাপত্তা ফাউন্ডেশন এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
মোট দুর্ঘটনার মধ্যে ৩৭৪টি অন্য যানবাহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ৬২৯টি ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। ৯৫৮টি দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল অন্য যানবাহনের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে এবং ৪২টি অন্যান্যভাবে ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুই হাজার তিনটি দুর্ঘটনার মধ্যে ৮৩৭টির ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল চালকরা ঘটনার জন্য দায়ী ছিল।
গ্রুপের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, আঞ্চলিক সড়কে ৮৭৯টি, জাতীয় সড়কে ৬৯৫টি এবং গ্রামের সড়কে ১০২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরএসএফ বিশ্লেষণ অনুসারে, দুর্ঘটনার ২৬ দশমিক ৮০ সকালে এবং ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ রাতে ঘটেছে।
আরও পড়ুন: সাভারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬ বছরের কিশোর নিহত
কারণ
আরএসএফ যুবক, কিশোরদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো, দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের সহজলভ্যতা, শিথিল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, নজরদারিতে অসঙ্গতি, সব যানের বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক, মোটরসাইকেল চালকদের ট্রাফিক নিয়ম না মানার প্রবণতা, যুবকদের অতিরিক্তগতিতে গাড়ি চালানোর উৎসাহমূলক ভাষা বিজ্ঞাপনে ব্যবহারা করা। সড়ক ও মহাসড়কে ডিভাইডারের অভাব এবং বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর সংস্কৃতি তৈরিতে রাজনৈতিক মদদই দুর্ঘটনা বৃদ্ধির প্রধান কারণ।
আরও পড়ুন: ঝিকরগাছায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
সুপারিশ
গ্রুপটি তাদের প্রতিবেদনে যুবকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো বন্ধ করতে এবং দ্রুতগতির যানবাহনের বিক্রি নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে।
এতে ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ, মোটরসাইকেল ও কম গতির যানবাহনের জন্য মহাসড়কে সার্ভিস রোড নির্মাণ, পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার স্থাপন, গতি নিরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আরএসএফ সুপারিশ করে যে রাস্তাগুলোতে এই ধরনের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু বন্ধ করতে গণপরিবহনের উন্নতি এবং আরও সহজলভ্য করে মোটরসাইকেল চালানোকে নিরুৎসাহিত করা উচিত।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চবির শিক্ষক নিহত
সিউলে হ্যালোইন উৎসবে প্রাণহানিতে বিশ্ব নেতাদের শোক
দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে অন্তত ১৫১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্ব নেতারা শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শনিবার রাতে সিউলের ইটাউয়ন জেলায় হ্যালোউইন উৎসবের সময় একটি সরু গলিতে বিশাল জনসমাগমে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় এ বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৮২ জন আহত হয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন নিহতদের পরিবারের প্রতি তাদের ‘গভীর সমবেদনা’ জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘আমরা কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের জনগণের প্রতি শোক প্রকাশ করছি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি’।
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এই দুঃসময়ে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
একইভাবে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক টুইটারে সিউলের ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
সুনাক লিখেছেন,‘ এ ঘটনায় হতাহতদের প্রতি এবং সমস্ত দক্ষিণ কোরিয়ানদের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল।’
এছাড়া জাপান, ফ্রান্স, চীন ও সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশের নেতা সিউলের ট্র্যাজেডিতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এক টুইট বার্তায় বলেছেন,‘সিউলের ইটাওয়ানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত এবং গভীরভাবে শোকাহত।’
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো ফরাসি এবং কোরিয়ান উভয় ভাষায় টুইট করে সিউলের বাসিন্দাদের এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিউলে হ্যালোইন উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহত অন্তত ১৫১
তিনি বলেছেন,‘ফ্রান্স আপনাদের সঙ্গে আছে’।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টুইটারে একই রকম অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন।
তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের প্রতি তার ‘গভীর সমবেদনা’ প্রকাশ এবং আহতদের দ্রুত এবং পূর্ণ সুস্থতা কামনা করেছেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।
এতে তিনি সিউলে পদদলিত হওয়ার দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। এবং দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
হংকংয়ের নেতা জন লি ফেসবুকে এক বিবৃতিতে সিউলের দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
লি বলেছেন,‘আমি নিহতদের জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। তাদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন যে ‘সিউলের মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের সকলকে মর্মাহত করেছে।’
স্কোলজ এক টুইটে বলেছেন,‘অসংখ্য ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য একটি দুঃখের দিন। জার্মানি তাদের পাশে রয়েছে।’
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন যে সিউলের মর্মান্তিক সংবাদে তার ‘হৃদয় ভেঙে গিয়েছে’।
বেয়ারবক বলেছেন,‘তারা একটি আনন্দময় হ্যালোইন উৎসবের রাত কাটাতে চেয়েছিল, কিন্তু পরিবর্তে ভয়াবহতা ও মৃত্যুর শিকার হতে হলো।’
সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমাহ ইয়াকব প্রাণহানির ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন যে ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবার, প্রিয়জন ও বন্ধুদের ট্রমা এবং শোকের অভিজ্ঞতা ‘কল্পনা করা কঠিন’।
তিনি বলেন,‘এই কঠিন সময়ে আমার সমবেদনা ও প্রার্থনা দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের সঙ্গে রয়েছে। যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত এবং পূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি’।
আরও পড়ুন: বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঢাকা-সিউলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির সুযোগ বাড়িয়েছে: রাষ্ট্রদূত
উন্নত ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-সিউল
সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় সড়কে ৪ জনের প্রাণহানি
কিছুতেই থামছে না সিলেটের সড়ক-মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে বিভাগের তিনটি সড়কে প্রাণ গেলো চার জনের।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার রতনপুর নামক স্থানে দ্রুতগামী একটি ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
মাধবপুর থানার উপপরিদর্শক(এসআই) রঞ্জন ভৌমিক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই দিন বিকালে অজ্ঞাত নামা বৃদ্ধা মহাসড়ক পারাপারের সময় দ্রুতগামী ট্রাক চাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ৪০৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের জকিগঞ্জে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী দুই তরুণের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে।
জকিগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কের জকিগঞ্জ মানিকপুর ইউপির কলাকুটা বাংলাবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন- জকিগঞ্জ উপজেলা সদর ইউপির সেনাপতিরচক গ্রামের ফয়জুল ইসলামের ছেলে ইমন আহমদ (২৪) এবং মানিকপুর ইউপির দেওয়ানচক গ্রামের আবদুল মানিকের ছেলে মুক্তার হোসেন (২৪)।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ভোরে ট্রাকসহ চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইমন ও মুক্তার মোটরসাইকেলযোগে মানিকপুরের দেওয়ানচকের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মানিকপুরের বাংলাবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
এ সময় ট্রাকটি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় পুলিশ জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে ট্রাকের সন্ধান করতে থাকে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
একপর্যায়ে জকিগঞ্জের কালীগঞ্জ বাজার এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ ট্রাকসহ এর চালক ও সহকারীকে আটক করে।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের সুন্দ্রগাঁও পয়েন্টে কোম্পানীগঞ্জগামী একটি মাইক্রোবাস গাড়ির ধাক্কায় এক পথচারীর মৃত্যু হয়।
নিহত আজির উদ্দিন (৬৫) গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের সুন্দ্রগাঁও গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় সড়ক পার হচ্ছিলেন আজির উদ্দিন। এসময় বেপরোয়া একটি মাইক্রোবাস এসে তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই আজিরের মৃত্যু হয়।
সিলেট অঞ্চলে ঘন ঘন সড়ক দুর্ঘটনার ব্যাপারে ভুক্তভোগী ও বিশ্লেষকরা বলছেন, সড়কে বিপজ্জনক বাঁক, রোড মার্কিংয়ের অভাব, ফিডার রোড (পার্শ্ব রাস্তা) এবং সড়কে সিএনজি অটোরিকশার দাপটে মহাসড়কে দুর্ঘটনা বাড়ার মূল কারণ।
এ চারটির পাশাপাশি ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করা, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে গাড়ি চালানো, অতিদ্রুত বা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, গতিসীমা অনুসরণ না করা, মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বা মালামাল বহন করা, রোড সাইন, মার্কিং ও ট্রাফিক সিগন্যাল সম্পর্কে ধারণা না থাকা বা ধারণা থাকলেও তা মেনে না চলা, ওভারটেক, সামনের গাড়ির সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রাখা, ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চালানো, চালকের পরিবর্তে হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো, ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে গাড়ি চালানো, প্রয়োজনীয় বিশ্রাম না নিয়ে অবসাদগ্রস্ত অবস্থায় একটানা গাড়ি চালানো, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, শিক্ষার স্বল্পতা, অপর্যাপ্ত ট্রেনিং ও অনভিজ্ঞতাও দুর্ঘটনার কারণ।
আরও পড়ুন: মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৯ জনের প্রাণহানি
ডেঙ্গু: একদিনে ৬ জনের প্রাণহানি, শনাক্ত ৭৩৪
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৮৯ জন প্রাণ হারালেন।
এছাড়া এ সময়ে ৭৩৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে ৪৬৮ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ২৬৬ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ৩১০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই হাজার ৮৮৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে এক হাজার ৯৯২ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৮৯৭ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৪ হাজার ৩২৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১৭ হাজার ৯২৪ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ছয় হাজার ৪০২ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২১ হাজার ৩৪৮ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ১৫ হাজার ৮৮১ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি পাঁচ হাজার ৪৬৬ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ ৮ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গু সবচেয়ে বেশি কক্সবাজারে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ডেঙ্গুতে একদিনে ৪ জনের প্রাণহানি, শনাক্ত ৬৭৭
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৭৪ জন প্রাণ হারালেন। এছাড়া এসময়ে ৬৭৭জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই হাজার ৪৯৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যেএক হাজার ৮২৬ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৬৬৭ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ৬৪ রোগী হাসপাতালে
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১১ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২১ হাজার ৮৭০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১৬ হাজার ৩৪৭ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন পাঁচ হাজার ৫২৩ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১৯ হাজার ৩০৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ১৪ হাজার ৪৮০ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি চার হাজার ৮২৩ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৮৫
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৯১
করতোয়ায় ট্রলার দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে ট্রলার দুর্ঘটনায় নিহত বা আহতদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
সোমবার দূতাবাস এক শোকবার্তায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে,‘পঞ্চগড়ে মহালয়া উদযাপন শেষে ফেরার সময় করতোয়া নদীতে ট্রলার দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক অগ্রাধিকারে থাকবে: ইইউ
এতে আরও বলা হয়েছে,‘আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের এবং তাদের পরিবারের জন্য আমাদের আন্তরিক সহানুভূতি ও প্রার্থনা জানাই।’
রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মহালয়া উপলক্ষে বধেশ্বর মন্দির থেকে ফেরার সময় নারী ও শিশুসহ ৬০ থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি মাঝ নদীতে ডুবে যায়।
সোমবার সকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে বিক্ষোভ-সম্পর্কিত সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ ইইউ’র
বাংলাদেশে ইরাসমাস প্লাস রোডশো শিক্ষাবৃত্তির উদ্বোধন ইইউ রাষ্ট্রদূতের
ডেঙ্গুতে একদিনে ৩ জনের প্রাণহানি
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্তিআগের ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের প্রাণহানি হয়েছে। এসময় ৪৮২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে ৩২৮ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ১৫৪ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক হাজার ৬৯২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে এক হাজার ২৯৪ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৩৯৮ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৪ হাজার ৩৬২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ১১ হাজার ৭১ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন তিন হাজার ২৯১ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১২ হাজার ৬১৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদের মধ্যে নয় হাজার ৭৫১ জন ঢাকার এবং বাকি দুই হাজার ৮৬৬ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৫৩ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ৪৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু: একদিনে আরও ৪৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ডেঙ্গুতে একদিনে ৪ জনের প্রাণহানি
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে আরও ৩৪৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে ২২৮ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ১১৭ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: একদিনে আরও ২৭৫ জন হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক হাজার ১১২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৩ জন ঢাকার মধ্যে এবং ২৫৯ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৯ হাজার ৯৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় সাত হাজার ২৯৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৭৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে সাত হাজার ৯৪৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ছয় হাজার ৪২৯ জন ঢাকার এবং বাকি এক হাজার ৫১৭ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
সোমবার চারজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৩৭ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: একদিনে আরও ১৪৫ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের প্রাণহানি
ইউক্রেন সংঘাতে ৩৭৫২ বেসামারিক মানুষের প্রাণহানি: জাতিসংঘ
ঢাকা, ১৮ মে (ইউএনবি)- ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর থেকে দেশটিতে তিন হাজার ৭৫২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)। বুধবার বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থাটি জানায়, আরও চার হাজার ৬২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: খারকিভের চারপাশ থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার: ইউক্রেন
অধিকাংশ নথিভুক্ত বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি গোলাবর্ষণ, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার কারণে হয়েছে।
এই সংঘর্ষে বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরও যথেষ্ট বেশি বলে ধারণা করছে ওএইচসিএইচআর।
ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিতে সারাদেশে ২৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১৫০০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নিরাপদ সড়কের জন্য প্রচারণা চালানো সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন (আরএসএফ) ২৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এছাড়া সাতটি নৌপথে দুর্ঘটনায় অন্তত পাঁচজন নিহত ও দুজন আহত এবং দুজন নিখোঁজ হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ১৭টি ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছে।
৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার দুর্ঘটনার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
মোট নিহতদের মধ্যে ৩৮ জন নারী ও ৫১ জন শিশু।
মোটরসাইকেল সংক্রান্ত ১২৮টি দুর্ঘটনায় মোট ১৫৬ জন নিহত হয়েছে, যা মোট মৃত্যুর ৪১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
আরএসএফ -এর অনুসন্ধান অনুসারে, সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৫৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন; যা মোট মৃত্যুর ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
প্রায় ৪৯ জন চালক এবং তাদের সহকারীরাও সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এবং এটি মোট মৃত্যুর ১৩ শতাংশ।
মোট দুর্ঘটনার মধ্যে মহাসড়কে ১৩২টি, আঞ্চলিক মহাসড়কে ৮৭টি এবং গ্রামের সড়কে ৪১টি এবং শহরের সড়কে ২৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধার মৃত্যূ
রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নারী নিহত