বসতঘর
বগুড়ায় বস্তিতে আগুনে পুড়ল ১৪টি বসতঘর
বগুড়া শহরের চেলোপাড়ার রেললাইন সংলগ্ন বস্তিতে আগুনে অন্তত ১৪টি বসত-বাড়ি পুড়ে গেছে। এর মধ্যে মুসলিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ও তার ৮ সন্তানের ১০টি ঘর ছিল।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়ল ৮ দোকান, কোটি টাকার বেশি ক্ষতি
বগুড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার আব্দুল জলিল বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খবর পেয়ে চারটি ইউনিট আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
বগুড়া সদর থানার নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তরিকুল ইসলাম জানান, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন দ্রুত নেভানো সম্ভব হলেও ঘরে রাখা জিনিসপত্র রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মুসলিম উদ্দিনকে বসবাসের জন্য অনেক আগেই জেলার সারিয়াকান্দি উপাজেলায় ‘বীর নিবাস’ নামে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি সেখানে না থেকে শহরের ওই বস্তিতে বসবাস করেন। আমরা মুসলিম উদ্দিনকে তার বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি-ঘর নেই এমন পাঁচজনকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি-ঘরে বসবাস করতে বলা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে মুসলিম উদ্দিনের কন্যা সাহেরা বেগম জানান, আগুনে তার ঘরে রাখা নগদ দেড় লাখ টাকা পুড়ে গেছে।
তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়ের বিয়ের জন্য টাকাগুলো ঘরে রেখেছিলাম। কিন্তু আগুনে সব শেষ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ফের আগুন, এবার দুটি গরুসহ পুড়ল ১৮ ঘর
কুষ্টিয়ায় আগুনে পুড়ল রেস্তোরাঁ
চাঁদপুরে ৪ ভাইয়ের বসতঘর পুড়ে ছাই, দগ্ধ ৬
চাঁদপুর শহরতলীতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ চার ভাইয়ের চারটি বসতঘর পুড়ে গেছে। এসময় আগুন নেভাতে গিয়ে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ৮টার দিকে (১৩ নম্বর ওয়ার্ড) খলিশাঢুলী বরকন্দাজ বাড়িতে রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মুদি দোকানে আগুনে পুড়ে কিশোর নিহত, দগ্ধ-২
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- সোহেল, রুবেল ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দুই ভাই মোতালেব, আলমগীর।
দমকল কর্মকর্তা মোহাম্মদ সানাউল্লাহ জানান, আগুন লাগার মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এসে এক ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ টাকা হবে বলে প্রাথমিক হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন স্বামীর আগুনে দগ্ধ চিকিৎসকের খোঁজ নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দগ্ধ ৯
চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে গেছে ১৮ বসতঘর, ৫ জন দগ্ধ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় আগুন লেগে ১৮টি বসতঘর পুড়ে গেছে। এ সময় আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়েছে শিশুসহ পাঁচজন।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে উত্তর পরুয়া পাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুন লাগে।
দগ্ধরা হলেন- মো. হেলাল (৩৫), মো. জামাল (৪৫), শিশু নিহা (১৩), হাসান (১০) ও তানিয়া (৫)। তাদের সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য মো. ইসহাক জানান, রবিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুনে ১৮টি বসতঘর পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ জামাল, মোহাম্মদ হেলাল, আবুল কালাম, আবুল কাসেম, আজগর আলী, আমজাদ হোসেন, আনোয়ার, আব্দুস সত্তার, মোহাম্মদ মামুন, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ জসিম, কাইয়ুম, মোহাম্মদ সেলিম, নুরুল হক, আব্দুল হক, জাহানারা বেগম, আব্দুস সালাম ও মোহাম্মদ ইউসুফের পরিবার।
আনোয়ারা ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ মং সুইন্যু মারমা বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রায় আধ ঘণ্টা সময় লাগে। একটি ইউনিটের ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আগুনে গরুসহ বসতঘর পুড়ে ছাই
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আগুনে গরুসহ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুরে এই আগুন লাগে। বিদ্যুতের তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
আরও পড়ুন: বরিশালে অগ্নিকাণ্ডে ৪ বসতঘর পুড়ে ছাই
প্রত্যক্ষদর্শীর জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুরে বিল্লাল হোসেনের ঘর ও পরে শামিম মিয়ার ঘরে আগুন লাগে। এসময় কয়েকটি গরুও আগুনে পুড়ে মারা যায়। এছাড়া প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বিল্লাল হোসেনের ছেলে বশির মিয়া জানান, ঘরের উপর কারেন্টের তার ছিঁড়ে পড়ে আগুন লেগেছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটি স্টেডিয়াম এলাকায় অগ্নিকাণ্ড: ১২টি দোকান পুড়ে ছাই
বিজয়নগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন নিয়াজী জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর জাহান জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুন, ৪০টি ঘর পুড়ে ছাই
ভৈরব পাদুকা মার্কেটে আগুন, জুতার কাঁচামাল পুড়ে ছাই
চট্টগ্রামে বসতঘরে আগুন লেগে বৃদ্ধের মৃত্যু
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বসতঘরে আগুন লেগে সুখেন্দু কর্মকার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার চাম্বল ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মকার পাড়া সুখেন্দু কর্মকার বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পারুল কর্মকার বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে হঠাৎ আগুন দেখে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি। বাড়িতে তখন কেউ ছিল না। আগুন দেখে দৌড়ে এসে ঘরের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেও আগুনের তীব্রতায় ঢুকতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, হয়তো শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মো. আজাদুল ইসলাম বলেন, রাতে ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। আমরা যাওয়ার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় একই পরিবারের ৪টি বসতঘর পুড়ে যায়। এ সময় অসুস্থ অন্ধ সুখেন্দু কর্মকার নামে এক ব্যক্তি আগুনে পুড়ে মারা যান। বৈদ্যুতিক তার থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।’
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল খালেক পাটোয়ারী, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তোফায়েল আহমেদ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত
চট্টগ্রামে গরু চোর সন্দেহে ৫ যুবককে গণপিটুনি
চাঁদপুরে বসতঘর থেকে ব্যবসায়ীর গলিত লাশ উদ্ধার
চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার হরিসভা এলাকায় বসতঘর থেকে এক ব্যবসায়ীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ওই এলাকার রনাগোয়াল পণ্ডিত সাহার বাড়ি থেকে গলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যবসায়ী সুজন সাহা (৩৫) পুরান বাজারের আড়ত ব্যবসায়ী ছিলেন। এছাড়া তিনি চাঁদপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সমির কান্তি সাহার ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। দীর্ঘ দিন ধরে একাই একটি একতলা বিল্ডিংয়ে বসবাস করছিলেন। তিনি অবিবাহিত এবং আলাদা ফ্লাটে থাকতেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, চার থেকে পাঁচ দিন ধরে লাশটি ওই ঘরে পড়েছিল।
খবর পেয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত ও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্দুল মালেক শেখ বলেন, খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই।
সুজনের মেজো ভাই সুমন সাহা বলেন, সে একজন সফল ব্যবসায়ী ছিল। তার সঙ্গে অনেকের টাকা-পয়সা লেনদেন আছে। আমরা তিন ভাই সবাই আলাদা থাকায় তার সঙ্গে তেমন একটা যোগাযোগ হয় না।
এ বিষয়ে বড় ভাই ও পৌর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রিপন সাহা বলেন, আমার ভাইয়ের লাশটি কয়েকদিনের পুরানো বলে মনে হয়। কীভাবে মারা গেলো তা বলতে পারছি না। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুতই বিস্তারিত উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
এ সময় চাঁদপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক, পুরান বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজিব শর্মাসহ পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় পুকুর থেকে দুদকের আইনজীবীর লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতার লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় ভাঙন, বিলীন হচ্ছে বসতঘরসহ আবাদি জমি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে।
সদর উপজেলার শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ১৩ রশিয়া থেকে নারায়ণপুর ইউনিয়নের খলিফারচর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গত দুই সপ্তাহের ভাঙনে নদীগর্ভে চলে গেছে- অর্ধশতাধিক বসতভিটা, মসজিদ ও আবাদি জমি।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে পদ্মা সেতুর চিত্রকর্ম উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
হুমকির মধ্যে রয়েছে- প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, হাট, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বসতভিটা ও ফসলি জমি।
ভাঙন অব্যাহত থাকায় নদী তীরের অনেকে তাদের বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙন কবলিত এই এলাকার মানুষের একটাই দাবি ভাঙনরোধে দ্রুত নদীতে বাঁধ নির্মাণ করা হোক।
জানা গেছে, পাশাপাশি অবস্থিত এই দুই উপজেলার দুটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গত দুই-তিন বছর আগে পদ্মায় ভাঙন শুরু হয়।
ভাঙনে ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ভাঙনরোধে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বর্ষা মৌসুম এলেই এসব চরাঞ্চলের মানুষ থাকেন নদী ভাঙন আতংকে।
নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, পদ্মায় ভাঙনটা প্রায় সারা বছরই থাকে। কখনো কম আবার একটু বেশি। এখন এই যে বর্ষা আসলো এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে অসময়ে পদ্মায় ভাঙন
বর্তমানে শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ১৩ রশিয়া থেকে তার ইউনিয়নের খলিফারচর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন চলছে। গত ১৫দিনে তার ইউনিয়নে ৭/৮টা মত বসত ভিটা, কিছু আবাদি জমি নদীতে গেছে।
ভাঙন আতংকে নারায়ণপুর আদর্শ কলেজ ও নারায়ণপুর দারুল হুদা আলিম মাদরাসা সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এখন ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, হাট, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অনেক বাড়িঘর ও আবাদি জমি হুমকির মধ্যে রয়েছে।
বর্তমানে এসব এলাকা থেকে নদী ১ কিলোমিটার দূরেও নাই।
তিনি আরও জানান, ১নং ওয়ার্ডের সরদারপাড়া, বাঘপাড়া, ঘোসপাড়া, মন্ডলপাড়া, ৪ নং ওয়ার্ডের পান্নাপাড়া, চটকপাড়া সবই নদী থেকে হাফ থেকে ১ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে।
ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত ব্যবস্থা না নিলো একে একে সব পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে।
এদিকে পাঁকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, দুই মাসের উপর থেকে দক্ষিণ পাঁকা তেরো রশিয়া এলাকায় একটু একটু করে ভাঙন চলছিলো। এখন পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু বাড়ি নদীতে নেমে গেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ভাঙন রোধে ১০৭৭ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
ভাঙন আতংকে আছে অনেকে। তাদের কেউ কেউ ঘরবাড়ি অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার রফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে নদী ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ৫০টি মত বসতভিটা নদীতে নেমে গেছে। নদী পাড়ের মানুষ এখন ভাঙন আতংকে দিন পার করছে। কেউ কেউ ভাঙনের ভয়ে ঘরবাড়ি অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৫০টি মত ঘরবড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান জানান, কয়েক বছর থেকে ওই এলাকা ভাঙছে। বর্তমানে নদীতে পানি বাড়ছে। এবারও অল্পদিন থেকে হালকা ভাঙন শুরু হয়েছে।
পাঁকা ও নারায়ণপুর ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাঁকা ও নারায়ণপুর ইউনিয়নের ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করার জন্য প্রকল্প প্রস্তাব উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের করণীয়
তবে এখনো কাজ করার কোনো অনুমতি এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। প্রকল্প অনুমোদন হলে ও অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলেই কাজ শুরু করা হবে।
বরিশালে অগ্নিকাণ্ডে ৪ বসতঘর পুড়ে ছাই
বরিশাল নগরীতে অগ্নিকাণ্ডে চারটি ঘর পুরোপুরি পুড়ে গেছে। শনিবার (১৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর হাটখোলা এলাকায় ঘনবসতিপূর্ণ গগণগলিতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটেছে।
তদন্ত ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্নয় করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গুদাম পরিদর্শক মো. আব্বাস উদ্দিন।
বরিশাল সদর ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোলরুম থেকে জানানো হয়েছে, ‘রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে গগণগলিতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পান তারা। পরে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ৯টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৫ বসতঘর
প্রত্যক্ষদর্শী গগণগলির বাসিন্দা রাজিব জানিয়েছেন, ‘হঠাৎ করেই আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। যেখানে আগুন লেগেছে সেটা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। যে কারণে মুহূর্তেই আগুন এক ঘর থেকে অপর ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাবার আগেই আগুনে অনেক ঘর পুড়ে যায়।
আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘আগুনে চারটি বসতঘর একেবারে পুড়ে গেছে।’
এছাড়া আগুণ নিয়ন্ত্রণের সময় দমকলের পানিতে আরও বেশ কয়েকটি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দিল এফবিসিসিআই
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা বাস স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ৬০টি দোকান ভস্মীভূত
বিশ্বনাথে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৫ বসতঘর
সিলেটের বিশ্বনাথে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ পরিবারের আধা-পাকা টিনসেডের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ জুন) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার দৌলতপুর ইউনয়িনের মালিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন গ্রামের সৌদি প্রবাসী ছুরুক মিয়া, ফারুক মিয়া ও তাদের চাচাতো ভাই বকুল মিয়া, নেছার মিয়া ও লয়লুস মিয়া। প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফারুক মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ঝড়-বৃষ্টি ও ভূমিকম্পের কারণে বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বৈদ্যুতিক খুঁটি নড়ে যায়। এতে পুরো উপজেলা জুড়ে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। এরপর বিকাল পৌনে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের সৌদী প্রবাসী ছুরুক মিয়ার বসতঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের শুরু হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বসতঘরে আগুন: নারী-শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু
আগুন ছড়িয়ে পড়লে পাঁচটি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও ওসমানীনগরের ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই সব পুড়ে যায়।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সন্ধ্যায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের খোঁজখবর নেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে তাৎক্ষণিক নগদ ১০ হাজার টাকা অনুদান দেন। পরবর্তীতে তাদেরকে আরও ৬০ হাজার টাকা ও ২০ বান্ডিল টিন এবং একটি গভীর নলকূপ দেওয়ার আশ্বাস দেন।
বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেদওয়ান ও ওসমানীনগর ফায়ার ব্রিগেডের ফায়ারম্যান মো. স্বপন মিয়া বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে অগ্নিকাণ্ডে ৮ বসতঘর পুড়ে ছাই
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৫০০ বসতঘর পুড়ে ছাই
চট্টগ্রামে বসতঘরে আগুন: নারী-শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার সৈয়দ পাড়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক পরিবারের নারী-শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৮ মে) ভোর রাত ৫টার দিকে বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে
নিহতরা হলেন- নূর নাহার বেগম (৩০), তার সন্তান মারুফ (১) ও প্রতিবেশি মো. ঈমাম উদ্দিন (২৩)।
এ ঘটনায় ফিরিয়া (৩) নামে এক শিশু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মহানগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান জানিয়েছেন, তোতা মিয়া নামে একজনের বসতঘরে মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
পুলিশ দু’টি বসতঘর থেকে চারজনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দুপুরে মা ও শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়।
আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের চিফ লিডার চিত্ত রঞ্জন বৈদ্য বলেন, ভোরে বায়োজিদের পূর্ব শহীদনগর এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের দুইটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর আদাবরে ভবনের আগুন দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে