সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী
সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনা হবে: অর্থ সচিব
সরকার দেশের সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ২০২৩ সালে চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন স্কিমের (ইউপিএস) আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার।
বুধবার (১৩ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ে ইউপেনশন অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সচিব বলেন, সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনা আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অর্থ সচিব জানান, প্রাথমিকভাবে দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২০২৫ সালের জুলাই মাসের মধ্যে এই স্কিমে আনার কথা বলা হয়েছিল। তবে এই পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে। এখন ধাপে ধাপে এটি কার্যকর করা হবে। লক্ষ্য বাতিল হয়নি, শুধু স্থগিত হয়েছে।
ভারতের পেনশন ব্যবস্থার উদাহরণ দিয়ে সচিব বলেন, সেখানে সবাই একটি সর্বজনীন স্কিমের আওতায় রয়েছেন। আমরাও ধীরে ধীরে এই ব্যবস্থা চালু করব।
পড়ুন: মালয়েশিয়ার শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
অর্থ সচিব আরও বলেন, অনেকের সমালোচনা ছিল—উন্নত দেশগুলোর মতো দেশের বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এমন কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। বিগত কয়েক বছর অর্থ বিভাগ এই বিষয়টি অধ্যয়ন করার পর বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্যও এই সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে। এটি একটি খুবই ভালো প্যাকেজ।
তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালে স্কিম চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ ইউপিএসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, শুরুতে কিছু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইউপিএসে অন্তর্ভুক্ত হতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কারণ, তারা মনে করেছিলেন বর্তমান পেনশন ব্যবস্থার তুলনায় সুবিধা কম পাবেন। আমরা সেই সমস্যা সমাধান করতে হবে। কিছুটা সুবিধা কমতে পারে, তবে বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থার সঙ্গে খুব বেশি পার্থক্য হবে না।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মোহিউদ্দিন খানও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মাধ্যমে দেশের ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব সব নাগরিককে অবসরকালীন সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য নকশা করা হয়েছে।
১১৪ দিন আগে
‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া হবে’
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবাইকে মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান।
রবিবার মহার্ঘ্য ভাতা ও বঞ্চনা নিরসন কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সচিব এ কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, সচিব থেকে পিয়ন পর্যন্ত সবাই এই ভাতা পাবেন। পেনশনাররাও পাবেন।
মহার্ঘ্য ভাতা পর্যালোচনা ও সুপারিশ প্রদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। কমিটিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, অর্থ সচিব ও লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিব আছেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘সরকার শুধু সিদ্ধান্তই নেয়নি, একটা কমিটিও করে দিয়েছে। কমিটিতে আমিও আছি। এজন্য আমি আপনাদের মাধ্যমে সব শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটা সুখবর দিতে চাই। পে-কমিশন করা দীর্ঘসময়ের ব্যাপার হওয়ায় মহার্ঘ্য ভাতা কমিটি করেছে সরকার। আমরা সামনের সপ্তাহে প্রথম মিটিং করব। সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করতে একটি কৌশল ঠিক করা হবে। এবার যাতে পেনশনাররা মহার্ঘ্য ভাতা পায় সে ব্যাপারে সরকার একমত।’
তিনি বলেন, ‘এটি খুবই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। যাতে মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া যায়। আমাদের চেষ্টা থাকবে দ্রুত সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করে সরকারের কাছে সুপারিশ করা। এরপর সরকার এটি বাস্তবায়ন করবে। এটা যত তাড়াতাড়ি করা যায় তত মঙ্গল।’
কত শতাংশ দেওয়া হবে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা এই কমিটি সুপারিশ করবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে অবশ্যই।
তিনি বলেন, ‘আপনার জানেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর স্কেল সমান নয়। মহার্ঘ্য ভাতায় কর্মচারীদের একটু বেশি হতে পারে।’
সিনিয়র সচিব বলেন, আগে কখনো এটা ছিল না, এবার আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পেনশনাররাও যেন সুবিধা পায়। কারণ চিকিৎসা, বাড়ি ভাড়াসহ নানা ধরনের খরচ পেনশনাদের বেশি দরকার। একটা লোক চাকরিতে থাকলে পার্ট টাইম অনেক কিছু করতে পারে। কিন্তু পেনশনাররা এমনি অসুস্থ, বয়স্ক, তাদের ওষুধের খরচ প্রতি মাসে অনেক বেশি লাগে।
মোখলেস বলেন, একেবারে পিওন থেকে উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রিপষিদের সচিব পর্যন্ত সবাই পাবে। ভারসাম্য বজায় রাখতে কর্মকর্তাদের একটু কম হতে পারে।
এই কমিটি কত দিন কাজ করবে-জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আমরা যদি সামনের সপ্তাহে বসি তাহলে ২-৩টার বেশি মিটিং লাগবে না।’
৩৫৫ দিন আগে
চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট
করোনা পরিস্থিতে চলমান 'লকডাউনে' এক ডাক্তারের আইডি কার্ড দেখতে চাওয়া নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ঘটনায় দুই পেশাজীবী সংগঠনের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, ওই ঘটনায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেয়া সমীচীন হয়নি। তাদের এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে এমন আচরণ কাম্য নয়।
মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালতে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডা ও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পেশাজীবী সংগঠনগুলোর পাল্টাপাল্টি বিবৃতি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
আদালত ইউনুছ আলী আকন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গতকাল আপনি এ বিষয় নিয়ে এসেছিলেন। আপনি তো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নন। আপনি কেন এসেছেন। এ পর্যায়ে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আমার মেয়েও এক চিকিৎসক। আত্মীয়-স্বজনের মধ্যেও চিকিৎসক রয়েছেন।
আদালত চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত।আবার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেয়া সমীচীন হয়নি।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডা: হাইকোর্টের নজরে আনলেন এক আইনজীবী
এ পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আনফরচুনেটলি ওই ঘটনা ঘটেছে। তখন আদালত উভয়পক্ষের উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখতে বলেন।
এর আগে, রবিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনির সঙ্গে পুলিশের তর্ক হয়, যা এক পর্যায়ে উত্তপ্ত বিতন্ডায় রূপ নেয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয় এবং দিনভর এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হয়। দুই পেশার নেতারা নিজেদের সহকর্মীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
লকডাউনে দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ‘নিগ্রহ’ ও ‘হয়রানির’ শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন- বিএমএ। পাশাপাশি ডা. সাঈদা শওকত জেনির সঙ্গে পুলিশের আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)। একই সাথে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানানো হয়।
অন্যদিকে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সঙ্গে ডা. জেনির আচরণে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলছে, ওই চিকিৎসক গোটা পুলিশ বাহিনীকে কটাক্ষ করেছেন।
১৬৯০ দিন আগে
ঈদের ছুটি বাড়ছে না, থাকতে হবে কর্মস্থলেই
সারাদেশে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আসন্ন ঈদুল আযহায় ছুটি না বাড়িয়ে তিন দিনই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেইসাথে ঈদের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে।
১৯৭১ দিন আগে