স্ত্রীকে হত্যা
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যায় স্কুলশিক্ষক স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় স্ত্রী শান্তা আক্তারকে হত্যার দায়ে স্বামী ও স্কুলশিক্ষক আমিরুল ইসলাম ওরফে বাবুকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমিরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারুদী এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং বন্দর গার্লস স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে আমিরুল ইসলামের সঙ্গে শান্তা আক্তারের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৯ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর শান্তা আরও একটি বিয়ে করে সাত মাস সংসার করেন। পরে আমিরুল ইসলাম তাকে ফুসলিয়ে পুনরায় বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা বন্দরের রাজবাড়ি এলাকার সুলতান মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন।
বিয়ের মাত্র দুই মাস ৬ দিনের মাথায় স্ত্রী শান্তাকে হত্যা করেন আমিরুল ইসলাম।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির বলেন, ‘আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রী শান্তাকে শিলপাটা দিয়ে আঘাত করে মাথা থেঁতলে হত্যা করেছেন। এরপর মাছ কাটার বঁটি দিয়ে শরীরের কয়েক জায়গায় চামড়া ছিলে তাতে লবণ লাগিয়ে দেন। এ ঘটনায় শান্তার বাবা মামলা করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে এ রায় ঘোষণা করেছেন।’
১৩৪ দিন আগে
সিলেটে স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার
সিলেটে নিশাত ফাতিমা চৌধুরী (৩২) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার দায়ে তার স্বামী শফি আহমদ চৌধুরী সুমনকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, গতকাল সকালে নগরীর আরামবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে দুই সন্তানের ওই জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সাংসারিক জীবনে সুমন ও নিশাতের দুই ছেলে রয়েছে। বর্তমানে তারা নগরীর বালুচর এলাকার আরামবাগে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাত ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে নিশাতকে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মেরে গুরুতর আহত করেন স্বামী সুমন। পরে বুধবার ভোর ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে নিশাতের ফুফাতো ভাইকে ফোন করেন সুমন। খবর পেয়ে নিশাতের বাপের বাড়ির আত্মীয়স্বজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিশাতকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। সে সময় নিহতের কপাল, গলা, দুই হাতের তালু ও বাহুতে আঘাতের চিহ্ন এবং কালচে জখম দেখা যায়।
নিহতের স্বজনদের দাবি, নিশাত আত্মহত্যা করেছেন বলে তাদের ভুল বোঝানো হয়েছে।
এরপর বুধবার সকালে শাহপরাণ থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে স্বামী সুমনের আচরণ ও কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: হত্যার পর স্ত্রীকে ১১ টুকরো: ‘ঘাতক’ স্বামী গ্রেপ্তার
সাইফুল ইসলাম জানান, নিশাতের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে শাহপরাণ থানায় হত্যা মামলা করা হয়। সেই মামলায় সুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সুমনকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, সুমন কী কারণে স্ত্রীকে মারধর করেছেন, সেটি এখনো জানা যায়নি।
শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৪১ দিন আগে
গাজীপুরে স্ত্রীকে ‘হত্যা করে’ পালিয়েছে স্বামী
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বাসা থেকে আকলিমা আক্তার নামে এক পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী পালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশের।
বুধবার (২১ মে) সকালে উপজেলার আবদার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আকলিমা আক্তার ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার ইমুরিয়া গ্রামের আদনান ইসলামের স্ত্রী। আদনান ইসলাম মুক্তাগাছার মন্ডলসেন গ্রামের এশার আলীর ছেলে। দম্পতি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার আবদার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে আকলিমার ঘর থেকে তার শিশুসন্তানের কান্নার শব্দ শুনে সন্দেহ হয় পাশের ভাড়াটিয়াদের। তারা দরজা খোলা দেখে ডাকাডাকি করেন। দীর্ঘক্ষণ কোনো সাড়া না পেয়ে বিষয়টি বাড়ির মালিক জয়নাল আবেদীনকে জানানো হয়। তিনি এসে ঘরে ঢুকে মেঝেতে আকলিমার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে হাত-পা বাঁধা প্রতিবন্ধী সরকারি কর্মচারীর লাশ উদ্ধার
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক বলেন, ‘নিহতের কপাল ও মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী আদনান ইসলাম স্ত্রীকে হত্যা করেছে। ঘটনার পর স্বামী আদনান ইসলাম পলাতক রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদনান ইসলামকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।’
১৯৮ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. আমিনুল হক এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল (৩৪) চট্টগ্রামের চন্দনগাঁও এলাকার একেএম ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর ছেলে।
সেই সঙ্গে নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস খুলনার খালিশপুর এলাকার জহিরুল ইসলামের মেয়ে।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘২০২২ সালের ৪ নভেম্বর রূপগঞ্জ থানার দায়ের করা হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাদীপক্ষ।’
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সালাহ উদ্দিন সুইট বলেন, ‘আসামি মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল এবং ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদৌস জ্যোতি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতি
রূপগঞ্জ উপজেলার মৈকুলি এলাকায় হাবিবুর রহমানের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ নভেম্বর গভীর রাতে দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে স্বামী আব্দুল্লাহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় জান্নাতুলের মা শারমিন আক্তার ডলি বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেছেন।
৪২৭ দিন আগে
লালমনিরহাটে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
লালমনিরহাটে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী মানজুমা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী মন্টু মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২০ বাড়ি ভাঙচুর, আটক ১৩
সোমবার (২৭ মে) ভোরে আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের পাঠানটারী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মন্টু মিয়া পাঠানটারী এলাকার মৃত আজিজার রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মন্টু মিয়া তার স্ত্রী মানজুমা খাতুনের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এরই জেরে মন্টু মিয়া তার স্ত্রী মানজুমা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী মন্টু মিয়াকে আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁওয়ে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীসহ আটক ২
দিনাজপুরে র্যাবের অভিযানে ‘এ্যাম্পল’ জব্দ, আটক ২
৫৫৭ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী।বুধবার (৮ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের পদমপুর হাজীপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম রাবেয়া বেগম (৩০) এবং স্বামীর নাম নাজমুল হুদা (৩৬)।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম জানান, রাবেয়ার সঙ্গে ঝগড়া করার সময় নাজমুল তাকে ধারালো বটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা রাবেয়াকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নাজমুল হুদা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটিসহ থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন।
পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে এবং অভিযুক্ত নাজমুল হুদা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: রংপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জে কৃষক হত্যার দায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন
৭৫৮ দিন আগে
নাটোরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নাটোরের নলডাঙ্গায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী ওসমান গনীকে (৬২)মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন বলে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আনিসুর রহমান জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২১ আগস্ট জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের ওসমান গনী ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে শারীরিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই একাব্বর হোসেন বাদি হয়ে ওসমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
সাভারে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার
৭৮৭ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকালে পৌর শহরের কলেজ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জান্নাতুল ফেরদৌসী (৩৫) জেলার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর দিঘীর পাড় এলাকার মৃত আরু মিয়ার মেয়ে ও কাউসার মোল্লার (৫০) স্ত্রী। কাউসার সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা গ্রামের মৃত মো. আউয়াল মিয়ার ছেলে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বলে জানা গেছে। তাদের ঘরে তিন সন্তান রয়েছে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, কাউসার মোল্লা ও জান্নাতুল শহরের কলেজ পাড়ায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকত। তবে কাউসার দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলা ও পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল। এসব নিয়ে প্রায়ই জান্নাতুলের সঙ্গে কলহ চলত। এরই জের ধরে সকালে কাউসার মোল্লা ধাঁড়ালো ছুরি দিয়ে জান্নাতুলকে হত্যা করে। বিষয়টির টের পেয়ে তাদের সন্তানরা কক্ষে যাওয়া মাত্রই তিনি তাদের ঘরে আটকিয়ে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। স্বামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাবার বিরুদ্ধে ছেলেকে হত্যার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
৯৬১ দিন আগে
দুই সন্তানের সামনে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রীকে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে দুই সন্তানের সামনে স্ত্রী আঁখি আক্তারকে (৩২) হাত-পা বেঁধে হাতুড়ি পেটা করে হত্যা করেছে সাইদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামে এই ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে সাইদুল।
পরে স্বজনরা আঁখি আক্তারকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
নিহত আঁখি আক্তার উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের ইব্রাহিম প্রধানের মেয়ে এবং স্বামী সাইদুল ইসলাম পাশ্ববর্তী চেঙ্গকান্দি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
এছাড়া দাম্পত্য জীবনে তাদের অর্ণব (১২) ও সিয়াম (১০) নামের দুই সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে সাঈদুল দুই ছেলের সামনেই তার স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তিনি প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন।
বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ তাদের ঘর থেকে ছেলেদের চিৎকার শুনে গিয়ে তারা সেখানে যেয়ে দেখেন আঁখির হাত-পা বাঁধা। মাথার বিভিন্ন অংশ থেতলানো। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের প্রত্যক্ষদর্শী ছেলে অর্ণব (১২) জানায়, বিভিন্ন সময়ে বাবা-মা ঝগড়া করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঝগড়ার একপর্যায়ে বাবা তার মাকে হাত-পা বেঁধে ঘরে থাকা হাতুড়ি দিয়ে পিটায়। তখন আমরা চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বাবা পালিয়ে যান। পরে মাকে হাসপাতালে নিলে তিনি মারা যান। আমরা মায়ের হত্যার বিচার চাই।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, গৃহবধূ হত্যার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
কুমিল্লায় চিরকুট লিখে ইন্টার্ন চিকিৎসকের আত্মহত্যা!
১০৩৫ দিন আগে
ধামরাইয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
ধামরাইয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রবিবার ভোর ৪ টার দিকে যশোরের অভয়নগর থানার ভাঙ্গাগেইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মিরাজ শেখ (২২) খুলনার ডুমুরিয়া থানার ডুমুরিয়া গ্রামের মো. হান্নান শেখের ছেলে। তিনি ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালিপাড়া এলাকার শামসুল হকের বাড়িতে ভাড়া থেকে থ্রী স্টার নামের একটি ইটভাটায় কাজ করতেন।
নিহত স্ত্রী জুলেখা ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের উত্তর বাস্তা আদর্শ গ্রামের সোনা মিয়ার মেয়ে। তিনি স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে হেরোইনসহ পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
মাগুরায় এতিমখানায় চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর জুলেখার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর থেকেই নিহতের স্বামী মিরাজ পলাতক ছিলেন।
র্যাব জানায়, প্রায় তিন থেকে ৪ মাস আগে জুলেখার সঙ্গে মিরাজের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আসামি জুলেখাকে সন্দেহ করে গালিগালাজ ও মারধর করতেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী তার মায়ের কাছে বেশ কয়েকবার নালিশ করেন। মায়ের কাছে নালিশ করায় মিরাজ ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৬ অক্টোবর জুলেখাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জুলেখার বড় ভাই মো. আল-আমিন মিরাজসহ অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-৪। পরে আজ ভোরে র্যাব-৪ ও ৬ এর যৌথ অভিযানে মিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান জানান, র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি তার স্ত্রী জুলেখা’কে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
তাকে ধামরাই থানায় হন্তান্তরের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ৩৬ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ২
১১৩১ দিন আগে