ধর্ষণ মামলা
নওগাঁয় হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
নওগাঁয় স্কুলছাত্র অপহরণ ও হত্যার মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে পৃথক একটি ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত চার আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— মিশু (১৯) ও পিংকি (৩০)। এ মামলায় আরও দুই কিশোর আসামি হুজাইফা ও সাজু আহমেদের ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ায় তাদের ১০ বছর আটকাদেশ দেওয়া হয়।
আরেক মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন— মোরশেদ আলী (৩৫) রবিউল ইসলাম (৩৮)। এ মামলায় সুলতানা পারভিন নামে এক নারীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
হত্যা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৭ নভেম্বর নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার খাদাইল গ্রামের নাজমুল নামের এক স্কুল ছাত্রকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে তার বাবার কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন কয়েকজন যুবক। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে পরের দিন আসামিরা নাজমুলকে হত্যা করে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে আক্কেলপুর রেলগেটের উত্তর পাশে ডোবার মধ্যে ফেলে রাখেন। পরে নাজমুলের বাবা বদলগাছী থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) দুই আসামি মিশু ও পিংকিকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে, ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মান্দা উপজেলার চকদেবীরাম গ্রামের এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে উপজেলার বালুবাজার গ্রামের মোরশেদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে রবিউল ইসলাম। এ সময় তিনি মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রেখে দেন। পরবর্তীতে ওই মেয়েকে রবিউল বিয়ে না করলে মেয়ের পরিবার তাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিলে আসামি রবিউল মেয়ের স্বামীর কাছে ধর্ষণের ভিডিও পাঠান, ফলে তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
এর কিছুদিন পরে বিক্রমপুরে ওই মেয়ের দ্বিতীয় বিয়ে হলে রবিউল আবারও একই কাজ করলে দ্বিতীয় স্বামী আইনি পরামর্শের কথা বলে ওই মেয়েকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুলছাত্র হত্যা: সাইফুলসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
এরপর ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ে নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করলে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে সংশ্লিষ্টতা থাকার রিপোর্ট দেয় মান্দা থানা পুলিশ।
পরে দীর্ঘদিন ধরে চলা এ মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) মোরশেদ আলী এবং রবিউল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ মামলায় সুলতানা পারভিন নামে আরেক আসামির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে খালাস প্রদান করেন।
উভয় মামলার রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
১২৭ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক ধর্ষণ মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় দুটি ধর্ষণ মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন— আলমডাঙ্গা উপজেলার বারাদি গ্রামের নাজমুল হক (৩৩) ও জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের আব্দুল খালেক (৫৫)। রায় ঘোষণার পর দণ্ডিতদের পুলিশ পাহারায় আদালত থেকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এমএম শাহাজাহান মুকুল বলেন, ‘সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা করে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পৃথকভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ মনে করে, এই রায় সমাজে অপরাধ প্রবণতা হ্রাসে ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে নিয়োগ পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক, কারাদণ্ড
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামি নাজমুল হক তার বন্ধুর ১৩ বছর বয়সী কিশোরী বোনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
আলমডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খসরু আলম তদন্ত শেষে আসামি নাজমুলের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এছাড়া, ২০১৫ সালের ৮ জুন আসিম আব্দুল খালেক তার ভায়রা ভাইয়ের ৬ বছর বয়সী মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ করেন। ওই ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে ৯ জুন জীবননগর থানায় ধর্ষণের মামলা করেন।
জীবননগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন তদন্ত শেষে ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১৬৩ দিন আগে
ইডেন ছাত্রীর মামলায় গায়ক নোবেলের জামিন
ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীকে বাসাবাড়িতে আটকে রেখে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত। মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব শুনানি শেষে এক হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার আইনজীবী মো. খলিলুর রহমান জামিনের আবেদন করেন। এদিন বিচারক নোবেলের উপস্থিতিতে জামিন শুনানির জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। আজ নোবেল ও ভিকটিমের উপস্থিতিতে জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। নোবেল জামিন পেলে ভিকটিমের আপত্তি নেই বলে আদালতে জানান। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন আবেদনে বলা হয়েছে, মামলার আসামি নোবেল গত ২০ মে থেকে জেল হাজতে আটক আছেন। যেহেতু বাদী ও আসামির মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ায় মামলাটি দায়ের করেছেন। বাদী ও আসামির মধ্যে শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি অঙ্গীকারনামা দিয়ে স্বীকার করেছেন। বাদীর জিম্মায় আসামি জামিন পেলে বাদীর কোনো আপত্তি নেই। আসামি জামিন পাওয়ার পর বিবাহ রেজিস্ট্রি করে নিবেন।
এর আগে ১৮ জুন উভয়ের সম্মতি সাপেক্ষে তাদের বিয়ে সম্পাদন করে আদালতকে অবগত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় কারা কর্তৃপক্ষকে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে নোবেলের আইনজীবী একটি আবেদন করেন।
এর আগে গত ১৯ মে রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে নোবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে বাসাবাড়িতে আটকে রেখে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর ডেমরা থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। পরদিন ২০ মে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজে অধ্যায়নরত ছিল। ২০১৮ সালে আসামি নোবেলের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাদীর পরিচয় হয়। নোবেল বাদীর সাথে মোবাইল ফোনে প্রায় সময় কথা-বার্তা বলতো। একপর্যায়ে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর মোহাম্মদপুরে বাদীর সাথে দেখা করে বাদীকে আসামি নোবেল তার স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ডেমরা থানা এলাকায় নোবেলের নিজ বাসায় নিয়ে আসে।
নোবেলের বাসায় আসার পর বাদী বাসা থেকে চলে যাওয়ার কথা বললে আসামির সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরো ২ থেকে ৩ জন আসামির সহায়তায় বাদীকে বাসার একটি কক্ষে আটক করে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে। বাদী আসামির কথা মতো আসামির বাসায় না থাকলে তার মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিবে মর্মে হুমকি দেয়।
বাদী আসামি নোবেলের ভয়ে কাউকে কোনো কিছু বলার সাহস পাননি। নোবেল তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরো ২ থেকে ৩ জন বিবাদীর সহায়তায় বাদীকে সিঁড়ি দিয়ে চুলের মুটি ধরে টানা হেঁচড়া করে অপর একটি কক্ষে আটক করে রাখে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বাদীর পিতা-মাতা বাদীকে চিনতে পারে। বাদীর পিতা-মাতা বাদীকে খোঁজাখুঁজি করা অবস্থায় জাতীয় জরুরি সেবায় গেল ১৯ মে কল দিলে ডেমরা থানা পুলিশের সহায়তায় ভুক্তভোগী বাদী আসামি নোবেলের বাসা থেকে বের হয়ে আসে।
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার সঙ্গীতশিল্পী নোবেল
১৬৪ দিন আগে
নওগাঁয় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নওগাঁর পোরশা উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম ও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন—পোরশা উপজেলার সুরানন্দ গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে সাকিল (২৪) ও আলাদিপুর গ্রামের রবুর ছেলে আব্দুল আলীম (৩০)। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৮ মার্চ রাতে ১৪ বছরের স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সুরানন্দ গ্রামের হাবিবুল্লাহ শাহের আম বাগানের দোচালা ঘরে নিয়ে যান সাকিল। সেখানে সাকিল ও আব্দুল আলীম ওই ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: মসজিদে শিশু বলাৎকার, যুবকের যাবজ্জীবন
পরে ওই ছাত্রী নিজেই থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
আজ (মঙ্গলবার) শুনানি শেষে ১০ জন সাক্ষীর বক্তব্যের ভিত্তিতে আদালত তাদের যাবজ্জীবন দেন। জরিমানার টাকা ধর্ষণ শিকার স্কুলছাত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামি পক্ষে আইনজীবী আনোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।
২১৯ দিন আগে
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এসএসসি পরীক্ষার্থী, ধর্ষণ মামলা
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসাপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকালে ওই শিক্ষার্থী প্রেমিক মো. নাঈমের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। সন্ধ্যার পর ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
রাত সাড়ে ৯টায় দিকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কথিত প্রেমিকের নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে ঘটনা প্রকাশের পর থেকেই প্রেমিক নাঈম পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার দিকে নাঈমের বাড়িতে হঠাৎ হইচই শুরু হলে তারা ছুটে আসে। পরে জানতে পারে, এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন। একপর্যায়ে উৎসুক জনতা ওই ছাত্রীকে ঘরের ভেতরে তুলে দেয়। পরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ শিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠাতে চেষ্টা করলে সে বাড়ি যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের উপস্থিতিতে আলাপ-আলোচনা শেষে রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে কথিত প্রেমিকের নামে ধর্ষণ মামলা করে।
আরও পড়ুন: গৃহবধূকে ধর্ষণের পর চুল কেটে দেওয়া মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ওই শিক্ষার্থী জানায়, তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে। সে দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। গত তিন বছর ধরে তার সঙ্গে নাঈমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি নাঈম যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে—এ খবর পেয়ে সে সোমবার গণিত পরীক্ষার পর চুয়াডাঙ্গায় আসে এবং নাঈমের বাড়ির সামনে অনশন শুরু করে।
তিনি বলেন, ‘আমি শুধু আমার ন্যায্য অধিকার চাই। ওর সঙ্গে আমার তিন বছরের সম্পর্ক। এখন সে অন্য মেয়েকে বিয়ে করছে, এটা মানা যায় না।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আমরা অভিযুক্তকে আটকে অভিযান চালাচ্ছি।
২২৭ দিন আগে
৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করার পাশাপাশি বিচারকাজ ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রবিবার (৯ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কিছু পরিবর্তন আনার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ধর্ষকদের কোনো স্থান হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার তদন্তকাজ সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্তকাজ শেষ করতে হবে। একইসঙ্গে ৯০ দিনের মধ্যে মামলার বিচার শেষ করতে হবে।
মাগুরায় ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সারা দেশে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে নানা মহল থেকে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়েছে।
২৭১ দিন আগে
ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন মামুনুল হক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে ধর্ষণের মামলায় খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেসমিন আরা বেগম।
রায় ঘোষণার সময় মামুনুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মাওলানা হকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যাচাই করে তাকে নির্দোষ সাব্যস্ত করা হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।
২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামুনুল হকের নামে মামলা হয়।ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের আদালত ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সেময় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বাদীসহ ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীসহ ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
৪০৭ দিন আগে
টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার মহানন্দপুর কইষ্টা বাজার গ্রামের মো. আসলামের ছেলে সাগর আহমেদ (২১) ও জিতাশহরি গ্রামের মৃত আবু সাইদের ছেলে নাইচ আহমেদ নাবিল (২১)।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস মিয়া জানান, সখিপুরের বাসারচালা এলাকায় ১৩ বছরের একটি কিশোরীকে প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন আসামি সাগর। ২০২২ সালের জুনে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন সাগর ও তার বন্ধু নাবিল। পরে ওই কিশোরী বাড়িতে গিয়ে ঘটনা জানালে মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে ২ জুলাই সাগর, নাবিল ও ফরহাদকে আসামি করে সখিপুর থানায় মামলা করেন। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এসআই মো. সালাউদ্দিন। আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতেই রায় পড়ে শোনান বিচারক।
তিনি আরও জানান, আসামি ফরহাদ হোসেনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মহিউদ্দিন মিয়া মামুন।
আরও পড়ুন: হলমার্ক কেলেঙ্কারি: এমডি তানভীর ও তার স্ত্রীসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন
মানিকগঞ্জে স্বর্ণ পাচার চক্রের ৫ জনের যাবজ্জীবন
৬২৫ দিন আগে
নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে কুপিয়ে হত্যা, ২ ভাই গ্রেপ্তার
নেত্রকোণার আটপাড়ায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রবিবার(২১ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেতে র্যাব-১৪ এর সদর ব্যাটালিয়নের অপারেশনস অফিসার উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান।
এতে বলা হয়, শনিবার(২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে র্যাবের একটি দল দুই ভাইকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা!
গ্রেফতাররা হলো- আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের পালগাঁও গ্রামের শাহজাহানের দুই ছেলে মো. অসীম (২৫) ও মো. রাজু মিয়া (২৩)।
র্যাব জানিয়েছে, ধর্ষণ মামলার বাদী সেলিনা আক্তার নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
র্যাব আরও জানায়, নিহতের ননদ বেদেনা আক্তার গত ০৮ জানুয়ারি ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা গা ঢাকা দিয়ে ছদ্মবেশে পলাতক ছিল।
গ্রেপ্তার দুজনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
৬৮৩ দিন আগে
ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের জামিন মঞ্জুর
এক নারী কর্মকর্তাকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ছাবেরা সুলতানা খানমের আদালতে আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুম ইসলাম জামিন শুনানি করেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
অপর দিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল জামিনে বিরোধিতা করেন। দুপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত ৫০০০ টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৫ জুলাই ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আল মামুন মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা।
এরপর আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী একজন সরকারি কর্মকর্তা। পরিচয়ের সুবাদে এএসপি সোহেল উদ্দীনের সঙ্গে তার বিয়ের কথা হয়।
২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন ওই নারীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলেন। সেখানে তার আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে কাজির মাধ্যমে বিয়ে হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাননি তিনি।
এ নিয়ে প্রশ্ন করলে সোহেল জানান কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। ওই নারী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকেন।
কথাবার্তার একপর্যায়ে সোহেল উদ্দীন তাকে খুন করার ভয় দেখিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালান। ঘটনার পর থেকে সোহেল উদ্দিন প্রিন্স বরখাস্ত।
তিনি ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় সিনিয়র এএসপির মৃত্যু
৮০৬ দিন আগে