সাত কলেজ
ঢাবি-সাত কলেজের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সঙ্গে সরকারি সাত কলেজের সব ধরনের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের পর সব দায়িত্ব ও শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি সাত কলেজের সব প্রশাসনিক, একাডেমিক ও আর্থিক দায়-দায়িত্ব এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের সব তথ্য, ছবি ও ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনার বাবদ ফি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান আজ উপাচার্যের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সব দায়িত্ব ও তথ্য প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসের কাছে হস্তান্তর করেন।
এর মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের কাজ চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাবি প্রশাসন।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়ন সংগ্রহ শুরু আজ
দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদসহ অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক, সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাগণ এবং কলেজের অধ্যক্ষগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
১১২ দিন আগে
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়: ৪০ শতাংশ অনলাইনে, ৬০ শতাংশ ক্লাস হবে সশরীরে
ঢাকা মহানগরীর সরকারি সাত কলেজের জন্য প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ শতাংশ ক্লাস হবে অনলাইনে, আর বাকি ৬০ শতাংশ ক্লাস সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে ঢাকা মহানগরীর সরকারি ৭ কলেজের জন্য প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সংক্রান্ত কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব মজিবর রহমান এ তথ্য জানান।
নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য ও পরিচালনাপদ্ধতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা হবে ইন্টারডিসিপ্লিনারি ও হাইব্রিড ধরনের, যেখানে ৪০ শতাংশ অনলাইন, ৬০ শতাংশ অফলাইন (সশরীরে) ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। সব ধরনের পরীক্ষা সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব শিক্ষার্থী প্রথম চারটি সেমিস্টারে নন-মেজর কোর্স অধ্যয়ন করবে। পরবর্তী চার সেমিস্টারে ডিসিপ্লিন অনুযায়ী মেজর কোর্স অধ্যয়ন করবে। তবে পঞ্চম সেমিস্টারে শর্তপূরণ সাপেক্ষে শিক্ষার্থী ইচ্ছানুযায়ী ডিসিপ্লিন পরিবর্তন করতে পারবে। তবে ক্যাম্পাস পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে না।’
কার্যক্রম হবে চারটি স্কুল ভিত্তিক
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনকার মতো একেকটি কলেজে সব বিষয় পড়াশোনা হবে না। এক বা একাধিক কলেজে স্কুলভিত্তিক ক্লাস হবে। সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে স্কুল অব সায়েন্সের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাস। স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের জন্য সরকারি তিতুমীর কলেজ, স্কুল অব বিজনেসের জন্য সরকারি তিতুমীর কলেজ, স্কুল অব ল অ্যান্ড জাস্টিসের জন্য কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ক্যাম্পাস নির্ধারণ করা হয়েছে।
সবার জন্য সুবিধাজনক স্থানে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস নির্ধারণ করা হবে বলে জানানো হয়। কলেজগুলোর বিদ্যমান উচ্চমাধ্যমিক অক্ষুণ্ণ থাকবে। শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারাও কলেজগুলোতে থাকবেন। তবে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের জন্য শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
এ বছরের মধ্যেই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধ্যাদেশ জারি হবে। তবে এবারের ভর্তি কার্যক্রম বিদ্যমান নিয়মেই হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সাত কলেজের
নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও যা থাকবে
একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাঠামো সম্পর্কে মজিবর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে একাডেমিক কাউন্সিল, সিনেট ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন প্রক্টর থাকবেন। এছাড়া প্রতিটি কলেজে একজন পুরুষ ও একজন নারী ডেপুটি প্রক্টর থাকবেন। অর্থাৎ ৭ কলেজে সর্বমোট ১৪ জন ডেপুটি প্রক্টর থাকবেন।
সাত কলেজের পাঁচটিতে আগের মতো উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় চালু থাকবে বলে ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান। স্নাতক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা টাইম, স্পেস ও রিসোর্স শেয়ারিং পদ্ধতিতে একই ক্যাম্পাস ব্যবহার করবে। কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে। প্রতি ডিসিপ্লিনে যৌক্তিকভাবে ছাত্রসংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রথম বর্ষেই ল্যাপটপ ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সব প্রশাসনিক কার্যক্রম (ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন, আবেদন ইত্যাদি) আইটি বেসড/ডিজিটাল সিস্টেমে সম্পাদিত হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা যেকোনো ধরণের অনুসন্ধান আইটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে। কলেজগুলোর প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়োগকর্তাদের বণ্টন করা হবে।
বাজেট গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনা হবে কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে। প্রতিটি কলেজে আধুনিক মানসম্পন্ন লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, মেডিকেল সেন্টার ও পরিবহন ব্যবস্থা থাকবে।
বিভিন্ন পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আগের বিদ্যমান একাডেমিক কাঠামো অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করবেন। অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সময়মতো পরীক্ষা নেওয়া, রেজাল্ট দ্রুত প্রকাশ করা ও সেশনজট কমাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব।
সাত কলেজের বর্তমান শিক্ষকদের কি হবে?
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন খান বলেন, ‘কলেজের যে মৌলিক বৈশিষ্ট্য, সেখানে আমরা কোনো পরিবর্তন আনছি না। কলেজ কলেজের জায়গায়ই থাকবে। কলেজের শিক্ষকরা কলেজেই থাকবেন। বিদ্যমান কাঠামোয় কলেজের শিক্ষকরাই পাঠদান করবেন। যখন বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো কলেজের কাঠামোর সঙ্গে একীভূত থাকবে না। তখন নিয়োগ হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যে যোগ্যতা বলে নিয়োগ দেওয়া হয় সেই অনুযায়ী। কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় আসতে চান, যারা যোগ্য আছেন তারা সাধারণ যে প্রক্রিয়া আছে, সে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন।’
ঢাকা মহানগরীর ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ এবং সরকারি বাঙলা কলেজ দেশের সব সরকারি ডিগ্রি কলেজের সঙ্গে ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি পায়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোতে একাডেমিক ও প্রশাসনিক নানা জটিল সংকটের সৃষ্টি হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বিদ্যমান সংকট নিরসনে ২০১৭ সালে সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তির পর সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে একটি নতুন স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে কলেজগুলোকে পরিচালনার দাবি জানায়।
আরও পড়ুন: সাত কলেজ নিয়ে যৌক্তিক সমাধান আসবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান
শিক্ষার্থীদের দাবির পরপরই গত বছরের ২৪ অক্টোবর ‘সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি পর্যালোচনা ও সুপারের সংক্রান্ত কমিটি’ গঠন করা হয়। উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে সাত কলেজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রস্তাব সম্বলিত প্রতিবেদন প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
সংবাদ সম্মেলনে ইউজিসি চেয়ারম্যান এস এম এ ফায়েজ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন খান, সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসক ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১২৩ দিন আগে
সাত কলেজ সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান ইউজিসির
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রস্তাব বিষয়ে একটি অফিস নোট অনুমোদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার যৌক্তিকতা পাচ্ছে না সরকার: সিনিয়র সচিব
কলেজগুলো হচ্ছে- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ।
একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে সর্বসাধারণের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করা হচ্ছে। পরবর্তী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে [email protected] (ইমেইল আইডিতে) নাম প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে বলে অফিস নোটে উল্লেখ করা হয়েছে।
২৮৯ দিন আগে
ঢাবি-সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ অনাকাঙ্ক্ষিত: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গতকাল সংঘর্ষের ঘটনা বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এগুলোতো অনাকাঙ্ক্ষিত। এগুলো এড়িয়ে চলার জন্য আমরা আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করব।'
আরও পড়ুন: ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে: আইন উপদেষ্টা
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যা করলে এটা সমাধান হবে, সেটা করার চেষ্টা করব।'
৩১১ দিন আগে
ঢাবির অধীন থাকছে না সাত কলেজ: উপাচার্য
সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে ঢাবি প্রশাসন এবং উপাচার্যের এক জরুরি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না সাত কলেজ। একটি সম্মানজনক পৃথকীকরণ প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পূর্ববর্তী সব সিদ্ধান্ত বাতিল করে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নতুন করে আর কোনো ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভাসূত্র জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত সাত কলেজের সকল কার্যক্রম পরিচালনার জোর সুপারিশ করা হয়েছে। এই কমিটি যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, সেভাবেই পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কমিটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পূর্ণ সহযোগিতা করবে।
‘এছাড়াও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আসন সংখ্যা এবং ভর্তি ফি বিষয়ক সব সিদ্ধান্ত এ কমিটি থেকে গ্রহণ করা হবে। সাত কলেজের যেসব শিক্ষার্থীর বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান আছে, তাদের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে। যাতে তাদের শিক্ষা জীবন ক্ষতির মুখে না পড়ে।’
আরও পড়ুন: জাতীয়করণের দাবি: শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকরা
এর আগে ছয় দফা দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সরকারকে ৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। বিকাল ৪টার মধ্যে দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
গেল রাত থেকে নিউমার্কেট, নীলক্ষেত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে সাংবাদিক-শিক্ষার্থীসহ ৪০ জনের উপরে আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা গেল রাতের ঘটনায় ঢাকা কলেজ শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে ৬ দফা দাবি পেশ করেছেন, যার প্রথম দফায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরো সংঘাতের দায় নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মামুন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
গত রাতের সংঘাতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাকিব গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাসহ ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর নিউমার্কেট থানা পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় থানার এসি, ওসিসহ জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাত কলেজের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সম্পর্কের চূড়ান্ত অবসান ঘটিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সংঘাতের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ইডেন কলেজ এবং বদরুন্নেসা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গির অভিযোগ তুলে বিচার দাবি করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষার্থী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ইউজিসি সদস্য এবং ঢাবি ভিসির সমন্বয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি টিমের সঙ্গে তাৎক্ষণিক মিটিংয়ের মাধ্যমে এ ঘটনার সমাধান দাবি করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এলাকার সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
৩১২ দিন আগে
সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের
সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল ও ছাত্রীদের জন্য নতুন হল নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এই বিক্ষোভ করেন তারা।
আরও পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের নারীমূর্তিতে হিজাব: ঢাবির তদন্ত কমিটি গঠন
বিক্ষোভকারীরা জোর দিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা উভয়ই অধিভুক্তিকে সমর্থন করেন না।
দাবি মানা না হলে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়াসহ আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার সময়ও বেধে দেন আন্দোলনকারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক রায়হান ফেরদৌস বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অধিভুক্তি প্রত্যাহার চায়।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী হলেও তাদের মাত্র পাঁচটি আবাসিক হল রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ৭টি কলেজের জন্য নতুন প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের নেওয়া উচিত। তিনি জোর দেন যে তারা ৭টি কলেজের অধিভুক্তি সমর্থন করে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নুসরাত ইমরোজ বৈধ আসন পাওয়ার আগে দুই বছর ঘনরুমে থাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মাস্টার্সের কিছু শিক্ষার্থী এখনো গণরুমে অবস্থান করছে। তিনি বলেন, বাজেট স্বল্পতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন হল নির্মাণ করতে পারছে না, কিন্তু কীভাবে তারা ৭টি কলেজের জন্য নতুন প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করতে পারে।
তিনি বলেন, তারা জরুরি ভিত্তিতে ৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি জানান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনে নতুন স্থাপনা নির্মিত হলে তা ছাত্রীদের জন্য হওয়া উচিত।
প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে।
এটির জনগুরুত্ব স্বীকার করে, সরকার ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী এবং মূল অংশীজনদের সঙ্গে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে একটি জরুরি বৈঠক করতে সম্মত হয়েছে। সম্ভবত আগামী রবিবার বৈঠকটি হবে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা কমিটি বাতিলের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
৩৯৮ দিন আগে
সাত কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ও ট্রাক ধর্মঘটের প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন সরকারি ব্যাংকে চাকরি প্রত্যাশীরাও। এতে এ মহাসড়কে শুক্রবার প্রায় এক ঘণ্টার মতো যান চলাচল বন্ধ থাকে।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জড়ো হয়ে সড়কের উভয় প্রবেশপথ অবরোধ করলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গণপরিবহন ধর্মঘটের কারণে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছাতে অসুবিধা হওয়ায় তারা সড়ক অবরোধ করেন। এরপর একই কারণে তাদের সঙ্গে সরকারি ব্যাংকে চাকরি প্রত্যাশীরাও যোগ দেন।
আবরার হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য শুক্রবার ভোরে আমি বাড়ি থেকে বের হই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পৌঁছার পর অটোরিকশা চালককে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়েছে। তিনি আমাকে সাভার বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেন। এখানে এসে দেখতে পাই আমার মতো অনেক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বাসের অপেক্ষা করছে।’
আরও পড়ুন: ১১ দফা দাবিতে বিএম কলেজ অচলের হুমকি শিক্ষার্থীদের
তাসনিয়া রহমান নামে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আমি একটা প্রাইভেট কার ভাড়া করি। কিন্তু বিক্ষোভের কারণে শিমুলতলি এলাকায় আটকে পড়ি।’
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, পুলিশের হস্তক্ষেপে সকাল ৯টা থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে পরিবহন মালিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের গণপরিহন ও পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘটের ফলে শুক্রবার সারাদেশে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ঢাকার বিভিন্ন টার্মিনাল থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী যানবাহন ছেড়ে যায়নি।
আরও পড়ুন: ৫৯৪ দিন পর ক্লাসে ফিরলো কুবির শিক্ষার্থীরা
ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখনও নিশ্চিত না: শিক্ষামন্ত্রী
১৪৯১ দিন আগে
সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের
ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধীন থেকে সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
২২৫৮ দিন আগে