লন্ডভন্ড
মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড দোয়ারাবাজার, ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ৫০ গ্রাম
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর বিধ্বস্তসহ সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
আধঘণ্টা ধরে চলা এই ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রামের প্রচুর গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে।
ঝড়ে উঠতি বোরো ফসলসহ বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে ঘরের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় অনেকে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের লামাসানিয়া, পরমেশ্বরীপুর, দলেরগাঁও, বাতলারটেক, বীরসিংহ, রাখালকান্দি, টেবলাই, মাইজখলা, বড়বন্দসহ অন্যান্য ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে সদর ইউনিয়নের লামাসানিয়া উত্তপাড়া গ্রামে প্রচুর বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকা বোরো ফসলের।
২২১ দিন আগে
প্রোটিয়া বোলিং তাণ্ডবে লন্ডভন্ড শ্রীলঙ্কা
পিচ বিশ্লেষকদের দাবি ছিল স্লো উইকেট। তবে গতির বাজিতে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের মাত করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। তাদের বোলিং আক্রমণের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন হাসারাঙ্গা অ্যান্ড কোং।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। তবে প্রোটিয়া বোলিং তাণ্ডবে মাত্র ৭৭ রানেই অলআউট হয়ে গেছে তারা। ফলে ৭৮ রানের লক্ষ্য পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের সামনে শ্রীলঙ্কার কোনো ব্যাটারই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।
ইনিংসের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের দানবীয় গতি সামলে রান বের করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল তাদের। এরই মধ্যে চতুর্থ ওভারে বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া অটনিয়েল বার্টম্যানের হাতে বল তুলে দেন মার্করাম। ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই সাফ্যলের দেখা পান তিনি।
বার্টম্যানের প্রথম ডেলিভারিতে সজোরে ব্যাট চালিয়ে বল সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছিলেন নিশাঙ্কা। তবে উপরের কানায় লেগে তা ডিপ থার্ড ম্যান অঞ্চলে চলে যায়। সেখান থেকে বলটি তালুবন্দি করেন ক্লাসেন। নিশাঙ্কা ৮ বল মোকাবিলা করে ৩ রান করে ফিরলে ১৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
এরপর শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা উইকেটে কিছুক্ষণ থিতু হলেও অষ্টম ওভারের শেষ বলে নিজের প্রথম ওভারে সাফল্যের দেখা পান নর্টকিয়াও। প্যাডের দিকে আসা ডেলিভারিটি ঘুরিয়ে স্কয়ার অঞ্চল দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় রিজা হেনড্রিকসের হাতে ধরা পড়েন কামিন্দু মেন্ডিস।
আরও পড়ুন: যেসব ভেন্যুতে আয়োজিত হচ্ছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ
পরের ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে হাসারাঙ্গা ও সামারাবিক্রমাকে যথাক্রমে স্ট্যাম্পড ও বোল্ড করে শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার প্যাভিলিয়নে পাঠান কেশব মহারাজ। মাঝখানে এক ওভার গেলে দশম ওভারের শেষ বলে কুশল মেন্ডিসের উইকেট নেন ট্রিস্টান স্টাবস। দুই বল পরে আসালঙ্কাকে ফেরান নর্টকিয়া।
মাত্র ৪৫ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে চোখে সর্ষের ফুল দেখা শুরু করেন লঙ্কান ব্যাটাররা। তবে আক্রমণের ধার কমাননি মার্করাম।
এরপর দলীয় ৬৮ রানে দাসুন শানাকা ও ৭০ রানে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস সাজঘরে ফিরলে ইনিংসের সমাপ্তি টানা ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। পরে দুই ওভারে এক রান নেওয়ার পর আউট হন থিকশানাও। শেষ ওভারের প্রথম বলে নুয়ান তুশারা রান আউট হলে ৭৭ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
দলের হয়ে কুশল মেন্ডিসের ১৯ রানের ইনিংসটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। তিনি ছাড়া আর দুজন কেবল নিজেদের রান দুই অঙ্কে নিতে পেরেছেন।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন নর্টকিয়া। কেশব মহারাজ ও কাগিসো রাবাদা নিয়েছেন দুই করে উইকেট।
একইসঙ্গে অভিষিক্ত বার্টম্যানের কথা না বললেই নয়। প্রোটিয়াদের হয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের প্রথম বলেই উইকেট নেয়া এই বোলার চার ওভারে একটি মেইডেনসহ মাত্র ৯ রান খরচ করেছেন।
আরও পড়ুন: টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কার
৫৪৯ দিন আগে
১২ মিনিটের ঝড়: শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু, লন্ডভন্ড ২০টি গ্রাম
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১০-১২ মিনিটের ঝড় ও ভারী বৃষ্টিতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঝড়ে দুই নারী ও পানিতে ডুবে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়।
এছাড়া লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দুটি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম। উড়ে গেছে কাঁচা বাড়িঘরের টিনের চালা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক পরিবার।
শনিবার (০১ মে) ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে আগুন: তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল
নিহতরা হলেন, উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের শালডাঙ্গা গ্রামের পইনুল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা বেগম, একই গ্রামের জাহেদা বেগম ও লালাপুর নয়াপাড়া গ্রামের নাজমুল ইসলামের আড়াই বছরের ছেলে নাঈয়ুম।
নিহত ফরিদা বেগমের স্বামী পইনুল ইসলাম বলেন, সকালে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে মসজিদে থাকা অবস্থায় ঝড় শুরু হয়। বাড়িতে ছুটে এসে স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে ডাকাডাকি শুরু করি। পরে বাতাসে উড়ে এসে পড়া টিনের ছাউনি সরিয়ে দেখি নিচে চাপা পড়ে আছে স্ত্রী। উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জাহেদা বেগমের স্বামী দবিরুল ইসলাম বলেন, ঝড়ের সময় বারান্দায় বসে ছিলেন জাহেদা। মেঘের গর্জন আর ঝড়ে গাছপালা উড়তে দেখে বারান্দাতেই মারা যান জাহেদা। জাহেদা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ঝড়ের সময় ভয়ে স্ট্রোক করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত নাঈয়ুমের বাবা নাজমুল ইসলাম বলেন, বাড়ির পাশে গর্তে বৃষ্টির পানি জমেছিল। নাঈয়ুম সেখানে পড়ে মারা যায়।
এদিকে ঝড়ে পাড়িয়া ইউনিয়নের তিলকড়া, শালডাঙ্গা, বঙ্গভিটা, লোহাড়া, বামুনিয়াসহ ১২টি গ্রাম, বড়বাড়ী ইউনিয়নের বেলহাড়া, বেলবাড়ী, বটের হাট, হরিপুরসহ ৮টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বড়বাড়ী ইউনিয়নের আধারদিঘি বাজারে ৫টি দোকান এবং ২টি খাবার হোটেলের উপর গাছ ভেঙে পড়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও আমাদের লোকজন ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে কাজ করছে।
ঝড়ে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করে শোক প্রকাশ করেছেন ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন।
তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোতে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে আগুন: বৃহস্পতিবার পুড়ে যাওয়া এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছে তদন্ত কমিটি
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত সুন্দরবন
৫৫২ দিন আগে
কচুয়ায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়, লন্ডভন্ড অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি
চাঁদপুরের কচুয়ায় তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। এতে লন্ডভন্ড হয়েছে বিভিন্ন ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। এছাড়া ঝড়ে ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ঝড়ের স্থায়িত্ব কম হলেও কোথাও কোথাও বাতাসের বেগে ঘরবাড়ির ক্ষতির পাশাপাশি শতশত গাছপালা উপড়ে পড়েছে এবং ঘরের চাল উড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীর কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে শার্শার আম চাষীরা
রবিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ সদর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নের গ্রামের উপর দিয়ে এই কালবৈশাখী ঝড় ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে উপজেলার কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
লতিফপুর গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে সবকিছু লন্ডভন্ডসহ অনেকের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। শুধু তাই নয়, ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীর বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর স্বস্তি
৬১৯ দিন আগে
তিস্তার ‘ঝড়ো স্রোতে’ লন্ডভন্ড দহগ্রাম আঙ্গরপোতা
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ইউনিয়নের আয়তন ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে।
১৯৬৯ দিন আগে