টিসিবি
দর্শনা বন্দরে পৌঁছাল ১৬৫০ টন পেঁয়াজের প্রথম চালান
ভারত থেকে ৪২ ওয়াগনে আমদানি করা ১৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজের প্রথম চালান দর্শনা বন্দরে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিবি) এ মালামাল আমদানি করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পেঁয়াজের এই চালানটি দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দরে এসে পৌঁছায়।
দর্শনা আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিবির) ভারত থেকে যে পেঁয়াজ আমদানি করেছিল। তার প্রথম চালানটি রবিবার সাড়ে ৫টার দিকে ভারত থেকে রেলপথের মাধ্যমে দর্শনা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
তিনি আরও বলেন, মোট ৪২টি ওয়াগনে প্রায় ১৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। তবে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ভর্তি ওয়াগন দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দর থেকে ওই রাতেই সিরাজগঞ্জ বাজারে নেওয়া হবে।
তারপর ওয়াগন থেকে পেঁয়াজ খালাস করে দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।
দর্শনা পৌর মেয়র ও রেলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু বলেন, সরকার বিশেষ করে রমজান মাসে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশে পেঁয়াজ নিয়ে বরাবরের মতো যেন কেউ গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, কেউ যেন চড়া দাম হাঁকিয়ে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলে বিপুল অর্থ কামাতে না পারে, সেজন্যই সরকারের একটি সংস্থা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছে। তবে পর্যায়ক্রমে পেঁয়াজের আরও চালান আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রবিবার রাতেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ আমদানির জন্য ভারত থেকে অনুমোদন পেয়েছি, দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
টিসিবি কার্ডধারীদের তালিকা হালনাগাদ হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, টিসিবি কার্ডধারীদের তালিকা দেশব্যাপী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে হালনাগাদ হচ্ছে এবং আগামীতে টিসিবি ডিলারশিপ স্থায়ী করা হবে, যাতে মানুষকে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কষ্ট করতে না হয়।
তিনি বলেন, কার্ডধারীরা সুবিধাজনক সময়ে এসে পণ্য নিতে পারবে। বাজার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হবে। পণ্যের সরবরাহ লাইন ত্রুটিমুক্ত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৭মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার পলিটেকনিক মাঠে 'দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম-মার্চ ২০২৪' উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রপ্তানিতে নতুন পণ্য বাছাইয়ে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী টিটু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের দিন আজ, যে ভাষণে বঙ্গবন্ধু জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। জাতির পিতার ভাষণটি আজ বিশ্বের ঐতিহাসিক দলিল।
চিনির প্রসঙ্গে সাংবাদিকের এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী জানান, 'টিসিবির চিনি আগের দামে বিক্রি হবে, দাম বাড়ানো হবে না। চিনির পর্যাপ্ত মজুত আছে। বাজারে চিনির কোনো সংকট হবে না।'
এসময় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, টিসিবির অতিরিক্ত পরিচালক আবুল হাসনাত চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার থেকে ভর্তুকি মূল্যে ৫টি পণ্য বিক্রি শুরু করবে টিসিবি
রমজান মাসকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে পাঁচটি পণ্য বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
ফ্যামিলি কার্ডসহ একজন সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি এবং ১ কেজি খেজুর কিনতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকা, চিনির দাম ১০০ টাকা, মসুর ডালের কেজি ৬০ টাকা, খেজুরের দাম ১৫০ টাকা এবং চালের দাম ৩০ টাকা কেজি।
টিসিবি এবার প্রতি কেজি চিনির দাম ৩০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করেছে, যা গত বছর ছিল ৬০ টাকা।
এ প্রসঙ্গে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির ইউএনবিকে বলেন, বাজারে দাম সমন্বয় করতে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে তুলনামূলক কম দামে চিনি বিক্রি করত টিসিবি। শেষবার তিন মাস আগে ডিলারদের কাছে চিনি সরবরাহ করা হলেও দাম কম ছিল। এখন বাজারে চিনির দাম অনেক বেড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
টিসিবি জানায়, সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী এ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন পরিবেশকরা।
ক্যাম্পেইন চলাকালে পরিবেশকদের দোকান বা নিজ নিজ এলাকায় নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন কার্ডধারীরা।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে রমজান বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
বেনাপোল বন্দরে ৬ দিন আটকে থাকার পর সোমবার রাতে খালাস করা হয়েছে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ। খালাস করার পর দেখো গেছে অধিকাংশ পেঁয়াজে পচন ধরেছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ জানান, গত ৫ ডিসেম্বর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতীয় ৩টি ট্রাকে করে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি করে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)। কিন্ত গত পাঁচ দিনেও খালাস না করায় পেঁয়াজের চালানে পচন ধরতে শুরু করে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় আজ বিকেলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস কাস্টমস হাউসে সাবমিট করে। পেঁয়াজের রাজস্ব পরিশোধ করে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন শেষে বন্দর কর্তৃপক্ষ আজ রাতে পেঁয়াজের চালানটি খালাস করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
বেনাপোলের কোয়ারেন্টাইন উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে টিসিবির আমদানি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো বেনাপোল স্থলবন্দরে ছয় দিন আটকে থাকার পর আজ রাতে ৯০ টন পেঁয়াজ খালাস করে দেওয়া হয়।
পেঁয়াজ নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার সন্তোস মণ্ডল জানান, পেঁয়াজের ট্রাক নিয়ে গত পাঁচ দিন বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকার পর আজ রাতে ভারতীয় ৩টি ট্রাক থেকে পেঁয়াজগুলো আনলোড করা হয়েছে।
বাংলাদেশি ৬টি ট্রাকে করে পেঁয়াজ খালাস করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে জানান পেঁয়াজ খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কনফিডেন্স এন্টারপ্রাইজের মালিক হাবিবর রহমান হাবু।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, গত ৬ দিন ধরে বন্দরে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ আটকে ছিল। আজ সোমবার রাতে পেঁয়াজের চালানটি খালাস করা হয়েছে। পেঁয়াজের চালান যথাসময়ে খালাস না করায় পচন ধরতে শুরু করেছে ।
আরও পড়ুন: সার কারখানা স্থাপন করে ভোলার গ্যাস ব্যবহার করা যায় কি না মূল্যায়ন করুন: প্রধানমন্ত্রী
বিটিআরসির চেয়ারম্যান হলেন মহিউদ্দিন আহমেদ
পিরোজপুরে ১৪০০ টন ডাল নিয়ে টিসিবির জাহাজ অর্ধনিমজ্জিত
পিরোজপুরে সন্ধ্যা নদীতে ১৪০০ টন মসুর ডালভর্তি এমভি স্কাই নামে টিসিবির একটি জাহাজ তলা ফেটে অর্ধনিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। রূপসা-১ নামে একটি জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) কাউখালীর সন্ধ্যা নদীতে জাহাজটি জরুরি নোঙর করেছে।
এমভি স্কাই জাহাজের মাস্টার মো. হান্নান জানান, ১৪০০ টন মসুর ডালভর্তি জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে যশোরের নোয়াপাড়া যাচ্ছিল। বরিশাল থেকে ছেড়ে ঝালকাঠির গাবখান নদীতে এলে রাত ১২টায় রূপসা-১ নামে অন্য একটি জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এরপর এমভি স্কাই কিছুদূর আসার পরে বুঝতে পারে তাদের জাহাজের তলা ফেটে গেছে।
তিনি আরও বলেন, পরে অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় জাহাজটি পিরোজপুরের কাউখালীতে সন্ধ্যা নদীর লঞ্চঘাট এলাকায় থেমে থাকা আরেকটি জাহাজের সঙ্গে এসে নোঙর করে।
দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে কাউখালী থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালাতে চাইলে জাহাজ কর্তৃপক্ষ অভিযান চালাতে দেয়নি।
পরে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামে জাহাজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা জানায় অন্য একটি মালবাহী জাহাজ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাল উদ্ধার করবে।
আরও পড়ুন: পশুর নদীতে সিমেন্টের ক্লিংকারবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, ঘটনাটি শোনার পরপরই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি পরির্দশন করেছেন।
তিনি জাহাজ কর্তৃপক্ষ ও মালামালের মালিক দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, জাহাজটি উদ্ধারের জন্য বিআইডব্লিউটিসির উদ্ধারকারী জাহাজকে খবর দেওয়া হয়েছে। নিরাপদে ও দ্রুত জাহাজের মালামাল খালাস করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজম্ব) মোহাম্মদ আমীনুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তলা ফেটে মেঘনায় সিমেন্টের কাঁচামালবাহী জাহাজ, ১২ স্টাফ উদ্ধার
ভাসানচরে দুর্ঘটনার কবলে কন্টেইনারবাহী জাহাজ
আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে অর্ধেক দামে ডাল-তেল, আলু-পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ভেক্তাদের স্বস্তি দিতে ফ্যামিলি কার্ডের বাইরেও রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ৪টি পণ্য টিসিবির ট্রাকে বিক্রি করা হবে।
সেগুলো হচ্ছে- মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, আলু ও পেঁয়াজ। এসব পণ্য বর্তমান বাজারমূল্যের চেয়ে প্রায় অর্ধেক দামে মিলবে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব।
আরও পড়ুন: আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিসিবির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্য সচিব বলেন, টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে ঢাকায় ১৩ লাখ পরিবারকে ন্যায্য মূল্যে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) থেকে ঢাকায় ২৫ থেকে ৩০টি ট্রাকে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এতে নতুন করে আরও ৯ হাজার পরিবার যোগ হবে। প্রতিটি ট্রাকে ৩০০ জন এসব পণ্য পাবে। শুক্রবার ও শনিবার বাদে প্রতিদিন বিক্রি হবে। তবে বিভিন্ন দিন বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হবে।
পরে সব দিনই এই কর্মসূচি চলবে উল্লেখ করে সচিব বলেছেন, একেক দিন ঢাকার একেক স্পটে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, এই সেলে যে কেউ ২ কেজি করে মসুর ডাল, আলু ও পেঁয়াজ এবং ২ লিটার সয়াবিন তেল নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আলু প্রতি কেজি দাম পড়বে ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা। তবে এই মুহূর্তে চিনি দেওয়া যাচ্ছে না। চিনি পাওয়া গেলে দেওয়া হবে।
তিনি জানিয়েছেন, যিনি আগে আসবেন তিনি আগে পাবেন, এই ভিত্তিতে এই ট্রাকসেল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আমদানি বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই ট্রাকসেলের পরিধি বাড়ানো হবে।
সচিব আরও বলেন, সরকার ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য দিচ্ছে। প্রতিটি পণ্য অর্ধেক দামে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের আওতাধীনরা যেন এই পণ্য না নেন, এই বিষয়টি নিশ্চিতে তদারকি করা হবে।
বৈশ্বিক অবস্থা ও ডলারের বিনিময় হারের দাম বেড়ে যাওয়ায় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে বলে দাবি করেন বাণিজ্য সচিব।
আরও পড়ুন: টিসিবির স্মার্ট কার্ড স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
তবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১০ হাজার ৯৫ টন আলু আমদানি হয়েছে। ২ লাখ টন আলুর আইপি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
ডিম আমদানি নিয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ২৫ কোটি ডিম অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিপরীতে ৬২ হাজার ডিম আমদানি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ডিম আমদানি না, ডিমের দাম কমানো। দাম কমে গেলে আমদানি কম হলেও অসুবিধা নেই। তবে বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আলু ও ডিম আমদানি হবে।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ডিম ও আলু আমদানি হওয়ায় উল্লেখযোগ্য ফল আমরা পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা গেছে, কোল্ড স্টোরেজ থেকে ২৭ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হবে। জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কোল্ডস্টোরেজ থেকে আলু বের হবে।
টিসিবি কার্ডধারীদের এখন আলু দেওয়া হবে না জানিয়ে বাণিজ্য সচিব বলেন, কারণ জেলা প্রশাসকরা সোমবার (১৩ নভেম্বর) থেকে সরকারি দামে অর্থাৎ ৩৬ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি নিশ্চিত করবে।
সচিব আরও বলেন, তেল, চিনি, ডাল, আলু এসব পণ্য আমদানি করতে যেন ডলারের সমস্যা না হয় সরকারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে- একজন ভোক্তা মাসে একবারই এ ট্রাকসেল থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। এই বিষয়টি নিশ্চিতে একেক দিন ঢাকা শহরের একেক স্থানে এই পণ্য বিক্রি করা হবে।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচির জন্য সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে টিসিবি
টিসিবির স্মার্ট কার্ড স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) স্মার্ট কার্ড স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, টিসিবির ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অসামঞ্জস্য দূর হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মালিবাগে দেশব্যাপী ১ কোটি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ এবং চলতি মাসের চালসহ টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সারাদেশে বিনামূল্যে এই স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে উল্লেখ করে কার্ড পেতে কার্ডধারীদের আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
টিপু মুনশি বলেন, শেখ হাসিনা গরিব-দুঃখী, অসহায় মানুষ যারা দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করেন তাদের কথা বিবেচনা করে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড অর্থাৎ পাঁচ কোটি মানুষকে কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশে যে পরিমাণ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে তার চেয়েও বেশি মানুষকে সরকার ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ডিম ও আলু আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ডিমের একটি চালান দেশে আসার পর সরকার থেকে যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তার চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি আলু-পেঁয়াজসহ অন্যান্য শাক-সবজির বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচির জন্য সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে টিসিবি
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের দাম নির্ভর করে দেশের উৎপাদনে উপর। এখন পেঁয়াজের শেষ সময়। আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে ঘাটতি পূরণ করে থাকি। কিন্তু ভারত রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে প্রথমে ৪০ শতাংশ ট্যারিফ আরোপ করে। এর কিছুদিন পরেই প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য আট শো ডলার নির্ধারণ করে। যাতে করে আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে বাজারে দাম বেশি।
ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরেও চালান আসতে দেরি হওয়ার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ডিম আমদানির ক্ষেত্রে আমরা বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছিলাম বিশেষ করে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সনদ নিতে হবে। এসব শর্ত পূরণে কিছু আইনি জটিলতা থাকায় দেশে চালান আসতে দেরি হয়েছে।
টিপু মুনশি জানান, ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে এবং মানুষ কষ্ট পাচ্ছে এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ দেশের মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে হবে এবং আমরা সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি।
বৈশ্বিক কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভীষণ দুঃসময় পার করতে হচ্ছে। এরমধ্যেই বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে অসাধু চক্র। রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
এসময় টিসিবির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মামুন রশিদ শুভ্র উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিসিবির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে টিসিবির পণ্য বিক্রি
ওএমএস কর্মসূচির জন্য সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে টিসিবি
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তাদের উন্মুক্ত বাজারে বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচির জন্য বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে। একই সঙ্গে স্থানীয় চাহিদা মেটাতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সার আমদানি করবে বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।
রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলা আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব
বুধবার (৮ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু প্রস্তাবসহ এ সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, টিসিবি ইন্টারন্যাশনাল ডাইরেক্ট পারচেজ মেথডের (ডিপিএম) আওতায় গ্রিন নেশন বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেভেলপারস, ইন্ডিয়া (লোকাল এজেন্ট: এনএস কনস্ট্রাকশন, ঢাকা) থেকে ১৪০ দশমিক ৯৯ টাকা দরে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করবে। এতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৬৯ টাকা।
ভারতের উমাএক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড (লোকাল এজেন্ট: স্পিড মার্কেটিং করপোরেশন, ঢাকা) থেকে ৯৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ হাজার টন মসুর ডাল আমদানি করা হবে এবং বিঅ্যান্ডসি ইনকরপোরেশন ও সেনা কল্যাণ সংস্থা থেকে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ১৫ হাজার টন মসুর ডাল আমদানি করা হবে। এগুলোর প্রতি কেজির দাম পড়বে ১০০ টাকা
শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, বিসিআইসি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ১২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার এবং কাতারের মুনতাজাত থেকে ১২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া আমদানি করা হবে।
পেট্রোবাংলা ৭১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সুইজারল্যান্ডের টোটালএনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ ধারণ ক্ষমতার একটি কার্গো লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমলো
ওএমএস-এর জন্য ২.২০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে টিসিবি
আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিসিবির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ১ কোটি পরিবারের কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, টিসিবির কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী মাস (অক্টোবর) থেকে স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু করা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্র মাঠ টিসিবি আয়োজিত ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সব দেশেই পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। বিশেষ করে তেল, চিনিসহ অন্যান্য আমদানি করা পণ্যের।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই এসব পণ্যের দাম বাড়ে। ভোজ্যতেল ও চিনির প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়। মসুর ডাল আমদানি করতে হয়। এজন্য এসব পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করতে হয়।
টিসিবির কার্ড বাড়ানো যাবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, কার্ড পাওয়া বা দেওয়ার মতো যোগ্য মানুষ পাওয়া যায় তাহলে বিবেচনা করা হবে। তবে এই মুহূর্তে আমরা ১ কোটির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে টিসিবির পণ্য বিক্রি
তিনি আরও বলেন, ১ কোটি পরিবার কার্ড মানে প্রায় ৫ কোটি উপকারভোগী। কারণ একজন কার্ডধারীর পরিবারে গড়ে ৫ জন থাকলেও সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৫ কোটি হবে।
এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, আমাদের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ছিল ৫০ লাখ কার্ড করার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন সংখ্যাটি ১ কোটি করতে। নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ১ কোটি পরিবার কার্ড করেছি।
অনুষ্ঠানে টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান এবং টিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীরা তেল-ডাল-চিনির সঙ্গে ৫ কেজি চালও পাবেন
জুলাই থেকে ১ কোটি টিসিবি কার্ডধারী পরিবার পাবে ৩০ টাকায় ৫ কেজি চাল
টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীরা তেল-ডাল-চিনির সঙ্গে ৫ কেজি চালও পাবেন
দেশব্যাপী তেল, চিনি ও ডালের সঙ্গে রবিবার (১৬ জুলাই) থেকে জনপ্রতি ৫ কেজি চালও কিনতে পারবেন টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীরা।
রবিবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে ১ কোটি পরিবারকে সেবা দেওয়া শুরু করবে টিসিবি
এ কর্মসূচিতে ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের মধ্যে ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। দেশব্যাপী এ কার্যক্রমে টিসিবির ডিলারগণ নির্ধারিত দিন ও সময়ে বিতরণ করবেন।
একজন কার্ডধারী ২০০ টাকা ২ লিটার সয়াবিন তেল, ১২০ টাকায় ২ কেজি মসুর ডাল, ৭০ টাকায় ১ কেজি চিনি এবং ১৫০ টাকায় ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের পর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এতে সারা বিশ্বে নিত্যপণ্যের পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়ে।
এই অবস্থা থেকে দেশের নিম্ন আয়ের মানুষকে সহযোগিতার জন্য এক কোটি পরিবারের মধ্যে স্বল্পমূল্যের পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এছাড়াও সরকারের ওএমএস, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও জেলেদের জন্য বিশেষ খাদ্য সহায়তা চলমান আছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বছরে প্রায় ৩০ লাখ মেট্রকিটন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়। এর সঙ্গে ১ কোটি টিসিবির কার্ডধারীদের বছরে ৬ লাখ মেট্রিকটন চাল দেওয়া হলে বাজারের ওপর চাপ কমবে-চাল উদ্বৃত্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: জুলাই থেকে ১ কোটি টিসিবি কার্ডধারী পরিবার পাবে ৩০ টাকায় ৫ কেজি চাল
রমজানকে সামনে রেখে টিসিবির ৫টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু