গোয়েন্দা সংস্থা
বিডিআর বিদ্রোহ: গোয়েন্দা সংস্থার চরম ব্যর্থতার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিশন
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমান বলেছেন, ২০০৯ সালের ২৫ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারির বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় তৎকালীন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চরম অবহেলা এবং সময়মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যর্থতার কথা কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় নতুন ভবনে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিদ্রোহ চলাকালে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো নিষ্ক্রিয় ছিল, যার সুযোগে হত্যাকাণ্ডসহ ভয়াবহ অপরাধ সংগঠিত হয়।
কমিশনের তথ্যমতে, তদন্তে এখন পর্যন্ত ১৫৮ জন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তির সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আরও প্রায় ৫০ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার কথা রয়েছে। এরমধ্যে তদন্তের খসড়া প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, যা কমিশনের সদস্যরা পর্যালোচনা করছেন।
এ ছাড়া, বিদেশি দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। এজন্য চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমার সময় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘মিলিটারি অ্যাকশন শুরু হলে এত বড় প্রাণহানি, নৃশংসতা ও সহিংসতা এড়ানো যেত। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছেও বিদ্রোহের আগে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল, কিন্তু তারা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তহীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের অজুহাত দিয়ে প্রয়োজনীয় সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ সময় গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতার পাশাপাশি তৎকালীন দুটি তদন্ত কমিশনের কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তিনি।
তিনি বলেন, “বিদ্রোহের প্রকৃত রহস্য আড়াল করতে পুরনো দুটি তদন্ত কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনাটিকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া কয়েকটি বক্তব্যে বিদ্রোহের সঙ্গে বিদেশি সংশ্লিষ্টতার বিষয় উঠে এসেছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
২০০৯ সালের ২৫ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে সংঘঠিত বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন, যা দেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।
ওই ঘটনার পর হত্যা ও বিস্ফোরণ আইনে করা মামলায় ১৩৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। এ ছাড়া, আরও অন্তত ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
১৬২ দিন আগে
‘গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ব্যাংক থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা’
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান মনসুর অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা শেখ হাসিনার শাসনামলে ব্যাংক খাত থেকে ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার পাচার করেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, দেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) সদস্যরা বড় ব্যাংকগুলো দখলে সহায়তা করেছে। যার ফলে বাংলাদেশ থেকে নিয়মিতভাবে অর্থ পাচার হয়েছে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, নতুন শেয়ারহোল্ডারদের ঋণ ও আমদানি চালান বাড়ানোর মতো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা বা ১ হাজার ৬৭০ কোটি ডলার উত্তোলন করা হয়েছে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ব্যাংক ডাকাতির এটাই সবচেয়ে বড় ঘটনা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যাংকের সিইওদের বাধ্য করার জন্য চাপ না দিলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই জালিয়াতি সম্ভব হত না।
আরও পড়ুন: ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বৈধ চ্যানেলে ১.৯৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে
শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অন্তত এক হাজার কোটি ডলার 'পাচার' করা হয়েছে। আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘প্রতিদিন তারা নিজেরাই নিজেদেরকে ঋণ দিচ্ছিলেন।’
তবে আইনি প্রতিষ্ঠান কুইন ইমানুয়েল উরকুহার্ট অ্যান্ড সুলিভানের মাধ্যমে এস আলম গ্রুপ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে একে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছে। গ্রুপটির বিবৃতিতে বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অভিযানকে যথাযথ প্রক্রিয়ার লঙ্ঘন হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের আস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলাকে ক্ষুণ্ণ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান এবং তার বর্তমান অবস্থান জানা যায়নি। তার শাসনামল ভোট কারচুপি, বিরোধী দলের দমন-পীড়ন এবং ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত। নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার প্রশাসনের অধীনে আত্মসাতের অভিযোগ আনা তহবিল পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আহসান এইচ মনসুর জানান, শেখ হাসিনার সহযোগীদের বৈদেশিক সম্পদের তদন্তে তিনি যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছেন।
তিনি বলেন, তার শাসনামলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বন্দুকের মুখে সাইফুল আলমের কাছে শেয়ার বিক্রি করতে বাধ্য করেছিল। তারা বোর্ড সদস্যদের বাড়ি থেকে 'অপহরণ' করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একের পর এক ব্যাংক একই জবরদস্তিমূলক পন্থায় অধিগ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে ১৯ দিনে ১.৫৫৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
৪০২ দিন আগে
অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রবেশ রোধে অভিযান পরিচালনা করা হবে: মোজাম্মেল হক
অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করতে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে প্রচুর অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ আসছে। অবৈধ অস্ত্র অভিযান চালিয়ে ধরা হবে। যে এরিয়াতে চোরাকারবারী থাকবে, শুধু সেখানেই অভিযান চালানো হবে। শুধু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হবে।’
রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ: মোজাম্মেল হক
এসময় তিনি বলেন, অনেকে বন্দুকের জাল লাইসেন্স বানিয়ে নিয়েছে। এসব ফেক লাইসেন্স যাচাই বাছাই করা হবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেসব এনজিও কাজ করছে, তাদের বিষয়টি দেখা হবে। তাদের স্টাফদের বেতন দেয়ার বাইরে অর্থ দিয়ে কি করছে। অভিযোগ রয়েছে উগ্রপন্থী ও টেররিস্টদের অর্থায়ণ করা হচ্ছে। উগ্রবাদীদের অর্থায়ন করার বিষয়টি সঠিক কি না দেখা হবে।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা এ দেশ থেকে যেতে চায় না। এজন্য তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি ক্যাম্পে যে মারামারি-হানাহানি সৃষ্টি হয় সেসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে। এজন্য এমটিএমসির সদস্যদের মিটিংয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন এনজিও কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা কত টাকা পেলো তার স্টেটমেন্ট দিতে হবে। একই সঙ্গে কত টাকা রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় করে এবং কত টাকা কর্মকর্তাদের জন্য ব্যয় হয় সে হিসেব দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য কতো টাকা আসলো সেটা বিভিন্ন পত্রপত্রিকাতে দেখি। সেখানে একজন রোহিঙ্গা ১২ ডলার করে পায়। এরপর কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাদে কিছু খরচ করে কিনা। কারণ অভিযোগ আছে তারা উগ্রবাদীদের অর্থায়ন করে। সেটা পরিস্কার হওয়ার জন্য এটা লাগবে। আইনানুগভাবে যেটা সম্ভব তাদের হিসেব পত্র জানতে চাওয়া।
আরও পড়ুন: তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নেবে সরকার: মোজাম্মেল হক
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যারা ফান্ডিং করে তাদের কাছে হিসাব চাওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। আমাদের সচেতনার জন্য আমরা তাদেরকে জানিয়েছি যে, যেসকল টাকা দেয়া হয় তার সঠিক ব্যবহার হলে সবাই উপকৃত হবে। যে ফান্ড আসে সেটা ১২ লাখ দিয়ে ভাগ দিলে বেরিয়ে যায়। এরমধ্য থেকে ২৫ শতাংশ তাদের (এনজিওগুলোর) বিভিন্ন ব্যয় রয়েছে সেটা বাদ দেন, তাহলেতো মূল কতো টাকা দেয়া হচ্ছে তা বেরিয়ে যাবে। বাকি ৭৫ ভাগ টাকা রোহিঙ্গাদের কাজে ব্যয় হয় কিনা সেটা তদন্ত করে দেয়ার জন্য হিসাব চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে আমরা ব্যর্থ। আইনশৃঙ্খলা কমিটি বার বার চেষ্টা করেছে। যারা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নানা চ্যানেলকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে তারা তেমন কোন সাড়া দেয় না। তার প্রধান কারণ হিসেবে আমরা ধরেছি, তাদের কোন হেড অফিস না থাকাতে আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ সেভাবে করতে পারি না।
তিনি বলেন, তাই আমরা চাই এইসকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অফিস বাংলাদেশে স্থাপিত হোক। যাতে আমরা প্রচলিত আইনের মধ্যে থেকে মিথ্যাচার নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
তিনি বলেন, আমাদের পাশের দেশ ভারতে এসব চ্যানেলের অফিস আছে, সেখানে কোন অন্যায় হলে জবাবদিহি করতে হয়। অথচ আমাদের দেশে ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে মিথ্যাচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। যদি তাদের অফিস থাকতো তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যেতো। কিন্তু সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমরা চাই এইসকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অফিস বাংলাদেশে স্থাপিত হোক।
মাদক গোটা জাতির জন্য শঙ্কার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদক কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে মাদক ব্যবসায়ী, সেবনকারী ও পাচারকারীদের তালিকা করে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছেন। সেসকল তালিকা ক্রস চেক করা হবে। তারপর আমরা একটি স্থায়ী তালিকা করবো। সব সংস্থা আলাদা আলাদা তালিকা করবে, পরে সমন্বয় করা হবে। তবে এই তালিকা প্রকাশ করা যাবে না।
২১ ফেব্রুয়ারির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ২১ ফেব্রুয়ারি পালন করা হয়। এখানে রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার অনুসারে বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য সেফটি সিকিউরিটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য কমিশনারকে বলা হয়েছে। তারা যাকে সুন্দরভাবে শহীদবেদিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে পারেন। এসময় যেন অতিরিক্ত ভিড় না হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না:মোজাম্মেল হক
মন্ত্রী বলেন, দেশে এখন আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক আছে। এজন্য আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আত্মরক্ষার জন্য মারমুখী হয়ে থাকবে বলে আমাদের জানিয়েছেন। এরপ্রেক্ষিতে আমরা বলেছি এগুলোর প্রমাণসহ জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে। এবিষয়ে তাদেরকে সচেতন করে দেয়া হয়েছে। তারা যাতে এমন কোন কিছু না করে যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
১০১৯ দিন আগে
আরও ১০দিন ইডির হেফাজতে থাকবেন পিকে হালদার
কলকাতার একটি বিশেষ আদালত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে থাকার মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়িয়েছে।
যদিও ইডি হালদারকে ‘জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য’ আরও দুই সপ্তাহ চেয়েছিল,তবে মঙ্গলবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালত সংস্থাটিকে ১০ দিন সময় দেয়।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে ইডির অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া হালদার ও তার দুই সহযোগীর তিন দিনের রিমান্ড মঙ্গলবার শেষ হয়েছে।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি হালদার বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনার পর থেকে পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারকে আজ আবার আদালতে তুলছে ইডি, বাড়তে পারে রিমান্ড
তার দুই সহযোগী প্রীতিশ কুমার হালদার ও প্রাণেশ কুমার হালদারও তার সঙ্গে পলাতক ছিলেন।
শুক্রবার ওপার বাংলার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় অভিযানে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দেশটির অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পিকে হালদার জালিয়াতি করে শিবশঙ্কর হালদার নামে একজন ভারতীয় নাগরিক হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।’
অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই তিনজনই জালিয়াতি নথির ভিত্তিতে ভারতে কোম্পানিটি স্থানান্তর করেছে।
আরও পড়ুন: কোন কোন দেশে টাকা পাচার করেছেন পিকে হালদার, জানতে চান হাইকোর্ট
পিকে হালদারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য জানানো হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১২৯৭ দিন আগে
রাঙামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থার ২ সদস্য নিহত
রাঙামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় গোয়েন্দার সংস্থার দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় রাঙামাটি শহরের পাবলিক হেল্থ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন আবু দাউদ (২৮)ও ঈসা রুহুলুল্লাহ (২৫)।
প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেল যোগে ওই দুই আরোহী বনরূপা থেকে ভেদভেদী যাওয়ার পথে পাবলিক হেল্থ এলাকায় আসলে প্রথমে সিএনজির সাথে মোটরসাইকেলটি ধাক্কা লেগে রাস্তায় পরে যায়। পরে চট্টগ্রাম থেকে আসা পাহাড়ীকার চলন্ত বাসের চাকায় পিষ্ট হয়।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা কবির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনি ঘটনারস্থলে রয়েছেন এবং লাশ দুটি রাঙামাটি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
ঈদের ছুটিতে ভ্রমণের পূর্ব প্রস্তুতি এবং দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু সতর্কতা
১৩১৯ দিন আগে
হেফাজতের অর্থাদাতাদের শনাক্তে তৎপর গোয়েন্দা সংস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের অর্থদাতাদের শনাক্তে কাজ করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দারা হেফাজতের অর্থের উৎস এবং কারা এই সংগঠের অর্থায়ন করছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যেই বেশকিছু তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। তবে সম্পূর্ণ তদন্ত শেষে সব তথ্য জনগণকে জানানো হবে।’
এসময় মন্ত্রী বলেন, কোন উৎস থেকে, কীভাবে এবং কার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এসব অর্থ আসছে তা খুঁজে বের করা হবে।
২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনার মতো এবারও স্বাধীনতার দিবসে সহিংসতার মাধ্যমে তারা সরকার পতনের চেষ্টা চালিয়েছিল বলে দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান হেফাজতের গঠনতন্ত্রের কথ উল্লেখ করে বলেন, ‘হেফাজত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে নিজেদের দাবি করলেও, বর্তমানে তাদের কার্যক্রমে রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি লক্ষ করা যাচ্ছে। এছাড়াও তাদের কার্যক্রমে জঙ্গী তৎপরতার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে এসেছে।’
আরও পড়ুন: বিলুপ্ত ঘোষণার ২ ঘণ্টার মাথায় হেফাজতের ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
হেফাজতের তাণ্ডব: ৩ মামলায় বাবু নগরী ও মীর হেলালসহ আসামি ৩ হাজার
হেফাজতের আমি জুনায়েদ বাবুনগরীর গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রী জানান, বাবুনগরী ২০১৩ এর মামলা আটক হয়েছিলেন। এরপর তিনি জামিনে মুক্তি পান। মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জেনে পরবর্তীতে তার ব্যাপারে জানানো হবে বলে আশ্বস্ত করে তিনি।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কঠোর হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেন, যারাই অপরাধ করবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৬৮১ দিন আগে
নিহত মোহসেন ফখরিজাদাহ সম্পর্কে যা জানা গেল
পারমাণবিক শক্তির জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার বিষয়টি ইরান বরাবরই অস্বীকার করলেও পশ্চিমা বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দেশটির অন্যতম শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিজাদাহকে তার দেশের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির মূল পরিকল্পনাকারী ও ইরানের বোমার জনক বলে আখ্যা দিয়ে থাকে।
১৮৩২ দিন আগে
নগদ ২৫.৫ লাখ টাকা, ১৬৮টি ব্যাংক চেকসহ চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ কর্মচারী আটক
ব্যাংকের চেক জমা নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে সুদের ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই।
১৯৬৪ দিন আগে