বিদেশি শিক্ষার্থী
যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসার সাক্ষাৎকারের নতুন সময়সূচি স্থগিত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি বাড়াতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের নতুন ভিসা সাক্ষাৎকারের সময়সূচি স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইতোমধ্যে যাদের সাক্ষাৎকারের সময়সূচি দেওয়া হয়েছে তারা এই সিদ্ধান্তের আওতায় থাকবেন না।
মঙ্গলবার (২৭ মে) নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই তথ্য জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
তিনি জানান, এই স্থগিতাদেশ অস্থায়ী এবং যাদের সাক্ষাৎকারের সময়সূচি এরইমধ্যে নির্ধারিত রয়েছে, তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওয়ের সই করা এক তারবার্তার বরাত দিয়ে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব বিদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাবেন, তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কার্যক্রম যাচাই ও তদারকি করার জন্য নতুন নির্দেশিকা দেওয়া হবে। নতুন নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত দূতাবাসগুলোকে নতুন শিক্ষার্থী বা পর্যটক বিনিময় কর্মসূচির ভিসা সাক্ষাৎকারের সময়সূচি নির্ধারণ না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সম্পর্কে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘শিক্ষার্থী হোক বা অন্য কেউ, আমরা ভিসা আবেদনকারীদের যাচাই করার জন্য সব ধরনের কৌশল ব্যবহার করি। আমরা প্রতিটি কৌশল অবলম্বন করে দেখার চেষ্টা করব যে এখানে কে আসছেন।’
আরও পড়ুন: হার্ভাডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদেও সব ভিসা আবেদনকারীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্য খতিয়ে দেখা শুরু করেছিলেন ট্রাম্প। এমনকি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়েও এই নীতি বহাল ছিল।
এ পদক্ষেপকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নজরদারির সাম্প্রতিক উদাহরণ বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে।
এর আগে, গত ২২ মে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার সুযোগ বাতিল করে ট্রাম্প প্রশাসন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করলে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে দেশটির আদালত ।
এ ছাড়াও, দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা হাজার হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীর আইনগত অবস্থাও বাতিল করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে সময় ভয়ের কারণে অনেক শিক্ষার্থীই যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে যান।
পরবর্তীতে এই প্রচেষ্টা আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এবং এতে অনেক শিক্ষার্থীর বৈধতা পুনর্স্থাপিত হয়। এ ছাড়া, প্রশাসন যেন আর এভাবে বৈধতা বাতিল করতে না পারে সেজন্য সারা দেশের জন্য একটি নিষেধাজ্ঞাও জারি করে আদালত।
আরও পড়ুন: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ বাতিল
এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এই সাক্ষাৎকার সময়সূচির স্থগিতাদেশ দীর্ঘমেয়াদি হলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্ম ও শরৎকালীন কোর্সে শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তাছাড়া, বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাজেট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা খাতে তহবিল কাঁটছাট করেছেন। এ কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করে টিউশন ফি বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল।
১৯১ দিন আগে
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ বাতিল
তহবিল কাটছাঁটের পর এবার বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার সুযোগও হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ মে) দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ক্রিস্টি নোম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে আর বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করতে পারবে না দেশটির সবচেয়ে পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী এই বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি বর্তমানে যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছেন, তাদের অবশ্যই স্থানান্তর করতে হবে, না হলে তারা দেশটিতে অবস্থানের আইনগত বৈধতা হারাবেন।
এই সিদ্ধান্তের ফলে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও তীব্র হলো।
ক্রিস্টি নোম বলেন, “হাভার্ড এমন একটি ‘অসমর্থনযোগ্য ও সন্ত্রাসবাদী’ পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে ইহুদি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে।”
এ ছাড়া, চীনের সমাজতান্ত্রিক দলের সঙ্গেও বিশ্ববিদ্যালয়টির যোগসূত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নোমের দাবি, ২০২৪ সাল পর্যন্ত চীনের আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও আতিথেয়তা দিয়েছে হাভার্ড।
আরও পড়ুন: জামিনে মুক্তি পেলেন টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থী
এ বিষয়ে তিনি গত বছর ট্রাম্প-সমর্থিত ফক্স নিউজের একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে দাবি করা হয়, ২০২৪ সাল পর্যন্ত চীনের শিনজিয়াং প্রোডাকশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন করপোরেশনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে হাভার্ড। মার্কিন রিপাবলিকান দলের কংগ্রেস সদস্যরা একটি চিঠিতে এ বিষয়টির উল্লেখ করেছেন।
ক্রিস্টি বলেন, ‘আইন মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তাই তারা আর বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না এবং বর্তমানে থাকা শিক্ষার্থীদের অন্যত্র স্থানান্তর হতে হবে। নইলে তাদের আইনগত বৈধতা হারাবে।’
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ৭ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিলেন, যা ওই সময় ভর্তি হওয়া মোট শিক্ষার্থীর ২৭ দশমিক ২ শতাংশ।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি হিসেবে অভিহিত করেছে হাভার্ড কর্তৃপক্ষ। সরকারি এই সিদ্ধান্তের পর তারা শিক্ষার্থীদের জন্য করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়ারও চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাহমুদ খলিলকে বের করে দেওয়া যেতে পারে: বিচারক
এ বিষয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, সরকারের এই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হার্ভার্ডের সদস্য ও দেশের জন্য গুরুতর ক্ষতির হুমকি তৈরি করেছে। একই সঙ্গে হার্ভার্ডের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমেরও ক্ষতি করছে।
এর আগে, হাভার্ডসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘ইহুদি-বিদ্বেষের আখড়া’ বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তবে এ দাবিকে অস্বীকার করে হাভার্ড কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া গত বসন্তে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য না দিতে প্রকাশ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরোধিতা করায় দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।
এর জেরেই জানুয়ারি মাসে হাভার্ডের ২৬৫ কোটি ডলারের তহবিল কমিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়টির করমুক্ত সুবিধাও বাতিল করার কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এদিকে ক্রিস্টি নোম বলেন, ‘গত বসন্তে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীদের ভিডিও বা অডিও রেকর্ডসহ সব ধরনের তথ্য যদি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকারকে দেওয়া হয়, তাহলে তারা আবার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে পারবে।’
এ বিষয়ে হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার বলেন, ‘ইহুদি-বিদ্বেষ মোকাবিলায় গত দেড় বছরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং একটি বিস্তৃত কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।’ তবে আইনসম্মত ও মৌলিক নীতিমালার প্রশ্নে তারা এক চুলও নড়বে না বলে সতর্ক করে দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসনের অভিযোগ, বিদেশি শিক্ষার্থীরা অন্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় বেশি সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা বা অনিয়মে জড়িত। কিন্তু এই অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ তারা দিতে পারেননি।’
অন্যদিকে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যোগসূত্র সম্পর্কে হার্ভার্ডের একজন মুখপাত্র জানান, এ বিষয়ে তারা কংগ্রেসের রিপাবলিকানদের ওই চিঠির জবাব দেবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে যখন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ চলেছে, সে সময় ইহুদি শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে হাভার্ড কর্তৃপক্ষ। এর জেরেই বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে বেশিরভাগ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে নিজেদের ধারণার কথা জানিয়েছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমেরিকান শিক্ষা কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট টেড মিশেল। দেশটির প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘অবৈধ ও সংকীর্ণ মানসিকতা’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি তৈরি করবে এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে আসার আগ্রহ হারাবেন।’
আরও পড়ুন: আমি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বন্দি: মাহমুদ খলিল
বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিদেশি শিক্ষার্থীদের আইনি অবস্থান নিয়ে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থাকে একটি নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ বিষয়টি আগে কেবল প্রশাসনিক ডেটাবেস হিসেবেই ছিল। এখন তা হয়ে উঠেছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার অংশ। অভিবাসন কর্মকর্তারা এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষার্থীদের বৈধতা বাতিল করেছে।
পরবর্তীতে এই প্রচেষ্টা আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এবং এতে অনেক শিক্ষার্থীর বৈধতা পুনর্স্থাপিত হয়েছে। এ ছাড়া প্রশাসন যেন আর এভাবে বৈধতা বাতিল করতে না পারে সেজন্য সারা দেশের জন্য একটি নিষেধাজ্ঞাও জারি করে আদালত।
১৯৫ দিন আগে
চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষা: পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
উন্নত মানের শিক্ষার ভিত্তিতে যুগ যুগ ধরে মেধার সুষ্ঠু বিকাশের মঞ্চ হয়ে আসছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠগুলো। বছরের পর বছর ধরে দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন এই মহান মঞ্চগুলোরই রূপকল্পের ফসল। শত বছরের ঐতিহ্য নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সগর্বে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে এই শিক্ষাকেন্দ্রগুলো। প্রতিটির মতো ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও প্রতি বছর পরিণত হয় জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বজোড়া শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায়। তেমনই একটি দেশ চেক প্রজাতন্ত্র, যেটি ৯৯ শতাংশ শিক্ষার হার এবং মেধাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে পরিণত হয়েছে শিক্ষার স্বর্গভূমিতে। চলুন, চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
উচ্চশিক্ষায় চেক প্রজাতন্ত্রের জনপ্রিয়তার কারণ
বিগত দশকে বিশ্বজুড়ে একটি স্বতন্ত্র অবস্থান মধ্য ইউরোপের দেশটিকে উচ্চশিক্ষার জন্য একটি আকর্ষণীয় বিকল্পে পরিণত করেছে। সব থেকে মোক্ষম কারণটি হচ্ছে দেশটির নিরাপদ পরিবেশ। বিশ্বব্যাপী ১৬৩টি দেশের মধ্যে ১ দশমিক ৪৫৯ গ্লোবাল পিস ইনডেক্স স্কোর নিয়ে ১২তম অবস্থানে রয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র। অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ নিরাপদ দেশগুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠ তম এই দেশটির ক্রাইম ইনডেক্স স্কোর ২৬ দশমিক ৮।
শেনজেনভুক্ত রাষ্ট্র হওয়ায় অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে ভ্রমণের আকর্ষণে অধিকাংশ বিদেশি শিক্ষার্থীর গন্তব্য থাকে এই দেশটি।
এখানে পড়াশোনার জন্য স্থানীয় ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক নয়। এমনকি চাকরি ক্ষেত্রে অধিকাংশ চাহিদাসম্পন্ন কোর্সগুলো ইংরেজিতেই পড়ানো হয়ে থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা দক্ষতা হিসেবে আইইএলটিএস স্কোরের পূর্বশর্তটিও শিথিল করা হয়। সেক্ষেত্রে পূর্ববর্তী একাডেমিক ডিগ্রি ইংরেজি মাধ্যমে করা হয়েছে কিনা তার জন্য এমওআই ( মিডিয়াম অব ইন্স্ট্রাক্শন ) চাওয়া হয়।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সহজে ভর্তি হওয়ার জন্য ভাষার জন্য সিইএফআর বা কমন ইউরোপীয় ফ্রেমওয়ার্ক অব রেফারেন্স পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের এই দেশ নির্বাচনের আরও একটি কারণ হচ্ছে চেক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহজ ভর্তি প্রক্রিয়া। এখানে প্রবেশিকা পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ের যথেষ্ট বিকল্প রয়েছে, যেখানে শুধু সঠিক কাগজপত্র এবং ফি প্রদানের মাধ্যমেই ভর্তির কাজ সম্পন্ন করা যায়।
চেক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একদিকে যেমন প্রাচীন, অন্যদিকে তেমনি বিশ্বনন্দিত এবং নানা শিল্পের সর্বোচ্চ পর্যায়গুলোতে সমাদৃত।
কিউএস র্যাংকিং-এ ২৪৮ নম্বরে রয়েছে সুপরিচিত চেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া মাসারিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৪০০ নম্বরে, চেক টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির অবস্থান ৪৫৪, এবং কেমিস্ট্রি অ্যান্ড টেকনোলজি, প্রাগ ৫৫৬-তে। ব্রনো ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি রয়েছে ৬১১, প্যালাস্কি ইউনিভার্সিটি অলোমৌচ ৬৩১-এ এবং চেক ইউনিভার্সিটি অব লাইফ সায়েন্সেস প্রাগ ৭০১ নম্বরে।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
উচ্চশিক্ষার জন্য চেক প্রজাতন্ত্র গমনের পূর্বশর্ত
এখানকার কোর্সগুলোতে পড়ার জন্য প্রাথমিক শর্ত হলো পূর্ববর্তী প্রাসঙ্গিক একাডেমিক ডিগ্রিগুলোতে উত্তীর্ণ হওয়া। যেমন আন্ডারগ্রাজুয়েশনের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক, ডিপ্লোমা বা সমমানের একাডেমিক পরীক্ষার সনদ থাকা প্রয়োজন। মাস্টার্সের জন্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরাল স্টাডি প্রোগ্রামের জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দরকার হয়।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেক ভাষায় পড়ানো কোর্সগুলোতে কোনো খরচ নেই। বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অনেক সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চেক ভাষায় পড়ার জন্য এক বছরের একটি ফাউন্ডেশন কোর্স করায়। অতঃপর প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ভাষা দক্ষতা যাচাইয়ের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে ভর্তি নেওয়া হয়। এখানে ভাষা টেস্ট পরীক্ষায় ন্যূনতম স্কোর বি-২, কিছু প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে সি-১ থাকতে হয়।
আর ইংরেজিতে পড়ানো কোর্সের ক্ষেত্রে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভাষা দক্ষতা সনদ চায়, তারা সচরাচর আইইএলটিস বা টিওইএফএল স্কোরকে গুরুত্ব দেয়।
আরো পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরে যেতে প্রস্তুতির ধাপগুলো জেনে নিন
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য চেক প্রজাতন্ত্র সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্সগুলো
বিগত বছরগুলোতে দেশটির যে বিশ্ব মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্বাধিক বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল, সেগুলো হলো-
· চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়
· মাসারিক বিশ্ববিদ্যালয়
· চেক টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি
· ইউনিভার্সিটি অব কেমিস্ট্রি এ্যান্ড টেকনোলজি, প্রাগ
· ব্রনো ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি
· প্যালাস্কি ইউনিভার্সিটি অলোমৌচ
· চেক ইউনিভার্সিটি অব লাইফ সায়েন্সেস প্রাগ
· মেন্ডেল বিশ্ববিদ্যালয় ইন ব্রনো
· অস্ট্রাভা টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি
· সাউথ বোহেমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইন চেক বুডিজোভিচ
আরো পড়ুন: দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার আগে যে অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা জরুরি
বিশ্ববিদ্যালয় এবং একাডেমি ডিগ্রির স্তর নির্বিশেষে সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন বিষয়গুলো হলো-
· মেডিসিন ও হেল্থকেয়ার
· ব্যবসা ও অর্থনীতি
· মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান
· তথ্য প্রযুক্তি
· প্রকৌশলী
চেক প্রজাতন্ত্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
ভর্তির জন্য আবেদনের মৌসুম শুরু হয় সাধারণত ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে। অনলাইনে ভর্তির আবেদনের জন্য প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব পোর্টাল। সেখানে কাঙ্ক্ষিত কোর্স খুঁজে বের করার জন্য রয়েছে যাবতীয় তথ্য।
অনলাইনে আবেদন সম্পন্নের সময় কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হতে পারে। ইলেক্ট্রনিক আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন করার পর তা প্রিন্ট করতে হবে। অতঃপর তা সই করে সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকযোগে পাঠাতে হবে।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
ভর্তির আবেদনের সঙ্গে যে কাগজপত্রগুলো সংযুক্তি হিসেবে দিতে হয়, তা হলঃ
· ডিপ্লোমা বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণের সত্যায়িত অনুলিপি
· সনদপত্র এবং একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ইংরেজির পরিবর্তে বাংলায় হলে সেগুলো চেক বা ইংরেজিতে অনুবাদ করে নিতে হবে
· প্রশাসনিক ফি প্রদানের প্রমাণ: ৩ হাজার চেক কোরুনা বা ১৪ হাজার ৯৯১ টাকা ( ১ চেক কোরুনা = ৫ বাংলাদেশি টাকা )
· ভর্তি প্রক্রিয়াকরণ ফি প্রদানের প্রমাণ:
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভেদে এর পরিমাণ ভিন্ন হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২০ ইউরো থেকে শুরু হয়ে ৫০ ইউরোর অধিক হতে পারে। বাংলাদেশি টাকায় এটি ২ হাজার ৫৪১ টাকা ( ১ ইউরো = ১২৭ দশমিক ০৩ বাংলাদেশি টাকা ) থেকে ৬ হাজার ৩৫২ টাকার সমান।
· মোটিভেশন লেটার
· ২ থেকে ৩টি রেফারেন্স লেটার
· সিভি বা পোর্টফোলিও
· বৃত্তি পেলে বা অন্য কেউ পড়াশোনার খরচ বহন করলে তার প্রমাণ
· ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষা ( সাধারণত পিটিই একাডেমিক, টিওইএফএল ও আইইএলটিএস স্কোর দেখা হয়)|
আরো পড়ুন: ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট কী? কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
আবেদন পরবর্তী প্রক্রিয়া
পরবর্তী পদক্ষেপগুলো সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালের মাধ্যমে এবং চিঠি বা ইমেলের মাধ্যমে জানানো হয়। এখানে প্রার্থীর আবেদন ও কাগজপত্রগুলো যাচাইকরণে ৩০ সর্বোচ্চ ৬০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
আবেদনের প্রাথমিক ধাপে উতড়ে গেলে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় জুম বা স্কাইপের মাধ্যমে মৌখিক সাক্ষাৎকার নিতে পারে। যাবতীয় যাচাই-বাছাই শেষে সাধারণত জুনের শেষের দিকে চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়।
ফলাফল ইতিবাচক হলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রথম সেমিস্টারের জন্য টিউশন ফি দিতে বলা হয়। আর এই ফি প্রাপ্তির পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীকে তার কাঙ্ক্ষিত অফার লেটারটি পাঠানো হয়। এটি পরবর্তীতে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে।
চেক প্রজাতন্ত্রের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি
অফার লেটার পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভিসার কাজ শুরু করে দিতে হবে। চেক প্রজাতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদী ডি-টাইপ ক্যাটাগরিই হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা, যেখানে ৯০ দিনেরও বেশি সময় থাকার অনুমতি দেয়া হয়। ভিসার মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত; এরপর ভিসা আবার রিনিউ করতে হয়।
আবেদনের জন্য https://frs.gov.cz/en/forms-and-documents/-এই লিঙ্কে যেয়ে অনলাইন আবেদন করা যাবে। এ ছাড়া ফর্ম ডাউনলোড করে কম্পিউটারের মাধ্যমে অথবা প্রিন্ট করে হাতে লিখেও পূরণ করা যেতে পারে। ফর্মের সব তথ্য নির্ভুলভাবে প্রদানের পর সব শেষে সই করতে হবে। ইলেক্ট্রনিকভাবে এই আবেদনের সময় ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো সঙ্গে থাকা দরকার।
আরো পড়ুন: যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অল্প খরচে পড়তে পারবেন
দরকারি কাগজপত্র
চেক প্রজাতন্ত্রের স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করার জন্য যে নথিগুলো প্রস্তুত রাখতে হয়, সেগুলো হলো-
· চেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে ভর্তির অফার লেটার
· দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠা সহ একটি বৈধ পাসপোর্ট, যার মেয়াদ থাকতে হবে চেক প্রজাতন্ত্রে উপস্থিত হওয়ার দিন থেকে ন্যূনতম ৩ মাস পর্যন্ত।
· সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
· দেশটিতে থাকার জন্য আর্থিক তহবিলের প্রমাণপত্র ( কমপক্ষে ৭৮ হাজার ২৫০ কোরুনা বা প্রায় ৩ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৭ টাকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট )
· মেডিকেল রিপোর্ট
· আবাসন নিশ্চিতকরণের প্রমাণ
· পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ( অফিসিয়াল রাবার স্ট্যাম্পসহ চেক ভাষায় অনুবাদ করা হতে হবে )
· চেক প্রজাতন্ত্রে পৌছার দিন থেকে কমপক্ষে ৯০ দিনের জন্য ভ্রমণ চিকিৎসা বীমার প্রমাণপত্র
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও পাসপোর্ট ছাড়া আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত সমস্ত নথি চেক ভাষায় হতে হবে। পাসপোর্ট ও ছবি ছাড়া ব্যতিত কোনো নথি ১৮০ দিনের বেশি পুরনো হতে পারবে না।
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
৪৯১ দিন আগে
কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বাংলাদেশি, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ওপর সহিংস জনতা হামলা চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিশকেকে পাকিস্তানের মিশন জানিয়েছে, শুক্রবার(১৭ মে) রাতে শুরু হওয়া সহিংসতার মধ্যে বিশকেকের কয়েকটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে হামলা হয়েছে, যেখানে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন।
কিরগিজ সরকার জানিয়েছে, ১৭-১৮ মে রাতে বিশকেকে জনতার সহিংসতায় বেশ কয়েকজন বিদেশিসহ কমপক্ষে ২৮ জন আহত হওয়ার পর চারজন বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই সহিংসতার বিষয়ে পাকিস্তান ও ভারত কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দেশ দুটি বিশকেকে তাদের শিক্ষার্থীদের বাড়ির ভিতরে অবস্থান করার জন্য সতর্ক করেছিল।
রেডিও ফ্রি ইউরোপ জানিয়েছে, ১৩ মে মিশরের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিরগিজ ছাত্রদের বিবাদের একটি ভিডিও অনলাইনে ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়ার পর এই সহিংসতা শুরু হয়।
যাদের মারধর করা হয়েছে তারা কিরগিজ যুবক বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা দাবি করার পর শুক্রবার রাতে বিশকেকের বেশ কয়েকটি স্থানে উত্তেজিত জনতা জড়ো হয়।
শনিবার বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তাদের নিরাপত্তার জন্য ইউএনবির কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন।
স্থানীয় সময় শনিবার(১৮ মে) এই হামলার শিকার হন দেশটিতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা।
কিরগিজস্তানের ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব মেডিসিনের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সামিয়া কবির শনিবার সন্ধ্যায় ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা এখানে পাঁচজন বাংলাদেশি মেয়ে আছি। আমরা এখন আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের ভিতরে আছি। আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে কিছু লোক জড়ো হচ্ছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।’
সামিয়া আরও বলেন, 'কর্তৃপক্ষ আমাদের ভেতরে থাকতে বলেছে। আমরা কাছাকাছি অন্যান্য অ্যাপার্টমেন্ট থেকে কিছু আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি ... সেখানে কিছু পাকিস্তানি থাকতে পারে।’
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, 'আমরা শিগগিরই একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন শেয়ার করব। উজবেকিস্তানে আমাদের মিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশির হতাহতের খবর আমরা পাইনি। আমরা আমাদের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকছে: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
এদিকে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বর্তমানে বিশকেকের পরিস্থিতি 'পুরোপুরি শান্ত এবং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে' রয়েছে।’
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তারা গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, ব্লগিং সম্প্রদায় এবং বিদেশি সহকর্মীদের শুধুমাত্র কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া সরকারি এবং যাচাইকৃত তথ্যের ভিত্তিতে খবর পরিবেশন করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক সমস্যার বৈশ্বিক সমাধান প্রয়োজন: অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধবিষয়ক ব্রিটিশ মন্ত্রী
৫৬৫ দিন আগে
বিদেশি শিক্ষার্থী টানতে পারছে না ঢাবি
শিক্ষার মানের জন্য একদা ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ হিসেবে অভিহিত করা হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা দিন দিন কমছে।
১৮৭৫ দিন আগে
বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসার নিয়ম পরিবর্তন করল অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন করে ভিসা পুনর্নির্ধারণসহ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভিসা ব্যবস্থায় পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
১৯৬১ দিন আগে