অগ্নিকাণ্ড
বাবুরহাটে অগ্নিকাণ্ড: ৩২টি দোকান পুড়ে ছাই
নরসিংদীর কাপড়ের বাজার শেখেরচর-বাবুরহাটের জিয়া উদ্দিন মার্কেটে আগুনে ৩২টি দোকানের মালামাল পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যাবসায়ীদের।
শনিবার দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
আরও পড়ুন: মোবাইল চুরির অপবাদে অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রাত ১টা ১০ মিনিটে হঠাৎ একটি দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওই মার্কেটের ৩২টি দোকানে।
খবর পেয়ে মাধবদী ফায়ার সার্ভিসের দুইটি, নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের দুইটি, পলাশ ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের একটি ইউনিটসহ মোট সাতটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
নরসিংদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শিমুল মো. রফি বলেন, খবর পেয়ে মোট সাত ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে প্রায় ৩২টি দোকান পুড়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।
খবর পেয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি
আরও ২ জনের মৃত্যুতে গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫
ঋণ করে ওমানে গিয়েছিলেন অগ্নিকাণ্ডে নিহত হোসেন
আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে এনজিও থেকে ঋণ এবং আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার করে ওমানে যান হোসেন মিয়াজী। আগুন নিভিয়ে দিল সব স্বপ্ন। চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
হোসেন মিয়াজী ওমানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর বুরাইমির একটি সোফা কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সোমবার (১১ মার্চ) ভোরে ওমানের ওই কারখানায় হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে লাগা আগুনে তার মৃত্যু হয়।
চাঁদপুরের শাহরাস্তি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিজমেহার গ্রামের যুগী বাড়ির আব্দুস সালামের একমাত্র ছেলে তিনি।
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসচালক নিহত
একমাত্র পুত্রসন্তান ও পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎসকে হারিয়ে নির্বাক বাবা আব্দুস সালাম এবং মা নুরজাহানের কান্না থামছেই না। তারা কেবলই বিলাপ করছেন ও র্মূছা যাচ্ছেন।
স্বজনরা জানান, পরিবারের স্বচ্ছলতার আশায় আত্মীয়-স্বজন ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ২০১৯ সালে বিদেশ পাঠানো হয় তাকে। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ঋণের দায় কাটিয়ে এখনো উঠতে পারেনি পরিবারটি। এমন পরিস্থিতিতে পুত্রের মৃত্যু!
হোসেনের ছোট বোন মরিয়ম আক্তার জানান, নিজের ভাইয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার শ্বশুর বাড়ি এলাকার এনজিও থেকে ঋণ এনে দিয়েছেন। একটি দুর্ঘটনা তাদের সবাইকে পথে বসিয়ে দিল।
হোসেনের মা নুরজাহান বেগম বিলাপ করতে করতে বলেন, একটু ভালো থাকার আশায় ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছি। আজ আমার সব শেষ।
হোসেনের মৃতদেহ দেশে আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মা বাবা ও পরিবারের সদস্যরা। শেষবারের মতো সন্তানকে একনজর দেখতে তারা আকুতি জানান।
পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মিজানুর রহমান ইউএনবিকে জানান, তার লাশ দেশে আনতে পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
তিনি আরও জানান, তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হোসেন অত্যন্ত বিনয়ী ও কর্মঠ ছিল।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ভটভটির ধাক্কায় কৃষক নিহত
বরগুনায় সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় ৭ সহকর্মী কারাগারে
ফরিদগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: বাড়িঘর ও দোকান পুড়ে ছাই
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পৃথক দুইটি অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বসতঘর ও একটি মুদি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে ৮টার দিকে উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ঘোড়াশালা গ্রামের হাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো একেবারেই খোলা আকাশের নিছে বসবাস করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ড: ১৪ পরিবারের ১৭ বসতঘর পুড়ে ছাই
ক্ষতিগ্রস্ত লিলু বেগম, বিল্লাল হোসেন ও খোরশেদ আলম জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। কোনো জিনিসপত্র সরাতে পারেননি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল স্থানীয়দের নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিভাতে গিয়ে চার থেকে পাঁচজন আহত হন বলে জানা যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছে।
রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাউসারুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে সাহায্য চাওয়া হবে।
ফরিদগঞ্জ ফায়ার সর্ভিসের দলনেতা মো. বিল্লাল হোসেন ইউএনবিকে জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ওদিকে দিবাগত রাত ২টার দিকে অন্য একটি আগুনের ঘটনায় দক্ষিণ লাড়ুয়া গ্রামে দুলাল বেপারির মুদি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্টেশন অফিসার বিল্লাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দমকল বাহিনী আগুন নেভায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তদন্তের পর জানা যাবে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে
মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে কর্তৃপক্ষকে দায়ী করতে হবে: দোকান মালিক সমিতি
রাজধানীর হাতিরপুলে ছয়তলা ভবনে আগুন
হাতিরপুল কিচেন মার্কেটের কাছে একটি ছয়তলা ভবনে আগুন লেগেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনে দগ্ধ ৩৫
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
লক্ষ্মীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে
লক্ষ্মীপুরের রামগতি বাজার ও চরগাজীর জয়নাল মিয়ার তেমুহানীতে অগ্নিকাণ্ডে ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোরে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
পুড়ে যাওয়া ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, ফার্মেসি, মুদি দোকান, ইলিকট্রনিক ও মনোহারি দোকান।
আরও পড়ুন: এস আলম সুগার মিলে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ
ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন, জয়নাল মিয়ার তেমুহানীতে হঠাৎ আগুনের শিখা দেখতে পায় স্থানীয়রা। এরপর আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ২০টি দোকানের সম্পূর্ণ মালামাল পুড়ে যায়।
পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এর আগে রামগতি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৫টি দোকান।
এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
চরগাজী ইউপির চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম সুমন জানান, দুইটি জায়গায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ২৫টি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। এতে করে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জয়নাল মিয়ার তেমুহানীর ব্যবসায়ীরা। সেখানে ২০টি দোকান পুড়ে যায়।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মন্নান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে আগুনের ভয়াবহতা ছিল বেশি। তারপরও সময় মতো আসাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। বৈদ্যৎুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির নিরুপণের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে কর্তৃপক্ষকে দায়ী করতে হবে: দোকান মালিক সমিতি
চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ড: ১৪ পরিবারের ১৭ বসতঘর পুড়ে ছাই
বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: বৃষ্টির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া এক নারী সাংবাদিকের পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। অবশেষে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে তার আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। তিনি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে লেখালেখি করতেন।
রবিবার নিহতের ডিএনএর সঙ্গে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে সংগৃহীত ডিএনএর নমুনা মিলে যাওয়ার ফলাফল এসেছে বলে জানান ঢাকা মেট্রো সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর।
ঘটনার ১১ দিন পর সোমবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে নিহতের মরদেহ তার বাবা সবুজ শেখের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, নিহত নারী অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতেন। সে কারণেই তার পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল এবং তার সহকর্মীরা তাকে হিন্দু বলে দাবি করেছিলেন। পরে তারা বুঝতে পেরে মরদেহ তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করতে থানায় চিঠি দেয়।
সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মন্তব্য করে নিহতের বাবা সবুজ শেখ বলেন, ‘আমি তার বাবা, আমি আল্লাহর কাছে হাজার কোটি শুকরিয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবশেষে আজ মরদেহ হাতে পেয়েছি, গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাব। সেখানে তাকে ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
সবুজ শেখের তিন মেয়ের মধ্যে বৃষ্টি খাতুন ছিলেন সবার বড়।
এ সময় রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে সবুজ শেখ মেয়ের মরদেহ নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করেন।
মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে কর্তৃপক্ষকে দায়ী করতে হবে: দোকান মালিক সমিতি
মার্কেটগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের জন্য বাজার কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা উচিত বলে মনে করেন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে কোনো মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে সে মার্কেট বন্ধ রাখা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো বাজার বন্ধ করতে পারি না, তাই আমরা পুলিশকে অনুরোধ করি যেকোনো বাজারের বিল্ডিং উপযুক্ত কি না তা পরীক্ষা করার জন্য নিয়মিত তারা অভিযান পরিচালনা করুন। চলাচলের জন্য কোনো জায়গা নেই এবং অনেক মার্কেটের পানি সংরক্ষণের জায়গাগুলোও বন্ধ পাওয়া যায়।’
রমজান মাসে অগ্নিকাণ্ড এড়াতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার এবং প্রয়োজনে রাতে পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ড: ১৪ পরিবারের ১৭ বসতঘর পুড়ে ছাই
চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভায় অগ্নিকাণ্ডে ১৪ পরিবারের ১৭টি বসতঘর পুড়ে গেছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) ভোরে শাহজালাল পাড়ার ইব্রাহিম কলোনিতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে কলোনির বাসিন্দা ফাতেমা বেগম, শহর বানু, মো. মঞ্জু, পান্না, মো. সুমন, আকতার হোসেন, মো. নুর মিয়া, মো. নাছির উদ্দীন, আকলিমা, মো. আলী, মো. ওসমান, মো. ওয়াসিম, মো. শাহ আলম ও মো. নাছির ঘরসহ ১৭টি বসতঘর পুড়ে যায়।
কলোনির মালিক মো. ইব্রাহিম দাবি করেন, অগ্নিকাণ্ডে তার অস্তত ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবদুল মান্নান জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তসাপেক্ষে জানা যাবে।
আরও পড়ুন: এস আলম সুগার মিলে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ
বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডের বিচার হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রাণহানি আর ঘটবে না: তাপস
ঢাকার বনানীতে নির্মাণাধীন ভবনে আগুন
রাজধানীর বনানীতে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে চেয়ারম্যানবাড়ি এলাকার ৪ নম্বর রোডের ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডিউটি অফিসার রোজিনা পারভিন।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এস আলম সুগার মিলের আগুন
তিনি আরও জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করছে।
আরও পড়ুন: রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর গাফিলতির কারণেই বার বার আগুনের ঘটনা
চট্টগ্রামে এস আলম সুগার মিলের আগুনে পুড়ে গেছে এক লাখ টন চিনি
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম গ্রুপের এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলস লিমিটেডের কারখানার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে ১ লাখ মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত পৌনে ৮টায় বাইরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিটের সঙ্গে কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনী কাজ করেছে। তবে কারখানার ভেতরে আগুন এখনো নেভানো সম্ভব হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, বাইরের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে গুদামের ভেতরে এখনো ধোঁয়াসহ আগুন জ্বলছে।
এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, মিল চালু থাকা অবস্থায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে যায়। ভেতরে কেউ আটকা পড়েছে কি না বা কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত এর কিছুই জানতে পারিনি। আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, গোডাউনে থাকা ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ১ লাখ মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল ছিল, যা পুড়ে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কর্ণফুলী মর্ডান ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর শোয়াইব হোসেন মুন্সি বলেন, আগুনে আলম নামে একজন বেল অপারেটর আহত হয়েছেন। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে এখনো জানা যায়নি। তদন্ত রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১ লাখ মেট্রিক টন কাঁচা চিনি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা প্রায়।
এর আগে আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণপাড়ে ইছানগর এলাকায় অবস্থিত ওই চিনি কারখানায় আগুন লাগে।