অগ্নিকাণ্ড
গাজীপুরে ঝুট গুদামে আগুন, সোয়া এক ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণে
গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় একটি ঝুট গোডাউন আগুনে পুড়ে গেছে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে সোয়া এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে নগরের কোনাবাড়ি আমরাগ পূর্বপাড়া এলাকায় পলাশ মিয়ার ঝুট গোডাউনে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
৪ দিন আগে
হংকংয়ে ভবনের অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ১২৮, গ্রেপ্তার আরও ৮
হংকংয়ের বহুতল ভবন কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সাতটি ভবন পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় শুক্রবার বাসায় বাসায় তল্লাশি চালিয়ে আরও বেশ কয়েকটি মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এর ফলে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৮ জনে।
এ ঘটনায় আরও ৭৯ জন আহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও প্রায় ২০০ জন। পাশাপাশি দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ভবন সংস্কারকাজে যুক্ত আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে এই আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ভয়াবহ এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এক দিনেরও বেশি সময় লাগে এবং পুরোপুরি নেভাতে সময় প্রায় ৪০ ঘণ্টা লেগে যায়। অগ্নিকাণ্ড শুরুর দুই দিন পরেও দগ্ধ ভবনগুলো থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
হংকং ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অ্যান্ডি ইয়ুং বলেন, কমপ্লেক্সের কিছু অগ্নি-সতর্কীকরণ অ্যালার্ম পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেগুলো অকেজো ছিল। তবে ঠিক কতগুলো অ্যালার্ম অকেজো ছিল বা বাকিগুলোও কার্যকর ছিল কিনা, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি।
ইয়ুং বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা এক ভবন থেকে আরেকটিতে ছড়িয়ে পড়ে। কারণ, নির্মাণকাজে ব্যবহৃত স্টাইরোফোমের প্যানেল ও জালে ঢাকা বাঁশের মাচায় (স্ক্যাফোল্ডিং) আগুন লেগে তা দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, শুক্রবার ৪০ থেকে ৬৩ বছরের মধ্যে সাত জন পুরুষ ও এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হংকংয়ের দুর্নীতি দমন সংস্থা-ইন্ডিপেনডেন্ট কমিশন অ্যাগেইনস্ট করাপশন (আইসিএসি)। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন স্ক্যাফোল্ডিংয়ের সাব-কন্ট্রাক্টর, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এবং সংস্কার কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা প্রকল্প ব্যবস্থাপকেরা।
৬ দিন আগে
দ্বিতীয় দিনও জ্বলছে হংকংয়ের বহুতল ভবন কমপ্লেক্স, নিহত বেড়ে ৫৫
আগুন লাগার এক দিন পরও হংকংয়ের তাই পো এলাকার বহুতল ওয়াং ফুক কোর্ট ভবন কমপ্লেক্স থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরেও ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে এই আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। অগ্নিকাণ্ডে ইতোমধ্যে ৫৫ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীও আছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭০ জন।
হতাহতের ব্যাপারে আজ (বৃহস্পতিবার) কর্তৃপক্ষ বলেছে, ঘটনাস্থল থেকে ৫১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সময় বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কমপ্লেক্সের আটটি বহুতল ভবনের মধ্যে সাতটিতে আগুন লেগেছিল। ইতোমধ্যে চারটি ভবনের আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। বাকি তিনটি ভবনের আগুনও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সন্ধ্যার মধ্যে অভিযান শেষ করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ফায়ার সার্ভিস।
এ ঘটনায় একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও একজন প্রকৌশল পরামর্শদাতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির নাম এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট আইলিন চুং বলেছেন, ‘আমরা ধারণা করছি, নির্মাণ কোম্পানিটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের গুরুতর অবহেলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
ভবন কমপ্লেক্সের সংস্কার কাজের দায়িত্বে থাকা প্রেস্টিজ কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির কার্যালয়ও আজ (বৃহস্পতিবার) তল্লাশি করেছে পুলিশ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে থেকে নথিপত্রভর্তি বাক্স জব্দ করা হয়েছে। তবে প্রেস্টিজের অফিসে ফোন করা হলেও অ্যাসোসিয়েট প্রেসের সেই ফোনকলে কেউ সাড়া দেয়নি।
কর্তৃপক্ষের ধারণা, বহুতল ভবনগুলোর বাইরের দেওয়ালে এমন কিছু নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল, যেগুলোর অগ্নিরোধী মান ছিল না। এ কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
অগ্নিকাণ্ডের পরও অক্ষত থাকা পাশের একটি ভবনের প্রতিটি তলার লিফট লবির জানালার পাশে স্টাইরোফোম পেয়েছে পুলিশের তদন্ত দল, যা অত্যন্ত দাহ্য পদার্থ। ধারণা করা হচ্ছে, নির্মাণ কোম্পানিই এগুলো লাগিয়েছিল, কিন্তু এসব স্টাইরোফোম ব্যবহারের উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। এগুলো নিয়ে আরও তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন হংকংয়ের নিরাপত্তা সচিব ক্রিস ট্যাং।
৮ দিন আগে
শাহজালালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টায় রপ্তানিকারক সংগঠনগুলো
রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো বিভাগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তারা সদস্য কোম্পানিগুলোকে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের বিস্তারিত তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছে।
সংগঠনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী এক থেকে দুই দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের মোট পরিমাণ এবং আর্থিক ক্ষতির পরিসর সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) একটি প্রতিনিধি দল কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন করে ক্ষতি নিরূপণ করবে বলে জানানো হয়েছে।
বিজিএমইএ জনসংযোগ কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদ করিম ইউএনবিকে বলেন, বিজিএমইএ-এর একটি দল আজ দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবে।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুন, একাধিক ফ্লাইট নামল চট্টগ্রাম ও কলকাতায়
এদিকে, কার্গো ভিলেজে কার্যক্রম পুনরায় শুরু হওয়া সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন রপ্তানিকারকরা।
বাণিজ্য নেতারা বলেছেন, বিমানবন্দর কার্যক্রম দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকলে তা শুধু যাত্রী পরিবহনে নয়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতেও মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
বাংলাদেশ থেকে বিমান পথে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক (আরএমজি), সবজি, ফল ও পানপাতাসহ পচনশীল পণ্য।এ ছাড়া রয়েছে আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর মাধ্যমে রপ্তানি হওয়া পণ্য এবং বিভিন্ন নথিপত্র। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যবসায়ীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বিজিএমইএ-এর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘কী পরিমাণ পণ্যের ক্ষতি হয়েছে, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ
তিনি আরও বলেন, ‘বিমানবন্দর বন্ধ থাকলেও ক্ষতির মুখে পড়বেন রপ্তানিকারকরা। যদি তা দ্রুতই খুলে দেওয়া হয় তবে কম ক্ষতি হবে, যদি বেশি দিন বন্ধ থাকে তবে বেশি ক্ষতি হবে।’
সবজি ও এ জাতীয় পণ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফভিএপিইএ) সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিনই অনেক পণ্য থাকে, এমনটা নয়। বিমানের স্থান ফাঁকা থাকার ওপর নির্ভর করে আমাদের বিভিন্ন ডেস্টিনেশনে পণ্য পাঠানো। তাই যেদিন স্থান বেশি পাই সেদিন পণ্যও বেশি দিতে পারি।’
তাদের সদস্যদের কী পরিমাণ পণ্য মজুত ছিল তা খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় আকস্মিকভাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এরপর সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যৌথভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৩৭টি ইউনিটের সাত ঘণ্টারও বেশি সময়ের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
৪৭ দিন আগে
মিরপুরে নিহতদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা লাগবে: ফায়ার সার্ভিস
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকার শিয়ালবাড়িতে একটি তৈরি পোশাক কারখানা ও একটি রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর গার্মেন্টস ভবন থেকে ১৬টি অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে, তবে খালি চোখে সেগুলোর কোনোটিরই পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব নয়। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘গার্মেন্টসটির ছাদ টিনশেড ছিল। ছাদ ও গেট তালা মারা থাকায় দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায় লোকজন আটকে পড়ে। মৃতদেহগুলো সেই দুই তলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় একজন স্বেচ্ছাসেবক আহত হয়েছেন। মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, প্রচণ্ড তাপে তাদের মুখ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, তাই পরিচয় শনাক্ত সম্ভব হচ্ছে না। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমেই পরিচয় শনাক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
রাসায়নিক বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তারা অচেতন হয়ে সঙ্গে সঙ্গে মারা যান বলে জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আরও সময় লাগবে। ক্যামিকেল গোডাউনে ৬ থেকে ৭ ধরনের কেমিকেল ছিল। সাধারণত আগুন ধরার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত ছড়িয়েছে, তাই গার্মেন্টস অংশে থাকা কর্মীরা বাইরে বের হতে পারেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনের কোনো লাইসেন্স ও অনুমোদন ছিল না। এখানে কতজন কাজ করত সেই হিসাবও পাওয়া যায়নি।’
এর আগে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুনের খবর আসে। খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রথমে পাঁচ ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে আরও সাত ইউনিট যোগ দেয় আগুন নিয়ন্ত্রণে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করে পোশাক কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশে থাকা রাসায়নিকের গোডাউনেও। খবর পেয়ে একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অগ্নিনির্বাপণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। এরপর তাদের সঙ্গে সহায়তায় যোগ দেন পাশে থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি।
৫১ দিন আগে
মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় একটি ভবনে থাকা গার্মেন্টস কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সব মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহগুলো গার্মেন্টস ভবন থেকে পাওয়া গিয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন নির্বাপনের কাজ চলছে।
এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামুন (৩৫), সোহেল (৩২) ও সুরুজ (৩০) নামের তিনজনকে দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসাপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়।
দগ্ধ মামুনের স্বজন জোসনা জানান, মামুন ওই কারখানায় কাটিং মাস্টার হিসেবে এবং সোহেল ফিনিশিং সেকশনে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া সুরুজ অর্ডারকৃত পণ্যের গুণমান যাচাই করতে সেখানে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে শিয়ালবাড়িও ওই পোশাক কারখানা এবং একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
বিকেলে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তল্লাশি অভিযান এখনো চলমান। পাশের যে কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে, সেখানে এখনো আগুন জ্বলছে। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ওখানে কাউকে যেতে দিচ্ছি না। আমরা সর্বোচ্চ প্রযুক্তি দিয়ে, ড্রোন দিয়ে এসব কার্যক্রম করছি।’
আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো জানা যায়নি। যারা শুরুতে আগুন নেভাতে এসেছেন, তারা রাসায়নিকের গুদাম ও গার্মেন্টস দুই দিকেই আগুন দেখেছেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনতলা পোশাক কারখানার নিচতলায় ‘ওয়াশ ইউনিট’ রয়েছে। সেখানে প্রথম আগুন লাগে। সেই আগুন পাশের রাসায়নিকের গুদামে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর আগুন তিনতলা পোশাক কারখানার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
৫১ দিন আগে
মিরপুরে গার্মেন্টস কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকাণ্ড, ৯ জনের মৃত্যু
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় একটি ভবনে থাকা গার্মেন্টস কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এখন পর্যন্ত নয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও আগুন নেভানো ও উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, রাসায়নিক বিস্ফোরণের পর বিষাক্ত গ্যাসযুক্ত শ্বাস নেওয়ায় নিহতদের মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানা যাবে।
এই কর্মকর্তা বলেন, আগুন এখনও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
সবাইকে ঘটনাস্থলের ৩০০ গজের মধ্যে না আসার আহ্বান জানান তিনি।
৫১ দিন আগে
হবিগঞ্জে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড, ১০টি গাড়ি পুড়ে ছাই
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে আগুন লেগে অন্তত নয়টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও একটি যাত্রীবাহী বাস পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা-হবিগঞ্জ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত আউশকান্দি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, সকালে একটি পুরনো যাত্রীবাহী বাস স্টেশন থেকে গ্যাস নিচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই তা আশপাশে থাকা গাড়িতে ছড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ, বাহুবল ও ওসমানীনগর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: মহাখালীর সাততলা বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মো. হাবিবুর রহমান জানান, আগুনে স্টেশনে অফিস ও শয়নকক্ষ, দাঁড়িয়ে থাকা বাস ও বিভিন্ন স্থাপনা পুড়ে যায়। তবে ফিলিং মেশিন অক্ষত রয়েছে।
এ সময় স্টেশনের স্টাফ রাসেল আহমদ(৩০) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হন। তাকে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান হাবিবুর রহমান।
১০৬ দিন আগে
নোয়াখালীতে অগ্নিকাণ্ডে ৩০টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত
নোয়াখালীর সেনবাগে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে দুটি কারখানাসহ মোট ৩০টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সেবারহাটে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মধ্যরাতে সেবারহাটের দক্ষিণ অংশে পলি প্লাইউড কারখানায় প্রথমে ধোঁয়া ও পরে আগুন দেখা যায়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দ্রুতই আগুন পাশের দোকান ও কারখানাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে সেনবাগ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
সেনবাগ ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, যে ওই কারখানার বয়লার অতিরিক্ত হিট হওয়ায় সেখান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ হকার্স মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে গেছে ৩০ দোকান, আহত ৫
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল বাশার বলেন, বাজারের মধ্যে বিভিন্ন দোকান রয়েছে। সেখানে এ ধরনের কারখানা বাজারের বাইরে পরিবেশবান্ধব এবং নিরাপদ স্থানে স্থাপন করা প্রয়োজন।
ফায়ার সার্ভিস ও ডিফেন্স নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনবাগ ছাড়া ও চৌমুহনী এবং মাইজদী স্টেশন থেকে পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ সময় স্থানীয়দের পাশাপাশি পুলিশ ও সেনা সদস্যরাও সহায়তা করেন।
তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি প্লাইউড ও একটি মেটাল কারখানা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মোট ৩০টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মালামালসহ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তদন্ত শেষে মোট ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ জানা যাবে।
১১৬ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জ হকার্স মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে গেছে ৩০ দোকান, আহত ৫
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকার হকার্স মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে। এ সময় আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হকার্স মার্কেটে হঠাৎ আগুন জ্বলতে দেখা যায়। তাৎক্ষণিকভাবে নিজেরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুন না নিভলে তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহজাহান বলেন, ‘খবর পাওয়ামাত্রই আমাদের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তসাপেক্ষে বলা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ল ১৬ দোকান
এদিকে মুন্না নামে ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ী জানান, হকার্স মার্কেটে অধিকাংশ জামাকাপড়ের দোকান। তার দোকানটিতে কিছুদিন আগে ২০ লাখ টাকার মালামাল কিনে রেখেছিলেন। আগুনে তার অধিকাংশ মালামাল পুড়ে হয়ে গেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খোরশেদ বলেন, হকারদের পুনর্বাসনের জন্য সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে টিনশেডের ৬৪২টি ছোট দোকানঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছিল। মার্কেটে দাহ্য পদার্থের দোকান থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তায় চেম্বার অব কমার্স ও সিটি করপোরেশনের প্রতি আহ্বান জানান মাকছুদুল আলম।
১৩৯ দিন আগে