রেল স্টেশন
চট্টগ্রামে হেলে পড়ল ৪ তলা ভবন
চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ষোলশহর রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকার একটি চার তলা পুরাতন ভবন হেলে পড়েছে। ভবনটি যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়ার আশঙ্কায় সেখানে থাকা লোকজনদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের গাড়িচাপায় যুবক নিহত
স্থানীয়রা জানান, স্টেশনে প্রবেশ পথের ডান যান পাশে খালের পাশে অবস্থিত জনৈক বাপ্পি আহমেদের মালিকানাধীন ভবনটি ক্রমান্বয়ে হেলে পড়লে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
ভবনের মালিক বাপ্পি আহাম্মেদ জানান, কয়েকদিন ধরেই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণভাবে হেলে পড়ছিলো। মঙ্গলবার ভবনটি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। এর পরপরই বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ভবনটি পুরোপুরি খালি করা হয়েছে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে করণীয় ঠিক করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম কন্ট্রোল রুম কর্মকর্তা ফজলুল কাদের বলেন, ষোলশহরে একটি ভবন হেলে পড়ার খবর পেয়ে আমাদের রেসকিউ টিম রওনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৪ পা বিশিষ্ট শিশুর জন্ম!
চট্টগ্রামে ওয়ার সিমেট্রি পরিদর্শনে ভারতীয় হাই কমিশনার
কোরবানির পশু নিয়ে ঢাকার পথে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন
গতবারের মত এবারও কোরবানির পশু নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে গেছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান এই বিশেষ ট্রেন সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বাধন করেন।
এ সময় পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ে সহকারী বাণিজ্য কর্মকর্তা নুরুল আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার শহিদুল আলম, সহকারি স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার ওবাইদুল্লাহ জানান, বুধবার প্রথম দিন ১৮টি গরু ও চারটি ছাগল নিয়ে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। প্রতিটি গরুর ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯১ টাকা ৫০ পয়সা ও প্রতিটি ছাগলের ভাড়া ২৯৬ টাকা। আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত ট্রেনটি চলবে। ট্রেনটি প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন থেকে ছাড়বে। রাতে ঢাকার তেজগাঁও স্টেশনে পৌঁছাবে। ট্রেনটি ফের ভোর ৫টায় তেজগাঁও থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেবে।
জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে ২০২১ সালের ১৭ জুলাই কোরবানির পশু সহজে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য স্বল্পমূল্যে পশু পরিবহনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা (তেজগাঁও) রুটে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদ: জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার পশুর হাটগুলো
ঈদুল আজহা: হাটের জন্য প্রস্তুত ঠাকুরগাঁওয়ের ‘বারাকাত’
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে কৃষকের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে এক আদিবাসী কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে জেলার সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের বড় পুকুরিয়া সোনাতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত চিত্ত মার্ডি (৩৩) ঝিলিম ইউনিয়নের বিল বৈঠা এলাকার মহাদেব মার্ডির ছেলে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল্লাহ জানান, সোমবার সকাল ৬টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে স্টেশন ছেড়ে যায় বনলতা এক্সপ্রেস। সোয়া ৬টার দিকে বড় পুকুরিয়া সোনাতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহত
গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে কারখানার শ্রমিক নিহত
ছেলেকে এগিয়ে দিতে এসে ট্রেনে কাটা পড়ে মায়ের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁও রোড রেল স্টেশনে ঢাকাগামী ছেলেকে এগিয়ে দিতে এসে ট্রেনে কাটা পড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে স্টেশনের প্লাটফর্মেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রশিদা বেগম (৬০) সদর উপজেলার আকচা-বকসেরহাট গ্রামের ইউসুফ আলীর স্ত্রী।
ঠাকুরগাঁও রোড রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার অনুপ বসাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই বৃদ্ধা ছেলে রবিউল ইসলামকে ঢাকার যাওয়ার উদ্দেশে এগিয়ে দিতে রোড রেল স্টেশনে আসেন। এ সময় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে ছেলেকে উঠিয়ে দিতে তিনিও ট্রেনের উপরে উঠে পড়েন। ট্রেনটি নির্ধারিত সময় শেষে ছেড়ে দিলে তাড়াহুড়ো করে নামতে গেলে ট্রেন লাইনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: আশুগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ২
সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত
স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে ২৬ বছর ঘরছাড়া ছিলেন তিনি
স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান চাঁন মিয়া। এরপর বাস, রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন স্কুল বারান্দায় তার রাত কাটে। কখনও খেয়ে, কখনও আধাবেলা বা কখনও না খেয়ে কোনো রকমে জীবনের ২৬ বছর কাটিয়ে দেন তিনি। অভিমানের কাছে হার না মানা চাঁন মিয়া অবশেষে রোগে- শোকে আক্রান্ত হয়ে বার্ধক্যের কাছে হার মেনে পরিবারের কাছে ফিরেছেন।
চাঁন মিয়ার পুরো নাম মুকমুল ইসলাম। তার বাবার নাম মহিদুল ইসলাম এবং মায়ের নাম অম্বিয়া খাতুন। শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের খাজুরিয়া পাড়ার মন্ডল বাড়ির বাসিন্দা তিনি। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। সংসারে তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
সামাজিক সংগঠন ‘সহায়’ এর তত্ত্বাবধানে যৌবনে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে ঘরছাড়া চাঁন মিয়া ২৬ বছর পর বৃদ্ধ বয়সে বাড়ি ফিরেছেন।
গত ১০ ডিসেম্বর ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা থেকে চান মিয়াকে অচেতন অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে। পরে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান ‘সহায়’ এর সদস্যরা। চাঁন মিয়ার কোনো জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি।ি
আরও পড়ুন: ফেনীতে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সহোদর নিহত
শেষে গত বৃহস্পতিবার ‘সহায়’ এর সদস্যরা চাঁন মিয়াকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়। এই পোস্টটি নজরে আসে চাঁন মিয়ার স্বজনদের। তার স্বজনেরা তখন ‘সহায়’ এর সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখে চাঁন মিয়াকে শনাক্ত করেন।
বার্ধক্যজনিত নানান রোগে আক্রান্ত চাঁন মিয়া দীর্ঘ একমাস ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন।
এরপর শনিবার রাতে দীর্ঘ ২৬ বছর পর পরিবারের কাছে ফেরেন চাঁন মিয়া। এদিন বিকেলে তার পরিবারের লোকজন এসে তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
দেশের ৫৫টি রেল স্টেশনকে আধুনিকায়নের উদ্বোধন
রেল যাত্রীদের আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে সারাদেশে ৫৫ টি রেলস্টেশন আধুনিকায়ন, প্ল্যাটফর্ম শেড নির্মাণ, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রণ, স্টেশন প্লাটফর্ম উঁচু করাসহ দেশের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন স্টেশন আধুনিকায়ন কাজের উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
বৃহস্পতিবার একটি বিশেষ ট্রেন যোগে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে এসব স্টেশনের আধুনিকায়ন কাজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী যেসব রেলস্টেশনের আধুনিকায়ন কাজের উদ্বোধন করেন সেগুলো হচ্ছে- টাঙ্গাইল, শহীদ মনসুর আলী, জামতৈল, উল্লাপাড়া, বড়াল ব্রিজ, চাটমোহর, নাটোর, সান্তাহার, জয়পুরহাট বিরামপুর, পার্বতীপুর, সৈয়দপুর, নীলফামারী, ও ডোমার।
এসব স্টেশনে কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার রেলকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। অনেক নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সারাদেশের সিঙ্গেল লাইনকে পর্যায়ক্রমে ডাবল লাইন করা হবে।
রেলওয়েতে চলমান বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন, খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ, যমুনা নদীর উপর আলাদা বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মিত হবে। ফলে উত্তরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের সময় ও খরচ কমে যাবে।
জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চলে অধিক পরিমাণে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: খুলনা-মোংলা রেললাইনে ৯টি আন্ডারপাস নির্মাণ হচ্ছে
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন,বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, আত্মনির্ভরশীল জাতি গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা রেলওয়েকে একইভাবে আধুনিক উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসাবে গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছি। যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে স্টেশন সমূহের আধুনিকায়ন করা হচ্ছে,স্টেশনের ওয়েটিং রুম, টয়লেট ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিকভাবে উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছ। রেলকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি বলে মন্ত্রী জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর সাথে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসান, পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যাবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লোকবল সংকট : বন্ধ হলো নাটোরের আজিমনগর রেলস্টেশন
রেল খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী তুরস্ক
মহামারির কারণে ঈদে রাজধানী ছাড়ছেন তুলনামূলক কম মানুষ
কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বকে নজিরবিহীন এক পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করিয়েছে এবং মানুষের জীবনে অভাবনীয় অনেক পরিবর্তন এনেছে। একইভাবে মানুষজন পুরোনো অনেক বিষয় পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হয়েছেন এবং কিছু কাজ করার পদ্ধতি নতুনভাবে নির্ধারণ করেছেন। মাত্র ৬ মাস আগেও যেসব বিষয় আমরা নিশ্চিত বলে ধরে রেখেছিলাম, নতুন এ পরিস্থিতিতে সেগুলো আজ অবান্তরও হতে পারে।