সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
বাংলাদেশ বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল। এদেশে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যের যে আবহ বিরাজ করছে সেই আবহ আমাদের পাশ্ববর্তী কোনো রাষ্ট্রে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে 'টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ভূমিকা' শীর্ষক ঢাকা জেলা কর্মশালা-২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ, কিছু সমস্যা আছে। মন্দিরে যেমন পাথর ছোড়ে আবার মাজারেও ভাঙচুর করে। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে বেশকিছু মন্দিরে যেমন হামলা চালানো হয়েছে, তেমনি ৫০টির বেশি মাজারে ভাঙচুর করা হয়েছে। এরূপ ঘটনাগুলো যতোটা না সাম্প্রদায়িক, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক। এই ঘটনাগুলো নিয়ে বহির্বিশ্বেও প্রোপাগান্ডা চালানো হয়। তিনি আগামীদিনে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যকে আরও মজবুত ও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: যৌতুক বন্ধে ইমাম-খতিবদের ভূমিকা রাখতে বললেন ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এদেশে সকলের অধিকার সমান। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে সমান অধিকার পাবেন।
তিনি বলেন, এদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে জাতি হিসেবে আমাদের প্রতিটি অর্জনে সকল ধর্মের মানুষের অবদান রয়েছে।
শিষ্টাচার তৈরিতে ধর্মীয় ও পারিবারিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, পারিবারিক ঐতিহ্যের সঙ্গে ধর্মের সংযোগ ঘটলে শিষ্টাচার ফুলে ফুলে শতদলে শোভিত হয়। তিনি আরও বলেন, আমরা একটি নৈতিকতার পরিবেশ তৈরি করতে চাই। প্রত্যেকে তার ধর্মের মূল শিক্ষা সমাজে ছড়িয়ে দিলে দেশে নৈতিকতার আবহ তৈরি হবে। তিনি মন্দিরভিত্তিক মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে অনুরোধ জানান।
প্রকল্পের শিক্ষকদের সম্মানী বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. খালিদ বলেন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের শিক্ষকদের সম্মানী বৃদ্ধি করা হলে এই প্রকল্পের শিক্ষকদের সম্মানীও বৃদ্ধি করা হবে। এবিষয়ে কোনো ধরনের বৈষম্য করা হবে না।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের চত্বরে যে শুচিতা ও স্নিগ্ধতা বিরাজ করে সেটা অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। আদিকাল থেকেই মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডার ছায়ায় শিক্ষা কার্যক্রম চলে আসছে। এখনও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় উপাসনালয় রয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার ও ট্রাস্টের সচিব দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও। অন্যান্যের মধ্যে প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বক্তব্য দেন।
মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৬ষ্ঠ পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। সরকারের অর্থায়নে ৩৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়িত হচ্ছে প্রকল্পটি।
আরও পড়ুন: হারাম টাকা দিয়ে ইবাদত হয় না: ধর্ম উপদেষ্টা
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ঢাকা জেলার শিক্ষা কেন্দ্রেসমূহের শিক্ষক, জেলা প্রশাসন, জেলা ও উপজেলা মনিটরিং কমিটির সদস্য, শিক্ষার্থী অভিভাবক, শিক্ষা কেন্দ্রের সভাপতি বা সম্পাদক, সনাতন ধর্মীয় প্রতিনিধি, হিন্দু ধর্মীয় ট্রাস্টি, সাংবাদিকসহ মোট ১৫০ জন অংশগ্রহণ করেন।
এ পর্যন্ত ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪০টি জেলার কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে।
২২৭ দিন আগে
শেরপুরের পালবাড়ি পূজামণ্ডপ: ১২৭ বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মিলনমেলা
গত ১২৭ বছর ধরে শেরপুরের পালবাড়ি পূজামণ্ডপে জাঁকজমকভাবে পালিত হচ্ছে দুর্গাপূজা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ধর্মের স্বাধীনতা যে বাংলাদেশি মানসিকতায় গভীরভাবে নিহিত রয়েছে তার প্রমাণ পালবাড়ি।
নালিতাবাড়ির ভোগাই নদীর তীরে খালভাঙ্গা এলাকায় পালপাড়ায় শিক্ষাবিদ নগেন্দ্র চন্দ্র পালের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এ দুর্গাপূজাটি। প্রতিবছর পালবাড়ির পারিবারিক পূজা হলেও এটি এখন সর্বজনীন পূজায় পরিণত হয়েছে।
ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বাঙালিয়ানার অন্যন্য নিদর্শন পালবাড়ির পূজামণ্ডপটি শেরপুর জেলার সর্ব প্রাচীন পূজামণ্ডপই নয়, এটি দেশের দ্বিতীয় প্রাচীন পূজামণ্ডপ হিসেবেও পরিচিত।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: মৌলভীবাজারে মণ্ডপের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
পালবাড়ির পূজা কমিটির সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র পাল বলেন, ১৮৯৫ সালে পালপাড়ায় আমাদের পূর্বপুরুষ মঙ্গল রাম সরকার পারিবারিকভাবে তৈরি করেন শ্রী শ্রী মঙ্গল ভবন পূজামণ্ডপ। তৈরির পর থেকেই পারিবারিকভাবে চলতে থাকে দুর্গাপূজা। হঠাৎ মঙ্গল রাম সরকার স্বর্গীয় হন। এরপর থেকেই ঐতিহ্যবাহী এ পূজামণ্ডপটির হাল ধরেন তার ছেলে নালিতাবাড়ির শিক্ষাগুরু নগেন্দ্র চন্দ্র পাল।
বছরের পর বছর ধরে পালবাড়িতে দুর্গাপূজা স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। নিছক পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে এটি একটি জনপ্রিয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পালবাড়ি পূজাকে একটি সন্ধিক্ষণ হিসেবে দেখেন যেখানে সকল ধর্মের মানুষ সুখ খুঁজে পেতে একত্রিত হয়।
প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে পূজামণ্ডপটি পরিচালনা করেছেন নগেন্দ্র চন্দ্র পাল। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশত্যাগে বাধ্য হলেও দুর্গাপূজার ব্যত্যয় ঘটেনি। শরণার্থী অবস্থাতেই সীমিত আকারে পালবাড়ির লোকজন দুর্গাপূজা অব্যাহত রেখেছেন।
প্রয়াত নগেন্দ্র পালের ছেলে ব্যাংকার বিশ্বজিৎ পাল বলেন, শতবর্ষী পুরনো ঐতিহ্যবাহী এ পূজামণ্ডপে আগে থেকেই দুর্গাপূজাকে ঘিরে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে এক সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি হয়ে আসছে। কে হিন্দু কে মুসলিম তার বালাই নেই। সকলে মিলে একসঙ্গে দূর্গোৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
আরও পড়ুন: শনিবার মহা ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা
তিনি বলেন, পূজামণ্ডপের সামনে প্রতিদিন সন্ধ্যায় আরতি ও লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেবল দুর্গাপূজার ধর্মীয় অনুসঙ্গ থাকেনি, হয়ে উঠেছে সব শ্রেণির মানুষের আনন্দ-বিনোদনের অংশ। আগে এখানে যাত্রাপালা, নাটক মঞ্চস্থ হতো। প্রতিবছর নবমী পূজার দিনে জারি গান, আনন্দ-বিনোদনে এক অপূর্ব মিলনমেলার আবেশ সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা চারপুরুষ ধরে এ দুর্গাপূজাটির আয়োজন করে আসছি। আমাদের পঞ্চম প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে। এখন তাদের হাতে আমরা পূজা আয়োজনের ভার ছেড়ে দিতে যাচ্ছি। এই দুর্গাপূজার মধ্য দিয়ে আমরা মানুষকে আনন্দ দিতে চাই। সর্বস্তরের মানুষের মঙ্গল কামনা করি।
স্থানীয় সাংবাদিক বিপ্লব দে কেটু বলেন, স্বাধীনতার পরপরই আমার জন্ম। সেই ছোটকাল থেকে আমি পালবাড়ির পূজা দেখতে আসি। এবারও আসছি। এই পূজা না দেখলে আমাদের মনের সাধ পূর্ণ হয় না। আগে তো নদী পার হয়ে আসতে হতো। কত কষ্ট হয়েছে। তারপরও সবাই এ পালবাড়ির পূজামণ্ডপের দিকেই তাকিয়ে থাকেন। সেটা মনে এক আলাদা তৃপ্তি এনে দেয়।
এ বছর শেরপুর জেলায় ১৪৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে।
এ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপকে সিসি টিভির আওতায় আনা হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ, আনসার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, র্যাব-পুলিশের কড়া নজরদারি ও টহল চলছে। স্থানীয়ভাবে প্রতিটি পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: বাগেরহাটে ৬৪২টি মন্দিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
১১৫৮ দিন আগে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগে রাজধানীতে যুবক গ্রেপ্তার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগে ফেসবুক পেইজের অ্যাডমিন আশিষ মল্লিককে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১ এর এএসপি (অপারেশন অফিসার) নোমান আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর একটি অপারেশনাল দল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বনানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আশিষকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশিষ সাইবার অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলায় এবং তিনি ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন।
জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব জানায়, আশিষ গত ১৬ অক্টোবর একটি ফেসবুক পেইজ খোলেন এবং সেই পেইজে তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য পোস্ট করেন। তিনি এবং আরও কয়েকজন সমমনা লোক অ্যাডমিন হিসেবে কাজ করেছেন। খুব দ্রুত ওই পেইজের সদস্য ও ফলোয়ারের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যায়।
এএসপি নোমান বলেন, এই ফেসবুক পেইজ থেকে কুমিল্লার ঘটনা নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও উসকানিমূলক পোস্ট দেয়া হয় এবং বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
আরও পড়ুন: দলীয় নেতাকর্মীদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ফেসবুক পেইজে প্রতিবেশী দেশগুলোতে সংঘটিত নানা নৃশংসতার ভিডিও আপলোড করে মানুষের মনে ভীতি তৈরি করা হচ্ছিল। তিনি বলেন, অভিযুক্ত আশিষ প্রতিটি পোস্টে হ্যাশ ট্যাগ করে এই দেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।
১৪৯৯ দিন আগে
একটি দুষ্ট চক্র দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে বিএনপি জামায়াত জোটের প্ররোচনায় একটি দুষ্ট চক্র দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে সরকারের উন্নয়ন ও মানুষের নিরাপদ জীবন-যাপন বিনষ্ট করতে বিএনপি জামায়াত জোটের প্ররোচনায় একটি দুষ্ট চক্র দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাদের প্রতিহত করতে হবে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বোদা পৌরসভা চত্বরে পথসভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় তাজুল ইসলাম বলেন, পল্লী জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
পড়ুন: কুমিল্লায় সহিংসতা: আহত একজনের মৃত্যু
অনুষ্ঠানে রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই অসাপ্রদায়িক চেতনাকে কাজে লাগিয়ে মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্পীতি রক্ষা করতে হবে। শুধু হিন্দু মুসলমানই নয়, আমরা সবাই বাঙ্গালি, মুক্তিযুদ্ধের এই বাণীকে ধারণ করে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত পথসভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান সুজা ও বোদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম টবি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পড়ুন: যৌন হয়রানি রোধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন চেয়ে রিট আসকের
রংপুরের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১৫০৪ দিন আগে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকার আহ্বান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনসহ জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, তারা জাতির দুঃসময়ে, দুর্দিনে, বিপদে-আপদে সবার আগে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজকে সেই সম্প্রীতি নষ্ট করতে এবং দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকতে হবে।’
শুক্রবার রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে সম্প্রতি কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি কুমিল্লার পূজামণ্ডপে সৃষ্ট ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ষড়যন্ত্রের একটি অংশ উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পড়ুন: ১৯৭২ এর সংবিধানে ফিরতে শিগগিরই সংসদে বিল পেশ: মুরাদ
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী শত্রুরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার জন্য বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে। তাদের আন্দোলনে মানুষের সাড়া পায় না বলেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে ইন্ধনের চেষ্টা করছে।’
শুধু দেশে নয় দেশের বাহিরেও ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোরভাবে দমন করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা হতদরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উন্নত দেশের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি, তখন একটি স্বার্থান্বেষী মহল এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। যারা এসব ঘটাচ্ছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। তারা কখনোই দেশের উন্নয়ন চায় না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সকল ধর্মের মানুষের সহবস্থানে থাকার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছেন। মুসলিম প্রধান দেশ হলেও বঙ্গবন্ধু সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। মানুষ যে ধর্মের হোক না কেন, সে যেন রাষ্ট্রীয় অভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করে গেছেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সেই নীতি বাস্তবায়ন করছেন।’
পড়ুন: সরকারি একটি মহলের ইঙ্গিতে সাম্প্রদায়িক হামলা: ফখরুল
কুমিল্লার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
১৫১১ দিন আগে
ভাস্কর্য ও মূর্তি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি আছে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান মঙ্গলবার বলেছেন, ভাস্কর্য ও মূর্তি এক নয়। এ সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি আছে।
১৮২৯ দিন আগে
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়াই আমাদের লক্ষ্য: তথ্যমন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই দেশে আন্ত:সম্প্রদায় সম্প্রীতি বিনষ্টের কোনো অপচেষ্টা বরদাশত করা হবে না জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়াই আমাদের লক্ষ্য।
১৮৫২ দিন আগে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এদেশের ঐতিহ্য: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যের দেশ বাংলাদেশে ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সবার।
১৯৫০ দিন আগে