যমুনা নদী
সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর তীরে ক্রসবার-৩ এলাকায় ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে কলেজ ছাত্র মাহবুবুর রহমানের (২২) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩ জন।
নিহত মাহবুবুর রহমান পৌর এলাকার কল্যাণী মহল্লার আব্দুল আজিজের ছেলে এবং স্থানীয় ডিগ্রি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসার ছাদে বজ্রপাতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকালে ওই কলেজ ছাত্র বন্ধুদের সঙ্গে উল্লেখিত এলাকায় ফুটবল খেলছিল। এ সময় ভারী বৃষ্টি ও মেঘের তর্জন গর্জন শুরু হয় এবং বজ্রপাতে ওই কলেজ ছাত্রসহ ৪ জন আহত হয়।
তাদেরকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুবুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন এবং ৩ জনকে ভর্তি করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক সপ্তাহ আগে মাহবুবুর রহমানের মা মারা যান। এদিকে বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকার ব্যাপক শোকের ছায়া নেমেছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বজ্রপাতে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
যমুনা নদী প্রকল্প নিয়ে করা রিট খারিজ
যমুনা নদী ছোট করার জন্য নেওয়া প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে করা রিট আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
যমুনা নদী ছোট করা হচ্ছে না বলে হাইকোর্টকে জানানোর পর সোমবার (১২ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের ছিলেন অরবিন্দ কুমার রায়।
আরও পড়ুন: যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা,প্রকল্পের সব নথি হাইকোর্টে তলব
এছাড়া, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
মনজিল মোরসেদ বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে বলেছে, ভবিষ্যতে যে প্রজেক্ট নেওয়া হবে সেখানে যমুনা নদী ছোট করার কোনো পরিকল্পনা থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম যাতে নদী ছোট করা না হয়। ভবিষ্যতে কোন পক্ষই আর সাহস পাবেনা নদী ছোট করার।
এর আগে রবিবার যমুনা নদী ছোট করার পরিকল্পনা নেই বলে হাইকোর্টকে প্রতিবেদন দিয়ে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। পরে এই বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে গত ১২ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘যমুনাকে ছোট করতে চায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়’- শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যমুনা নদী প্রতিবছর বড় হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার সময় নদীটি ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হয়ে যায়। এত বড় নদীর প্রয়োজন নেই। তাই এটির প্রশস্ততা সাড়ে ৬ কিলোমিটার সংকুচিত করা হবে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং প্রাকৃতিক পানি প্রবাহের অন্যতম উৎস যমুনাকে ছোট করার এমন আইডিয়া এসেছে খোদ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের মাথা থেকে।
এজন্য তারা ১১শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও প্রণয়ন করেছেন। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে যখন বারবার ব্যয় সংকোচনের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে, সে সময় মন্ত্রণালয় এমন প্রকল্প নিয়েছে কোনো ধরনের গবেষণা ছাড়াই।
এছাড়া বিশেষজ্ঞরা বিরল এ প্রকল্পকে অবাস্তব বলছেন।
আরও পড়ুন: যমুনা নদী সংকীর্ণকরণ প্রকল্প বাতিলের দাবি বিএনপির
বেলকুচিতে অবৈধভাবে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন, ২ জনের কারাদণ্ড
যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা,প্রকল্পের সব নথি হাইকোর্টে তলব
যমুনা নদী ছোট করার প্রকল্পের যাবতীয় নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১১ জুনের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) এসব নথি আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার জনস্বার্থে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুবউল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
‘যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা’- শিরোনামে গত ১১ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতয়ি দৈনিক। এই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করা হয়। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী।
যমুনা নদী ছোট করার প্রকল্প নেওয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ -এর বিধি ২ অনুসারে অসদাচরণ করেছেন। তাই বিধি ৩ অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে। সেই সঙ্গে রুল চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট বেঞ্চে ‘বকশিশ’ নিষিদ্ধ, নির্দেশনা জারি
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ বিদান অনুসারে এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা অসদাচরণ করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়েছিলাম। গত ২১ মে হাইকোর্ট প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের তালিকা চান। সেই সঙ্গে প্রকল্পটি চূড়ান্ত করা হয়েছে কিনা এবং প্রকাশিত প্রতিবেদনটির সত্যতা কতটুকু, তা জানতে চেয়েছিলেন। রবিবার রাষ্ট্রপক্ষ এসব তথ্য জানাতে সময় চাইলে হাইকোর্ট প্রকল্পের নথি তলব করেন।’
প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা কিভাবে অসদাচরণ করেছেন, জানতে চাইলে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ -এর ২ বিধিতে অসদাচরণের সংজ্ঞা দেওয়া আছে। সে সংজ্ঞা অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা সরকারের নির্দেশ অমান্য করলে অসদাচরণ হয়। আর কোনো কর্মচারীর অসদাচরণ প্রমাণ হলে বিধি ৩ অনুসারে সে কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
এ আইনজীবী বলেন, ‘নদী খনন করে প্রবাহ ঠিক রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, একনেকের সিদ্ধান্ত আছে। আরেকটা সিদ্ধান্ত আছে নদী-খাল-জলাশয় দখল করে কোনো প্রকল্প নেওয়া যাবে না। ফলে যেসব কর্মকর্তারা এই প্রকল্প নিয়েছেন তারা সরকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন। এটা অসদাচরণ। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।’
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যমুনা নদীকে ছোট করতে চায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। আপাতত দেশের দু’টি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে গ্রোয়েন বাঁধ দিয়ে নদী ছোট করা হবে।
যমুনা নদীকে ছোট করার পেছনে যুক্তি তুলে ধরে পাউবো বলছে, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে যমুনা নদী চওড়া হচ্ছে। নদী কোথাও কোথাও ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার প্রশস্ত হচ্ছে। এতে নদীভাঙন বাড়ছে।
পাউবো মনে করে, এত চওড়া নদীর প্রয়োজন নেই। এটি সংকুচিত করে সাড়ে ছয় কিলোমিটারে নামিয়ে আনা হবে। যমুনা নদী ছোট করলে দু’টি সুফল পাওয়ার কথা বলছে পাউবো। একটি হলো, নদীর ভাঙন কমবে। অন্যটি বিপুল পরিমাণে ভূমি পুনরুদ্ধার করা যাবে।
নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদীকে ছোট করার চিন্তা নির্বুদ্ধিতার। যাদের মাথা থেকে এসব চিন্তা আসে, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কোনো যুক্তিতেই যমুনাকে সংকুচিত করা যাবে না। এটি বিশ্বে এক অনন্য নদী। এ নদীকে নিয়ে যেকোনো ধরনের পরীক্ষা যেন সাবধানে করা হয়। তবে বিস্তারিত সমীক্ষা না করে গ্রোয়েন প্রযুক্তির প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের নবনিযুক্ত বিচারপতিদের সাক্ষাৎ
জেলের জালে বিরল প্রজাতির ডলফিন!
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির ডলফিন (গাঙ্গেয় শুশুক)। রবিবার সকালে যমুনা নদীর তীরবর্তী সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার উমারপুর এলাকায় জেলেদের জালে ডলফিনটি ধরা পড়ে।
ডলফিনটির ওজন প্রায় ২১ কেজি। এ ডলফিন দেখতে এলাকার নারী পুরুষেরা ভিড় জমায়।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে দুইদিনে আরও ২টি ডলফিনের মৃত্যু
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত এলাকায় জেলেদের জালে ওই ডলফিন ধরা পরার পর স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী তিন হাজার টাকায় ডলফিনটি কিনে নেয় এবং একই এলাকার নৌকা ঘাটে বিক্রি করতে নিয়ে আসে।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, এ প্রাণীটি এখন প্রায় বিপন্ন। এরা দেখতে ধূসর-বাদামি রঙের এবং এদের প্রধান খাদ্য ছোট মাছ। বিপন্ন প্রায় প্রাণীর শিকার বন্ধ করার ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
মৎস্যজীবী ও সাধারণ মানুষের অজ্ঞতায় নির্বিচারে প্রতিদিন অসংখ্য বিরল ও উপকারী প্রাণী ধ্বংস হচ্ছে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
ডলফিন অত্যন্ত উপকারী ও নিরীহ একটা প্রাণী। জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এর গুরুত্ব অনেক।
এছাড়া ডলফিনকে বলা হয় উপকূলীয় প্রতিবেশের প্রহরী।
তবে স্থানীয় মৎস্যবিদ বলছেন, নদীর মিলনস্থল, নদীর মোড় এবং নদীর গভীর অংশে এ প্রাণী বেশি দেখা যায়।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীতে জেলেদের জালে বিরল প্রজাতির এ ডলফিন ধরা পড়েছে বলে জানতে পেরেছি।
প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং প্রাণী বৈচিত্র্য রক্ষায় সকলকে সচেতন হতে হবে। যমুনায় নির্বিচারে প্রাণীহত্যা বন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চিঠি দেয়া হবে এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো হবে বলে।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো জীবিত ডলফিন
ঘোড়ার গাড়িই যেখানে ভরসা
যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য চর জেগে উঠেছে। ধূ-ধূ এ বালুর চর পাড়ি দিতে চরাঞ্চলবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ কারণে চরাঞ্চলের অনেক স্থানে দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীসহ মালামাল পরিবহনে একমাত্র ভরসা ঘোড়ার গাড়ি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর তীরবর্তী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজিপুর, বেলকুচি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে এ ঘোড়ার গাড়িই এখন একমাত্র ও প্রধান বাহন। বিশেষ করে কাজিপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে এ ঘোড়ার গাড়ি বেশি চলাচল করছে। এসব চরাঞ্চলে এলাকাভিত্তিক কোনো সড়ক নেই। এ কারণে তারা সুবিধাজনক সড়ক বেছে নিয়ে থাকে এবং এসব সড়কে তারা পায়ে হেঁটে যাতায়াত করে থাকে। এমনকি দুর্গম সড়কে মোটরসাইকেলেও যাত্রী পরিবহন করা হয়। তবে ভাড়া বেশি হওয়ায় মোটরসাইকেলে চলাচলকারী যাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সাধারণ যাত্রীরা ঘোড়ার গাড়ি বেছে নিয়েছে। যাত্রী ও পণ্য বহনে ঘোড়ার গাড়ি এখন অন্যতম।
তবে বিশিষ্টজনেরা বলছেন, জেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে কাঁচা পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। চরবাসীর ঘরে ঘরে বিদ্যুৎও দেয়া হয়েছে। বন্যা ও প্রবল বৃষ্টিতে অনেক রাস্তাঘাট ধসে যায়। এ কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে যমুনার পানি কমে যাওয়ার পর থেকেই জেগে উঠেছে অসংখ্য চর। এজন্য চরবাসীর চলাচল ও যোগাযোগ করতে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। বিশেষ করে নৌকাযোগে আসা মালামাল অথবা ফসলি জমি থেকে কৃষিপণ্য পরিবহনে এখনও একমাত্র ভরসা ঘোড়ার গাড়ি।
আরও পড়ুন: গরুর দাম বেশি হওয়ায় ঘোড়া দিয়ে হালচাষ
কাওয়াকোলা চরের ঘোড়ার গাড়ির চালক আব্দুর রহিমসহ অনেকেই বলেন, আমরা ওপার চরাঞ্চলের মানুষ। মাঠের কাজের ফাঁকে সেই আমল থেকে এই চরাঞ্চলে ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। জমির ফসল আনা নেয়া ও বিক্রিসহ যাত্রী পরিবহনে এ ঘোড়ার গাড়িই একমাত্র বাহন।
এ বিষয়ে কাওয়াকোলা ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী বলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চলের মাঝখানে এই ইউনিয়ন পরিষদ। ইতিমধ্যেই চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে পাকা রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। যমুনা নদীর তীরবর্তী বিস্তৃর্ণ চরাঞ্চলে যাত্রী চলাচল ও পণ্য বহনে যানবাহন ঘোড়ার গাড়ি। তবে চরবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ঘোড়ার মাংস হালাল: আদালত
ঝালকাঠিতে ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
যমুনায় ভেসে উঠল নিখোঁজ ২ ভাইয়ের লাশ
পাবনার যমুনা নদীতে নিখোঁজের দুইদিন পর দুই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে জেলার নগরবাড়ি নৌ-বন্দরের প্রতাপপুর এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুকুর থেকে ২ ভাইয়ের লাশ উদ্ধার
নিহতরা হলেন-সাঁথিয়া উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামের আক্কাছ সরদারের ছেলে পান্না সরদার (২৮) এবং সুজানগর উপজেলার কোলচুড়ি গ্রামের আমিরুল শেখের ছেলে আশিক ওরফে পিয়াস শেখ (২০)। সম্পর্কে তারা খালাত ভাই।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিদ্যুস্পৃষ্টে ২ সহোদরের মৃত্যু
নগরবাড়ী নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান, শনিবার দুইভাই নগরবাড়ি এলাকায় এক আত্মীয়র বাড়িতে বিয়ে খেতে গিয়েছিল। দুপুরের দিকে ওই এলাকার আরেক যুবকের সঙ্গে দুই ভাই নগরবাড়ি ঘাট থেকে নৌকায় চড়ে যমুনা নদীতে বেড়াতে যায়। এ সময় নগরবাড়ী ঘাটে জাহাজের সঙ্গে নৌকার ধাক্কা লাগার ভয়ে নৌকা থেকে তিন জনই নদীতে ঝাঁপ দেয়। স্থানীয় ছেলেটি সাতরিয়ে জাহাজ ধরে বেঁচে গেলেও পান্না ও আশিক নিখোঁজ হন। পরে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম শনি ও রবিবার দুপুর পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করে লাশের সন্ধান না পেয়ে উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: কক্সবাজারে প্রার্থীসহ ২ সহোদর গুলিবিদ্ধ
এরপর সোমবার সকাল ৭টার দিকে প্রতাপপুরে একটি কার্গো জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পরপরই লাশ দুটি ভেসে ওঠে। এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
তিনি জানান, লাশ দুটি আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
যমুনা নদী থেকে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বিকালে নদীর সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা বিল মহিষা ঘাট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার দুপুরে ওই ঘাটে এক যুবকের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পুলিশ বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ওসি বলেন, কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এ বন্যার স্রোতে হয়তো যুবকের লাশ ভেসে আসতে পারে। ৩০/৩২ বয়সী এ যুবক হাফ প্যান্ট পরিহিত ছিল। তবে তার পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোনাই নদী থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
খুলনায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
শাহজাদপুরে ৪৫০ বাড়িঘর যমুনায় বিলীন
সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও যমুনা তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে প্রচণ্ড ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ বহু ঘরবাড়ি ও জায়গা জমি যমুনা গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এক সপ্তাহে শাহজাদপুর উপজেলার ভেকা, ঘাটাবাড়ি, জালালপুর ও পাকুরতলা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩০টি ঘরসহ চার গ্রামের অন্তত সাড়ে চারশ বাড়িঘর যমুনাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙণ ঝুঁকিতে রয়েছে নদী তীর এলাকার পাকুরতলা (আশ্রয়ণ) প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) নাসির উদ্দিন জানান, জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বিশেষ করে যমুনা তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। অনেক এলাকার কাঁচা ও পাকা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং অনেক স্থানে বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
তিনি জানান, তবে যমুনায় পানি কমতে থাকায় যমুনা তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার অনেক স্থানে প্রচণ্ড ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর, এনায়েতপুর, কাজিপুর ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলে ইতোমধ্যেই অনেক ঘরবাড়ি, জায়গা জমি, গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, বন্যায় নিম্নাঞ্চলের ৯ হাজার ১০৬ হেক্টর জমির রোপা আমন, পাট, তিল, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে বিনষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং তিনি ভাঙনের বিষয়টি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সহায়তায় শাবি শিক্ষক সমিতির কার্যক্রম অব্যাহত
উপজেলার বন্যার্তদের জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।
তিনি বলেন, দুই-একদিনের মধ্যেই কয়েকটি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মধ্যে বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ করা হবে এবং ভাঙনকবলিত পরিবারগুলোকে পরে নিরাপদ স্থানে পুনর্বাসন করা হবে।
সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
যমুনা নদীর পানি সামান্য কমলেও সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডুবে গেছে পাট ও বোনা আমনসহ বিভিন্ন ফসল। নদীর তীরবর্তী অনেক স্থানে প্রচণ্ড ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে শতাধিক ঘরবাড়ি ও জায়গা জমি যমুনা গর্ভে বিলীন হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বিশেষ করে যমুনা তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, বন্যায় নিম্নাঞ্চলের ৯ হাজার ১০৬ হেক্টর জমির রোপা আমন, পাট, তিল, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে। পানি কমতে শুরু করলেও কৃষকের ফসল ঘরে তোলার সম্ভাবনা নেই।
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান জানান, যমুনা নদীর তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই ১৪০ মেট্রিক ট্রন চাল, প্যাকেট জাত শুকনা খাবার ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব ত্রাণ সামগ্রী বন্যাকবলিত এলাকায় বিতরণ শুরু করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পড়ুন: কুশিয়ারার আগ্রাসী রূপ: পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, নিহত ১
কুড়িগ্রামে বন্যা: ত্রাণের জন্য পানিবন্দি মানুষের হাহাকার
যমুনায় পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত
উজানের ঢল ও প্রবল বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানির চাপে পৃথক দুটি স্থানে রিং বাঁধ ও কাঁচাসড়ক ভেঙে যাওয়ায় ভাটি এলাকার পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার সকালের রেকর্ড অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং কাজিপুর পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজীর ৪ গ্রাম প্লাবিত
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) নাসির উদ্দিন জানান, শনিবার রাতে পানির চাপে শাহজাদপুর উপজেলার বড়াল নদীর রাউতারা রিং বাঁধ (ডুবন্ত) ভেঙে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভাটি এলাকার বহু পরিবার। রবিবার সকালে সিরাজগঞ্জ সদরের বিয়ারাঘাট এলাকায় নির্মিত একটি কাঁচা সড়ক পানির চাপে ভেঙে ভাটি এলাকার পাঁচটি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বেড়েছে, নিচু এলাকা প্লাবিত
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর বলেন, প্রায় ২ মাস আগে বিয়ারাঘাট থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের গ্রাম পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই সড়কটি নির্মাণ করা হয়। রবিবার সকালে পানির চাপে এ সড়কটি ভেঙ ভাটি এলাকার বিয়ারাঘাট, পাইকপাড়া, ঘোনাপাড়া ও রামগাঁতী গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের বহু পরিবার এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। তবে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া কয়েকদিন ধরে উজানের ঢল ও প্রবল বর্ষণে যমুনা নদীতে পানি বেড়েই চলেছে। এতে যমুনার তীরবর্তী সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। চরাঞ্চলের বাদাম ও পাটসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে এবং অনেক এলাকার কাঁচা সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
যমুনায় পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকায় বিশেষ করে নদী তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় অনেক পরিবার এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলছেন, যমুনা নদীতে ২২ জুন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এরপর হয়তো কমতে পারে। তবে বন্যার আশঙ্কা করা হলেও এখনো তেমন আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হওয়ায় ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজীর ৪ গ্রাম প্লাবিত
তিনি জানান, চৌহালী, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরসহ ভাঙনকবলিত স্থানে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া বাঁধসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নজর রাখা হচ্ছে।