দূতাবাস
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় কোনো আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজন নেই: দ. কোরিয়া দূতাবাস
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস বাংলাদেশের সকল ভিসা আবেদনকারীদের উদ্দেশে ফের বলেছে যে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় (ভিসা ফি ছাড়া) কোনো আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজন নেই।
দূতাবাস বলেছে, ‘আমরা সকল আবেদনকারীদের জন্য একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বৃহস্পতিবার দূতাবাস এক বার্তায় জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস বা কোনও কোরিয়ান ব্যক্তি কখনই ভিসা সংক্রান্ত কোনও উদ্দেশ্যে অর্থ চাইবে না।
দূতাবাস জানায়, ‘কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাসের সঙ্গে অধিভুক্ত হওয়ার দাবি করে এবং ভিসা পরিষেবা বা সহায়তার বিনিময়ে আর্থিক লেনদেনের অনুরোধ করে এমন কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার বিষয়ে দয়া করে সতর্ক থাকুন।’
দূতাবাস তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা বার্তায় জানায়, এগুলো প্রকৃত আবেদনকারীদের থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য করা কোনো প্রতারণামূলক স্কিম হতে পারে।
বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ‘যদি আপনি কোন সন্দেহজনক কার্যকলাপ বা ব্যক্তিদের সম্মুখীন হন, অনুগ্রহ করে অবিলম্বে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাসে রিপোর্ট করুন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ‘পরবর্তী পর্যায়ে’ নিয়ে যেতে আগ্রাহী কোরিয়া
বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতায় বৈচিত্র্য চান দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং
চলতি মাস বা আগামী মাসের প্রথম দিকে সুদানে বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা মিশন প্রধানের
সুদানে বাংলাদেশ মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তারেক আহমেদ বলেছেন, যে এলাকায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ হাউস অবস্থিত সেখানে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা পরিস্থিতি এখনও অস্থিতিশীল।
বুধবার তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা এখন পর্যন্ত দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারেনি।’
বাংলাদেশ মিশনের প্রধান বলেন যে তারা সুদানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও কিছুই চূড়ান্ত নয়, আমরা আশা করছি যে এই মাসের মধ্যে বা আগামী মাসের প্রথম দিকে সম্পন্ন হবে। এখনই সরিয়ে নিতে আগ্রহী আমাদের এমন প্রবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের দূতাবাস সরিয়ে নিলেও ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশের দূতাবাস এখনও চালু রয়েছে।
খার্তুমে পরিস্থিতি অপ্রত্যাশিত রয়ে গেছে, যদিও তারা কয়েকটি অঞ্চলে কিছুটা উন্নতির কিছু তথ্য পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা, সমস্ত কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবার, রাজধানীর বাইরে একটি নিরাপদ স্থানে আছি।’
আরও পড়ুন: কেন সুদানের সংঘাত বাকি বিশ্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ?
সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের অন্য দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে: শাহরিয়ার
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশে নিরস্ত্র মানুষের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত গণহত্যাকে স্মরণ করে শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে।
ঐদিনে পাকিস্তান সামরিক জান্তার কুখ্যাত অভিযান ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এ নিহত সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে দূতাবাস এক কর্মসূচির আয়োজন করে।
মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সকালে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর গণহত্যা ও নৃশংসতার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (কমার্স) মো. সেলিম রেজা এবং মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান।
আরও পড়ুন: জাপানে গণহত্যা দিবস পালন
আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহিদের মহান আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু করে।
তিনি ২৫ মার্চের গণহত্যাকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেন এবং উল্লেখ করেন যে সেদিন নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি জান্তার পরিকল্পিত গণহত্যায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারান এবং ব্যাপক ধ্বংসলীলা সংঘটিত হয়।
আরও পড়ুন: গণহত্যা দিবস পালিত হবে শনিবার
রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত হামলার পর ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানের পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার যাত্রায় যোগ দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মিনিস্টার (ইকোনমিক) মো. মেহেদী হাসানও আলোচনায় অংশ নেন এবং ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে ঐদিনে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংসতার বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়।
কর্মসূচি পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিল্টন।
আরও পড়ুন: দেশে গণহত্যা দিবস পালিত হচ্ছে আজ
ঢাকায় ফের আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাস খুলল আর্জেন্টিনা
বিপুল সমারোহে ঢাকায় ফের আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাস খুলছে আর্জেন্টিনা। সোমবার ঢাকার বনানী এলাকায় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এই নতুন দূতাবাসের উদ্বোধন করেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দের মুহূর্ত। এটা শুধু কূটনৈতিক সম্পর্ক নয়। এটা একটা আবেগঘন মুহূর্ত।’
আর্জেন্টাইন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মুহূর্তটিকে ‘দুই দেশের মধ্যে আরও ভাল এবং শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরির জন্য একটি পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
৪৫ বছর পর আবার দূতাবাস খুলল আর্জেন্টিনা।
১৯৭৮ সালে তৎকালীন লাতিন আমেরিকার দেশ শাসনকারী সামরিক জান্তা ঢাকায় আর্জেন্টিনা দূতাবাস বন্ধ করে দেয়।
দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক কার্যক্রম যেমন- ভ্রমণের জন্য ভিসা ইত্যাদি তখন থেকেই প্রতিবেশী দেশ ভারতের দূতাবাসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।
আর্জেন্টিনা বলেছে যে ‘রাজনৈতিক, কৌশলগত ও বাণিজ্যিক’ কারণে বৈদেশিক নীতি নির্দেশিকা অনুসারে পুনরায় দূতাবাস চালু করা সুবিধাজনক।
আরও পড়ুন: দূতাবাস চালু ও সম্পর্ক গভীর করতে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়
নতুন দূতাবাস উদ্বোধন এবং বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও গভীর করতে সোমবার সকালে ঢাকায় আসেন আর্জেন্টিনার মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। সন্ধ্যা ৬টায় বৈঠক শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মোমেন দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজেরও আয়োজন করবেন।
ঢাকায় আর্জেন্টিনা দূতাবাস পুনরায় খোলা ছাড়াও ক্যাফিয়েরো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, দুই দেশের কৃষি ও কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ একাডেমিতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি বলেন, দুই দেশ ফুটবল সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক নিয়ে কাজ করছে।
আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন তেল ও গম আমদানি ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকার শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট মেরকোসুরে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে উভয় পক্ষের আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
মেরকোসুর বা সাউদার্ন কমন মার্কেট হল একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্লক; যা মূলত আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েকে নিয়ে গঠিত।
বাংলাদেশের জুনিয়র ফুটবলারদের নিয়ে গঠিত দুই দলের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করার পাশাপাশি ফুটবল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারে আর্জেন্টিনা সফরকারী দল।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মোমেনের সঙ্গে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সোমবার
দূতাবাস চালু ও সম্পর্ক গভীর করতে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও উপাসনা মন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো ঢাকায় এসেছেন।
সোমবার সকালে তিনি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান।
এসময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নিউইয়র্কে বিসিআইইউয়ের বাণিজ্যবিষয়ক বৈঠক
দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির নতুন দূতাবাস উদ্বোধন এবং বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গভীর করতে তিনি এই সফর করছেন।
৪৫ বছর পর আবার দূতাবাস খুলছে আর্জেন্টিনা।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আজ বিকালে বনানীতে আর্জেন্টিনা প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস উদ্বোধনে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগ দেবেন।
ঢাকায় আর্জেন্টিনা দূতাবাস ১৯৭৮ সালে দেশটির তৎকালীন সামরিক জান্তা শাসক বন্ধ করে দেয়।
কূটনৈতিক কার্যক্রম, যেমন ভ্রমণের জন্য ভিসা, ভারতে আর্জেন্টিনা দূতাবাসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
আর্জেন্টিনা বলেছে যে ‘রাজনৈতিক, কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক’ কারণের ভিত্তিতে বৈদেশিক নীতি নির্দেশিকা অনুসারে দূতাবাস পুনরায় চালু করা সুবিধাজনক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। সন্ধ্যা ৬টায় বৈঠক শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মোমেন দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজেরও আয়োজন করবেন।
ঢাকায় আর্জেন্টিনা দূতাবাস পুনরায় খোলা ছাড়াও ক্যাফিয়েরো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, দুই দেশের কৃষি ও কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ একাডেমিতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, দুই দেশ ফুটবল সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক নিয়ে কাজ করছে।
আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন তেল ও গম আমদানি ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকার শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট মেরকোসুরে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে উভয় পক্ষের আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
মেরকোসুর, বা সাউদার্ন কমন মার্কেট হলো একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্লক যা মূলত আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়ে নিয়ে গঠিত।
বাংলাদেশের জুনিয়র ফুটবলারদের নিয়ে গঠিত দুই দলের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করার পাশাপাশি ফুটবল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারে আর্জেন্টিনার সফরকারী দল।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মোমেনের সঙ্গে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সোমবার
সাউথ সাউথ কো-অপারেশন বিষয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের নতুন ফোরাম গঠনের জোরালো আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২০২৩ সালকে বাংলাদেশ-দ.কোরিয়া সম্পর্কের মাইলফলক বছর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বলেছেন, বাংলাদেশ-কোরিয়া সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই বছরটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বছর হবে এবং যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রচেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, আমরা এটিকে (২০২৩ সালকে) একটি মাইলফলক বছর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
বুধবার দূতাবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতায় বৈচিত্র্য চান দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং
এসময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের জন্য বাংলাদেশে কোরিয়ান সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানান।
অর্থনৈতিক সাফল্য উদযাপন ও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপন করতে কোরিয়ান কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন ‘স্টে স্ট্রং, মার্চ টুগেদার’- থিম নিয়ে ‘কোরিয়া সপ্তাহ ২০২৩’- এর প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) এবং কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে ‘কোরিয়া সপ্তাহ ২০২৩’।
১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগসহ দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের ৫ম বৃহত্তম এফডিআই প্রদানকারী দেশ।
প্রায় ২০০ কোরিয়ান কোম্পানি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ‘পরবর্তী পর্যায়ে’ নিয়ে যেতে আগ্রাহী কোরিয়া
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
মার্কিন ভিসার আবেদন করার জন্য দালালের দ্বারস্থ হওয়ার প্রয়োজন নেই: দূতাবাস
মার্কিন ভিসা আবেদনকারীদের কাছে প্রতারণামূলক এন্ট্রি ও এক্সিট স্ট্যাম্প বিক্রির অভিযোগে ছয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার মার্কিন দূতাবাসের সহযোগিতায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
মার্কিন ভিসা আবেদনপত্রে যে তথ্য দেয় এবং সাক্ষাত্কারে যে তথ্য-উপাত্ত দেয় তার দায় আবেদনকারীদের।
সম্ভাব্য ভিসা আবেদনকারীদের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নির্দেশিকা ভালোভাবে পড়া।
শুক্রবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এক সংবাদ বিবৃতিতে বলেছে, যেকোনো সহায়ক ডকুমেন্টসসহ সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং ভিসা প্রক্রিয়া ও সাক্ষাত্কারের সময় প্রকৃত ও সত্য উত্তর দিন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস: দূতাবাস
দূতাবাসের মুখপাত্র জেফ রিডেনর বলেন, মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য দালাল ধরার প্রয়োজন নেই।
মার্কিন ভিসা আবেদনকারীদের অনলাইনে তাদের নিজস্ব আবেদনগুলো পূর্ণ করতে উত্সাহিত করা হয়। কারণ একটি আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আবেদনকারীদের সতর্ক করছি যে মিথ্যা তথ্য ও নথি উপস্থাপনের ফলে শুধুমাত্র ভিসা প্রত্যাখ্যানই হতে পারে না; বরং এটি একটি অযোগ্যতার কারণও হতে পারে। যা ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে বাধা হতে পারে।’
আরও পড়ুন: শরণার্থী, অভিবাসন সমস্যা আলোচনায় বাংলাদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী সচিব নয়েস
স্বাধীন, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়ার দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত হাস
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস: দূতাবাস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস। ২০২১ সালের হিসেব অনুযায়ী যা এক ট্রিলিয়নের কাছাকাছি।
এছাড়া বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় উৎসও যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে দেশটি ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
পঞ্চম ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম আগামী ১২ জানুয়ারি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। যা মানুষদের ইন্দো-প্যাসিফিক এবং মার্কিন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হতে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে: মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারিকে শাহরিয়ার আলম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের সরকার পঞ্চম ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, শিল্প নির্বাহী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের স্বাগত জানাবে।
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় ও ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম (আইপিবিএফ) এর সহযোগিতায় এবং জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে অংশীদারিত্বে মার্কিন বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার আয়োজন
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল জুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এর অংশীদারদের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে উন্নীত করতে দেশটির সরকারি-বেসরকারি অংশগ্রহণের মূল প্লাটফর্ম।
জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অন্যান্য ইন্দো-প্যাসিফিক দেশ এবং সারা বিশ্বের অংশগ্রহণকারীদের জন্য শক্তিশালী ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কের 'সুবিধা ও অসুবিধা' মূল্যায়ন করছে বাংলাদেশ: মোমেন
সব কূটনীতিকদের সম্পূর্ণ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন: মোমেন
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও উপাসনা মন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো আগামী বছরের মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সময় নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে ৩৭ মৃত্যু
মোমেন বলেন, আর্জেন্টিনার পক্ষ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে যে মার্চে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন।
‘দুই দেশের মধ্যে একটি ভাল সম্পর্ক রয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে।
এদিকে, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ আজ (বৃহস্পতিবার) বলেছেন তার দেশ আগামী বছর পুনরায় ঢাকায় একটি কূটনৈতিক মিশন স্থাপনে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেন, ‘আমরা (আর্জেন্টিনা) আমাদের দলের সমর্থনে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণের উদযাপন, খুব কাছ থেকে দেখেছি।’
তিনি আরও জানান, পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে আর্জেন্টিনা দলের জন্য ও ফাইনালে তাদের জয়ের পর বাংলাদেশের ব্যাপক ও আন্তরিক জনসমর্থন ও উদযাপনে; দেশটির জনগণ এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট অভিভূত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:বিশ্বের নিঃসঙ্গতম ‘গর্তের মানুষ’ এর মৃত্যু
আগামী বছর ঢাকায় দূতাবাস খুলতে পারে আর্জেন্টিনা: বাংলাদেশ মিশন
ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, আর্জেন্টিনা ২০২৩ সালে বাংলাদেশের ঢাকায় দূতাবাস খুলতে পারে।
আর্জেন্টিনার জন্য বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রদূত আছে। রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা ব্রাজিলে থেকে তার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
ব্রাজিলে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়, ২০২৩ সালে ঢাকায় একটি আর্জেন্টিনা দূতাবাস খোলার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করা হবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন পরিদর্শনে ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজ প্রতিনিধিদল
২০ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের প্রতি তাদের আবেগপূর্ণ সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানান।
পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে আর্জেন্টিনা দলটির জন্য এবং ফাইনালে তাদের জয়ের পর বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক জনগণের আন্তরিক সমর্থন ও উদযাপন দেশটির প্রেসিডেন্টকে অভিভূত করে।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট তার চিঠিতে জানান, ‘খেলাধুলা মানুষের মধ্যে বন্ধন ও সম্প্রীতি বৃদ্ধির একটি অর্থবহ ও শক্তিশালী মাধ্যম।’
ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম সয়াবিন উৎপাদনকারী দেশ থেকে সয়াবিন তেল আমদানির সুযোগ তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজ প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ মিশন পরিদর্শন
কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনের সামনে গুলি, পুলিশসহ নিহত ২