বিএনপি চেয়ারপারসন
খালেদা জিয়া সুস্থ, নির্বাচনে অংশ নেবেন: আবদুল আউয়াল মিন্টু
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন এবং তিনি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। তিনি বলেন, নির্বাচনে ফেনীর অতীত ইতিহাস সবাই জানে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এখানে বিএনপি জয়লাভ করবে। নির্বাচন নিয়ে ফেনীতে কোনো চিন্তা নেই।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ফেনী শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মিন্টু বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় জানুয়ারিতেও নির্বাচন হয়ে যেতে পারে। কারণ সুপ্রিম কোর্টে কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে একটি মামলা চলমান। যদি কেয়ারটেকার সরকার পুনঃপ্রবর্তন হয়—তাহলে এ অন্তবর্তী সরকার কেয়ারটেকার হবেন। কেয়ারটেকার সরকারে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলা আছে। আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, লন্ডনে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে অন্তর্বর্তী সরকার যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। আমরা সেটিতে আস্থা রাখতে চাই যে, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মধ্যরাতে হাসপাতালে খালেদা জিয়া
সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকলে ভালো কাজ করবে না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১৯ বছর আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে আসছি। কেউ যদি বলে আমরা হঠাৎ করে নির্বাচন চাচ্ছি বিষয়টি সঠিক নয়। বরং ২০০৬ সাল থেকে আমরা নির্বাচন চেয়ে আসছি। একটি দেশের সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকেন—তাহলে তারা কখনো ভালো কাজ করবে না। তাই আমরা চাচ্ছি নির্বাচনটি হোক।
মিন্টু আরও বলেন, আমরা বলে আসছি ২০০৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছে, সেটি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। ২০০৬ সাল থেকে দেশে কোনো নির্বাচনকালীন সরকার নেই। দুই যুগ ধরে যদি নির্বাচিত সরকার না থাকে— তাহলে মানুষের অর্থনৈতিক বা জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে না। নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত থাকে একটি সরকার, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে।
১২৮ দিন আগে
ফিরোজায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে দুই পুত্রবধূ
লন্ডনে চার মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর দেশে ফিরে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সঙ্গে রয়েছেন তার দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শার্মিলা রহমান সিঁথি।
ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে থেকে সাদা রঙের পাজেরো জিপে করে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে বাসায় পৌঁছান তিনি। এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় তিনি বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে বাসায় রওনা হন। পথে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে তার বাসায় পৌঁছাতে লেগে যায় প্রায় সোয়া ২ ঘণ্টা।
বিএনপি নেত্রী সাধারণত গাড়ির সামনে না বসলেও এদিন তাকে সেখানে আসন নিতে দেখা গেছে। পেছনের সিটে হাসিমুখে বসা ছিলেন তার দুই পুত্রবধূ।
ফিরোজায় খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান তার মেজ বোন সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, শামীমের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, জোবাইদা রহমানের বড় বোন শাহীনা জামান বিন্দু এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ছিলেন সেখানে।
খালেদা জিয়ার জন্য গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কে ‘ফিরোজা’ আগেই পুরোপুরি প্রস্তুত করার কথা বিএনপির তরফে জানানো হয়েছিল।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে খালেদা জিয়া ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর মাধ্যমে লন্ডনে ১৭ বছর নির্বাসনের জীবন শেষে দেশে ফেরার সুযোগ হয়েছে জোবাইদা রহমানেরও।
এদিন বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আশাপ্রকাশ করেন, খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন দেশের গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে।
আরও পড়ুন: ফিরোজার পথে খালেদা, জোবাইদার ১৭ বছর নির্বাসনের অবসান
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া দীর্ঘকাল ফ্যাসিবাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ফ্যাসিবাদ বিদায় নেওয়ার পর কারাবন্দিত্ব মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় ৪ মাস চিকিৎসা শেষে আজকে দেশে ফিরে আসছেন। এটা আমাদের জন্য, জাতির জন্য একটা আনন্দের দিন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্র উত্তরণের এই সময়ে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি একটি উল্লেখযোগ্য দিক। তার ফিরে আসা আমাদের গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে। দেশকে সঠিক ও বৈষম্যহীন পথে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।’
সোমবার (৭ মে) স্থানীয় সময় ২টা ১০ মিনিটে লন্ডনে তারেক রহমানের বাসা থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। এরপর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিমানটি হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে প্রিয় নেত্রীকে অর্ভ্যথনা জানাতে অবস্থান নিতে শুরু করেন বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দলীয় ও জাতীয় পতাকা নিয়ে এদিন ভোর থেকেই প্রায় ১০ কিলোমিটার পথের উভয় পাশে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যান খালেদা জিয়া। সেখানে লন্ডন ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিন প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি এবং অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন তিনি।
তারপর তাকে তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা থেকে এতদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর আজ দেশে ফিরলেন।
এদিকে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ‘ফিরোজা’কে পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
খালেদা জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে তার বাসভবন ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে।
জোবাইদার ১৭ বছরে নির্বাসনের অবসান
২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করে আসছেন তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে দুই পুত্রবধূ
খালেদা জিয়ার সঙ্গে তিনিও আজ দেশে ফিরেছেন। এর ফলে জোবাইদার ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান হয়েছে। দেশে ফিরে বাবার ধানমণ্ডির বাসায় থাকার ইচ্ছা পোষণ করেছেন তিনি। তবে বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরাসরি তিনি ফিরোজায় উঠেছেন।
জোবাইদাকে বরণ করে নিতে ধানমণ্ডির ৫ নম্বর রোডে অবস্থিত তার বাবার বাড়ি মাহবুব ভবনও প্রস্তুত করা হয়েছে। বাড়িটি সুসজ্জিত করার পাশাপাশি তার স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাড়তি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
জোবাইদার সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকির কথা উল্লেখ করে সশস্ত্র সুরক্ষা, তার বাসভবনে পুলিশ মোতায়েন এবং একটি আর্চওয়ে স্ক্যানার স্থাপনের অনুরোধ জানিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শককে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা কথা জানিয়েছেন।
২১৩ দিন আগে
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, বিদায় জানাতে হিথ্রোতে নেতাকর্মীদের ভিড়
লন্ডনে চার মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাকে বিদায় জানাতে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দলটির প্রবাসী নেতাকর্মীদের ভিড় করতে দেখা গেছে।
সোমবার (৭ মে) স্থানীয় সময় ২টা ১০ মিনিটে লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসা থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই গাড়ি চালিয়ে তার মাকে বিমানবন্দরে নিয়ে গেছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিসকর অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘গাড়িতে সামনের আসনে ছেলের পাশে বসেছেন খালেদা জিয়া। দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান, সৈয়দা শার্মিলা রহমান এবং তারেকের মেয়ে জাইমা রহমানও রয়েছেন গাড়িতে। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কাতারের আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আমরা রওনা হব। বিকাল ৪টায় আমাদের রওনা হওয়ার কথা।
দোহায় যাত্রাবিরতি করে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের।
এদিকে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’ সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। নেতাকর্মীদের হাজারো ভিড়ের মধ্য দিয়ে তাকে বিমানবন্দর থেকে বাসায় পৌঁছানোর সময় অভ্যর্থনা জানানো হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইউএনবিকে জানান, ‘তিনি মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করছি।’
খালেদা জিয়ার গাড়িবহর কাকলী রুট ধরে ফিরোজায় পৌঁছাবে। ফখরুল বলেন, ‘নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে তারা ফুটপাথে দাঁড়িয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা হাতে তাকে শুভেচ্ছা জানাবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা: নাগরিকদের চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা
তিনি জনগণকে অনুরোধ করেন বিমানবন্দর থেকে কাকলী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে, যাতে রাস্তায় যানজট না হয়। মঙ্গলবার সকালে বিমানবন্দরে বিএনপি মহাসচিব, অন্যান্য নেতা ও খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিএনপির পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়ান পর্যন্ত অবস্থান নেবে ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিট, এরপর ছাত্রদল লে মেরিডিয়ান থেকে খিলখেত পর্যন্ত, যুবদল খিলখেত থেকে রেডিসন পর্যন্ত।
রেডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত থাকবে দক্ষিণ সিটি ইউনিট, এরপর স্বেচ্ছাসেবক দল স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত, কৃষক দল কবরস্থান থেকে কাকলী পর্যন্ত, শ্রমিক দল কাকলী থেকে বনানী শেরাটন পর্যন্ত অবস্থান নেবে।
বনানী শেরাটন থেকে কিচেন মার্কেট পর্যন্ত থাকবে ওলামা দল, তাঁতি দল, জাসাস ও মৎস্যজীবী দল। মুক্তিযোদ্ধা দল ও অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠন থাকবেন কিচেন মার্কেট থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত, আর মহিলা দল ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা থাকবেন গুলশান অ্যাভিনিউ পর্যন্ত।
বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদেরও রুটের সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিমানবন্দর বা ফিরোজা বাসভবনে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না এবং খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সঙ্গে পায়ে হেঁটে বা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ থাকবে।
২১৪ দিন আগে
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা স্থগিত
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজা বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আদালত।
সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ হয়।
রবিবার শুনানি শেষে সোমবার (১১ নভেম্বর) আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা ১১ মামলা বাতিল
আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
আইনজীবী জয়নুল আবেদীন জানান, আদালত লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে আপিল দায়ের করতে বলেছেন। এখন আপিল দাযের করার পর আপিলের ওপর শুনানি হবে। সে পর্যন্ত সাজার কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে।
২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।
এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন। একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট।
সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।
এছাড়া পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য শিগগিরই লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
৩৮৯ দিন আগে
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শনিবার বিকালে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং নানা শারীরিক সমস্যা নিয়ে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ আল মামুন ইউএনবিকে বলেন, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় মেডিকেল বোর্ড হাসপাতাল থেকে ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বিকালে হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় গেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ: ফখরুল
মামুন বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল টিমই তাকে তার বাসায় চিকিৎসা দিবে। গত ১১ এপ্রিল ৭৬ বছর বয়সী এই বিএনপি প্রধানের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির একদিন পর ২৮ এপ্রিল অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্তের ২৭ দিন পর ৪ মে পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ হন। কিন্তু করোনা পরবর্তী জটিলতা ও অন্যান্য শারিরীক অসুস্থতার কারণে তিনি হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হৃদযন্ত্র, কিডনির সমস্যায় জ্বরে ভুগছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে গত ৬ মে খালেদা জিয়ার পরিবার তাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু সরকার তা নাকচ করে দেয়। গত বছর ২৫ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্মসনদসহ নথিপত্র হাইকোর্টে তলব
১৬৩০ দিন আগে
মৃদু জ্বরে ভুগছেন খালেদা, অবস্থা এখনও স্থিতিশীল: ডাক্তার
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে মৃদু জ্বরে ভুগছেন বলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দল জানান।
ডাক্তাররা জানান খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসার জন্য তারা সিটিস্ক্যান করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের প্রধান অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী জানান, বুধবার রাত থেকেই খালেদার সামান্য জ্বর দেখা দেয় এবং তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট ছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকালেও তার শরীরে জ্বর ছিল।
'কিন্তু উনার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। আমরা দেখেছি উনার চেস্ট ক্লিয়ার আছে। উনার ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণে আছে।'
অধ্যাপক সিদ্দিকী বলেছেন, 'সাধারণত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে বলা হয় যে প্রথম সপ্তাহের চেয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হয়, সুতরাং আমরা বলতে পারি যে উনি এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন। তাই আমরা আরও একটু বেশি সাবধান হচ্ছি।'
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
সিটিস্ক্যান বাদে খালেদা জিয়ার প্রায় সব শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়েছে। এখন দ্রুতই তার সিটিস্ক্যান করানো হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, 'সিটিস্ক্যান করানোর পর রিপোর্ট দেখে যদি মনে হয় উনাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করালে ভালো হবে, তাহলে সেটাই করবো আমরা।'
'আর যদি রিপোর্ট দেখে মনে হয় যে না, কয়েকদিন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা ভালো হবে, তাহলে তাই করবো। সিদ্ধান্তটা সিটিস্ক্যান রিপোর্ট দেখে নেয়া হবে।'
উল্লেখ্য, গত শনিবার খালেদা জিয়া ও তার বাসায় আরো আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এরপর গত বছর ২৫ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধেই তাকে ছয় মাসের জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয়।
১৬৯৪ দিন আগে
খালেদার সাজার স্থগিতাদেশ শেষ হচ্ছে আগামী মাসে
দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার ছয় মাসের স্থগিতাদেশের সময়সীমা আগামী মাসে শেষ হচ্ছে।
১৯৪৪ দিন আগে