আলোচনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইস রাষ্ট্রদূতের ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ আলোচনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেংগলি।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সাক্ষাৎকালে দ্বিপক্ষীয় বিষয় ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে ইতিবাচক ও গঠনমূলক আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত রেংগলি অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
তিনি রোহিঙ্গা মানবিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতায় সুইজারল্যান্ডের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
একটি নির্ভরযোগ্য এবং উদ্ভাবনী উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে সুইজারল্যান্ডের ভূমিকার উপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, ভালো ব্যবসায়িক অনুশীলন, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও একটি প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজের মতো মূল সর্বজনীন নীতিগুলো প্রচার করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে আলোচনা করে করলে ভালো হয় বলে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইএলও-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা শ্রম আইনের যে সংশোধন, সেটার বিষয়ে বসেছিলাম। এর আগে সংশোধনীর কথা হয়েছিল, সেখানে কিছু নতুন সংশোধনী আনার ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রণালয় আমাকে জানিয়েছিল। সে বিষয়ে আইএলও কিছু বক্তব্য দেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা দিয়ে ড. ইউনূসকে হয়রানি করছে না সরকার: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, জেনেভা থেকে আইএলও- এর চারজনের একটি টিমও আজকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন। বৈঠকে শ্রম আইনের প্রায় প্রত্যেকটা ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছিলাম, শ্রম আইনটা পার্লামেন্টের চলতি অধিবেশনে পাস করার জন্য। কিন্তু আইএলও প্রতিনিধিদল বলেছেন, তারাহুড়ো না করে, আলোচনা করে আরও কিছু করতে পারলে ভালো হবে।
আনিসুল হক বলেন, আমি তাদের পরিষ্কারভাবে একটা কথা জিজ্ঞেস করেছি যে, আইএলও’তে আমাদের বিরুদ্ধে গত তিন বছর ধরে একটা অভিযোগ ঝুলে আছে। প্রত্যেকবারই বলেন যে, এটা মার্চ মাসে সিদ্ধান্ত হবে না, নভেম্বরে যাবে। আবার নভেম্বরে হবে না মার্চে যাবে। আমি সেজন্য বলেছি মার্চ মাসের গভর্নর বডির মিটিংয়ে যদি বলেন, এটা আবার নভেম্বরে যাবে। সেটা তো আমরা নিতে রাজি না।
তখন তারা বলেছে, কমপ্রিহেন্সিভ লেবার অ্যাক্ট (সমন্বিত শ্রম আইন) তাদের পরামর্শ মিলিয়ে যদি করতে পারি তাহলে সেটা এই মার্চ মাসে আমাদের অভিযোগ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা হবে না, বরং আমরা যে আলোচনাগুলো করছি সেটার একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আইনমন্ত্রী বলেন, এটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন নীতিনির্ধারকরা। এই আইনের কিছু কিছু বিষয় আছে, তা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গেও আলাপ করতে হবে। তাই আমরা দুইটি সিদ্ধান্তে এসেছি।
একটা হচ্ছে এই মিটিং আবারও অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে আইএলও-এর উদ্যোগে একটা অংশীজনদের ফ্যাসিলিটি মিটিং হবে। সেখানে যেসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সঙ্গে তাদের মতপার্থক্য আছে- সেগুলো আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান: আইনমন্ত্রী
আজ তারা কী পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, তারা বলছেন, ‘সি ম্যান’ এর নাম বদলিয়ে ‘সি ফেয়ারার’ নাম করা। ম্যানেজার ও সুপারভাইজারদের ওয়ার্কার বলা।
তিনি বলেন, একটা কথা আসছিল ইউনিভার্সিটি টিচারদের ওয়ার্কার বলতে হবে, আমি সেটা নাকচ করে দিয়েছি।
আমি বলেছি, ইউনিভার্সিটি টিচারদের আমরা ওয়ার্কার বলতে পারব না। তার কারণ হচ্ছে, ইউনিভার্সিটি টিচাররাও চান না যে, তাদের ওয়ার্কার বলতে এবং ওয়ার্কারের সংজ্ঞায় আনতে, আমরাও চাই না।
ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি।
তিনি বলেন, আগে ছিল ১৫ শতাংশ হবে শুধু তিন হাজার বা তার ঊর্ধ্বে যেসব কারখানা শ্রমিক আছে তাদের। এখন আমরা সেটাও তুলে দিচ্ছি। সকল শ্রমিকদের ব্যাপারে ১৫ শতাংশ কাজ করবে।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশে গম রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে আলোচনা
বাংলাদেশে গম রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্টিটস্কি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে এ আগ্রহের কথা জানান রাষ্ট্রদূত।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর অফিসে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও গম রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
সাক্ষাৎকালে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে।’
রাশিয়াকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বের দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত: হাছান মাহমুদকে ল্যাভরভ
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে রাশিয়া ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।’
এ সময় দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় খাদ্য মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে গম রপ্তানির আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ সময় খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেনসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
নির্বাচনকে 'অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সফল' বললেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও রাশিয়ার পর্যবেক্ষকরা
নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, বোয়িং কেনার মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বড় দেশগুলোর কূটনীতিকরা সরাসরি তাদের বিভিন্ন পণ্য কেনার ওপর জোর দেন, কিন্তু বাংলাদেশ তা নেতিবাচকভাবে নেয় না।
তিনি বলেন, ‘এটা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের অংশ। সব রাষ্ট্রদূতই এটা করেন। আমরাও একই কাজ করি, কিন্তু এটা তাদের (বিদেশি কূটনীতিকদের) মতো নয়।’
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার জন্য বাংলাদেশের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের প্রস্তাব আসছে এটা সত্য নয়, এটা অনেক আগে থেকেই আলোচনায় ছিল।
মোমেন বলেন, সরকার বিমানবহরের জন্য ক্রয়ের বৈচিত্রের দিকে নজর রাখছে এবং এয়ারবাস থেকে কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-জাপান মৈত্রী: ঢাকায় শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
তবে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে সরকার আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তবে আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলে এটি ক্রয় করবে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এয়ারবাসের কাছ থেকে কিনতে সম্মত হওয়ার পর বোয়িং এখন কম দামে দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,‘তারা আমাদের অনুরোধ করেছে কিন্তু আমরা এটিকে আমাদের উপর চাপ হিসাবে নিচ্ছি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র খুবই খুশি।
তিনি বলেন, 'আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ভালো ও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার অপেক্ষায় রয়েছি।
দুই দেশের মধ্যে কোনো ধরনের অস্বস্তির কথা নাকচ করে ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ উভয়েই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র 'অহিংস' নির্বাচন চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ ১৪২ দেশে যুক্তরাজ্যের ভিসা সেবা দেবে ভিএফএস গ্লোবাল
ড. মোমেন বলেন, নেতৃত্বের পদে সবার আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে সরকার এর নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্ক খুবই আন্তরিক।’
ড. মোমেন বলেন, সারাদেশে নির্বাচনের ঢেই বইছে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানেই জনগণের অংশগ্রহণ।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো বাংলাদেশকে পরামর্শ দেয় এবং যেসব পরামর্শ দেশের জন্য ভালো মনে হয় বাংলাদেশ সেসব পরামর্শ গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: মিনি ফিল্ম ফেস্টিভেলের মাধ্যমে মানবাধিকার সপ্তাহ পালন ডাচ দূতাবাসের
জলবায়ু আলোচনার চূড়ান্ত: দুবাই জলবায়ু প্যাকেজ নিয়ে শেষ দিনে সমঝোতার চেষ্টা
বহুল আলোচিত ও প্রথম দিনে ইতিহাস সৃষ্টি করা দুবাই জলবায়ু সম্মেলন শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর)। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আজ শেষ দিনের আলোচনায় দুবাই জলবায়ু প্যাকেজ নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল জানায়, আজ কেবলমাত্র দুটি ইস্যু সামনে আছে। একটি হচ্ছে, জলবায়ু প্রশমনে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন কমানোর উচ্চাভিলাসী লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে- জলবায়ু সংকট উত্তরণে দেশগুলোর সদিচ্ছা প্রকাশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু অগ্রাধিকার সমর্থনে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
দুবাই জলবায়ু সামিট শেষ দিনে চূড়ান্ত চুক্তিতে বিশ্ববাসীকে কী উপহার দেবে সেটা দেখার অপেক্ষায় অধীর বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। আজ দুবাইয়ের স্থানীয় সময় রাত পর্যন্ত চলবে আলোচনা।
জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ বা কমিয়ে আনার প্রশ্নে দুবাই জলবায়ু আলোচনায় এক অচল অবস্থা বিরাজ করছে। এই অচল অবস্থা নিরসনে আপ্রাণ চেষ্টা চালিযে যাচ্ছন সম্মেলনের সভাপতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের পরিবেশমন্ত্রী সুলতান আল জাবের। তিনি যেকোনো মূল্যে দেশগুলোকে নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছে দুবাইকে জলবায়ু সম্মেলনের ইতিহাসে স্মরণীয় করে রাখতে চাইছেন। এ লক্ষে সম্মেলনের (কপ) সভাপতি বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে দফায় দফায় ‘মজলিশ’ করে সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
জলবায়ু সম্মেলনের শেষ দিনে এসে সব পক্ষকে সন্তুষ্ট করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া কঠিন কাজ। তাই শেষ দিনের কাজকে সহজ করার জন্য দুই দিন আগে থেকেই ‘গ্রাউন্ড ওয়ার্ক’ শুরু করেছেন কপ সভাপতি সুলতান আল জাবের।
রবিবার থেকে তিনি গ্রুপে গ্রুপে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেন। আরবি ভাষায় যাকে ‘মজলিশ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি প্রতিনিধিদের সমঝোতার মানসিকতা নিয়ে চূড়ান্ত সামিটে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কী আছে দুবাই জলবায়ু প্যাকেজে
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকটের বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধানসহ অভিযোজন তহবিল দ্বিগুন করার দাবি বাংলাদেশের
ক্ষয়ক্ষতি তহবিল কার্যকর, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানো, অভিযোজন কার্যক্রম দ্রততর করার জন্য গ্লোবাল গোল অ্যাডাপটেশন গ্রহণ, মিথেন গ্যাস নির্গমন কমিয়ে বৈশ্বিক ক্ষুধা নিবারণে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ণ, কার্বন নির্গমন কমাতে ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অন মিটিগেশন গ্রহণ, বৈশ্বিক মূল্যায়নের মাধ্যমে পাঁচশালা পরিকল্পনা গ্রহণ, ১০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন এবং ২০২৫ সাল থেকে নতুন অর্থায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ। মূলত জলবায়ু সংকট নিরসনে সব বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেই সাজানো হয়েছে দুবাই জলবায়ু প্যাকেজ।
এরমধ্যে বৈশ্বেক মূল্যায়নের পাঁচশালা পরিকল্পনাটি এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্যারিস চুক্তিতে পাঁচ বছর পর পর বৈশ্বিক মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে। সেই মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
এই মূল্যায়নেই বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে কী পরিমাণ কার্বন নির্গমন কমাতে হবে। এজন্য কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী জীবাশ্ম জালানি কতটা ফেজ আউট বা ফেজ ডাউন করতে হবে।
ক্ষয়ক্ষতির জন্য কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে, অভিযোজন বা প্রশমনের জন্য কী পরিমাণ অর্থ লাগবে সব বিষয়ই এই পরিকল্পনায় তুলে ধরা হয়েছে। এই মূল্যায়ন ও মিটিগেশন ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অনুমোদন হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো। তাদের তেলের ব্যবসা কমে যাবে। এজন্য তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর চার শতাধিক লবিস্ট যেমন দুবাইতে সক্রিয় রয়েছে, তেমনি তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা ওপেক জীবাশ্ম জালানি বন্ধের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার জন্য সদস্য দেশগুলোকে চিঠি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অগ্রাধিকার সহায়তা হিসেবে এডিবির কাছ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রবণতা ও প্রভাব নিয়ে দোহা ফোরামে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দোহা ফোরামে ' নিয়ারশোরিং অ্যান্ড ফ্রেন্ডশোরিং – চেঞ্জিং প্রায়োরিটিস ইন গ্লোবাল ট্রেড’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) কাতারের দোহায় শুরু হয় এ প্যানেল আলোচনা।
বৈশ্বিক বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা, বাণিজ্য ব্যবস্থার প্রভাব এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের রুটগুলো আবার নির্ধারণের পাশাপাশি লাভের বিষয়ে আলোচনা করেন মোমেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) মালিকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
তিনি কোভিড-১৯ মহামারির সময় ও তার আগে টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনের কথাও তুলে ধরেন।
এর আগে তিনি ফোরামের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
দু'দিনব্যাপী এই ফোরামে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের পাশাপাশি নীতি নির্ধারক, বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানির আমন্ত্রণে দোহা ফোরামে পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২১তম দোহা ফোরামের প্রতিপাদ্য হলো- 'বিল্ডিং শেয়ার্ড ফিউচার'। প্রতি বছর অনুষ্ঠিত এই ফোরামে বৈশ্বিক নীতি নির্ধারক, সরকারি নেতা, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি সংস্থাগুলো একত্রিত হয়ে ইস্যুভিত্তিক সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মানে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেন মোমেন।
এছাড়া নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ প্রকাশ সৌদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: 'দোহা ফোরাম ২০২৩'-এ যোগ দিতে কাতারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সমর্থন অব্যাহত রেখেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সহযোগিতার জন্য আমার ডিবি কার্যালয়ে আসা: তানজিন তিশা
অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে ঘিরে আলোচনা যেন কমছে না।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে এই তারকা।
ডিবি ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তানজিন তিশা। সেখান থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি তিশা, আত্মহত্যাচেষ্টার গুঞ্জন
তিশা বলেন, ‘ডিবি অফিস একটা আস্থার জায়গা। আমরা শোবিজ ইন্ডাস্ট্রিসহ সব প্লাটফর্মের যারা বিপদে পড়ি, বিশেষ করে যারা সাইবার বুলিং বা হ্যারাসমেন্টের শিকার হন, তারা এখানে আসেন, হারুন স্যারের হেল্প নেন। আমিও তার ব্যতিক্রম নই।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস প্রসঙ্গে তিশা বলেন, ‘ফেসবুকে পোস্ট করা মাত্রই আমি বুলিং হচ্ছি। তাই মনে হয়েছে হারুন স্যারের কাছে এলে, আমি তাদের সহযোগিতা পাব। তাদের সহযোগিতায় আপনাদের বিষয়টি কিছুটা স্পষ্ট করতে পারব। সহযোগিতার জন্য আমার ডিবি কার্যালয়ে আসা।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আত্মহত্যার চেষ্টা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয় তিশাকে নিয়ে। সেই সঙ্গে গুঞ্জন উঠে অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জটিলতা থেকে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন অভিনেত্রী।
এরপর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে নেতিবাচক ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন তিশা। যদিও এ নিয়ে পরে ক্ষমা চান এই তারকা।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন তানজিন তিশা
আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে মিডিয়ার কিছু মানুষ: তানজিন তিশা
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি: নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির আলোচনা শুরু
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৩টি নিবন্ধিত দল আলোচনায় অংশ নিয়েছে এবং ৩টি দল যোগ দিচ্ছে না। এদিকে ৩টি দল যোগ দেবে কি না তা কমিশনকে জানায়নি। গণতন্ত্রী পার্টিকে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এখন ভোটার ১১.৯৬ কোটি: ইসি
ইসি প্রতিদিন দুটি সংলাপ সেশন নির্ধারণ করেছে। প্রথমটি আজ সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টায় শেষ হবে এবং অন্যটি বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
দুই দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দিনব্যাপী আলোচনা হচ্ছে। সংলাপের জন্য দলগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা তাদের দ্বারা নিযুক্ত দু’জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলসহ (জেএসডি) বিএনপি ও এর একাধিক সহযোগী নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারের নির্দেশে সংলাপের নামে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছে ইসি: বিএনপি
কোনো জোটে না থাকা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিও (সিপিবি) ইসির সংলাপ বয়কট করেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতো ইসলামী দলগুলো সংলাপ বর্জন করেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ সংলাপে দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন বলে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ইসিকে সময়মতো নির্বাচন করতে হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন
বঙ্গভবন থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চায় ইসি। সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন ১ থেকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে উক্ত সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছিল।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সভার আয়োজন করবে ইসি। ওই সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হতে পারে। একই সঙ্গে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
পরে বাংলাদেশ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণের মধ্য দিয়ে সিইসি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারেন।
সাধারণত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এ ধরনের সাক্ষাতের রেওয়াজ রয়েছে।
গত ১৬ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। ১৮ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে বিশিষ্ট কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক ডাক্তার কফিদিস থিওডোরাসের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপতির বাইপাস সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। বুধবার (১ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির দেশে ফেরার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসির তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী
এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হচ্ছে বুধবার (১ নভেম্বর)। আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে কমিশন। সোমবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি।
বুধবার ১২টি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কয়েকটি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
তবে ‘অনিবার্য কারণবশত’ ২ ও ৩ নভেম্বরের ডিসি–এসপিদের প্রশিক্ষণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার অনুষ্ঠেয় ইউএনওদের প্রশিক্ষণও স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক চেয়েছে ইসি
ডেঙ্গু সচেতনতায় মসজিদে-মসজিদে আলোচনা ও লিফলেট বিতরণ
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মসজিদে-মসজিদে লিফলেট বিতরণ ও করণীয় সম্পর্কে মুসল্লিদের দিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
শুক্রবার (২১ জুলাই) ডিএসসিসি আওতাধীন মসজিদগুলোতে জুমার নামাজে অংশগ্রহণকারী মুসুল্লিদের সচেতন করার লক্ষ্যে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর ব্যর্থতায় ঢাকার দুই মেয়রের পদত্যাগ চায় বিএনপি
এছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এসময় কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এই আলোচনা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হল ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে জনসাধারণকে শিক্ষিত করা এবং এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণকে উন্নীত করা।
এর আগে ১৩ জুলাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) তার এলাকায় ডেঙ্গু রোগ ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছিল।
ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে কন্ট্রোলরুমের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: হাফেজ আবু তালহার সাফল্য বাংলাদেশের জন্য গৌরবের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম