প্রযুক্তি
টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে বিজ্ঞানে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে বিশ্বে সঠিক নীতি ও প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বিজ্ঞান সমাবেশে নবম আন্তর্জাতিক নারী ও কন্যা দিবসের আয়োজনে এক ভিডিও বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ন্যায্য, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বিজ্ঞানের ক্ষেত্রগুলোতে নারী ও মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন। নারীরা যাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার বেছে নেয় সেজন্য আমাদের অবশ্যই সঠিক নীতি ও প্রতিষ্ঠান থাকতে হবে।’
বিজ্ঞানের ক্ষেত্রগুলোতে নারীদের নেতৃত্বে আসা উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশে আমাদের নারী বিজ্ঞানীদের কাজের স্বীকৃতি ও প্রণোদনার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে সারাদেশে হাজার হাজার নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন করছে।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে নারীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি দেখে আমি আনন্দিত। তরুণীদের আইটি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও প্রতিবন্ধী তরুণদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে তাদের জীবন পরিবর্তনের সুযোগ করে দিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, নারীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সম্প্রসারণ করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব উচ্চ বিদ্যালয়ের স্নাতকদের জন্য বিজ্ঞান ও আইসিটি বিষয়ে শিক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছি।’
সরকার প্রধান বলেন, অতীতে উচ্চশিক্ষায় বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সন্তোষজনক ছিল না।
তিনি বলেন, সমন্বিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৪০ শতাংশ নারী, যেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের হার ৩০ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনী অনুদানগুলোতে নারীরা অগ্রাধিকার পান তা আমরা নিশ্চিত করি।‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর ভিশন অনুধাবনের জন্য আমাদের তরুণ মেয়েদের প্রস্তুত হতে হবে।'
আরও পড়ুন: নিয়মিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারী ও মেয়েদের শিক্ষার প্রতি সবসময় নিবেদিত থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, সারা বিশ্বে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতের শাখার সব স্তরে বছরের পর বছর ধরে লিঙ্গ বৈষম্য বিরাজ করছে।
উচ্চশিক্ষায় অংশগ্রহণে নারীরা অভূতপূর্ব অগ্রগতি দেখালেও এখনও এই ক্ষেত্রগুলোতে তাদের প্রতিনিধিত্ব পর্যাপ্ত নয়।
বলা হয়ে থাকে, লিঙ্গ সমতা সবসময় জাতিসংঘের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লিঙ্গ সমতা এবং নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন শুধু বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নেই নয়, টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা-এর সমস্ত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
২০১১ সালের ১৪ মার্চে তাদের ৫৫তম অধিবেশনে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারীদের প্রবেশাধিকার এবং অংশগ্রহণের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন গ্রহণ করে নারীর অবস্থাবিষয়ক কমিশন। এছাড়াও এই ক্ষেত্রগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থান ও উপযুক্ত কাজের জায়গায় সমান সুযোগের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায়।
২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন বিষয়ে সাধারণ পরিষদে একটি রেজুলেশন গৃহীত হয়। সেখানে সব বয়সের নারী ও মেয়েদের জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে পূর্ণ ও সমান প্রবেশাধিকার এবং অংশগ্রহণ জেন্ডার সমতা ও নারী ক্ষমতায়নের জন্য অপরিহার্যতার বিষয়ে সবাই সম্মত হয়।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
বিজ্ঞান-প্রযুক্তির গবেষণায় বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে: তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বর্তমান যুগে এগিয়ে যেতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং এ লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে এগিয়ে যেতে আমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপকল্প দিয়েছেন। আমাদের যে টেকসই অভীষ্ট রয়েছে সেখানে বিজ্ঞানকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বিসিএসআইআর (সায়েন্স ল্যাব) আয়োজিত ‘বিজ্ঞান ও শিল্প-প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, আমাদের শিক্ষানীতির আলোকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করার জন্য সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কারণ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। তাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাব।
আরও পড়ুন: আন্তঃজেলা বাস ঢাকার বাইরের আর নগর পরিবহন ঢাকার অভ্যন্তরের টার্মিনাল ব্যবহার করবে: শেখ তাপস
শেখ হাসিনার আগে এ দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় কেউ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেননি মন্তব্য করে তাপস বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে এ দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় উল্লেখযোগ্য কোনো বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হতো না। কিন্তু ২০০৯ সালে দায়িত্বভার গ্রহণের পর তিনি এই খাতকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেন।
আজ আমাকে বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান বললেন, শুধু গবেষণায় ৯ কোটি টাকা তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি এটাও পর্যাপ্ত নয়। আমার বিশ্বাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী, এই এলাকার সংসদ সদস্য এবং আমিসহ সবাই মিলে আমরা যদি এটা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনতে পারি তাহলে ৯ কোটি ৯০ কোটিতে রূপান্তরিত হবে।
তিনি বলেন, একসময় বিজ্ঞান শিক্ষা পিছিয়ে পড়লেও শেখ হাসিনার নানামুখী উদ্যোগের ফলে বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও কর্মক্ষেত্র বাড়ছে। বিজ্ঞান চর্চায় ও বিজ্ঞানে পড়াশোনায় আমাদের শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে এখন আবারও আগ্রহ ফিরে পেয়েছে। আগে আমাদের শিক্ষার্থীরা বড় হলেই ভাবত পড়াশোনার জন্য বিদেশে চলে যাব। এদেশে আমার কর্মের সুযোগ নেই, আমার মেধা-মনন বিকাশের সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, আপনার লক্ষ্য করেছেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের এই পথচলায় আমাদের অনেক সন্তান বহির্বিশ্বের অনেক সুযোগের হাতাছানি উপেক্ষা করে বাংলাদেশে ফিরে আসছে। দেশের জন্য দেশপ্রেম ও নিষ্ঠা নিয়ে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞান ও গবেষণায় অবারিত সুযোগ করে দিয়েছেন বলেই তারা দেশে ফিরে আসছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে তাপসের শোক
সিন্ডিকেট রোধে কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তাপস
আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন পিছিয়ে না থাকে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন বিশ্বের যেকোনো শিক্ষার্থীর চেয়ে এক বিন্দু পিছিয়ে না থাকে তা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশে মাদরাসা শিক্ষা যে জায়গায় পৌঁছেছে, সেটির জন্য আমরা মুগ্ধ। শিক্ষকরা মাদরাসার শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয়ে যেমন গড়ে তুলছেন। একইভাবে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাসহ অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তিতে ভবিষ্যতের নাগরিক তৈরি করছেন।
আরও পড়ুন: সময়মতো বই দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী: শিক্ষামন্ত্রী
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী ফাজিল মাদরাসায় শিক্ষার আধুনিকায়নে চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যারা নীতি প্রণয়ন করেন এবং যারা সিদ্ধান্ত নেন তারা অভিজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নেন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। কিন্তু সেটি কতটুকু এবং কীভাবে বাস্তবায়িত হলো, তার ফলাফল কতটা ইতিবাচক, কোনো সমস্যা আছে কি না, কী কী চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো থেকে উত্তরণের জন্য কী করণীয় আছে সেগুলোর জন্য পরামর্শ দেওয়ার কাজগুলো করতে পারেন শিক্ষকরা।
মন্ত্রী আরও বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আপনারা আমাকে সুযোগ দিয়েছেন আপনাদের সেবা করার। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আল্লাহর রহমতে আগামীতে সুযোগ পেলেও আপনাদের সেবা করে যাব। আর মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নের বিষয়ে শিক্ষকরাই সবচেয়ে ভালো জানেন। কারণ শিক্ষকরাই সেটি বাস্তবায়ন করে আসছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহসহ বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিকভাবে আমরা অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছি: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে: স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তরুণ ও যুব সমাজের পেছনে তাকানোর আর সময় নেই।
তিনি বলেন, বিশ্বায়নের যুগে বিভিন্ন সুযোগকে তরুণ সমাজের কাজে লাগাতে হবে। বর্তমান সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ন: এফওসি: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা
রাজধানীর মিরপুরের নিজস্ব ক্যাম্পাসে মিরপুর এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুলের (মটস) সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্পিকার এসব কথা বলেন। এসময় স্পিকার মটসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন করেন।
স্পিকার বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় কারিগরি শিক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গ্রামে-উপজেলায় আজ ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে, যারা বাড়িতে বসে কম্পিউটারে কাজ করে উপার্জন করছে। এভাবেই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, প্রায় ৪৮ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে মিরপুর এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুল (মটস) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যা অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, যারা এখান থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করছে, তাদের শতকরা ৯৫ ভাগই সুপ্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে মটস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
আরও পড়ন: ডিসেম্বরে অবরোধের পরিবর্তে অবস্থান কর্মসূচির পরিকল্পনা বিএনপির
রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন
হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং: ৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্লাস-পরীক্ষা বহিষ্কারসহ ৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
র্যাগিংয়ের ধরন অনুযায়ী শাস্তি হিসেবে মার্কেটিং বিভাগের ২২তম ব্যাচের ২ জনকে ২ সেমিস্টার (১ বছর) করে এবং ৪ জনকে ১ সেমিস্টার (৬ মাস) করে ক্লাস এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মৌখিক নোটিশে সতর্ক করা হয়েছে আরও ৩ শিক্ষার্থীকে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ শাস্তির কথা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন নবীন শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসসহ আবাসিক ছাত্রাবাস এলাকায় ২৪ আগস্ট র্যাগিংয়ের অজুহাতে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন হয়রারির শিকার শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি তদন্ত করে প্রমাণ পান সংশ্লিষ্টরা।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. প্রফেসর মামুনুর রশীদ।
আরও পড়ুন: ১০ দফা দাবিতে হাবিপ্রবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রীদের অবস্থান
হাবিপ্রবিতে দেশের প্রথম ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু
প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে নিজেদের স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ ঘটান: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার প্রযুক্তির যুগে বাঙালি সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে বিকাশের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির যুগে আমাদের শিশুদের মানসিকতা পরিবর্তন হচ্ছে। সুতরাং, তাদের চিন্তাভাবনা ও চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের সংস্কৃতিকে বিকাশ করতে হবে; যাতে তারা আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিকে ভুলে না যায়।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমাদের অনন্যতা আছে। আমাদের এর স্বতন্ত্রতা রক্ষা করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে তিনি পাবলিক লাইব্রেরি অধিদপ্তরের বহুতল ভবনসহ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন।
এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশের কপিরাইট অফিসের জন্য শহরে নবনির্মিত ১২ তলা কপিরাইট ভবনের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার বাঙালি জাতির ঐতিহ্য, স্থানীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং শিল্প-সাহিত্য সংরক্ষণ, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে সংস্কৃতিমনা, সৃজনশীল ও মেধাবী জাতি গঠনে কাজ করে যাবে।
তিনি আরও বলেন যে ‘এখন প্রযুক্তির বিশ্ব। তাই আমরা আমাদের প্রজন্মকে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদানের পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞানসমৃদ্ধ একটি আধুনিক জাতি গঠনের লক্ষ্যে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুশীলনে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাই।’ এ বিষয়ে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাহিত্য, সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, শিল্পকলা, সৃজনশীলতা ও প্রকাশনাসহ বাংলা ভাষার প্রতিটি শাখাকে সমৃদ্ধ ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে সরকার বাংলা ভাষার প্রসারের উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিটি জেলায় সাংস্কৃতিক মেলার আয়োজন করে, যা তৃণমূলের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ প্রশস্ত করে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন আর পিছিয়ে নেই। সারা বাংলাদেশে ওয়াইফাই সংযোগ রয়েছে। তার সরকার প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। এখন ইউনিয়ন পর্যায়েও মানুষের অবস্থা আমূল পরিবর্তন হয়েছে।
তৃণমূলের মানুষের কাছে সাংস্কৃতিক চর্চা পৌঁছে দেওয়ার ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের তৃণমূলে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে আছে। আমাদের তাদের প্রচার করতে হবে এবং জাতীয় মঞ্চে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাই আমাদের সাংস্কৃতিক চর্চাকে শুধু জেলা পর্যায়ে না রেখে তৃণমূল পর্যায়েও নিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ উদার মনের এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার। সুতরাং, এই মানসিকতা ও চেতনাকে আরও বিকাশের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রমাণ দিয়েছে: ৫ সিটি মেয়রের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চর্চাকে সমৃদ্ধ ও ঋদ্ধ করতে অনেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এ বিষয়ে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি করছি। সুতরাং, আমরা একইভাবে সাংস্কৃতিক চর্চা এবং বুদ্ধিবৃত্তিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাব।’
অন্য পাঁচটি প্রকল্প হলো-পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেন, ঢাকায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ভবন, কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিল্পকলা একাডেমি ও আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং জাতীয় জাদুঘরে শিশু গ্রন্থাগার।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক খলিল আহমেদ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমার লক্ষ্য: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের মতভেদ দূরে সরিয়ে রেখে বিজ্ঞান, দর্শন, চিকিৎসা এবং জ্ঞানচর্চার অন্যান্য ক্ষেত্রে ইসলামি বিশ্বের গৌরবময় ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ মুসলিমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পদের অধিকারী। বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে এই সম্পদ ব্যবহার করে আমরা আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পারি। আমি এটা বিশ্বাস করি।’
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) এর ক্যাম্পাসে আয়োজিত ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আইইউটির চ্যান্সেলর এবং ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম ত্বহা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলামের স্বর্ণযুগে মুসলিম পণ্ডিতরা বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, রসায়ন, গণিত, চিকিৎসাবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, ভূগোলসহ আরও অনেক শাখায় সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন। এছাড়া সে যুগের মুসলিম পণ্ডিতরা সংস্কৃতি, জ্ঞান আহরণ, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং সমসাময়িক সাহিত্যে বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সময়ের গৌরবময় ঐতিহ্যের অধিকারী মুসলমানদের পতনের কারণ বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতির অভাব, জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের অভাব।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য অনেক বিষয় মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করতে, আমি মনে করি আমাদের মুসলিম উম্মাহকে মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: শান্তি বিঘ্নিত করতে অশুভ শক্তি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাতে মুসলিম দেশগুলোকে বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও বিজ্ঞানে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক যুগে মুসলিমরা মাত্র তিনটি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এটাই এই আধুনিক যুগে গবেষণা, প্রযুক্তি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে মুসলিম উম্মাহর অবদানের প্রকৃত চিত্র।
তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও জোরালো প্রচেষ্টা দরকার, যাতে তারা আরও বেশি অবদান রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং অন্যান্য খাতে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে উদ্ভূত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মুসলিম সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পড়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি কামনা প্রধানমন্ত্রীর
প্রযুক্তির পাশাপাশি শ্রমঘন শিল্পে মনোনিবেশ করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে শ্রমঘন শিল্পের সঙ্গে মিলিয়ে দেশে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তিত হচ্ছে, এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব দরজায় কড়া নাড়ছে। হয়তো আমাদের জনবল কম লাগবে, কিন্তু আমাদের প্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। এজন্য আমাদের দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে 'বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ', 'জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ' এবং বিশেষ গবেষণা অনুদানের চেক বিতরণকালে এ কথা বলেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: সঠিক তদন্তের পর বীমার দাবি পরিশোধ নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে পুরোপুরি গ্রহণ করতে চায় না। কিন্তু আমরা পুরোপুরি সেই দিকে যেতে চাই না। আমরা শ্রমঘন শিল্পও স্থাপন করতে চাই। কারণ বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। সুতরাং এই দুটির সঙ্গে মিলিয়ে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, এটি অবশ্যই আপনাদের মনে রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী গবেষকদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন এবং তিনি সময়ে সময়ে এই গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে অবহিত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণায় বিশেষ মনোযোগ দেয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে নতুন বৈশ্বিক প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির বাড়িতে ১৬ পদের মাছে আপ্যায়িত প্রধানমন্ত্রী
মাইক্রোসফট বিংয়ের নতুন সংস্করণে থাকছে চ্যাটজিপিটি প্রযুক্তি
মাইক্রোসফট তাদের সার্চ ইঞ্জিন বিং-এর নতুন সংস্করণের ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সর্বশেষ সংস্করণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন এই সংস্করণে ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি গত বছর চালু হওয়ার পর থেকে বিশ্বজুড়ে ঝড় তুলেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে বলা হয়, এই পদক্ষেপটি ওয়েব বা তথ্য অনুসন্ধানে গুগলের আধিপত্যের জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং উভয় টেক জায়ান্টের মধ্যে এআই যুদ্ধের সূচনাকে চিহ্নিত করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা বলেন, ‘প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে আজ।’
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটিকে টক্কর দিতে গুগলের ‘বার্ড’!
মাইক্রোসফটের তত্ত্বাবধানে ওপেনএআই-এর ডেভেলপ করা চ্যাটজিপিটি ডিপ লার্নিং পদ্ধতি ব্যবহার করে তথ্য খোঁজার ক্ষেত্রে মানুষের মতো সাড়া দেয়ার চেষ্টা করছে।
সত্য নাদেলা বলেন, ‘আমি ভেবেছিলেন যে এটি অনলাইনে অনুসন্ধানের প্রকৃতি ও অন্যান্য অনেক সফটওয়্যারের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত। এই প্রযুক্তিটি আমাদের জানা প্রায় প্রতিটি সফটওয়্যার বিভাগকে নতুন করে সাজাবে।’
বিং এখন কেবল ওয়েবসাইটের লিংক দেখাবে না। বরং আরও বিস্তারিত উত্তর দিয়ে অনুসন্ধানের উত্তর দিবে।
ব্যবহারকারীরা তাদের জিজ্ঞাসা সম্পর্কে ভালো ধারণা পেতে এআই-সম্পন্ন বট-এর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। যেকোনো জিজ্ঞাসার আর প্রাসঙ্গিক উত্তর সার্চ পেজের ডান পাশে দেখানো হবে।
নতুন বিং-এর এই ব্যবস্থা আপাতত প্রতিটি ব্যক্তির জন্য সীমিত সংখ্যক অনুসন্ধানের সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে।
গুগল তাদের নিজস্ব নতুন চ্যাটবট বার্ড সম্পর্কে জানানোর একদিন পর এই ঘোষণা আসল।
আরও পড়ুন: গুগলের নতুন এআই টেক্সট থেকে তৈরি করতে পারে মিউজিক
বিতর্কিত ইসরায়েলি নজরদারি প্রযুক্তি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের ভয়ঙ্কর হাতিয়ার: টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার অত্যন্ত বিতর্কিত নজরদারি প্রযুক্তি কেনার বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো ‘বিতর্কিত ইসরায়েলি নজরদারি প্রযুক্তি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের ভয়ঙ্কর হাতিয়ার; প্রয়োগের সুনির্দিষ্ট নীতিমালার দাবি টিআইবির’ শিরোনামের এক বিবৃতিতে সংস্থাটি নিজেদের উদ্দেগ প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে দুর্নীতি পর্যবেক্ষক সংস্থাটি বলেছে, সুনির্দিষ্ট নীতির অনুপস্থিতিতে এই জাতীয় প্রযুক্তির ব্যবহার বেশ কয়েকটি মৌলিক সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুণ্ন করার গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোন সুনির্দিষ্ট আইন ও নীতি অনুযায়ী জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে এত ভয়ংকর হাতিয়ার কেনা হয়েছিল, কী উদ্দেশ্যে, কী প্রেক্ষাপটে, কার স্বার্থে তা ব্যবহার করা হবে- এ মৌলিক প্রশ্নের উত্তর জানার অধিকার জনগণের রয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ইসরায়েলি সাবেক গোয়েন্দা কমান্ডার পরিচালিত একটি কোম্পানির কাছ থেকে নজরদারি প্রযুক্তি কিনেছে, যেটি গত বছরের জুনে দেশে এসেছে।
আরও পড়ুন: লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের আহ্বান টিআইবি’র
এ প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য ও যোগাযোগের গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে এবং সর্বোপরি মানুষের জীবন ও জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলা প্রযুক্তির ক্রয় ও ব্যবহার সম্পর্কে সরকারের সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা জানার অধিকার জনগণের রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল থেকে সরাসরি কিছুই কেনা হয়নি’-সরকারের এই ব্যাখ্যার অর্থ এই না যে এই ইসরায়েলি প্রযুক্তি আমদানি করা হয়নি।’
প্রকাশিত সংবাদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইসরায়েল ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় সাইপ্রাসের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে প্রায় ৬০ কোটি টাকায় কেনাকাটা করা হয়েছে।
ইফতেখারুজ্জামান ইসরায়েলি মিডিয়া প্রতিবেদনের উল্লেখ করে বলেছেন, জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) কমান্ডার এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এমনকি ২০২১ এবং ২০২২ সালে এই প্রযুক্তিটি কীভাবে পরিচালনা করতে হয় তা শিখতে গ্রিসে গিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি এই তথ্য মিথ্যা হয়, তাহলে তা প্রমাণ করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের। সর্বোপরি, এই প্রযুক্তি ইতোমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোতে পৌঁছেছে, তাতে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।’
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সব পক্ষকে সম্পৃক্ত করে একটি সুনির্দিষ্ট নীতি প্রণয়ন না করা পর্যন্ত এই প্রযুক্তি ব্যবহার বন্ধের কোনো বিকল্প নেই। তা না হলে জনস্বার্থকে পদদলিত করে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ নজরদারিভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করা হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রসঙ্গে সিইসির বক্তব্য আত্মঘাতী ও অপরিণামদর্শী: টিআইবি
নির্বাচনে সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিতে আইনি সংস্কারের সুপারিশ টিআইবির