ইউরোপ
ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানিকারক শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা, ইউরোস্ট্যাট ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রকাশিত পোশাক আমদানির সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানিতে সরবরাহকারী সকল শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশের। উল্লেখিত সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে ১৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। যেখানে বিশ্ব থেকে তাদের মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ৬৭ দশমিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট পোশাক আমদানিতে ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশ অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ইউরোপের পোশাক আমদানির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে।
আরও পড়ুন:রপ্তানিতে সামগ্রিক পতন সত্ত্বেও অক্টোবরে তৈরি পোশাকে আয় বেড়েছে
২০২২ সালের প্রথম আট মাসে ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ৪৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির প্রধান শীর্ষস্থানীয় উৎস চীন। দেশটি ২৮ দশমিক ০৬ শতাংশ শেয়ার নিয়ে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
২০২২ সালের জানুয়ারি-আগস্টে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ১৮ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌছেঁছে। একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির তৃতীয় বৃহত্তম উৎস তুরস্কের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯৭ ভাগ। একই সময়ে, ইইউ ভারত থেকে তিন দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। ভারত থেকে ইইউ এর আমদানি আগের বছরের তুলনায় ২৮ দশমিক ৮৫ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য শীর্ষ দেশগুলো হলো কম্বোডিয়া ৪২ দশমিক ২১ ভাগ, পাকিস্তান ৩১ দশমিক ৩৪ ভাগ এবং ইন্দোনেশিয়া ৩৫ দশমিক ৪১ ভাগ।
আরও পড়ুন: ইতালির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ আছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইউরোপের চাহিদা মতো পাটপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সমঝোতা চুক্তি সই
ইউরোপের বাজার উপযোগী বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সহায়তায় মঙ্গলবার দুপুরে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।
এদিন রাজধানীর জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার’ (জেডিপিসি) সম্মেলন কক্ষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার’ (জেডিপিসি)-এর নির্বাহী পরিচালক মো. মাহমুদ হোসেন এবং সেন্টার ফর প্রমোশন ইম্পোর্ট ফর্ম ডেভলপিং কান্ট্রিস (সিবিআই) এর পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন মধ্যে এ সমঝোতা চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে
এসময় সেন্টার ফর প্রমোশন ইম্পোর্ট ফর্ম ডেভলপিং কান্ট্রিস (সিবিআই) ও জেডিপিসি'র ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলন।
‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার’ (জেডিপিসি) ও সেন্টার ফর প্রমোশন ইম্পোর্ট ফরম ডেভলপিং কান্ট্রিস (সিবিআই) এর মধ্য সমঝোতা চুক্তি সই হওয়ায় জেডিপিসি’র হোম টেক্সটাইল এন্ড হেম ডেকোরেশন উৎপাদনকারী উদ্যোক্তারা ইউরোপের বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন ডিজাইনের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সক্ষম হবে।
ফলশ্রতিতে ইউরোপের বাজার উপযোগী বহুমুখী পাটপণ্য রপ্তানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এতে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।
আগামি পাঁচ বছরের জন্য এ সমঝোতা চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হল।
বিশ্বব্যাপি পরিবেশ সচেতনতারর কারণে পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের চাহিদা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়ছে। সরকার জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এর মাধ্যমে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন, ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেছে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ইস্যুতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল ঢাকায়
বিশ্ব করোনা: আক্রান্ত বেড়ে ৬২ কোটি ৫৫ লাখ ছাড়াল
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ কোটি ৫০ লাখ অতিক্রম করেছে।
সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ কোটি ৫৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪২৫ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬৫ লাখ ৫৭ হাজার ৬৯৭ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব করোনা: মৃত্যু ৬৪ লাখ ২০ হাজারের কাছাকাছি
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৮৪ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৫জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫০ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে শুক্রবার পর্যন্ত মোট শনাক্ত চার কোটি ৪৬ লাখ ৫ হাজার ১৪৯জন এবং একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ৭৪৫ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব করোনা:মৃত্যু ৫৩ লাখ ১১ হাজার
বিশ্ব করোনা: মৃত্যু ৫৩ লাখ ছুঁই ছুঁই
২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে: বিশেষজ্ঞরা
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে দেখছেন, চীনা পোশাক শিল্পের শেয়ার কমে যাওয়ায় ইউরোপ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সম্ভাব্য বাজার তৈরি।
২০৩০ সালে বিশ্বব্যাপী পোশাক শিল্প বাজারের আকার হবে প্রায় এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এই সময়ে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা বৈশ্বিক বাজারের অন্তত ১০ শতাংশ বা ১০ হাজার কোটি ডলার পাওয়ার আশা করছেন।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পোশাক শিল্প বাজারের আকার প্রায় ৫৬ হাজার কোটি ডলারের। যেখানে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি অংশ হচ্ছে চার হাজার ৩০০ কোটি ডলার, যা গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের জুনের হিসাবে ৩৬ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানিতে একটি ভালো সূচনা দেখা যাচ্ছে। জুলাই থেকে আগস্টের আয় ৭১১ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল হতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক ইউএনবিকে জানিয়েছেন, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের জন্য সম্ভাব্য ক্রমবর্ধমান বাজার।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের দুই হাজার ডলারের অতিরিক্ত রপ্তানি সম্ভাবনা রয়েছে। আবদুর রাজ্জাক তথ্যটি উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে এই বাজারে দেশটি তার রপ্তানি সম্ভাবনার ৬০ শতাংশেরও কম ব্যবহার করতে পারে।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপম্যান্টেরও চেয়ারম্যান রাজ্জাক জানিয়েছেন, ১০ হাজার ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য দেশটিকে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বার্ষিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
তিনি তার মতামত দিয়েছেন- পশ্চিমা ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে পশ্চিমা দেশের বাজারে যেহেতু চীনা পোশাক রপ্তানির শেয়ার হ্রাস পাচ্ছে, তাই বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা তাদের পণ্য রপ্তানি বাড়াতে এ পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারে।
তিনি বলেন, চীন কম মূল্য সংযোজিত পোশাক থেকে সরে যাচ্ছে। যা বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য একটি সুযোগ হতে পারে।
আরও পড়ুন: কানাডায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বিজিএমইএ
রাজ্জাক পরামর্শ দেন, ইইউ পোশাক বাজারের আকার ২০ হাজার কোটি ডলার, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার কোটি ডলার। চীনের বাজার প্রায় এক হাজার ১০০ ডলার, এদিকে ভারতের বাজার ১১০ কোটি ডলার। তাই বাংলাদেশকে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এর রপ্তানি অংশ যথাক্রমে ১২ ও ১৫ শতাংশ বাড়াতে হবে।
২০৩০ সালে ইইউ বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি অংশ হবে ছয় হাজার ৫০০ কোটি ডলার এবং যুক্তরাষ্টের বাজারে সংখ্যাটি দাঁড়াবে দুই হাজার ৪০০ কোটি ডলারে। যা করোনা মহামারি সত্ত্বেও দেশের স্থিতিস্থাপকতার বিবেচনায় অর্জনযোগ্য দিক।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষের স্থিতিস্থাপকতার কারণে দেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মেয়াদে ইইউয়ের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। যা উক্ত বাজারে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখায়।
ডা. রাজ্জাক অবশ্য সতর্ক করে দিয়েছেন যে, ১০ হাজার কোটি ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা মসৃণ পথের হবে না। লজিস্টিক সুবিধা, বন্দর পরিচালনার ক্ষমতা ও দক্ষ শ্রম, পরিবেশ এবং শ্রমিক অধিকার উল্লেখযোগ্য বিবেচ্য দিক হতে পারে।
আগামী বছরগুলোতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে অবশ্যই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্রপাতি সজ্জিত দক্ষ শ্রম এবং শ্রমিকদের মজুরি সন্তুষ্টির ওপর জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষিকে আরও উন্নত করতে চাই: কৃষিমন্ত্রী
ইনস্টাগ্রাম: আইরিশ সংস্থার কিশোরদের তথ্য অপব্যবহারে বড় আকারের জরিমানা
আইরিশ এক নিয়ন্ত্রক সংস্থা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইন্সটাগ্রামকে বড় আকারের জরিমানা করেছে। তদন্ত করে সংস্থাটি জানতে পারে যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কঠোর তথ্য গোপনীয়তা নিয়ম লঙ্ঘন করে মাধ্যমটি কিশোর-কিশোরীদের ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার করেছে।
আয়ারল্যান্ডের ডেটা সুরক্ষা কমিশন সোমবার ই-মেইলের মাধ্যমে বলেছে, কোম্পানিটিকে ৪০ কোটি ৫০ লাখ ইউরো জরিমানা করার জন্য গত সপ্তাহে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদিও সম্পূর্ণ বিবরণ আগামী সপ্তাহের আগে প্রকাশ করা হবে না।
লুক্সেমবার্গের নিয়ন্ত্রক সংস্থা গত বছর অ্যামাজনকে ৭৪ কোটি ৬০ লাখ ইউরো জরিমানা করার পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কঠোর গোপনীয়তা নিয়মের অধীনে জারি করা বর্তমান জরিমানাটি দ্বিতীয় বৃহত্তম।
ইনস্টাগ্রামের প্রধান কোম্পানি মেটা বলেছে যে যেহেতু তদন্তটির সাথে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা জড়িত ছিল তাই ‘এই জরিমানা কীভাবে গণনা করা হয়েছে তার সাথে আমরা একমত নই এবং এর বিরুদ্ধে আমরা আপিল করতে চাই।’
আইরিশ নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্ত ই-মেইল ঠিকানা এবং ফোন নম্বরসহ ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত বিবরণ কীভাবে ইনস্টাগ্রাম প্রদর্শন করে তার ওপর কেন্দ্র করে করা হয়। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের সর্বনিম্ন বয়স ১৩ বছর।
একজন ডেটা বিজ্ঞানীর ১৮ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্টকে বিজনেস অ্যাকাউন্টে পরিবর্তিত করছে বিষয়টি নজরে আসে। তিনি দেখতে পান, এই ব্যবহারকারীদের যোগাযোগ তথ্য তাদের প্রোফাইলে দেখা যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা আপাতদৃষ্টিতে তাদের প্রোফাইলে কতগুলো লাইক পড়েছে তা দেখার জন্য এমনটা করে থাকতে পারে। তবে পূর্বেই মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে ইনস্টাগ্রাম এই সেবাটি কিছু দেশে বন্ধ করে দিয়েছে।
ইনস্টাগ্রাম বলেছে যে তদন্তটি এক বছরেরও বেশি আগে হালনাগাদ করা পুরানো সেটিংসের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে এবং এরপর থেকে মাধ্যমটিতে কিশোর-কিশোরীদের জন্য বেশকিছু গোপনীয়তার সেবা চালু করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি হচ্ছে- অ্যাকাউন্ট খোলার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের সেটিং প্রাইভেট অপশনে থাকবে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, ‘আমরা সাবধানে বাকি সিদ্ধান্তের পর্যালোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ: যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায়
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেটা গোপনীয়তা নিয়মের অধীনে আইরিশ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি কোম্পানির প্রধান নিয়ন্ত্রক। যাদের ইউরোপীয় সদর দপ্তর ডাবলিনে অবস্থিত।
গত বছর সংস্থাটি হোয়াটসঅ্যাপকে ২২ কোটি ৫০ লাখ ইউরো জরিমানা করেছে। অন্যান্য মেটা কোম্পানির সাথে ব্যবহারকারীদের তথ্য ভাগাভাগি করায় স্বচ্ছতার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:১৫ থেকে ২০ হাজার প্রাইস রেঞ্জে অপোর নতুন স্মার্টফোন এ৫৭
প্রথম অপারেটর হিসেবে ফোরজি স্পেকট্রাম চালু করল বাংলালিংক
জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
গবেষণা নির্ভর বিদ্যাপীঠের জন্মস্থান জার্মানি জ্ঞানের এক সমৃদ্ধশালী বিশ্বকোষ। ইউরোপীয়ান দেশটির ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে কিউএস (কোয়াককোয়ারেল সাইমন্ডস) র্যাঙ্কিং-এ। সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার হলো- বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থার অংশ হতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কোন অর্থই খরচ করতে হয় না। দেশটির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পনেরশটিরও বেশি বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ দিয়ে আসছে। এগুলোর মধ্যে প্রকৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, এবং সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের মতো অধিক চাহিদা সম্পন্ন কোর্সগুলোই প্রধান, যেখানে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা হয়। আজকের আর্টিকেলটি আলোচনা হবে জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তরের জন্য আবেদন পদ্ধতি নিয়ে।
জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তরের জন্য পর্যায়ক্রমিক আবেদন পদ্ধতি
প্রথম ধাপ: জার্মানিতে স্নাতকোত্তর নিয়ে যথেষ্ট জ্ঞানার্জন ও পরিকল্পনা
আবেদন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য অনেক আগে থেকেই মাস্টার্স ও পিএইচডির ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। আর এই তথ্যগুলোই তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করবে। প্রথমেই নিশ্চিত হতে হবে, শিক্ষার্থীর স্নাতক করা বিষয়টির উপর স্নাতকোত্তর করার সুযোগ জার্মানির বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দিচ্ছে কিনা। খুব সহজে নিজের পছন্দের বিষয়টি খুঁজে নেয়ার জন্য কমুনিটি ওয়েবসাইট ডাড-এর সাহায্য নেয়া যেতে পারে। বিনাখরচে পড়ার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়টির শহরের প্রতিও নজর দেয়া উচিত। স্বাভাবিক ভাবেই উন্নত শহরে চাকরির ব্যবস্থা সহজসাধ্য হয়ে থাকে।
কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে রেস্ট্রিক্টেড ক্যাটাগরির কিছু কোর্স থাকে, যেগুলোতে ভর্তির আসন সংখ্যা থাকে সীমিত। এখানে সবচেয়ে সেরা প্রার্থীদের ভেতর থেকেই বাছাই করা হয়ে থাকে। আর কিছু থাকে নন-রেস্ট্রিক্টেড প্রোগ্রাম। এখানে তাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখিত আবেদনের নূন্যতম যোগ্যতা পূরন করলেই অফার-লেটার পাওয়া যায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স নির্বাচনের সময় এই রেস্ট্রিক্টেড ও নন-রেস্ট্রিক্টেড বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
পড়ুন: নরওয়েতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের উপায়
তারপরেই আসছে খরচেই বিষয়টি। পড়াশোনার খরচ না থাকলেও একজন শিক্ষার্থী জার্মানিতে যেয়ে পড়াশোনার সময় প্রথম বছর তার থাকা-খাওয়ার খরচ চালাতে পারবে কিনা তার জন্য সিকিউরিটি মানির ব্যবস্থা করতে হয়। এই অঙ্কটি এখন পর্যন্ত ১০,৩৩২ ইউরো বা প্রায় ১০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি হলেও, সামনের উইন্টার সেশন অর্থাৎ ২০২৩-এর শিক্ষার্থীদের জন্য ১১,১৭২ ইউরো বা ১০ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬৬ টাকা হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পাবার পর ভিসা হওয়ার আগে জার্মানিতে নির্দিষ্ট ব্যাংকে এই টাকাটা পাঠিয়ে দিতে হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে এতগুলো টাকা একসাথে ব্যবস্থা করা খুব কঠিন ব্যাপার। তাই মনস্থির করার পর পরই এই টাকা ব্যবস্থা করার চেষ্টা শুরু করতে হবে।
শিক্ষার্থীকে বাংলাদেশ থেকেই জার্মানির নির্দিষ্ট ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকাটা পাঠাতে হয়, যেটা শিক্ষার্থীর নামেই ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট হিসেবে জমা থাকে। শিক্ষার্থীকে জার্মানিতে যাওয়ার পর প্রতি মাসে ৮৬১ ইউরো করে এক বছরে পুরো টাকাটা তুলতে পারবে। পূর্ব পরিকল্পনার সময় এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন ও খরচের বিষয়গুলো নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নিতে হবে।
জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত প্রতি বছরে ২টি সেশনে ভর্তির জন্য আবেদন করা যায়। একটি সামার সেশন; যেখানে আবেদনের সময়সীমা থাকে ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত। দ্বিতীয়টি হলো উইন্টার, এবং এখানে আবেদন করতে ১ মে থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আবেদনের ক্রিয়াকলাপ শুরু করার সময় এই সময়সীমার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা আবশ্যক।
পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরে যেতে প্রস্তুতির ধাপগুলো জেনে নিন
দ্বিতীয় ধাপ: আইইএলটিএস সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য টেস্ট
জার্মানিতে প্রায় সব স্নাতকোত্তর কোর্সই স্থানীয় ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় পড়ানো হয়। জার্মানি ভাষা শেখাটাতে স্বাভাবিক ভাবেই পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জবে সুবিধা পাওয়া যায়। তবে ইংরেজি বলতে পারা লোকদের জন্যও জার্মানি বেশ সাবলীল। তাই নূন্যতম ৬.৫ আইইএলটিএস স্কোর যথেষ্ট জার্মানির শিক্ষা ব্যবস্থা ও জীবন ধারণের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য। তবে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ের উপর নির্ভর করে জিআরই বা জিম্যাটও চাইতে পারে। এর জন্য আগেই বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে চাহিদাগুলো জেনে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যোগাড়
→ (অনার্স, বিএসসি, বিবিএ, বিএ) স্নাতক সহ বিগত সকল একাডেমিক ডিগ্রীর সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট
(স্টাডি গ্যাপ সর্বোচ্চ ৪ বছরের বেশি গ্রহণযোগ্য নয়)
→ যারা এখনো গ্রেডিং সিস্টেমের আওতাভুক্ত হননি তাদের জন্য মিনিমাম পাসিং গ্রেড সংযুক্ত করতে হবে
→ পাসপোর্ট
→ আইইএলটিএস সনদ
→ স্টাডি প্ল্যান সহ মোটিভেশন লেটার
→ ২টি রিকমেন্ডেশন লেটার (যে বিষয়ে জার্মানিতে পড়তে যাওয়া হচ্ছে সে বিষয়ের উপর শিক্ষার্থীর নিজের স্নাতক করা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের নিকট থেকে ১টি, আর আরেকটি ব্যাচেলর করা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের ডিনের কাছ থেকে)
→ জার্মানির ব্যাঙ্কে ব্লক্ড অ্যাকাউন্টের নথি
→ ইউরো পাস সিভি
এছাড়াও কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো কিছু কাগজপত্র দরকার হতে পারে। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইট ভালো করে অধ্যয়ন করে নিতে হবে। সকল কাগজপত্র যোগাড় করে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, শিক্ষা বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রনালয়, এবং ঢাকার জার্মান এম্ব্যাসি থেকে সত্যায়ন করতে হবে। অথবা বিকল্প হিসেবে নোটারি করা যেতে পারে।
পড়ুন: দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার আগে যে অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা জরুরি
চতুর্থ ধাপ: আবেদন পদ্ধতি
জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার আবেদনের জন্য সবচেয়ে সহজ ও বিনাখরচের মাধ্যম হলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্ব স্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করা। এর জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র আগে থেকেই স্ক্যান করে রাখতে হবে। তবে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় হার্ড কপি চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে ফেডেক্স বা ডিএইচএলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানায় কুরিয়ার করতে হবে। এখানে কিছু খরচ করতে হবে। এছাড়াও ইউনি অ্যাসিস্টের মাধ্যমেও জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করা যায়। এক্ষেত্রে ইউনি অ্যাসিস্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। এখানে আবেদনপত্রসহ সত্যায়িত বা নোটারী করা কাগজগুলোর এক সেট ইউনি অ্যাসিস্টের এর ঠিকানায় ডিএইচএল বা ফেডেক্স দিয়ে পাঠাতে হয়। এখানে বেশ ভালো পরিমাণ খরচ হয়ে যায়।
একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে যেটার ডেডলাইন খুব কাছাকাছি, স্বাভাবিক ভাবেই সেটাতে আগে আবেদন করতে হবে। সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের ইন্টারফেস এক রকম নয়। কিন্তু যে তথ্যগুলো প্রদান করতে হয় তা ঘুরে ফিরে প্রায়ই একই। তাই এক্ষেত্রে একটু সাবধানতার সাথে আবেদন ফর্ম পূরন করলে তেমন জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যানকপি আপলোড সহ যাবতীয় তথ্য প্রদান করলেই আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে। এখানে কোন রকম টাকাপয়সা খরচ হবে না, বরঞ্চ সাথে সাথেই বিশ্ববিদ্যালয় আবেদনপত্র পেয়ে যাবে। এমনকি কৃতকার্য হলে অফার-লেটারটিও খুব কম সময়েই শিক্ষার্থীর ইমেইলে চলে আসবে।
পঞ্চম ধাপ: ভিসার জন্য আবেদন
বাংলাদেশের জার্মান এম্বেসির বর্তমান অবস্থা বেশ নাজুক। আজকে এপায়নমেন্টের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করলে ইন্টার্ভিউয়ের ডাক পেতে পেতে ১০ থেকে ১২ মাস লেগে যাচ্ছে। এই বিড়ম্বনাটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পুরনের সকল প্রচেষ্টা এক নিমেষেই ভেঙে গুড়িয়ে দিতে পারে। তাই এই সময় হিসাব করে অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজগুলো করার মুহুর্তে আগে ভাগেই রেজিষ্টেশন করে রাখা ভালো। যারা ২০২৩-এর উইন্টার সেশনটা ধরতে চান তাদের জন্য সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে বছরের শুরুতে তথা জানুয়ারিতেই এপায়নমেন্টের রেজিষ্টেশন করে রাখা। তাহলে অক্টোবর থেকে নভেম্বর নাগাদ ভিসা ইন্টার্ভিউয়ের ডেট পাওয়া যেতে পারে।
জার্মান এম্ব্যাসী থেকে ইন্টার্ভিউ ডেট দেয়ার পূর্বে যাবতীয় কাগজপত্রের সফট-কপি চেয়ে শিক্ষার্থীকে ইমেইল করা হবে। এর ৭ দিনের মধ্যে ঐ মেইলের রিপ্লাইয়ে সব কাগজপত্র পাঠিয়ে দিতে হবে। দরকারি কাগজপত্রগুলো হলো-
→ ইনরোলমেন্ট সনদ
→ আবেদনকারির সম্প্রতি তোলা বায়োমেট্রিক্যাল পাসপোর্ট সাইজ ছবির ৩ কপি (৩ টি ছবি এক পেজে নিয়ে পিডিএফ করে পাঠানো যেতে পারে)
→ শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সহ সম্পূর্ণ ভাবে পূরনকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম
→ পাসপোর্ট
→ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তির অফার লেটার
→ স্নাতক সহ বিগত সকল একাডেমিক ডিগ্রীর সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট
→ আইইএলটিএস সনদ
→ ব্লক্ড অ্যাকাউন্টের প্রমাণপত্র
→ ৬ মাসের ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স
→ মোটিভেশন লেটার
→ সম্মতির ঘোষণাপত্র
পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
সবগুলো স্ক্যান করা ফাইলকে একসাথে করে একটি ১০ মেগাবাইটের পিডিএফ ফাইল বানিয়ে মেইল করতে হবে। ভাগ্য ভালো থাকলে কাগজপত্র ইমেইলের সাথে সাথেই ঐ দিনই ইমেইল অথবা ফোন করে ইন্টারভিউয়ের ডেট জানিয়ে দিতে পারে।
অতঃপর ভিসা ইনটারভিউয়ের ডেট পাওয়ার পর ইমেইল করা প্রতিটি কাগজপত্রের মুল কপি সঙ্গে নিয়ে এম্ব্যাসিতে যেতে হবে। অনলাইন সফ্ট কপিগুলোর ২ সেট সাদাকালো ভাল মানের অফসেট কাগজে প্রিন্ট করে নিয়ে যেতে হবে।
সাধারণত ইন্টারভিউয়ের দিন থেকে ২৫ কর্মদিবসের মধ্যেই ভিসা দিয়ে দেয়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে কমবেশি হতে পারে। পাসপোর্ট সংগ্রহের ইমেইল পাওয়ার পর ভিসা ইন্টার্ভিউয়ের সময়ে যে কাগজ দিয়েছিলো, সেটা নিয়ে এম্ব্যাসিতে গেলেই ভিসা হাতে পাওয়া যাবে।
শেষাংশ
ব্যবহারিক জ্ঞান ও গবেষণাধর্মী কাজে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যেই জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার এই উদ্যোগ। অন্যান্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ন্যায় বেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি গত কয়েক বছর ধরে সফলতার সঙ্গে পড়াশোনা করছেন জার্মানিতে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে গুরুত্ব পাচ্ছে জার্মান ভাষা শিক্ষার। এরই ধারাবাহিকতায় ইংরেজির মত জার্মান ভাষারও শিক্ষা ও চর্চার জন্য সৃষ্টি হয়েছে অনেক সুযোগ। তবে ভিন্ন সংস্কৃতির এই দেশটিতে পড়তে যাওয়ার জন্য যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি দরকার সেটি হচ্ছে ধৈর্য্য। জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা সহজলভ্য হলেও পদে পদে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। বিশেষ করে জার্মানির পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য আবেদনের মুহুর্ত থেকেই পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।
পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এখন পর্যন্ত বিশ্বর ৯২টি দেশ ও অঞ্চলে এ রোগে ৩৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া মারা গেছেন ১২ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বুধবার জেনেভায় বলেছেন, গত সপ্তাহে মাঙ্কিপক্সে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে যা আগের সপ্তাহের থেকে ২০ শতাংশ বেশি।
আক্রান্তের সংখ্যা অধিকাংশই ইউরোপ এবং আমেরিকাতে।
টেড্রোস বলেন, কার্যকর জনস্বাস্থ্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ বন্ধে সব দেশকেই প্রাথমিক ফোকাস নিশ্চিত করতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে উন্নত রোগ নজরদারি, সতর্ক যোগাযোগের সন্ধান, উপযুক্ত ঝুঁকি যোগাযোগ এবং সম্প্রদায়ের ব্যস্ততা এবং ঝুঁকি হ্রাসের ব্যবস্থা।
বর্তমানে মাঙ্কিপক্স ভ্যাকসিনের বিশ্বব্যাপী সরবরাহ সীমিত রয়েছে।
টেড্রস বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী এবং ভ্যাকসিনের ডোজ ভাগ করতে ইচ্ছুক দেশ ও সংস্থার সাথে যোগাযোগ করছে।
পড়ুন: মাঙ্কিপক্স নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
ভারতে মাঙ্কিপক্সে প্রথমবারের মতো একজনের মৃত্যু
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে করোনায় শনাক্ত বেড়েছে
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে এ সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বুধবার সর্বশেষ সাপ্তাহিক মহামারি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য জানায়, গত এক সপ্তাহে তিন দশমিক তিন মিলিয়ন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন যা চার শতাংশ হ্রাস এবং সাড়ে সাত হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১, বেড়েছে শনাক্তের হার
তবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে ৪৫ শতাংশ এবং ইউরোপে ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একমাত্র অঞ্চল যেখানে করোনায় মৃত্যু চার শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অন্যত্র কমেছে।
মহামারি বিশেষজ্ঞ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সেলিম আবদুল করিম বলেন, কোভিড-১৯ এর শনাক্তের সংখ্যা ‘ট্রফ’ স্তরে পৌঁছেছে এবং গত আড়াই বছরে খুব বেশি দেখা যায়নি। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ব্রিটেনসহ কিছু দেশে করোনায় শনাক্ত ফের বাড়তে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত সাড়ে ৫৪ কোটি ছাড়াল
প্রথম মাংকিপক্স শনাক্তের ঘোষণা ইসরাইলের
সম্প্রতি উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপ জুড়ে ভাইরাল রোগ শনাক্ত হওয়ার পরে ইসরাইলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার দেশটিতে প্রথম মাংকিপক্স শনাক্তের তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দেশটির মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,পশ্চিম ইউরোপ থেকে ফিরে আসা ৩০ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি ভাইরাসের সন্দেহজনক ক্ষত নিয়ে তেল আবিবের ইচিলভ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকেরা শনাক্ত করার পর এটিকেই ইসরাইলের প্রথম মাংকিপক্স কেস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বিবৃতি অনুসারে, ইসরায়েল ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজিক্যাল রিসার্চ-এ একটি ক্লিনিকাল নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, যেখানে মাংকিপক্সের সন্দেহ যাচাই করা হয়েছিল।
পশ্চিম ইউরোপে একজন মাংকিপক্স রোগীর সংস্পর্শে আসা লোকটিকে মেডিকেল পরীক্ষা এবং তত্ত্বাবধান সম্পূর্ণ করার জন্য কোয়ারেন্টাইনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজা সংলগ্ন প্রধান ক্রসিং পয়েন্ট আবারও খুলছে ইসরাইল
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ভালো। যারা বিদেশ থেকে ফিরেছেন এবং যাদের শরীরে জ্বর ও ফুসকুড়ি দেখা দিয়েছে অবিলম্বে তাদেরও ডাক্তার দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং পশ্চিম ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে মাংকিপক্সে আক্রান্ত রোগীশনাক্ত হয়েছে।
মাংকিপক্স ইঁদুর ও ছোট আকারের স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো বন্য প্রাণীদের মধ্যে সাধারণ রোগ, তবে মানুষও এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে।
এই রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- ত্বকে ফুসকুড়ি, জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ঠান্ডা লাগা এবং ক্লান্তি। এর বৈশিষ্ট্য জল বসন্তের মতই, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি সেনার গুলিতে ফিলিস্তিনি কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ
তেল আবিবের কাছে ছুরিকাঘাতে ৩ ইসরাইলি নিহত
ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি মোদির
দেশের ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির’ লক্ষ্যে ভারতের ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
রবিবার রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের মধ্যে জার্মানি, ডেনমার্ক ও ফ্রান্স সফরের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
মোদি প্রথমে ২ মে জার্মানি যাবেন, যেখানে তিনি চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন এবং ভারতীয় প্রবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বলবেন। জার্মান থেকে তিনি ডেনমার্ক যাবেন এবং ৪ মে দেশে ফেরার পথে প্যারিসে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি নিবেন।
আরও পড়ুন: ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন
সফরপূর্ব বিবৃতিতে মোদি বলেছেন,‘আমার ইউরোপ সফর এমন এক সময়ে যখন এই অঞ্চলটি অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়... আমি আমাদের ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার মনোভাবকে শক্তিশালী করতে চাই, যারা শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, বার্লিনে, মোদি স্কোলজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসতে চলেছেন এবং ভারত-জার্মানি আন্তঃসরকারি পরামর্শের ষষ্ঠ সংস্করণের সহ-সভাপতি হতে পারেন।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ও জার্মান চ্যান্সেলর স্কোলজ যৌথভাবে একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: ভারতের নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে
এছাড়াও জার্মান থেকে কোপেনহেগেনে যাবেন মোদি। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ছাড়াও, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ডেনমার্ক দ্বারা আয়োজিত দ্বিতীয় ভারত-নর্ডিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
ভারত-নর্ডিক সামিটে মোদি আইসল্যান্ডের প্রিমিয়ার ক্যাট্রিন জ্যাকবসদোত্তির, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোর, সুইডেনের প্রিমিয়ার ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন এবং ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের সঙ্গেও দেখা করবেন।
৪ মে তার ফিরতি যাত্রায়, মোদি প্যারিসে যাত্রাবিরতি করবেন এবং ফরাসি রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করবেন, যিনি সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
মোদি বলেছেন,‘এটি আমাদের ভারত-ফ্রান্স কৌশলগত অংশীদারিত্বের পরবর্তী পর্যায়ে নেয়ার সুযোগও দেবে’।
আরও পড়ুন: পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় ম্যাক্রোঁকে মোদির শুভেচ্ছা