কুয়েট
প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর ক্লাসে ফিরছেন কুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
দীর্ঘ পাঁচ মাস ১০ দিন পর আজ (মঙ্গলবার) ক্লাসে ফিরছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ক্লাস শুরুর নির্দেশ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালী।
এর আগে, গতকাল (সোমবার) সকালে চলমান আন্দোলন কর্মসূচি তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, সাধারণ শিক্ষার্থী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন উপাচার্য। এরপরই ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত আসে।
এদিকে, দীর্ঘদিন পর ক্লাস ও পরীক্ষা শুরুর ঘোষণা শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বস্তি নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: কুয়েটের নতুন উপাচার্য ড. মাকসুদ হেলালী
এ বিষয়ে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফারুক হোসেন বলেন, ‘উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। প্রশাসন ক্লাস শুরুর ঘোষণা দিলে শিক্ষকরা যোগ দেবেন।’
উপাচার্য ড. মাকসুদ হেলালী বলেন, ‘শিক্ষক ও ছাত্ররা একমত হয়েছে যে ক্লাস ও তদন্ত কার্যক্রম একসঙ্গে চলবে। এজন্য মঙ্গলবার থেকে ক্লাস শুরুর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক আহত হন। ওই রাতেই হামলাকারীদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে তৎকালীন উপাচার্যসহ কয়েক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে ৪ মে থেকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। এরপর শিক্ষকরা আর ক্লাসে ফেরেননি।
১২৯ দিন আগে
কুয়েটের নতুন উপাচার্য ড. মাকসুদ হেলালী
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালী। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বৃত্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগের তথ্য জানানো হয়।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩-এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। ড. মাকসুদ হেলালীকে চার বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে কুয়েট।
আরও পড়ুন: শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে কুয়েটের অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যের পদত্যাগ
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরদিন শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এরপর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরে পহেলা মে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হযরত আলীকে কুয়েটের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২২ মে পদত্যাগ করেন তিনি।
১৩৩ দিন আগে
কুয়েটের পুকুরে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পুকুরে গোসল করতে নেমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তুনু কর্মকার নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়।
শান্তুনু পুরান ঢাকার রাজার দেওড়ি এলাকার বাসিন্দা সুকুমার চন্দ্র কর্মকারের ছেলে। কুয়েটের ২৩ ব্যাচের ম্যাটারিয়াল সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ লিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাসার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান।
ফায়ার সার্ভিসের খুলনা সদর স্টেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, কুয়েটে পুকুরে ডুবে মৃত্যুর খবর পাই দুপুর ৩টায়। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ক্যাম্পাসে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, ‘শান্তুনুকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
আরও পড়ুন: বারবার ডাকলেও আসেননি ডাক্তার, অবশেষে বৃদ্ধের মৃত্যু
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘দুপুর ৩টার দিকে শান্তুনু গোসল করতে কুয়েটের পুকুরে নামে। ফেরত আসাতে দেরি দেখে সহপাঠীরা পুকুরের চারপাশে খোঁজ নিতে থাকে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের খবর দেওয়া হলে তারা ৪টার দিকে এসে পুকুর থেকে শান্তুনুকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।’
২১২ দিন আগে
খুলে দেওয়া হলো কুয়েটের আবাসিক হল
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকাল থেকে হলগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে। আজ (বুধবার) দুপুরে সিন্ডিকেটের ১০২তম জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ১৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০১তম (জরুরি সভার সিদ্ধান্তে মোতাবেক আগামী ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম চালু করা এবং ২ মে আবাসিক হলগুলো খোলার বিষয়ে বলা হয়।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০২তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো ২ মে এর পরিবর্তে আজ বিকালে খোলা হবে।
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসি মাসুদের পদত্যাগ দাবিতে জাবিতেও অনশন
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল হল খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ এবং ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ২ মে হল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়।
দুই রাত খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়ে ১৫ এপ্রিল ছয়টি ছাত্র হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। গত মঙ্গলবার রাতে ছাত্রীরাও হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন।
বর্তমানে কুয়েটের সব হলেই শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন।
২২৫ দিন আগে
কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে এ অবস্থান কর্মসূচি করেন তারা।
এসময় তারা ‘এক দুই তিন চার, ভিসি মাসুদের পদত্যাগ’; ‘আমার ভাই অনশনে, ইনটেরিম কি করে’; ‘দফা এক, দাবি এক, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ’; ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’; ‘কুয়েটের সংগ্রাম, চলছে চলবে’; ‘এক দফা এক দাবি, মাসুদ তুই কবে যাবি’ এমন বিভিন্ন স্লোগান দেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে কুয়েট ভিসির পদত্যাগ প্রসঙ্গে শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, ‘কুয়েটে চলমান ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা সংহতি জানাচ্ছি। ৪২ ঘণ্টা ধরে অনশনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু এই ইনটেরিম সরকার কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে কোনোরকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।’
অনশনের সূত্রপাত তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বহিরাগতদের হামলার শিকার হয়ে বিচার দাবি করেন তারা। তবে উল্টো হামলার ঘটনা তদন্ত করা বা দোষীদের বদলে শিক্ষার্থীদের বহিস্কার করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের নামে মামলাও করা হয়।’
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসি মাসুদের পদত্যাগ দাবিতে জাবিতেও অনশন
উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
পাশাপাশি আগামী ২ মে আবাসিক হলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার এবং ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
২২৫ দিন আগে
আলোচনার মাধ্যমে কুয়েটের সকল সমস্যার সমাধান হবে: ছাত্রকল্যাণ পরিচালক
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সকল সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে স্টুডেন্ট ওয়েল ফেয়ার সেন্টারের সামনে সাধারণ শিক্ষক ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) দপ্তরের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকরা এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র কল্যাণ পরিচালক বলেন, ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা তাদের নিয়ে বসেছি। তারা তাদের সমস্যার জায়গাগুলো আমাদের জানাবে। তাদের সকল সমস্যা যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়, সে লক্ষ্যে ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। ছাত্ররা আমাদের সন্তানের মতো। তারা কোনো অন্যায় বা ভুল করতে পারে। এমনকি আমরাও ভুলের ঊর্ধ্বে নই। শিক্ষক হিসেবে আমাদের অগ্রাধিকার সব সময় শিক্ষার্থী। তাদের নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিটা ছাত্রের যাতে কোনো সমস্যা না হয় লক্ষ্যে কাজ করার জন্য আমি বদ্ধপরিকর। আমি একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চাই-ছাত্রদের কোনো বিষয়ে কোনো সমস্যা হলে তার সমাধান করা আমার অন্যতম ও প্রধান দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: তালা ভেঙে হলে প্রবেশ আইনের লঙ্ঘন: কুয়েট প্রশাসন
তিনি আরও বলেন, ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। উক্ত বহিষ্কার কিন্তু চূড়ান্ত বহিষ্কার নয়। এখানে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি বসবে। যে সকল ছাত্রদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। নিরপরাধ কেউ যেন কোনো প্রকার শাস্তির মুখোমুখি না হয়, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
২২৭ দিন আগে
কুয়েটের সাবেক উপাচার্যসহ ১৫ জনের নামে মামলা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাবেক উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান ও মাহদী হাসান বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন।
সোমবার (১৪ই এপ্রিল) নগরীর খানজাহান আলী থানায় মামলা দুটি নথিভুক্ত করা হয়। তবে গতকাল (মঙ্গলবার) নথিপত্র আদালতে পাঠানো হলে মামলার বিষয়টি সামনে আসে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন। তিনি জানান, ২০১৭ সালের ১ মে রাতে কুয়েটের লালন শাহ হলের গেস্ট রুমে মামলার এক বাদী লুৎফর রহমানকে রাতভর মারধর করা হয়। এতে ওই শিক্ষার্থীদের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে যায়। একই রাতে বাদী মাহদী হাসানকেও মারধর করা হয়। এতে তার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ওসি কবির হোসেন আরও জানান, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীরা খুলনা মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার আবেদন করেন। পরে আদালত থানাকে মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে সোমবার মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তালা ভেঙে কুয়েট শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ, ভিসির পদত্যাগ দাবি
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লুৎফর রহমানের মামলায় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সোবহান মিয়া, সাবেক রেজিস্ট্রার জি এম শহিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত হোসেন নয়ন, সাধারণ সম্পাদক আলী ইমতিয়াজ সোহান, ছাত্রলীগ কর্মী মো. আসাদুজ্জামান, লালন শাহ্ হলের তৎকালীন ছাত্রলীগ কর্মী ও পরবর্তী কুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহ শুভ, ছাত্রলীগ নেতা এইচ এম তানভীর রেজওয়ান সিদিক, আল ইশমাম, রেশাদ রহমান, তারিকুল তিলক, পরিমল কুমার রায়, আলী ইবনুল সানি, তারিক আহমেদ শ্রাবন ও দৌলতপুর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে মাহদী হাসানের মামলায় সাবেক উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা আলী ইবনুল সানি, কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ কর্মী আবির স্বপ্নিল, তাশরিফ সালেহ রাহুল, ফয়সাল, মশারুর আলম কৌশিক, আসাদুজ্জামান রিয়ান, পরিমল কুমার রায়, তারিক আহমেদ শ্রাবন ও দৌলতপুর থানার সাবেক সভাপতি এস এম আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
২৩৩ দিন আগে
তালা ভেঙে কুয়েট শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ, ভিসির পদত্যাগ দাবি
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আবাসিক হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিও ঘোষণা করেছেন তারা।
ছুটি শেষে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) কুয়েটের দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর বেলা পৌনে ২টার দিকে কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা দেন। পরে বিকাল ৩টার দিকে তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন তারা।
ব্রিফিংয়ের সময় দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়, ভিসি কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, ব্যর্থতার দায় নিতে অস্বীকার করেছেন, ইন্টারনেট ও পানি বন্ধ করে হল থেকে (শিক্ষার্থীদের) বের করে দিয়েছেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে ইন্ধন জুগিয়েছেন এবং তাদের (আন্দোলনরত শিক্ষার্থী) বহিষ্কার করেছেন। তাই আমরা ছয় দফা থেকে এক দফা ঘোষণা করছি—এই ভিসিকে অপসারণই আমাদের একমাত্র দাবি।
একই সঙ্গে নতুন ভিসির অধীন নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: কুয়েটে সংঘর্ষের দুই মাস পর ২২ শিক্ষার্থীর নামে মামলা
ঘোষণাপত্রটি পাঠ করার পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হলের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করার ঘোষণা দেন। এর পরপরই তারা মিছিল নিয়ে খান জাহান আলী হলের দিকে যান। এরপর হলের ফটকের তালা ভেঙে ফেলেন। একইভাবে তারা ড. এম এ রশিদ হল, অমর একুশে হল, লালন শাহ হলেরও তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন।
এর আগে, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু ও হল খুলে দেওয়ার দাবিতে রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে কুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভা শেষে ঘোষণা দেওয়া হয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু হবে এবং আবাসিক হলগুলো খুলবে ২ মে।
তার আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারির সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এই বহিষ্কারাদেশের প্রতিবাদে আজ (মঙ্গলবার) বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও হল খুলে দেওয়ার দাবিও জানান তারা।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ৩৭ শিক্ষাথী বহিষ্কার
২৩৩ দিন আগে
কুয়েটে সংঘর্ষের দুই মাস পর ২২ শিক্ষার্থীর নামে মামলা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবির জেরে সংষর্ষের ঘটনায় ২২ শিক্ষার্থীদের নামে মামলা হয়েছে।
সংঘর্ষের দুই মাস পরে গত বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) হোচেন আলী নামে এক ব্যক্তি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আমলী আদালতে এই মামলা করেন। মামলার পর খানজাহান আলী থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: কুয়েটের আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা
তবে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, এ মামলা সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তারা এখনও পাননি।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই মামলার ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করে কুয়েট-১৯ নামক ফেসবুক পেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি পোস্ট করা হয়। যৌক্তিক আন্দোলন দমনের অপচেষ্টায় প্রশাসন ও তদন্ত কমিটির যোগসাজশেই এই মামলা করা হয়েছে কিনা— এমন প্রশ্ন রাখা হয় পোস্টে। মামলা দায়েরকারীরা কীভাবে শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানলেন এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে, রবিবার (১৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের নামে মামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি।
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রবিবার দুপুর ২টায় বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে ঢুকে হলে উঠার ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ভিসির বাসভবনে তালা, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
হলে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একাধিক সভা, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি, বিজ্ঞপ্তি জারি ও অভিভাবকদের মোবাইলে এসএমএস দিয়ে শিক্ষার্থীদের কুয়েটে না পাঠানোর অনুরোধ জানায়। তবে কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ক্যাম্পসে ঢোকার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রবেশ ঠেকাতে ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় কুয়েট প্রশাসন। এতে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
আজ (রবিবার) দুপুর ২টা থেকেই শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে শিক্ষকরাও সেখানে যান। এরপর দুপক্ষের আলোচনা শেষে আইডি কার্ড যাচাই করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
২৩৫ দিন আগে
কুয়েটের আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো আবাসিক হল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আগামীকাল (বুধবার) সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৯৯তম (জরুরি) সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ জারি করা করে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ভিসির বাসভবনে তালা, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিচুর রহমান ভূঁঞা স্বাক্ষিরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েটের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের ফরম বিতরণকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অংশ নেয় স্থানীয় বহিরাগতরাও। এ নিয়ে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর শুক্রবার রাতে কুয়েট প্রশাসনের ৯৮তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে ভিসির বাসভবনের ফটকে তালাও ঝুলিয়ে দেন তারা।
২৮২ দিন আগে