নিষেধাজ্ঞা
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় জাটকা ধরায় ৩৩ জেলে আটক
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আধাঁরে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে জাটকা ধরায় ৩৩ জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন।
তাদের মধ্যে ১৮ জনকে ১০ দিন করে কারাদণ্ড ৬ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ৯ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আরও পড়ুন: পাবনায় র্যাবের অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ৮ সদস্য আটক
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- মো. নুরু সরকার, খোরশেদ বন্দুকশী, মো. রাসেল ঢালী, মো. হোসেন, মো. আরিফ আব্দুল করিম, আব্দুল শাহজাহান, আব্দুল কাশেম, রবিউল গাজী, বিল্লাল হোসেন, রুবেল বেপারী, রাজিব শুক্কুর দেওয়ান, আব্দুর রহিম, খাজা বেপারী, ইব্রাহীম খলিল তালুকদার, জাকির রাঢ়ি, হাকিম খান এবং আরও দুইজন।
নিয়মিত মামলার আসামিরা হলেন- মিন্টুন খান, শরীফ মিজি, আল-আমিন হোসেন, আমিন খাঁ, সোহাগ ও মো. নোমান।
এরা সবাই চাঁদপুর ও শরিয়তপুরসহ আশপাশের এলাকার।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, অভয়াশ্রম এলাকায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একরামুল ছিদ্দিকের নেতৃত্বে মৎস্য দপ্তর, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
এ সময় জেলেদের সঙ্গে থাকা তিনটি বেহুন্দিজাল, ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, পাঁচটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও পাঁচ হাজার মিটার সুতার জাল জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত নৌকা মামলার আলামত হিসেবে কোস্ট গার্ড হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্ত থেকে অস্ত্র ও গাঁজা জব্দ; আটক ১
রূপগঞ্জে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ যুবক আটক
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে জেলেদের খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর দাবি সমাজকল্যাণমন্ত্রীর
মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষায় মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারিভাবে যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয় সেটি যেন আরও বাড়ানো হয় সেই দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, এটি ১০ কেজি থেকে বাড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা ৪০ কেজি করেছেন। আর যারা নিবন্ধিত জেলে আছেন, তাদের তুলনায় খাদ্য সহায়তা ১০ ভাগ কম আসে।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর শহরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৪’ উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হতদরিদ্রের হার শূন্যের কোটায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
তিনি বলেন, জেলেদের যে ধরনের উপকরণ দেওয়া হয়, আমি মনে করি সেগুলোর উপযোগিতা বিচার বিশ্লেষণ করার এখন সময় এসেছে। তাদের সেলাই মেশিন, বকনা বাছুর দেওয়া হয় এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেগুলোর সঙ্গে আর্থিক সহায়তা ও ঋণের ব্যবস্থাও করা যেতে পারে।
মন্ত্রী আরও বলেন, গত নির্বাচনকালীন আমি নদী উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোতে যখন গিয়েছি, তখন মৎস্যজীবী ভাইদের মূল দাবি ছিল আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমি বলব নিশ্চয়ই সবাই করেন না, কোনো কোনো নৌ পুলিশ সদস্য আমাদের মৎস্যজীবী ভাইদের হয়রানি করেন। আবার সব মৎস্যজীবীরাও যে ১৬ আনা আইন মানেন, তাও কিন্তু নয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার আগেও চাঁদপুরের বাজারে জাটকা দেখেছেন অনেকে। নিষেধাজ্ঞার সময় কিন্তু গবেষণার ভিত্তিতে করা হয়। গবেষণা ছাড়া কিন্তু সরকারের মাথায় আসেনি ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা ধরা বন্ধ থাকবে। এটি দীর্ঘদিনের গবেষণার ফলাফল। কোন সময়ে আমাদের এই নদীতে জাটকার বিচরণ বেশি থাকে, সেই সময়ের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেক কিছুর পরিবর্তন এসেছে। গবেষকরাই বলতে পারবেন কী কারণে ফেব্রুয়ারির শুরুতে জাটকা পাওয়া যাচ্ছে। এই সময় যদি পরিবর্তন করা প্রয়োজন হয়, গবেষকরা বললে সরকার সেটিও করবে। যখন জাটকা ধরা নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু জেলেরা মাছ ধরবে। সেখানে যদি জাটকা চলে আসে, তখন সেটি বিক্রি হয়, তা প্রতিরোধ করা প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব নয়। এটিও আমাদের বুঝতে হবে এবং আইনের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
দীপু মনি আরও বলেন, বেআইনি জাল ব্যবহারের ফলে মৎস্যজীবী ভাইদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, এই বেআইনি জাল যারা উৎপাদন করেন তাদের কয়জনকে ধরা হয় আমি জানতে চাই। আমার জেলে পল্লি ও ইলিশ গ্রামগুলোতে অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, ‘আমি জানতে চাই মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে এসব জাল উৎপাদিত হয়, সেসব কারখানায় কতগুলো অভিযান চালানো হয়েছে, কতজন অবৈধ জাল উৎপাদনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সাজা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কিন্তু আসল গোড়ার জায়গাটা ধরতে হবে।’
দীপু মনি বলেন, নাব্য বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে, নদীর দুষণ বন্ধ করতে হবে। চাঁদপুর-শরীয়তপুরে যে সেতুর প্রস্তাব করা হয়েছে, সেখানে সেতু হলে আসলেই নদী বিপন্ন হবে। আমরা বিকল্প সেতুর প্রস্তাব করেছি।
আরও পড়ুন: বাবা-মাকে আর বৃদ্ধাশ্রমে দিতে হবে না: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
সরকার প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে নিয়েই দেশের উন্নয়নে বিশ্বাসী: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে সুন্দরবনে কাঁকড়া সংগ্রহে ফিরছেন জেলেরা
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞ শেষে আবারও শুরু হয়েছে কাঁকড়া আহরণের জন্য বন বিভাগ থেকে ‘পাস-পারমিট’ প্রদান। তাই দীর্ঘ সময় অলস বসে থাকার পর সুন্দরবনে নদী ও খালে কাঁকড়া আহরণের জন্য সরঞ্জম নিয়ে ছুটছেন জেলেরা।
শুক্রবার থেকে সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণ শুরু হলেও আহরণের নৌকা ও মালামাল সংগ্রহ করতে ও প্রস্তুতি নিতে দেরি হওয়ায় আজ রবিবার (৩ মার্চ) সকালে ভাটিতে বনের গহীনে প্রবেশ করতে শুরু করেছে মোংলা, রামপাল, দাকোপসহ উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা।
পূর্ব সুন্দরবন চাঁদপাই রেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার। যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ। জলভাগে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫০টি নদ-নদী ও খাল আছে। এসব খালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছাড়াও ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে।
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাস কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৫৯ দিনের জন্য জেলেদের সুন্দরবনে প্রবেশ করে কাঁকড়া ধরার অনুমতি বন্ধ রাখে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা
করমজল বন্যপ্রাণী ও ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, সুন্দরবনের মধ্যে অভয়ারণ্য ঘোষিত ৩০টি খাল এবং ২৫ ফুটের কম প্রশস্ত খালে সারা বছরই কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ থাকে। বাকি অংশের নদী ও খালে বন বিভাগের বৈধ পাস-পারমিটধারী প্রায় ১৫ হাজার জেলে শুধু কাঁকড়া আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
১৯৯৮ সালে কাঁকড়া রপ্তানি নীতিমালা প্রণয়নের পর থেকেই প্রতিবছর দুই মাস কাঁকড়া ধরার পাস-পারমিট বন্ধ রাখা হয় বলে জানান তিনি।
কাঁকড়া আহরণকারী মোংলার জয়মনি এলাকার আনিছুর রহমান জানান, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল কোনো লোক সুন্দরবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঁকড়া ধরতে যান না। যারা যান, তারা প্রায় সবাই দরিদ্র। দুই মাস নিষেধাজ্ঞা চলাকালে দরিদ্র জেলেদের চরম দুর্দিন গেছে। বন্ধের দিনগুলোয় সরকারি কোনো ভাতার ব্যবস্থা না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়েছে তাদের। শুক্রবার সকালে কাঁকড়া ধরার অনুমতি পেয়ে তারা আশার আলো দেখছেন।
একই এলাকার ছগির মোল্লা জানান, ‘সংসারে সাতজন সদস্য। সুন্দরবনে একদিন না গেলে তার চুলা জ্বলে না। দুই মাসের কাঁকড়া আহরণ বন্ধে দিনমজুরি করে কোনোমতে সংসার চালিয়েছি। মহাজনের কাছ থেকেও ধার নিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।’
আরও পড়ুন: বন্যায় ভেসে গেছে ৮ কোটি টাকার মাছ-চিংড়ি-কাঁকড়া
জেলেদের অভিযোগ, বনবিভাগ যে উদ্দেশ্যে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা সফল হয়নি। কারণ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও গোপনে অসাধু লোকজনের সঙ্গে আঁতাত করে কাঁকড়া আহরণ করা হয়েছে এর বহু প্রমাণ রয়েছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, কাঁকড়ার বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুন্দরবনে বিভিন্ন নদী-খালে দুই মাস জেলেদের কাঁকড়া আহরণ নিষিদ্ধ ছিল। ২ মার্চ থেকে বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে জেলেরা প্রবেশ নিষিদ্ধ অভয়াশ্রম ছাড়া অন্য নদী-খালে কাঁকড়া আহরণ করতে পারবেন। তবে কেউ যাতে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার অনুমতি নিয়ে বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে না পারে, সেজন্য বনরক্ষীদের স্মার্ট পেট্রোলিং টহল ও অন্যান্য কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ইঞ্জিনচালিত কোনো নৌকা বা ট্রলার কাঁকড়া পরিবহনের ক্ষেত্রে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
শুধু পরিবহন করতে পারবে যে নৌকায় কাঁকড়া আহরণ করে সেই নৌকায়। আর এ ব্যতিত ট্রলার যোগে পরিবহন করছে যদি এ রকম কাউকে পাওয়া বা এর সঙ্গে বন রক্ষীদের কেউ জড়িত থাকে প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান বন বিভাগের এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় কাঁকড়া ধরায় ২৪ জেলে আটক
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরায় ১৫ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদী থেকে মাছ ধরায় ১৫ জেলের এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার তাদের আটক করে এ দণ্ড দেওয়া হয়।
মৎস্য বিভাগ জানায়,জাটকা সংরক্ষণসহ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ মার্চ থেকে শুরু হয় ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা। এর দ্বিতীয় দিনে দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাফুজুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ১৫ জেলেকে আটক করে মৎস্য বিভাগ। এসময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ৪টি ট্রলার ৪০ হাজার মিটার জাল ও ২০ কেজি মাছ ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের পর বড় বন্দর হতে পারে ভোলা: শিল্পমন্ত্রী
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের ১ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। তবে আটক জেলেদের দাবি অভাবের কারণে তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছেন। এ নিয়ে অভিযানের প্রথম দুই দিনে জেলায় মোট ৩৪ জনকে আটক করা হয়।আরও পড়ুন: ভোলার মেঘনায় ট্রলারডুবি, ৮ দিন পর লাশ উদ্ধার
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৮ জনের জেল-জরিমানা
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভয়আশ্রম মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করায় আট জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল দিকে ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৩ ইটভাটাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি মাছ ধরার ট্রলার ও ২৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, দুই মাস মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার সময় অভিযান চালিয়ে দুই জেলে ও দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদী থেকে ছয় জেলেকে আটক করা হয়।
আটক জেলেদের বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি মাছ ধরার ট্রলার ও ২৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় ও মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ৩টি হাসপাতাল ও ডায়াগনোসিস সেন্টার সিলগালা, ২টির জরিমানা
মেঘনায় নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরায় ১৫ জেলেকে জরিমানা
পদ্মা-মেঘনা অভয়ারণ্যে মাছ ধরায় ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে শুরু
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত (১ মার্চ) থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ৭০ কিলোমিটার জাটকা রক্ষা ও অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশের জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধ।
জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত এ ৭০ কিলোমিটার এলাকায় অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স।
সরকারি এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন ৪৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে।
জেলা মৎস্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করে।
সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলায় টাস্কফোর্সের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পদ্মা-মেঘনা পাড়ের জেলে পাড়াগুলোতে জেলেদের অংশগ্রহণে সচেতনতা সভা করা হয়েছে। আইন অমান্য করে যেসব জেলে নদীতে মাছ আহরণ করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে টাস্কফোর্সে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ ধরায় ১৩ জেলেকে জরিমানা
জেলা মৎস্য অফিসার মো. গোলাম মেহেদী হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদেরকে মাথাপিছু ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। জাটকা রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা উপকূলীয় জেলে পাড়া আনন্দ বাজার এলাকায় জেলেদের সঙ্গে এই সংবাদদাতার কথা হয়। জালাল দেওয়ান ও হৃদয় হোসেনসহ অন্যরা জানান, তারা সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়, তাতে তাদের সংসার চলে না। সব দ্রব্যের দাম ডাবল। এরপর তাদের ঋণ থাকে। এই সময় বেকার হয়ে পড়ায় তাদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা নেই।
আরও পড়ুন: ২২ দিনের ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে মধ্যরাতে
তারা সরকারি সহযোগিতা দ্বিগুণ বাড়ানোর দাবি জানান।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুই মাসের অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে নৌপুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ ব্যাপারে নদীতে কোনো অনিয়ম দেখলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, আইন অমান্য করে কোনো জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাটকা রক্ষায় টাস্কফোর্স নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪৯ জেলের কারাদণ্ড
প্রধানমন্ত্রী নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করেন না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'এই সরকার যাতে ক্ষমতায় থাকতে না পারে সেজন্য তারা (বিরোধীদল) তাদের বিদেশি বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে আছে। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোনো নিষেধাজ্ঞা বা ভিসা নীতি নিয়ে মাথা ঘামান না।’
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বিরোধীরা কম্বোডিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞার আশা করছে। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব নিষেধাজ্ঞা বা ভিসা নীতি নিয়ে চিন্তিত নন।
আরও পড়ুন: সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নই হবে নতুন সরকারের মূল কাজ: কাদের
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ ধরায় ১৩ জেলেকে জরিমানা
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে মশারি ও অন্যান্য জাল দিয়ে ছোট মাছ ধরায় ১৩ জেলেকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেশমা খাতুন।
আরও পড়ুন: আবেদন খারিজ, ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যানকে লাখ টাকা জরিমানা
রেশমা খাতুন জানান, অর্থদণ্ড প্রাপ্ত এসব জেলে পাশের শরীয়তপুরের সখিপুর উপজেলার তারাবুনিয়া ও চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনার পশ্চিমে অবস্থিত রাজরাজেশ্বর এলাকার বাসিন্দা।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি ও অন্যান্য ক্ষতিকর অবৈধ জাল এবং নিষিদ্ধ চাই অপসারণে বিশেষ কম্বিং অপারেশন হিসেবে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা, ম্যাজিস্ট্রেটের উপর হামলা
এ সময় মেঘনা নদীর সদর উপজেলার কাছিকাঠা এলাকায় মশারি জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ ধরা অবস্থায় ১৩ জেলেকে আটক করা হয়। একই সময় জব্দ করা হয় ১০টি মশারি জাল এবং নিষিদ্ধ ৬০ হাজার মিটার কারেন্টজাল। জব্দ করা জাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমারখালীতে পাঁচটি নির্বাচনী কার্যালয় অপসারণ, জরিমানা
সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা
প্রজনন মৌসুমের কারণে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) থেকে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার উপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই জেলেদের কাঁকড়া ধরার পাস (অনুমতিপত্র) বন্ধ রাখা হয়েছে।
১ জানুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুন্দরবনের পশ্চিম বিভাগে এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। অবৈধভাবে কেউ যাতে বনে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারেও নেওয়া হয়েছে বন বিভাগের পক্ষে থেকে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪৯ জেলের কারাদণ্ড
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই দুই মাস প্রাকৃতিক মৎস্য সম্পদ মা কাঁকড়ার প্রধান প্রজনন মৌসুম। এ সময়ে প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষে সরকারিভাবে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার পাস (অনুমোদন) বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। এই দুই মাসে ডিমওয়ালা মেদী-মায়া কাঁকড়া বিভিন্ন নদী খালে কোটি কোটি বাচ্চা ছাড়ে। আর বনের উপকূলীয় এলাকার হাজারো জেলে এই কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। এ ছাড়া এই কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানি করে ব্যবসায়ীরাও বছরে কোটি টাকা আয় করেন।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে জল ভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গ কিলোমিটার। যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
সুন্দরবনের জল ভাগে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি ও ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে। বনের এই প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় এবং মা কাঁকড়ার প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষে ৫৯ দিনের জন্য জেলেদের সুন্দরবনে প্রবেশ করে কাঁকড়া ধরার অনুমতি বন্ধ রাখেন।
আরও পড়ুন: ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকা ছাড়াল
এদিকে এই দুই মাস কীভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হাজারো জেলে।
কয়রা উপজেলার ৬ নম্বর কয়রা গ্রামের জেলে শ্যামল কয়াল বলেন, কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম শুরু হয়েছে। বন বিভাগ অনুমোদন বন্ধ করে দিয়েছে তাই সুন্দরবন থেকে তিন দিন আগে কাঁকড়া ধরা বন্ধ করে বাড়ি ফিরে এসেছি। শুধু আমি না আমার মতো সব জেলে নৌকা নিয়ে ফিরে এসেছে। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল কোনো লোক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে যায় না। আর যারা যায় তারা অধিকাংশ অতি দরিদ্র পরিবার।
তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে এই দুই মাস দরিদ্র পরিবারগুলোর খেয়ে না খেয়ে কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে। তারপরও সরকারি নিয়ম তো মানতে হবে। তাছাড়া কাঁকড়া ধরা বন্ধের সময়ে সরকারি কোনো ভাতার ব্যবস্থা থাকলে এমন কষ্ট হতো না। তিনি বন্ধের সময়ে সরকারি সহায়তা দেওয়ার দাবি জানান।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডাকাতি মামলায় ৯ আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড
উত্তর বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি বলেন, কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমে অনুমোদন বন্ধ থাকায় অসহায় জেলেরা অতি কষ্টে জীবনযাপন করে। তাই এই দুই মাস জেলেদের সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল কুমার মন্ডল বলেন, এলাকায় কাঁকড়া ধরা বন্ধের বিষয় মাইকিং করা হয়েছে।
খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন, প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনে কাঁকড়া বৃদ্ধির লক্ষে প্রতি বারের মতো এবারও জেলেদের অনুমোদন বন্ধ রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কাঁকড়ার যখন ডিম হয় তখন কাঁকড়া ধরা খুব সহজ। এই সময়ে কাঁকড়া খুব ক্ষুধার্ত থাকে। এদের সামনে যে খাবার দেওয়া হয় তাই খাওয়ার জন্য দ্রুত এগিয়ে আসে। এই সময় যদি কাঁকড়া ধরা না হয় তাহলে পরের বছর বেশি কাঁকড়া উৎপাদন সম্ভব। যে কারণে কাঁকড়ার প্রজননকাল নির্বিঘ্নে রাখতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ট্রাকচাপায় নিহত ৩
তিনি বলেন, এখন শুধু মাছের পাস দেওয়া হচ্ছে। মাছের পাস নিয়ে কেউ কাঁকড়া ধরলে বা কোনো নৌকায় কাঁকড়া ধরা সরঞ্জাম পেলে সেসব জেলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমে বন বিভাগ কঠোর অবস্থা রয়েছে। যাতে করে কেউ কাঁকড়া আহরণ করতে না পারে।
নির্বাচনে যানবাহন চলাচলে ডিএমপি'র নিষেধাজ্ঞা
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস, ট্রাক ইত্যাদি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ৫ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নববর্ষ উপলক্ষে আগ্নেয়াস্ত্রের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করল ডিএমপি
নিচে উল্লিখিত বিষয়গুলোতে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে:
১. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমোদিত পর্যবেক্ষক বহনকারী যানবাহন।
২. জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও অনুরূপ পণ্য ও সংবাদপত্র বহনকারী যানবাহন।
৩. বিমানবন্দর থেকে আত্মীয়-স্বজন বা আত্মীয়-স্বজনের নিজ বাসভবন বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকিট বা অনুরূপ প্রমাণপত্র প্রদর্শন) এবং স্থানীয় পর্যায়ে ভ্রমণের জন্য ব্যবহৃত যানবাহনের পাশাপাশি দূরপাল্লার যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত যানবাহন।
৪. নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী ও তার নির্বাচনী এজেন্টের জন্য একটি করে গাড়ি (জিপ, গাড়ি, মাইক্রোবাস ইত্যাদি) যথাযথ নিয়োগপত্র বা পরিচয়পত্র প্রদর্শন এবং স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি পাবে।
৫. রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে জরুরি কাজে ব্যবহৃত সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক বা মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়া।
৬. নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনসাপেক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারী বা নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি;
৭. প্রতিবন্ধী ভোটারদের সহায়তায় নিয়োজিত যানবাহন।
৮. ঢাকা মহানগরী বা এ জাতীয় সব সড়ক থেকে প্রস্থান বা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও সংযোগকারী প্রধান সড়কে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার অর্ধেক ভোটকেন্দ্র 'ঝুঁকিপূর্ণ': ডিএমপি কমিশনার