নিষেধাজ্ঞা
ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা মানছেন না ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর জেলেরা
মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর অনেক জেলে পদ্মায় মাছ শিকার করছেন নিয়মিত। সময়মতো সরকারি সহায়তা না পাওয়া ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে নদীতে নামতে হচ্ছে বলে দাবি তাদের। তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
পদ্মা পাড়ে গিয়ে দেখে বোঝার উপায় নেই যে মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা চলছে। বরং তার উল্টোটাই মনে হবে। এই সময়েও দুই জেলার পদ্মায় অর্ধশতাধিক পয়েন্টে অসংখ্য জেলে ইলিশ শিকার করছেন।
জেলেদের দাবি, সরকারি প্রণোদনা না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই জেল-জরিমানা উপেক্ষা করে নদীতে নামছেন তারা। তাদের অনেকের মৎস্য কার্ড থাকার পরও সরকারের সহায়তা পাননি।
আরও পড়ুন: যশোরে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে শীতকালীন সবজি চারা, পোঁছে যাচ্ছে সারা দেশে
নাম প্রকাশে একাধিক জেলে জানান, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সরকারের দেওয়া ২৫ কেজি চাল দিয়ে পরিবার নিয়ে চলাটা কষ্টকর হয়ে যায়। নৌকা ও জাল মেরামতের জন্য বিভিন্ন আড়ৎ ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন অনেকেই। এ সময় আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় জেলেরা ঋণের চাপে পড়েছেন, তাই বাধ্য হয়ে নদীতে যাচ্ছেন তারা।
৪৭ দিন আগে
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কেন এত বিতর্কিত?
ইরানের রাজধানী তেহরানসহ একাধিক স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নিহত হয়েছেন দেশটির শীর্ষ দুই সামরিক কর্মকর্তা ও ৬ পরমাণু বিজ্ঞানী। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে চালানো এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছে রাইজিং লায়ন। নজিরবিহীন এই হামলার মূল কারণই ছিল পশ্চিমাদের ভাষায় ইরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচি।
দীর্ঘদিন ধরে তেহরান দাবি করে আসছে তারা শান্তিপূর্ণ কাজে পারমাণবিক প্রযুক্তির দক্ষতা অর্জনের উদ্দেশ্যে কাজ করছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। ইরান সেটি বরাবরই অস্বীকার করেছে। অন্যদিকেজাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আএইএ) অনেকদিন ধরেই ইরানকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের দায় দিয়ে আসছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) প্রায় দুই দশকে প্রথমবারের মতো আএইএ আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানকে এই শর্ত ভঙ্গের জন্য অভিযুক্ত করে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ও আএইএ-এর মতে, ইরান ২০০৩ সাল পর্যন্ত একটি গোপন ও সমন্বিত পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি চালিয়েছিল। তবে ইরান বরাবরই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
পরমাণু চুক্তি-২০১৫ অনুযায়ী, ইরানকে ইউরেনিয়াম সর্বোচ্চ ৩.৬৭ শতাংশ মাত্রায় সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সে সময় দেশটি ৩০০ কেজি পর্যন্ত ইউরেনিয়াম মজুদ রাখতে পারত এবং শুধুমাত্র প্রাথমিক মানের আইআর-১ সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহার করতে পারত— যন্ত্রগুলো দ্রুতগতিতে ইউরেনিয়াম গ্যাস ঘুরিয়ে তা সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়: ট্রাম্প প্রশাসন
কিন্তু ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ওই চুক্তি থেকে সরিয়ে নেয়। এরপর থেকেই ইরান ধীরে ধীরে চুক্তি লঙ্ঘন করে নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতা বাড়াতে থাকে। তারা ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করতে শুরু করে। —যা অস্ত্র তৈরির জন্য ৯০ শতাংশ প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ থেকে একটু দূরের পর্যায়।
এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত ইরানকে বিভিন্ন নিষেধাধাজ্ঞা দিয়ে আসছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিলেও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ থেকে পুরোপুরি নিবৃত্ত করতে পারেনি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের একজন প্রধান পারমাণবিক বিজ্ঞানীসহ শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল। কিন্তু, এতেও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম থেমে যায়নি দেশটির।
ইরান স্পষ্ট করে বলেছে, ইউরেনিয়াম মজুদের ব্যাপারে তারা কোনো আলোচনা করবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আএইএ) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান এমন তিনটি স্থানে গোপনে পারমাণবিক কার্যক্রম চালিয়েছে, যেগুলোর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত চলছে এবং যেখানে ব্যবহৃত উপকরণগুলোর তথ্য আএইএ-কে জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের হামলা
গত মে মাসের শেষ দিকে আএইএ জানায়, ইরানের কাছে বর্তমানে ৬০ শতাংশ মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের পরিমাণ বেড়ে ৪০৮ কেজিতে দাঁড়িয়েছে। সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, এটিকে আরও সমৃদ্ধ করলে প্রায় নয়টি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব।
১৭৪ দিন আগে
সুন্দরবনে প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে প্রতি বছরের মতো এবারও ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পর্যটক প্রবেশ এবং মাছ ও কাঁকড়া ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন বিভাগ। রবিবার (১ জুন) থেকে প্রায় এক মাস এই নিষেধাজ্ঞা সুন্দরবনের বাংলাদেশের অংশে বহাল থাকবে।
সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং মাছ ও বন্যপ্রাণীর নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা রেঞ্জের বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এজেডএম হাছানুর রহমান।
খুলনা রেঞ্জের আওতার এলাকাগুলোতে ইতোমধ্যেই মাইকিং করে স্থানীয় বনজীবীদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সব ধরনের পাস-পারমিট ইস্যু এবং পর্যটক প্রবেশ। নিরাপত্তা জোরদারে বাড়ানো হয়েছে বন বিভাগের টহল কার্যক্রম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরবনের ডিএফও এজেডএম হাছানুর রহমান। বিগত দুই তিন ধরে খুলনা রেঞ্জের সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে মাইকিং করে স্থানীয় বনজীবীদের জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে সুন্দরবনের ভেতরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্ষাকালে সুন্দরবনের অন্তত ২৫১ প্রজাতির মাছ ডিম ছাড়ে। এই সময় মাছ ধরা বন্ধ রাখলে প্রাকৃতিকভাবে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে তিনজন ভারতীয়সহ পুশ ইন করা ৭৮ জন উদ্ধার
তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপকূলীয় এলাকার জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালরা। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় তিনটি মাস তাদের কষ্টের মধ্যে দিন পার করতে হবে বলে জানিয়েছেন কয়রার অনেক বনজীবী।
শনিবার (৩১ মে) সকালে সুন্দরবনসংলগ্ন কয়রা উপজেলার শাকবাড়িয়ায় নদীর তীরে নৌকা বেঁধে রাখা ও মেরামতের দৃশ্য দেখা গেছে। কেউ কেউ আবার নৌকা মেরামত করার জন্য বেড়িবাঁধের রাস্তার ওপর উঠিয়ে রেখেছেন।
খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে সব স্টেশনে পাশপারমিট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খুলনা রেঞ্জের অধীনস্ত এলাকায় টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে।’
কয়রার বনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সুন্দরবনে মাছ-কাঁকড়া, মধু আহরণ করে আমাদের সংসার চলে। তিন মাস সুন্দরবন বন্ধ থাকবে। এলাকায় তেমন কোনো কাজ নাই, ভাবছি কীভাবে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে সংসার চালাবো।’
সুন্দরবন সংলগ্ন শাকবাড়িয়া নদীর তীরবর্তী পাথরখালী গ্রামের জেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আবার ১ জুন থেকে ৯২ দিনের জন্য সুন্দরবন বন্ধ। বন্ধের সময় সাগরে মাছ ধরা জেলেদের সরকারি সহায়তা করা হলেও সুন্দরবনের জেলেদের কিছুই দেওয়া হয় না। এর মধ্যে সবকিছুর দাম বেড়েই চলছে। বন্ধের সময় সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য না পেলে আমাদের সামনের দিনগুলো খুবই কষ্টের মধ্যে যাবে।’
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা
সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সাহিদ বলেন, ‘১ জুন থেকে সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সুন্দরবনে প্রবেশের সব ধরনের পাস-পারমিট। এ সময় বন্য প্রাণী শিকার ও বিষ দিয়ে মাছ আহরণ বন্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে বন বিভাগ।’
১৮৭ দিন আগে
ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা
বাংলাদেশি কিছু পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশি তৈরি পোশাক ও কিছু খাদ্যপণ্য। ভারতের এ সিদ্ধান্তের ফলে বিপাকে পড়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।
প্রতিষ্ঠানগুলোর আশঙ্কা, এ ধরনের কঠোর সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও খারাপের দিকে ঠেলে দেবে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ইউএনবিকে বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের পোশাক ভারতে পৌঁছাতে আগের চেয়ে বেশি সময় লাগবে। এতে খরচও বাড়বে। অর্থাৎ, (ভারতে পোশাক) রপ্তানি কিছুটা কমে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য যখন নানা সমস্যায় জর্জরিত, তখন এমন পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষের ক্ষতির পরিমাণ বাড়াবে।’
আরও পড়ুন: দুই সমুদ্রবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিল ভারত
বাংলাদেশ প্রতি বছর গড়ে ৫০ কোটি ডলারের পণ্য ভারতে রপ্তানি করে বলে জানান বিজিএমইএর সাবেক এই পরিচালক। বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের বড় ক্রেতা দেশ এবং সেখানে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বাজার বড় হচ্ছিল। এখন এই সিদ্ধান্ত নতুন করে আমাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াল।’
ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে ভুটান বা নেপালের ট্রানজিট পণ্য প্রভাবিত না হলেও সামগ্রিকভাবে ব্যবসায়িক সম্পর্কের ওপর এটি একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, রপ্তানিকারকরা বলছেন, শুধু তৈরি পোশাক নয়; ফলমূল, কার্বনেটেড বেভারেজ, প্লাস্টিক ও পিভিসি পণ্য, কাঠের আসবাবপত্রসহ বেশ কিছু পণ্যের ওপরও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় স্থলবন্দরগুলোতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় সার্বিকভাবে ব্যবসা ও আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা থাকছেই।
শনিবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (ডিজিএফটি) এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশ থেকে কিছু পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে নির্দিষ্ট বন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এক কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানায়, বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতীয় তুলা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং স্থলবন্দরগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পর ভারত এই সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে ভারত সরকারের ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতের বন্দর ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এ বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে না।
ডিজিএফটির বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে কোনো স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক আমদানি করা যাবে না। তবে ভারতের ব্যবসায়ীরা কেবল কলকাতা ও মুম্বাইয়ের নবসেবা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: আমরা কূটনীতিতে বিশ্বাসী, পুশ-ইন করি না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, অবিলম্বে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
পাশাপাশি ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস)/ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল এবং ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য ইত্যাদি রপ্তানি করা যাবে না।
তবে মাছ, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি), ভোজ্যতেল ও ভাঙা পাথর নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখেনি ভারত।
২০১ দিন আগে
সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঘোষিত প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার (ইসিএ) মধ্যে নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১২ মে) পরিবেশ-৩ শাখার জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ধারা ৫ এর ক্ষমতাবলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে নিষিদ্ধ হচ্ছে শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন
তবে, ইসিএ ঘোষণার আলোকে ওই অঞ্চলে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমন এবং টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে।
এছাড়া সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে গঠিত ইসিএ এলাকায় পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
২০৬ দিন আগে
বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান হান্নান-বিজ্ঞানী মঞ্জু ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান শেখ আব্দুল হান্নানসহ তার পরিবারের সদস্যদের ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুর আহসানসহ তার স্ত্রী বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৫ মে) দুদকের পৃথক দুইটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
দুদকের উপপরিচালক তানজির হাসিব সরকার, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান শেখ আব্দুল হান্নান, তার স্ত্রী তাহমিদা বেগম, ছেলে শেখ লাবিব হান্নান ও মেয়ে সানজিদা আক্তারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আবেদন করে।
আবেদনে বলা হয়, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতিসাধন, ঘুষ গ্রহণ, নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের কাজ চলমান।
দুদক জানতে পেরেছে, শেখ আব্দুল হান্নান ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশত্যাগের চেষ্টা করছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন নিষেধাজ্ঞা প্রায়োজন।
দুদকের উপসহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আবেদন করে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুর আহসান ও তার স্ত্রী নার্গিস খানমের।
তার আবেদনে বলা হয়, মঞ্জুর আহসান ও তার স্ত্রী নার্গিসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। এর মধ্যে সংস্থাটি জানতে পেরেছে, অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন ঠেকানো প্রয়োজন।
২১৩ দিন আগে
রূপপুর ‘দুর্নীতি’: প্রচ্ছায়ার ৮ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ থাকায় শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ও শেখ রেহানার দেবর তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মালিকানাধীন প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন আদালত। তাদের মধ্যে শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিকও আছেন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আজ দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম উল্লিখিত ব্যক্তিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন— তারিক আহমেদ সিদ্দিকের স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক, তার দুই মেয়ে বুশরা সিদ্দিক ও নওরীন তাসমিয়া সিদ্দিক, সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান, তার স্ত্রী ফারজানা আনজুম এবং তাদের দুই মেয়ে শেহতাজ মুন্নাসী খান ও পারিজা পাইনাজ খান। তারা সবাই প্রচ্ছায়া লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার।
আবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, ছোট বোন শেখ রেহানা, ছোট বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও অন্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ-সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের অনুসন্ধানে ৭ সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ইউনিট-১ এ রিঅ্যাক্টর স্থাপন সম্পন্ন
প্রচ্ছায়া লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডাররা সপরিবারে গোপনে দেশত্যাগ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র পেতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে।
এতে সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ আরও ক্ষতির আশঙ্কা আছে। এজন্য উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রা রহিত করা প্রয়োজন।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি তারিক আহমেদ সিদ্দিকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
২১৮ দিন আগে
দুর্নীতি: শেখ রেহানার স্বামীসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার স্বামীসহ তাদের মালিকানাধীন প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তরা হলেন—শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিক, শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ও শেখ রেহানার দেবর তারিক সিদ্দিকের স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক, মেয়ে বুশরা সিদ্দিক ও নওরিন তাসমিয়া সিদ্দিক, সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান, তার স্ত্রী ফারজানা আনজুম, তাদের দুই মেয়ে শেহতাজ মুন্নাসী খান এবং পারিজা পাইনাজ খান।
দুদকের পক্ষে উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার এ আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়), তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে প্রচ্ছায়া লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডারগণ সপরিবারে গোপনে দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করছেন বলে বিশ্বস্তসূত্রে তথ্য পাওয়ার কথা জানায় দুদক।
আরও পড়ুন: পাপনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
তাদের ভাষ্যে, অভিযুক্তরা দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাছাড়া, সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ থাকায় অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চায় দুদক।
২০০৯ সালে টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক প্রচ্ছায়া কোম্পানিটি চালু করেছিলেন বলে জানায় দুদক।
সম্প্রতি গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামক একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থপাচার করতেন শেখ হাসিনা।
২১৯ দিন আগে
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ‘বিশেষ উদ্বেগজনক’ দেশ ভারত, র’য়ের ওপর যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ
ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগজনক’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন। একই সঙ্গে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) ও সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ যাদবের ওপর যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর এসব সুপারিশের কথা সামনে এসেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিদেশের মাটিতে ভারতের শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যাকাণ্ডের পেছনে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা র’য়ের হাত রয়েছে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে এই পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
ভারতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
ভারতের পাশাপাশি ভিয়েতনামকেও এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দেশটিতে ধর্মীয় ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ বাড়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৩ দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র
অবশ্য এই সুপারিশের বাস্তবায়ন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। তবে কমিশন যে দুটি দেশের বিষয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্রনীতিতে দেশ দুটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
চীন বিষয়ে যৌথ উদ্বেগের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে ভারত ও ভিয়েতনাম। তাই এই পরামর্শের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন যুক্তরাষ্ট্রের একটি দ্বিদলীয় সরকারি উপদেষ্টা সংস্থা। বৈদেশিক ধর্মীয় স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণ করে নানা নীতিগত সুপারিশ দিয়ে থাকে সংস্থাটি।
বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীনের প্রভাব মোকাবিলায় ভারতকে পাল্টা শক্তি হিসেবে গণ্য করে ওয়াশিংটন। তাই দেশটির মানবাধিকার বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেয় না যুক্তরাষ্ট্র।
কমিশনের সুপারিশ বাধ্যতামূলক না হওয়ায় র’কে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সম্ভাবনা কম বলে মনে করেন তারা।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সঙ্গে আমার গভীর যোগসূত্র আছে: মোদি
২০২৩ সালে থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যক্রমে ভারতের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ওয়াশিংটন-দিল্লি সম্পর্কে চিড় ধরে।
যুক্তরাষ্ট্রে এক শিখ নেতাকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টায় ভারতের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ যাদবের জড়িত থাকার অভিযোগ আনে ওয়াশিংটন, যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে ভারত। এ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি মনে করে ভারত।
মার্কিন ওই কমিশনের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, গত বছরজুড়ে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এই সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও বৈষম্য বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত নির্বাচনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দেশটির মুসলিম জনগোষ্ঠীসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও অপতথ্য ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কমিশন।
সবশেষ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে প্রচারকালেও মোদি মুসলিমদের ভারতে ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে অ্যাখ্যা দেন। শুধু তাই নয়, ‘মুসলিমরা বেশি সন্তান জন্ম দেয়’—এমন মন্তব্যও করেন গত প্রায় ১১ বছর ধরে দেশটির প্রধানমন্ত্রীত্ব সামলানো এই নেতা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা-বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিবেদনে ভারতে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: ২৭ বছর পর দিল্লির মসনদে বসতে চলেছে বিজেপি
তবে এসব প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে মোদি বলেন, তার সরকার দেশে বিদ্যুতায়ন ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভতুর্কি দেওয়াসহ যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, তাতে সব সম্প্রদায়ের মানুষই উপকৃত হয়েছেন।
ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপকভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অভিযোগ করে দেশটিকে ‘বিশেষ উদ্বেগজনক’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে এবং র ও সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে সুপারিশ করেছে মার্কিন ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন।
ভারতে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্বে ক্রমবর্ধমান বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল, মুসলিমদের সম্পদ ধ্বংসের মতো মানবাধিকার-বিরুদ্ধ কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে এই সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান মানবাধিকারকর্মীরা।
এই সুপারিশের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় দূতাবাস।
অপরদিকে, সম্প্রতি একটি ডিক্রি জারি করে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অর্থের হিসাব চেয়েছে ভিয়েতনাম প্রশাসন। একে ধর্মীয় স্বাধীনতার ‘গুরুতর লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করেছে মার্কিন ওই কমিশন।
তাছাড়া ধর্মীয় কার্যক্রম বা ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করার দায়ে প্রায় ৮০ জন বন্দির তথ্য তুলে ধরেছে কমিশন, ভিয়েতনাম সরকার যাদের সাজা দিয়েছে। এসব কারণে ভিয়েতনামকেও ‘বিশেষ উদ্বেগজনক’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
ভিয়েতনাম দূতাবাসও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
২৫৩ দিন আগে
সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা
সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময়ে কোনো ধরনের নৌযান ব্যবহার করে মাছ ধরা যাবে না।
বুধবার (১৯ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এমন তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সমুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সব ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজারে অহেতুক দাম বাড়ালে ছাড় নয়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এইচ. এম. খালিদ ইফতেখার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩-এর বিধি ৩ এর উপবিধি (১) এর দফা (ক)-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সরকার, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সব ধরনের মৎস্য নৌযানের মাধ্যমে যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
২৬১ দিন আগে