বাসিন্দা
গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্দেশে গাজার বাসিন্দাদের উত্তর থেকে দক্ষিণে স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক।
কয়েক দিনের বিমান হামলার পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা সিটি ও এর আশেপাশের ফিলিস্তিনিদের ওই অঞ্চলের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উল্লেখ করে গুতরেস বলেন, ‘খাবার, পানি বা বাসস্থান নেই- অবরুদ্ধ করে রাখা এমন অঞ্চলে ঘনবসতিপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রের ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে স্থানান্তরিত করা অত্যন্ত বিপজ্জন এবং কিছু ক্ষেত্রে অসম্ভবও।’
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের হাসপাতালগুলো ইতোমধ্যে পূর্ণ হয়েছে এবং উত্তরাঞ্চল থেকে যাওয়া হাজার হাজার নতুন রোগী গ্রহণ করতে পারবে না। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে। মর্গগুলো উপচে পড়ছে; দায়িত্ব পালনকালে ১১ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩৪টি হামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গাজার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং বিদ্যুৎ পাম্প ও ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ না থাকায় পুরো এলাকা পানি সংকটের সম্মুখীন হয়েছে।
গুতেরেস বলেন, গাজার পরিস্থিতি একটি বিপজ্জনক নতুন নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
তিনি বলেন, শনিবার ইসরায়েলে হামাসের ভয়াবহ আকস্মিক হামলায় এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়েছে এবং গাজায় ইসরায়েলের তীব্র বোমা বর্ষণে ইতিমধ্যে এক হাজার ৮০০ জন নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়েছেন।
গুতেরেস গাজায় অবিলম্বে মানবিক প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়েছেন যাতে জ্বালানি, খাদ্য এবং পানি সংকটে থাকা লোকদের সরবরাহ করা যায়। তিনি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও মানবাধিকার আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার আহ্বান জানান। অবিলম্বে গাজায় জিম্মিদের মুক্তিরও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হামাসকে 'ধ্বংস' করার অঙ্গীকার নেতানিয়াহুর : গাজা আক্রমণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে
গুতেরেস বলেন, ‘এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের জন্য সব পক্ষ এবং তাদের ওপর যাদের প্রভাব রয়েছে, তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করা জরুরি।’
জাতিসংঘ মহাসচিব মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতের কারণে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধেও সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সহিংসতাকে উস্কে দেয় এমন অমানবিক ভাষা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি সকল নেতাদেরকে ইহুদিবিদ্বেষ, মুসলিমবিদ্বেষ গোঁড়ামি এবং সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং মৃত্যু ও ধ্বংসের এই অন্তহীন চক্রের স্থায়ী সমাধান খুঁজতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একত্রিত হওয়ার এখনই সময়।’
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
কুমিল্লা সীমান্ত থেকে ৩০ রোহিঙ্গা আটক
কুমিল্লার বুড়িচং সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারত যাবার সময় ৩০ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার খাড়েরা সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটক হওয়া রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের টেকনাফের কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা কিশোর নিহত
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাঁচটি পরিবার অবৈধ ভাবে ভারতে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করে। এর মধ্যে ছয় জন পুরুষ,আট জন নারী এবং ১৬ জন শিশু। এসব রোহিঙ্গারা বুধবার সড়ক পথে যানবাহন পাল্টে-পাল্টে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লা আসে। বৃহস্পতিবার তারা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা চালায়।
ওসি আরও বলেন, সীমান্ত পাড়ি দেয়ার সময় খাড়েরা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বুড়িচং থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
তাদেরকে কক্সবাজারে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে শিশু নিহত
বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবি: ২৯ রোহিঙ্গাসহ আটক ৩৩
জৈন্তাপুরে নদী ভাঙনের কবলে কয়েক গ্রামের বাসিন্দা
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নয়াগাং ও সবুড়ী নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন চলাচলের রাস্তা ও বাড়িঘর সহ ফসলি জমি।
নদী ভাঙ্গনে বাউরভাগ, মল্লিফৌদ, কাটাখাল ও লামনী গ্রামের গ্রামীণ রাস্তাসহ শতাধিক বাড়ী সহ কয়েক হাজার একর ফসলি জমি হুমকির মুখে রয়েছে। নদীর সর্বগ্রাসী ভাঙ্গনে কাটাখাল রাস্তার দেড় কিলোমিটার নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে।
সরেজমিনে নদী ভাঙ্গনের খোঁজ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নদীর তীরবর্তী মোয়াখাই, লামনী, কাটাখাল, মল্লিফৌদ গ্রামগুলো রক্ষা করতে জরুরী ভাবে ব্লক স্থাপন প্রয়োজন। নতুবা পুনরায় বন্যা দেখা দিলে এসব এলাকার মানুষ সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবে এবং ফসলী জমি চলে যাবে নদী গর্ভে। ইতোমধ্যে কাটাখাল গ্রামের প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার পরিস্থিতির উন্নতি, গ্রামাঞ্চলে অপরিবর্তিত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নদীর উভয় পাশে অন্তত দুই হাজার মানুষের বসতবাড়ি ও তাদের ধানের ফসলি জমি রয়েছে। নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে বসতভিটা ছেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অন্য স্থানে চলে যাচ্ছে অনেকেই। গ্রামবাসী নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে গ্রামের মানুষকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থায়ী ভাবে নদী তীরবর্তী ব্লক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহনের দাবী জানান।
এলাকাবাসী জানান, ওয়াপদা বেড়ী বাঁধের কারনে নয়াগাং নদীর পানি স্বাভাবিক গতির চেয়ে বেশি গতিতে প্রবাহ হচ্ছে। ফলে নদীর প্রবল স্রোত এবং দীর্ঘ সময়ে নদীতে পানি থাকায় নদী তীরবর্তী মানুষের বসতভিটা, চলাচলের রাস্তাঘাট ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে।
এলাকার বাসিন্দা আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ জৈন্তাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ায় জনগণের প্রত্যাশা তিনি শিগগির নদী ভাঙ্গনের কবল হতে মানুষের বসতবাড়ি, ফসলি জমি, চলাচলের রাস্তা রক্ষায় এগিয়ে আসবেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে কমছে বন্যার পানি, বাড়ছে পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি
করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে রাস্তায় ঢাকার বাসিন্দারা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকলেও বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে নগরবাসীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন।