মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ভারতকে ট্রাম্পের শাস্তি, শুল্ক বেড়ে দাঁড়াল ৫০ শতাংশ
রাশিয়া থেকে তেল কেনার ‘শাস্তি’ হিসেবে ভারতের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে দেশটির উপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে।
বুধবার (৬ আগস্ট) এক নির্বাহী আদেশে বাড়তি শুল্কারোপের ঘোষণা দেন তিনি।
বাড়তি এই শুল্ক ২১ দিন পর কার্যকর হবে। এই সময়ের মধ্যে ভারত ও রাশিয়া উভয় দেশই মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার চেষ্টা করতে পারবে।
এর আগে, ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ১ আগস্ট থেকে এই শুল্ক কার্যকর হয়।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ভারতের অর্থনৈতিক গতিপথকে বিপর্যস্ত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি পর্যন্ত মার্কিন কোম্পানিগুলোর চীন থেকে তাদের উৎপাদন কেন্দ্র স্থানান্তরের বিকল্প হিসেবে ভারতকে বিবেচনা করা হচ্ছিল। তবে এই নতুন শুল্ক ব্যবস্থা ভারতের সেই সম্ভাবনাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
রাশিয়া থেকে চীনও তেল আমদানি করে, তবে ট্রাম্পের আদেশে চীনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বরং বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে চীনের পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ভারতের উপর প্রস্তাবিত শুল্কের তুলনায় কম।
পড়ুন: চীনে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত ৭ হাজার, কঠোর অবস্থানে সরকার
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলোচনায় ট্রাম্প বলেন, ‘শিগগিরই রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কী হয়, দেখা যাক। আমরা তখনই সিদ্ধান্ত নেব।’
মার্কিন জনশুমারি ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারতের সঙ্গে পণ্য বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৪ হাজার ৫৮০ কোটি ডলারের ঘাটতি ছিল।
ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে এবং এটি এখন বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। চীনের প্রভাব মোকাবিলায় এশিয়ায় ভারতের সঙ্গে অংশীদারত্বকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রাশিয়ার উপর ইউক্রেন যুদ্ধ-সংক্রান্ত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় ভারত সমর্থন দেয়নি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা চলছে। ওয়াশিংটন চীনা পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, এর জবাবে বেইজিং আমেরিকান পণ্যে ১০ শতাংশ পাল্টা কর বসিয়েছে।
১২০ দিন আগে
আটকের পর যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিকটকার
ভিসাশর্ত লঙ্ঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমানবন্দরে আটকের পর স্বেচ্ছায় দেশটি ছেড়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিকটকার খাবি লেইম।
শুক্রবার (৬ জুন) লাসভেগাস শহরের হ্যারি রেইড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন অভিবাসন ও শুল্কপ্রয়োগকারী সংস্থার (আইসিই) কর্মকর্তাদের হাতে আটক হন তিনি।
তবে, কোনো নির্বাসন আদেশ ছাড়াই তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্বেচ্ছাপ্রস্থানের অনুমতি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির এক মুখপাত্র।
২৫ বছর বয়সী এই সামাজিকমাধ্যম তারকার (ইনফ্লুয়েন্সার) পুরো নাম সেরিঞ্জে খাবানে লেইম। জন্ম সেনেগালেও হলেও শৈশবে বাবা-মায়ের সঙ্গে ইতালিতে পাড়ি জমান তিনি। পরে, ইতালির নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন।
আইসিই জানিয়েছে, খাবি লেইম ৩০ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ভিসার শর্ত ভঙ্গ করে দেশটিতে অবস্থান করছিলেন তিনি। তাকে স্বেচ্ছাপ্রস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।সংস্থাটি আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি হারিয়ে স্বেচ্ছাপ্রস্থান করা ব্যক্তিরা ডিপোর্টেশন অর্ডার এড়াতে পারেন। এই আদেশে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ১০ বছর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে।
আরও পড়ুন: লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ দমনে ২ হাজার সেনা মোতায়েন ট্রাম্পের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অভিবাসনবিরোধী পদক্ষেপ দিনদিন আরও জোরালো করছে। এরমধ্যেই দেশটির লস অ্যাঞ্জেলেসসহ বিভিন্ন জায়গায় আইসিইর অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্প তার নির্বাহী ক্ষমতার সীমা পরীক্ষা করছেন। এমন এক সময়েই জনপ্রিয় এ ইনফ্লুয়েন্সারের আটক ও স্বেচ্ছাপ্রস্থানের ঘটনাটি ঘটলো।
এ বিষয়ে জানতে, মঙ্গলবার (১০ জুন) তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেওয়া ইমেইলে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তিনি এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোন মন্তব্যও করেননি।খাবি লেইম কোভিড-১৯ মহামারির সময় প্রথম আলোচনায় আসেন। সংলাপহীন ভিডিওর মাধ্যমে জটিল ও অপ্রয়োজনীয় লাইফ হ্যাকগুলোর সোজাসাপ্টা প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে তিনি সামাজিক মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম টিকটকে তার অনুসারীর সংখ্যা ১৬ কোটি ২০ লাখের বেশি।
টিকটকে খ্যাতি পাওয়ার পর তিনি দ্রুতই ফ্যাশন ও মানবিক কাজে যুক্ত হন। ২০২২ সালে তিনি নামকরা ফ্যাশন ব্র্যান্ড হুগো বসের সঙ্গে কয়েকবছরের চুক্তি করেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবেও নিযুক্ত হয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের কয়েকদিন পর গত মে মাসে নিউইয়র্কে ফ্যাশন দুনিয়ার অন্যতম জাঁকজমকপূর্ণ ও মর্যাদাসম্পন্ন অনুষ্ঠান মেট গালায় অংশ নেন তিনি।
১৭৬ দিন আগে
রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে: ট্রাম্প
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার কোনো আলাপ হয়েছে কিনা; সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকার করেছেন।
রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন কথা বলেন। তিনি আভাস দিয়েছেন যে পুতিনের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। আর এমন কিছু যদি হয়ে থাকে, তাহলে ২০২২ সালের পর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পুতিনের আলোচনার স্বীকারোক্তি হবে এটি।
গেল ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে কিংবা পরে পুতিনের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা; জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটা করেছি, ধরা যাক, আমি এটা করেছি..এবং আরও অনেক আলোচনা হবে বলে আমি মনে করছি। এই যুদ্ধ আমাদের বন্ধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: দালালের খপ্পরে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াচ্ছেন বাংলাদেশিরা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ আছে বলেও জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলছি।’
নির্বাচনী প্রচারে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের অঙ্গীকার করেছেন ট্রাম্প, কিন্তু সেটা কীভাবে করা হবে; তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি।
শুক্রবার নিউ ইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পুতিন ও তিনি কতবার কথা বলেছেন সেটা না প্রকাশ করাই ভালো। এমনকি সবশেষ কখন কথা হয়েছে, সেটাও না বলা ভালো।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আসছে দিনগুলোতে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা হবে। ব্যক্তিগতভাবে সম্ভবত এ সম্পর্কে আমি জানি না, অথবা এ বিষয়ে অবগত না। যে কারণে এ বিষয়টি আমি স্বীকার কিংবা অস্বীকার করতে পারব না।’
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আলোচনা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ। এনবিবিসি নিউজকে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বেশ কিছু স্পর্শকাতর আলোচনা চলছে।’
এরআগে বিভিন্ন সময়ে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের অঙ্গীকার করেছিলেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে আলোচনা করতে পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক হবে বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এর বাইরে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। রবিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, একটা উপযুক্ত সময়ে পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক হবে।
সৌদি আরব কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতে তাদের এই বৈঠক হতে পারে বলে এর আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিসা পদ্ধতি সহজসহ রাশিয়াকে আরও জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
২৯৮ দিন আগে
নিষেধাজ্ঞার মুখে অভিবাসীবাহী মার্কিন ফ্লাইট অবতরণে অনুমতি দিল কলোম্বিয়া
অভিবাসীবাহী মার্কিন ফ্লাইট অবতরণের অনুমতি দিতে কলোম্বিয়া রাজি হয়েছে। এরআগে স্থানীয় সময় রোববার (২৬ জানুয়ারি) অভিবাসীদের তাড়িয়ে দিতে মার্কিন পরিকল্পনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে।
অভিবাসীদের গ্রহণ না করলে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির ওপর চড়া শুল্কারোপ ও নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আর অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন কলোম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো। এ সময়ে অভিবাসীবাহী দুটি মার্কিন সামরিক উড়োজাহাজ অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
রোববার দিনের শেষভাগে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লিভেট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সব শর্ত মেনে নিয়েছে কলোম্বিয়া। যুক্তরাষ্ট্রে কলোম্বিয়া থেকে যেসব অবৈধ বিদেশি প্রবেশ করেছেন, তাদেরকে অবাধে ফেরত নেওয়ার পাশাপাশি কোনো ধরনের বিলম্ব ও শর্ত ছাড়াই মার্কিন সামরিক উড়োজাহাজ অবতরণেও অনুমতি দেবে তারা।’
সেক্ষেত্রে কলোম্বিয়ার পণ্যে শুল্কারোপে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প, সেটা প্রস্তুত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই আদেশে এখনো প্রেসিডেন্ট সই করেননি। যে কারণে এটি প্রস্তুত থাকবে, প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। আর যতক্ষণ না অভিবাসীবাহী প্রথম উড়োজাহাজটি কলোম্বিয়া থেকে ফেরত না আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত দেশটির কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও পণ্যে শুল্ক তল্লাশির আদেশ বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন অভিবাসী ফ্লাইট অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান, নিষেধাজ্ঞার মুখে কলোম্বিয়া
এ নিয়ে কলোম্বিয়ার কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এরআগে অভিবাসীবাহী মার্কিন সামরিক বিমান অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকোর সম্পর্ক এখন আলোচনায়। দুই দেশের যৌথ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তিনি। সীমান্তে অতিরিক্ত দেড় হাজার সেনা মোতায়েনেরও নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের শাস্তিমূলক পদক্ষেপে এটি স্পষ্ট হচ্ছে যে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি আরও বেশি পেশিশক্তি প্রয়োগের দিকে যাচ্ছে; এছাড়াও ট্রাম্পের ইচ্ছার কাছে নত হতে দেশগুলোকে বাধ্য করার অভিপ্রায়ই ফুটে উঠেছে।
ট্রাম্প বলেন, জো বাইডেন প্রশাসন আমলে লাখ লাখ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন। কাজেই তাদের প্রত্যাবাসনে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
৩১২ দিন আগে
মার্কিন অভিবাসী ফ্লাইট অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান, নিষেধাজ্ঞার মুখে কলোম্বিয়া
অভিবাসীবাহী মার্কিন উড়োজাহাজ অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করায় কলোম্বিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি।
হোয়াইট হাউসে ফিরে যাওয়ার পর বেশ কিছু নির্বাহী আদেশে সই করেন যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন প্রেসিডেন্ট। দেশটিতে প্রবেশে অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিরস্ত করতে চাচ্ছে তার প্রশাসন। পাশাপাশি লাখ লাখ কাগজপত্রহীন অভিবাসীকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ারও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, জো বাইডেন প্রশাসন আমলে লাখ লাখ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন। কাজেই তাদের প্রত্যাবাসনে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
এরআগে অভিবাসীবাহী মার্কিন সামরিক বিমান অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকোর সম্পর্ক এখন আলোচনায়। দুই দেশের যৌথ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তিনি। সীমান্তে অতিরিক্ত দেড় হাজার সেনা মোতায়েনেরও নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আর দক্ষিণ আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার কলোম্বিয়া। দেশটির পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। জবাবে কলোম্বিয়ার বামপন্থি প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো এক এক্স পোস্টে বলেন, মার্কিন আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করতে বাণিজ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছি।
বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের শাস্তিমূলক পদক্ষেপে এটি স্পষ্ট হচ্ছে যে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি আরও বেশি পেশিশক্তি প্রয়োগের দিকে যাচ্ছে; এছাড়াও ট্রাম্পের ইচ্ছার কাছে নত হতে দেশগুলোকে বাধ্য করার অভিপ্রায়ই ফুটে উঠেছে।
নিজের সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে ট্রাম্প লিখেছেন, ফ্লাইট অবতরণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে মার্কিন নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছেন গুস্তাভো পেট্রো।
কলোম্বিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে, দেশটির যেসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করবে, সেগুলোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে তা ৫০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির কর্মকর্তাদের ভিসা বাতিল ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি জরুরি রাজস্ব, ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখেও পড়তে পারে কলোম্বিয়া।
ট্রাম্প বলেন, সীমান্তে কলোম্বিয়ার নাগরিক ও কার্গোতে তল্লাশি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হবে। এটা কেবল শুরু।
৩১২ দিন আগে
পেনসিলভানিয়ার আদালতে ট্রাম্পের মামলা খারিজ
পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে রিপাবলিকান ট্রাম্প শিবিরের করা মামলা শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
১৮৩২ দিন আগে
ট্রাম্পের বড় ছেলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়ে শুক্রবার কোয়ারেন্টাইনে গেছেন।
১৮৪০ দিন আগে
১২ দিন পর করোনামুক্ত ট্রাম্প
হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক শন কনলি সোমবার বলেছেন, আক্রান্ত হওয়ার ১২ দিন পর করোনাভাইরাস মুক্ত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১৮৭৯ দিন আগে
ট্রাম্পকে পাঠানো চিঠিতে পাওয়া গেল রাইসিন বিষ!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে পাঠানো একটি চিঠিতে রাইসিন নামক এক মারাত্মক বিষাক্ত পদার্থ মেশানো পাওয়া গেছে। তবে হোয়াইট হাউজে পৌঁছানোর আগেই সেই চিঠি জব্দ করা হয়েছে।
১৯০২ দিন আগে
ইসরায়েল-আমিরাত চুক্তিকে স্বাগত জানালেন জাতিসংঘ প্রধান
ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যকার সমঝোতা চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আশা প্রকাশ করেছেন যে এটি দুদেশের নেতাদের জন্য কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ তৈরি করবে।
১৯৩৮ দিন আগে