ষড়যন্ত্র
সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রিজভী
পতিত সরকারের ‘মিত্ররা’ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন— এমন অভিযোগ তুলে দেশে সত্যিকার অর্থে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘এখনো একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। আসলে কতটা (একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন) করা সম্ভব। কতটা করা সম্ভব? আমরা তাদের (নির্বাচন কমিশন) জিজ্ঞাসা করেছি যে তাদের সেই ক্ষমতা আছে কিনা।’
রবিবার (৩১ আগস্ট) নগরীর নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাসুদ ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে পৃথক বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি প্রতিনিধিদলটি বিশেষভাবে নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণের প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে।
রিজভী বলেন, তাদের প্রশ্নের জবাবে, ইসি তাদের (একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য) ইসির পূর্ণ প্রস্তুতির আশ্বাস দিয়েছে।
ইসিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগী’ হিসেবে পরিচিতদের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘এই সহযোগীরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত করতে এমনকি এটি অনুষ্ঠিত হতে বাধা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল এবং সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’ যদিও ইসি একটি স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা এবং একটি প্রশাসনও।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে চেয়েছিলাম যে 'আওয়ামী লীগের সহযোগীরা' এখানে কী ধরণের ভূমিকা পালন করছে এবং তারা কোনো ধরণের বাধা তৈরি করছে কিনা।’
রিজভী বলেন, জবাবে ইসি তাদের আশ্বস্ত করেছে যে, তারা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য সঠিকভাবে এবং সতর্কতার সঙ্গে এটি তদারকি করছে— যাতে নির্বাচন কোনোভাবেই ব্যাহত ও কলঙ্কিত না হয়। নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে বিএনপির এই নেতা বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বর্তমান ইসির আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি এই কমিশন সকলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। এখন পর্যন্ত, আমি তাদের পক্ষ থেকে কোনো আন্তরিকতার অভাব দেখিনি।’
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির বিষয়ে রিজভী বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে যে, এটি এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। ‘আমাদের নেতারা ইসির কাছে এটি বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে,’ বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, বিএনপি প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার সম্পর্কে সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। ইসি আমাদের জানিয়েছে যে তারা তাদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: রমজানের আগেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা রিজভীর
শুক্রবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান রিজভী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নূর একজন পরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা পালন করেছিলেন।এ কজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতার উপর এ ধরনের আক্রমণ একটি গণতান্ত্রিক দেশে নিন্দনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য।
৯৫ দিন আগে
পিআর পদ্ধতি ও স্থানীয় নির্বাচনের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদম্য সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেছেন, যারা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ব্যবস্থার পক্ষে কথা বলছেন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন—আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্য থাকতে পারে তাদের।
তিনি বলেন, ‘যারা আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার কথা বলছেন তাদের উদ্দেশ্য আছে। যারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান তাদেরও উদ্দেশ্য আছে। হয় তারা চান নির্বাচন বিলম্বিত হোক, অথবা তারা চান না যে, বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হোক। এটি তাদের উদ্দেশ্য হতে পারে।’
শনিবার (২৮ জুন) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মরণসভা এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ গবেষণা বিশ্লেষণ ও তথ্য নেটওয়ার্ক (ব্রেইন) আয়োজিত একটি সংরক্ষণাগার উন্মোচন অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন এই মন্তব্য করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবিতে বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘এ দেশের গণতন্ত্রকামী সকল মানুষ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করেনি। আমরা ১৭ বছর ধরে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের জন্য লড়াই করেছি। আমাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা অসংখ্য প্রাণ হারিয়েছি।’
পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সূচি চায় বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সময় শহীদদের আত্মত্যাগ এ দেশে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে। ‘একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে আমরা অবশ্যই সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’
তিনি বলেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনার পর রমজান শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব করা হয়েছে, যা একটি যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এটি তখনই কার্যকর হবে—যখন প্রধান উপদেষ্টা এই বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কাছে বার্তা এবং নির্দেশনা পৌঁছে দেবেন। যখন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, নির্বাচন কমিশন, অথবা উভয়ই একসঙ্গে জাতিকে এ বিষয়ে জানাবে—তখনই আমরা সত্যিকার অর্থে নিশ্চিত হব যে, নির্বাচন সেই সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।’
পড়ুন: রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার, দাবি বিএনপির ফারুকের
১৫৯ দিন আগে
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক করার ষড়যন্ত্র চলছে, সতর্ক থাকুন: ফখরুল
সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার চক্রান্ত চলছে উল্লেখ করে এ ধরনের পদক্ষেপ প্রতিহত করতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর)রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের এক কনভেনশনে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, 'আমার একটাই অনুরোধ, আমরা যা অর্জন করেছি তা যেন বৃথা না যায়, কারণ সীমান্তের ওপারে একজন ফ্যাসিস্ট (হাসিনা) বসে আছেন।’
ঠাকুরগাঁও ছাত্র কল্যাণ পরিষদ 'ছাত্র সমাবেশ ২০২৪' নামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, ভারতে বসে ফ্যাসিবাদী শক্তি নানা ষড়যন্ত্র করছে এবং একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনার উসকানি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, 'এসব ঘটনার পর তারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে বাংলাদেশকে মৌলবাদীদের দেশ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে, যেখানে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে।’
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে যা ঘটছে তারা এ ধরনের ঘটনার জঘন্য প্রমাণ ভারতীয় পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপন করছে।
তিনি বলেন, ‘আসলে তা নয়। কারা করছে এসব কাজ? কেন তারা এগুলো করছে? আমি এটা বলছি কারণ আমাদের আনন্দিত হওয়ার সময় নেই যে আমরা জিতেছি। সব শেষ হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদী প্রত্যাবর্তনের পথ সুগম করবেন না: বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক ও বাংলাদেশপন্থী শক্তির মাথার ওপরে এখনো একটি তলোয়ার রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (ফ্যাসিবাদী শক্তি) আমাদের সর্বত্র খারাপের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই আমাদের অত্যন্ত সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। যেকোনো তাড়াহুড়ো বা বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করতে হবে, যাতে কেউ এতে প্ররোচনা দিতে না পারে।’
আওয়ামী লীগ ব্যাপক পরিকল্পনা ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের সম্পদ ধ্বংস করেছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে, ব্যাংকগুলো লুট হয়ে গেছে এবং সর্বত্র লুটপাট, ঘুষ ও দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। এসব বন্ধ করতে হবে এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
ফখরুল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, একটি জালিম সরকারকে উৎখাতের জন্য একসময় ঐক্যবদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ‘এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি বলেন, 'আমাদের অবশ্যই এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, কারণ এটি একটি ষড়যন্ত্র। আপনাদের (ছাত্রদের) দায়িত্ব তাদের বোঝানো যে, এটা এভাবে নয়। আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হই, যখন দেখি ধর্মের নামে ইসকনের নামে একজন আইনজীবীকে রাস্তায় হত্যা করা হয়েছে।’
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ছাত্রদের ধন্যবাদ জানান ফখরুল। শক্তি ছাড়া ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা প্রায় অসম্ভব, কিন্তু আপনাদের সাহস এটা সম্ভব করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে যখনই ছাত্রদের সঙ্গে জনগণ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তখনই বিজয় অর্জিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐক্য গঠনে উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান বিএনপির
৩৭০ দিন আগে
ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: ফখরুল
সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশকে আবারও নতুন বিপদে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। বিপদ এখনও কাটেনি। নতুন বিপদ সামনে আসার আশঙ্কা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: কেউ যেন মাইনাস-২ ফর্মুলার কথা না ভাবে: ফখরুল
এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আবারও গণতন্ত্রকে দুর্বল ও ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা তার ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে মহিলা দলসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্মমভাবে দমন-পীড়ন চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনা ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলতেন। তার কারণে শিক্ষার্থীসহ বহু মানুষ নিহত হয়। কিন্তু সেই ভয়ংকর দানবকে সরিয়ে দিয়ে ৫ আগস্ট আমরা মুক্ত হয়েছি। এটা সত্য যে, শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।’
ফখরুল বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটলেও জাতি এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ‘এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে আমাদের খুব সাবধানে এগোতে হবে।’
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের সমর্থনে জনগণের সেবা করার জন্য একটি নির্বাচিত সরকারই সর্বোত্তম সরকার।’
ফখরুল বলেন, নির্বাচনই হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চাবিকাঠি।
তিনি বলেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু কেউ দলকে বিভক্ত করতে পারেনি। ‘বরং বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়েছে। দলকে আরও শক্তিশালী করে আমরা এগিয়ে যাব এবং নিঃসন্দেহে নির্বাচনে জিতে দেশ পুনর্গঠনে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: যেকোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিপক্ষে বিএনপি: ফখরুল
৩৯৪ দিন আগে
ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান বিএনপির
সকল চক্রান্ত ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে রাজনৈতিক দল ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘নানা ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।’
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর)রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন কি না, তাতে কিছু যায় আসে না।
তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এসব চক্রান্ত মোকাবিলায় আমাদের সজাগ থাকতে হবে এবং সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। আমরা জানি এই সরকার খুব শক্তিশালী নয়, কারণ এটি কোনো দল বা মতের প্রতিনিধিত্ব করে না।’
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা দখল করেনি, জাতি তাদের ওপর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছে। যেহেতু আমরা সরকারকে এই দায়িত্ব দিয়েছি সেহেতু আমাদের অবশ্যই সহযোগিতা করতে হবে। ‘দেশের বিভিন্ন খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। সাম্প্রতিক দুর্গাপূজার সময় শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু আমরা সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সেই প্রচেষ্টা প্রতিহত করেছি।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পুনরুত্থানের বিরুদ্ধে ঐক্যের ডাক বিএনপির
শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলাম বলেন, তৈরি পোশাক কারখানায় নারী ও পুরুষ শ্রমিকের সমতা নিশ্চিত করার দাবির কথা তিনি কখনো শোনেননি। ‘তবে, এ নিয়ে আন্দোলন শুরু হলে কারখানায় হামলা, ভাঙচুর, বন্ধ হয়ে যায়। যারা এই আন্দোলন করেছে তারা কি আসলেই শ্রমিক?’
দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, শুধু ক্ষমতায় নেই এবং দলের শীর্ষ নেতারা পালিয়ে গেছেন বলেই আওয়ামী লীগের দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সামর্থ্য নেই, এমনটা ভাবা ভুল।
তিনি বলেন, ‘তাদের সেই সক্ষমতা আছে এবং তারা বিভিন্নভাবে সমস্যা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। অথচ অন্যায় দমনের দায়িত্ব সরকারের। আমরা তাদের সহায়তা করতে পারি, কিন্তু সরকারের পক্ষে তা করতে পারি না। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রেখে জনগণকে স্বস্তি দিতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি হঠাৎ কেন সামনে এল তা নিয়ে উদ্বেগ ও সংশয় প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা। ‘বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।’
৫ আগস্ট কারাগারে থাকা নজরুল বলেন, 'কারাগার থেকে আমরা টেলিভিশনে দেখেছি, রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে বলেছেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্রপতির ঘোষণার পর এ নিয়ে কোনো বিতর্ক হওয়া উচিত নয়।’
এরপর তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছেন, তিনি পদত্যাগ করেননি। পরে আমরা একটি টেলিফোন আলাপ শুনেছি যেখানে শেখ হাসিনা বলেছেন যেভাবে পদত্যাগ করা উচিত ছিল সেভাবে তিনি পদত্যাগ করেননি। এর অর্থ তিনি পদত্যাগ করেছেন... তাই তার পদত্যাগ নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকার কথা নয়। তিনি পদত্যাগ করেছেন কিনা, যেহেতু তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, সেহেতু তা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার দ্রুত পলায়নই তার পদত্যাগের প্রমাণ: বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল হঠাৎ করে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতির পক্ষে ওকালতি করছে। ‘তারা এর আগে কখনো এটি নিয়ে আলোচনা করেনি এবং এমনকি কয়েকটি বড় দলও এখন এটি সমর্থন করছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যা আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত।’
তিনি বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত তাদের নিম্নকক্ষ বা লোকসভা নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি ব্যবহার করে না, বিধানসভাতেও করে না। ‘পিআর সিস্টেমটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা ফ্রান্সেও প্রয়োগ করা হয় না। এমনকি ইংল্যান্ডে, যেখানে গণতন্ত্রের উৎপত্তি, সেখানেও পিআর সিস্টেম ব্যবহার করা হয় না।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় পিআর সিস্টেম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ‘আমরা এটাও দেখেছি যে নেপালে গত ৫-৭ বছরে কতবার সরকার বদল হয়েছে।’
তিনি বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ থাকা উচিত নয়। ‘জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিছু চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়, বরং সবার জন্য যেটা কল্যাণকর সেটাই আমাদের গ্রহণ করা উচিত।’
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের দোসররা এখনও দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন। ‘এই সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তবে তাদের রাজনীতিতে ফেরা এত সহজ হবে না।’
আরও পড়ুন: হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে চান রাষ্ট্রপতি: বিএনপি
৪০৮ দিন আগে
আওয়ামী লীগ ফিরে আসার ষড়যন্ত্র করছে: হাসনাত আবদুল্লাহ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, সাম্প্রতিক ঘটনা ও বিবৃতির পর আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ক্ষমতা ফিরে পেতে গোপনে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় হাসনাত অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্থান-পতন সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ দেশের ওপর আধিপত্য পুনরুদ্ধারে তৎপর হয়ে উঠছে।
তিনি রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের একটি বিবৃতির কথা উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রপতি বলেছেন, দেশ ছেড়ে পালানোর আগে শেখ হাসিনা কোনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি।
রাজনৈতিক পুনর্বাসনের নামে আওয়ামী লীগ যে ফিরে আসার কৌশল নিচ্ছে, এটাকে হাসনাত তারই লক্ষণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন।
হাসনাত বলেন, 'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড আমরা দেখেছি, যেখানে তারা পুনর্গঠনের ভিত্তি তৈরি করছে বলে মনে হচ্ছে। ঢাকায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন অংশ পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। এসব ঘটনাকে সংযুক্ত করলে বোঝা যায়, তারা ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার দ্রুত পলায়নই তার পদত্যাগের প্রমাণ: বিএনপি
দলের পুনর্বাসনে প্রশাসনিক ও বিচারিক প্রচেষ্টা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।’
এর মোকাবিলায় সমন্বয়কারী জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দলের পুনরুত্থান ঠেকাতে নাগরিকদের একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান।
অতীতের রাজনৈতিক জোটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের আগে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। আমরা মজলুমে হিসেবে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছি, অত্যাচারীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ৫ আগস্টের পর ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থ আমাদের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে, যা আওয়ামী লীগের জন্য ফিরে আসার ষড়যন্ত্রের সুযোগ তৈরি করেছে।’
হাসনাত রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার ঊর্ধ্বে উঠে দলের পুনর্বাসন প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'রাজপথে আমাদের উপস্থিতি বজায় রাখতে হবে এবং বাংলাদেশের মাটি থেকে আওয়ামী লীগকে সমূলে উৎখাত করতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যের জবাবে হাসনাত ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, ‘হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে; জনগণ একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি অবৈধ সরকারকে উৎখাত করেছে। এখানে পদত্যাগপত্রের প্রশ্নই ওঠে না।’আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন রাষ্ট্রপতি: আইন উপদেষ্টা
৪০৯ দিন আগে
হাসিনার 'প্রেতাত্মারা' দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে গেলেও তার 'প্রেতাত্মারা এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ফেনীর মুহুরীগঞ্জ বাজারে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাহিদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা তৈরি পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে তাদের পরিণতি ভালো হবে না।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে যে বন্যা আঘাত হেনেছে তাও ষড়যন্ত্রের অংশ। কারণ শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারত বাংলাদেশকে না জানিয়েই বাঁধ খুলে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: অপরাধীদের ক্ষমা নয়, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ায় নোয়াখালী, ফেনী ও কুমিল্লাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষ আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।
ডা. জাহিদ বলেন, বন্যার পানিতে এসব জেলায় অনেক ঘরবাড়ি, গরু, ছাগল ও মাছ ধরার খামার ভেসে গেছে এবং ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে।
বন্যায় ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দিতে গিয়ে বিএনপি নেতা দুঃখের সঙ্গে বলেন, ‘শিশুসহ অনেক মানুষ বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে।’
তিনি বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।
জাহিদ অভিযোগ করেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল এখন পোশাক খাতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। অথচ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে দেশ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ‘কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এই ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানসহ বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ইসি দায়ী: রিজভী
৪৫৪ দিন আগে
দেশকে অস্থিতিশীল করতে পর্দার আড়ালে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। ‘কারণ, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি মহল এখনও পর্দার আড়ালে ষড়যন্ত্র করছে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বিএনপি ইতোমধ্যেই হামলার নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছে বলেও অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: সাধারণ শিক্ষার্থী-ছাত্রলীগের ওপর হামলার নিন্দা কাদেরের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, 'আন্দোলনে কে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করবে, আর কে পেছন থেকে সহযোগিতা করবে, সহিংসতার সেই নীলনকশা আগে থেকেই তৈরি করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব তার সংবাদ সম্মেলনে আবারও মিথ্যা তথ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের উসকানি দিচ্ছেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 'তারেক জিয়াকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে এনে ক্ষমতায় বসানোর পরিকল্পনা আজ জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে।’
শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা সরকার উৎখাতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে: কাদের
৪৯৭ দিন আগে
দলকে সুসংগঠিত করুন, ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে জনগণের আস্থা অর্জন করুন: দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য সুসংগঠিত দল গঠনে কাজ করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে প্রত্যেক নেতাকর্মীর কাছে আমি আহ্বান জানাই। সংগঠন শক্তিশালী হলে এবং জনগণের সমর্থন আদায় করতে পারলে সব ধরনের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১-২২ জুনের রাষ্ট্রীয় সফরসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ভারতের
রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক দুঃখ-কষ্ট ও বারবার আঘাত উপেক্ষা করে কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সংগঠনকে সমুন্নত রেখেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
জনগণই ক্ষমতার প্রধান উৎস উল্লেখ করে তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে দলের লোকদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছে বলেই জনগণ তার দলকে বারবার ভোট দিয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় আজকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিভিন্ন খাতে তার সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তার দলের প্রতি আস্থা রেখেছিল বলেই ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই ২৩৩টি আসন লাভ করে।
তিনি বলেন, ‘এরপর বাংলাদেশের মানুষকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এটি ছিল বাংলাদেশিদের এগিয়ে যাওয়ার পালা।’
২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সফলভাবে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছেন বলে যুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ দারিদ্র্যের হারও কমিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'আমরা জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি বলেই আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদা অর্জন করেছে।’
বিভিন্ন সেক্টর ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানের চিত্র তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ২০০৬ সালে বিএনপি শাসনের অবসান এবং আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকারের মধ্যে তুলনা করেন।
তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১ শতাংশ থেকে বর্তমানে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইনশা-আল্লাহ বাংলাদেশে কোনো হতদরিদ্র থাকবে না।’
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বক্তব্য রাখেন।
এর আগে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
উদ্বোধনকালে পায়রা ও বেলুন ওড়ান শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের।
এসময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলের সঞ্চালনায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা এবং বিদেশি কূটনীতিকরা।
আরও পড়ুন: ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে শনিবার রাতে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা
৫২৯ দিন আগে
দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র বানচাল করতে হবে: মিউনিখে সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে আর মাথা তুলে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। কেউ যেন দেশকে পিছিয়ে ঠেলে রাজাকারদের দেশে পরিণত করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকুন।’
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে হোটেল বার্গারহাউস গার্চিংয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে কেউ যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন যেখানে প্রতিটি বিশ্বাসের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িকতার চেতনায় বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট সোনার বাংলাদেশে রূপান্তরে জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে তিনি বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনো নিজের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করি না, বরং চিন্তা করি দেশ ও দেশের মানুষের উন্নতির জন্য আমি কী করতে পারি।’
আরও পড়ুন: জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানুষ মাতৃভাষা বাংলাসহ দেশের স্বাধীনতা- সবকিছু পেয়েছে, যেহেতু আওয়ামী লীগ জনবান্ধব দল।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের দল আছে বলেই কোভিড-১৯ মহামারির মতো বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সব সময় জনগণের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছেন।
জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং মিউনিখের স্থানীয় মেয়র।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
৬৫৭ দিন আগে