মাদক ব্যবসা
কুষ্টিয়ায় মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকায় মাদক ব্যবসা-সংক্রান্ত পুরোনো বিরোধের জের ধরে মোহন আলী (২৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
এ ঘটনায় হৃদয় (২৫) নামের আরও যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুণ্ডি গ্রামের ঠোঁটারপাড়া মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহন আলী জামালপুর গ্রামের মৃত মদন আলীর ছেলে এবং আহত হৃদয় একই গ্রামের মৃত মসুর আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ঠোঁটারপাড়া ও জামালপুরের কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে মোহন ও হৃদয়ের মাদক ব্যবসা নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন মোহন ও হৃদয় তাদের জনি নামের এক বন্ধুর অসুস্থ দাদাকে দেখতে ঠোঁটারপাড়ায় যান। বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে ঠোঁটারপাড়া মাঠ থেকে তাদের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন গুলি ছোড়ে। গুলির শব্দ শুনে জনি পালিয়ে গেলেও মোহন ও হৃদয় তাদের হাতে ধরা পড়েন। এ সময় তাদের কুপিয়ে আহত করা হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
পরে টহলরত বিজিবির একটি দল তাদের উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহন আলীর মৃত্যু হয়।
দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটন বলেন, ‘মাদক ব্যবসা-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুরোনো বিরোধের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। মোহন মারা গেছেন, হৃদয় হাসপাতালে ভর্তি।’
বিজিবির মহিষকুণ্ডি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার শওকত আলী বলেন, ‘আমাদের টহল দল আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, ‘নিহতের লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
১৬০ দিন আগে
সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক ব্যবসা, মাসুরা টুনিকে কারাদণ্ড-জরিমানা
সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মাদক সেবন ও ব্যবসার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মাসুরা টুনিকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে জীবননগর পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে কথিত সাংবাদিক মাসুরা টুনিকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে সাতদিনের কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
আটক মাসুরা টুনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তেঘরী গ্রামের মো. আব্দুল হালিমের মেয়ে। তিনি সাংবাদিক পরিচয়ে ‘জনতার ইশতেহার’ ও ‘দৈনিক তুলশীগঙ্গা’ প্রেস কার্ড ব্যবহার করতেন।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয়রা সন্দেহজনক অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ঘরে তল্লাশি করে ভারতীয় মদের খালি বোতল ও ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাসুরা টুনি দীর্ঘদিন ধরে জীবননগরে মাদক ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন মাদক কারবারির কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে টাকা আদায় করতেন।
আরও পড়ুন: ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, গ্রেপ্তার ২
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘স্থানীয়দের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করা হয়। বাসা থেকে মাদকের আলামত উদ্ধার করা হয়।’
জীবননগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দজাদী মাহবুবা মনজুর মৌনা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় মাসুরা টুনিকে সাতদিনের কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়ে বলে জানান ওসি।
২১৬ দিন আগে
যশোরের শার্শায় মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বে খুন, গ্রেপ্তার ২
যশোরের শার্শায় মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগের দিন পরিকল্পিতভাবে জামাল হোসেন (২৫) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৫ এপ্রিল) শার্শা থানার কনফারেন্স রুমে গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের পরদিন মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে নিহত জামাল হোসেনের পিতা আয়ুব হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এএসপি নাহিয়ান বলেন, মাদক বাহন ও মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে জামাল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কয়েকজন মিলে কৌশলে পিটিয়ে হত্যা হয়েছে। পরবর্তীতে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে জামাল হোসেন সড়ক দুর্ঘটনার মারা গেছে—এমন নাটক সাজায় হত্যাকারীরা।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যার ঘটনায় শুক্রবার রাতে শার্শা উপজেলার উত্তর বারপোতা গ্রামের মৃত তবিবর রহমানের ছেলে আমানত উল্লাহ ও পার্শ্ববর্তী কলারোয়া উপজেলার কাদপুর গ্রামের আলী হোসেন খাঁর ছেলে জাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: যশোরে ফুচকা খেয়ে অসুস্থ ২ শতাধিক, বিক্রেতা গ্রেপ্তার
নিশাত আল নাহিয়ান আরও জানান, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্তকালে আসামি আমানত উল্লাহ ও জাহিদ হোসেনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় জাহিদ হোসেন ভিকটিম মৃত জামাল হোসেনের বাড়িতে এসে মিন্টুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে রাত ১০টার দিকে জামাল হোসেন ও জাহিদ হোসেন জনৈক শফির ভাটা সংলগ্ন পাকা রাস্তায় পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক তাকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় উপজেলার শিবনাথপুর (বিলপাড়া) গ্রামের আনসার আলীর ছেলে জাহিদুল (৩৫) এবং উত্তর বারপোতা গ্রামের মৃত তবিবুর রহমান তবির ছেলে আলাউদ্দিন (২৫) মৃত গোলাম রসুলের ছেলে হাফিজুর (৪০) মৃত তবিবর রহমানের ছেলে আমানত উল্লাহ (২৫) মৃত গোলাম রসুলের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৩) ও খালেকের ছেলে জুম্মান (২৪) সহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন। জাহিদুল নামে এক যুবক বাশ দিয়ে ভিকটিমের মাথায় আঘাত করেছিল। পরে অন্যরা তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ভিকটিমকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ রাত ১১টার দিকে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের জৈনক শফির ভাটার পাশ থেকে পুলিশ জামাল হোসেনের (২৫) লাশ উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী জামাল সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কাদপুর এলাকার আয়ুব হোসেনের ছেলে।
২৪৪ দিন আগে
বেনাপোল স্থলবন্দরের ৫ কোটি টাকার স্ক্যানিং মেশিন বিকল, বাড়ছে মাদক ব্যবসা
বেনাপোল স্থলবন্দরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে ৫ কোটি টাকা মূল্যমানের স্ক্যানিং মেশিন। অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা ঠিক থাকলেও স্ক্যানিং মেশিন নষ্ট থাকায় বন্দরের অভ্যন্তরে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এমনকি ঘটছে চুরির ঘটনাও। নিরাপত্তা সংস্থা আনসার, পিমা, আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকলেও ঠেকানো যাচ্ছে না মাদক ব্যবসা।
গত শনিবার বিকালে বন্দরের ৫ নম্বর গেটে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া দিয়ে ৪৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেন বন্দরের নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্যরা। তবে পালিয়ে যায় ওই পাচারকারী। পরে রাত ১১টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় মাদক পাচারের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে একটি মামলা হয়।
এর আগে গত ২ জুলাই বন্দরের কাঁচামাল ইয়ার্ডে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ট্রাক থেকে ৯৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
মাদক জব্দ প্রসঙ্গে বেনাপোল বন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা আনসার পিসি হেলালুজ্জামান বলেন, বন্দরে টহল দেওয়ার সময় একটি ট্রাকের পাশে সন্দেহভাজন কিছু ব্যক্তিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন নিরাপত্তাকর্মীরা। তাদের ধাওয়া করলে তারা একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ওই ব্যাগ থেকে ৪৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
বন্দর কর্মকর্তাদের নির্দেশে ফেনসিডিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান হেলালুজ্জামান।
বন্দরের একটি সূত্র জানায়, বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং পাচার রোধে ১৭৫টি অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কিন্তু তদারকির গাফিলতির কারণে মাদক পাচারের ঘটনা ঘটছে। অপরাধীকে ধরা সম্ভব হচ্ছে না।
বেনাপোল আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আনোয়ার আলী আনু জানান, চোরাকারবারিরা কখনো ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকে আবার কখনো সীমান্ত পথে ফেনসিডিল নিয়ে বন্দর এলাকায় অবস্থান করে। পরে কৌশলে বিভিন্ন পণ্যবাহী বাংলাদেশি ট্রাকে ফেনসিডিল তুলে দেয়। আর হয়রানির শিকার হন চালক, আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বন্দরের নিরাপত্তায় ১৬৩ জন আনসার, ৪২ জন আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ ও বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা পিমার ১২৯ জন কর্মী আছেন। পাশাপাশি সরকারের গোয়েন্দাও কাজ করছেন বন্দরে। সার্বক্ষণিক বন্দরের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে ৩৭৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। এরপরও ঘটছে চুরির ঘটনা।
চলতি সপ্তাহে বন্দরের ডিটিএম অফিসে বসানো দুটি ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন চুরি হয়। তবে এই অপরাধী এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। যদিও এ ঘটনায় নিরাপত্তা সংস্থা পিমার সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছে বন্দর প্রশাসন।
বেনাপোল কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ শামসুর রহমান জানান, নষ্ট স্ক্যানিং মেশিন দ্রুততম সময়ে চালু করা দরকার। এছাড়া বন্দরের সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়মিত তদারক করাসহ নিরাপত্তাকর্মীরা দায়িত্বশীল হলে বন্দর অভ্যন্তরে মাদকের কারবার বন্ধ সহজ হবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, বন্দরের নিরাপত্তায় আনসাররা কাজ করছেন। বন্দরের ৩টি স্ক্যানিং মেশিন নষ্টের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ দিনে ভারতে ৯৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি
৪০৪ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে ৩৭৫৫ ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক ব্যবসার অভিযোগে ইলিয়াস আলী ওরফে নিরব নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ৩ হাজার ৭৫৫ ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ২২৮০ ইয়াবাজব্দ, গ্রেপ্তার ২
শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের দূর্গাপুর কাশিডাঙ্গা গ্রামের নিরবের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিরবের নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ৭৫৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে বালিয়াডাঙ্গী থানায় তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ১০ হাজার ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
চাঁদপুরে ৫০০০ ইয়াবাজব্দ, গ্রেপ্তার ৫
৮০৪ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক বিক্রেতা মোহাম্মদ রফিককে (৪০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ রফিক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৪ মার্চ সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতদিয়াড়ে রফিকের বাড়িতে অভিযান চালায়। বাড়ি তল্লাশি করে ১৯ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন নামক মাদকদ্রব্য পাওয়া গেলে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এই ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে সদর থানায় রফিকের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে আরও জানা যায়, এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রয়ণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ ২০২০ সালের ১৫ জুন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে মামলার ৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট বেলাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে মাদকের টাকা না দেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ!
কাশিমপুর কারাগারে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
৮২০ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে মাদক ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ১৪
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১৪ জনকে আটক করেছে।
সোমবার (৩ জুলাই) রাত থেকে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল পর্যন্ত উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০
এ সময় হৃদয় হাসান নামে এক যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং অন্যান্য আহতদের স্থানয়ি বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জয়নাল এবং শমসের গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। তাদের মধ্যে প্রায় সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। সোমবার রাতে দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। দফায় দফায় এ সংঘর্ষ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চলে।
এ সময় খাবার হোটেল বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে হৃদয় নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ মঙ্গলবার সকালে চনপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবির হোসেন বলেন, দুইদিন ধরে চনপাড়া উত্তপ্ত ছিল। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মধ্য রাত থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ জনকে আটক করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি অস্ত্র ব্যবহারকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
৮৮৫ দিন আগে
মাদক ব্যবসা: গাজীপুরে ৭ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
সাত বছর পর মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) মধ্যরাতে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, ৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার আব্দুল আহাদ ওরফে লিমন ওরফে ভিপি লিমন (৩৪) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
র্যাব-২ এর সিনিয়র অতিরিক্ত পরিচালক (মিডিয়া) মো. ফজলুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল মধ্যরাত ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে কাশিমপুরে অভিযান চালিয়ে লিমনকে গ্রেপ্তার করে।
২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর লিমনকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা করা হয়।
ফজলুল বলেন, তিনি দুই বছর কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান। এরপর তিনি তার পরিচয় জাল করে অবৈধ ওষুধ বিক্রি করতে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, লিমনের সহযোগীদের ধরার চেষ্টা চলছে। তাকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাদক ব্যবসা: ঢাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত ১
কুষ্টিয়ায় ৩ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
১০৪৩ দিন আগে
মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় নারী কাউন্সিলরের ওপর হামলার অভিযোগ
মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় শেরপুর পৌরসভার এক নারী কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে মারধোর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শহরের দিঘারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত নাজমা বেগম (৪৫) শেরপুর পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর (৭-৮-৯ নং ওয়ার্ড)। তিনি সাবেক কাউন্সিলর হারুন-অর রশিদের মেয়ে।
জানা যায়, গুরুতর আহত অবস্থায় কাউন্সিলর নাজমাকে ২৫০ শয্যার শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোবিন্দগঞ্জে হামলার ৬ষ্ঠ বার্ষিকী, তীর-ধনুক নিয়ে সাঁওতালদের শোক র্যালি
আহত নারী কাউন্সিলরের বাবা হারুন-অর রশিদ বলেন, ‘শহরের দিঘারপাড় মহল্লার টেপু মিয়ার ছেলে শহীদ ও রফিকুলসহ ওই পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে মাদক বেচাকেনা করে আসছে। কাউন্সিলর নাজমা এ ব্যাপারে তাদের বেশ কয়েকবার সতর্ক করেন। এতে ক্ষেপে যায় মাদক বিক্রেতারা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে এলাকায় পুলিশ আসে। এসময় মাদক বিক্রেতারা মনে করেন নাজমা পুলিশ এনেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শহীদ ও রফিকুল সহ তাদের স্বজনরা লাঠিসোটা নিয়ে নাজমার বাড়িতে হামলা করে। এসময় প্রাণভয়ে বাড়ির লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে নাজমাকে একা পেয়ে মারধোর করে অভিযুক্তরা। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।’
আহত নারী কাউন্সিলর বলেন, ‘আমাকে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের মারধোরে আমার কোন জ্ঞান ছিল না।’
তবে অভিযুক্ত শহীদ ও রফিকুল তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন বলেন, ‘এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা নাজমার বাড়িতে হামলা করে তাকে মারধোর করেছে।
তিনি বলেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আমরা রবিবার মানববন্ধন করবো।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. হান্নান মিয়া বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় ৫ জনের কারাদণ্ড
১১২০ দিন আগে
মাদক ব্যবসা: ঢাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত ১
ঢাকার হাইকোর্ট এলাকায় শনিবার মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত এবং অপর একজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের নাম মো. সুমন (৩৮) এবং আহত রকি (৩৫)।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মইনুল হোসেন জানান, শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হাইকোর্ট এলাকার ঈদগাহ গেটের সামনে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, আটক ১
একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন সুমন ও রকিকে ছুরিকাঘাত করলে তারা গুরুতর আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই জানান, গুরুতর জখম নিয়ে আহত রকি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
১২১৬ দিন আগে