ভিয়েতনাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ
ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরকারি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই থান সন ব্রাসেলসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন।
ব্রাসেলজে চলমান তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্ট্রিয়াল ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে বৃহস্পতিবার(১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনাম,বেলজিয়াম, চেক ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ড. হাছানের বৈঠক
ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বন্ধুত্বপূর্ণ ৫০ বছরের সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসানকে শিগগিরই ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে শুক্রবার জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং: সাংবাদিকতার আড়ালে আবারও গণমাধ্যমের স্বীকৃতির অপব্যবহার
বাংলাদেশে ভিয়েতনামের বিনিয়োগ চান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শুক্রবার (২২ সেপ্টম্বর) দুপুরে সফররত ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট ভুয়ং দিন হুয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জাকার্তায় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আইওআরএ সেক্রেটারি জেনারেলের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান।
বাংলাদেশে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ও ভিয়েতনামে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সফরের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দু দেশের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে । রাষ্ট্রপতি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিকসসহ বিশ্বমানের পণ্য আমদানি করতে ভিয়েতনামের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়লগ পার্টনার হতে বাংলাদেশের প্রতি ভিয়েতনামের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আশা করেন, রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক স্বদেশ প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনাম বড় ভূমিকা পালন করবে।
সাক্ষাৎকালে ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট ভুয়ং দিন হুয়ে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে গভীরভাবে আগ্রহী তার দেশ।
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে তার দেশ সহযোগিতা দিয়ে যাবে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া , সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম , প্রেস সচিব জয়নাল আবেদন, সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান ও ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর বিদায়ী সাক্ষাৎ
১২ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের দেশের ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশে ভিয়েতনামের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত নগুইন মান কুওং বঙ্গভবনে তার কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার সময় রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
ভিয়েতনামের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ককে দুই দেশের বন্ধুত্বের মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেন।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: রাষ্ট্রপতি
তিনি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক সফর বিনিময়ের ওপর জোর দেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, তৈরি পোশাক, চামড়া ও সিরামিকসহ বিশ্বমানের পণ্য কিনতে পারে।
প্রেস সচিব বলেন, ভিয়েতনামের নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং এখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে তিনি রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়ুয়া ও সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা জোরদার করুন: দুদকের প্রতি রাষ্ট্রপতি
ভিয়েতনামের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েনের সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে মুক্তির জন্য বিজয় সংগ্রামের মতো অনেক অভিন্ন ইস্যু রয়েছে।
পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে তাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষ স্লোগান দিত ‘বাংলা হবে ভিয়েতনাম’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ ভিয়েতনামের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রশংসা করেছিল।
কৃষি খাতের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ এবং এখানে বিপুল জনসংখ্যা রয়েছে, তাই কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গবেষকদের নিয়োজিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতকে তার মেয়াদ সফলভাবে শেষ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতকে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে তার দেশের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন নিজেকে বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
আরও পড়ুন: বহুমুখী সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ভিয়েতনাম সরকার ছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক রয়েছে।
ভিয়েতনামের নেতার পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে বাণিজ্য এক দশমিক পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রপ্তানি ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নূরে আলম সিদ্দিকীর অবদান পরবর্তী প্রজন্ম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম সরাসরি ফ্লাইট চালু ডিসেম্বরে
বাংলাদেশের সঙ্গে ভিয়েতনামের সরাসরি ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে ভিয়েতজেট এয়ার। আগামী ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে হ্যানয়-ঢাকা-হ্যানয় রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে ভিয়েতনামের এই উড়োজাহাজ সংস্থা। শুরুতে চার্টার্ড ফ্লাইট দিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও যাত্রী চাহিদার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে নিয়মিত ফ্লাইট শুরুর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য সাশ্রয়ী ভিসা প্রসেসিংসহ নানা ধরনের ভ্রমণ প্যাকেজও ঘোষণা করেছে ভিয়েতনামের ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান ভিক্টোরিয়া ট্যুর।
সোমবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে অনাড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান ভিক্টোরিয়া ট্যুরের বাংলাদেশের অংশীদার প্রতিষ্ঠান ইনোগ্লোব ট্রাভেল ও ট্যুরস লিমিটেডের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিম আমিন শোভন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম যাওয়া আসায় তৃতীয় দেশ হয়ে যেতে হয়। তাই সময় ও খরচ দুটোই অনেক বেশি লাগছে। সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে সব দিক থেকেই সাশ্রয়ী করা যাবে।
আরও পড়ুন: ইউএস-বাংলার ঢাকা-ব্যাংকক ও চট্টগ্রাম-কলকাতা ফ্লাইট শুরু
অনুষ্ঠানের ভিক্টোরিয়া ট্যুর ভিয়েতনামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোং ভ্যান চিয়েন ভিক্টর বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম দুই দেশই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গেছে। আকাশপথে সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
বাংলাদেশের পর্যটন খাতের সম্ভাবনা তুলে ধরে ভিক্টর বলেন, এ দেশের প্রকৃতি, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও বন্ধুসুলভ আতিথেয়তা পর্যটনশিল্পের বড় সম্পদ। ভবিষ্যতে দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারে পর্যটন খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি মত দেন।
তাসলিম আমিন শোভন বলেন, পর্যটনশিল্প ও বিমান যোগাযোগ খাতের উন্নয়নে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার বড় সুযোগ রয়েছে। সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে তা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে বাণিজ্য প্রসারের পাশাপাশি দুদেশের জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সদস্য ও টোয়াবের সাবেক সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান, আটাবে'র সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরেফ, সায়মন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আটাবের সহ-সভাপতি আফসিয়া জান্নাত সালেহসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় পর্যটন উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীরা।
আরও পড়ুন: ৩১ অক্টোবর থেকে ঢাকা-মালদ্বীপ ফ্লাইট চালু করবে ইউএস-বাংলা
ঢাকা-গুয়াংজু রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনামের সহযোগিতার আহ্বান ঢাকার
মিয়ানমারের ওপর বন্ধুত্বপূর্ণ প্রভাব প্রয়োগ করে তাদের নাগরিকদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই থান সোনের সাথে বৈঠকে এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে ড. মোমেন বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ভিয়েতনামকে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানান। বিশেষ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল, কৃষি ও আইসিটির মতো অগ্রাধিকার খাতে ভিয়েতনামকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য নিয়মিতভাবে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ড. মোমেন আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার (এসডিপি) হিসেবে বাংলাদেশের প্রার্থীতার পক্ষে ভিয়েতনামের সমর্থনও প্রত্যাশা করেন।
উল্লেখ্য, ড. মোমেন ২৯তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে বর্তমানে কম্বোডিয়া সফরে রয়েছেন।
পড়ুন: চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দরের সুবিধা নিতে পারে নেপাল: প্রধানমন্ত্রী
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ-তুর্কিয়ে বিজনেস ফোরাম গঠিত
বাংলাদেশের সাথে সরাসরি ফ্লাইট চালুতে আগ্রহী ভিয়েতনাম
পর্যটক ও দুই দেশের জনগণের যাতায়াতের সুবিধার্থে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে হ্যানয়-ঢাকা-হ্যানয় রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভিয়েতনাম।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী সাথে সাক্ষাতকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চেইন এই আগ্রহের কথা জানান।
আরও পড়ুন: মানুষে-মানুষে বন্ধন বাড়িয়ে তুলতে পারে শিল্প: ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত
মুক্তির সংগ্রামে ভিয়েতনামের জনগণের প্রতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমর্থনে কৃতজ্ঞতার স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম দুটি দেশেই মুক্তির জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়েছে। আকাশ পথে সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলে এই দুই বন্ধু প্রতীম দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।’
ফাম ভিয়েত চেইন বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রকৃতি, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও বন্ধুসুলভ জনগণ বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বড় সম্পদ। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হওয়ার সকল সম্ভাবনা বাংলাদেশের রয়েছে। ভবিষ্যতে দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্নয়নে পর্যটন ও সিভিল এভিয়েশন খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: করোনা: বাংলাদেশকে ভিয়েতনামের মেডিকেল সামগ্রী উপহার
প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, পর্যটন শিল্প ও এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে দুই দেশের একসাথে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে তা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সংযোগ হিসেবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মাঝে বাণিজ্য বৃদ্ধি চান প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। পর্যটন শিল্পের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কক্সবাজারে ঘুমদুম পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালসহ নানা ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে যা পর্যটন শিল্পের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। দেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজারে অবস্থিত বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। ফলে ভিয়েতনামের পর্যটকদের বিশ্বের যেকোন দেশ থেকে পর্যটকেরা সরাসরি কক্সবাজার আসতে পারবেন।
ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্য একই: রাষ্ট্রদূত ভিয়েত চিয়েন
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন বলেছেন, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দুর্দান্ত এবং উভয় দেশ পারস্পরিক সহযোগিতা ও ভবিষ্যতে একই ধরনের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
ভিয়েতনামে টাইফুন ও ভূমিধসে নিহত ৩৫
কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন মোলাভের প্রভাবে ভিয়েতনামে ভূমিধস ও ট্রলারডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত এবং ৫৯ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
ভিয়েতনামে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১০৫
ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১০৫ জন মারা গেছেন এবং ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।