মা-ছেলে
ফেনীতে ট্রেনের ধাক্কায় মা-ছেলের মৃত্যু
ফেনীতে ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। সিগন্যাল না মেনে অটোরিকশাটি রেললাইনে উঠে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ জুন) রাতে ফেনী শহরের গোডাউন কোয়ার্টার রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের হাফেজুল ইসলাম (৪০) ও তার মা ফাতেমাতুজ্জোহরা (৬৩)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেনী রেলস্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছালে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিগন্যাল অমান্য করে রেললাইনে উঠে পড়ে। এ সময় ট্রেনটি এসে অটোরিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে সেটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে অটোরিকশায় থাকা দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
প্রায় সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাদের ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাফেজুল ইসলামকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢামেকে নেওয়ার পথে ফাতেমাতুজ্জোহরাও মারা যান বলে জানান তাদের আত্মীয় মাসুম বিল্লাহ।
প্রত্যক্ষদর্শী দিদারুল ইসলাম বলেন, ‘অটোরিকশাটি হাসপাতাল থেকে ট্রাংক রোডের দিকে যাচ্ছিল। সিগন্যাল অমান্য করে রেললাইনে উঠলে ট্রেন এসে ধাক্কা দেয়।’
তিনি আরও জানান, অটোরিকশায় চালকসহ পাঁচজন ছিলেন। দুর্ঘটনার মুহূর্তে তিনজন নেমে পড়ায় তারা রক্ষা পান।
ফেনী রেলস্টেশন মাস্টার মো. হারুন জানান, চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেনীর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের আগমুহূর্তে, সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে দুর্ঘটনার পরও রেল চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
এ বিষয়ে ফেনী রেলস্টেশনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন বলেন, ‘নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লাকসাম জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’
১৫৯ দিন আগে
গরু বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-ছেলে নিহত
লালমনিহাট জেলা কালীগঞ্জ উপজেলার হাড়িখাওয়া গ্রামে গরু বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কমলা বেগম (৫৫) ও তার ছেলে জামাল হোসেন (৩৩) নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৭ মে) সকালে গোড়ল ইউনিয়নের দুলালী হাড়িখাওয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ২৫ বছর পর সিরিয়ান নেতার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠক
স্থানীয়রা জানান, গোয়াল ঘরে চার্জে রাখা অটোরিকশায় প্রথমে জামাল হোসেন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে পরে থাকেন। বিষয়টি তার মা কমলা বেগম দেখে তাকে বাঁচাতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। পরে ঘটনাস্থলেই দুজনে মারা যান।
কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক বলেন, ‘পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
২০২ দিন আগে
চাঁদপুরে পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে মা-ছেলেসহ নিহত ৩
চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ও বালিয়া ইউনিয়নে পৃথক দুটি ঘটনায় পুকুরের পানিতে ডুবে মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন— চান্দ্রা ইউনিয়নের খাদিজা আক্তার (৩০) ও তার ছেলে আবু বকর (৭) এবং বালিয়া ইউনিয়নের শিশু মাকসুদা (২)।
নিহত খাদিজা স্বজনরা জানান, গতকাল স্বামী লোকমানসহ দুই ছেলেকে নিয়ে চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। তারা ঢাকায় থাকেন, আজই (বুধবার) তাদের ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
স্বজনরা জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে দুই ছেলেকে নিয়ে খাদিজা গোসল করতে নামেন তাদের বাড়ির পুকুরে। তারা কেউই সাঁতার জানতেন না।
পুকুরে নামার পড়ে দুই ছেলেই পানিতে তলিয়ে গেলে মা বড় ছেলেকে উদ্ধার করে। পরে ছোট ছেলে আবু বকরকে উদ্ধার করতে খাদিজা আবার ডুব দিলে দুজনেই পানিতে তলিয়ে যান। পরে বাড়ির লোকজন তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বিল্লাল রহমান তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
অন্যদিকে, সদর উপজেলার উত্তর বালিয়া গ্রামে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিবারের লোকদের অগোচরে পুকুরের পানিতে ডুবে মাকসুদা নামে আরেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ওসি মো. বাহার মিয়া ইউএনবিকে জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
২৪০ দিন আগে
ঝিনাইদহে ট্রাকচাপায় মা-ছেলে নিহত
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ট্রাক চাপায় নিহত হয়েছেন ইজিবাইক আরোহী মা ও ছেলে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের শৈলকুপা উপজেলার চাঁদপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ আরাপপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মৃত্যুঞ্জন শিকারী।
নিহতরা হলেন— উপজেলার শিতালীপাড়ার রিপা খাতুন (২৬) ও তার ছেলে সোয়াদ হোসেন (৬)।
স্থানীয়রা জানান, মামাবাড়ি থেকে ইজিবাইক যোগে নিজ বাড়ি শিতালীপাড়া যাচ্ছিলেন রিপা ও তার ছেলে। ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের চাঁদপুর নামক স্থানে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের ইজিবাইকটিকে চাপা দিলে তারা রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর সড়ক দুর্ঘটনায় মাছ ব্যবসায়ী নিহত
ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিপাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরে আহত সোয়াদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যার পর তিনিও মারা যান বলে জানান চিকিৎসকরা।
এদিকে ওসি মৃত্যুঞ্জন শিকারী জানান, ঘাতক ওই ট্রাকের চালক পালিয়ে গেছেন। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।
রাতেই পরিবারের কাছে নিহতদের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
২৪১ দিন আগে
হাসপাতালে যাওয়ার পথে বাসচাপায় নিহত মা-ছেলে
লক্ষ্মীপুরে বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে বাসের চাপায় অটোরিকশার যাত্রী জুথী আক্তার ও তার দেড় বছর বয়সী ছেলে সিয়াম নিহত হয়েছে। এ সময় ওই নারীর স্বামীসহ আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের কাচারিবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আজ (শনিবার) সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. অরুপ পাল ও নিহত জুথীর বাবা রহমত উল্যাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জুথী ইউনিয়নের জব্বার মাস্টারহাট এলাকার কুয়েত প্রবাসী শরীফের স্ত্রী এবং নিহত দেড় বছর বয়সী সিয়াম তাদের ছেলে।
আহতরা হলেন— শরীফ, তার ভাগিনা রাজা মিয়া এবং ওই অটোরিকশার চালক। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীসহ নিহত ২
রহমত উল্যা বলেন, ‘গভীর রাতে বুকে ব্যথা ওঠায় জুথীকে অটোরিকশায় করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। রিকশাটি কাচারিবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে শাহী পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দিলে চালক ও যাত্রীদের সবাই আহত হন। তাদের সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জুথীকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হলে পথে সিয়াম মারা যায়। মেয়ে ও নাতির লাশ বাড়িতে নিয়ে এসেছি।’
ডা. অরুপ পাল বলেন, ‘হাসপাতালে পাঁচজনকে আনা হয়। এর মধ্যে একজন আনার আগে ও ঢাকা নেওয়ার পথে আরেকজন নিহত হন। আহতদের ঢাকা পাঠানো হয়েছে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, ‘এ বিষয়ে মামলা ও বাসের চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।’
২৫১ দিন আগে
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের হাতে মা-ছেলে আটক, পরে ফেরত
ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকালে এক নারী ও তার ছেলেকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে ওইদিন রাতেই পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়নের পশ্চিম ভবানীপুর সীমান্তের শূন্য রেখায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের পর তাদের ফেরত দেওয়া হয়।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়নের চান্দেরহাট সীমান্তের ৩৩৩/২ এস পিলার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন— জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের নিরলা রায় (৪৪) ও তার ছেলে আকাশ রায় (২২)।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড় সীমান্তে অনুপ্রবেশকালে নারী-শিশুসহ আটক ৮
বিজিবি জানায়, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকালে মা-ছেলে আটক হয়। বিষয়টি জানার পর তাদের ফেরত চায় বিজিবি। পরে সন্ধ্যায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের পর রাতে তাদের ফেরত দেয় বিএসএফ।
পতাকা বৈঠকে চান্দেরহাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মনিরউদ্দীন এবং বিএসএফের পক্ষে পরিদর্শক শরৎ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মা ও ছেলেকে থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি। সেইসঙ্গে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে তাদের নামে থানায় মামলা করেছে বিজিবি।’
৩১৩ দিন আগে
হবিগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-ছেলের মৃত্যু
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে পৌরসভার গয়াহরি গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর প্রানেশ দেবের মা অনিমা রানী দেব ও ছেলে নিপেশ চন্দ্র দেব।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট-দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে অনিমা বাথরুমে গোসল করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ সময় মাকে বাঁচাতে নিপেশ এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
পরে অচেতন অবস্থায় মা ও ছেলেকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু
৩৮২ দিন আগে
কোম্পানীগঞ্জে ট্রাকচাপায় অটোরিকশাযাত্রী মা-ছেলে নিহত
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- স্মৃতি আক্তার (২৫) ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ (৭)।
এছাড়া স্মৃতি আক্তারের স্বামী দেলোয়ার হোসেন এবং ওই অটোরিকশার চালক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা, চালকের সহকারী নিহত
রবিবার (৩০ জুন) বিকাল ৪টার দিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের খাগাইলে পেট্রল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত স্মৃতি আক্তার নরসিংদী সদর থানা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী এবং তাদের ৭ বছরের শিশুছেলে আব্দুল্লাহ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, দেলোয়ার হোসেন স্ত্রী স্মৃতি আক্তার ও ছেলেকে নিয়ে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জস্থ পর্যটন স্পট সাদাপাথর বেড়াতে যান। সেখান থেকে অটোরিকশা করে ফেরার পথে খাগাইল এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই স্মৃতি ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ মারা যান। আহত হন দেলোয়ার ও অটোরিকশাচালক। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
রাজশাহীতে সংঘর্ষে ২ বাসের চালক নিহত
৫২৩ দিন আগে
শেরপুরে ল্যাট্রিনের কুয়া থেকে মা-ছেলের লাশ উদ্ধার, স্বামী-শাশুড়িসহ আটক ৩
শেরপুরে নিখোঁজের চারদিন পর ভাড়াবাড়ির ল্যাট্রিনের কুয়া থেকে মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের সিংপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-গৃহবধূ রোকসানা বেগম (৩৫) এবং তার ছেলে রাফিদ (১১)। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী মাসেক আলী ও শাশুড়িসহ তিনজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের নবীনগর পানাইতাপাড়া এলাকার মাদকাসক্ত অটোচালক মাসেক আলী তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে শহরের সিংপাড়া এলাকার বাসেদ মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকেন। বাসেদ মিয়া ঢাকায় চালের ব্যবসা করেন। গত ৪ ডিসেম্বর মাসেকের স্ত্রী রোকসানা বেগম ও বড় ছেলে রাফিদ নিখোঁজ হন। এ নিখোঁজের ঘটনায় রোকসানার বড় বোন সুফিয়া বেগম ৭ ডিসেম্বর শেরপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৫ দিন পর কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
এদিকে, মাসেক মাদকাসক্ত হওয়ায় স্ত্রী-ছেলে নিখোঁজের দুই দিন পর রহস্যজনকভাবে শহরের একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে স্বেচ্ছায় ভর্তি হন। এদিকে, সদর থানা পুলিশ ওই সাধারণ ডায়রির ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে বুধবার মাসেক মিয়াকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে গিয়ে পুলিশ জিজ্ঞেসাবাদ করে এবং বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের সিংপাড়া এলাকার ওই ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালায়। পরে বাড়ির ল্যাট্রিনের কুয়ার ট্যাংকি থেকে পুলিশ মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করে। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মৃত রোকসানার স্বামী মাসেক, শাশুড়িসহ তিনজনকে আটক করে।
পুলিশের সূত্রগুলো জানায়, মাদকের নেশার টাকা নিয়ে ঝগড়ার ফলেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
শেরপুর সদর সার্কেলর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হান্নান মিয়া জানিয়েছেন, মা-ছেলে হত্যাকাণ্ডের পুরো বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে দেখছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত রোকসানা বেগম একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নার্সের কাজ করতেন। তার বাবার বাড়ি শহরের খরমপুর টিক্কাপাড়া মহল্লায়। রোকসানা বেগম তার স্বামী, দুই ছেলে রাফিদ ও অর্নবসহ দীর্ঘদিন যাবত শহরের সিংপাড়া মহল্লার ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহমেদ বাদল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসেক আলী স্ত্রী-পুত্রকে হত্যার কথা স্বীকার করায় মা-ছেলের লাশ ওই ল্যাট্রিনের ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করা হয়। কীভাবে ও কেনো হত্যা করা হয়েছে তা জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলার বাগান থেকে ২ ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গা থেকে পিকআপ চালকের লাশ উদ্ধার, আরেকজন গ্রেপ্তার
১০৯৩ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণে মা-ছেলে আহত
চাঁইনবাবগঞ্জের একট বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণে মা ও ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে। শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে জেলার সদর উপজেলার উদয়ন মোড় জিয়ানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ওই এলাকার মৃত তবজুল হকের স্ত্রী ফাহমিনা বেগম (৫৫) ও তার ছেলে শহিদুল ইসলাম শহিদ(৪২)।
আহত শহিদুল ইসলামের সৎ মা আজেমা বেগম জানান, রাতে ফাহমিনা ও তার ছেলে তাদের ঘরে ছিলেন। এসময় হঠাৎ ঘরের মধ্যে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এর পর স্থানীয়রা ঘরের মধ্যে মা ও ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অটোরিকশা-ভটভটির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
এদিকে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ। চাঁপাইনবাবাগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান জানান, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মা ও ছেলে আহত হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণ জানতে না পারলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ককটেল বানানোর সময় এ ঘটনা ঘটে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: একদিনের ব্যবধানে আবারও ‘চান্দের গাড়ি’ দুর্ঘটনা, আহত ১২
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
১১৩৯ দিন আগে