ঘূর্ণিঝড়
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে ভারতের চেন্নাইয়ে ভারী বৃষ্টিপাত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ভারতের চেন্নাইয়ে ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দক্ষিণে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে এবং পূর্বে ওড়িশার রাজ্য কর্তৃপক্ষ বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ৯০-১০০ কিলোমিটার (৫৬-৬২ মাইল) বেগে দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
আইএমডির প্রধান কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, মঙ্গলবার বিকালে অন্ধ্র প্রদেশের বাপটলার কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে মিগজাউম।
অন্ধ্র প্রদেশে সরকার সোমবার স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এবং তামিলনাড়ুর কর্তৃপক্ষ চার জেলায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওড়িশার পূর্ব রাজ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। মঙ্গলবার বৃষ্টিপাত আরও তীব্র হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩০
হিন্দু সংবাদপত্র জানিয়েছে, কর্মকর্তারা অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের উপকূলীয় এবং নিচু গ্রাম থেকে প্রায় ২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে, আরও ৭ হাজার মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরানোর নির্দেশ দিয়েছে।
তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইতে ভারী বৃষ্টিতে রাস্তা ও গাড়ি ডুবে গেছে এবং শহরের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। ট্রেন ও বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের সদস্যরা শহরের নিচু এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিচ্ছে।
রাজ্য সরকার শনিবার জানিয়েছে, নিজস্ব দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী মোতায়েন করেছে তারা। উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫ হাজার ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিন বলেছেন, রাজ্য কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে প্রস্তুত এবং জনসাধারণকে ঝড়ের প্রভাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে অবস্থান করতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের হরিয়ানায় বিষাক্ত মদ পানে ১৯ জনের মৃত্যু
ভারতে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬, আহত ৪০
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকায় শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) পাহাড়ের পাদদেশের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও জেলা প্রশাসন।
সকাল থেকে আকবর শাহ এক নম্বর, দুই নম্বর, তিন নম্বর ঝিল ও বিজয়নগর, লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় পাহাড় অধ্যুষিত এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দামপাড়া এলাকায় চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগে চালু করা হয়েছে জরুরি কন্ট্রোল রুম।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রাম বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) চসিকের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুর্যোগকাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত কন্ট্রোল রুম থেকে ২৪ ঘণ্টা দুর্যোগকবলিত জনগণের প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হবে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর- ০২৩৩৩৩৫৩৬৪৯।
চসিকের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেই ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিজ নিজ ওয়ার্ডের ঝুকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থানরত জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার বিষয়টি আন্তরিকতার সঙ্গে তদারক করতে নির্দেশ দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, চসিকের সব বিভাগ দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সক্রিয় আছে। এ ছাড়া, মাইকিংসহ ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোক সরিয়ে নিতে রেড ক্রিসেন্টও সহযোগিতা করছে।
আরও পড়ুন: মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি'
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: সন্ধ্যা নাগাদ মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রাম বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিধিলির সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরে দ্বিতীয় সবোর্চ্চ ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব ধরনের পণ্য উঠা-নামা।
বন্দরে অবস্থানরত সব বিদেশি জাহাজের শ্রমিক-কর্মচারীদেরও নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে।
সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত ২২টি জাহাজকে গভীর সমুদ্রে চলে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিধিলি শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আর ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ আজ দুপুর নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরের বৃষ্টিতে ভিজছে ঢাকা
এদিকে পণ্যবাহী জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বন্দরে পণ্যভর্তি কনটেইনার ও যন্ত্রপাতি সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ শুক্রবার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ উপকূল অতিক্রম করবে। আর সন্ধ্যা নাগাদ পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এ সময় উপকূলীয় জেলা, অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
আরও পড়ুন: মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি'
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: সন্ধ্যা নাগাদ মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে
বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে: প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টা দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে।
এটি দেশের ১১টি জেলার ১১টি উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত, সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে 'মিধিলি'।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন শতাধিক পর্যটক
সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত নামাতে বলায় চট্টগ্রাম বন্দর ফের চালু
২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড় হামুন’র আঘাতের আশঙ্কায় সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সচল হওয়ার পর জেটিতে জাহাজ প্রবেশের পাশাপাশি পণ্য ওঠানামাও শুরু হয়েছে। তবে সাগর উত্তাল থাকায় লাইটারেজ জাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। এ কারণে বহির্নোঙ্গরে পণ্য ওঠানামা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ১০টা থেকে জেটি ও ইয়ার্ডে কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় হামুন’র আঘাতের আশঙ্কায় মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘অ্যালার্ট-থ্রি’ জারি করা হয়েছিল। জেটিতে অবস্থানরত সকল জাহাজকে গভীর সাগরে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল।
সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘আমাদের মোট ২২টি জাহাজকে জেটি থেকে চলে যেতে হয়েছিল। এর মধ্যে ১৩টি জাহাজ আবার ফেরত এসেছে। সকাল ১০টা থেকে জোয়ারের মধ্যে পর্যায়ক্রমে জাহাজগুলো ফিরে আসে। বাকি জাহাজগুলো দুপুরের পর জোয়ার শুরু হলে ফিরবে। এ মুহূর্তে বন্দরের কার্যক্রমে কোনো সমস্যা নেই। জেটি ও ইয়ার্ডে পণ্য পরিবহন, ওঠা-নামা স্বাভাবিকভাবে চলছে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' আজ রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড় হামুন। কক্সবাজার এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে রাত ১টার দিকে সেটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়।
বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবার সম্ভাবনা নেই। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মাছ ধরার ট্রলারসহ সকল নৌযানকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরাপদে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সাগর উত্তাল থাকায় লাইটারেজ জাহাজ বন্দরের বহির্নোঙ্গরে গভীর সাগরে যেতে পারছে না বলে জানিয়েছে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল (ডব্লিউটিসি)।
লাইটার জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী মাহবুব রশীদ বলেন, ‘আউটার থেকে মাদার ভ্যাসেলগুলো গভীর সাগরে নিরাপদে অবস্থান নিয়েছিল। সেগুলো ফিরলেও লাইটার জাহাজ আউটারে পাঠানো যাচ্ছে না। সাগর খুব উত্তাল। আশা করছি, সন্ধ্যার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: চট্টগ্রামে প্রস্তুত রয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম
ঘূর্ণিঝড় হামুন: সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত নামানোর নির্দেশ
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে বুধবার (২৫ অক্টোবর) উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুধবার সকালে ঢাকার বাতাস 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর'
‘হামুন’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত, সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার তাণ্ডবে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে দ্রুততার সাথে ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকারের এই উদ্যোগের কথা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিশ্ববাসীর কাছে লিবিয়ার রাষ্ট্রপতির মানবিক সহযোগিতার আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দেশটিতে ঝড়ের আঘাতে এবং সৃষ্ট বন্যায় ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া আরও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৮০০, মারাকেচে ঐতিহাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশের সি-১৩০ এয়ারক্রাফট শিগগিরই ঢাকা থেকে যাত্রা করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে বিভিন্ন ধরণের ঔষধ, শুকনো খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হবে। বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের দুর্গত জনগণের জন্য এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
লিবিয়ার তাবরুক এয়ারপোর্টে লিবিয়া সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো ত্রাণসমূহ গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত ত্রাণ সহায়তা প্রদান করে আসছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় বন্যায় ২ হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা
সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব নেই
ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব নেই সাতক্ষীরার সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায়। এছাড়া রবিবার সকাল থেকে চলছে রোদ আর মেঘের লুকোচুরি।
এদিকে গরম পড়ছে। তবে গত দুই দিনের তুলনায় আজ গরম একটু কম।
এছাড়া মোখা মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকর আলী বলেন, সাতক্ষীরা উপকূলে মোখা তেমন কোনো প্রভাব বিস্তার করতে হয়তো পারবে না। তবে নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হতে পারে।
সুন্দরবনবর্তী মুন্সিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা হযরত আলী বলেন, সকাল থেকে প্রচন্ড রোদ। গরমও পড়ছে। আকাশে মাঝে মাঝে সামান্য মেঘ ভাসতে দেখা যাচ্ছে।
সুন্দরবন ঘেষা গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জানান, সকাল থেকেই রোদ। মোখার কোনো ধরনের প্রভাব এখানে নেই। তবে মানুষের মধ্যে মোখা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, মানসিকভাবে সবাই প্রস্তুত রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সাইক্লোন সেন্টারগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। ঝড় বা জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান বলেন, জলোচ্ছ্বাস নিয়ে সব চেয়ে বেশি ভয়। কারণ শ্যানগরের একাধিক পয়েন্ট-এ বেড়িবাঁধের অবস্থা নাজুক। নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে অনেক এলাকা ভেসে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, মোখা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলো সংস্কার করার চেষ্টা চলছে।
বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকায় মানুষকে সর্তক করা হয়েছে। খাদ্য, ওষুধপত্র মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানতে শুরু করায় ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: রাঙ্গামাটিতে জরুরি সতর্কতা জারি, কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় মোখা: রাঙ্গামাটিতে জরুরি সতর্কতা জারি, কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচল বন্ধ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের আশঙ্কায় পাহাড়ের ঢালে ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকজনকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়ে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
এছাড়া, শনিবার (১৩ মে) বিকাল ৪টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
শনিবার জারি করা এক জরুরি গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ৩ পার্বত্য জেলায় ভূমিধসের আশঙ্কা
বিজ্ঞপ্তিতে অতিপ্রবল এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মানুষের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি সর্বসাধারণকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া আসন্ন মোখার আঘাত থেকে সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাঙ্গামাটিতে কর্মরত সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটিসহ সকল ছুটি বাতিল করা বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় রাঙ্গামাটিতে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটিতে দুর্যোগমোকাবেলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘনিয়ে আসায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় মোখা: ছয় শিক্ষাবোর্ডের ১৪ ও ১৫ মে’র এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ছয়টি বোর্ডের অধীনে রবিবার ও সোমবারের (১৪ ও ১৫ মে) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
ছয়টি শিক্ষাবোর্ড হলো- চট্টগ্রাম বোর্ড, কুমিল্লা বোর্ড, যশোর বোর্ড, বরিশাল বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ড।
শনিবার বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লিখিত শিক্ষা বোর্ডগুলো ছাড়াও বাকি বোর্ডগুলোর পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
স্থগিত পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি পরে ঘোষণা করা হবে বলে এতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোর রবিবারের পরীক্ষা স্থগিত
ঘূর্ণিঝড় মোখা: পাঁচটি বোর্ডের রবিবারের এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত