কলেজছাত্রী
বগুড়ায় পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
বগুড়ায় পৃথক দুর্ঘটনায় দুই ভাইসহ এক কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া সদরের বুজরুকবাড়িয়া এলাকায় এবং বাইপাস সড়কে এই দুর্ঘটনা দুইটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- জেলার গাবতলী উপজেলার পারানীপাড়া এলাকার সুমনের ছেলে মাইনুর ও বৈঠাভাঙ্গা গ্রামের উজ্জ্বলের ছেলে সিফাত।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত
সম্পর্কে তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই। আর নিহত শাহানা আকতার সোনাতলা সরকারি নাজির আকতার কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার মাইনুর আর সিফাত মোটরসাইকেলে করে বাইপাস সড়কের বড়িয়া বটতলা মোড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে একটি ট্রাক দুধবাহী একটি লরিকে ওভারটেক করার সময় মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায় দুই ভাই। পরে তাদের পিষ্ট করে আরেকটি ট্রাক। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় দুই কিশোর।
বগুড়া সদর থানার নারুলী ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম জানান, নিহত দুই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক ও সহকারি পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কুকুর বাঁচাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
আর কলেজছাত্রী শাহানা বালু বোঝাই ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছেন।
সোনাতলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন জানান, শাহানাকে নিয়ে তার বড় ভাই মোটরসাইকেলে করে কলেজে যাচ্ছিলেন।
চকুড়ি সেতুর কাছে একটি বালু বোঝাই ট্রাকের চাপায় শাহানা আকতার ঘটনাস্থলেই মারা যান। এতে আহত হন তার ভাই।
স্থানীয়রা ট্রাকটি আটক করলেও চালক এবং সহকারী পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে দুর্ঘটনার কবলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বাস
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রী নিহত
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার হাসানপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন।
এই দুর্ঘটনায় মোটর সাইকেলের দুই আরোহী গুরুতর আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধের মৃত্যু
মঙ্গলবার(৯ জানুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় হাসানপুর শহীদ নজরুল সরকারি কলেজের কলেজের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত কলেজছাত্রী সামিয়া আক্তার মিম পার্শ্ববর্তী তিতাস উপজেলার লালপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় হাসানপুর শহীদ নজরুল সরকারি কলেজের সামনে কলেজছাত্রী সামিয়া আক্তার মিমকে দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মিম মারা যায়।
দাউদকান্দি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুনুর জানান, মোটরসাইকেল আরোহী শাফিন সরকার ও আব্দুল করিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজহাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
কুষ্টিয়ায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজছাত্রীর বাড়িতে আগুন
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হুমকি-ধামকির পরে এক কলেজছাত্রীর বাড়িতে সপ্তাহের ব্যবধানে দুইবার আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের বড়ুরিয়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। এতে গোয়ালঘর, তিনটা ষাঁড় ও প্রায় ১৫ লাখ টাকা ক্ষতির প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যশোরে রাতে বিআরটিসির বাসে আগুন
রবিবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, গোয়ালঘর পুড়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া একটা গরু বাঁধা রয়েছে। বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় আগুনের চিহ্ন রয়েছে।
এসময় ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা বলেন, নন্দনালপুর ইউনিয়নের এলংগী গ্রামের ভ্যানচালক বিল্লাল শেখের ছেলে সম্রাট শেখ দীর্ঘদিন ধরে আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে পথেঘাটে বিরক্ত করে আসছে। মাঝেমাঝে বিয়ের জন্য বাড়িতে লোক পাঠায়। কিন্তু আমরা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রায়ই হুমকি দিত। গেল কয়েক বছর ধরে সম্রাট সৌদি আরবে চলে গেছে। সেখান থেকে সম্রাট নিয়মিত ফোনে আমার মেয়েকে হত্যা ও আমার ঘরবাড়ির জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, একপর্যায়ে শনিবার রাত ১টার দিকে আমার গোয়ালঘর, বসতঘরের প্রবেশপথ ও রান্নাঘরে আগুন জ্বলে উঠে। এসময় আমাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। পরে সবাই মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনলেও পুড়ে গেছে গোয়ালঘর, গোয়ালঘরে থাকা দুই মণ রসুনের বীজ, শ্যালোইঞ্জিন ও প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের তিনটা গরু।
আরও পড়ুন: খিলগাঁওয়ে বাসে আগুন, যাত্রী দগ্ধ
কক্সবাজারে কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কক্সবাজার শহরের বৈদ্যঘোনা এলাকায় নিজ বাসা থেকে এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুল শিক্ষিকা, গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার নিয়ে রহস্য!
তন্নী চৌধুরী ওই এলাকার নেপাল চৌধুরীর মেয়ে এবং কক্সবাজার সিটি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, তন্নী বাসায় একা ছিলেন। বাড়ির কাজে তার মা সুভা চৌধুরী বাইরে ছিলেন। বিকালে সুভা একাধিকবার ফোন করেও তন্নীর কোনো সাড়া না পাওয়ায় স্থানীয়দের দেখতে বলেন। পরে স্থানীয়রা ঘরে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমাদের টিম গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
তিরি আরও বলেন, পরে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার করল পিবিআই
তুরস্কে আরও ৪ জনের লাশ উদ্ধার করল বাংলাদেশ সম্মিলিত দল
চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে কলেজছাত্রীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বন্যার পানিতে ডুবে নিপা পালিত (১৮) নামে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৭ আগষ্ট) সকাল ৯টার দিকে উপজেলা চট্টগ্রাম সিটি করপেরেশন (চসিক) এক নম্বর ওয়ার্ড ইসলামিয়াহাট বাদামতল এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢামেকে কলেজছাত্রীর মৃত্যু
নিপা পালিত একই এলাকার উত্তম পালিতের মেয়ে এবং হাটহাজারী সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিপা পালিত পূর্ব থেকে মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
জানা গেছে, সোমবার সকালে কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় বাসার কাছে একটি ড্রেনে পড়ে যান নিপা।
নিপা পালিতের বড় ভাই বাদল পালিতের বরাত দিয়ে হাটহাজারী সরকারি কলেজের প্রভাষক আবু তালেব জানান, নিহত শিক্ষার্থী নিপা পালিত সকালে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় বাসার কাছে একটি ড্রেনে পড়ে যান।
তিনি আরও জানান, তিনি মৃগী রোগী ছিলেন। ড্রেনে পড়ে আর উঠতে পারেনি। সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: আবাসিক হোটেল কক্ষে কলেজছাত্রীর মৃত্যু
রাজশাহীতে প্রকাশ্যে গায়ে আগুন দেয়া কলেজছাত্রীর মৃত্যু
বরিশালে ক্লাসরুমের পলেস্তারা খসে ২ কলেজছাত্রী আহত
বরিশাল সরকারি আলেকান্দা কলেজে ক্লাস চলাকালে পলেস্তারা খসে পড়ে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রবিবার সকাল এই ঘটনা ঘটে।
ছাত্র-শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধীনে ছিল বরিশাল সরকারি কর্মাশিয়াল ইন্সটিটিউট। ১৯৬৪ সালে এই ইন্সটিটিউটের ভবন নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ বছর এই ইন্সটিটিউটটি কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে থাকার পর গত ২০১৬ সালে কলেজটি বরিশাল সরকারি আলেকান্দা কলেজে রূপান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: খুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে সড়ক অবরোধ
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই কলেজ ভবনটিও বেহালদশায় পরিণত হয়। প্রায়শই এই ভবনের বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পরে। এমনকি বৃষ্টির দিনে ভবন থেকে পানি পড়ে। গত রবিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ভবনের ৩০৯ নম্বর রুমে গণিত ক্লাস শুরু হয়। এই ক্লাস চলাকালে পলেস্তার খসে পরে দুই ছাত্রী আহত হয়। এসময় কলেজে হৈ হুল্লোর শুরু হয়।
এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সহযোগী অধ্যাপক (অর্থনীতি) সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘ভবনটি অনেক দিনের পুরাতন। খুবই খারাপ অবস্থা। প্রায় সময় পলেস্তারা খসে পরে। তবে আগে কারও শরীরে পরেনি। এবারই এক ছাত্রীর শরীরে পড়েছে। তবে ওই ছাত্রী তেমন গুরুতর আহত হয়নি। ঘটনাস্থল আমি ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক দেখেছি। এই ভবন ভেঙ্গে এখন নতুন ভবন করা দরকার। না হলে এমন ঘটনা আবারো ঘটতে পারে।’
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে যৌন হয়রানির অভিযোগে ইবির ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে
পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে পাবনা সদর ও সাঁথিয়া উপজেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার পুষ্পপাড়া গ্রামের মৃত মিলন হোসেনের মেয়ে ও পাবনা ইসলামিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মিতু খাতুন (১৮), সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের সামান্যপাড়া গ্রামের চাঁদ আলী মৃধার ছেলে জুয়েল হোসেন (২৫) এবং একই গ্রামের সোহান শেখের ছেলে সুরুজ শেখ (১৮)।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, পাবনা সদর উপজেলার পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের পুষ্পপাড়া বাজারে সাড়ে ১১টার দিকে রাস্তা পার হচ্ছিলেন কলেজছাত্রী মিতু। এ সময় ওমর ট্রাভেলস নামের একটি বাস তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, সাঁথিয়ায় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কুমার দেবনাথ জানান, বেলা ১১টার দিকে ইট বহনকারী একটি ট্রলি কাশিনাথপুর থেকে সাঁথিয়ার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কাশিনাথপুর রেলক্রসিং পার হওয়ার পর শাহজাদপুর ট্রাভেলস নামের একটি যাত্রীবাহী বাস ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই জুয়েল ও সুরুজের মৃত্যু হয়। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। তারা ট্রলি চালক।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জনতা ঘাতক বাস দু'টিকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: পাবনায় ডাক বিভাগের পিকআপের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ২
পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নাটোরে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
নাটোরের সিংড়ায় কলেজছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার রায়ে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। খালাস দেওয়া হয়েছে একজনকে।
বুধবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- সাব্বির আহমেদ, রেজাউল ওরফে রাব্বি, নাজমুল হক, রাজিবুল হাসান, রিপন ও শহিদুল। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- মনিরুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, আতাউল ইসলাম ও রেজাউল করিম। খালাস দেওয়া হয়েছে নাছির নামে একজনকে। একই সঙ্গে সবাইকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করে তা আদায় করে ভূক্তভোগীকে প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান, ২০১২ সালের ১৯ অক্টোবর বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই গ্রামের ওই কলেজ ছাত্রীকে কৌশলে পাশের সিংড়া উপজেলার কলম মির্জাপুর গ্রামে নিয়ে যায় সাব্বির আহমেদ। সারাদিন ঘোরার পর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে মির্জাপুর ঈদগাহ মাঠে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় তাকে।
নাটোরে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
আরও পড়ুন: যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কেন অসাংবিধানিক নয়: হাইকোর্ট
সিলেটে মা-বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটে কলেজছাত্রী সোনিয়া হত্যা: ফের রিমান্ডে সজিব
সিলেটে সোনিয়া আক্তার (২১) নামের এক তরুণী হত্যাকাণ্ডের পর এক সপ্তাহ চলে গেলেও প্রকৃত রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি।
এ ঘটনায় সোনিয়ার মামাতো ভাই মূল অভিযুক্ত মো. সজিবকে (২৯) প্রথম দফায় তিন দিনের রিমান্ডে নিলেও পুলিশের কাছে তিনি মুখ খোলেননি। ফলে তাকে আরও দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষ হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সিলেট মহানগরের শেখঘাট খুলিয়াটুলা আবাসিক এলাকার নীলিমা-১৪ নম্বর বাসা থেকে সোনিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার শীতলজুড়া গ্রামের বিল্লাল আহমদের মেয়ে ও দক্ষিণ সুরমার নুরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী। তিনি তার মা ও সৎ বাবার সঙ্গে ওই বাসার ৪র্থ তলায় থাকতেন।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে প্রেম, ভারতীয় তরুণী সিলেটে
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের আগে সোনিয়াদের বাসায় রাত্রিযাপন করেন তার মামাতো ভাই সজিব।
সজিব হবিগঞ্জ জেলার আজমেরীগঞ্জ উপজেলার শরীফনগর গ্রামের মো. নুরুদ্দিনের ছেলে।
১২ ফেব্রুয়ারি সকালে সোনিয়ার সৎ বাবা সেলিম মিয়ার অসুস্থতার কারণে তাকে নিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যরা হাসপাতালে চলে যান। পরে দুপুর ১২টার বাসায় ফিরে সোনিয়ার শয়নকক্ষে গিয়ে তার গলাকাটা লাশ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা।
প্রথম থেকেই সোনিয়ার পরিবারের দাবি ছিলো এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সজিব জড়িত। ঘটনার পর থেকে সজিব গা ঢাকা দেয়ায় সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়।
সোনিয়ার ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণলঙ্কারও খোয়া গেছে বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি র্যাবও তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে র্যাব প্রযুক্তির সহায়তায় সজিবের অবস্থান শনাক্ত করে এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানাধীন সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সিলেট
র্যাব জানায়, প্রায়ই সোনিয়াদের বাসায় আসতেন সজিব। খুনের ঘটনার আগে তিনি তার গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসার কথা বলে সাতদিন যাবৎ সোনিয়াদের বাসায় অবস্থান করেছিলেন।
ঘটনার আগের দিন (১১ ফেব্রুয়ারি) সোনিয়া চাকরির সন্ধানে সজিবকে নিয়ে বিয়ানীবাজার যান। ওইদিন বিয়ানীবাজার থেকে ফেরার পথে সিলেট শহরের শেখঘাটে সোনিয়ার অসুস্থ খালাকে দেখে তারা রাত ১২টার দিকে বাসায় ফিরেন।
ঘটনার দিন সকালে সোনিয়ার সৎ বাবা অসুস্থ হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে যান তাকে।
পরে হাসপাতাল হতে সোনিয়ার মা দুপুর ১২ টার দিকে বাসায় ফিরে সোনিয়ার শোবার ঘরে ঢুকে বিছানায় তার রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। সোনিয়ার লাশের গলার বাম পাশে গভীর এবং ডান হাতের কব্জির রগ কাটা পাওয়া যায়।
পুলিশ এসময় তল্লাশি করে সোনিয়ার খাটের তোষকের নিচ থেকে ধারালো রক্তমাখা একটি কাঁচি উদ্ধার করে।
এদিকে, গ্রেপ্তার সজিবকে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
পরে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, রিমান্ডের প্রথম দিন (১৬ ফেব্রুয়ারি) সজিবকে নিয়ে সোনিয়াদের বাড়িতে যায় পুলিশ এবং তার দেখিয়ে দেয়া স্থান থেকে বালতিতে রাখা রক্তমাখা জামা উদ্ধার করে। জামায় দুজনেরই রক্ত আছে কি না তা পরীক্ষার জন্য পুলিশ জামা ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কলেজছাত্রী সোনিয়া হত্যা: মামাতো ভাই গ্রেপ্তার
সূত্রটি আরও জানায়, প্রথম দফা রিমান্ডে নেয়ার পর পুলিশের কাছে সজিব স্বীকারোক্তি দিলেও শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে তুললে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী না দেয়ায় পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও দুই দিনের রিমান্ডে দেন আদালত।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় দফা রিমান্ডের প্রথম দিন। দুই দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার সজিবকে ফের আদালতে তোলা হবে।
সিলেটে কলেজছাত্রী সোনিয়া হত্যা: মামাতো ভাই গ্রেপ্তার
সিলেটে কলেজেছাত্রী সোনিয়া বেগম (২১) হত্যা মামলার একমাত্র আসামি সজিব আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত সজিব আহমদ হবিগঞ্জের আজমেরীগঞ্জ উপজেলার শরীফনগর গ্রামের নুরুদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান র্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. মোমিনুল হক।
আরও পড়ুন: সিলেটে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
তিনি জানান, গত রবিবার দুপুরে সিলেট মহানগরের শেখঘাট খুলিয়াটুলা আবাসিক এলাকার নীলিমা-১৪ নম্বর বাসা থেকে সোনিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কলাছড়া গ্রামের বিল্লাল আহমদের মেয়ে ও দক্ষিণ সুরমার নুরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী। তিনি তার মা ও সৎ বাবার সঙ্গে ওই বাসার চতুর্থ তলায় থাকতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের আগের রাতে সোনিয়াদের বাসায় রাত্রিযাপন করে তার মামাতো ভাই সজিব আহমদ। রবিবার সকালে সোনিয়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নাস্তা করেন। এরপর পরিবারের অন্য সদস্যরা সোনিয়ার সৎ বাবা সেলিম মিয়াকে দেখতে হাসপাতালে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর সজিবও বাসা থেকে বের হয়ে যান।
দুপুর ১২টার দিকে সাড়া শব্দ না পেয়ে সোনিয়ার ভাবি তাকে ডাকতে যান। রুমে ঢুকে তিনি সোনিয়ার গলাকাটা লাশ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ লাশের পাশ থেকে কাপড় কাটার একটি রক্তমাখা কাঁচি জব্দ করে।
সোনিয়ার পরিবারের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সজিব জড়িত। ঘটনার পর থেকে সজিব গা ঢাকা দেয়ায় সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়।
এছাড়া সোনিয়ার ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণলঙ্কারও খোয়া গেছে বলে দাবি করছেন পরিবারের সদস্যরা।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার দুপুরেই নিহত সোনিয়ার বড় ভাই পারভেজ আহমদ বাদী হয়ে সজিবকে প্রধান আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাস-প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
ফেসবুকে প্রেম, ভারতীয় তরুণী সিলেটে