আইসিটি
পানগাঁও আইসিটিকে মুখ থুবড়ে পড়তে যাবে না: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সবকিছু সম্ভাব্যতা যাচাই করে পানগাঁও ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল (আইসিটি) নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পানগাঁও আইসিটিকে মুখ থুবড়ে পড়তে দেওয়া যাবে না। এখানে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘পানগাঁও ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনালের’ বিদ্যমান সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে সরাসরি চলবে জাহাজ : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তবু সফল হওয়া কোনো বিষয় না। যারা এখানে উপস্থিত আছেন তারা একটু সিরিয়াস হলে এটি করা সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আরও বিজনেস কমিউনিটির সঙ্গে কথা বলব। এখানে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। অ্যাডজাস্ট করতে হবে। লজিস্টিক সাপোর্ট ইজি করে দিতে হবে। সবার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করতে হবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন- মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান ড. এম মতিউর রহমান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফাসহ কাস্টমস, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন, কন্টেইনার শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ কন্টেইনার অপারেটরের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: নদীতে সেতুর কম পিলার চান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় রয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
আবারও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা হলেন জয়
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা (বিনা বেতনে) হিসেবে পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস ইউএনবিকে জানান, রবিবার (২১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকীর সই করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এরপর ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পদত্যাগ করেন তিনি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর আরও ছয়জন উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি শেখ হাসিনার ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠনের দিন তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ে শেখ হাসিনাকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
তারা হলেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
কামাল আবদুল নাসের ছাড়া বাকি পাঁচজনও তার আগের মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
আইসিটি খাতে ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে: পলক
আগামী পাঁচ বছরে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে আইসিটি খাতের রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রার কথা জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
তিনি বলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চাই। বাংলাদেশ-ভারতকে উন্নত, সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করার জন্য একযোগে কাজ করতে চাই।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে ১ বিলিয়ন ডলার আমাদের স্টার্টআপে বিনিয়োগ হয়েছে। এর বেশিরভাগই এসেছে আমেরিকা, ভারত ও সিঙ্গাপুর থেকে। আর কিছু অংশ এসেছে জাপান থেকে।
তিনি বলেন, ভারত আমাদের খুব কাছের অকৃত্রিম বন্ধু। ভারতের প্রায় দেড় বিলিয়ন জনগোষ্ঠী। আমাদের একটা পণ্য যদি ভারতে নিতে পারি, তাহলে এটি আমাদের কাছে বিশাল মার্কেট হবে। সেটা হার্ডওয়ার হোক কিংবা সফটওয়ার হোক।
সাইবার জগৎকে নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করবে। এ বিষয়ে আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে দু’দেশের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি হতে পারে বলেও জানান তিনি।
জুনাইদ আহমেদ বলেন, সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে ৫ বছর আগে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল। ভারতের একটি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দল তিন মাস আগে বাংলাদেশ সফরে এলে এ বিষয়ে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করা জরুরি বলে আলোচনা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশ এককভাবে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না। বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবে। নৌপথে, আকাশপথে দুই দেশ যেমন একসঙ্গে কাজ করে, তেমনি সাইবার জগৎ নিরাপদ রাখতে একসঙ্গে কাজ করবে। আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ১২টি হাইটেক পার্ক নির্মাণে লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় ১৯ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে। এসব হাইটেক পার্ক ২০২৫ সালের মধ্যে চালু হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশটি বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে। এতে মানুষের কর্মসংস্থান হবে। রপ্তানি বাড়বে।
আরও পড়ুন: পণ্যের দাম বেশি হলে ৩৩৩ নম্বরে অভিযোগ জানাতে পারবেন: পলক
এছাড়াও ডেটা সেন্টার নির্মাণ, ডাক, টেলিকম ও আইসিটির বেসরকারি খাতে ভারতীয় বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারত স্টার্টআপ সেতুবন্ধন ত্বরান্বিত করতে আরও মনোযোগ দেওয়া হবে। বিপরীতে ডিজিটাল ভারত বিনির্মাণে বাংলাদেশ দেশটির পাশে থাকবে। আর ভারত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানান জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৈঠকের বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, আইসিটি খাতের নানা বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভারত পাশে থাকবে। সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
তিনি বলেন, তরুণদের কীভাবে আরও প্রযুক্তিনির্ভর ও কর্মমুখী করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিজিটাল পেমেন্ট কীভাবে করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গত ১০ বছরের বেশি পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির কারণে দু’দেশের মানুষ উপকৃত হয়েছে। এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে: পলক
বছরের প্রথম ৯ মাসে হুয়াওয়ের মুনাফা বেড়েছে ১৬ শতাংশ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ২০২৩ সালের প্রথম ৯মাসের ব্যবসায়িক ফলাফল ঘোষণা করেছে।
এই সময়ের মধ্যে হুয়াওয়ের আয়ের পরিমাণ ছিল ৪৫৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন চীনা ইউয়ান অর্থাৎ বাংলাদেশি প্রায় ছয় লাখ সাতাশি হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে দুই দশমিক চার শতাংশ বেশি। একই হিসাবে গত বছরের তুলনায় মুনাফা বেড়েছে ১৬ শতাংশ।
এ বিষয়ে হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু বলেন, ‘কোম্পানির পারফরম্যান্স আমাদের পূর্বানুমানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমাদের ওপর আস্থা রেখে সমর্থন জুগিয়ে চলার জন্য আমি আমাদের গ্রাহক ও সহযোগীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, আমরা গবেষণা ও উন্নয়নে (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) আরও বিনিয়োগ বাড়াব। যাতে আমাদের পণ্য ও পরিষেবাগুলোকে আরও বিস্তৃত করতে পারি এবং একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, বরাবরের মতো আমাদের লক্ষ্য হলো আমাদের গ্রাহক, সহযোগী ও সমাজের জন্য আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করা।’
আরও পড়ুন: আগামী বছরেই নেট ৫.৫জি চালু করতে যাচ্ছে হুয়াওয়ে
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের ৪ পুরস্কার অর্জন
৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
আগামী বছরেই নেট ৫.৫জি চালু করতে যাচ্ছে হুয়াওয়ে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ২০২৪ সালে নেট ৫.৫জি সল্যুশন্স চালু করার পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে। আল্ট্রা-ব্রডব্যান্ড অ্যাপ্লিকেশননির্ভর ৫.৫জি যুগে টেলিকম ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধিতে হুয়াওয়ের এই পরিকল্পনাটি সাহায্য করবে।
একটি পরিপূর্ণ নেট ৫.৫জি সল্যুশনস ১০ জিবিপিএস সংযোগ, অ্যাডাপ্টেবল আল্ট্রা-ব্রডব্যান্ড ট্রান্সপোর্ট এবং স্বয়ংক্রিয় নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন নিশ্চিত করে। এর ফলে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার পরিধি ত্বরান্বিত হবে। হোম ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ব্রডব্যান্ডকে ১০ জিবিপিএসে আপগ্রেড করার পাশাপাশি আইপি ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্কটি একটি ৪০০জিই কনভার্জড মেট্রো নেটওয়ার্ক এবং ব্যাকবোন নেটওয়ার্কে রূপান্তরিত হবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের ৪ পুরস্কার অর্জন
এ বিষয়ে হুয়াওয়ের ডেটা কমিউনিকেশন প্রোডাক্ট লাইনের প্রেসিডেন্ট লিওন ওয়াং বলেন, “৫.৫জি এর যুগে ‘গ্লাস-ফ্রি থ্রিডি, হাউজ ওয়াইড ইন্টেলিজেন্স, আল্ট্রা-এইচডি ভিডিও কনফারেন্সিং এবং কম্পিউটিং সার্ভিসেস’- এর মতো নতুন আল্ট্রা ব্রডব্যান্ড অ্যাপ্লিকেশনগুলো একের পর এক আসতে থাকবে। এর ফলে হোম ব্রডব্যান্ড, মোবাইল ব্রডব্যান্ড, এন্টারপ্রাইজ ক্যাম্পাস এবং এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লাইনে ১০ জিবিপিএস গতি প্রয়োজন হবে। বিনিময়ে, এটি সরবরাহকারীদের জন্য নতুন ব্যবসায়ের সুযোগ তৈরি করবে। সর্বব্যাপী ১০ জিবিপিএস এর সংযোগ, ইলাস্টিক আল্ট্রা-ব্রডব্যান্ড পরিবহন এবং স্বায়ত্তশাসিত নেটওয়ার্ক সেল্ফ-অপ্টিমাইজেশনে সহযোগিতা করার মাধ্যমে নেট ৫.৫জি সরবরাহকারীদের জন্য নতুন ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির পথ খুলে দিবে।”
প্রতিষ্ঠানগুলো নেটওয়ার্ক স্লাইসিং’ এর মতো নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের আইপি ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্কগুলোকে আপগ্রেড করতে পারবে এবং নতুন-নতুন সেবা দিতে পারবে যেগুলোর ক্ষেত্রে ১০ জিবিপিএস-এর থেকেও বেশি গতি দরকার হয়। সপ্তম প্রজন্মের ওয়াই-ফাই ৭ হাই-ডেনসিটি সুবিধা, দারুণ ভিডিও অভিজ্ঞতা এবং ক্লাউডভিত্তিক ব্যবস্থাপনার মতো নতুন নতুন সক্ষমতা ব্যবহার করে সরবরাহকারীরা প্রাইভেট লাইনের শীর্ষে পৌঁছে ‘এন্টারপ্রাইজ ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক’ যুক্ত করতে সক্ষম হবে। ফলে, তারা ওয়ান-স্টপ পরিষেবা সরবরাহ করতে পারবে যাতে তারা এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকদের উচ্চ-মানের ১০ জিবিপিএস ওয়্যারলেস সংযোগ, ভিডিও পরিষেবা এবং ওঅ্যান্ডএম পরিষেবার অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: ৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
দেশের ক্লাউড খাতের বিকাশে হুয়াওয়ে ও রেডডট ডিজিটাল
অধিকারের সম্পাদক আদিলুরের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলার রায় পিছিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর
রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত তা পিছিয়ে এ তারিখ ঠিক করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি জুয়েল মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ২৪ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ধার্য করা হয়। মামলায় আদিলুর রহমান ও নাসিরুদ্দিন এলান জামিনে আছেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ভাই হত্যা মামলায় ৫ ভাই-বোনসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার।
এ ঘটনায় একই বছরের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম। পরে জিডিটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ডিবির পরিদর্শক আশরাফুল আলম আদিলুর রহমান ও নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৪ সালে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর
আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী’র জামিন মঞ্জুর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত
আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জেট্রোর প্রেসিডেন্টের বৈঠক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এর প্রেসিডেন্ট কাজুশিজি নবোতানির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২২ জুলাই) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তার দপ্তরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জেট্রোর প্রেসিডেন্টের বৈঠক
বৈঠকে তারা জাপান-বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কীভাবে যৌথভাবে কাজ করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এছাড়াও বৈঠকে জাপানি বেসরকারি খাত ও বাংলাদেশি আইটি ফার্মগুলোর মধ্যে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বাড়ানো এবং স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ বিষয়ও আলোচনা করা হয়।
জেট্রোর প্রেসিডেন্ট কাজুশিজি নবোতানি জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই জাপানের অটোমোটিভ প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং জাপানি আইটি সংস্থাগুলো বাংলাদেশ থেকে আইটি ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দিতে আগ্রহী৷
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পের মাধ্যমে আইসিটি বিভাগ জাপানের আইটি খাতের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
তিনি বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কগুলোতে জাপানি বিনিয়োগ আনতে জেট্রোর সহযোগিতা কামনা করেন।
জেট্রোর প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কর্তৃক আইসিটি খাতসহ বিভিন্ন খাতে বাস্তবায়িত বিশাল অবকাঠামো উন্নয়ন ও কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এ সময় আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিনসহ জেট্রোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের বৈঠক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের ডেপুটি চিফ কাউন্সিল জো ইয়াং এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেছেন।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে প্রতিনিধি দল তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়ার বৈঠকে যোগ দেবেন সেনাপ্রধান
এসময় তারা বাংলাদেশের প্রযুক্তি বাজারে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগবান্ধব নির্দেশিকা ও নীতি-কৌশল তৈরির প্রয়োজনীয়তা, তথ্য সুরক্ষা আইনের বর্তমান অবস্থা, ওটিটি রেগুলেশনসসহ আইসিটি ইনিসেয়েটিভস এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণের প্রতিশ্রুতি ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে বন্ধুপ্রতিম যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশেষ করে মার্কিন সাইবার নিরাপত্তায় কর্মরত দলের সদস্যদের দক্ষতা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাইবারকে সহযোগিতার মাধ্যমে কিভাবে নিরাপদ রাখা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের ডিইআইইডি, ইডিজিই এবং সিফট প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন কার্যক্রম এবং স্টারলিঙ্কে মার্কিন স্পেসএক্স কোম্পানিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য প্রতিনিধি দলের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী ক্যাশলেস ও ইনক্লুসিভ সোসাইটির গুরুত্বসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বিষয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন বাংলাদেশের প্রযুক্তি বাজারে মার্কিন বিনিয়োগের মাধ্যমে দু’দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশের পথ সুগম করবে।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের একই লক্ষ্যগুলো নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বেশ সুযোগ রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এসময় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের জেনারেল কাউন্সিল অফিসের সিনিয়র অ্যাটর্নি জোসেফ এল গাট্টুসো, অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক অফিসার জেমস্ এস গার্ডিনার, এনার্জি-ইএসটিএইচ এবং আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইসির সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধিদলের বৈঠক
বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রথম দিনেই বৈঠক করল ইইউ টিম
দক্ষতা উন্নয়ন, বিশেষ করে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ কর: এইচএসসির ফল প্রকাশকালে শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরির বাজারে বিপুল সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে আইসিটি বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এখন হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, তাই তোমাদের এ বিষয়ে নজর দিতে হবে। তোমরা যদি তা করতে পার তবে চাকরির বাজারে আরও সুযোগ পাবে।’
শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল যুগের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে অবসর সময়ে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, বিশেষ করে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৫.৯৫ শতাংশ
তিনি বলেন, ‘শুধু ব্যাচেলর বা মাস্টার্সই যথেষ্ট হবে না; দেশে ও বিদেশে চাকরির সুযোগ সম্প্রসারণের জন্য তোমাদের যেকোনো বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান প্রয়োজন।’
তিনি শিক্ষার্থীদের তাদের সময় নষ্ট না করার এবং সরকার সারাদেশে যে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে তা গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষকে গবেষণায় আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘কৃষি নিয়ে আমাদের গবেষণা কাজ ভালোই চলছে। আমি তোমাদেরকে অন্যান্য বিষয়ে আরও মনোযোগ দিতে বলব।’
তিনি বলেন, গবেষণা ছাড়া সর্বশেষ উন্নয়ন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষিত জাতি ছাড়া কোনো দেশ উন্নত হতে পারে না। আমরা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ চাই। এবং এর জন্য আমাদের জরুরিভাবে শিক্ষিত জনবল প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার শিক্ষাকে বৈচিত্র্যময় করেছে। আমরা শিক্ষার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছি যাতে আমাদের শিশুরা ক্রমাগত উন্নয়নশীল বিশ্বের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। আমরা প্রতিটি জেলায় উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ করে দিচ্ছি। এতে কর্মসংস্থানও নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, সরকার বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছে, যেগুলোকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
তিনি করোনাভাইরাস মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার সময় পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে একটু পরেই
বাংলাদেশের আইসিটি খাতে অংশীদারিত্বে সৌদির আগ্রহ প্রকাশ
বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের দক্ষতায় আগ্রহী এবং বাংলাদেশের সঙ্গে এ খাতে সহযোগিতার জন্য দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায় সৌদি আরব। সৌদি আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স কোম্পানি (এসসিএআই) এর প্রধান নির্বাহী আয়মান আল রাশেদ এ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
রিয়াদে রবিবার(৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে এক বৈঠককালে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অংশীদারিত্বের জন্য সৌদি আরবকে স্বাগত জানান।
বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ জানান, বাংলাদেশ ও বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি সেক্টর বাংলাদেশের জন্য একটি বিকাশমান সেক্টর। ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা গ্রহণ করে, যার মূল বিষয়গুলো হচ্ছে- একটি উন্নত দেশ, একটি সমৃদ্ধ ডিজিটাল সমাজ, আধুনিক উৎপাদন ব্যবস্থা ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি।
প্রতিমন্ত্রী সৌদি আরব কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে স্বাগত জানিয়ে এসসিএআই এর প্রধান নির্বাহীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এ সময় মিশন উপপ্রধান আবুল হাসান মৃধা ও দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া রিয়াদে ডিজিটাল কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন – ডিসিও আয়োজিত এক সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘ডিজিটাল অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধি বিষয়ে বক্তব্য দেন। অতিথি দেশ হিসেবে প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত হওয়ার পথে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরেন।
আরও পড়ুুন: সৌদি সরকার বিদেশি তীর্থযাত্রীদের ওমরাহ বীমা খরচ ৬৩% কমিয়েছে
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ই-কমার্সের বাজারের আকার ২০২৫ সালের মধ্যে তিন দশমক এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন মোবাইল আর্থিক পরিষেবা ব্যবহারকারীরা প্রায় ২০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি লেনদেন করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্যাশলেস অর্থাৎ নগদবিহীন অর্থনীতি গড়ে তোলার পথে রয়েছে এবং ডিজিটাল ফাইন্যান্স সেক্টরে লেনদেন সহজ করতে বাংলাদেশ সরকার বিনিময় অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তার মূল স্তম্ভ হলো, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট ইকোনমি।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা ২০১৫ সাল থেকে বিভিন্ন স্টার্টআপে বিনিয়োগে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমাদের নিজস্ব ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে প্রতিশ্রুতিশীল স্টার্টআপে বিনিয়োগ প্রদান করে যাচ্ছি। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার স্টার্টআপ রয়েছে যেখানে গত ৫ বছরে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। বিভিন্ন স্টার্টআপ ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে প্রায় দেড় মিলিয়নেরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করেছে এবং যা ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের জিডিপিতে দুই শতাংশের বেশি অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।