ভোট
বিজিএমইএ নির্বাচন-২০২৪: ভোট পড়েছে ৮৯ শতাংশ, গণনা চলছে
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে ভোট দিয়েছে ৮৯ শতাংশ ভোটার। নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ শেষ করার পর চলছে গণনার কার্যক্রম।
শনিবার(৯ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উত্তরার বিজিএমইএ ভবনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলামিন সাংবাদিকদের বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত এবারের নির্বাচনে ৮৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। বড় ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি।
এবারের নির্বাচনে মোট ২ হাজার ৪৯৬ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ২২৬ জন ভোট দিয়েছেন, যা ৮৯ শতাংশের বেশি।
এর মধ্যে ঢাকার ২ হাজার ৩২ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৮৩৯ জন বা ৯০ শতাংশের বেশি (৯০.৫০ শতাংশ) ভোট দিয়েছেন। চট্টগ্রামে ৪৬৪ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৮৭ জন, যা প্রায় ৮৩ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এবারের নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে লড়ছেন ৭০ জন প্রার্থী। বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদ নামে দুটি প্যানেল।
সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্ব দেন সেবা ডিজাইনের চেয়ারম্যান এস এম মান্নান কচি, যিনি বিজিএমইএ'র বর্তমান জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি। আরেকটি প্যানেল ফোরামের নেতৃত্বে রয়েছেন সুরমা গার্মেন্টসের পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি কমিটির বর্তমান পরিচালক। এছাড়া ফয়সাল একসময় সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও চলছে: খাদ্যমন্ত্রী
এখনো দেশি-বিদেশি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, জনগণ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। এছাড়া দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র নির্বাচনের আগে থেকেই ছিল।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে নিয়ামতপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য এবং দ্বিতীয় মেয়াদে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য সহনশীল রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নির্বাচন ছিল উন্নয়নকে বেছে নেওয়ার এবং আগুন সন্ত্রাসকে প্রত্যাখ্যান করার নির্বাচন।
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো চলছে উল্লেখ জনগণকে সতর্ক থাকারি আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির দেশবিরোধী সব অপচেষ্টা রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত সময়ে নির্বাচিত হয়ে মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছি। মানুষকে ভালোবেসেছি, ভালোবাসাও পেয়েছি। সামনের দিনগুলোতেও মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
ভোট দেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি যশোর কারাগারের বন্দিরা
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকলেও কোনো বন্দিই ভোট প্রদান করেননি। কারাগারে প্রায় এক হাজার ২৬৫ বন্দির মধ্যে একজনও ভোট দিতে আগ্রহী ছিলেন না।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো বন্দি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে আবেদনও করেননি। ফলে, কারাগারে বন্দিদের কেউ তাদের ভোট প্রদান করেননি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
যদিও কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। এমনকি তারা বন্দিদের মধ্যেও এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কারাগারেই বন্দির সংখ্যা কমাবাড়ার মধ্যেই আছে। বর্তমানে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এক হাজার ২৬৫ বন্দি রয়েছেন। তার মধ্যে নারী রয়েছেন ৭৫ জন। বাকি সবাই পুরুষ।
কারা সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবারের মতো এবারো কারাগারে আটক বন্দিদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেয়ার সুযোগ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩০ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষ বন্দিদের জানালেও তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে রাজি হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কারাগারে কোনো বন্দি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদন করেননি।
এর আগে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল কারা বন্দিদের।
এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম ইউএনবিকে জানান, প্রতিনিয়তই কারাগারে বন্দি আসছেন আবার জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন। পরিপত্র পাওয়ার পর থেকেই প্রতিদিনই এ বিষয়ে বন্দিদের জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রবাসের পাশ থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে একটি বিশেষ টিমও কাজ করে। তারা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন।
তিনি জানান, এবিষয়ে কিছু নিয়মকানুন মেনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হয়। এ কারাগার থেকে কোনো বন্দি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেয়নি।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্বজনদের
২১ আসনে ৬০ শতাংশের বেশি ও ৫২টিতে ৩০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে: ইসির পরিসংখ্যান
রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার উপস্থিতি ৪১ দশমিক ৯৯ শতাংশ হলেও নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ২১টি আসনে ৬০ শতাংশের বেশি এবং কমপক্ষে ৫২টি আসনে ৩০ শতাংশেরও কম ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য থেকে এ চিত্র দেখা গেছে।
যেখানে দেখা যায়, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে সর্বোচ্চ ৮৭ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। যে আসন থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়েছেন।
সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ঢাকা-১৫ আসনে ১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন।
প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির বর্জনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২২২টি আসন পায় এবং জাতীয় পার্টি পায় মাত্র ১১টি আসন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন ৬২টি আসনে।
এছাড়া বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতির হারকে যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে: সিইসি
এদিকে, ময়মনসিংহ-৩ আসনের নির্বাচনের ফল স্থগিত করা হয়েছে।
দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে রবিবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়, কারণ নওগাঁ-২ আসনের বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নির্বাচন কমিশন এর আগে নির্বাচন স্থগিত করে।
৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে এমন পাঁচটি আসন হলো: গোপালগঞ্জ-৩ (৮৭ দশমিক ২৪ শতাংশ; শেখ হাসিনা), গোপালগঞ্জ-২ (৮৩ দশমিক ২০ শতাংশ; আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলুল করিম সেলিম), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (৭৬ শতাংশ; আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ বি তাজুল ইসলাম), চট্টগ্রাম-৬ (৭৩ দশমিক ২৪ শতাংশ; আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী) এবং সিরাজগঞ্জ-১ (৭২ দশমিক ৩২ শতাংশ; আওয়ামী লীগ প্রার্থী তানভীর শাকিল জয়)।
নওগাঁ-১, বাগেরহাট-১, বাগেরহাট-২, বাগেরহাট-৪, বরিশাল-১, জামালপুর-১, ময়মনসিংহ-১০, ফরিদপুর-৪, গোপালগঞ্জ-১, মাদারীপুর-১, কুমিল্লা-৭, কুমিল্লা-৮, ফেনী-২, নোয়াখালী-৬, চট্টগ্রাম-৭ ও বান্দরবান আসনে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।
গোপালগঞ্জ-২ আসনে নৌকা প্রতীকে শেখ ফজলুল করিম সেলিম সর্বোচ্চ ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৯১ ভোট পেয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ-১ আসনে তানভীর শাকিল জয় পেয়েছেন ২ লাখ ৭৮ হাজার ৯৭১ ভোট।
জামালপুর-৩ আসনে মির্জা আজম পেয়েছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৫৩ ভোট এবং রাঙ্গামাটি আসনে দীপংকর তালুকদার পেয়েছেন ২ লাখ ৭১ হাজার ৩৭৩ ভোট।
ঢাকা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন সর্বনিম্ন ২৪ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
৪০ হাজারেরও কম ভোট পেয়েও জয়ী প্রার্থীরা হলেন: চাঁদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের শফিকুর রহমান (৩৬ হাজার ৪৫৮ ভোট), নীলফামারী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন পাভেল (৩৯ হাজার ৩২১ ভোট) এবং ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগের কামাল আহমেদ মজুমদার (৩৯ হাজার ৬৩২ ভোট)।
ঢাকা-১৫ (১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ), ঢাকা-১৭ (১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ), ঢাকা-৮ (১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ), সিলেট-১ (১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ) এবং ঢাকা-১৬ (১৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ) - এই ৫টি আসনে ২০ শতাংশেরও কম ভোট পড়েছে। সিলেট-১ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় কম ভোটার উপস্থিতি নিয়েও বিজয়ী হয়েছেন।
জিএম কাদের রংপুর-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যেখানে ভোট পড়েছে মাত্র ২২ দশমিক ৩৬ শতাংশ। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে ভোট পড়েছে ২৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মুজিবুল হক।
যে সব আসনে ২০-২৯ শতাংশ ভোট পড়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- রংপুর-৩, কুড়িগ্রাম-১, কুড়িগ্রাম-২, কুড়িগ্রাম-৩, গাইবান্ধা-১, গাইবান্ধা-৩, বগুড়া-২, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, রাজশাহী-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৫, ময়মনসিংহ-৫, ময়মনসিংহ-৬, ময়মনসিংহ-৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-৪, ঢাকা-৫, ঢাকা-৬, ঢাকা-৭, ঢাকা-৯, ঢাকা-১০, ঢাকা-১১, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৪, ঢাকা-১৮, ঢাকা-১৯, গাজীপুর-২, সিলেট-৫, সিলেট-৬, হবিগঞ্জ-১, চাঁদপুর-৩, চাঁদপুর-৪, নোয়াখালী-৩, নোয়াখালী-৪, লক্ষ্মীপুর-১, লক্ষ্মীপুর-৩, লক্ষ্মীপুর-৪, চট্টগ্রাম-৫, চট্টগ্রাম-৮, চট্টগ্রাম-১০, চট্টগ্রাম-১১, চট্টগ্রাম-১৫ ও কক্সবাজার-১।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ২৯৮টি আসনে ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৮৯ হাজার ২৪১টি আসনের মধ্যে মোট ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬৭টি ভোট পড়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না: রবিবারের নির্বাচন প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্য
রবিবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না বলে অভিমত দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
সোমবার পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক দপ্তরের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাজ্য দেখেছে যে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের প্রচার চলাকালে সংঘটিত ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য বলেছে, রাজনীতিতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কোনো জায়গা নেই।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের চ্যানেল এসের বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেলেন সাঈদা মুনা তাসনীম
যুক্তরাজ্য সকল রাজনৈতিক দলকে তাদের মতপার্থক্য দূর করে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে একটি অভিন্ন পথ খুঁজে বের করতে উৎসাহিত করেছে এবং বলেছে, ‘আমরা এই প্রক্রিয়ায় সমর্থন অব্যাহত রাখব।’
বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য বলেছে, গণতান্ত্রিক নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর নির্ভর করে।
এতে বলা হয়, ‘মানবাধিকার, আইনের শাসন এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপরিহার্য উপাদান। নির্বাচনের সময় এই মানদণ্ডগুলো ধারাবাহিকভাবে পূরণ করা হয়নি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভোটের আগে বিরোধী দলের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে যুক্তরাজ্য বলেছে, ‘একটি টেকসই রাজনৈতিক সমঝোতা ও প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করলে দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে মামলা এবং ১৯৭১-এর ইতিহাসের ভবিষ্যৎ
রাঙ্গুনিয়ায় ভোট পড়েছে ৭০%
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ৭ (রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী আংশিক) আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে এই আসন থেকে টানা চতুর্থবার সংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২ দিন চলবে না বেনাপোল এক্সপ্রেসসহ ২১ ট্রেন
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের আইনজীবী ইকবাল হাছান মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৭৬৭ ভোট। এই আসনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এর ৯৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী।
রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ১০৩টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাজ বাকি থাকায় আজ চালু হচ্ছে না খুলনা-যশোর-মোংলা রুটে ট্রেন চলাচল
উল্লেখ্য, বিজয়ী ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াও জাতীয় পার্টির মুছা আহমেদ রানা (লাঙ্গল) ২ হাজার ৩০৮ ভোট, তৃণমূল বিএনপির খোরশেদ আলম (সোনালী আঁশ) ১ হাজার ৩৩১ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্টের আহমদ রেজা (চেয়ার) প্রতিকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৯০ ভোট, সুপ্রিম পার্টির মোরশেদ আলম (একতারা) প্রতিকে পেয়েছেন ১ হাজার ১৩০ ভোট। ১০৩ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯১। এরমধ্যে ভোট পড়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৬, মোট ৬৯.৪৩ শতাংশ ভোট সংগৃহিত হয়েছে। সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাঙ্গুনিয়ার ইউএনও রায়হান মেহেবুব এসব কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রেনে আগুন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তের চূড়ান্ত অভিপ্রায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে টানা চতুর্থ বারের মতো আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।এই নির্বাচনে ৩০০ টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ভোট গ্রহণ হয়েছে ২৯৯ টিতে। তবে সকল আসনে পড়েছে কম ভোট। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে এবং পূর্বাভাস অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চমকপ্রদ ফলাফল রয়েছে।
রবিবারের(৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ২২২টি আসনে জয়লাভ করেছেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা (যাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে পরিচিত) ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছেন।
এছাড়া জাতীয় পার্টি মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী হয়েছে এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এই তিনটি দলের একক প্রার্থী তাদের নিজ নিজ আসনে বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, বিকাল ৩টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, কিন্তু বিকাল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনুমান করেন, চূড়ান্ত ভোটদানের হার প্রায় ৪০ শতাংশ হতে পারে। তবে মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে তা প্রয়োজন ছিল ১৩ শতাংশের মতো।
ভোটদানের চূড়ান্ত সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার সকালে ঢাকা সিটি কলেজে ভোট দিয়েছেন। জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুল আলম জানান, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে তিনি ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির এম নিজাম উদ্দিন লস্কর পেয়েছেন ৪৬৯ ভোট।
তিনি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার মেয়াদ বাড়াতে যাচ্ছেন।
বেশ কিছু শীর্ষনেতা এবারের নির্বাচনে হেরে গেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় পার্টির শরিফা কাদের, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী, জাসদের হাসানুল হক ইনু, বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। মমতাজ বেগম ও মৃণাল কান্তি দাস।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২৯৯টি আসনের প্রায় ৪২ হাজার কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ৭টিতে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। আর একজন প্রার্থীর মৃত্যুর পর একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, সমর্থন এবং পূর্ববর্তী শাসন অভিজ্ঞতার দিক থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তুলনীয় একমাত্র দল, অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় নির্বাচনের ফলাফল বেশিরভাগ পূর্বেই নির্ধারিত হয়েছিল।
বিজয়ীদের সম্পূর্ণ তালিকা:
বেসরকারিভাবে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা:
রংপুর বিভাগ:
পঞ্চগড়-১ আসনে নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া, পঞ্চগড়-২ আসনে নুরুল ইসলাম সুজন, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে মাজহারুল ইসলাম সুজন, দিনাজপুর-২ আসনে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর-৩ আসনে ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-৪ আসনে আবুল হাসান মাহমুদ আলী, দিনাজপুর-৫ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, দিনাজপুর-৬ আসনে শিবলী সাদিক, নীলফামারী-১ আসনে আফতাব উদ্দিন সরকার। নীলফামারী-২ আসনে আসাদুজ্জামান নূর, লালমনিরহাট-১ আসনে মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-২ আসনে নুরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-৩ আসনে মো. মতিয়ার রহমান, রংপুর-২ আসনে আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, রংপুর-৪ আসনে টিপু মুন্সী, রংপুর-৬ আসনে শিরীন শারমিন চৌধুরী, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে সুমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মো. বিপ্লব হাসান, গাইবান্ধা-৩ আসনে উম্মে কুলসুম স্মৃতি, গাইবান্ধা-৪ আসনে আবুল কালাম আজাদ, গাইবান্ধা-৫ আসনে মাহমুদ হাসান, জয়পুরহাট-১ আসনে শামসুল আলম দুদু ও জয়পুরহাট-২ আসনে আবু সাইদুল আল মাহমুদ স্বপন।
রাজশাহী বিভাগ:
রাজশাহী-১ আসনে ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৩ আসনে আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ আসনে আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৫ আসনে আব্দুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী-৬ আসনে শাহরিয়ার আলম, নাটোর-২ আসনে শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-৩ আসনে জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর-৪ আসনে সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে মো. জিয়াউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আব্দুল ওয়াদুদ, বগুড়া-১ সাহাদারা মান্নান, বগুড়া-৫ মুজিবুর রহমান (মজনু), বগুড়া-৬ রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া-৭ আসনে মোস্তফা আলম, নওগাঁ-১ আসনে সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-৩ আসনে সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, নওগাঁ-৫ আসনে নিজাম উদ্দিন জলিল, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে জান্নাত আরা হেনরি, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে শফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আব্দুল মমিন মন্ডল, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে চয়ন ইসলাম, পাবনা-১ আসনে শামসুল হক টুকু, পাবনা-২ আসনে আহমেদ ফিরোজ কবির, পাবনা-৩ আসনে মকবুল হোসেন, পাবনা-৪ আসনে গালিবুর রহমান শরীফ এবং পাবনা-৫ আসনে গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স।
খুলনা বিভাগ:
মেহের পুর-১ আসনে ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর-২ আসনে নাজমুল হক, কুষ্টিয়া-৩ আসনে মাহবুব উল আলম হানিফ, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে সুলাইমান হক জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আলী আজগর, ঝিনাইদহ-১ আসনে আব্দুল হাই, ঝিনাইদহ-৩ আসনে সালাহ উদ্দিন মিয়াজী, ঝিনাইদহ-৪ আসনে আনোয়ারুল আজিম (আনার), যশোর-১ আসনে শেখ আলিফ উদ্দিন, যশোর-২ আসনে তৌহিদুজ্জামান, যশোর-৩ আসনে আনোয়ারুল আজিম (আনার), যশোর-৪ আসনে এনামুল হক বুলবুল, খুলনা-১ আসনে ননী গোপাল মন্ডল, খুলনা-২ আসনে শেখ সালাহউদ্দিন, খুলনা-৩ আসনে এস এম কামাল হোসেন, খুলনা-৪ আসনে আবদুস সালাম মুর্শেদী, খুলনা-৫ আসনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, খুলনা-৬ আসনে রশিদুজ্জামান, বাগেরহাট-১ আসনে শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনে শেখ তন্ময়, বাগেরহাট-৩ আসনে হাবিবুন নাহার, বাগেরহাট-৪ আসনে এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাতক্ষীরা-৩ আসনে এ এফ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাতক্ষীরা-১ আসনে ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাতক্ষীরা-৩ আসনে এএফএম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-৪ আসনে এসএম আতাউল হক, মাগুরা-১ আসনে সাকিব আল হাসান, মাগুরা-২ আসনে বীরেন শিকদার, নড়াইল-১ আসনে বিএম কবিরুল হক ও নড়াইল-২ আসনে মাশরাফি বিন মর্তুজা।
বরিশাল বিভাগ:
পিরোজপুর-১ আসনে শ ম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি-১ আসনে শাহজাহান ওমর, ঝালকাঠি-২ আসনে আমির হোসেন আমু, পটুয়াখালী-২ আসনে আ স ম ফিরোজ, পটুয়াখালী-৩ আসনে এস এম শাহজাদা, পটুয়াখালী-৪ আসনে মহিবুর রহমান, বরগুনা-২ আসনে সুলতানা নাদিরা, ভোলা-১ আসনে তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ আসনে আলী আজম, ভোলা-৩ আসনে নুরান্নবী চৌধুরী, ভোলা-৪ আসনে আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব,বরিশাল-১ আসনে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, বরিশাল-৫ আসনে জাহিদ ফারুক এবং বরিশাল-৬ আসনে আব্দুল হাফিজ মল্লিক।
ময়মনসিংহ বিভাগ:
ময়মনসিংহ-২ আসনে শরীফ আহমেদ, ময়মনসিংহ-৪ আসনে মোহাম্মদ মহিতুর রহমান, ময়মনসিংহ-৬ আসনে মুসলিম উদ্দিন, ময়মনসিংহ-৯ আসনে আবদুস সালাম, ময়মনসিংহ-১০ আসনে ফাহমি গোলন্দাজ (বাবেল), নেত্রকোণা-১ আসনে মোশতাক আহমেদ রুহি, নেত্রকোণা-২ আসনে আশরাফ আলী খান খসরু, নেত্রকোণা-৪ আসনে সাজ্জাদুল হাসান,নেত্রকোণা-৫ আসনে আহমদ হোসাইন, জামালপুর-১ আসনে নূর মোহাম্মদ, জামালপুর-২ আসনে ফরিদুল হক খান, জামালপুর-৩ আসনে মির্জা আজম, জামালপুর-৫ আসনে আবুল কালাম আজাদ, শেরপুর-২ আসনে মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-৩ আসনে এডিএম শহিদুল ইসলাম ।
ঢাকা বিভাগ:
টাঙ্গাইল-১ আসনে আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-২ আসনে তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৬ আসনে আহসানুল ইসলাম (টিটু), টাঙ্গাইল-৭ আসনে খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল-৮ আসনে অনুপম শাহজাহান জয়, মানিকগঞ্জ-৩ আসনে জাহিদ মালেক, গাজীপুর-১ আসনে আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ আসনে জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-৩ আসনে রুমানা আলী, ঢাকা-৪ আসনে সিমিন হোসেন (রিমি)। ঢাকা-১ আসনে সালমান ফজলুর রহমান, ঢাকা-২ আসনে কামরুল ইসলাম, ঢাকা-৩ আসনে নসরুল হামিদ, ঢাকা-৬ আসনে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা-৭ মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম, ঢাকা-৮ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১০ আসনে ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-১১ আসনে মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খান, ঢাকা-১৩ জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-১৪ মইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা-১৪ কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ আসনে ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা-১৭ আসনে মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা-২০ আসনে বেনজীর আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আব্দুল্লাহ আল কায়সার, নারায়ণগঞ্জ-৪ শামীম ওসমান, মুন্সিগঞ্জ-১ মহিউদ্দিন আহমেদ, মুন্সিগঞ্জ-২ সাগুফতা ইয়াসমিন, রাজবাড়ী-১ আসনে কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী-২ আসনে জিল্লুল হাকিম, ফরিদপুর-১ আসনে আব্দুর রহমান, ফরিদপুর-২ আসনে শাহদাব আকবর, গোপালগঞ্জ-১ আসনে মোহাম্মদ ফারুক খান, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ ফজলুল করিম সেলিম, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ হাসিনা,মাদারীপুর-১ আসনে নূর-ই- আলম চৌধুরী, মাদারীপুর-২ আসনে শাজাহান খান, শরীয়তপুর-১ আসনে ইকবাল হোসেন, শরীয়তপুর-২ আসনে একেএম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর-৩ আসনে নাহিম রাজ্জাক, নরসিংদী-১ আসনে মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নরসিংদী-২ আসনে আনোয়ারুল আশরাফ খান, নরসিংদী-৪ আসনে নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, নরসিংদী-৫ আসনে রাজি উদ্দিন আহমেদ, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে সৈয়দা জাকিয়া নূর, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক এবং কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে নাজমুল হোসেন।
সিলেট বিভাগ:
সুনামগঞ্জ-১ আসনে রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে মুহিবুর রহমান মানিক, মৌলভীবাজার-১ আসনে শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার-২ আসনে শফিউল আলম চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৩ আসনে মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, মৌলভীবাজার-৪ আবদুস শহীদ, সিলেট-১ আসনে এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট-২ আসনে শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনে হাবিবুর রহমান সিলেট-৪ আসনে ইমরান আহমেদ,সিলেট-৬ আসনে নুরুল ইসলাম নাহিদ, হবিগঞ্জ-২ আসনে ময়েজ উদ্দিন শরীফ ও হবিগঞ্জ-৩ আসনে আবু জাহির।
চট্টগ্রাম বিভাগ:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আরএএম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে ফয়জুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-১ আসনে আবদুস সবুর, কুমিল্লা-৬ আসনে একেএম বাহাউদ্দিন, কুমিল্লা-৭ আসনে প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা-৮ আসনে আবু জাফর মোহাম্মদ শামীম, কুমিল্লা-৯ আসনে তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-১১ আসনে আ হ ম মুস্তফা কামাল,চাঁদপুর-১ আসনে সেলিম মাহমুদ, চাঁদপুর-২ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া), চাঁদপুর-৩ আসনে দীপু মনি, চাঁদপুর-৪ আসনে মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, চাঁদপুর-৫ আসনে রফিকুল ইসলাম, নোয়াখালী-১ আসনে এইচ এম ইব্রাহিম, নোয়াখালী-২ আসনে মোরশেদ আলম, নোয়াখালী-৩ আসনে মামুনুর রশীদ কিরণ, নোয়াখালী-৪ আসনে মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী-৫ আসনে ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালী-৬ মোহাম্মদ আলী, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে আনোয়ার হোসেন খান, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে মো.গোলাম ফারুক, ফেনী-১ আসনে আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ফেনী-২ আসনে নিজাম উদ্দিন হাজারী, চট্টগ্রাম-১ আসনে মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রাম-২ আসনে খাদিজাতুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম-৩ আসনে মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম-৪ আসনে এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম-৬ আসনে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ আসনে হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৯ আসনে মহিবুল হাসান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০ আসনে মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১১ আসনে এম আব্দুল লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ আসনে মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে নজরুল ইসলাম, কক্সবাজার-২ আসনে আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ আসনে সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-৪ আসনে শাহীন আক্তার, খাগড়াছড়িতে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রাঙামাটিতে দীপংকর তালুকদার ও বান্দরবানে বীর বাহাদুর উশৈসিং।
জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা হলেন-
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, রংপুর-৩ আসনে গোলাম মোহাম্মদ কাদের, কুড়িগ্রাম-১ আসনে একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, বগুড়া-২ আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, সাতক্ষীরা-২ আসনে আশরাফুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ আসনে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সেলিম ওসমান, ফেনী-৩ আসনে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
বিজয়ী স্বতন্ত্র ৬২ প্রার্থী হলেন-
দিনাজপুর-১ আসনে জাকারিয়া, নীলফামারী-৩ আসনে সাদ্দাম হোসেন পাভেল, নীলফামারী-৪ আসনে সিদ্দিকুল আলম, রংপুর-১ আসনে আসাদুজ্জামান বাবলু, রংপুর-৫ আসনে জাকির হোসেন, কুড়িগ্রাম-২ আসনে হামিদুল খন্দকার, গাইবান্ধা-১ আসনে আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, গাইবান্ধা-২ আসনে শাহ সারওয়ার কবির, রাজশাহী-২ আসনে শফিকুর রহমান বাদশা,নাটের-১ আসনে আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁ-৪ আসনে বুরহানি সুলতান মাহমুদ, নওগাঁ-৬ আসনে ওমর ফারুক সুমন, বগুড়া-৩ আসনে খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী, কুষ্টিয়া-১ আসনে রেজাউল হক চৌধুরী,কুষ্টিয়া-২ আসনে কামরুল আরেফিন, কুষ্টিয়া-৪ আসনে আব্দুর রউফ, ঝিনাইদহ-২ আসনে নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, যশোর-৫ আসনে ইয়াকুব আলী, যশোর-৬ আসনে আজিজুল ইসলাম, পিরোজপুর-২ আসনে মহিউদ্দিন মহারাজ, পিরোজপুর-৩ আসনে শামীম শাহনেওয়াজ, বরগুনা-১ আসনে গোলাম সারওয়ার টুকু, বরিশাল-৪ আসনে পঙ্কজ নাথ, ময়মনসিংহ-১ আসনে মাহমুদুল হক সায়েম, ময়মনসিংহ-৫ আসনে নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-৬ আসনে আব্দুল মালেক সরকার, ময়মনসিংহ-৭ এবিএম আনিসুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৮ আসনে মাহমুদ হাসান সুমন, ময়মনসিংহ-১১ আসনে আব্দুল ওয়াহেদ, জামালপুর-৪ আসনে আব্দুর রশিদ, নেত্রকোণা-৩ আসনে ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ও শেরপুর-১ আসনে সানোয়ার হোসেন শানু।
টাঙ্গাইল-৩ আসনে আমানুর রহমান খান রানা, টাঙ্গাইল-৪ আসনে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-৫ আসনে সানোয়ার হোসেন, মানিকগঞ্জ-১ আসনে সালাহউদ্দিন মাহমুদ, মানিকগঞ্জ-২ আসনে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু, গাজীপুর-৫ আসনে আখতারুজ্জামান, ঢাকা-৪ আসনে আওলাদ হোসেন, ঢাকা-৫ আসনে মশিউর রহমান মোল্লা, ঢাকা-১৮ আসনে খসরু চৌধুরী, ঢাকা-১৯ আসনে সাইফুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে মো. ফয়সাল, ফরিদপুর-৩ আসনে একে আজাদ, ফরিদপুর-৪ আসনে মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মাদারীপুর-৩ আসনে তাহমিনা বেগম, নরসিংদী-৩ আসনে সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে সোহরাব উদ্দিন, সুনামগঞ্জ-২ আসনে জয়া সেনগুপ্ত, সিলেট-৫ আসনে মোহাম্মদ হুসামুজ্জামান চৌধুরী,হবিগঞ্জ-১ এ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ-৪ আসনে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে সৈয়দ একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মঈন উদ্দিন, কুমিল্লা-২ আসনে আবদুল মজিদ, কুমিল্লা-৩ আসনে জাহাঙ্গীর আলম সরকার, কুমিল্লা-৪ আসনে আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-৫ আসনে আবু জাহের, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মো. আবদুল্লাহ, আব্দুস সালাম চট্টগ্রাম-৮, আবদুল মোতালেব চট্টগ্রাম-১৫ ও মুজিবুর রহমান চট্টগ্রাম-১৬ আসনে বিজয়ী হয়েছেন।
এছাড়া বরিশাল-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেনন, কক্সবাজার-১ আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম এবং বগুড়া-৪ আসনে জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
নওগাঁ-২ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন স্থগিত করায় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে রবিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে, সরকারের সহযোগিতার প্রশংসা সিইসির
সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা, আন্তরিকতা ও সহযোগিতার কারণে রবিবারের জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু সরকারের আন্তরিকতা রয়েছে..... এবং সরকারের আশ্বাস অনুযায়ী আমরা সহায়তা পেয়েছি, তাই দলীয় সরকারের অধীনে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে: সিইসি
ভোট গ্রহণ শেষে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্দলীয় নির্বাচন করতে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা কিছুটা চ্যালেঞ্জ।
সিইসি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি প্রায় ৪০ শতাংশ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভোট দিয়ে সংসদ-সরকার গঠনে নাগরিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
তিনি বলেন, 'আজকের নির্বাচনে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। তবে এই বিষয়ে (চূড়ান্ত অনুমান) সব তথ্য সংগ্রহের পরে এটি পরিবর্তিত হতে পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এই নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য হবে কি না তা ফলাফল প্রকাশের পরে জানা যাবে। আপনারাই এর বিচার করবেন।’
আরও পড়ুন: রবিবারের নির্বাচন দেশে-বিদেশে বিশ্বাসযোগ্য হবে: সিইসি
ভোট দিলেন মমতাজ, জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী
সিংগাইরের জয়মন্টপ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের (সিংগাইর, হরিরামপুর উপজেলা ও সদরের তিনটি ইউনিয়ন) প্রার্থী মমতাজ বেগম।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তিনি ভোট দেন। এসময় তার নাতনি মধু সঙ্গে ছিলেন।
আরও পড়ুন: মমতাজ চক্ষু হাসপাতালে পিপিই দিলেন গাজীপুরের মেয়র
ভোট শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী।
এই আসনটিতে মমতাজ ছাড়াও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই আসনে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৯ জন ভোটার।
আরও পড়ুন: গানে গানে মানবপাচার প্রতিরোধের ডাক দিলেন মমতাজ
২৭ মে কক্সবাজারে মানবপাচার বিরোধী কনসার্টে গাইবেন মমতাজ
ভোট দিয়ে উচ্ছ্বসিত তারকারা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে। দেশের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন শোবিজ তারকারা।
রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৯টা ৪৬ মিনিটে ভোট দেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। ভোট দেওয়ার ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমি ভোট দিয়েছি। আপনি দিয়েছেন কি?’
রাজধানী ধানমন্ডির গভর্মেন্ট হাইস্কুল ভোটকেন্দ্রে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ভোট দিয়েছেন অভিনেত্রী ও শিল্পী মেহের আফরোজ শাওন। ভোট দিয়ে কালি দেওয়া আঙুলের ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন ‘ভোট দিয়ে আসলাম’।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের সিনেমায় সম্ভাবনাময় উপস্থিতি
মানিকগঞ্জে নিজের নির্বাচনি এলাকায় সকাল ১০টার দিকে ভোট দিয়েছেন সংগীতশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ। কেন্দ্রে গিয়ে তিনি বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে ভোট প্রদানের ছবি তিনি তার ফেসবুকে শেয়ার করেছেন।
গুলশান মডেল হাই স্কুলে ভোট দিয়েছেন গান বাংলা টেলিভিশনের কর্ণধার তাপস ও তার স্ত্রী মুন্নী। তাপস ভোট দেওয়ার ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা’।
অভিনেত্রী তারিন জাহান ভোট দিয়ে হাতের অমোচনীয় কালি প্রদর্শন করা ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমি আমার ভোট দিয়েছি, আপনি?’
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করব: ফেরদৌস
তরুণ প্রজন্মের দুই অভিনয়শিল্পী সৌম্য ও দিব্য প্রথমবার ভোট দিলেন।
তাদের মা অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি তার ফেসবুকে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। দুই ছেলের ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘প্রথমবার ভোট। যারা ভোট বর্জন করেছে, তারা তরুণদের আবেগ বর্জন করেছে। আমার ভোট, আমার দেশ, ভালোবাসি বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুন: আলোড়ন সৃষ্টিকারী সিনেমা ‘টুয়েল্ভ্থ ফেইল’ হাজারও সংগ্রামী তরুণের জীবনের গল্প