পুলিশ সুপার
৪২ ঘন্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত; পুলিশ সুপার যোগাযোগ করায় অসন্তোষ হাইকোর্টের
উচ্চ আদালতের সঙ্গে পুলিশ সুপার যোগাযোগ (ফোন) করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেছেন, বেশি স্বচ্ছতার জন্য যোগাযোগ করে? এটি পেশাগত অসদাচরণ।
সোমবার মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের মো. রুবেল হত্যা মামলাটি পুনরায় তদন্তের অগ্রগতি-বিষয়ক শুনানিকালে বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
পরে তদন্ত কর্মকর্তার সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়ে এ হত্যা মামলাটির পুনঃতদন্তের অগ্রগতি জানাতে বলেছেন।
‘লাশ উদ্ধার থেকে অভিযোগপত্র, ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত’ শিরোনামে গত ২ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়।
আরও পড়ুন: এবি ব্যাংকে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রতিবেদনটি যুক্ত করে মামলার নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে আসামি সোহেল ওরফে নুরুন্নবী ও বাদী চম্পা আক্তার ওরফে অঞ্জনা গত ৫ মার্চ হাইকোর্টে আবেদন করেন।
সোহেল ও চম্পা সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন। আর নিহত রুবেল হলেন সোহেলের ভগ্নিপতি।
আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৪ মার্চ হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাকসুদুর রহমানকে কেস ডকেটসহ আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
সে অনুসারে কেস ডকেটসহ তিনি গত ৩ এপ্রিল আদালতে হাজির হন। ওই দিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট কয়েক দফা নির্দেশনাসহ আদেশ দেন।
পুলিশ সুপারের নিচে নন-পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এমন একজন কর্মকর্তা দিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
অধিকতর তদন্তের সময় চারটি বিষয়ে পিবিআইকে তদন্ত করতে বলা হয়।
এর মধ্যে বাদী যখন সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার করেন, তখন বর্তমান অভিযুক্তকে (সোহেল) জড়িত করে অথবা এজাহারে বাদী সই করেছিলেন কি না, নির্যাতন বা ভয়ভীতি দেখিয়ে সোহেলের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে কি না, তা-ও তদন্ত করতে বলা হয়।
হাইকোর্ট শুনানির জন্য ৫ জুন পরবর্তী দিন রাখেন।
এদিকে হাইকোর্টের আদেশে হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাকসুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের এ নির্দেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।
এর শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ৬ এপ্রিল ওই সাময়িক বরখস্তের আদেশ অংশটুকু আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। তবে হত্যা মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করতে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বহাল থাকে।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের গ্রামীণ কল্যাণের লভ্যাংশ দেওয়ার রায়ে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা
আগের ধারাবাহিকতায় গতকাল বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে। আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পি।
শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বলেন, হত্যা মামলাটির তদন্ত শুরু করেছে পিবিআই। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। কয়েকজন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সঠিক ও সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।
মামলার বস্তুনিষ্ঠ সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থলের ডিজিটাল এভিডেন্স (সেল, কললিস্ট ইত্যাদি) সংগ্রহ করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তসহ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মামলার তদন্তে আরও সময়ের প্রয়োজন।
এছাড়া তদন্তের জন্য আরও ৯০ কার্যদিবস সময় বর্ধিত করার আরজি জানান তিনি।
আদালত বলেন, অধিক তদন্তের জন্য ৬০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। আরও ৯০ দিন চাচ্ছেন। পুলিশ সুপার ফোন কল করেন। আদালতের জন্য এটি বিব্রতকর।
উনি কি এটি করতে পারেন?
তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বলেন, কোর্টের মর্যাদা সবচেয়ে বড়। তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ ও আদালতের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে। আদালতের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে, তা বেঙ্গল পুলিশ রেগুলেশনে রয়েছে।
কোর্টের মর্যাদা সমুন্নত না রাখলে আমাদের মূল্যায়নও থাকবে না। পুলিশ সুপার কোর্টকে ফোন করার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছেন। আদালতের উদ্বেগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জির উদ্দেশে আদালত বলেন, ২৪ ঘণ্টায় এক তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে দেন। আদালত ৬০ দিন সময় দিলেও অধিকতর তদন্তের প্রতিবেদন দিতে পারলেন না।
এছাড়া শুনানি শেষে হাইকোর্ট ১৭ জুলাই এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা,প্রকল্পের সব নথি হাইকোর্টে তলব
বরিশালের ৪০ লঞ্চঘাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
বরিশালের পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেছেন, ঈদ উপলক্ষে নৌপথে যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপত্তায় বরিশালে ৪০টি লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলারঘাটে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পাশাপাশি সড়ক পথেও ঈদে ঘরমুখী জনসাধারণের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেলা পুলিশ প্রয়োজনীয় সকল স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: রাজধানীমুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে
পুলিশ সুপার বলেন, মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের ছয়টি চেকপোস্ট নিয়মিতভাবে পালাক্রমে মহাসড়কে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। যার ফলে এখনো পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল এবং বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, জেলাকে মাদক ও অপরাধমুক্ত রাখতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে জেলা পুলিশের ১০টি থানা এলাকায় পুলিশি অভিযান জোরদার করাসহ টহল ডিউটি বৃদ্ধি এবং মাদক বিরোধী অভিযানও জোরদার করা হয়েছে।
ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, এরই অংশ হিসেবে গত একমাসে মাদক বিরোধী অভিযানে ৪৯টি মাদক মামলায় ৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তিন কেজি ৫৭৭ গ্রাম গাঁজা, ১০৫৫ পিস ইয়াবা, একটি গাঁজার গাছ, ১০৬ বোতল ফেন্সিডিল, ১২ লিটার চোলাই মদ, পাঁচ লিটার বিদেশি মদ ও ছয়টি বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ পরবর্তী জনসাধারণের যাত্রা স্বাভাবিক, স্বাচ্ছন্দময় ও নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে জেলা পুলিশের চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শাহজাহান হোসেনসহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ফতুল্লা লঞ্চঘাটে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারের চালক নিহত
বরিশাল লঞ্চঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ঢল
কুমিল্লা পুলিশ সুপার পরিচয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ
কুমিল্লা পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে নতুন কনস্টেবল নিয়োগে প্রতারণার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
বুধবার ঢাকা ও মাদারীপুর জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ওই তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির মামলায় কুষ্টিয়ায় কোর্ট পরিদর্শকের কারাদণ্ড
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় পুলিশে চাকরি নিয়ে দেয়ার কথা বলে মরিয়ম বেগম নামে এক নারীর কাছ থেকে ঘুষ হিসাবে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।
প্রতারক মেরাজুল ইসলাম ফোনে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, মো. আলীমুজ্জামান কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপারের পরিচয় দেয়। মো. রিপন ফকির তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। তাদের সবার বাড়ি মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এই ঘটনায় কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, মরিয়ম বেগম তার নাতিন ফাহিমের জন্য পুলিশে চাকরির চেষ্টা করে প্রতারণার শিকার হচ্ছিলেন। ঘটনাটি পুলিশ টের পেয়ে যাওয়ায়-দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতারকদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি, কুমিল্লায় জন প্রতি মাত্র ১০৬ টাকা খরচ করে ২০৬ জন পুলিশে চাকরি পেয়েছে। এই নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
মামলার বাদী মরিময় বেগম বলেন, আমরা বুঝতে পারিনি প্রতারণার শিকার হবো। কিন্তু এই যাত্রায় বেঁচে গেছি। চাকরির জন্য ছয় লাখ টাকা যোগাড় করতে আমাদের জীবন যায় যায় অবস্থা হয়েছিলো। পুরো টাকা হারালে আমাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যেত।
পুলিশ জানায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ১৯ তারিখ পর্যন্ত বিকাশ ও নগদে প্রতারকরা টাকা নিয়ে যায়। এসব টাকা ঢাকা, মাদারীপুর ও সুনামগঞ্জ থেকে তোলা হয়।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ হ্যালো পার্টির মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসারদের নাম পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলো।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার
সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় দম্পতি কারাগারে
১৬০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেলেন ৯৩ জন
কোনো প্রকার তদবির কিংবা ঘুষ বাণিজ্য ছাড়া কেবল শারীরিকভাবে ফিটনেস, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে ১৬০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে সরকারি চাকরি পেলেন ১৪জন নারীসহ মোট ৯৩ প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার দিনভর মৌখিক পরীক্ষা শেষে রাতে তাদের ফুল আর মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ (পিপিএম বার)।
চাঁদপুর পুলিশ লাইনস্ এর মালটিপারপাস শেডে আয়োজিত এ ‘ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি)/কনস্টেবল’- পদে নিয়োগ পরীক্ষায় পুরুষ প্রার্থী ছিলেন দুই হাজার ৭৬৫ জন এবং নারী ছিলেন ২৬১ জন।
নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অভিনন্দন ও তাদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিং সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ।
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, শারীরিক ফিটনেস, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে আপনারা সকলে আজ এই জায়গায়।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা উদ্বোধন আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, স্যার আইজিপি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশ পুলিশকে একটি যুগপোযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ার লক্ষ্য হিসেবে আপনাদের এই নিয়োগ অন্যতম একটি ধাপ। আপনাদের সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্বল হবে, গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
পরে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ নির্বাচিত প্রার্থী ও অভিভাবকদের অভিব্যক্তি শুনতে চান।
এ সময় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নির্বাচিত কয়েকজন আনন্দে আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন।
তখনো তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না যে কোনও ঘুষ ছাড়াই সততার সঙ্গে পুলিশে চাকরি পেয়েছেন।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ: ৬ পদে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে চাকরির সুযোগ
খুলনায় বিডিজবস চাকরি মেলায় ১ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ
ঢাকা সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গণের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত প্রাঙ্গণের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের নিচতলায় মঙ্গলবার দুপুরে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, দুপুর সোয়া ১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আর দুপুর ২টা ১২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। আরও একটি ইউনিট তাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
দুপুর আড়াইটার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর শ্যামপুরে টেক্সটাইল মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
আগুনে ঘুমন্ত ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ঢামেক হাসপাতালে আগুন: পালানোর সময় রোগীর মৃত্যু
বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে বরিশালের ১শ গীর্জায় কঠোর নিরাপত্তা
বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে বরিশালের একশটি গীর্জায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে বরিশাল নগরীর পলিটেকনিক রোডের জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার বলেন, বরিশাল জেলার একশ’ গীর্জার মধ্যে একটিতে কোন ইনসিডেন্ট ঘটলে তাহলে সকল ভালো কার্যক্রমের ফলাফল শুন্য, তাই নিরাপত্তার দিকটাতে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। বড়দিন ও গীর্জাকেন্দ্রীক কোন মোটরসাইকেল মহড়া করা হবে না।
তিনি বলেন, দুষ্টু লোক আছে আশপাশে, তারা অসাম্প্রদায়িক আমাদের এই দেশে সাম্প্রদায়িক কোন ঘটনা উস্কে দিতেই পারে। তাই সার্বিক দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারন সবাই মিলে বড়দিনের উৎসব উদযাপন করতে চাই।
তিনি বলেন, গীর্জায় বড় কোন ব্যাগ নিয়ে যাওয়া যাবে না। ধর্মীয় অনুষ্ঠানস্থলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থায়ী সিসি ক্যামেরা না থাকলে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে।
এছাড়া বড়দিনে গীর্জা ও সড়ককেন্দ্রীক নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত ব্যবস্থা নিশ্চিতের জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিদ্যুতের দায়িত্বপূর্ণ কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান হোসেন। এই সভায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা কেএসএ মহিউদ্দিন মানিক-বীর প্রতীক।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সরদার, ইকবাল হোসেন, বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ গীর্জার প্রতিনিধিরা।
আরও এক এসপি বাধ্যতামূলক অবসরে
পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার আরও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এর সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: আরও ২ ডিআইজি বাধ্যতামূলক অবসরে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ সুপার মো. মুনির হোসেনকে পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্ট-২০১৮ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এর আগে অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক পদমর্যাদার দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও চার এসপিকে চলতি বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসনের উপসচিব বাধ্যতামূলক অবসরে
আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে নিহত নয়নের বাবা মো. রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (বাঞ্ছারামপুর) সামিউল আলমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় জেলার পুলিশ সুপার ও আট জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরও আট থেকে দশ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হচ্ছেন-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হোসেন রেজা, বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত তরুণ কান্তি দে, পুলিশ পরিদর্শক আফজাল হোসেন খান, উপপরিদর্শক (এসআই) বিকিরণ চাকমা, কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস, কনস্টেবল শফিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও আট থেকে দশজন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্যানেল মেয়রের ছেলে গ্রেপ্তার, গাঁজা জব্দ
মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লার বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার জন্য লিফলেট বিতরণকালে ১৯ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার স্টিলব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার ওপর সিএনজি স্ট্যান্ড, মোল্লা বাড়িতে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়াসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসবক দলের নেতারা লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শেষে ফেরার সময় মামলার প্রধান আসামি কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস এবং শফিকুল ইসলাম হত্যার উদ্দেশে শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। এ সময় আসামি বিশ্বজিৎ সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি নয়নের পেটে শার্টগান ঠেকিয়ে গুলি করে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এম.এ মান্নান জানান, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে নয়নের পেটে শর্টগান ঠেকিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি। আদালত মামলাটি পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে আদেশ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড,১ জনের যাবজ্জীবন
৭ কর্মদিবসে সাবেক ভিপি নুরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হাজিরের নির্দেশ
আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে
পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার আরও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনার শফিকুল অবসরে যাচ্ছেন ৩০ অক্টোবর
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-৩ এর সাবেক কমান্ডিং অফিসার মো. আলী হোসেন ফকিরকে পাবলিক সার্ভিস আইন, ২০১৮ -এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, আলী হোসেন সর্বশেষ রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশে যুক্ত ছিলেন।
এর আগে অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক পদমর্যাদার দুই পুলিশ কর্মকর্তা এবং তিনজন এসপিকে যথাক্রমে ৩১ অক্টোবর ও ১৮ অক্টোবর বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: দক্ষতা ও দেশপ্রেমের ঘাটতির কারণে পুলিশ কর্মকর্তাদের অবসরে পাঠানো হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আরও ২ ডিআইজি বাধ্যতামূলক অবসরে
পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৫০ কর্মকর্তার পদায়ন
পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৫০ জন কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনে গত এক দশকের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে বড় রদবদল।
পুলিশ সদরদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতির কারণে সম্প্রতি ২৫ জন পুলিশ সুপারকে (এসপি) বদলি করা হয়েছে।
আরও ২৫ জন এসপিকে বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, নিয়মিত রদবদলের অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ সেকশন-১ এর সংক্রান্ত স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ পদায়ন করা হয়।
পড়ুন: অনলাইনে প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলির কার্যক্রম শুরু
খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টারকে শোকজ, ৫ জনের বদলি