প্রতিবেদন
আরএসএফ'র প্রতিবেদনে ভুল তথ্য আছে, বাস্তবতার প্রতিফলন নেই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) ২০২৩ সালের মে মাসে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে ভুল তথ্য আছে এবং সেখানে বাস্তবতার প্রতিফলন নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আরএসএফ'র সাম্প্রতিক প্রতিবেদন ও ‘র্যাঙ্কি’ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সংবাদকর্মীকে ছাঁটাই করতে হলে ৩ মাস আগে নোটিশ দিতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আরএসএফের ওয়েবসাইটে যে প্রতিবেদন ও র্যাংকিং প্রকাশ হয়েছে, তা নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ জনগণের মধ্যে হতাশা আছে। ওয়েবসাইটে ভুল, অর্ধসত্য ও অপর্যাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে ১৬৩তম দেখানো হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ক্রমবিকাশ, সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার জন্য বর্তমান সরকারের অব্যাহত উদ্যোগকে অস্বীকার করা হয়েছে। দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার অবাধ স্বাধীনতার প্রকৃত চিত্রের বিপরীতে আরএসএফের মূল্যায়ন অগ্রহণযোগ্য, পক্ষপাতদুষ্ট এবং সত্যের বিচ্যুতি বলে সরকার মনে করে।
তিনি আরও বলেন, আরএসএফের ওয়েবসাইটে ছয়জন সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম রতন, আহমেদ খান বাবু, গোলাম মোস্তফা রফিক, খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান এবং এস এম ইউসুফ আলী সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে তারা আটক হয়ে জেলে আছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী তাদের নিয়ে আরএসএফের এ দাবি অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, আরএসএফের এর প্রতিবেদনে প্রচুর ভুল, অর্ধসত্য, অসত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশকে র্যাংকিং করা হয়েছে। এ ধরণের সূচক বা র্যাংকিংকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অনেকেই আমাদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলতে চান যে আমাদের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। এ র্যাংকিং পুনর্মূল্যায়নের জন্য আরএসএফকে দাপ্তরিকভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অপতথ্য ও মিথ্যা রোধে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ-ইইউ: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও যোগ করেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আরএসএফের বাংলাদেশ অধ্যায়ে বর্ণিত তথ্য অসম্পূর্ণ, অপর্যাপ্ত, এবং বিভ্রান্তিকর। আরএসএফ এর দাবির বিপরীতে দেখা যায় ২০০৯ সাল থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সরকারি গণমাধ্যমের চেয়ে বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেল সম্প্রসারণে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতার শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, গ্রামীণ জনগণের ক্ষমতায়নসহ উন্নয়নমুখী নানা অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচার করে। জনকল্যাণে সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত সব উন্নয়ন কাজ জনগণের কাছেই তুলে ধরে এ দুটি সম্প্রচার মাধ্যম। ফলে সরকার ও জনগণের মধ্যে প্রতিনিয়তই সেতৃবন্ধন তৈরি করছে বিটিভি ও বেতার। অথচ আরএসএফ রিপোর্টে উল্টোভাবে বলা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, সাইবার স্পেসকে সন্ত্রাসী, মৌলবাদী ও দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) চালু করে। তবে আইনের কিছু ধারা নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষিতে সরকার ডিএসএ বাতিল করে এর পরিবর্তে ২০২৩ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) প্রণয়ন করে বাংলাদেশ সরকার। এই আইনে সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে সম্পর্কিত মানহানি মামলায় সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের পরিবর্তে আইনী তলব করার বিধান রাখা রয়েছে। আইনগত প্রেক্ষাপট নিয়ে আরএসএফের সর্বশেষ প্রতিবেদনের উদ্বেগ এই মুহুর্তে প্রাসঙ্গিক নয়। এ বিষয়গুলো আরএসএফ এর পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত এবং তার একটা প্রতিফলন তাদের পরবর্তী প্রতিবেদনে থাকা উচিত।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের দাবির সঙ্গে সরকার একমত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
এ সময় তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও গণমাধ্যমের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা বজায় রাখতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। তবে বর্তমান সরকার গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সঙ্গে নিয়ে এই চ্যালেঞ্জগ মোকাবিলায় বহুমুখী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার, সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা ও তাদের মর্যাদা পুনরুদ্ধারে সাংবাদিক পরিচয়পত্র নীতিমালা, ২০২২ চূড়ান্ত করেছে, ২০১৪ সালে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে। সাংবাদিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে, মান সম্মত বেতন ও জীবিকা নিশ্চিত করতে সরকার নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করেছে, এবং দশম ওয়েজ বোর্ড গঠনের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ভালো উদ্যোগগুলো আরএসএফের প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়নি।
তিনি যোগ করেন, আরএসএফ এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বর্তমান র্যাংকিং একবারেই বাস্তবতা বহির্ভুত। আরএসএফের এ ধরণের রিপোর্টকে পূর্ণাঙ্গ বলা যায় না। বাংলাদেশ সরকার চায় আরএসএফ বাস্তবাতার প্রতিফলন ঘটাতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরুক এবং যে প্রতিবেদন অর্ধসত্য এবং ভুল তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে তার পুনর্মূল্যায়ন করুক।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সত্য দিয়ে অসত্য মোকাবিলা করতে চাই। গণমাধ্যমের পরিবেশ নিয়ে যেখানে সত্যিই উন্নতি করার সুযোগ আছে সেখানে সরকার তা করবে। আমরা সত্যিকার অর্থেই আরএসএফের র্যাংকিং এ উপরে উঠতে চাই।
আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে আসা ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
কোন কোন আদালতে লোহার খাঁচা রয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট
দেশের কোন কোন আদালতের এজলাস কক্ষে লোহার খাঁচা রয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ৬০ দিনের মধ্যে আইন সচিবকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা বসানো কেন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১, ৩২ ও ৩৫ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না এবং কেন লোহার খাঁচার পরিবর্তে কাঠগড়া পুনঃস্থাপন করার নির্দেশ দেওয়া হবে না- এই মর্মে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে ১০ মাস বয়সী শিশু: প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি বিচারিক আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে ১০ আইনজীবী গত ২৩ জানুয়ারি ওই রিট করেন।
আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে গত বছরের ১৬ অক্টোবর আইনসচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের ওই ১০ আইনজীবী।
নোটিশ পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে অনুরোধ জানানো হয়, তা না হলে রিট করে আইনি প্রতিকার চাওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়। নোটিশের জবাব না পেয়ে তারা রিটটি করেন।
রিট আবেদনকারী ১০ আইনজীবী হলেন- জি এম মুজাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, সাদ্দাম হোসেন, আবদুল্লাহ সাদিক, মিজানুল হক, মুজাহিদুল ইসলাম, মেসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী ও সাজ্জাদ সারোয়ার।
আরও পড়ুন: হাত হারানো শিশুকে ৩০ লাখ টাকা ডিপোজিট করে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির বলেন, দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের লোহার খাঁচা অতীতে ছিল না। বর্তমানে ৮৪টি আদালতে এ ধরনের খাঁচা বিদ্যমান, যার মধ্যে সিংহভাগ ঢাকায় অবস্থিত।
শিশির আরও বলেন, এ ধরনের খাঁচা ব্যবস্থাপনা সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ৩৫ (৫)–এ বলা আছে কারো সঙ্গে নিষ্ঠুর অমানবিক আচরণ করা যাবে না, অথচ এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে।
রিট আবেদনকারীদের এই আইনজীবী আরও বলেন, সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ, নির্যাতনবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদসহ অন্যান্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দলিল এই ধরনের আচরণ অনুমোদন করে না। অন্ধকার যুগে মানুষকে খাঁচায় বন্দি করে রাখা হতো। এই ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ করা হতো। বর্তমানে নিম্ন আদালতে এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে মূলত নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে। এমনকি জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার জন্যও এই খাঁচা ব্যবহার করা হয়। তাদের এই খাঁচায় ঢোকানো হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের সময়ও জামিনে থাকা আসামিদের খাঁচায় ঢুকিয়ে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: আসামিদের গণহারে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
টিআইবি তাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির হাতে ‘অস্ত্র তুলে দিচ্ছে’: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাচনবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির হাতে 'অস্ত্র তুলে দিতে' ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কি না তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল প্রশ্ন তুলেছে।
তিনি বলেন, 'বিএনপি যা বলছে আর টিআইবি যা বলছে তার মধ্যে ভাষার দিক থেকে মিল আছে বলে মনে হচ্ছে। টিআইবি নির্বাচনবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে না, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে বিচ্যুত না হয়ে টিআইবি ‘একটি গোষ্ঠীর মুখপাত্রে’ পরিণত হবে না এবং এর সুনাম সমুন্নত রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, টিআইবির প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্নসহ বেশ কয়েকবার ফোন পেয়েছেন।
হাছান মাহমুদ দাবি করেন, টিআইবির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করার কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা কোনো গবেষণা না করেই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বের দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত: হাছান মাহমুদকে ল্যাভরভ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন একটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, ওআইসি ও অন্যান্য দেশের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এটিকে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, মনে হচ্ছে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য পরিশীলিত করেই টিআইবি তাদের প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাতিলসহ কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ ও অন্যান্য ব্যবস্থা নিয়ে নির্বাচন কমিশন বলিষ্ঠ ভূমিকা দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘টিআইবির প্রতিবেদনে ইসির প্রচেষ্টার কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি।’
টিআইবি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল একতরফা তবে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ চেহারা দেখানো হয়েছিল।’
'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং' শীর্ষক গবেষণার ফলাফল তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। সেখানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি অশনিসংকেত।’
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: রোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের কাছে তুলবেন হাছান মাহমুদ
কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে ১০ মাস বয়সী শিশু: প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট
হবিগঞ্জের কারাগারে কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে শিশুটির থাকা এবং শিশুটির অবস্থা সম্পর্কিত বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কারা মহাপরিদর্শক ও হবিগঞ্জের কারা কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৮ জানুয়ারি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কারাগারের কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে থাকা শিশুর শারীরিক ও মানসিক উন্নয়ন নিশ্চিতে বিধি বা নীতিমালা বা প্রবিধান তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কারা মহাপরিদর্শকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ আদেশ দেন।
গত ৩০ নভেম্বর ‘ফাঁসির সেলে কেমন আছে ১০ মাসের মাহিদা’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়।
এতে বলা হয়, হবিগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের এক মামলায় মায়ের মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ায় তার সঙ্গেই ফাঁসির সেলে আছে ১০ মাসের শিশু মাহিদা। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে শিশুটির জন্য পর্যাপ্ত খাবার, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণ নিশ্চিতে নির্দেশনা চেয়ে ১৪ ডিসেম্বর একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
আরও পড়ুন: সাবেক ভিপি নুরকে হাইকোর্টে তলব
রবিবার আদালতে রিটের পক্ষে তানভীর আহমেদ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
পরে আইনজীবী তানভীর আহমেদ জানান, রুলের পাশাপাশি কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে শিশুটির থাকা এবং শিশুটির অবস্থা সম্পর্কিত বিষয়ে তদন্ত করে কারা মহাপরিদর্শক ও হবিগঞ্জের কারা কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৮ জানুয়ারি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
পরবর্তী আদেশের জন্য ২১ জানুয়ারি দিন রেখেছেন আদালত।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলায় পাঁচ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে ২৬ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক জাহিদুল হক।
রায় ঘোষণার দিন মা হুছনা আক্তারের সাথেই আদালতে এসেছিল ১০ মাসের শিশু মাহিদা। রায় ঘোষণার পর মায়ের সঙ্গে মাহিদার জায়গা হয় হবিগঞ্জ কারাগারের ফাঁসির সেলে। হবিগঞ্জ কারাগারের ওই সেলে সরাসরি পানির কোনো ব্যবস্থা নেই।
আরও পড়ুন: বনানীর হোটেল শেরাটনের বিষয়ে হাইকোর্টের পরবর্তী শুনানি ১৮ জানুয়ারি
ছোট বালতিতে করে পানি পাওয়া যায়, তাও সবসময় নয়, ওই পানিতেই চলতে হয় তাদের। একজন সশ্রম কারাবন্দি যে হারে খাবার পান ফাঁসির সেলে বন্দিদের একই নিয়মে খাবার দেওয়া হয়ে থাকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিনে দেড় ঘণ্টার জন্য ১০ ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের কক্ষের তালা খুলে দেওয়া হয়।
তালা খুলে দেওয়ার পর দেড় ঘণ্টার জন্য ওই কক্ষের শিশু মাহিদাসহ চার বাসিন্দার পরবর্তী গন্তব্য কক্ষের সামনের ৬ ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের বারান্দা। জেল কোডের ৭৩৫ বিধিতে সেলের কথা বলা হলেও এর আয়তন কী তার উল্লেখ নেই।
তবে জানা গেছে, বিভিন্ন কারাগারে ৬ ফুট বাই ৬ ফুট থেকে ১০ ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের সেল রয়েছে। হবিগঞ্জ কারাগারে নারী বন্দিদের জন্য দুটি সেল রয়েছে। হবিগঞ্জ কারাগারে ফাঁসির সেলের আয়তন প্রায় ১০ ফুট বাই ১০ ফুট।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী-শাশুড়ি কারাগারে
জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার শিকারদের অপরিহার্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে: প্রতিবেদন
বাংলাদেশে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের অপরিহার্য সেবা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে ১৬ দিনব্যাপী প্রচারের অংশ হিসেবে ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেন যৌথভাবে মেটা-বিশ্লেষণের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
স্বাস্থ্য, পুলিশ, বিচার বিভাগ ও সামাজিক পরিষেবাসহ ভুক্তভোগীদের সঠিক যোগসূত্র স্থাপনের জন্য প্রতিবেদনে জোর দেয়। নারী ও শিশুদের ক্ষমতায়নের জন্য ভুক্তভোগীভিত্তিক ও ট্রমা-অবহিত পরিষেবা প্রদানের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্লেষণটিতে, কোভিড-১৯ মহামারির ফলে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার (জিবিভি) ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি বাংলাদেশের নারী, মেয়ে, শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা কীভাবে মোকাবিলা করছে তা তুলে ধরা হয়।
নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতার লক্ষ্যে জাতিসংঘের তিনটি সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টায় ‘ন্যায়বিচার, জবাবদিহি ও সহায়তা: জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের জন্য অপরিহার্য সেবা’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১১ সাংবাদিক
বিশ্লেষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হলো– ভুক্তভোগীকেন্দ্রিক ও ট্রমা-অবহিত সেবা নিশ্চিত করা। এই পদ্ধতির মাধ্যমে নারী ও শিশু, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীরা সহজে ও বিনা সঙ্কোচে সহায়তা চাইতে পারবে। আর এভাবে বাল্যবিয়ে, পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার (জিবিভি) ক্ষতিকর প্রথাগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ এমা ব্রিগহাম বলেন, ‘এখনই সময় জিবিভির শিকার ব্যক্তিরা, যেসব বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, সেগুলো মোকাবিলায় একটি সমন্বিত প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা গ্রহণ করার।’
নারী ও শিশুরা ভালোভাবে বেঁচে থাকার ও পূর্ণ বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সেবাগুলো নিশ্চিত করতে এবং প্রতিরোধ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।
ইউএন উইমেনের ২০২১ সালের এক প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের ৯৩ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তারা নিজেরা নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতার (ভিএডব্লিউজি) শিকার হয়েছেন অথবা অন্য এমন নারীকে তারা চেনেন যিনি এর শিকার হয়েছেন।
এছাড়াও, বিশ্বে যেসব দেশে বাল্যবিয়ের হার সর্বোচ্চ, বাংলাদেশ এখনও সেই দেশগুলোর কাতারে রয়েছে। এখানে ২২ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের অর্ধেকের বেশির ১২ বছর বয়সী শিশু অবস্থায় বিয়ে হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের অর্ধেকেরও বেশি স্কুলে যায় না, উদ্বেগ ইউনিসেফের
ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ মাসাকি ওয়াতাবে বলেন, ‘সহিংসতার শিকার নারী ও মেয়েদের জন্য অপরিহার্য সেবা প্যাকেজ (ইএসপি) হলো জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য, সামাজিক সেবা, বিচার ও পুলিশ– এই চার গুরুত্বপূর্ণ খাত নিয়ে জাতীয় ব্যবস্থাকে সমর্থন করা জাতিসংঘের একটি বৈশ্বিক নির্দেশিকা।
ইউএনএফপিএর পক্ষ থেকে এবং ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেনের সঙ্গে মিলে একত্রে, আমি বাংলাদেশে ইএসপি পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য চিহ্নিত ঘাটতিগুলো পূরণ করতে সরকারের প্রচেষ্টায় সহায়তা প্রদানে আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি। এই সবকিছু অর্জনের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ও সুশীল সমাজের সংগঠন এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইউএন উইমেন প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর শ্রাবনা দত্ত বলেন, ‘নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ জোরদার করতে সামগ্রিক ও সমন্বিত উপায়ে কাজ করা এবং সকল স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করা অপরিহার্য। সহিংসতা প্রতিরোধ প্রচেষ্টায় আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। ইউএন উইমেন সরকার, সুশীল সমাজের অংশীদার ও উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: ইউএন উইমেন’র নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি রাবাব ফাতিমা
প্রতিবেদনে উঠে আসা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হলো:
আইনগত কাঠামোতে অসামঞ্জস্যতা: বিচার সেবা মূল্যায়ন করতে গিয়ে লিগ্যাল ফ্রেইমওয়ার্ক বা আইনগত কাঠামোতে অসামাঞ্জস্য দেখা গেছে যেমন ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার অধীনে ধর্ষণের সংজ্ঞা থেকে শিশুবিয়ে ও বৈবাহিক ধর্ষণকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
· পুলিশি ও বিচার সেবার চ্যালেঞ্জসমূহ: মূল্যায়নটি পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি ভুক্তভোগী-কেন্দ্রিক এবং ট্রমার উপর বিশেষ জ্ঞান সম্বলিত পদ্ধতি অবলম্বনের আহ্বান জানায়।
· স্বাস্থ্য সেবাসমূহের সমন্বয়: চিকিৎসা ও বিচার সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে সমন্বয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়ার মাধ্যমে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
· সামাজিক সেবায় বিনিয়োগ: প্রতিবেদনে সামাজিক সেবায় বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে এবং এমন একটি দল গঠনের কথা তুলে ধরা হয়েছে- যারা কমিউনিটির সবার কাছে পৌঁছানো, সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা এবং জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের মনো-সামাজিক সমর্থন প্রদানে সক্ষম।
প্রতিবেদনে সরকার, সুশীল সমাজ, নারী অধিকার সংগঠন, গণমাধ্যম ও জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর জন্য করা সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে সক্ষমতা বাড়ানো, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতাসংক্রান্ত অপরিহার্য সেবা সম্পর্কিত তথ্য সহজলভ্য করা, ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা উন্নত করা।
প্রস্তাবিত সুপারিশমালার মাধ্যমে দেশে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার শিকার মানুষ যে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় তা মোকাবিলা করার জন্য একটি বিস্তৃত ও কার্যকরী পদ্ধতি সম্বলিত এক নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ায় ইউনিসেফের জরুরি চিকিৎসা সহায়তা
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির হার রেকর্ড উচ্চতায়: প্রতিবেদন
ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল এক্সচেঞ্জের ২০২৩ সালের ওপেন ডোরস রিপোর্ট অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যুরো অব এডুকেশন অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স এবং ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩ হাজার ৫৬৩ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
যা পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের তুলনায় ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি প্রতিনিধিত্ব করে এবং এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ সামগ্রিক বৃদ্ধিগুলোর মধ্যে একটি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এই বৃদ্ধি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি বৃদ্ধির বিস্তৃত প্রবণতার অংশ। ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যা এক মিলিয়ন অতিক্রম করেছে, যা ৪ দশকের মধ্যে দ্রুততম বার্ষিক বৃদ্ধির হার।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার জন্য আরো বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিচ্ছে দেখে আমরা উচ্ছ্বসিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুগান্তকারী গবেষণায় সম্পৃক্ত হওয়া থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্যাম্পাস জীবনকে সমৃদ্ধ করা পর্যন্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা মার্কিন ক্যাম্পাসে চিত্তাকর্ষক সাফল্য অর্জন করে চলেছে।’
২০২৩ সালের ওপেন ডোরস রিপোর্টে আরও দেখা গেছে, বাংলাদেশি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ৫০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মধ্যে ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী স্নাতক (স্নাতক ও সহযোগী ডিগ্রি) অধ্যয়নে ভর্তি হয়েছেন।
প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি স্নাতকোত্তর মার্কিন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিশ্বের সপ্তম স্থানে নিয়ে গেছে।
গত এক দশকে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষে ৩ হাজার ৩১৪ জন শিক্ষার্থী থেকে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ১৩ হাজার ৫৬৩ জন শিক্ষার্থীতে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে ৪.৯ শতাংশ
১০২ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৬ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
এ নিয়ে ১০২ বার পেছালো প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
আরও পড়ুন: ৯৮ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
এ জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।
শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপরিদর্শক আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা মামলা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে: র্যাব
সাগর-রুনি হত্যা: ১০০ বারের মতো পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২.১ শতাংশ বাড়াতে সহায়তা করবে বিআরআই: প্রতিবেদন
বাংলাদেশের প্রকৃত মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমপক্ষে ২ দশমিক ১ শতাংশ বাড়াতে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) সহায়তা করবে বলে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রকল্পটি বাংলাদেশে অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ১ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে। এতে ১ দশমিক ৩ শতাংশ চরম দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়তা করবে।
বৃহস্পতিবার(২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ‘দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইন বাংলাদেশ অ্যাচিভমেন্টস অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শিরোনামের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিআরআই কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে তিনটি ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে- অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সহযোগিতা এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময়।
আরও পড়ুন: বিআরআই’র আঞ্চলিক সংযোগে অবদান রাখতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও চীন
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এবং পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণের উদাহরণ নিয়েও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মডেলিং পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে আনুমানিক জিডিপি, বাণিজ্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য হ্রাসের উপর উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক প্রভাব নির্দেশ করে।
প্রতিবেদন অনুসারে, নির্দিষ্ট পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে বিআরআই প্রকল্পগুলো অতিরিক্ত ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন থেকে ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
এ ছাড়াও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিআরআই অবকাঠামো ও সংযোগ প্রকল্পগুলোতে চীনা বিনিয়োগ ও অর্থায়নের জন্য একটি অতিরিক্ত সুযোগ দেয়। এটি বাংলাদেশের সরবরাহ প্রতিক্রিয়া ও বাহ্যিক প্রতিযোগিতাকে উদ্দীপিত করতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এটি বিআরআইয়ের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য থেকে জনগোষ্ঠীকে উন্নীত করার ক্ষেত্রে রূপান্তরকারী শক্তির প্রকাশ ঘটায়।’
এ ছাড়াও, প্রতিবেদনে উভয় দেশকে ব্যবসা সহজতর করতে, বিনিয়োগের বাধাগুলো শনাক্ত ও নির্মূল করতে এবং বিনিয়োগকারী ও ভোক্তাদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি অনুকূল আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান প্রতিবেদনের বার্তা প্রসঙ্গে বলেছেন, চীনের বিআরআই বৈশ্বিক সহযোগিতা জোটের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চীনের আর্থিক বিনিয়োগ এবং চুক্তিভিত্তিক নির্মাণ বাধ্যবাধকতাসহ বিআরআই থেকে লাভবান হতে শুরু করেছে।
মান্নান বলেন, 'বিআরআইর বিনিয়োগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক উন্নয়ন উদ্যোগগুলোতে অবদান রাখবে এবং ভিশন-২০৪১ অর্জনে সহায়তা করবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, 'গত কয়েক বছর ধরে আমরা দেখেছি, বিআরআই বাংলাদেশের দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছে, বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ বাংলাদেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়নে সক্ষম করেছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল খাতে এই বিনিয়োগ ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে এসেছে এবং সড়ক ও রেলপথে বিনিয়োগ বাংলাদেশের বাণিজ্য দৃশ্যপটকে বদলে দিয়েছে এবং দেশ ও দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, আমি নিশ্চিত যে, বিআরআইর কাঠামোর আওতায় আরও বেশি সংখ্যক চীনা উদ্যোগ ও জনগণ স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে নিজেদের নিয়োজিত করবে, চীনা সমাধান প্রস্তাব করবে এবং 'ভিশন ২০৪১' বাস্তবায়নে আরও বেশি অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন ৪ সেপ্টেম্বর
বিআরআই সংশ্লিষ্ট সব দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে: চীন
ফারদিনের মৃত্যু: অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১ অক্টোবর
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলাটির অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন দিন ধার্য করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন ১৪ ফেব্রুয়ারি
গত ১৬ এপ্রিল ডিবি পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার বাদী নূর উদ্দিন রানার নারাজির আবেদন মঞ্জুর করে সিআইডিকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
নিখোঁজের ৩ দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। পরে ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদি হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন। মামলায় নিহতের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
মামলার পর ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে বুশরা জামিনে আছে।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা: নারাজি দিতে সময়ের আবেদন বাবার
ফারদিন হত্যার তদন্তে অগ্রগতি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: র্যাব
সাগর-রুনি হত্যা: ১০০ বারের মতো পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ আবারও পিছিয়েছে। এ নিয়ে ১০০ বার পেছালো প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ।
সোমবার (৭ আগস্ট) আলোচিত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
আরও পড়ুন: ৯৮ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
কিন্তু মামলাটির তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেন।
শেরে বাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান। এদিকে মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি ৮ জন।
অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ৯৭ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
সাগর-রুনি হত্যা: ৯৪ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন