ছাত্রলীগ
আওয়ামী লীগের সাবেক এমপিসহ গ্রেপ্তার ৭
রাজধানীতে সাবেক এমপিসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরও সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১০ মে) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন, সুনামগঞ্জ জেলার আওয়ামীলীগ মনোনীত সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম ওরফে শামীমা শাহরিয়ার (৪৫), দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান মতি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআর আই) পরিচালক ও শেখ হাসিনার সহকারী প্রেসসচিব আশরাফ সিদ্দিকী ওরফে বিটু (৪৪), কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নেছার আহমেদ ওরফে নেছার উদ্দিন হাওলাদার (৩৫), দারুসসালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম (৪০), নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন সরকার (৫৫) ও দক্ষিণ বাড্ডা বাজার ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম বিপ্লব (৫৩)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১টায় ধানমন্ডি এলাকা থেকে শামীমা আক্তার, আশরাফ সিদ্দিকী ওরফে বিটু, দারুসসালাম এলাকা থেকে দুপুর ৩টা ৫০ মিনিটে ইমরান মতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাভারের কুমকুমারি বাজার এলাকা থেকে ৫টা ৫ মিনিটে রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে। এছাড়া লালবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রাত পৌনে ১২টায় মোশারফ হোসেন সরকারকে, বাড্ডা থানার ১৮ নং সেক্টর থেকে মহিদুল ইসলাম বিপ্লবকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
২০৮ দিন আগে
সিলেটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার
সিলেটে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩ মে) ভোরে দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা ওসমান আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া জালালাবাদ থানার পুলিশের অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: বহুল আলোচিত মাদক সম্রাজ্ঞী কামিনী গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার ওসমান আলী সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার উমর আলীর ছেলে ও শফিকুর রহমান সিলেট সদর উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের তাহের আলীর ছেলে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তার মো. ওসমান আলীর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের একটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া শফিকুর রহমান সিলেট মহানগরীর আট নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি। তার নামেও মামলা রয়েছে।
২১৬ দিন আগে
রাজধানীতে আ.লীগের আরও ৯ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরও ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২১ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির উপ-কমিশনার তালেবুর রহমান।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— ছাত্রলীগের বংশাল থানা ৩৩ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বাপ্পি (৩০), আওয়ামী লীগের দক্ষিণ বাড্ডা বাজার ইউনিটের সহ-সভাপতি মো. মহিবুর রহমান (৫০), কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ (৪৭), বংশাল থানা ৩২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবু আহাম্মেদ (৫৫), ২২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল খালেক (৫৫), কলাবাগান থানা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন (৪৮), ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হল শাখার নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক দীপম সাহা (২৬), ছাত্রলীগের ডেমরা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী ইসমাইল হোসেন (৪২) ও ছাত্রলীগ কর্মী মুহতাসিন ফুয়াদ ওরফে পিয়াল।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, রবিবার বেলা ১১ টার দিকে বাপ্পিকে নবাবপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগের একটি টিম। একই দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর বেরাইদ এলাকা থেকে মহিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-গুলশান বিভাগের একটি টিম ।
এছাড়া, রবিবার দুপুর ৩ টার দিকে রমনার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ভবনের সামনে থেকে আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের একটি টিম। ওইদিন রাত ১১ টার দিকে বংশাল এলাকা হতে বাবু আহাম্মেদকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগের একটি টিম।
এদিন রাত ১০ টার দিকে মগবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল খালেককে এবং রাত সাড়ে এগারোটায় রাজধানীর হাতিরপুল থেকে কবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-রমনা বিভাগের পৃথক দুইট টিম।
অন্যদিকে, রবিবার রাতে রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকা থেকে কাজী ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-ওয়ারী বিভাগের একটি টিম। তিনি রবিবার যাত্রাবাড়ী এলাকায় ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানায় ডিএমপি।
ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে দীপম সাহাকে তেজগাঁও এলাকা থেকে এবং দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে আদাবরের একটি বাসা থেকে ছাত্রলীগ কর্মী মুহতাসিন ফুয়াদ ওরফে পিয়ালকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-সাইবারের পৃথক টিম।
আরও পড়ুন: খুলনায় আ.লীগের ২৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
তালেবুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা রাজধানীর বিভিন্ন থানায় রুজুকৃত মামলার এজাহারনামায় থাকা আসামি। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারা নানাভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।’
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
২২৮ দিন আগে
ছাত্রলীগের মিছিল নিয়ে ডিএমপির বার্তা, গ্রেপ্তার ৬
রাজধানীতে পরিচালিত পৃথক অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া এসব সংগঠনের সাম্প্রতিক ঝটিকা মিছিল নিয়ে সাধারণ জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানিয়েছে ডিএমপি। বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগ ও তাদের সমভাবাপন্ন বিভিন্ন সংগঠন ঝটিকা মিছিল করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তারা পুলিশের গতিবিধি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় গাড়ি থেকে নেমে দুয়েক মিনিট মিছিল করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে এসব মিছিলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে তাদের অস্তিত্ব জানান দেয়।
তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করা সম্ভব না হলেও পরবর্তীতে ছবি ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাদের মধ্যে অনেককেই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানায় ডিএমপি। পৃথক অভিযানে রাজধানীতে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ছয় সদস্য হলেন- পল্লবী থানা ছাত্রলীগের ৫ নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নাইম, যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রিপন হোসেন ফাহিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৯ নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি শেখ মো. সোহেল, বাড্ডা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. সোহেল রানা, বাড্ডা থানার ৩৭ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়ামিন ও বাড্ডা ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল বাশার খান।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পল্লবী থানার বাউনিয়া এলাকা থেকে আশরাফুল ইসলাম নাইমকে গ্রেফতার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগ।
আরও পড়ুন: পূর্বধলায় ভারতীয় মদসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
অন্যদিকে, মহানগর গোয়েন্দা সাইবার বিভাগের বিভাগের একটি দল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. রিপন হোসেন ফাহিমকে গ্রেফতার করে। ডিবি-ওয়ারী বিভাগ কদমতলী থানাধীন মোহাম্মদবাগ এলাকা থেকে শেখ মো. সোহেলকে গ্রেফতার করে।
এরপর শনিবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ডিবি সাইবারের একটি টিম রাজধানীর বাড্ডা থানার মধ্য বাড্ডা এলাকা থেকে মো. সোহেল রানা ও মোহাম্মদ ইয়ামিনকে এবং শাহ আলি এলাকা হতে অপর একটি টিম পৃথক অভিযান চালিয়ে আবুল বাশার খানকে গ্রেফতার করে।
ডিএমপি জানায়, এসব সংগঠনের অপতৎপরতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় সাধারণ জনগণকে এসব সংগঠনের বিচ্ছিন্ন অপতৎপরতা সম্পর্কে অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করেছে মহানগর পুলিশ।
২৩০ দিন আগে
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামের বাড়িতে ‘অগ্নিসংযোগ’
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের বাড়ির একটি খড়ের ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। তবে ঘরটি মূল বাড়ির সীমানার বাইরে হওয়ায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৫ এপ্রিল) গভীর রাতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাতখামার এলাকায় সাদ্দামের গ্রামের বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড়ের ঘরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।
তবে কারা আগুন দিয়েছে—তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি বাড়ির সদস্যরা। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকেও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
বোদা ফায়ার সার্ভিস অফিস জানায়, বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড় ও খড়ি রাখার ঘরে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ৩০ ফিট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফিট প্রস্থের টিনশেডের ঘরটিতে খড় ও খড়ি রাখা ছিল। মধ্যরাতে ওই ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়।
সাদ্দাম হোসেনের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘মধ্যরাতে কে বা কারা আমাদের খড়ের ঘরে আগুন দেয়। প্রতিবেশীরা আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সময়মতো তারা না আসলে আগুন আমাদের থাকার ঘরেও লাগত।’
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী ৩ বছর ধরে বিছানায় পড়ে রয়েছেন। আমরা এখন খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা চাই, প্রশাসন এই ঘটনা তদন্ত করে কারা আগুন দিয়েছে তা খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করুক।’
বোদা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর রায়হান ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ১ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে হিসাব করেছি। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করা হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল।
২৩৪ দিন আগে
চুয়েট ছাত্রলীগের ১৯ নেতা বহিষ্কার
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ১৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১৭ মার্চ) শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলমের সই করা পৃথক ২১টি বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
এর আগে শৃঙ্খলা কমিটির ২৮১তম সভায় (জরুরি) এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরমধ্যে ৭ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শিক্ষা কার্যক্রম ও স্থায়ীভাবে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার ও আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে ১২ শিক্ষার্থীকে। বহিষ্কৃতরা সবাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সাবেক নেতা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে সভায় শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ জনকে ২ বছর ও বাকি ৩ জনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে তাদের আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসচালক গ্রেপ্তার
দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন— চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন, সাবেক সহসভাপতি মো. ইমাম হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান।
এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন— সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌমিক জয়, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম ও তাহসিন ইশতিয়াক।
আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন— চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তোফাইয়া রাব্বি, মো. সাদিকুজ্জামান, ইউসুফ আবদুল্লাহ, মো. তানভীর জনি, ইফতেখার সাজিদ ও শাকিল ফরাজী; সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, মাহমুদুল হাসান, মো. রিফাত হোসাইন, মইনুল হক ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল করিম ও আবদুর রহমান।
২৬৩ দিন আগে
ছাত্রলীগ নেতার মামলা থেকে ২ সাংবাদিককে অব্যাহতি
সাভারের আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগ সভাপতির সাজানো মামলা থেকে দুই সাংবাদিককে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম ইসরাত জাহান মুন্নি এই আদেশ দেন।
এদিন সাংবাদিকদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল।
মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুই সাংবাদিক হলেন— তৃতীয় মাত্রা পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি সোহেল রানা ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের জাহিন রিয়াজ।
আরও পড়ুন: চাঁদা না পেয়ে হকারকে ‘অপহরণ’, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
আইনজীবী আল মামুন রাসে বলেন, ‘সোহেল ও রিয়াজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো তথ্য ও প্রমাণ উপস্থিত না করতে পারায় আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল আলম শামীমের করা সাজানো মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।’
তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের দালিলিক প্রমাণ ছাড়াই শুধু অনুমানের ওপর ভিত্তি করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একতরফা রিপোর্ট প্রদান করেছিলেন। প্রকৃত সত্য হলো, সংবাদ প্রকাশের কারণেই দুই সাংবাদিককে জড়িয়ে মামলা দেওয়া হয়েছিল।’
২৭৮ দিন আগে
সিলেটে ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ আটক ৩
চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে এসএমপির মিডিয়া বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্ট: খুলনায় আটক ১৮
আটকরা হলেন—মহানগরীর সোনাতলা এলাকার চাতলীবন গ্রামের শমশের আলীর ছেলে জালালাবাদ থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেব আহমদ (৩০), আরামবাগ ৩ নম্বর রোডের আবদুল কাইয়ূমের ছেলে ছাত্রলীগের সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান (২১) এবং মীরবক্সটুলা আজাদী-২৫ নম্বর বাসার মো. কলিম মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান (৪৫)।
আটকদের বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২৮১ দিন আগে
পাবনায় ছাত্রলীগের মশাল মিছিল, গ্রেপ্তার ৫
পাবনার আতাইকুলায় মিছিল করার সময় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকালে মামলা নথিভুক্ত করে আদালতের মাধ্যমে পাবনা কারাগারে পাঠানো হয়।
আটকরা হলেন—আতাইকুলা থানার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের দুবলিয়া ক্যাম্প পাড়ার বাসিন্দা ও পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাওন রেজা খান, চরতারাপুরের নতুন টাটিপাড়ার বাসিন্দা ও চরতারাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, শ্রীকোল এলাকার শহিদুল ইসলাম, তপু রায়হান ও শাকিল মৃধা।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আতাইকুলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের শ্রীকোল বাজার থেকে একটি মশাল মিছিল বের করে, যা শ্রীকোল নতুন সেতু এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এ ঘটনার পর পুলিশ আজ (শনিবার) আতাইকুলা থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল বের করে এলাকায় নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এরপর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৩১৪ দিন আগে
ছাত্রলীগের অফিস গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কার্যালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ক্যাম্পাসের শহীদ শামসুল হক হলের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে আব্দুল জব্বার মোড়ে অবস্থিত ছাত্রলীগের কার্যালয়টিতে ভাঙচুরের পর বুলডোজার দিয়ে পুরোপুরি ধূলিস্যাৎ করে ফেলা হয়।
রাত ২টার দিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহীদ শামসুল হক হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এর মাধ্যমে বাকৃবিতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেই ক্যাম্পাসে তাদের কবর রচিত হলো। যে বা যারা ছাত্রলীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা শহীদ শামসুল হক হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছি।’
এর আগে, গত ৫ আগস্ট বিকালে ছাত্রলীগের কার্যালয়টি প্রথম দফায় ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাতে শিক্ষার্থীরা প্রথমে লাঠি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে অফিস ভবনটি ভাঙতে শুরু করেন। পরে একটি বুলডোজারের সাহায্য ভবনটি পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেয়। এ সময় উপস্থিত শতাধিক শিক্ষার্থী নেচে-গেয়ে ও বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম বলেন, ‘শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রক্টর অফিসেই ছিলাম। এ ঘটনার ব্যাপারে আমি জানতাম না। ছাত্রলীগের কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের মধ্যে সব স্থাপনাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা নষ্ট করার অধিকার কেউ রাখে না।’
৩৩৫ দিন আগে