ছাত্রলীগ
চবিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষ, আহত ৩
চবিতে আধিপত্য বিস্তার ও দোকান দখল নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে অন্তত তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চবি রেলস্টেশন-সংলগ্ন একটি দোকান দখল করতে আসে হাটহাজারী উপজেলার যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ হানাফের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন চবি উপাচার্য
এ সময়ে সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ওপর ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে জড়ো হয়। মিছিল নিয়ে আগাতে থাকলে আবারও শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ককটেল ও গুলিবর্ষণ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময়ে তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
চবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, স্থানীয় দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হলে তারা ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণ করে। এসময় শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা হল থেকে বের হয়ে রেল ক্রসিংয়ের দিকে গেলে আবার ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা ৬টা ১৮ মিনিটে খবর পেয়ে ৬টা ২৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে যাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক করার জন্য সবরকম সহযোগিতা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।’
আরও পড়ুন: হল ছাড়তে নারাজ চবি শিক্ষার্থীরা, সময় বাড়ালো প্রশাসন
চবি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, আজকের মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ
১৫ ঘণ্টা আগে
ছাত্রলীগের নেতা সম্রাট ৪ দিনের রিমান্ডে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ফেনীতে গুলিবর্ষণকারী ছাত্রলীগের নেতা শফিকুল ইসলাম সম্রাটের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত মোস্তারির আদালত তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক হুইপ গিনির রিমান্ড নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন সম্রাটের ৭ দিনের রিমান্ড চায়।
শফিকুল ইসলাম সম্রাট ফেনীর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, গুলিবর্ষণের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। হামলার সময় তাকে মুখে কাপড় বেঁধে গুলি করতে দেখা যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, সম্রাট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংঘর্ষের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ৬টি হত্যা মামলা রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: ৪৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি মামুন
১ সপ্তাহ আগে
ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নাহিয়ান-লেখকসহ ৬৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের
দুই বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ ৬৬ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম এ মামলা করেন।
বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহাবাগ থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছন আদালত।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা-বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা
অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সঞ্জিত চন্দ্র দাস, রিয়াজুল ইসলাম, মোনেম শাহরিয়ার হাসান মুন, সামিউজ্জামান সামি, আসিফ হোসেন, রেহানুল লাভলী, সাব্বির হোসেন, আরিফুল ইসলাম আরিফ, অহিদুল ইসলাম আকাশ, বাধন মিয়া, আজিজুল হক, ওবায়দুল হোসেন ও সোলায়মান হাবিব।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ছাত্রদলের নবগঠিত সোহেল-আরিফ কমিটি ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছিলেন। এদিন বিকাল ৪টার দিকে স্যার এ. এফ রহমান হলের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আরিফুল ইসলামসহ কয়েকজন আহত হন।
আরও পড়ুন: ভারত বন্ধুত্ব চায় শুধু স্বৈরশাসক হাসিনার সঙ্গে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়: রিজভী
৩ সপ্তাহ আগে
মেহেরপুরে ৩৭ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে নামে মামলা
মেহেরপুরের গাংনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী গাংনী পৌরসভার চৌগাছা গ্রামের রেজানুল হক ইমন বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মামলায় গাংনী বাসস্ট্যান্ড এলাকার ছাত্রলীগ কর্মী তন্ময়কে প্রধান আসামি করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেকসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
রেজানুল হক ইমন বলেন, ‘মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম গাংনী থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেন।’
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে মামলাটি এফআইআরভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের বিপ্লব হোসেন (৩০), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শিশিরপাড়া গ্রামের জীবন আকবর (৩০), গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ধর্মচাকী গ্রামের শাহিনুজ্জামান (২৫), চৌগাছা গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা পিন্টু (২৮), গাংনী মাদরাসাপাড়ার রেজাউল হক (২৫), গাংনী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু (৩৮), চৌগাছা গ্রামের যুবলীগ নেতা মিলন (৪০), জালশুকা গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা ওবায়দুল (২৫), চৌগাছা গ্রামের রকিব (৩৮), থানাপাড়া এলাকার হাবিবুর (২৮), শিশিরপাড়া গ্রামের রমজান আলী (৪৫), বান্টু (৫০), গাংনী বাজারপাড়া এলাকার মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক (৩৭), গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী, মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পাশা, রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু, বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল, গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল অনিক (২২), শিমুলতলা গ্রামের রাশি (৪০), জোড়পুকুর গ্রামের ইমারুল (৪০), ফয়সাল (৪০), খোকন (৪৫), হাসান (৩৮), গাংনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম (৫০), গাংনী বাজারপাড়া এলাকার মনি (৪০), হাড়িয়াদহ গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে ও রাইপুর ইউনিয়নের সদস্য (মেম্বর) রাজু আহমেদ (৪০), গাংনী উত্তরপাড়া এলাকার সাবেক ছাত্রলীগের নেতা ও এমপি মকবুল হোসেনের পিএস শাহিদুজ্জামান শিপু (৪০), নওপাড়া গ্রামের ইয়ারুল ইসলাম (৫০) ও মুকুল হোসেন (৪৫), গাংনী র্যাব ক্যাম্পপাড়া এলাকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের হোসেন উজ্জল (৪০), চৌগাছা গ্রামের উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলাম মিয়া (৫৫), মেহেরপুর ভূমি অফিসপাড়া এলাকার তুফান (৫২) সদর উপজেলার বুঁড়িপোতা গ্রামের মো. মামুন (৩৮) ও মো. সুমন (৩৫)।
আরও পড়ুন: এবার কুমিল্লার সাবেক এমপি বাহারের নামে সাংবাদিকের মামলা
নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
২ মাস আগে
রাবি’র হলে ছাত্রলীগ কর্মীদের কক্ষ ভাঙচুর, ১টি হলকে 'রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা'
সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আবারও বিক্ষোভ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান মাঠ থেকে একটি মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভকারীরা শহীদ হবিবুর রহমান হলে যাওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অন্তত ১২টি কক্ষ ভাঙচুর করেন।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দলে দলে শহীদ হবিবুর রহমান মাঠে জড়ো হতে থাকেন। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তারা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।
এ সময় তারা কক্ষের বাইরে ছাত্রলীগ সদস্যদের বিছানাপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তারা ক্যাম্পাসের পশ্চিম অংশের নারী হলের দিকে চলে যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তাদের দাবি তুলে ধরার ঘোষণা দেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলকে রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত দাবি জমা দিলে বুধবার দুপুরে প্রভোস্ট তাতে সই করেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে হলের শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আমরা হলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছি। ভবিষ্যতে এই সাময়িক নিষেধাজ্ঞা স্থায়ী করা হতে পারে।
৩ মাস আগে
কোটা আন্দোলনকারী-পুলিশ-ছাত্রলীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বগুড়া
কোটা সংস্কারের দাবিতে বগুড়ায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে এ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে সাতমাথা এলাকা দখলে নেয় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরকারি আজিজুল হক কলেজের নিকটবর্তী কামারগাড়ী রেল গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি অধ্যক্ষের বাসভবনের সামনে দিয়ে কলেজের মূল ক্যাম্পাস অতিক্রম করে রেল গেইটের সামনে পৌঁছে সাতমাথা-তিনমাথা সড়ক অবরোধ করে। সেখানে আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের
এরপর বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ ক্যাম্পাসে বিকট শব্দে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রাস্তা থেকে সরে যান। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসের দখল নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এদিকে, বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলার প্রতিবাদে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী শহরের বনানী-সাতমাথা রোড কয়েক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন।
মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ইউনিফর্ম পরে মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামে। মিছিলটি বনানীর দিকে যাওয়ার সময় শাহসুলতান কলেজ থেকে কোটার সমর্থকরা মিছিলে হামলা চালায়। এসময় তাদের লাঠির আঘাতে একজন শিক্ষার্থী আহত হন। তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পলিটেকনিকের সামনে ফিরে এসে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এসময় দুই পক্ষই ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।
এরপর পলিটেকনেকের শিক্ষার্থীরা লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকের একটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। এসময় বনানী-সাতমাথা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বগুড়া জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা দুপুরে মিছিল বের করলে তাদের মিছিলে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ককটেলের আঘাতে জিলা স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্কুলের শত শত সাবেক ও বর্তমান ছাত্র সাতমাথায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে থেকে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে তিন থেকে চারটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়।
পুলিশের সামনেই একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলেও পুলিশ নীরব ছিল বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কারের দাবিতে ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
একপর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে সাত থেকে আট হাজার শিক্ষার্থী শহরের জিরো পয়েন্ট-সাতমাথা দখলে নেয়। এসময় আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে থেকে ফের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা দমে যায়নি। বরং চারদিক থেকে ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে ফেলে। কিছু সময় উভয় পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপের পর শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাতমাথায় অবস্থিত মুজিব মঞ্চ দখল করে বিজয়োল্লাস করতে থাকেন। এসময় আওয়ামী লীগ অফিসের আশপাশে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে অবস্থিত পুলিশের অস্থায়ী বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধরা। দীর্ঘ সময় আগুন দাউ দাউ করে জ্বললেও নেভানোর জন্য সেসময় কেউ এগিয়ে যায়নি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শহরের জিরো পয়েন্ট অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতারের নেতৃত্বে বিকাল ৫টার পর ডিবির একটি টিম আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এসময় জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা পুলিশকে পিছু হটতে বাধ্য করে।
পরবর্তীতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে সাতমাথা দখলে নেয়। প্রতিবাদে ছাত্ররাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ ঘটনায় কোনো পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে কি না জানা যায়নি। তবে বেশকিছু শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, সন্ধ্যার পর শহরের গালাপটি্টস্থ শহর বিএনপি অফিসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একইসঙ্গে জেলা শ্রমিকদলের অফিসেও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি এ ঘটনার জন্য যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম মঙ্গলবার সন্ধা সোয়া ৬টার দিকে বলেন, ‘বগুড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকার সায়েন্সল্যাব এলাকায় আহত যুবকের মৃত্যু
৩ মাস আগে
কোটা আন্দোলন: শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় আহত ১০
ঝিনাইদহে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
ঝিনাইদহ শহরের উজির আলী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: সংঘর্ষের জেরে ৩ বিভাগীয় শহরসহ বগুড়ায় বিজিবি মোতায়েন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোটা বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকালে বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য শহরের উজির আলী স্কুল মাঠে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। এসময় শহরের পায়রা চত্বর এলাকা থেকে ছাত্রলীগের একটি মিছিল লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ
৩ মাস আগে
ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত ২
ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে দুইজন আহত হয়েছেন।
আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা, দাবি ছাত্রলীগ নেতাদের
আহতরা হলেন, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক বিভাগের সাবেক ছাত্র নিশাত আহমেদ (২৫) এবং সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সে ছাত্র আবরার নাদিম ইতু (২৬)।
জানা যায়, সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে শহরের ব্রাহ্মসমাজ সড়কের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। সেখানে তারা সড়কে বসে নানা শ্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে বেলা সোয়া ১১টার দিকে অর্ধশত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা।
হামলার বিষয়ে আহত আবরার নাদিম ইতু বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি শুরু হতে না হতেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা করে। আমাদের প্রত্যেকের মাথায় আঘাত করেছে তারা। আমাদের দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়ে গেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিলুর রহমান রিয়াদ বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের পাশ দিয়ে ছাত্রলীগের একটি মিছিল যাওয়ার সময় আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর স্লোগান দিলে সংঘর্ষ হয়।’
ফরিদপুরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কথা বলতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: মঙ্গলবারের কর্মসূচি ঘোষণা আন্দোলনকারীদের
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ স্লোগানে এডিটরস গিল্ড ও বিএফইউজের নিন্দা
৩ মাস আগে
কোটা আন্দোলন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে উত্তাল এক রাত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর সোমবার দিবাগত রাতে সহিংস হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। বহিরাগতদের নিয়ে দুই দফায় হামলা চালায় তারা। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস।
এর আগে ছাত্রলীগের হামলার শঙ্কায় উপাচার্যের বাসভবনে আশ্রয় নেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হতে হয় তাদের। পরে বিভিন্ন হল থেকে শত শত শিক্ষার্থী এসে হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিতাড়িত করে।
সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, রাত ১২টার পরপর তিন শতাধিক কর্মী ও বহিরাগতদের নিয়ে প্রথম হামলা চালায় ছাত্রলীগ। হেলমেট পরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আসে তারা।
৩ মাস আগে
কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের ক্যাডারদের লেলিয়ে দেওয়ায় সরকারের নিন্দা ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের 'ক্যাডার' ও পুলিশকে যারা লেলিয়ে দিয়েছে তারা মানবতা বিবর্জিত।
সোমবার(১৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে 'ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের' হামলায় ২৫০ শিক্ষার্থী আহত
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মিলে শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংসভাবে হামলা চালায় তারা মানবতাবিরোধী ও অমানবিক। যারা দুর্নীতি ও সহিংসতায় লিপ্ত তারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন নিয়েও সন্দিহান।’
তিনি বলেন, লুটপাটের আদর্শে পরিচালিত সরকারের মাধ্যমে কখনো জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ‘তাই সম্মিলিত কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে তারা চরম বর্বরতার আশ্রয় নিয়েছে। কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগের ক্যাডারদের কাপুরুষোচিত হামলার ও ঘৃণ্য ঘটনার জন্য আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
বিএনপি মহাসচিব আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন এবং হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করেন।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনে সরকার উদ্বিগ্ন ও মরিয়া হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: চবি-ষোলশহরে কোটাবিরোধী ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ, আহত ১০
তিনি আরও বলেন, ‘তাই আন্দোলন দমনের জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে এখন নির্দয়ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য।’
তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার কোটা ইস্যুতে প্রতিনিয়ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। ‘কারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে ভিন্ন পদ্ধতিতে তা পুনর্বহাল করেছেন।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিকে রক্তাক্ত করার মাধ্যমে দমন করার চেষ্টা করছে। ‘তাদের হাতে জনগণ, রাষ্ট্র, সমাজ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কখনো নিরাপদ নয়।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী মহল ভয়ংকর দমন-পীড়নের মাধ্যমে দেশের জনগণকে চুপ করিয়ে দিতে চায়। সাধারণ ছাত্রদের চলমান আন্দোলন দমনের মনোভাব আওয়ামী সরকার যেমন গ্রহণ করেছে, তেমনি গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনের ওপর স্টিমরোলার চালাচ্ছে। তাই এ ধরনের পৈশাচিক কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।’
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা বিএনপির
৩ মাস আগে