ঝড়
ফিলিপাইনে বন্যায় ২৫ জনের মৃত্যু
ফিলিপাইনে ক্রিসমাসের ছুটির সময়ে ভারী বর্ষণ ও বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২৬ জন।
বুধবার দেশটির দুর্যোগকালীন উদ্ধারকারী সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিল জানিয়েছে, প্রায় চার লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৮১ হাজার জনের বেশি এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ৯ জন।
সংস্থাটি আরও জানায়, নিহত ২৫ জনের মধ্যে ১৬ জন মারা গেছেন দেশটির দক্ষিণের উত্তর মিন্দানাও অঞ্চলে।আর নিখোঁজ ২৬ জনের মধ্যে পূর্ব বাইকল অঞ্চলে মারা গেছেন ১২ জন।
আরও পড়ুন:ফিলিপাইনে টাইফুনের আঘাতে ৫ উদ্ধারকর্মী নিহত
রাজ্য আবহাওয়া ব্যুরো প্যাগাসা জানিয়েছে, এটি একটি বিভক্ত রেখা- যেখানে উষ্ণ এবং ঠান্ডা বাতাস মিলিত হয়। যা পূর্ব, মধ্য এবং দক্ষিণ ফিলিপাইনের কিছু অংশে বৃষ্টির সূত্রপাত করেছে।
বৈরি আবহাওয়ায় প্রদেশে বড়দিন উদযাপনকে ক্ষতিগ্রস্ত ও ব্যাহত করেছে। দক্ষিণাঞ্চলের প্রদেশ মিসামিস অক্সিডেন্টালের ফটোতে দেখা যাচ্ছে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তায় উদ্ধারকারীরা প্লাস্টিকের চেয়ারে বয়স্ক মহিলাকে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। প্রদেশের কিছু বাসিন্দাকে ফ্লোটারে ঝুলতে দেখা গেছে। উপকূলরক্ষী উদ্ধারকর্মীরা একটি দড়ি ব্যবহার করে আক্রান্তদের উদ্ধার করছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিষদ জানিয়েছে, বন্যায় এক হাজার ১৯৬টি বাড়ি, ১২৩টি রাস্তা ও ১২টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু এলাকা বিদ্যুৎ বা পানি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
বিভক্ত রেখায় প্রভাব দুর্বল হয়ে পড়লেও নতুন একটি নিম্নচাপ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্রিসমাস সপ্তাহান্তে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত একই এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে।
বুধবার আবহাওয়া ব্যুরো বলেছে যে পূর্বে বৃষ্টিপাতের এলাকায় বন্যা এবং ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতি বছর প্রায় ২০টি টাইফুন ও ঝড় ফিলিপাইনে আঘাত হানে। এটি বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগ-প্রবণ দেশ। দ্বীপপুঞ্জটি প্রশান্ত মহাসাগরের রিম বরাবর ‘রিং অফ ফায়ার’ এ অবস্থিত, ফলে অনেক আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং ভূমিকম্প হয়।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যা-ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭
ফিলিপাইনে টাইফুনের আঘাতে ৫ উদ্ধারকর্মী নিহত
প্রবল শক্তি সঞ্চার করে টাইফুন নোরু রবিবার ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে। এতে পাঁচজন উদ্ধারকর্মী নিহত হয়েছেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তারা জানান, এই বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুনটি রবিবার রাতে কুইজন প্রদেশের বার্দিওস শহরে উপকূলে আঘাত হানে। তারপর এটি প্রধান দ্বীপ লুজন শহরে ওপর দিয়ে বয়ে যেতে থাকে, সেখানে থাকা হাজার হাজার বাসিন্দাদেরকে জরুরিভাবে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে টাইফুন ‘রাই’য়ের তাণ্ডবে নিহত বেড়ে ২০৮
ম্যানিলার উত্তরে বুলাকান প্রদেশের গভর্নর ড্যানিয়েল ফার্নান্দো বলেছেন, বন্যার পানিতে আটকে পড়া বাসিন্দাদের সাহায্য করতে নৌকা নিয়ে পাঁচজন কর্মী উদ্ধার অভিযানে গেলে পানিতে ডুবে তারা মারা যান।
ফার্নান্দো ডিজেডএমএম রেডিও নেটওয়ার্ককে জানিয়েছেন, তারা হচ্ছেন জীবন্ত নায়ক, এই দুর্যোগের মধ্যে আমাদের দেশবাসীর জীবন বাঁচাতে সাহায্য তারা করছেন। ‘সত্যি এটা খুবই দুঃখজনক।’
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্ব কুইজন প্রদেশের পলিলো দ্বীপে একজন ব্যক্তি তার বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭, নিখোঁজ ১১০
জোয়ারভাটা, বন্যা এবং ভূমিধসের অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে থাকা শুধুমাত্র কুইজোন প্রদেশ থেকে ১৭ হাজার বেশি মানুষকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
মেট্রোপলিটন ম্যানিলায় তিন হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, সেখানে সারারাত প্রচণ্ড বাতাস এবং বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সোমবার রাজধানী ম্যানিলাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস ও সরকারি কাজকর্ম বন্ধ ছিল এবং সকালের আকাশ রৌদ্রোজ্জ্বল হলেও সতর্কতা হিসেবে প্রদেশগুলোতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে টাইফুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ এর কাছাকাছি
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস টাইফুন আঘাত হানার আগে সতর্কতা হিসেবে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্য কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেছেন।
ঝড়ে পদ্মায় ট্রলার ডুবে ২ কৃষক নিখোঁজ
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং টার্নিংয়ের কাছে ঝড়ের কবলে পরে পদ্মায় ১৫ আরোহীসহ ধানভর্তি ট্রলার ডুবিতে দুই কৃষক নিখোঁজ হয়েছেন। শনিবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ কৃষকেরা হলেন-মাদারীপুরের শীবচর উপজেলার রাজারচরের হেলাল ফকির (৫০) ও আলো ফকির (৬০)।
জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের আঁড়িয়াল বিলে ধান কেটে কৃষকেরা নিজেদের ভাগের প্রায় ১৫০ মণ ধানসহ বাড়ি ফিরছিলেন। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার যাওয়ার পথে তাদের ট্রলার মাঝ নদীতে লৌহজং টার্নিংয়ের কাছে ডুবে যায়। এই সময় ভেসে থাকা ১৩ কৃষককে আশাপাশের নৌযান উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। এসময় দুজন কৃষক নিঁখোজ হয়।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল আওয়াল বলেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি তলব করা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে নিখোঁজদের সন্ধান চলছে। কোস্টগার্ডের টহল টিম পদ্মায় দুর্ঘটনাস্থল চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও জানান,কৃষকেরা ভাড়া ট্রলারে করে পদ্মা পার হচ্ছিল।
তবে নিষেধাজ্ঞা সত্বেও উত্তাল পদ্মায় ট্রলার চলাচল করায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বরিশালে ট্রলারডুবি: ৩ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ১
মেঘনায় ট্রলারডুবি: ২ জেলের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঝড়ে ৩০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন উপজেলায় ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ঘরবাড়িসহ অন্তত ৩০০টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোমবার ভোর ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ঝড় শুরু হয়ে দশ মিনিট ধরে চলে।
ঝড়ের আঘাতে জেলার সরাইল, নাসিরনগর ও বিজয়নগর উপজেলায় ৩০০টি বাড়িঘর, বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে এবং বেশ কিছু গাছ উপড়ে পড়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা কর্মকর্তা অভিজিৎ রায় জানান, নাসিরনগর উপজেলায় ঝড়ে ৪০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঝড়ের সময় পূর্ব বালিখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের একটি অংশ ধসে পড়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদ্যালয়টি বন্ধ রাখতে বাধ্য হন।
পশ্চিম ইউরোপে ঝড়ে নিহত ১২
পশ্চিম ইউরোপে প্রচণ্ড ঝড়ের প্রভাবে ১২ জন নিহত হয়েছেন। আয়ারল্যান্ড, ব্রিটেন, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানিতে গাছ পড়ে এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় প্রায় চার লাখ মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
শুক্রবারের এই ঝড়টি এক সপ্তাহের মধ্যে এই অঞ্চলে আঘাত হানা দ্বিতীয় ঝড়।
ঝড়ের প্রভাবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আইল অব ওয়াইট-এ শুক্রবার ১২২মাইল প্রতি ঘণ্টায় ১৯৬ কিলোমিটার দমকা হাওয়া রেকর্ড করা হয়েছে। এটি নিশ্চিত হলে ইংল্যান্ডে এটি হবে সবচেয়ে বড় ঝড়ের রেকর্ড।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়া বাজার ও প্রযুক্তি পণ্য অবরোধের মুখে পড়বে
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার আরও শক্তিশালী ঝড় ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানবে। এ সময় তুষারধসের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আরও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল রেল অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, বৃহত্তর গ্রেট ব্রিটেন জুড়ে রুটগুলোতে আবহাওয়ার কারণে রেল যোগাযোগের ব্যাঘাত অব্যাহত থাকবে।
জম্মু ও কাশ্মীরে হঠাৎ বন্যায় ৬ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ২৬
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে আকস্মিক ঝড়বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় কমপক্ষে ৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। বুধবার ভোরে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত পার্বত্য কিস্তোয়ার জেলার কনজার গ্রামে এই দুর্যোগে ২৬ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছে। এ সময় বেশিরভাগ মানুষ তাদের বাড়িতে ঘুমাচ্ছিল।
আরও পড়ুনঃ ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্রামের কমপক্ষে আট থেকে দশটি ঘর বন্যার পানির স্রোতে ভেসে গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে কিস্তোয়ারের জেলা প্রশাসক অশোক কুমার শর্মা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ছয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও প্রায় ১২ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সর্বাত্মক সহায়তা দেবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীকে উদ্ধারকাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভারতে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত শতাধিক
মঙ্গলবার রাতে জেলা প্রশাসনের এক উপদেষ্টা বলেন "আবহাওয়া অধিদপ্তর আগাম দিনগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে এবং নদী ও নালার জলের স্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা নদী, নালা, জলাশয় এবং স্লাইড-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বাসিন্দাদের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ রাতে ভারত থেকে ২৫০ ভেন্টিলেটর আসছে
ঝিনাইদহে ঝড়ে লন্ডভণ্ড অর্ধশত বাড়িঘর
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আড়মুখী গ্রামে হঠাৎ ঝড়ে লন্ডভণ্ড হয়েছে অর্ধশত বাড়িঘর। উপড়ে গেছে শত শত গাছপালা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার আড়মুখী গ্রামে এ ঝড় আঘাত হানে।
নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবীর হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকাল থেকেই হালকা বাতাসের সাথে বৃষ্টিপাত হয়। সন্ধ্যার পর হঠাৎ করেই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। শুরু হয় ঝড়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায়
তিনি আরও জানান, ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড স্থায়ী এ ঝড়ে আড়মুখী গ্রামের কুটিপাড়া থেকে পশ্চিম পাড়া পর্যন্ত প্রায় ১০০ মিটারের মত ব্যাস ধারন করে ২ কিলোমিটার লম্বা স্থান ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে। এতে অর্ধ-শত কাঁচা-পাকা বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। উপড়ে যায় শতশত গাছপালা। ঝড়ের কবলে পড়ে নারী ও শিশুসহ ৩ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ইয়াসের প্রভাবে ১৬ গ্রাম প্লাবিত
ক্ষতিগ্রস্থ ওই গ্রামের বাবলু শেখ বলেন, হঠাৎ করে ঝড় শুরু হলো। কিছু বোঝার আগেই ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের মধ্যে গাছপালা উপড়ে গেল। বাড়িঘর ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশে গেছে।
একই এলাকার দোস্তর আলী বলেন, যাদের মাটির ঘর বা টিনের ঘর ছিল তাদের আর কিছুই নেই।
আরও পড়ুন: 'ইয়াস' মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান বলেন, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মৌসুমের শুরুতেই নেত্রকোণায় প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি
নেত্রকোণায় ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমের শুরুতেই মঙ্গলবার প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে উঠতি বোরো ফসল, আম্রমুকুল, লিচুসহ সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরে ঝড়ে অর্ধশত ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড, আহত ৫
সদর উপজেলার পিয়ারাপুর, আবিরনগর ও কুমিদপুর এলাকায় শুক্রবার রাতে বৃষ্টি ও ঝড়ে চার শতাধিক গাছপালা ও অর্ধশত বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এ সময় আহত হয়েছেন পাঁচজন।
ঝড়ের পর ঢাকায় বাতাসের মানের উন্নতি
কালবৈশাখী ঝড়ের হানার পর রাজধানী ঢাকায় বাতাসের মানের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।