আপিল
শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলা: মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামির আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
মাগুরায় আলোচিত শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হিটু শেখের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের রায়ে তাকে দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। হিটু শেখ শিশুটির বোনের শ্বশুর।
বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার(১ জুলাই) এ আদেশ দেন। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হিটু শেখের করা আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে তার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন।
আইনজীবী মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে হিটু শেখের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। তার অর্থদণ্ডও স্থগিত করা হয়েছে।’
শিশুটি বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন ১৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়।
পরে ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ৬ মার্চ ঘটনার দিন থেকে গণনা করলে ৭৩ দিনের মাথায় গত ১৭ মে রায় ঘোষণা করেন মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২৫ জুন হাইকোর্টে আপিল করেন হিটু শেখ। এছাড়া ডেথ রেফানেন্স হিসেবে গত ২১ জুন মামলাটির যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এখন একসঙ্গে ডেথরেফারেন্স ও আসামির করা আপিলের শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
পড়ুন: আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড
১৫৭ দিন আগে
ইশরাকের মেয়র ঘোষণার গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিতের বিষয়ে আপিল শুনানি বুধবার
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছেন চেম্বার বিচারপতির আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এ আদেশ দেন। আদেশ অনুযায়ী বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
আদালতে ইশরাকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন।
এর আগে গত ২২ মে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ কারে দেন হাইকোর্ট। পরে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করা হয়। আবেদনে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে এই আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস। সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন বিএনপি নেতা ইশরাক। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান মিয়া।
এর মধ্যে গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। আদালত ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। এ রায় পাওয়ার পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এদিকে গেজেট প্রকাশের দিন ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করতে আইনি নোটিশ দেন রফিকুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ নামে দুই ব্যক্তি। নোটিশে গেজেট প্রকাশ এবং ইশরাককে শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
পরে মামুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে ২৭ মার্চের রায় এবং ২৭ এপ্রিলের গেজেট কেন বেআইনি হবে না এবং ইশরাক হোসেনের শপথ পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় রায় ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়। রিট আবেদনটির শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ২২ মে সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে ইসির গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
১৯২ দিন আগে
জুবাইদা রহমানের আপিলের রায় ২৮ মে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) শুনানি শেষে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিলের রায় দিতে ২৮ মে দিন ধার্য করেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আপিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
এর আগে গত ২২ মে এ মামলার শুনানি হয়েছিল। তার আগে গত ১৪ মে ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জরিমানা স্থগিত করে ওইদিন আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আপিলের জন্য জুবাইদার ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা হাইকোর্টের
গত ১৩ মে আপিল দায়েরের ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন হাইকোর্ট। বিলম্ব মার্জনার পর ওই দিনই ডা. জুবাইদা রহমান সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমানকে দুই ধারায় মোট নয় বছর এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর এবং ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন ডা. জুবাইদা রহমান।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর চলতি বছরের ৬ মে শাশুড়ি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরে আসেন তিনি।
১৯৩ দিন আগে
আপিলের জন্য জুবাইদার ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা হাইকোর্টের
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। এই মামলার আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে তার ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিচারপতি খসরুজ্জামানের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। জুবাইদা রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
কায়সার কামাল জানান, সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে। এ ছাড়া, আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে করা আবেদন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ফিরোজার পথে খালেদা, জোবাইদার ১৭ বছর নির্বাসনের অবসান
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
পরে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট করা এই মামলার রায় দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। ওই রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পরে এই মামলায় জুবাইদা রহমানের সাজা স্থগিত করে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে সাজা স্থগিত চেয়ে জুবাইদা রহমানের করা আবেদন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় তাকে দেওয়া দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়েন জুবাইদা রহমান। এরপর থেকে লন্ডনেই ছিলেন তিনি।
সেখান থেকে ৬ মে শাশুড়ি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ১৭ বছর পর দেশে ফেরেন জুবাইদা রহমান।
দেশে ফিরে আপিল করার জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনটি আজ (মঙ্গলবার) কার্যতালিকায় উঠলে সেটি মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরি ফিরে পেতে চলেছেন ডা. জোবাইদা
২০৬ দিন আগে
চলতি সপ্তাহে কার্যতালিকায় আসবে জামায়াতের নিবন্ধনের আপিল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আংশিক শ্রুত আপিলটি চলতি সপ্তাহে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় থাকবে। জামায়াতের পক্ষ থেকে বিষয়টি উপস্থাপনের পর রবিবার (৪ মে) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ বলেছেন- ‘কার্যতালিকা ওয়াচ (নজরে রাখবেন) করবেন। মঙ্গলবার বা বুধবার কার্যতালিকায় আসবে।’
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল মামলাটি খারিজ (আইনজীবী হাজির না থাকায়) করে দেয়। এরপর আপিলটি পুনরুজ্জীবনের জন্য আবেদন করা হয়। গত বছরের ২২ অক্টোবর আদালত বিলম্ব মার্জনা করে আপিলটি শুনানির জন্য পুনরুজ্জীবিত করেছেন।
এরপর গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছিল। প্রথম দিনের শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য ১০ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেন আদালত। ওইদিন পরবর্তী শুনানির জন্য ১৪ জানুয়ারি এবং এরপর ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করলে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
প্রথম দিনের শুনানির বিষয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘শুনানিতে যা বলা হয়েছে তা হলো, যারা রিট করেছিলেন তারা বলেছেন জনস্বার্থে করেছেন। কিন্তু মূলত এটা জনস্বার্থে রিট করা হয়নি। এটি করা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। তারা যে রিট করেছেন তাদের সেই এখতিয়ার নেই। তারা জনস্বার্থে বলেছেন, কিন্তু মূলত রিট করেছেন ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক স্বার্থে।’
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।
রিটে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়। তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের আর্জি জানান।
এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের (বর্তমানে অবসর) হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দুইবার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দুইবার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়।
এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।
২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হয়। একই বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন (বর্তমানে অবসর), বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের (১৯ নভেম্বর পদত্যাগ করেন) সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।
সে সময় সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেন, এ নিবন্ধন দেওয়া আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। একইসঙ্গে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে দেন। তবে এ রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে।
২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এদিন আদালতে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর ও আহসানুল করীম। জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউর রহমান।
আরও পড়ুন: নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনায় কমিটি চেয়ে রিট
ওইদিন আইনজীবী জিয়াউর রহমান বলেন, আমাদের সিনিয়র আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলীর ব্যক্তিগত অসুবিধা ছিল। আর অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীনও অনুপস্থিত ছিলেন। এ ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে ছয় সপ্তাহ সময় চেয়েছিলাম। যেহেতু আমাদের আইনজীবীরা উপস্থিত নেই, সেহেতু আদালত এটা ডিসমিস ফর ডিফল্ট করেছেন। অর্থাৎ আইনজীবী উপস্থিত না থাকার কারণে খারিজ করেছেন।
এরপর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ফের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। গত জুলাই মাস থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। এ আন্দোলনে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ছাত্র-জনতা সরকার পদত্যাগের দাবি তোলে। এর মধ্যে ১ আগস্ট সরকার অঙ্গসংগঠনসহ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
পরে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের আবেদন বাতিলের উদ্যোগ নেয়। গত ২৮ আগস্ট সরকার আগের নিষিদ্ধের আদেশ বাতিল করে। এরপর আপিল বিভাগে নিবন্ধন মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য আবেদন করে।
২১৫ দিন আগে
আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের রায় রবিবার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ডেথরেফারেন্স ও আপিলের ওপর হাইকোর্টের রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল রবিবার।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্যে এ দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ করে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
আরও পড়ুন: শহীদ আবরার ফাহাদ মসজিদের সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করলেন আসিফ
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, খন্দকার বাহার রুমি, নূর মুহাম্মদ আজমী ও রাসেল আহম্মেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল জব্বার জুয়েল, লাবনী আক্তার, তানভীর প্রধান ও সুমাইয়া বিনতে আজিজ।
আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী, মোহাম্মদ শিশির মনির।
শনিবার (১৫ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায় এটি রায়ের জন্য রবিবারের কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের পানি বণ্টন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করে সংগঠনটির ক্যাডাররা। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। মাত্র ৩৭ দিনে তদন্ত শেষ করে একই বছরের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল (২৪), মো. অনিক সরকার ওরফে অপু (২২), মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত (২৩), ইফতি মোশাররফ সকাল (২০), মো. মনিরুজ্জামান মনির (২১), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (২৩), মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ (২০), মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ (২১), খন্দকার তাবাকারুল ইসলাম অরফে তানভির (২১), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (২১), মো. শামীম বিল্লাহ (২১), মো. সাদাত এ এস এম নাজমুস সাদাত (২১), মুনতাসির আল জেমী (২০), মো. মিজানুর রহমান মিজান (২২), এস এম মাহমুদ সেতু (২৪), সামসুল আরেফিন রাফাত (২১), মো. মোর্শেদ অরফে মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (২০), এহতেশামুল রাব্বি অরফে তানিম (২০) (পলাতক), মোহাম্মদ মোর্শেদ উজ্জামান মণ্ডল প্রকাশ জিসান (২২) (পলাতক), মুজতবা রাফিদ (২১) (পলাতক)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- অমিত সাহা (২১), ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (২১), মো. আকাশ হোসেন (২১), মুহতাসিম ফুয়াদ (২৩) ও মো. মোয়াজ অরফে মোয়াজ আবু হোরায়রা (২১)।
নিম্ন আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়।
ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে—তা অনুমোদনের জন্য মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। এটাকেই ডেথরেফারেন্স বলা হয়।
আরও পড়ুন: আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা: হাইকোর্টের রায় যেকোনো দিন
পরে কারাবন্দি আসামিরা জেল আপিল করেন। পাশাপাশি অনেকে ফৌজদারি আপিলও করেছেন।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এই ডেথরেফারেন্স ও আপিলের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।
২৬৫ দিন আগে
তারেক রহমান-মামুনের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের রায় ৬ মার্চ
অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ রায়ের জন্য ৬ মার্চ দিন রেখেছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। এর আগে ১০ ডিসেম্বর এ মামলায় মামুনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিলের অনুমতি দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে দণ্ড স্থগিত করা হয়। পরে মামুন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন মামুন
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলাটি করে দুদক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন।
সিঙ্গাপুরে এ টাকা লেনদেন হয়। এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এরপর ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত। মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়, যাদের মধ্যে চার্জ শিটের বাইরের সাক্ষী হিসেবে ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট।
বিচার শেষে এ মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয়: তারেক রহমান
এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পাশাপাশি গিয়াস উদ্দিন মামুনও আপিল করেন। দুই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
একই মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন মামুন আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
২৭৬ দিন আগে
‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান ঘোষণার রায় স্থগিত
‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান করতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। তিনি আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২০২০ সালের ১০ মার্চ জায় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করার ওই রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ‘জয় বাংলা জাতীয় ঐক্যের স্লোগান। জয় বাংলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় স্লোগান এবং জয় বাংলা ৭ মার্চের ভাষণের সাথে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ’আদালত আরও বলেন, ‘আবেদনকারী সংবিধানের ৩ ও ৪ নম্বর অনুচ্ছেদের ধারাবাহিকতায় জাতীয় স্লোগান হিসেবে জয় বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করেছেন, এটা এই আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত। কারণ কোনো আইন প্রণয়ন করা এবং সংবিধান সংশোধন করার একমাত্র অধিকার জাতীয় সংসদের। ’
তবে রাষ্ট্রপক্ষ এ রুলের সমর্থনে হলফনামা দিয়েছেন উল্লেখ করে আদালত রায়ে বলেন, আইন সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব জয়বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করায় একমত পোষণ করেছেন। এরপর আদালত রায়ের আদেশ অংশ ঘোষণা করেন। আদেশে আদালত বলেন—ক. আমরা ঘোষণা করছি যে, জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে।
খ. সকল জাতীয় দিবসগুলোতে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদাধিকারী এবং রাষ্ট্রীয় সব কর্মকর্তা সরকারি অনুষ্ঠানের বক্তব্য শেষে জয় বাংলা স্লোগান উচ্চারণ যেন করেন, সেজন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
গ. সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি সমাপ্তির পরে ছাত্র-শিক্ষকরা যেন জয় বাংলা স্লোগান উচ্চারণ করেন, তার জন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। আদালতের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন ৩ মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে দাখিলে নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। রুলে ‘জয় বাংলা’কে কেন জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে ৫ ডিসেম্বর থেকে এ রুলের শুনানি শুরু হয়। এরপর হাইকোর্ট রায় দেন। সম্প্রতি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
৩৬০ দিন আগে
গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আপিলের শুনানি চলছে আইসিজেতে
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে দুই দিনের শুনানি শুরু হয়েছে।
শুনানিতে অংশ নিয়ে নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত ভুসিমুজি ম্যাডোনসেলা বিচারকদের বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণকে অব্যাহতভাবে নিশ্চিহ্ন করার কারণে তার দেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গাজার ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং বেশিরভাগ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছে।’
ফিলিস্তিনি জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় দক্ষিণ আফ্রিকার অব্যাহত আহ্বানের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, 'ইসরায়েল দায়মুক্তির চেষ্টা করে ফিলিস্তিনিদের জীবনের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করে চলেছে।’
২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইসিজেতে প্রথম আবেদনের পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ক্রমাগত গণহত্যা বন্ধে অতিরিক্ত 'অস্থায়ী ব্যবস্থা' গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় শত শত মানুষের মৃত্যু, নিখোঁজ অনেক
নতুন আবেদনে, ‘গাজার পরিস্থিতির গুরুত্ব’ বৃদ্ধি এবং ‘গাজায় যে মাত্রায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এমন চিত্র দেখা যায়নি’ বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ম্যাডোনসেলা।
রাফাহসহ গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে এবং পুরো গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানান ম্যাডোনসেলা।
এছাড়া জাতিসংঘ ও মানবিক সহায়তার জন্য গাজায় অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে 'সব ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা' নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ইসরায়েলের যুক্তিতর্ক শুক্রবার আইসিজেতে উপস্থাপন করা হবে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে একটি রায় দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাফাহর আরও গভীরে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী
৫৬৭ দিন আগে
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে নয়: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির আসামিদের কনডেম সেলে রাখা যাবে না বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৪ মে) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
তিনি বলেন, রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পেলে আমরা আপিল করব। এখন রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এটি বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হবে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ ও বেআইনি বলে এর আগে সোমবার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ ও বেআইনি: হাইকোর্ট
জনস্বার্থে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে এমন রায় দেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ।
রায়ে আদালত বলেছেন, কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগ এবং রিভিউয়ের পরও বহাল থাকলে এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমার আবেদনও নাকচ হয়ে গেলে তখনই তার ‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত’ হয়েছে বলে ধরতে হবে।
একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ‘চূড়ান্ত হওয়ার আগেই’ যাদের কনডেম সেল রাখা হয়েছে, তাদের পর্যায়ক্রমে সাধারণ সেলে স্থানান্তর করতে জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এ কাজের জন্য দুই বছর সময় বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে, কোনো দণ্ডিত আসামি যদি তেমন কোনো সংক্রামক ব্যধিতে আক্রান্ত হন যে তাকে অন্যদের সঙ্গে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ, তখন তাকে কনডেম সেলে রাখা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন আদালত। তবে এক্ষেত্রেও আলাদাভাবে দণ্ডিতের বক্তব্য শোনার শর্ত দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।
জানা যায়, কারাবিধির ৯৮০ ধারা অনুযায়ী, বিচারিক আদালতে কারো মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হওয়ার পর পরই আসামিকে কনডেমড সেলে নেওয়া হয়। এরপর তার বিচার চূড়ান্ত হতে লেগে যাচ্ছে এক থেকে দেড় যুগ। চূড়ান্ত বিচারে অনেকে খালাস পাচ্ছেন। অনেকের সাজা কমে যাচ্ছে। কিন্তু প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ওই আসামিকে কারাগারের একটি ছোট নির্জন কক্ষে বাস করতে হচ্ছে।
এসব বিষয় লক্ষ্য করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত বা দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কারাগারের কনডেম সেলের তিন কয়েদি।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে ৪১টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
তারা হলেন- সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও খাগড়াছড়ির শাহ আলম। ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখা কেন আইনত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা সংক্রান্ত কারাবিধির ৯৮০ বিধিটি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেইসঙ্গে কনডেম সেলে রাখা বন্দিদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, সে বিষয়ে প্রতিবেদন চান আদালত।
রিটে বলা হয়, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার আইনগত কোনো বিধান নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুসারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) নিতে হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুসারে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টে আপিল করতে পারেন। হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করার সুযোগ আছে দণ্ডিত ব্যক্তির। সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করার সুযোগ আছে। এ ছাড়া সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। ক্ষমার এ আবেদন রাষ্ট্রপতি যদি নামঞ্জুর করেন, তাহলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে সরকার আইনগত বৈধতা পায়। অথচ বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশের পরপরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কনডেমড সেলে বন্দি রাখা হচ্ছে। হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের আগে দণ্ডিত ব্যক্তিকে কনডেমড সেলে রাখা তার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এ রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়। রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান বিশেষজ্ঞ মত নেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রুলের ওপর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়। সে অনুযায়ী হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: জবির সাবেক শিক্ষার্থীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
৫৭০ দিন আগে