সচেতনতা
ডেঙ্গু সচেতনতায় মসজিদে-মসজিদে আলোচনা ও লিফলেট বিতরণ
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মসজিদে-মসজিদে লিফলেট বিতরণ ও করণীয় সম্পর্কে মুসল্লিদের দিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
শুক্রবার (২১ জুলাই) ডিএসসিসি আওতাধীন মসজিদগুলোতে জুমার নামাজে অংশগ্রহণকারী মুসুল্লিদের সচেতন করার লক্ষ্যে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর ব্যর্থতায় ঢাকার দুই মেয়রের পদত্যাগ চায় বিএনপি
এছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এসময় কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এই আলোচনা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হল ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে জনসাধারণকে শিক্ষিত করা এবং এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণকে উন্নীত করা।
এর আগে ১৩ জুলাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) তার এলাকায় ডেঙ্গু রোগ ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছিল।
ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে কন্ট্রোলরুমের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: হাফেজ আবু তালহার সাফল্য বাংলাদেশের জন্য গৌরবের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
সচেতনতার অভাবে দূষণের মারাত্মক ঝুঁকি : সিপিডি
বাংলাদেশ বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে এবং সময়োপযোগী নীতি ও গণসচেতনতার অভাবে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। সিপিডির এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
গত ২০ বছরে বায়ু দূষণজনিত রোগে মৃত্যুর হার ৯ শতাংশ বেড়ে গেলেও ঢাকা মহানগরীতে দূষণ থেকে রেহাই নেই।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) রবিবার ধানমন্ডির নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার মাধ্যমে সবুজ নগরের উন্নয়ন’ শীর্ষক জ্ঞান-আদান-প্রদান কর্মশালায় উপস্থাপনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি তুলে ধরে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এর রিসার্চ ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত।
সিপিডি ‘গ্রিন সিটিস ইনিশিয়েটিভ’ শিরোনামের একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যার লক্ষ্য বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণ এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্ক বোঝা এবং প্রাসঙ্গিক নীতিগত সুপারিশ করা।
আরও পড়ুন: ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
গ্রিন সিটিস ইনিশিয়েটিভ দুটি বিস্তৃত বিষয়ভিত্তিক ক্ষেত্রে ফোকাস করবে- বায়ু দূষণ এবং প্লাস্টিক দূষণ।
প্রেজেন্টেশনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।
বায়ু দূষণের মধ্যে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) পিএম২.৫ এবং পিএম১০ যথাক্রমে ২.৫ মাইক্রোমিটার এবং ১০ মাইক্রোমিটার থেকে কম বায়ুগত ব্যাস নিয়ে গঠিত। পিএম ২.৫ এতই কম সময় যে তাদের কোটি কোটিকে একটি লোহিত রক্তকণিকার ভিতরে লাগানো যেতে পারে, যার ফলে শ্বাসযন্ত্র, কার্ডিওভাসকুলার এবং অন্যান্য ধরণের রোগে মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ কর্মসূচি: শাহাব উদ্দিন
পিএম দূষণ ১৯৯৫ সালে ৫১.৬ মাইক্রোমিটার/এম৩ থেকে ২০১৯ সালে ৬৩.৪ মাইক্রোমিটার/এম৩ -তে বেড়েছে – যা ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটির গুরুতর স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যগত প্রভাব রয়েছে, যা শ্রমশক্তির উৎপাদনশীলতা হ্রাস করে এবং পরিবেশগত ক্ষতি করে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে, উপস্থাপনা প্রকাশ করে।
শক্তিশালী রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং কার্যকর নীতি অবিলম্বে নেওয়া না হলে আগামী বছরগুলোতে বায়ু দূষণ বাড়তে পারে বলে উল্লেখ করেছে সিপিডি।
আরও পড়ুন: এ বছর সারাদেশে ৫০ লাখ চারা বিতরণ করবে ‘বনায়ন’
অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ের সঙ্গে নাগরিক সচেতনতা জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে অবকাঠামো নির্মাণে সকল আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করার বিকল্প নেই। সেজন্য একটি এলাকায় পর্যাপ্ত রাস্তাঘাট, জলাধার ও উন্মুক্ত স্থান থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বসবাসযোগ্য ঢাকা নির্মাণে এই শহরের জনসংখ্যা এবং তাদের জন্য সুযোগ সুবিধা নির্ধারণ করতে হবে। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ এবং অপর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধার কারণে ঢাকা শহর দিন দিন বসবাসের যোগ্যতার মাপকাঠিতে নিম্নগামী।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি সংস্থাসমূহের সঠিক সমন্বয়ের সঙ্গে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে জনগণের সচেতনতাও জরুরী।
আরও পড়ুন: স্মার্ট সিটি গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এ সময় তিনি বলেন, সবাই স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করলে আমরা অগ্নিদুর্ঘটনা রোধ করতে পারব।
তিনি বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘বারবার অগ্নিদুর্ঘটনার কারণ: প্রতিরোধে করণীয়’- শীর্ষক নগর সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, আলোচক হিসেবে ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসান, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ।
এতে সভাপতিত্ব করেন নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পাল এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ প্লানার্সের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান।
মন্ত্রী বলেন, একটি বিল্ডিং বা মার্কেট নির্মাণের সময় বিশেষজ্ঞ হিসেবে আর্কিটেক্ট থেকে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ার সবাই পরিকল্পনা করে অবকাঠামো নির্মাণ করেন। নির্মাণের সময় যদি সঠিক নিয়ম মেনে অবকাঠামো নির্মাণ করা না হয় তাহলে সেখানে অগ্নি ঝুঁকি অবশ্যম্ভাবী।
তিনি বলেন, যে কোন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণে আইনের ব্যতয় হলে যিনি আইন ভঙ্গ করেছেন তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।সেক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট বা ভবনের মালিক যার অবহেলায় অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটবে তাকেই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এ সময় অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে নিয়মিত মহড়া ও প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেন তিনি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো নির্মাণে ইলেকট্রিক তার থেকে শুরু করে যে ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করা হয় তার গুণগত মান নিশ্চিত কল্পে বিএসটিআই সহ অন্যান্য সংস্থাগুলোকে নজরদারি বাড়াতে হবে এবং যথাযথ গুণগতমান অক্ষুন্ন রেখে তা বাজারজাত করতে হবে।
এ সময় তিনি সিগারেটের আগুন থেকে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। আগুনে পুড়ে জানমাল সবকিছু বিনষ্ট হওয়ার পরে আফসোস করা থেকে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রথম থেকেই সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান ঢাকার সকল ভবনের বিস্তারিত জরিপ এবং ডিজিটাল তথ্যব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, অগ্নিদুর্ঘটনার প্রতিরোধে ইমারত নির্মাণ,জলাধার এবং ভূমির যথাযথ পরিকল্পনা ও ব্যবহার বাস্তবায়ন জরুরি।
আরও পড়ুন: অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ের সঙ্গে নাগরিক সচেতনতা জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যক্রম চলবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে দুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব
বাংলাদেশ দুর্যোগ প্রবণ দেশ হওয়ায় সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে যেকোনো দুর্যোগ সহজে মোকাবিলা সম্ভব বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, সচেতনতা যত বৃদ্ধি পাবে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিও ততো কমে আসবে। আর সে লক্ষ্যেই সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলছে।
আরও পড়ুন: কচুয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৭ দোকান পুড়ে ছাই, আহত ১০
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আয়োজিত ‘ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডে সচেতনতা বৃদ্ধি মহড়া’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা সেখানে গেলে ভিড়ের কারণে বাধাগ্রস্ত হন। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত উৎসুক জনতা অনেক সময় তাদের হোস ও পাইপসহ নানা সরঞ্জাম নষ্ট করে। এতে কাজের ক্ষতি হয়। তাদেরকে সিস্টেমেটিক কাজের সুযোগ দিলে কোনো সমস্যা হবে না। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে কাজ সম্পন্ন করার সক্ষমতা তাদের আছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
স্তন ক্যান্সার সচেতনতায় গোলাপি সড়ক শোভাযাত্রা ও সেমিনার
‘পদ্মা পেরিয়ে দক্ষিণ বাংলায়’- এই স্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম ‘স্তন ক্যানসার সচেতনা দিবস’- ২০২২ উপলক্ষে গোলাপি সড়ক শোভাযাত্রা করেছে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি রবিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এসে পৌঁছায়। সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকালে কালীগঞ্জের সমবায় ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান প্রকৃতি মেডিকপস্ হাসপাতালের আয়োজনে বলিদাপাড়া গ্রামে সেমিনার, স্তন ক্যান্সার সচেতনা ও স্ক্রিনিং বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও সকাল থেকে স্তন ক্যান্সার আক্রান্ত ২৩ জন রোগী দেখা হয়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, নির্ণয়ের প্রক্রিয়া, চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্সার ইপিডেমিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন এর নেতৃত্বে চিকিৎসকসহ ২২জনের একটি টিম এই শোভাযাত্রা ও সেমিনারে অংশ নেন।
বক্তব্য রাখেন সেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যান সংস্থা হীল এর জেবুন নেছা, প্রকৃতি মেডিকপস্ হাসপাতালের সহভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রভাত ব্যানার্জী, হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের প্রোগ্রাম অফিসার শাহজাহান আলী বিপাশ প্রমুখ।
সেমিনারে প্রিভেনশন অব ক্যান্সার, আর্লি ডায়াগনোসিস, স্ক্রিনিং ইত্যাদির গুরুত্ব তুলে ধরেন চিকিৎসকরা।
এ সময় বক্তরা বলেন, সার্জিক্যাল ক্যান্সারের জন্য স্ক্রিনিংয়ের জন্য সারা দেশে চারশটি ভায়া সেন্টার তৈরি করা হয়েছিল। সেখানেই ব্রেস্ট ক্যান্সারের স্ক্রিনিং করা যায়। যা অনেকে জানে না।
আরও পড়ুন: রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
আত্মহত্যার প্রবণতা: কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ
ভোক্তার সচেতনতা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে কৃষকবান্ধব নীতির কারণে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে বহু গুণ। ধান, মাছ, মাংস ও সবজি উৎপাদনে কৃষকের সক্ষমতা বেড়েছে। এখন নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (কারস) মিলনায়তনে ভলান্টারি কনজুমারস ট্রেনিং এন্ড অ্যাওয়ার্নেস সোসাইটি (ভোক্তা) আয়োজিত ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: খাদ্য নিরাপত্তা ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় প্রত্যাশা ও অর্জন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, কৃষকের মাঠ থেকে ভোক্তার টেবিল সবখানেই খাবার নিরাপদ হতে হবে। এই চেইনের যে কোনো পর্যায়ে খাবার অনিরাপদ হয়ে যেতে পারে। এ কারণে ভোক্তাকে সবার আগে সচেতন হতে হবে। ভোক্তার সচেতনতা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাজারে মোটা চালের দাম বাড়েনি: খাদ্যমন্ত্রী
ভোক্তার সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান ও গ্লোবাল টেলিভিশনের সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মীজানুর রহমান বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে আমাদের দেশের মতো বাজার মনিটরিং নেই। মনিটরিং হতে হবে কত মজুদ আছে, সরবরাহ ঠিক মতো হচ্ছে কিনা? এসময় তিনি পাঠ্যক্রমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার আহবান জানান।
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, বাজারে চাহিদা ও যোগানের কোন সংকট নেই। অনেক সময় তথ্যের ঘাটতির কারনে সংকট তৈরি হয়।
সেমিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন ভোক্তার পরিচালক মহসীনুল করিম লেবু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভোক্তার নির্বাহী পরিচালক খলিলুর রহমান সজল। মূল নিবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের উপদেষ্টা এস এম সিদ্দিকী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. লতিফুল বারী।
আরও পড়ুন: বাজারে মোটা চালের দাম বাড়েনি: খাদ্যমন্ত্রী
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দেশে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বৈশ্বিক সচেতনতা জরুরি: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বৈশ্বিক সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্বের প্রতিটি দেশকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপি) ও ইউএনডিপি, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘স্কোপ অব ক্লাইমেট স্মার্ট পিপিপি ইন বাংলাদেশ এন্ড পোস্ট কোপ ২৬ ডিসকাশন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেয়ার সময় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বসবাসযোগ্য সুন্দর বিশ্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য প্রতিটি দেশকে একযোগে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার আহ্বান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর
প্রতিমন্ত্রী এ সময় পরিবেশ দূষণ রোধে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং টেকসই ও দূষণবিহীন যানবাহন ব্যবহার বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও সুলতানা আফরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং বাংলাদেশে ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন। এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর পরিচালক ড. সলিমুল হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান এবং ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রুপ পিটারসন আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্প কারখানা খুললে আইনানুগ ব্যবস্থা: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
করোনার সংক্রমণ ইস্যুতে সাধারণ ছুটির চিন্তা-ভাবনা নেই: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
নারী নির্যাতন বন্ধে আইনের পাশাপাশি প্রয়োজন সচেতনতা: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শুধু আইন প্রয়োগ করে নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করা যাবে না,এজন্য প্রয়োজন সচেতনতা। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও এই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।বুধবার রাজধানীর গুলশানের বিচারপতি সাহাবুদ্দীন পার্ক প্রাঙ্গণে নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতাবিরোধী এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমাজ পুরুষভিত্তিক। এক সময় এই সমাজে নারীর প্রতি অনেক অত্যাচার ছিল, নির্যাতন ছিল। সমাজে এসব অপরাধ প্রতিহত করতে দেশে অনেক আইন করা হয়েছে। নারীদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য এসব আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে নিষেধাজ্ঞা দুঃখজনক: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, নারীরা তার অধিকার নিয়ে সমাজে বেঁচে থাকুক, এটাই এই সরকারের লক্ষ্য। নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে আইন প্রণয়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, শক্তি ফাউন্ডেশনের ইমরান আহমেদ, মির্জা মোহাম্মদ সেলিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কমিশনকে অবিচল থাকতে হবে: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত: আইনমন্ত্রী
নিরাপদ অভিবাসন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ‘কনসার্ট ফর মাইগ্রেন্টস’ শনিবার
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবস উপলক্ষে নিরাপদ অভিবাসন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ১৮ ডিসেম্বর ‘কনসার্ট ফর মাইগ্রেন্টস’ নামে একটি ভার্চুয়াল কনসার্ট আয়োজন করবে।
দ্বিতীয়বারের মতো হতে যাওয়া কনসার্টের লক্ষ্য হলো অভিবাসী ও তাদের সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা এবং তথ্য ও বিনোদনের মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসনকে উৎসাহিত করা।
প্রথম ‘কনসার্ট ফর মাইগ্রেন্টস’ ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ২০ টিরও বেশি দেশের ৪০ লাখেরও বেশি দর্শক ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়।
সারাবিশ্বে কর্মরত প্রায় ৭৪ লাখের মতো বাংলাদেশি প্রবাসী এ কনসার্টের মাধ্যমে যুক্ত হতে পারবে এবং কনসার্টটি দেখতে পারবে।
আরও পড়ুন: চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে বিজয় মেলা: মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা
ভার্চুয়াল এ কনসার্টে গান পরিবেশন করবেন কুমার বিশ্বজিৎ, ফজলুর রহমান বাবু, শিরোনামহীন, লুইপা, আসিফ আকবর, কুদ্দুস বয়াতি, নন্দিতা, প্রীতম আহমেদ, মাশা ইসলামসহ জনপ্রিয় শিল্পীরা।
এ কনসার্টে বেশিরভাগ লোকসঙ্গীত ও সমসাময়িক সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে। মূলত যে গানগুলো সম্পর্কে অভিবাসী, তাদের পরিবার ও সাধারণ সম্প্রদায়ের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে।
বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের অষ্টম সর্বোচ্চ রেমিটেন্স অর্জনকারী দেশ এবং ১৯৭৬ সাল থেকে অভিবাসীরা ২৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন।
আইওএম বাংলাদেশের অফিসার ইনচার্জ ফাতিমা নুসরাথ গাজ্জালি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবসে, এই কনসার্টের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে অবদান রাখা বাংলাদেশি প্রবাসীদের আমরা সম্মান জানানোর সুযোগ পেয়েছি।’
তিনি বলেন, নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও বৈধ অভিবাসনের গুরুত্ব সম্পর্কে এই কনসার্ট দর্শকদের অবহিত করবে এবং একইসঙ্গে বিনোদন দেবে।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ১০ কার্যকরী পানীয়
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হোক: সুজেয় শ্যাম
কনসার্টকে সামনে রেখে কুমার বিশ্বজিৎ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘অনুগ্রহ করে কোনো ফাঁদে পা দেবেন না এবং বিদেশে অভিবাসনের সময় মানব পাচারের শিকার হবেন না। একটি সচেতন সিদ্ধান্ত নেয়াই নিরাপদে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার সর্বোত্তম উপায়।’
অভিনেতা ও গায়ক ফজলুর রহমান বাবু বলেন, ‘অভিবাসন বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত। কিন্তু এরপরও অনেক অভিবাসী অবৈধভাবে বিদেশে যাচ্ছেন।’
করোনা বিষয়ে সচেতনতা ও টিকাদানে সহায়তা করবে ফেসবুক
কোভিড-১৯ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং টিকা নিতে দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে বাংলাদেশের এটুআই, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে ফেসবুক।