মৎস্য খাত
'রপ্তানি উন্নয়নে মৎস্য খাতে ই-ট্রেসেবিলিটি সিস্টেম চালুর আহ্বান'
মৎস্য খাতের উন্নয়নে ই-ট্রেসেবিলিটি সিস্টেম(ইলেকট্রনিক যাচাই/শনাক্তকরণ পদ্ধতি) চালুর আহ্বান জানিয়েছে মৎস্য খাতের অংশীজনরা।
সম্প্রতি খুলনার নতুন বাজার লঞ্চঘাট রোডে অনুষ্ঠিত সভা থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
সভায় তারা একমত হন যে, দেশে স্মার্ট ফিশারিজ সম্প্রসারণ এবং বিশ্ববাজারে মৎস্য রপ্তানিতে সুনাম অর্জনের জন্য ই-ট্রেসেবিলিটি অপরিহার্য।
ফিশ ফার্ম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এফওএবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফিশারি প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: দুর্গা পূজার আগে ভারতে ৩৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
স্মার্ট ফিশারিজ ই-ট্রেসেবিলিটি পাইলট প্রকল্পের সমন্বয়ক মো. মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল, মৎস্য খামার মালিক সমিতির সভাপতি মোল্লা শামসুর রহমান শাহীন, খুলনা মান নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান, ক্রিসমন রোজেলা কোম্পানির পরিচালক সৈয়দ আবু মোর্শেদ, খুলনা চিংড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান মনজির, সহ-সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, নিউ মেঘনা ফিশের স্বত্বাধিকারী মো. হারুন অর রশীদ এবং এফওএবি খুলনা জেলা শাখার সদস্য সচিব শেখ শাকিল হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি: চলতি বছর এক কোটি ৩৬ লাখ ডলার আয় বাংলাদেশের
বক্তারা বলেন, ই-ট্রেসিবিলিটি সিস্টেম চালুর মাধ্যমে বিশ্ববাজারে চিংড়ি শিল্পের সুনাম ধরে রাখা সম্ভব হবে।
এজন্য সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে জড়িত মধ্যস্থতাকারী অংশীজনদের চিহ্নিত করে প্রকৃত লাইসেন্সের আওতাভুক্ত করে মাছের সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
তারা আরও বলেন, কৃষক এবং মৎস্য সংগ্রহকারীদের একটি ডিজিটাল স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনা গুরুত্বপূর্ণ, যা কৃষকদের নিরাপদ পণ্য শনাক্ত করতে সহায়তা করবে। এর ফলে মাছ বিপণনের সঙ্গে সম্পৃক্ত তরুণ ও নারীদের টেকসই কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: সরকারি নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ
বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগে বিদেশি ব্যবসায়ীদের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
বাংলাদেশ থেকে সি-ফুড আমদানি ও বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগের জন্য বিদেশি আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে স্পেনের বার্সেলোনায় গ্লোবাল সি-ফুড এক্সপো ২০২৩ এ বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় বাংলাদেশ থেকে মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদেশি ক্রেতাদের বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সবধরণের সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভালো ব্যবসার জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা হবে: জাপানি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
এ সময় তিনি জানান, বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ সরকার কর অব্যাহতিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিতে প্রস্তুত।
পাশাপাশি বাংলাদেশের চিংড়ি ও অন্যান্য মৎস্যসম্পদ রপ্তানির চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা উত্তরণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও এ সময় তুলে ধরেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, চিংড়ি, ফিনফিশ, শুটকি মাছ, কাঁকড়াসহ বিভিন্ন মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় এ অর্থবছরে ২৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকার রোগমুক্ত বাগদা চিংড়ি উৎপাদনে বেসরকারি খাতে ম্যাচিং গ্র্যান্ট প্রদানসহ চিংড়ি উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে।
সনাতনী পদ্ধতির চিংড়ি হ্যাচারিকে এসপিএফ হ্যাচারিতে রূপান্তর, ক্লাস্টারভিত্তিক চিংড়ি চাষ পদ্ধতি প্রচলন, চিংড়ি খামারের উৎপাদন বৃদ্ধি, সাপ্লাই চেইনের মান উন্নয়ন, দেশব্যাপী বিদ্যমান চিংড়ি খামারের ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি, সমন্বিত ই-ট্রেসিবিলিটি সিস্টেম প্রবর্তন, মৎস্য ও মৎস্য পণ্য মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০২০ প্রণয়ন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে ন্যাশনাল রেসিডিউ কন্ট্রোল প্ল্যান বাস্তবায়ন, মৎস্য ও মৎস্য পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে দেশে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা, নিয়মিত পরিদর্শন ও মনিটরিং, আমদানিকারক দেশের মৎস্য পরিদর্শন এবং মাননিয়ন্ত্রণ বিধি ও চাহিদার সঙ্গে গতি রেখে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। বিভিন্ন দেশের মৎস্য খাত কীভাবে বিকশিত হয়েছে, মৎস্য খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার, মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ, সি-ফুড রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয় বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সি-ফুড এক্সপো থেকে বাংলাদেশ অভিজ্ঞতা অর্জন করছে।
এ বছর বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সি-ফুড এক্সপো আয়োজন করা হচ্ছে জানিয়ে সি-ফুড সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দেশের ক্রেতা ও বিশেষজ্ঞদের এ এক্সপোতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও যোগ করেন, দেশের সি-ফুড খাতে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ খাতের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে শেখ হাসিনা ও কিশিদার আলোচনা
মৎস্য খাতকে চ্যালেঞ্জিং খাত হিসাবে নিতে চাই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বর্তমান সময়ে আমরা মৎস্য খাতকে চ্যালেঞ্জিং খাত হিসেবে নিতে চাই।
মৎস্য খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে মৎস্য খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। মাছের উৎপাদনে পরিপূর্ণতা এসেছে। এখন কোথাও মাছের সংকট নেই।