ইইউ
২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউর জিএসপি সহায়তা পেতে আয়ারল্যান্ডের সহায়তা প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সময়ে ২০২৯ সালের পরিবর্তে ২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউর বাজারে অগ্রাধিকারমূলক ব্যবসায়িক সুবিধা- জিএসপি পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় আয়ারল্যান্ডের সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার গণভবনে আয়ারল্যান্ডের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রী সাইমন কোভেনির নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের আয়ারল্যান্ড প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ সমর্থন চান।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার এবং ইইউ সদস্য দেশটি সব সময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের পাশে থাকে।
আরও পড়ুন: দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী
ইইউ প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের আগ্রহের বিষয়ে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে আয়ারল্যান্ডের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়ারল্যান্ডের সমর্থন কামনা করেন, যাতে বাংলাদেশের জন্য ব্যবসায়িক সুবিধা বিশেষ করে জেনারালাইজড স্কিম অব প্রেফারেন্সেস (জিএসপি) ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাড়ায় ইইউ।
আইরিশ ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিন-চার বিলিয়ন ভোক্তার জন্য বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় বড় বিপণন হাব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ডের উদ্যোক্তাদের জন্য আইসিটি, ওষুধ ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের মতো বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
শ্রমিক ইস্যুতে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের শ্রমনীতি নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে জানতে ইইউভুক্ত দেশগুলো সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে কোনো ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকবে না।
আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতেই তিনি বাংলাদেশে এসেছেন।
ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করতে তিনি এখানে এসেছেন উল্লেখ করে কোভেনি বলেন, এই কার্যালয় দু'দেশের জনগণের মধ্যে ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে সহায়তা করবে।
কোভেনি বলেন, আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে কারিগরি এবং খাদ্য শিল্পে (কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প) সহায়তা দিতে চায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আয়ারল্যান্ড জাতিসংঘ ও ইইউ ফোরামে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে পড়াশোনা করছে উল্লেখ করে সফররত মন্ত্রী আশ্বাস দেন, ইউরোপীয় দেশটি বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী নেবে।
আরও পড়ুন: শিশুদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে অভিভাবকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আয়ারল্যান্ডের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
তবে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তা জোরদার করা, তাদের আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী ও আরও উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন।
জবাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এরপরও সেখানে মাঝে মাঝে হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটছে। কারণ তারা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, শরণার্থীদের জন্য স্থায়ী ঘর নির্মাণ করা হয়েছে এমন নজির পৃথিবীতে নেই। তারপরও ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য মানসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ।
তারা সেখানে যেতে চাইলে আমরা ভাসানচরে প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গার আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভাসানচরে আবাসন প্রকল্পটি কিছু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বেসরকারি সংস্থা ও দেশের বিরোধিতার কারণে সফল হচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল মাসুদ জামিল খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আয়ারল্যান্ড সরকারের সেন্ট প্যাট্রিক দিবসের অংশ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশে সাত দিনের সরকারি সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে রবিবার ঢাকায় আসেন দেশটির মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রীকে ইইউ প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন, সহযোগিতার অঙ্গীকার
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের (ইইউ) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন।
শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় ইইউ প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সাফল্য কামনা করে বলেন, আগামী বছরগুলোতে ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে তিনি তার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।
তিনি উল্লেখ করেন, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন ও অন্যান্য স্বার্থের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ যুদ্ধের বিপক্ষে, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে: প্রধানমন্ত্রী
চিঠিতে প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন ২০২৩ সালে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘এটি একটি নতুন অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির আলোচনার আনুষ্ঠানিক সূচনাকেও চিহ্নিত করেছে। যার লক্ষ্য আমাদের অংশীদারিত্বের কাঠামোকে আরো বিস্তৃত ও আধুনিকীকরণ করা।’
প্রেসিডেন্ট বলেন, ইইউ দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের কাঠামোর মধ্যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখতে এবং এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে।
আরও পড়ুন: মাতৃভাষা শিক্ষার মাধ্যম হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
ভাষা শহীদদের প্রতি ইইউ সদস্য দেশগুলোর দূতাবাসের শ্রদ্ধা
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রতিনিধি দল এবং সকল ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের দূতাবাস।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ইইউ দূতাবাস এক বার্তায় বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সবাইকে শুভেচ্ছা।’
তারা বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে একটি ছবিও শেয়ার করেছেন।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে জাতি।
১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে প্রাণ দিয়েছিলেন ভাষা আন্দোলনের শহীদরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি নারীদের ভাষা শিক্ষায় সহযোগিতা দেবে ইইউ
২১ বিশিষ্টজনকে একুশে পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশি নারীদের ভাষা শিক্ষায় সহযোগিতা দেবে ইইউ
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলিসহ প্রতিনিধি দল।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর অফিসে সৌজন্য এ সাক্ষাৎ করেন হোয়াটলিসহ প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
সাক্ষাতে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বাংলাদেশের নারীদের ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশের ভাষা শিক্ষা এবং বিভিন্ন দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করার বিষয়ে সহযোগিতা করতে চান। যাতে বাংলাদেশের নারীরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারেন।
এই সময় প্রতিনিধি দল সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার উন্নয়নে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশনের হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্টের টিম লিডার জুরাটি স্মালস্কিসটি।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ: উপাচার্যকে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ
নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
ইইউ’র বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের আরও প্রবেশাধিকার চান পরিবেশমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের আরও বেশি প্রবেশাধিকার সহজতর করতে সহযোগিতা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং ইইউ ডেলিগেশনের টিম লিডার ফর গ্রিন ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল প্রটেকশন এডউইন কোয়েককোয়েক সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সুন্দরভাবে বাঁচতে মানুষকে নদী, জলাশয়ের সঙ্গে চলতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বাংলাদেশের পরিবেশগত এজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে ইইউ'র অব্যাহত অংশীদারিত্ব ও সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি টেকসই চর্চা বাস্তবায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে পরিবেশ সংরক্ষণ, টেকসই বনায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন প্রচেষ্টায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বৈশ্বিক পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের অভিযাত্রায় বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য ইইউ'র প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: নর্ডীয় দেশগুলো পরিবেশ রক্ষায় সহযোগিতা জোরদার করবে: পরিবেশমন্ত্রী
কোয়েককোয়েক পরিবেশ সুরক্ষা ও সামাজিক কল্যাণে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা জোরদার করতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা, আর্থিক সহায়তা এবং নীতি সহায়তা প্রদানে ইইউর প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করেন।
আলোচনায় চলমান প্রকল্প এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, নবায়নযোগ্য শক্তি উদ্যোগ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচিসহ আরও সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ সরকারের অভিন্ন লক্ষ্যের আলোকে বাংলাদেশে সবুজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন প্রচারে একসঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার অভিন্ন অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা।
আরও পড়ুন: জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য ম্যাপ তৈরি করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাসেলস সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল এবং সংকট ব্যবস্থাপনাবিষয়ক ইউরোপীয় কমিশনার জেনাজ লেনারসিকের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
১ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি লুক্সেমবার্গ সফরকালে তিনি লুক্সেমবার্গের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞ: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
এছাড়া বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, লিথুয়ানিয়া, চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরি, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, ভিয়েতনাম ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাসেলসের উদ্দেশে বুধবার রাতে ঢাকা ত্যাগ করেন।
সম্প্রতি উগান্ডায় অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে দুই দিনে ১৭টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা স্মরণ করে বুধবার রওনা হওয়ার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'দেখা যাক আমরা কতগুলো বৈঠক করতে পারি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল এই ফোরামের সভাপতিত্ব করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ
ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্ট্রিয়াল ফোরাম ইইউ এবং এর সদস্য দেশগুলোকে পশ্চিমে আফ্রিকার পূর্ব উপকূল থেকে পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত দেশগুলোর সঙ্গে একত্রিত করবে।
ইইউ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদাররা উভয় অঞ্চলকে প্রভাবিত করে এমন জটিল অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, ভূ-রাজনৈতিক ও সুরক্ষা চ্যালেঞ্জগুলোর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
এতে একটি উদ্বোধনী অধিবেশন, তিনটি গোলটেবিল আলোচনা এবং একটি সমাপনী অধিবেশন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ব্রাসেলস ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্যারিসে এবং ২০২৩ সালের মে মাসে স্টকহোমে অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী দুটি ফোরামের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে আয়োজন করা হয়েছে।
সংলাপের জন্য এটি একটি প্ল্যাটফর্ম। এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি, সহযোগিতা বৃদ্ধি ও সংহতি বাড়াতে প্রায়োগিক উপায়গুলো চিহ্নিত করাই এ প্লাটফর্মের উদ্দেশ্য ।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন
ইউরোপ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অত্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত এবং পরস্পর নির্ভরশীল, এ কারণেই ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম ইউরোপ এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের মধ্যে সংলাপ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে।
অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উভয় দিক থেকেই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতার জন্য ২০২১ সালের ইইউ কৌশলটি নির্ধারণ করে যে কীভাবে ইইউ এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা, সুরক্ষা ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতে, এটি স্পষ্ট যে সহযোগিতা এই চ্যালেঞ্জগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং ঝুঁকি ও বাধাগুলোর স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করার মূল চাবিকাঠি।
বিশেষ করে ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন ও প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পাট ও চামড়া খাতে বিনিয়োগে ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রতি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশ রপ্তানি বহুমূখীকরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে পাট ও চামড়া খাতে বিনিযোগ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ আহ্বান জানান। মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার পৃথক পৃথক সাক্ষাৎ করেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি বহুমূখীকরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত এবং চামড়া চামড়াজাত পণ্য খাতকে এগিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে ২০২৪ সালের বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন। এসব খাতে বিনিয়োগের জন্য ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চীনের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু
এ ছাড়া পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্যের পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যাল বিশেষ করে এপিআই খাতে, এগ্রো প্রসেসিং, সি ফুড, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য, বাই সাইকেল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষিপণ্যে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি ও গুণগতমান উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ট্রেড ও রেগুলেটোরি সংক্রান্ত বাধা দূর করে আমদানি ও রপ্তানি পলিসি যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা দেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি এবং বিনিয়োগকারীদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিচ্ছে।
২১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে জানিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এবছর মেলায় বাংলাদেশে অবস্থিত সব মিশনের প্রধান এবং ট্রেড বা কমার্সিয়াল কাউন্সিলরদের নিয়ে মেলা পরিদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশে উৎপন্ন পণ্য প্রদর্শনের সবচেয়ে বড় আসর এই মেলা উল্লেখ করে তিনি বলেন এখানে অনেক বিদেশি প্যাভেলিয়নও থাকে। মিশন কর্মকর্তাদের মেলা পরিদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের ব্রান্ডিং করা সম্ভব হবে বলেও জানান।
যেসব পণ্য ইইউ ও যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে সেসব পণ্য কন্ট্রাক্ট ম্যানু্ফ্যাকচারিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিনিয়োগের উত্তম জায়গা হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। অনেক দেশ সরকার নির্ধারিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়াও শিল্প কলকারখানা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আগামী ২৬-২৯ ফেব্রুয়ারি আবুধাবীতে অনুষ্ঠিব্য ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজন আয়োজিত মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশসমূহের অবস্থানের পক্ষে প্রয়োজনীয় সমর্থনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার কামনা করেন।
হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র। বর্তমানে উভয় দেশের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। উন্নয়ন সহযোগিতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে তিনি অংশীদারিত্বের উপরও গুরুত্বারোপ করেন। দক্ষ জনবল তৈরি করার লক্ষ্যে উচ্চ শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ করে ডাক্তার, নার্স, ইঞ্জিনিয়ারসহ পেশাদারী খাতে সার্টিফিকেশন ও অ্যাক্রিডিটেশন সমতায়নে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।
এছাড়া, সারাহ কুক বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণমূলক বাধা দূরীকরণ, সেবা প্রক্রিয়া সহজীকরণ, মেধাস্বত্বের প্রয়োগ ও সংরক্ষণ এবং প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে উদারীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে তা সত্যিই প্রসংশনীয় উল্লেখ করে ফার্মাসিউটিক্যাল ও আইটি খাতসহ বিভিন্ন খাতে বিনিযোগের আগ্রহ প্রকাশ করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
এসময়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে-বিদেশে গুজব ছড়িয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত: কাদের
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩ লাখ ইউরো সহায়তা দিচ্ছে ইইউ
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোর একটিতে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ৩ লাখ ইউরো বরাদ্দ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সাম্প্রতিক অগুনের ঘটনায় শরণার্থী শিবিরের পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
ঢাকাস্থ ইইউ দূতাবাস মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ করে আশ্রয়, তাবু, পানি ও সেখানকার উন্নয়নের জন্য তাৎক্ষণিক জরুরি সহায়তা দিতে কাজে লাগানো হবে এই তহবিল।
এটি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে এবং অন্যান্য মানবিক অংশীদারদের প্রচেষ্টার সহায়ক হবে।
৭ জানুয়ারি ভোরে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরগুলোর মধ্যে ক্যাম্প-৫ -এ ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় ৯৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র পুড়ে গেছে বা আংশিক ধ্বংস হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ১৫টি শিক্ষাকেন্দ্র, অসংখ্য শৌচাগার ও ওয়াশরুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজনকে অবহেলা করতে পারি না: ইউএসএইড
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা ও ফায়ার ব্রিগেডের দ্রুত হস্তক্ষেপের কারণে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
যেহেতু ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরগুলোতে প্রায়ই আগুন লাগে। এমতাবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি মানবিক অংশীদারদের শিবির কাঠামো শক্তিশালী করতে এবং এই জাতীয় ঝুঁকি মোকাবিলায় আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে সহায়তা করেছে।
নতুন এই বরাদ্দ দেওয়ার আগে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে গত বছর বাংলাদেশকে মানবিক সহায়তা হিসেবে ৩৮ মিলিয়ন ইউরোর বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে ইইউ ।
গত মার্চে আরেকটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলে ইইউ ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থীদের সহায়তার জন্য ১০ লাখ ইউরো সহায়তা করেছিল।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে ৮টি শেড
রোডম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশকে শ্রম অধিকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে হবে: ইইউ
বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উচিৎ জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (এনএপি) ও আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) রোডম্যাপে অন্তর্ভুক্ত শ্রম অধিকারের বিষয়ে তার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের গতি বৃদ্ধি করা এবং মূল উদ্বেগের বিষয়ে প্রদত্ত সময়সীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অর্জিত অগ্রগতিসম্পর্কে নিয়মিত প্রতিবেদন দেওয়া অব্যাহত রাখার কথা বলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ইইউ বলেছে, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইএলও কনভেনশন অনুমোদনের ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতির জন্য ধন্যবাদ, বাংলাদেশ জিএসপি রেগুলেশনে উল্লিখিত ২৭টি জিএসপি+ আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুমোদন করেছে।’
জিএসপি+ প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক কনভেনশনের পূর্ণ সম্মতি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশিত ভবিষ্যত উত্তরণের আলোকে দেখা উচিৎ, যার অর্থ 'এভরিথিং বাট আর্মস' (ইবিএ) ব্যবস্থা থেকে স্ট্যান্ডার্ড জিএসপিতে চলে যাওয়া- এমনটাই বলা হয়েছে ইউরোপীয় কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ইইউ'র কারিগরি দল
এই প্রেক্ষাপটে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে বাংলাদেশ দেখাতে পারে, এটি জিএসপি প্রবিধানের অধীনে এর বাধ্যবাধকতাগুলো পূরণ করে। বিশেষত উপরে উল্লিখিত হিসেবে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অধীনে শ্রম অধিকার সংস্কার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারমানকে সম্মান করে।
ইইউ বাংলাদেশের জিএসপি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে এবং চলমান সম্পৃক্ততা জোরদার করবে।
আরও পড়ুন: ইসির সঙ্গে বৈঠকে ইইউ মিশনের প্রতিনিধি দল
'ইইউ এনহেন্সড এনগেজমেন্ট উইথ থ্রি এভরিথিং বাট আর্মস বেনিফিশিয়ারি কান্ট্রিজ: বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া অ্যান্ড মিয়ানমার' শীর্ষক প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, মানবাধিকারের মূল উদ্বেগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উচিৎ মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সুশীল সমাজের স্থান উন্নত করা; কথিত নির্যাতন, দুর্ব্যবহার, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং জোরপূর্বক গুমের মামলা তদন্ত করা; মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউয়ের (ইউপিআর) সুপারিশগুলো সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা হয়, যার মধ্যে মৃত্যুদনডের বিলুপ্তি সম্পর্কিত, পাশাপাশি জাতিসংঘের চুক্তি পর্যবেক্ষণ সংস্থার সিদ্ধান্তগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জিএসপি সুবিধাভোগী তিনটি দেশ বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে এটি দ্বিতীয় জয়েন্ট স্টাফ ওয়ার্কিং ডকুমেন্ট (এসডব্লিউডি)।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ইইউ
রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সফররত প্রতিনিধি দল সোমবার (১৩ নভেম্বর) ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে এবং তাদের সহায়তার অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি সফররত প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন।
হোয়াইটলি বলেন, ‘ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইেএস) পাওলা পাম্পালোনির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের বাংলাদেশে আজকের কর্মসূচি ছিল রোহিঙ্গা শিবিরসহ নারী শরণার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়, স্কুল, রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক স্মৃতি কেন্দ্র ও খাদ্য কেন্দ্র পরিদর্শন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ, রোহিঙ্গা রিফিউজি রেসপন্স সেন্টার, জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় কমিশনের (ইসিএইচও) মানবিক সহায়তা বিভাগকে ধন্যবাদ জানান।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রোহিঙ্গা সংকটে ‘তার সমর্থন বজায় রাখছে’।
ইইএএস-এর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি দেশের শ্রম খাতে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে রবিবার ঢাকায় এসেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ব্রাসেলস থেকে প্রতিনিধি দলের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, 'শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার বিষয়ে বাংলাদেশের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য সদ্য ঢাকায় এসেছি।
তারা ঢাকার বাড্ডায় প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য একটি স্কুল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: শ্রম পরিস্থিতি মূল্যায়নে ইইউ প্রতিনিধি দল ঢাকায়
ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি বলেন, 'ঢাকায় আসতে পেরে আমি আনন্দিত।’
বুধবার তারা সরকারের শ্রম, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ইউএনবিকে বলেন, শ্রম খাতের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে 'অগ্রগতি পর্যালোচনা' করার লক্ষ্যে এই সফর।
বাংলাদেশ শ্রম খাতে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০২৬) গ্রহণ করেছে এবং এই পরিকল্পনাটি আইএলও গভর্নিং বডির কাছে বাংলাদেশ সরকারের জমা দেওয়া রোডম্যাপের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত।
রোডম্যাপের লক্ষ্য হলো সংগঠনের স্বাধীনতা এবং সম্মিলিত দরকষাকষির অধিকারসহ দেশের শ্রম অধিকারগুলো পালনের উন্নতি করা।
গত মাসে রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেছিলেন, বাজারে প্রবেশাধিকার, জিএসপি প্লাসের জন্য বাংলাদেশের আবেদন বিবেচনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবং কমিশনের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে শ্রম আইনকে একত্রিত করা একটি ‘অপরিহার্য উপাদান’ হবে।
ঢাকায় এক সেমিনারে তিনি বলেন, 'এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) এর পর জিএসপি প্লাসে যোগদানের বিকল্প বাংলাদেশের রয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রম খাতে অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে রবিবার ঢাকায় আসছে ইইউ দল
শ্রম খাতের অগ্রগতি পর্যালোচনা: আগামী সপ্তাহে আসছে পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে ইইউ প্রতিনিধি দল