নিউইয়র্ক
৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
রবিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে ৪ ঘণ্টার যাত্রাবিরতির পর ফ্লাইটটি ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৫০ মিনিটে (নিউইয়র্ক সময়) নিউইয়র্কের জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কের প্রথম দিনে যোগ দেবেন এবং ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: শিল্পী শাহাবুদ্দিনের বিশেষ শিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দিতেও শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তিনি রোহিঙ্গা ও জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), সার্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থায়নসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ইউনিডো ও ডেলয়েট আয়োজিত 'থট ফর ফুড-কোলাবরেটিং ফর ফুড সাপ্লাই চেইন ইনোভেশন টু অ্যাক্সিলারেট দ্য এসডিজি’স' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে বক্তব্য পেশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
একই দিন ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে 'এসডিজি সামিট-লিডার্স ডায়ালগ-৪' (এসডিজি অর্জনে সমন্বিত নীতি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করা) শীর্ষক আরেকটি সম্মেলনে ভাষণ দেবেন তিনি।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে লেক্সিংটন ভেন্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিবের গ্লোবাল এডুকেশন বিষয়ক বিশেষ দূত গর্ডন ব্রাউন এবং গ্লোবাল বিজনেস কোয়ালিশন ফর এডুকেশনের এক্সিকিউটিভ চেয়ার সারাহ ব্রাউন আয়োজিত জাতিসংঘের ২০২৩ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত একটি উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিগত নৈশভোজে যোগ দেবেন।
তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সিআর-১৬ এ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রেসিডেন্ট আয়োজিত 'টুওয়ার্ডস আ ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে সজাগ থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
একই দিন শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সিআর-১১ এ বাংলাদেশ, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, ভুটান, চীন, মালয়েশিয়া, চ্যাথাম হাউস এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে চিকিৎসা সেবাভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরের দ্বিপক্ষীয় বুথে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় (নিউইয়র্ক সময়) ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং সেখানে ২৩-২৯ সেপ্টেম্বর অবস্থান করবেন।
এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (বিএ-২৯২) লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি ২০৮) একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন এবং ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার নিউইয়র্ক যাবেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার নিউইয়র্ক যাবেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে চার ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৫০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) নিউ ইয়র্কের জেকেএফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
১৭-২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে থাকাকালীন, প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনের উচ্চ-পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কের প্রথম দিনে যোগ দেবেন এবং ২২ সেপ্টেম্বরে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে তিনি ভাষণ দেবেন।
এ ছাড়াও ১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেওয়ার জন্য হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ইউএনজিএ অধিবেশনের পাশাপাশি তিনি রোহিঙ্গা এবং জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিস), সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও আর্থিকসহ বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে জি২০ সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সাধারণ বিতর্কে তার ভাষণে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন অগ্রগতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক অগ্রগতি, স্বাস্থ্য খাতে সাফল্য এবং বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, রোহিঙ্গা সংকট এবং জলবায়ু ন্যায়বিচারের মতো বিষয় তুলে ধরবেন।
‘রিবিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড রিইগনিটিং গ্লোবাল সলিডারিটি: অ্যাস্লেরেটিং অ্যাকশন অন দ্য ২০৩০ অ্যাজেন্ডা অ্যান্ড ইটস সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস টুয়ার্ডস পিস, প্রোসপারিটি, প্রোগ্রেস অ্যান্ড দ্য সাসটেইনেবিলিটি ফর অল’-প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব নেতারা ৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্কে জড়ো হবেন।
১৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ইউএনআইডিও এবং ডেলয়েট আয়োজিত ‘থট ফর ফুড-কোলাবোরেটিং ফর ফুড সাপ্লাই চেইন ইনোভেশন টু অ্যাস্লেরেট দ্য এসডিজিস’-শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী একটি মূল বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
একই দিনে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে ‘এসডিজিস সামিট-লিডারস’ ডায়ালগ ৪’- (স্ট্রেন্দেনিং ইন্টিগ্রেটেড পলিসিস অ্যান্ড পাবলিক ইনস্টিটিউশনস ফর অ্যাচিভিং দ্য এসডিজিস) শীর্ষক আরেকটি সম্মেলনেও ভাষণ দেবেন তিনি।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ২০২৩ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিস) শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈশ্বিক শিক্ষাবিষয়ক বিশেষ দূত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য অর্থায়নের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রাষ্ট্রদূত গর্ডন ব্রাউন এবং নিউ ইয়র্কের লেক্সিংটন ভেন্যুর গ্লোবাল বিজনেস কোয়ালিশনের এক্সিকিউটিভ চেয়ার সারাহ ব্রাউন আয়োজিত একটি উচ্চ-পর্যায়ের ব্যক্তিগত নৈশভোজে যোগ দিতে পারেন।
১৯ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘের সদর দপ্তর সিআর-১৬ তে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সভাপতি কর্তৃক ‘টুওয়ার্ডস এ ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার’- শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে ভাষণ দেবেন।
একই দিনে শেখ হাসিনা সিআর-১১, ইউএনএইচকিউ-এ বাংলাদেশ, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, ভুটান, চীন, মালয়েশিয়া, চ্যাথাম হাউস ও সূচনা ফাউন্ডেশনের সহ-আয়োজিত চিকিৎসা পরিষেবাভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিকের একটি উচ্চ-পর্যায়ের সাইড ইভেন্টেও যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: সবার জন্য সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন: জি২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে উন্নয়নের জন্য অর্থায়নের (এফএফডি) বিষয়ে ‘স্কেলিং আপ অ্যাফের্ডেবল অ্যান্ড আকসেসিবল ইন্টারন্যঅশনাল পাবলিক ফাইন্যান্সিং ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এনশিওরিং ইফিসিয়েন্সি’- শিরোনামে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বিতর্কে প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণ দেবেন।
একই দিনে তিনি মহাসচিবের ক্লাইমেট অ্যামবিশন সামিট; মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক; নারী নেতাদের ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্মের বার্ষিক সভা; ক্লাইমেট অ্যামবিশন সংক্রান্ত উচ্চ-পর্যায়ের একটি বিষয়ভিত্তিক সম্মেলনে যোগ দেবেন। পাশাপাশি তিনি ন্যাশনাল জুরিসডিকশনের বাইরের এলাকার সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য আইনের উপর জাতিসংঘের কনভেনশনে যোগ দেবেন।
২১ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে যোগদানের পাশাপাশি ‘অ্যাড্রেসিং দ্য এক্সিসটেনশিয়াল থ্রেটস পোসড বাই সি লেভেল রাইজ’-শীর্ষক ব্রেকফাস্ট সামিটে এবং ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সভায় যোগ দেবেন।
সফরকালে জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার, জাতিসংঘ মহাসচিবের জেনোসাইড উপদেষ্টা, নবনির্বাচিত ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) মহাপরিচালক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার পরিচালক -প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইউএনএইচকিউতে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
অনুষ্ঠানে যোগদানের পর তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। যেখানে তিনি ২৩-২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবেন।
তারপর, তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (বিএ-২৯২) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি ২০৮) একটি ফ্লাইটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ৪ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১২টায় (স্থানীয় সময়) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যাবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে (ইউএনজিএ৭৮) যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের (ইউএনজিএ৭৮) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে 'রিবিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড রিইগনিটিং গ্লোবাল সলিডারিটি: অ্যাক্সিলারেটিং অ্যাকশন অন দ্য ২০৩০ এজেন্ডা অ্যান্ড ইটস সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস টুওয়ার্ডস পিস, প্রসপারিটি, প্রোগ্রেস অ্যান্ড দ্য সাসটেইনেবিলিটি ফর অল' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব নেতারা নিউইয়র্কে সমবেত হবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মোমেন বলেন, উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কের প্রথম দিন ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী ২২ সেপ্টেম্বর সাধারণ বিতর্কে বাংলাদেশের পক্ষে ভাষণ দেবেন।
তিনি তার ভাষণে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন অগ্রগতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য খাতের সাফল্যের ওপর আলোকপাত করবেন।
আরও পড়ুন: মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করুন: জনপ্রতিনিধিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
এ ছাড়া বিশ্ব শান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক সংকট, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন বিষয় তার বক্তব্যে উঠে আসবে।
এ ছাড়াও প্রতি বছরের মতো এ বছরও সাধারণ বিতর্ক পর্বে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক (উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক/উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেগুলোতে প্রধানমন্ত্রী অংশ নিতে পারেন।
মোমেন বলেন, জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ বহুপক্ষীয় ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে এবং বাংলাদেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বক্তব্য রাখেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন এবং সংশ্লিষ্ট উইংয়ের মহাপরিচালকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক সংকটের মধ্যেও খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষিত: প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্য ও জার্মানির পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হবে বাংলাদেশ: কমনওয়েলথ বিনিয়োগকারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় এক কর্মচারীকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলি
নিউইয়র্কের কুইন্সে একটি বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মচারী শনিবার এক অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে আহত হন। সিবিএস নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
‘বৈশাখী রেস্তোরাঁ’র ভেতর থেকে নজরদারি করা ভিডিওতে কুইন্সের অ্যাস্টোরিয়া পাড়ায় অবস্থিত রেস্তোরাঁটিতে শিশুসহ লোকজনকে দেখা যায়, যারা খাবারের জন্য বসে অপেক্ষা করছিলেন। একজন বন্দুকধারী গুলি চালানোর পর তারা রেস্তোরাঁ থেকে ছুটে পালিয়ে যান।
রেস্তোরাঁর মালিক আবু তাহের সিবিএস নিউজকে বলেন, ‘আমাদের রেস্তোরাঁর ভেতরে অনেক গ্রাহক ছিল। প্রথমবার গুলি ছোঁড়ার পর সে কিছুটা সরে যায়, তারপর সে আমার কাউন্টারের পেছনে গিয়ে আমার একজন কর্মচারীকে গুলি করে।’
তাহেরের মতে, মাস্ক ও লাল হুডযুক্ত সোয়েটশার্ট পরা বন্দুকধারী তিনটি গুলি ছুঁড়েছে।
তিনি বলেন, ‘ওই ব্যক্তি (হামলাকারী) কিছু বলেননি, এসে শুধু গুলি করে পালিয়ে যান।’
তার ছোঁড়া তিনটি গুলির মধ্যে একটি রেস্তোরাঁর এক কর্মচারীর উরুর উপরের অংশে লাগে।
পুলিশ বলছে, বন্দুকধারী দৌঁড়ে পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে সুপারমার্কেটে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ১০
যদিও হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে এখনও তদন্ত করা হচ্ছে, তবে সূত্র জানায়, এই সপ্তাহের শুরুতে ওই বন্দুকধারী দোকানের একজন কর্মচারীর সঙ্গে তর্ক করেছিল।
অন্যদিকে, ভাঙা কাঁচ, বুলেটের ছিদ্র এবং অর্ধ-খাওয়া খাবার ফেলে পালিয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর জন্য একটি ভয়াবহ স্মৃতি হয়ে থাকবে। এটি ওই রেস্তোরাঁর মালিকের ব্যবসাতেও প্রভাব ফেলবে।
তাহের সিবিএসকে বলেন, ‘অবশ্যই আমি ভীত। আপনারা জানেন, আমার ব্যবসাটি খুব ছোট।’
তিনি আরও বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে একটি ছোট ব্যবসা চালাতে আমি সত্যিই ভয় পাই। আসলে এটি (নিউইয়র্ক সিটি) নিরাপদ নয়। আমরা নিরাপদ নই। আমাদের জীবন নিরাপদ নয়।’
বৈশাখী রেস্তোরাঁ ৩৬নং এভিনিউ ও ২৯নং স্ট্রিটের পাশের অ্যাস্টোরিয়া পাড়ায় অবস্থিত। এর আগে সুস্বাদু বাংলাদেশি খাবারের জন্য দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ এটির সম্পর্কে ফিচার প্রকাশিত হয়। ২০২১ সালে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সময়ে সেবামূলক পরিষেবার জন্য রেস্তোরাঁটি ‘স্পেশাল কংগ্রেসনাল রিকগনিশন’ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে রেলস্টেশনে ৫ জন গুলিবিদ্ধ
কলাম্বাইন থেকে ন্যাশভিল: যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে গণবন্দুক হামলায় নিহত ১৭৫
‘স্থূলতা বৈষম্য’ নিষিদ্ধ করে নিউইয়র্ক সিটিতে বিল পাস
কর্মক্ষেত্র, বাসস্থান বা জন পরিষেবার ক্ষেত্রে স্থূলতার কারণে বৈষম্যকে নিষিদ্ধ করে একটি বিল পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) একটি বিলের অধীনে এটি পাস করা হয়।
এই বিলটি জাতি,লিঙ্গ বিভাজন, লিঙ্গ পরিচয় ও জাতীয়তার মতো সুরক্ষিত বলে বিবেচিত হবে এবং অধিবাসীদের শনাক্তকরণ তালিকায় ওজন ও উচ্চতার তথ্য সংযোজনের জন্য থাকা পূববর্তী আইনটি সংশোধন করবে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
আইনটির পৃষ্ঠপোষক কাউন্সিলের সদস্য শন আব্রেউ বলেছেন, ‘ভিন্ন ধরনের শারীরিক গঠনের লোকদের কেবল তাদের প্রাপ্য চাকরি ও পদোন্নতি থেকেই বঞ্চিত করা হয় না, বরং তাদের পুরো অস্তিত্বকেও সমাজ অস্বীকার করে। আর তাই এ ধরনের ভ্রান্ত ধারণার জন্য কোনও আইনি প্রতিকার ছিলোনা।’
তিনি বলেন, এ ধরনের সুরক্ষা দেয় এরকম শহরের তালিকায় নতুন করে নিউইয়র্ক যুক্ত হচ্ছে। মিশিগান হলো একমাত্র রাজ্য যেখানে স্পষ্টভাবে স্থূলতা বৈষম্যকে নিষিদ্ধে একটি আইন আছে এবং ওয়াশিংটনের একটি আদালত রায় দিয়েছে যে স্থূলতা বৈষম্যকে প্রতিবন্ধী কর্মচারীদের জন্য থাকা আইনের অধীনে বিবেচনা করা হবে। দেশের আরও কয়েকটি রাজ্য এই বিষয়ে আইন প্রবর্তনের কথা ভাবছে।
নিউইয়র্ক সিটি বিলটিতে উদাহরণ হিসেবে এমন চাকরির কথা বলা হয়েছে, যেগুলোতে তাদের নির্ধারিত উচ্চতা বা ওজন থাকা চাকরির অন্যতম শর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এর আগে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছিলেন, স্থূলতার ওপর ভিত্তি করে মানুষের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা উচিত নয়।
তবে মন্তব্য চেয়ে তার অফিসে পাঠানো একটি ইমেইলের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী
নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর আয়োজিত নৈশভোজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গ্রেপ্তারের আশঙ্কা জানালেন ডনাল্ড ট্রাম্প, প্রতিবাদের আহ্বান
ডনাল্ড ট্রাম্প (৭৬) শনিবার দাবি করেছেন যে তার গ্রেপ্তার আসন্ন এবং তার সমর্থকদের এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরি তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকারী নারীদের থেকে গোপনে টাকা নিয়ে এই মামলার তদন্ত করছেন।
যদিও ট্রাম্পের আইনজীবী এবং মুখপাত্র বলেছেন যে প্রসিকিউটরদের কাছ থেকে তাদের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করা হয়নি।
তবে, ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে ঘোষণা করেছেন যে মঙ্গলবার তাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
পরবর্তী একটি পোস্টে ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প তার বিরোধী বাইডেন প্রশাসনের বিপক্ষে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ওই পোস্টে বড় হাতের অক্ষরে তিনি লিখেছেন, ‘সময় এসেছে!!!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমরা আর এটা হতে দিতে পারিনা। তারা আমাদের দেশকে ধ্বংস করছে, আর আমরা বসে আছি এবং দেখছি। আমাদের অবশ্যই আমেরিকাকে বাঁচাতে হবে! প্রতিবাদ, প্রতিবাদ, প্রতিবাদ!!!’
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগের বইয়ের কোনো অংশ কখনো পড়েননি ট্রাম্প
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে বিদ্রোহের কিছুদিন আগে তিনি যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, প্রকারান্তরে তারই পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে তার এবারের পোস্টে।
সেদিন সকালে ওয়াশিংটনের একটি সমাবেশে তৎকালীন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে এই আহ্বান শোনার পর, তার সমর্থকরা ক্যাপিটলে হামলা করে এবং বিজয়ী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের হোয়াইট হাউস বিজয়ের কংগ্রেসনাল সার্টিফিকেশন বন্ধ করার চেষ্টা করে। তারা ক্যাপিটল ভবনের দরজা-জানালা ভেঙ্গে এবং অফিসারদের পিটিয়ে রক্তাক্ত রেখে যান।
অন্যদিকে, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ তার বিরুদ্ধে করা ট্রাম্পের অভিযোগের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
বরং সম্প্রতি তিনি ট্রাম্পকে গ্র্যান্ড জুরির সামনে সাক্ষ্য দেয়ার সুযোগ দেয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন।
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা ট্রাম্পের বিচার পরবর্তী সময়ের জননিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ট্রাম্পের বক্তব্যের পর এক ইমেইলে ব্র্যাগ বলেছেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তাকে নিশ্চিত করতে হবে যে তার অফিসে কাজ করা এক হাজর ৬০০ জন ব্যক্তি নিরাপদ থাকবে এবং ‘যে কোনও ধরনের হুমকিরই’ তদন্ত করা হবে।
তিনি লিখেছেন, ‘আমরা আমাদের নিউইয়র্ক অফিসকে ভয় দেখানো বা আইনের শাসনের ওপর হুমকি দেয়ার চেষ্টাকে সহ্য করি না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘এ বিষয়েও আমরা আমাদের অন্য সকল তদন্তের মতোই সমান ও ন্যায্যভাবে আইন প্রয়োগ করবো এবং সময় হলেই জনসম্মুখে সব প্রকাশ করা হবে।’
এ মামলায় গ্র্যান্ড জুরির গোপন তদন্তের জন্য কোনও সময়সীমার কথা প্রকাশ্য ঘোষণা দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলা: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিচারের আহ্বান আইন প্রণেতাদের
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই বিচারকার্য সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কমপক্ষে আরও একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য দেয়া বাকি রয়েছে।
ট্রাম্পের একজন আইনজীবী সুসান নেচেলেস বলেছেন, ট্রাম্পের পোস্টটি ‘মিডিয়া রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে’ এবং একজন মুখপাত্র বলেছেন যে ব্র্যাগের অফিস থেকে ‘কোনও বিজ্ঞপ্তি’ আসেনি। এবং ট্রাম্পের মঙ্গলবার গ্রেপ্তার ওেয়ার আশঙ্কার কারণ এখনও অস্পষ্ট।
জেলা অ্যাটর্নি অফিস এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
ট্রাম্পের সহযোগী এবং আইনি দল অভিযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
যদি এমন হয়, তবে আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার করলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
ট্রাম্পের আইনজীবীরা আগে বলেছিলেন যে তিনি স্বাভাবিক নিয়ম অনুসরণ করবেন। যার অর্থ সম্ভবত তিনি নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট প্রিন্সেন্টে বা সরাসরি ব্র্যাগের অফিসে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হবেন।
এটা স্পষ্ট নয় যে ট্রাম্পের সমর্থকরা তার প্রতিবাদের আহ্বানে সাড়া দেবেন কিনা।
ট্রুথ সোশ্যাল-এ ট্রাম্পের পোস্টগুলো সাধারণত টুইটারের চেয়ে অনেক কম জনপ্রিয়তা পায়।
তবে তার অনুগত অনেক সমর্থক রয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্ভাব্য বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত ট্রাম্প নথির পর্যালোচনা সম্পন্ন
তবে, গত ৬ জানুয়ারি দাঙ্গার পরে ট্রাম্পের শতাধিক অনুগত গ্রেপ্তার হয়েছিল এবং ফেডারেল আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। এটাও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের আবেগ কমিয়ে দিতে পারে।
তার পোস্টের পরে, রিপাবলিকান হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচার করার যে কোনও পরিকল্পনাকে ‘একজন র্যাডিক্যাল ডেপুটি অ্যাটর্নির ক্ষমতার অশোভন অপব্যবহার’ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি দাবি করেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার’ বশবর্তী হয়ে এই বিচার করছেন।
গ্র্যান্ড জুরি ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন সহ সাক্ষীদের কাছ থেকে শুনানি করছেন।
কোহেন বলেছেন, তিনি ২০১৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন নিগ্রহের বিষয়ে চুপ থাকার জন্য দুজন নারীকে অর্থ দিয়েছিলেন। এক দশক আগে ট্রাম্পের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিল।
যদিও, ট্রাম্প এই অভিযোগগুলোকে অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি কোনও ভুল করেননি এবং রিপাবলিকানদের ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ডেমোক্র্যাটিক প্রসিকিউটররা তার বিরুদ্ধে ‘দাষ খুঁজছেন’।
ট্রাম্প ব্র্যাগকেও অভিযুক্ত করে বলেছে, ব্র্যা একজন কৃষ্ণাঙ্গ এবং একজন ‘বর্ণবাদী’।
তিনি প্রসিকিউটরকে অভিযুক্ত করে বলেছেনছেন যে তিনি ট্রাম্পের দিকে মনোনিবেশ করার সময় শহরে অপরাধ দমনের ব্যাপারে যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছেন না।
ব্র্যাগের অফিস পরীক্ষা করে দেখছে যে ভুক্তভোগীদের মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের কোম্পানি যেভাবে কোহেনকে দিয়ে ওই নারীদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল, সেক্ষেত্রে কোনও রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করা হয়েছে কিনা।
ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
নিউইয়র্কে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন ইউএনবিকে জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা শনিবার সন্ধ্যায় সড়কপথে নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন ডিসি সফর করেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও রাজা চার্লস তৃতীয় কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রথমে তিনি যুক্তরাজ্য পৌঁছান। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যান।
আরও পড়ুন: মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতিতে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দেন। তিনি ইউএনজিএ’র পাশাপাশি বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন।
৪ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী
জীবন ও জীবিকার স্বার্থে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী
আগামী নির্বাচনে জনগণ নির্বিঘ্নে তাদের ভোট দেবে বলে সুস্পষ্টভাবে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা (বিএনপি) উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে, কারণ তারা ভোট কারচুপি এবং ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার রাখার সুযোগ পাবে না। অন্যথায়, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
শনিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সব সময়ই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলতে চায় তারা কারা? আওয়ামী লীগ সব সময় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে।
পড়ুন: নিষেধাজ্ঞায় থেকে যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মানানসই নয়: বিএনপি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ নির্বিঘ্নে নির্বাচনে তাদের ভোট দেবে। ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন এমন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি, এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, ‘তারা জানত সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা খুন, অভ্যুত্থান ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে অভ্যস্ত। এটাই বাস্তবতা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে।
শেখ হাসিনা আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সঠিক পথে এনেছে, যা সামরিক শাসন ও বিএনপি-জামায়াতের আমলে লাইনচ্যুত হয়েছিল।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম একটি আধুনিক পদ্ধতি এবং বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ব্যবহৃত হয়।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে দ্রুত নির্বাচনী ফলাফল পাওয়া যায় এবং মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দিতে পারে।
তিনি অবশ্য বলেন, কিছু লোক ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে আছে এটা সত্য।
পড়ুন: জীবন ও জীবিকার স্বার্থে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে বিশ্ব শান্তির ওপর গুরুত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর আয়োজিত নৈশভোজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউইয়র্কে বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ভারতীয় মন্ত্রী টুইটে বলেছেন, ‘৭৭তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের (ইউএনজিএ) ফাঁকে সমমনা অংশীদারদের একটি সন্ধ্যার আয়োজন করতে পেরে আনন্দিত।’
তিনি জানান, তারা বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ এবং ‘আরও কার্যকর’ যৌথ প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
নৈশভোজে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সিঙ্গাপুর, মিশর, সেন্ট লুসিয়া, মালদ্বীপ, মরক্কো, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, শ্রীলঙ্কা, মরিশাস, ঘানা, জ্যামাইকা, উগান্ডা এবং উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে অভিন্ন স্বার্থের বিষয় নিয়ে খোলামেলা ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় অংশ নেন বলে শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে বর্তমানে নিউইয়র্কে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে বিশ্ব শান্তির ওপর গুরুত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
র্যাবের অনুমোদনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি: নিউইয়র্কে মোমেন
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মিয়ানমারের গোলাবর্ষণ ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’: নিউইয়র্কে মোমেন
মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতিতে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করার ও এর উদার বিনিয়োগ নীতিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মার্কিন বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, ওষুধ, ভারী যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক সার, আইসিটি, সামুদ্রিক সম্পদ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরিতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাই।’
লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের পলিসি গোলটেবিল বৈঠকে বক্তৃতা দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের একটি উদার বিনিয়োগ নীতি আছে। যার মধ্যে রয়েছে বিদেশী বিনিয়োগ সুরক্ষা, কর অবকাশ, রয়্যালটির জন্য রেমিটেন্স, অনিয়ন্ত্রিত প্রস্থান নীতি, লভ্যাংশের সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তন, প্রস্থানের ওপর মূলধন এবং অন্যান্য সুবিধা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, আসুন আমরা আবারও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশীদারিত্বের জন্য হাত মেলাই।’
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বেশ কয়েকটি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করছে। ছয় লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সিং আইটি পেশাদার থাকার কারণে বাংলাদেশ আইটি বিনিয়োগের জন্য সঠিক গন্তব্য।
তিনি বলেন, ‘অধিকন্তু, প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতে দক্ষ মানবসম্পদ বাংলাদেশে একটি অতিরিক্ত সুবিধা। এমনকি যদি প্রয়োজন হয়, আমরা মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিবেদিত 'বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল' প্রস্তাব করতে পারলে খুশি হব। আমি বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উতরে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা ও রপ্তানি ক্ষেত্র বাড়ানোর জন্য দেশটির পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন। আমি নিশ্চিত যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই চ্যালেঞ্জিং প্রচেষ্টায় আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশীদার হতে পারে।’
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অগ্রগামী দেশ। কৌশলগত অবস্থানটি এই অঞ্চলের একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্র হওয়ার অসাধারণ সম্ভাবনা প্রদান করে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ চার বিলিয়ন মানুষের সম্মিলিত বাজারের মাঝ অবস্থানে আছে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাবিকাঠি। বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক, তৃতীয় বৃহত্তম সবজি উৎপাদনকারী, চতুর্থ বৃহত্তম ধান উৎপাদনকারী এবং পঞ্চম বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ মৎস্য উৎপাদনকারী।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বৈশ্বিক অংশগ্রহণকারীদের সাথে ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক কূটনীতি চালিয়ে যাবে। আমরা ক্রমাগত আমাদের ভৌত, আইনি ও আর্থিক অবকাঠামো উন্নত করছি এবং দেশে যোগাযোগ উন্নত করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপ্তি অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক উভয় ধরনের সংযোগ বৃদ্ধি করেছে। ঢাকা মেট্রোরেল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে দ্রুত অভ্যন্তরীণ গতিশীলতা যুক্ত হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ গত ১৩ বছরে বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, পুষ্টি, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা এবং আইসিটি ক্ষেত্রে একটি অনুকরণীয় আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশে শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে। আইএলও রোডম্যাপ উদ্বেগ মোকাবিলার জন্য কর্মের একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ও সময়রেখা প্রদান করে এবং শ্রম খাতে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার পরামর্শ দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সরকার এই সেক্টরে ক্রমাগত উন্নতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে ব্যাপকভাবে যুক্ত রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান যে বাংলাদেশে ১২১ মিলিয়ন মানুষ কমপক্ষে দুটি ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি মহামারি মোকাবিলায় দুর্দান্ত স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে।’
তিনি কোভ্যাক্স এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ৭৫ মিলিয়নেরও বেশি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দান করার জন্য মার্কিন সরকারের আন্তুরিক প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স মোকাবিলায় পদক্ষেপ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী