তদন্ত প্রতিবেদন
৮৬ বারের মতো রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন পেছাল
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ফের পিছিয়ে আগামী ২৪ জুলাই দিন ঠিক করেছেন আদালত।
এ নিয়ে ৮৬ বারের মতো মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছানো হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন এ দিনটি ঠিক করেন।এ দিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ঠিক করা ছিল।তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন দিন ঠিক করেন দেন।
আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান: ৫ আগস্ট সরকারি ছুটি
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়।
দেশের অভ্যন্তরের কোনও একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করেছিল বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন।
১৫৫ দিন আগে
সাম্য হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি ডিএমপির
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে কথা বলতে মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকাল পৌনে ৫টায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সংবাদ সম্মেলনে আসছেন বলে এক বার্তায় জানানো হয়েছে।
সাম্য হত্যা মামলায় রবিবার পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা ডিবি। তাদের মধ্যে তিনজনকে পরদিন রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। ওই তিনজন হলেন—সোহাগ, হৃদয় ইসলাম ও রবিন।
পুলিশ জানিয়েছে, সুজন সরকার নামে আরেক আসামিকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে। আর রিপন নামে গ্রেপ্তার আরেকজন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত মোট আট আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, ১৩ মে রাতেই তামিম হাওলাদার, পলাশ সরদার ও সম্রাট মল্লিককে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলনের বার্তায় ডিবির হাতে আটজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।
নতুন করে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, সাম্য হত্যায় সব মিলিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথমে তিনজন এবং পরে ডিবির হাতে আটজনসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
গত ১৩ মে রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায়।
এদিকে সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) সকালে উপাচার্য ভবনে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাম্য হত্যা: ঢাবির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান প্রতিবেদনটি উপাচার্যের হাতে জমা দেন। এ সময় প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কমিটির সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর শারমীন কবির উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ জানান, ‘উপাচার্য স্যার আজ (সোমবার) প্রতিবেদনটি রিসিভ করেছেন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
১৯১ দিন আগে
ফের পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১১৮তমবারের মতো পিছিয়ে আগামী ৮ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২১ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিন ছিল। তবে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এদিনও প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।
এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা নতুন করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার সংশ্লিষ্ট সূত্র।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনির হত্যা: তদন্ত শেষ করতে আরও ছয় মাস সময় পেল টাস্কফোর্স
প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় তারা।
এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রায় ১২ বছর ধরে তদন্ত চলার পরও র্যাব দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি জানাতে পারেনি।
২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ র্যাবকে তদন্ত থেকে সরিয়ে দেয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়। আদালত ছয় মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেয়।
১৯৭ দিন আগে
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২৩ আগস্ট
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’ আইনে করা মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৩ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) মামলাটি অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল।
এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।
এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
ডিবি পুলিশ তদন্ত শেষে গত বছর ১১ অক্টোবর রোজিনা ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
আরও পড়ুন: অব্যাহতির পর রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে বাদীর নারাজি দেয়ায় বিএসআরএফ’র উদ্বেগ
গত ২৩ জানুয়ারি বাদীপক্ষের নারাজির আবেদন মঞ্জুর করে পিবিআইকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
২০২১ সালের ১৭ মে প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। স্বাস্থ্য সচিবের পিএস সাইফুল ইসলামের রুমে ফাইল থেকে নথি সরানোর অভিযোগে তাকে ওই রুমে আটকে রাখা হয়।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোজিনা ইসলামকে পুলিশ স্বাস্থ্য সচিবের পিএসের রুম থেকে থেকে বের করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।
এরপর মধ্য রাতে তার বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করেন শিব্বির আহমেদ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আর্টিকেল ১৯
মন্ত্রী, সচিব বা রোজিনা ইসলাম কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন: তথ্যমন্ত্রী
৮৪৭ দিন আগে
সাগর-রুনি হত্যা: ৯৪ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ ৯৪ বারের মতো পিছিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ঠিক করেন।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আট জন।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ৯৩ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ১০ বছর পর হাইকোর্টের জারি করা রুল শুনানিতে উঠছে
সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: তদন্তের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ডিআরইউ’র
১০৯৯ দিন আগে
শাহিন উদ্দিন হত্যা মামলা: পিবিআইকে ২০ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ
রাজধানীর পল্লবী এলাকায় ব্যবসায়ী শাহিন উদ্দিন হত্যা মামলার পুনঃতদন্তের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন ঢাকার একটি আদালত।
পিবিআই মঙ্গলবার প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম মো. তরিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
১২ মে শাহিন উদ্দিনের মায়ের অনাস্থার আবেদন গ্রহন করে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এমএ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
চার্জশিভূক্ত অন্য আসামিরা হলেন- সুমন ব্যাপারী, টিটু, কিবরিয়া, মুরাদ হোসেন, আবু তাহের, ইব্রাহিম সুমন, রকি তালুকদার, শফিকুল ইসলাম, তুহিন মিয়া, হারুন অর রশীদ, তারিকুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, হাসান ও ইকবাল হোসেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হত্যা মামলা: ৫ জনের যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড
এদের মধ্যে শফিকুল ও ইব্রাহিম সুমন পলাতক এবং আউয়ালসহ বাকি ১৩ আসামি এখন কারাগারে আছেন।
গত বছরের ১৬ মে পল্লবীতে ছয় বছরের ছেলে মাশরাফির সামনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শাহিন উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরদিন শাহিন উদ্দিনের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে পল্লবী থানায় আউয়ালসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
একই বছরের ২০ মে ভৈরব থেকে আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব)। এরপর আউয়াল নিম্ন আদালতে জামিন না পেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করলে তা নাকচ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন
ফারদিন হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর
১১১৫ দিন আগে
সাগর-রুনি হত্যা: ৯৩ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
৯৩ বারের মতো পেছাল সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ। আগামী ১ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাবের প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাশিদুল আলমের আদালত র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মোঃ শফিকুল ইসলাম মামলার প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আট জন। অপর আসামিরা হলেন, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।
পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ১০ বছর পর হাইকোর্টের জারি করা রুল শুনানিতে উঠছে
সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: তদন্তের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ডিআরইউ’র
সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান আর্টিকেল ১৯’র
১১৩০ দিন আগে
মীরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা: তদন্ত প্রতিবেদন জমা
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে খৈয়াছড়া ঝর্ণা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১৩ কিশোর-যুবক মৃত্যুর ঘটনায় গেটম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মাইক্রোবাসচালক গোলাম মোস্তফাকে দায়ি করেছে এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি। রেলওয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এই দুর্ঘটনার জন্য দু’জনকে দায়ী করা হয়েছে।মঙ্গলবার বিকালে বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরীর কাছে পাঁচ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।মাইক্রোবাসচালক গোলাম মোস্তফা দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর গেটম্যান সাদ্দাম বর্তমানে কারাগারে আছেন।তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার জন্য গেটম্যান ও গাড়িচালককে দায়ী করেছে। গেটম্যান সাদ্দাম দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার বিষয়টি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে হাটহাজারী থেকে ১৮ জনের শিক্ষার্থী খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখে ফেরার সময় রেলক্রসিং এ চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেন পর্যটকবাহী একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান ১১ জন। আহত হন সাতজন। এই সাতজনের মধ্যে পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়। অন্য আহতদের মধ্যে কয়েকজন এখনো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত আরও একজনের মৃত্যু
মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা: গেটম্যান সাময়িক বরখাস্ত, মামলা
১২০৫ দিন আগে
তদন্ত প্রতিবেদন পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: আইজিপি
চট্টগ্রামে কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আইজিপি বলেন, সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে সিআইডিকে সব ধরনের আলামত সংগ্রহ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্তের জন্য দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি সরকারিভাবে আরেকটি ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে। দুই কমিটিতে সিআইডি থেকে বিশেষজ্ঞ দেয়া হবে।
আইজিপি বলেন, সরকারিভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরেকটি ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ডিপোতে কাজ করতে গিয়ে কর্মীরা আহত হয়েছেন এবং ফায়ারম্যান ও পুলিশ উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়েছে। এরই মধ্যে তদের চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এখনো এখান থেকে ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। অতএব স্থানটি এখনো নিরাপদ না। আশা করছি সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে পারবো।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কথা জানিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম।
গত শনিবার (৪ জুন) রাত সোয়া ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। পরে রাত সোয়া ১১টার দিকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যসহ নিহত হয়েছেন ৪৩ জন। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ সদস্য, ডিপোর কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক মানুষ।
পড়ুন: ৬০ ঘণ্টা পর কন্টেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে: সেনাবাহিনী
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার
১২৭৬ দিন আগে
‘২ সাঁওতাল কৃষকের মৃত্যু কীটনাশক পানেই’
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় দুই সাঁওতাল কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কীটনাশক পানেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা.কফিল উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তরও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন বলেন,‘আমরা মৃতের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নমুনা সংগ্রহ করেছিলাম।ভিসেরা রিপোর্ট অনুযায়ী মৃত দুজনের শরীরে কিটনাশক পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় আমরা অর্গানো ফসফরাস যৌগ নামে এক ধরনের কিটনাশক পাই।এই বিষপানেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছি।
আরও পড়ুন: জমিতে পানি না পেয়ে বিষপানে সাঁওতাল কৃষকের আত্মহত্যা!
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মামলা কোন দিকে যাবে তা নিশ্চিত করে বলা যাবে। প্রতিবেদন যেহেতু হাতে আসছে এর পর মামলায় গতি পাবে বলেও মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য গোদাগাড়ীর দু’জন আদিবাসি কৃষক অসুস্থ হন ২৩ মার্চ সন্ধ্যায়। তারা নিজেরাই পরিবারের সদস্যদের জানান তারা বিষ খেয়েছেন। এর মধ্যে অভিনাথ মারান্ডি (৩৬) নামে একজন ঐ রাতেই বাড়িতে মারা যান। আর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ মার্চ মারা যান তার চাচাতো ভাই রবি মারান্ডি (২৭)।
অভিনাথ ও রবির পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, অনেক ঘুরেও গভীর নলকূপ থেকে সেচের পানি পাচ্ছিলেন না তারা। তাই ক্ষোভে ওই নলকূপের সামনেই দুজনে বিষ পান করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিদ্যুৎ অফিসে ঘেরাও, ২ কৃষক আটক
১৩২৮ দিন আগে