হজ
হজ প্যাকেজ ঘোষণা রবিবার: এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩টি প্যাকেজ, কমছে খরচ
আগামী বছরের হজযাত্রীদের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বিমান ভাড়া কিছুটা কমায় চলতি বছরের তুলনায় খরচও কমবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নির্বাহী কমিটির সভা শেষে প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এবার সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে চলতি বছর ২টি হজ প্যাকেজ ছিল। অন্যদিকে চলতি বছরের মতো আগামী বছরও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য একটি প্যাকেজ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। হজ এজেন্সিগুলো এর নিচে কোন প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে না।
রবিবার বিকালে সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভা হওয়ার কথা রয়েছে। এই কমিটির সভাপতি হিসেবে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা সদস্য হিসেবে রয়েছেন। এ সভায় হজ প্যাকেজ অনুমোদিত হলে ঘোষণা দেওয়া হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চলতি বছরের হজে বিমান ভাড়া ছিল এক লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা। বহু দেন-দরবারের পরও হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অনুমোদিত পেলো ৩৩ ব্যাংক
জানা গেছে, গত কিছুদিন ধরেই হজের বিমান ভাড়া নির্ধারণের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলছিল। দুই উপদেষ্টা একসঙ্গে সভায় ছিলেন। কিন্তু, ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে ঐক্যমত হয়নি।
ধর্ম মন্ত্রণালয়, বিমান ভাড়া এক হাজার ডলার (এক লাখ ২২ হাজার টাকা-শুল্ক ছাড়া) নির্ধারণের বিষয়ে অনড় অবস্থান নেয়।
অন্যদিকে, বিমান মন্ত্রণালয় গত হজের বিমান ভাড়া (এক লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা) ধরে প্যাকেজ ঘোষণার অনুরোধ জানায়। পরবর্তী সময়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে ভাড়া কমানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে তা জানানো হবে।
গত বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বিমান ও উপর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের দপ্তরে বৈঠকে বসেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। বৈঠকে দুই উপদেষ্টা ছাড়াও ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি সৈয়দ গোলাম সারওয়ার ও মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শেষ পর্যন্ত আগামী হজের বিমান ভাড়া এক হাজার ১০০ ডলার নির্ধারণের (এক লাখ ৩৪ হাজার ২০০ টাকা-শুল্ক ছাড়া) বিষয়ে অনড় থাকে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
কিন্তু বিমান মন্ত্রণালয় ভাড়া এক হাজার ২০০ ডলার ধরে হজ প্যাকেজ ঘোষণার অনুরোধ জানায়। তারা আরও কিছুটা সময় নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে ভাড়া আরও কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তখন যাতে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া সমন্বয় করে নেওয়া হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী হজের বিমান ভাড়া এক লাখ ৫৫ হাজার থেকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকায় দাঁড়াবে। সেক্ষেত্রে চলতি বছরের থেকে ভাড়া ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা কমতে পারে।
এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘বিমান ভাড়া নিয়ে একটা আলোচনা হয়েছে। বিমান ভাড়ার ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক ও সিভিল এভিয়েশনের ফি কমানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। রবিবার প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা হজের বিমান ভাড়া চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছি। একটা নির্ধারিত হয়েছে তবে সেটা আমরা এই মুহূর্তে বলতে চাচ্ছি না।
আগামী হজ কার্যক্রম আগেভাগে শেষ করতে হবে: কোটাসহ সময়সীমা দিল সৌদি সরকার
ধর্ম মন্ত্রণালয় এক হাজার ১০০ ডলার প্রস্তাব করেছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেখেন, আমার প্রচেষ্টার কোনো অন্ত নেই। আমরা চেষ্টা করছি যতটা কমানো যায়। কিন্তু আমরা যদি এখন এমন একটা সংখ্যা বলি, যেটা যদি আমরা রক্ষা করতে না পারি, সেটা তো ভালো হবে না। প্রাথমিকভাবে একটা চূড়ান্ত হিসাব আমরা তাদেরকে দিয়ে দিয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি সেখান থেকে যদি আরও ভালো কিছু করা যায়।’
চলতি বছর হজে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ মাধ্যমে খরচ হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। আর প্যাকেজ-২ এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয় ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। আর বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা। এর ভিত্তিতে প্যাকেজ নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিগুলো।
আগামী বছর হারাম শরীফের একেবারে কাছাকাছি ৫০০ থেকে ৭০০ মিটারের মধ্যে হোটেলের সুবিধা দিয়ে একটি প্যাকেজ হবে। গত বছরের প্যাকেজ-২ এ আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে এই প্যাকেজটি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে খরচও পড়বে সবচেয়ে বেশি।
আরেকটি প্যাকেজ হবে হারাম শরীফের ২ কিলোমিটারের মধ্যে। যেটি এবার প্যাকেজ-১ ছিল। এবার এ প্যাকেজের খরচ গতবারের থেকে কিছুটা কমবে।
আরেকটি প্যাকেজ হবে হারাম শরীফ থেকে দূরবর্তী আজিজিয়া এলাকায় আবাসন সুবিধা সম্বলিত। এটি হবে সাশ্রয়ী প্যাকেজ। এই প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে সাড়ে চার লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে এজেন্সিগুলোর জন্য যে প্যাকেজ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে, সেক্ষেত্রে চলতি বছরের তুলনায় খরচ কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আগামী বছর খাবার খরচ ও কোরবানি প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত থাকবে নাকি বাইরে থাকবে সেই বিষয়ে শনিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে হজ অনুবিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
আগামী হজ কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অনুমতি পেল ১৫৫ এজেন্সি
সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী বছরের (২০২৬) হজের কার্যক্রম বেশ আগেভাগেই সম্পন্ন করতে হবে। গত কয়েক বছরের মতো আগামী বছরও বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। যদিও গত দুই হজে বাংলাদেশের কোটা পূরণ হয়নি।
আগামী বছর হজে যেতে চার লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন গত ২৭ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। হজ প্যাকেজ ঘোষণার পর বাকি টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধন চললেও রোডম্যাপ অনুযায়ী, এবার ১২ অক্টোবরের মধ্যে প্যাকেজের পুরো টাকা নিয়ে হজের নিবন্ধন শেষ করতে হবে।
শনিবার সকাল পর্যন্ত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯৫৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক হাজার ১৩৫ জন হজযাত্রী প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন। হজ প্যাকেজ ঘোষণা না হওয়ায় অর্থাৎ কত খরচ হবে সেটি নির্ধারিত না হওয়ায় হজযাত্রীরা নিবন্ধনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি বছর হজ হয়েছিল ৫ জুন। গত বছরের ৩০ অক্টোবর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল সরকার।
হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, বর্তমানে হজ নিবন্ধনের গতি কম। আমরা চাই হজ প্যাকেজ দ্রুত ঘোষণা করা হোক। প্যাকেজ ঘোষণা দেরি হওয়ার কারণে নিবন্ধনে গতি অনেক কম। প্যাকেজ ঘোষণা হলে আশা করি নিবন্ধনে গতি বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি হজযাত্রীদের স্বার্থে হজের বিমান ভাড়া যৌক্তিকভাবেই নির্ধারণ করা হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
৬৮ দিন আগে
সৌদিতে পৌঁছেছেন ৩৪ হাজার ৭৭৬ হজযাত্রী
এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৭৭৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছে গেছেন। তবে, এক হাজার ৭৯৭ হজযাত্রীর ভিসা এখনো হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিসের প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, ৮৬টি ফ্লাইটে সৌদি আরবে গেছেন মোট ৩৪ হাজার ৭৭৬ জন হজযাত্রী। আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত এসব হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এখনো যাওয়ার বাকি ৫২ হাজার ৩২৪ জন।
আরও পড়ুন: পারমিট ছাড়া হজ পালন না করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ
এছাড়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট ৮৫ হাজার ৩০৩ জনের ভিসা হয়েছে। এখনো ১ হাজার ৭৯৭ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।
২১০ দিন আগে
সোমবার দুপুরের মধ্যে ভিসা আবেদন না করলে হজে যাওয়া অনিশ্চিত
হজে যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের সোমবার (৫ মে) দুপুর ১২টার মধ্যে ভিসার আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় হজে যেতে পারবেন না হজযাত্রীরা। লিড বা সমন্বয়কারী এজেন্সিগুলোর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি হজযাত্রীর ভিসা হয়নি বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
শনিবার (৩ মে) দুপুর বারোটায় সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ক্ষুদে বার্তার বরাত দিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব হজযাত্রীর পাসপোর্ট, বায়োমেট্রিক, হোটেল বা বাড়ি ও ফ্লাইটের তথ্য দিয়ে এখনও ভিসার আবেদন দাখিল করা হয়নি, তাদেরকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ ৫ মে দুপুর ১২টার মধ্যে ভিসার আবেদন নুসুক মাসার প্লাটফর্মে এ দাখিল করতে হবে।
আরও পড়ুন: পারমিট ছাড়া হজ পালন না করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ এরপরে প্ল্যাটফর্মটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। বন্ধ করে দেওয়ার পর আর কোনোভাবেই ভিসার আবেদন দাখিল করা যাবে না। ফলে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে যেসব হজযাত্রীর ভিসার আবেদন দাখিল করা হবে না, তারা চলতি বছরে হজে যেতে পারবেন না।
এ কারণে সোমবার দুপুর ১২ টার মধ্যে পাসপোর্ট, বায়োমেট্রিক, হোটেল বা বাড়ি ও ফ্লাইটের তথ্যসহ ভিসার আবেদন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব লিড এজেন্সিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।
এতে আরও বলা হয়, হজ এজেন্সির অবহেলার কারণে কোনো হজযাত্রীর ভিসার আবেদন ৫ মে দুপুর ১২টার মধ্যে দাখিল করা না হলে তার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট লিড এজেন্সিকেই বহন করতে হবে।
এছাড়া, তাদের অবহেলার কারণে কোন হজযাত্রীর হজে যাওয়া অনিশ্চিত হলে ওই সমন্বয়কারী এজেন্সি বা লিড এজেন্সির বিরুদ্ধে ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন-২০২১’ ও ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২২’ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় ২৯ এপ্রিল এবং শেষ হবে ৩১ মে।
এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজ পালন করবেন।
আরও পড়ুন: হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করলেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইতোমধ্যে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২২,২০৩ হজযাত্রী। চলতি বছর হজ পালনের জন্য এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২২ হাজার ২০৩ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। অন্যদিকে দু'জন হজযাত্রী মারা গেছেন।
রোববার (৪ মে) সকালে হজ পোর্টালে প্রকাশিত পবিত্র হজ-২০২৫ প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, সৌদি আরবে যাওয়া সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৪ হাজার ৫৬৪ জন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ১৭ হাজার ৬৩৯ জন। মোট হজ ফ্লাইট সংখ্যা ৫৪টি।
সর্বশেষ ২ মে হজযাত্রী ফরিদুজ্জামান (৫৭)। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো দুজন।
২১৪ দিন আগে
হজ পালনকারীর সর্বনিম্ন বয়স ১৫ বছর নির্ধারণ
হজযাত্রীর সর্বনিম্ন বয়স ১৫ বছর নির্ধারণ করেছে সৌদি সরকার। বুধবার (১২ মার্চ) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা হতে জারি করা এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় শিশুদের সুস্থতা ও নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে ২০২৫ (১৪৪৬ হিজরি) সালের হজ মৌসুমে পবিত্র হজ পালনে আগ্রহীদের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৫ বছর নির্ধারণ করেছে সৌদি সরকার।
আরও পড়ুন: ‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’ চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
হজযাত্রীর পাসপোর্টে উল্লিখিত জন্ম তারিখ থেকে এ বয়স গণনা করা হবে।
এছাড়া শিশু হজযাত্রী ও প্রযোজ্যক্ষেত্রে শিশু হজযাত্রীর সঙ্গে গমনকারী অভিভাবক হজযাত্রীর পরিবর্তে প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী প্রতিস্থাপন করা যাবে। এ বছরের হজে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে।
২৬৭ দিন আগে
‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’ চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
হজযাত্রাকে সহজ, সুন্দর ও নিরাপদ করতে ‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’ চালু করে হজযাত্রীদের সার্বক্ষণিক সেবার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পবিত্র হজ পালন সহজ করার জন্য মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে একটা সুযোগ দিয়েছেন; এই সুযোগ যেন আমরা সর্বোচ্চ কাজে লাগাই। একজন হজযাত্রীও যেন কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার না হন, সে প্রচেষ্টা থাকতে হবে।’
দেশে লাইসেন্স প্রাপ্ত হজ এজেন্সির সংখ্যা ১২৭৫টি। এর মধ্যে হজ কার্যক্রমের জন্য যোগ্য এজেন্সি ৯৪১টি, হজযাত্রী নিবন্ধনকারী এজেন্সি ৭৫৩টি ও লিড এজেন্সি ৭০টি।
এই এজেন্সিগুলোর দায়িত্ব কী হবে, সেটা সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করে বুকলেট আকারে ও অনলাইনে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘সরকারের দায়িত্ব হলো এজেন্সিগুলোর দায়িত্ব পালন যেন সঠিকভাবে হয় তা নিশ্চিত করা, দায়িত্ব পালন না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। পুরো হজ প্রক্রিয়া হতে হবে সহজ ও স্পষ্ট। সরকারের দায়িত্ব কী, এজেন্সির দায়িত্ব কী—এসব সুস্পষ্টভাবে লিখিত থাকতে হবে।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘কেউ হারিয়ে গেলে, অসুস্থ হয়ে পড়লে, লাগেজ হারিয়ে গেলে বা অন্য কোনো ধরনের সমস্যায় করণীয় কী, কাকে জানাবে—এটার সুস্পষ্ট গাইডলাইন থাকতে হবে।’
‘হজযাত্রীদের প্রত্যেকের কাছে এই বুকলেট দিতে হবে। নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ কী নেওয়া হবে, সেটাও (বুকলেটে) উল্লেখ থাকতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘দেশেই একটি হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার স্থাপন করতে হবে, যাতে করে বাংলাদেশে বসেই সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করা যায়। কল সেন্টারে যেসব অভিযোগ আসবে, সেগুলো এখান থেকে যেন সঙ্গে সঙ্গে মনিটরিং করা যায়।’
‘একটি ওয়েবসাইট করে দিতে হবে যেখান হজযাত্রীরা সবাই যুক্ত থাকবে। তারা তাদের অভিযোগ জানাতে পারবে; কেউ হারিয়ে গেলে সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তার লোকেশন (অবস্থান) খুঁজে পাওয়া যাবে।’
আরও পড়ুন: কোনো অবস্থাতেই হজ চুক্তির সময় আর বাড়ানো হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার জন্য কলসেন্টারে কী ধরনের অভিযোগ আসছে, সেগুলো মনিটরিং করার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, ‘কী ধরনের অভিযোগ আসছে, সেগুলো লিপিবদ্ধ করে ফেলতে হবে। এর মধ্যে কতগুলো সুরাহা হলো, কতগুলো হলো না—সে তথ্য থাকতে হবে। এই অভিযোগগুলো যেন পরের বছর না আসে, সেজন্য আলোচনা করে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।’
একই সঙ্গে কোনো এজেন্সি দায়িত্ব পালন না করলে তার লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তার ভাষ্যে, “হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতা থেকে এজেন্সিগুলো রিভিউ করতে হবে। এজেন্সির প্রশিক্ষণ আছে কি না, সেটা মনিটরিং করতে হবে। কর্মীদের প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে এজেন্সিগুলোতে ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ ক্যাটাগরি করে ফেলতে হবে। এই ক্যাটাগরির মান পূরণে যে এজেন্সিগুলো ব্যর্থ হবে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেবেন।”
হজযাত্রীরা যেন যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেদের করণীয় সম্পর্কে অবগত থাকতে পারেন এবং কেউ যাতে বিভ্রান্ত না হন, সেজন্য বিষয়ভিত্তিক ভিডিও তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘প্রবলেম সলভিং ভিডিও হতে হবে। অসুস্থ হয়ে পড়লে, হারিয়ে গেলে, কোরবানি দিতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে করণীয় কী—এমন সব ভিডিও যাত্রীদের দেখিয়ে দিলে তারা মনোবল পাবেন; প্রস্তুত থাকতে পারবেন।’
এছাড়া, পরের বছর থেকে হজ ক্রেডিট কার্ড চালু ও লাগেজ ব্যবস্থাপনার জন্য ট্যাগ কপি করে তালিকা করে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘হজ ক্রেডিট কার্ড চালু করে দিলে হজযাত্রীদের ভোগান্তি কমে যাবে। দেশে ফেরার পর যে কার্ডে যে অর্থ থেকে যাবে, সেটা নগদ ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। সেজন্য চেক-ইনের পরে ট্যাগটা কপি করে রাখা যেতে পারে। ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে লাগেজ ট্যাগের তালিকা থাকবে।’
এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজের জন্য নিবন্ধন করেছেন। সরকারি খরচে এ বছর কাউকে হজে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
২৮২ দিন আগে
কোনো অবস্থাতেই হজ চুক্তির সময় আর বাড়ানো হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
কোনো অবস্থাতেই হজ চুক্তির সময় আর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সঙ্গে সকল চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘চুক্তি সম্পন্ন করতে মাত্র ৪ দিন বাকি থাকলেও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করা প্রায় অর্ধেক হজযাত্রীর চুক্তি এখনও সম্পন্ন করা হয়নি। যদি কারও চুক্তি সম্পন্ন না হয়; তার দায় সৌদি সরকার নেবে না, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও নেবে না। দায় এজেন্সিকে নিতে হবে।’
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এ তথ্য জানান খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘হজের জন্য ৮৭ হাজার ১০০ জন নিবন্ধন করেছেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন নিবন্ধন করেছেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনকারীদের সকল চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনকারীদের ক্ষেত্রে অনেক এজেন্সি চুক্তি সম্পন্ন করতে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৫ হাজার হজযাত্রীর চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘বেসরকারি এজেন্সিগুলোও তাদের অধীনে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য সৌদি সরকারের গাইডলাইন অনুসারে কাজ করে যাচ্ছেন। অনেকের কার্যক্রম বেশ সন্তোষজনক, আবার অনেকে ধীর গতিতে চলছেন।’
আরও পড়ুন: আলেমরা উদ্যোক্তা হলে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা
সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব চুক্তি সম্পাদনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ও এই ডেডলাইনের মধ্যে তাদের পক্ষ থেকে সব চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ দিচ্ছেন বলে জানান আ ফ ম খালিদ হোসেন।
তিনি আরও বলেন, সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় হতে গতকালও (রবিবার) আমাদেরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠানো হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে চুক্তি সম্পাদনের গতি খুবই কম ও অনেকক্ষেত্রে তেমন কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ডেডলাইন ১৪ ফেব্রুয়ারি ও এটা কোনোভাবেই বাড়ানো হবে না। বাংলাদেশ হতে হজের জন্য নিবন্ধিত কোনো ভাই বা বোন যাতে হজব্রত পালন করা হতে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে আমাদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছেন।
খালিদ হোসেন বলেন, হজ সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টি গত বছরের ২৩ অক্টোবর সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। পরবর্তীতে আরও কয়েকবার পত্র মারফত আমাদেরকে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে ও সে মোতাবেক আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়গুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। আমরা গতকালই এজেন্সিদেরকে তাগিদপত্র দিয়েছি। সোমবার সকালেও সংশ্লিষ্ট এজেন্সি মালিক/পরিচালকদের সঙ্গে সভা করেছি। তাদেরকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকল চুক্তি সম্পাদনের জন্য বলা হয়েছে।
সৌদি সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কি কি চুক্তি করতে হবে সে তথ্য জানান উপদেষ্টা। এর মধ্যে রয়েছে— মিনায় ও আরাফায় তাঁবু ও ক্যাটারিংয়ের জন্য সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি। বাড়ি/হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি। পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি। ক্যাটারিং নিতে আগ্রহী হলে ক্যটারিং সেবাদানকারি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি।
আরও পড়ুন: নাশকতাকারী কোনোভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা
এজেন্সির অবহেলায় কোনো হজযাত্রী হজ করতে না পারলে এজেন্সির বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল তো হবেই। আর্থিক জরিমানা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হজ ও উমরাহ বিধিমালা ২০২২-এ সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য বাড়িভাড়া করার লক্ষ্যে ধর্ম সচিবের নেতৃত্বে ১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে। এ কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারে। এ বছর এই কমিটিতে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের ২ জন ও জেদ্দা কনস্যুলেটের ২ জন প্রতিনিধি কো-অপ্ট করা হয়। এদের মধ্যে সৌদি দূতাবাসের ডিফেন্স এটাশে ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিও ছিলেন।’
২৯৭ দিন আগে
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের ২টি প্যাকেজ ঘোষণা
আগামী বছরের পবিত্র হজকে সামনে রেখে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন প্যাকেজ দুইটির ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী ও উন্নত সেবার নতুন হজ প্যাকেজ দেবে সরকার
সরকারিভাবে এবার হজের খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। অন্য প্যাকেজটির খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা।
এছাড়া বেসরকারি মাধ্যমে হজ প্যাকেজ ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান ধর্ম উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: ২৩ অক্টোবরের মধ্যেই শেষ করতে হবে হজযাত্রীদের প্রাথমিক নিবন্ধন
৪০০ দিন আগে
ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের মধ্যেই পবিত্র হজ শুরু
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শুক্রবার মক্কার হাজিরা মরুভূমির একটি বিশাল তাঁবু শিবিরে জমায়েত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পবিত্র হজের কার্যক্রম শুরু করেছেন। এর আগে তারা ইসলামের পবিত্রতম স্থান গ্র্যান্ড মসজিদের কাবা শরিফ তাওয়াফ করেন।
সারা বিশ্বের ১৫ লাখেরও বেশি হজযাত্রীরা এরই মধ্যে হজ পালন করতে মক্কা এবং এর আশেপাশের এলাকায় জড়ো হয়েছেন। এছাড়া সৌদি আরবের অভ্যন্তর থেকে আরও হাজি যোগ দেওয়ায় এই সংখ্যা এখনও বাড়ছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, চলতি বছর এ সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
এবারের হজের কার্যক্রম এমন এক সময়ে শুরু হলো যখন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত। স্বাধীনতাকামী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধটি মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নেওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। হামাসকে সমর্থন দিয়ে আসছে ইরান। অন্যদিকে ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ তার অন্যান্য মিত্ররা।
গাজার উপত্যকার ফিলিস্তিনিরা এ বছর হজের জন্য মক্কায় যেতে পারেনি। কারণ, ইসরায়েল মিশরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে স্থল আক্রমণ বাড়িয়ে চলতি বছরের মে মাসে মিশর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দেয়।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে ৪ হাজার ২০০ হজযাত্রী মক্কায় পৌঁছেছেন। সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের আমন্ত্রণে গাজার যুদ্ধে নিহত ও আহত ফিলিস্তিনিদের পরিবারের আরও ১ হাজার সদস্যও হজ পালনের জন্য এসেছেন বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। রাফাহ ক্রসিং বন্ধ হওয়ার আগে এই ১ হাজার আমন্ত্রিত ব্যক্তি গাজার বাইরে ছিলেন- যাদের বেশিরভাগই মিশরে অবস্থান করছিলেন।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি সৌদি রাষ্ট্রদূতের
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনুসের ৭৫ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি নারী আমনা আবু মুতলাক বলেন, 'ক্রসিং বন্ধ থাকায় এবং ক্রমবর্ধমান যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞের কারণে আমরা হজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তারা (ইসরায়েল) আমাদের সবকিছু থেকে বঞ্চিত করেছে।’
মোহাম্মদ রফিক নামে এক ভারতীয় হাজি মিনার তাঁবু ক্যাম্পের দিকে যাওয়ার সময় বলেন, 'আমরা মুসলমানদের জন্য, আমাদের দেশ ও জনগণের জন্য, সমগ্র মুসলিম বিশ্বের জন্য, বিশেষ করে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য প্রার্থনা করি।’
হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি এবং শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম হলে প্রত্যেক মুসলমানকে তাদের জীবনে অন্তত একবার হলেও পাঁচ দিনের হজ করতে হবে।
এটি তীর্থযাত্রীদের জন্য একটি চলমান আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা। তারা বিশ্বাস করে, এটি পাপমোচন করে এবং বিশ্বের ২ বিলিয়নেরও বেশি মুসলমান একত্রিত হয়ে সৃষ্টিকর্তার নিকটবর্তী হয়।
সৌদি কর্তৃপক্ষ মক্কা ও এর আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এ বছরের জন্য যাদের হজে অংশগ্রহণ করার অনুমতি নেই তাদের পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ ঠেকাতে শহরের দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলোতে তল্লাশি করা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার হাজিরা মিনার উদ্দেশে রওনা হন এবং হজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন হজযাত্রীরা। এরপর তারা শনিবার মরুভূমির পাহাড় আরাফাতের ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এখানে নবী মুহাম্মদ (সা.) তার শেষ ভাষণ দিয়েছিলেন- যেটি বিদায় খুতবা নামে পরিচিত। সুস্থ তীর্থযাত্রীরা পায়ে হেঁটে, অন্যরা বাস বা ট্রেনে ভ্রমণ করেন।
আরও পড়ুন: হজ ফ্লাইট ডাটা যথাসময়ে এন্ট্রির জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
এটি ইসলামিক চন্দ্র বর্ষের শেষ মাস জিলহজের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাঁচ দিনের জন্য নির্ধারণ করায় খ্রিষ্টীয় বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী প্রতি বছর হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় পরিবর্তন হয়।
অনেক হাজি সূর্যের তীব্র তাপ থেকে কিছুটা নিস্তার পেতে ছাতা বহন করছেন। মিনায় দাতব্য সংস্থাগুলো ঠান্ডা পানি বিতরণ করছে এবং শীতল কেন্দ্রগুলো হাজিদের শীতল করার জন্য পানি ছিটাচ্ছে। মুসল্লিরা তাদের তাঁবু টাঙিয়ে ছোট্ট বিছানা পেতে বিশ্রাম নেন এবং হজের পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে একসঙ্গে প্রার্থনা করছিলেন।
শনিবার আরাফাতের হজের কার্যক্রম শেষে হাজিরা কয়েক কিলোমিটার (মাইল) ভ্রমণ করে মুজদালিফা নামে পরিচিত একটি স্থানে নুড়ি সংগ্রহ করবেন। এগুলো তারা মিনায় শয়তানের প্রতিনিধিত্বকারী স্তম্ভের প্রতীকী পাথরকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করার জন্য ব্যবহার করবেন।
এরপরে হজযাত্রীরা তিন দিনের জন্য মিনায় ফিরে আসেন। ঈদুল আজহার উৎসবের ছুটির সঙ্গে মিলে যায়। যখন বিশ্বজুড়ে আর্থিকভাবে সক্ষম মুসলমানরা গবাদি পশু জবাই করে এবং দরিদ্র লোকদের মাঝে কিছু অংশ মাংস বিতরণ করে। অতঃপর তারা চূড়ান্ত প্রদক্ষিণ করার জন্য মক্কায় ফিরে আসে, যা বিদায় তাওয়াফ নামে পরিচিত।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তিন বছরের কঠোর বিধিনিষেধের পরে বার্ষিক হজযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। ২০২৩ সালে ১৮ লাখের বেশি হাজি হজ পালন করেছেন। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৪ লাখের বেশি।
আরও পড়ুন: হজের সময় সৌদি আরবে গাজা বিষয়ে ‘রাজনৈতিক স্লোগান’ নিষিদ্ধ
৫৩৮ দিন আগে
২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হজ নিবন্ধনের বাকি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ
সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রীদের জন্য মিনায় তাঁবু ও মোয়াল্লেম গ্রহণ, বাড়ি বা হোটেল ভাড়া, পরিবহন চুক্তি ইত্যাদি আবশ্যিকভাবে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীকের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের হজের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধনকারী হজযাত্রীদেরকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিবন্ধনের অবশিষ্ট টাকা জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল
বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা
৬৬৩ দিন আগে
হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল
শেষ সময়ের ঝামেলা এড়াতে ২০২৪ সালের হজ নিবন্ধনের সময়সীমা আবারও ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
শুক্রবার(২ ফেব্রুয়ারি) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা হজ করতে চান তাদের প্রাথমিক নিবন্ধনের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার টাকা এবং বাকি টাকা চূড়ান্ত নিবন্ধনের জন্য ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: অবকাঠামো উন্নত হওয়ায় শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছানো সহজ হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে জিলহজ মাসের ৯ তারিখে (১৬ জুন) হজ-২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে।
এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হাজীর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ১৯৮ জন এবং বাকিরা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করতে পারবেন।
গত ২ নভেম্বর ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা খরচ কমিয়ে ২০২৪ সালের জন্য হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার।
আরও পড়ুন: ‘শ্রমিক সংগঠনের প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হবে’
সাধারণ প্যাকেজের আওতায় ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা এবং বিশেষ প্যাকেজের আওতায় ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
গত ১৫ নভেম্বর থেকে হজ নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে চীনা অর্থ ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে: অর্থমন্ত্রী
৬৭১ দিন আগে