উচ্ছেদ
মুগদায় দ্বিতীয় দিনের মতো ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযান
মুগদায় দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
সোমবার (২২ এপ্রিল) ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমের যৌথ নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় আইসক্রিম-সেমাই কারখানায় অভিযান, ২ কারখানাকে জরিমানা
ড্যাপে চিহ্নিত নকশা অনুযায়ী মুগদার প্রধান সড়ক বিশ্বরোড থেকে শুরু করে মান্ডার হায়দর আলী বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়ককে ৫০ ফুটে উন্নীত করতে ডিএসসিসি ও রাজউকের যৌথ উদ্যোগে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান সোমবারও পরিচালনা করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মুগদার প্রধান সড়ক বিশ্বরোড থেকে হায়দার আলী বিদ্যালয় পর্যন্ত বিদ্যমান সড়ককে ড্যাপের নকশা অনুযায়ী ৫০ ফুট প্রশস্ত করার লক্ষ্যে সড়কের উভয় পাশের স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভবন মালিকদের নোটিশও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে ভবনমালিকদের অনুরোধ করেছি। সড়ক প্রশস্ত করার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে প্রায় সব ভবন মালিক স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা রোধে অবৈধ যানবাহনবিরোধী অভিযানের দাবি জাতীয় কমিটির
চট্টগ্রামে হকার উচ্ছেদ অভিযান, পুনর্বাসনের দাবি হকারদের
চট্টগ্রামের নিউমার্কেট, স্টেশন রোড, ফলমণ্ডি এলাকার সড়ক ও ফুটপাত থেকে অবৈধ দোকানপাট ভেঙে দিয়ে হকারমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে সড়ক ও ফুটপাতে হকারদের বাঁশ, চৌকি, খাট, টেবিলসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার সমিতির সভাপতি নুরুল আলম লেদু বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে ফুটপাতে ব্যবসা করে আসছি। আজ ৫ থেকে ৬ হাজার হকারের রুটি রুজিতে আঘাত এসেছে। পুনর্বাসনের দাবি আমাদের পক্ষ থেকে সবসময় ছিল। বেকারত্ব নিবারণে হকাররা ফুটপাতে শৃঙ্খলার সঙ্গে ব্যবসা করছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেয়র বলেছিলেন, হকারদের পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করবেন না। আজ কথা রাখা হয়নি। রমজান আসছে, এ সময় এটা করা হলো। এটা কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। অনতিবিলম্বে হকারদের সঙ্গে বসে পুনর্বাসনের দাবি জানাই।’
চসিকের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম জানান, সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান চলেছে। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অভিযানে সহায়তা করেছেন। উচ্ছেদের পর এলাকাটি নজরদারিতে রাখা হবে, যাতে ফের দখল না হয়।
চসিক মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, অবৈধভাবে দোকানপাট, অননুমোদিত স্থাপনা গড়ে পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তাই অভিযান চালানো হচ্ছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মুন্সীগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় হামলায় আহত ৭, শ্রমিক গুলিবিদ্ধ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার গোমতী নদী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের সময় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) স্টাফদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ফাঁকা গুলিতে শ্রমিক গুলিবিদ্ধসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে গোমতী নদী তীরে চরচাষিতে প্যাসিফিক ডেনিমসের দখল করা জমিতে অভিযানের সময় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ শ্রমিকের নাম ইসমাইল হোসেন। তিনি প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেডের শ্রমিক। পরে তাকে ঢাকার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কারখানাটির জেনারেল ম্যানেজার ইউনুস আলী।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে গুলি করে হত্যা
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার গোমতী নদী তীরের চরচাষিতে প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চালানোর সময় লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালায় কারখানাটির লোকজন।
আকস্মিক হামলায় আনসার সদস্য ও বিআইডব্লিউটিএ’র স্টাফসহ চারজন আহত হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই সময় কারখানাটির শ্রমিক ইসমাইল গুলিবিদ্ধ হন।
বিআইডব্লিউটিএ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ জানান, মেঘনা-গোমতী তীরের তোলা ফকির নিটওয়্যার লিমিটেডের প্রায় তিন হাজার ফুট পাকা সীমানা প্রাচীর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও নদী তীরের নানা স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে স্থানীয়রাও খুশি।
আরও পড়ুন: কম উপস্থিতিতে চলছে ভোট গ্রহণ, মুন্সীগঞ্জে নিহত ১
বিআইডব্লিউটিএর মেঘনা ঘাট নদী বন্দরের উপপরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, নদী রক্ষায় বিধি মোতাবেকই অভিযান পরিচালিত হয়। গজারিয়ায় বসুরচর লঞ্চঘাট এলাকা ও মেঘনা-গোমতী নদীর পাড় ঘেষে চরচাষির এই অভিযানে ১০০ বিঘা জমি দখলমুক্ত হয়েছে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান জানান, শ্রমিক ইসমাইলের গুলি লাগার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শুনেছিলাম মাথা কেটে গেছে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময় পুলিশ ১৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি এবং একটি গ্যাস সেল ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ২ সপ্তাহের মধ্যে ঢাকাসহ ৫ জেলার অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশ
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ঢাকাসহ পাঁচ জেলার সব অবৈধ ইটভাটা দুই সপ্তাহের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে আদালত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় থাকা অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজিকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
আদালতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করিম।
আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
এর আগে বায়ু দূষণরোধে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে ২০২০ সালে রায় দেন উচ্চ আদালত।
৯ দফা নির্দেশনায় বলা হয়:
১. ঢাকা শহরের মধ্যে বালি বা মাটি বহনকারী ট্রাকগুলোকে ঢেকে পরিবহণ করতে হবে।
২. যেসব জায়গায় নির্মাণকাজ চলছে সেসব জায়গার কনট্রাকটররা তা ঢেকে রাখবে।
৩. এছাড়া ঢাকার সড়কগুলোতে পানি ছিটানোর যে নির্দেশ ছিল, সে নির্দেশ অনুযায়ী যেসব জায়গায় এখনও পানি ছিটানো হচ্ছে না, সেসব এলাকায় পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. সড়কের মেগা প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ এবং কার্পেটিং যেসব কাজ চলছে, যেসব কাজ যেন আইন-কানুন এবং চুক্তির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন মেনে করা হয় সেটা নিশ্চিত করার নির্দেশ।
৫. যেসব গাড়ি কালো ধোঁয়া ছাড়ে সেগুলো জব্দ করতে বলা হয়েছে।
৬. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করতে হবে এবং যেসব গাড়ি পুরাতন হয়ে গেছে সেগুলো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ।
৭. যেসব ইটভাটা লাইসেন্সবিহীনভাবে চলছে, সেগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনও বন্ধ করা হয়নি, সেগুলো বন্ধ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ।
৮. পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইকিলিং বন্ধের নির্দেশ।
৯.মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে এবং তা মার্কেট ও দোকান বন্ধের পরে সিটি কর্পোরেশনকে ওই বর্জ্য অপসারণ করার নির্দেশ।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে চলছে ৬০ ভাগ ইটভাটা: মন্ত্রী
এই ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে গত ৩০ জানুয়ারি সোমবার হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
গত ৩১ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ঢাকার বায়ু দূষণে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
সেই আদেশ অনুযায়ী গত ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
ওই প্রতিবেদন দেখে বায়ু দুষণ রোধে আদেশ বাস্তবায়নে দুই সপ্তাহ সময় দেন।
এছাড়া আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আজকে যে প্রতিবেদন দিয়েছে সেটাতে আদালত বলছেন যথেষ্ঠ নয়। কয়েকটা গাড়ির কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু অবৈধ ইটভাটার উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি বলেন, তাই দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার আশেপাশের পাঁচ জেলায় অবৈধ ইটাভাটা বন্ধ করে পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। সিটি করপোরেশনকে বলেছেন পর্যাপ্ত পানি ছিটাতে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের মধ্যে বালি বা মাটি বহনকারী ট্রাকগুলোকে ঢেকে পরিবহন করা, যে সব জায়গায় নির্মাণকাজ চলছে সেসব জায়গার ঢেকে রাখাসহ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ডিসিদের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
সুনামগঞ্জের পাঁচ খালের দখলদার উচ্ছেদের নির্দেশ
সুনামগঞ্জ শহর এলাকার মধ্যে প্রবাহিত তেঘরিয়া, বড়পাড়া, কামার, বলাইখালী এবং নলুয়খালী খালের সীমানা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পাঁচটি খালের দুই-পাড়ের দখলদারদের পূর্ণ তালিকা প্রস্তুত ও তাদের খালের জায়গা থেকে উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে রবিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
ছয় মাসের মধ্যে এ বিষয়ে বিবাদীদের প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: ধর্ম অবমাননা মামলা: সিলেটে হিন্দু মহাজোটের নেতা রাকেশ রায়ের ৭ বছরের কারাদণ্ড
আদালতে বেলার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আশরাফ আলী। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী হাসানুল বান্না।
রুলে অননুমোদিত দখল থেকে পাঁচটি খাল রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন আইন বহির্ভূত ও জনস্বার্থ পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে খালের বিদ্যমান সকল দখলদার ও ক্ষতিকর স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালসমূহ রক্ষা, পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
আদেশ নিশ্চিত করে বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সুনামগঞ্জ শহরের পানি নিষ্কাশনে অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে খালগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিল।
সম্প্রতি খালগুলো দখল করে গড়ে উঠেছে স্থাপনা, রাস্তা ও সরকারি অফিস। ফলে খালগুলো সরু নালাতে পরিণত হয়েছে।
অব্যাহত দখলের কারণে কোথাও কোথাও খালগুলো প্রায় নিশ্চিহ্ন হবার শঙ্কায় রয়েছে। শহরের পানি নিষ্কাশন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে শহরের জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে।
এমন অবস্থায় সুনামগঞ্জ শহরবাসীর অনুরোধে তেঘরিয়া, বড়পাড়া, কামার, বলাইখালী এবং নলুয়াখালী খাল দখলমুক্ত করে যথাযথ সংরক্ষণে বেলা এ রিট মামলা দায়ের করে।
মামলার বিবাদীরা হলেন-ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, পানি সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ মোট ১৩ জন।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর মামলায় সেই বিচারকের হাইকোর্টে জামিন
দ্বৈত নাগরিকদের দেশপ্রেম দুভাগে বিভক্ত: হাইকোর্ট
খুলনায় অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান শুরু
হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ও ইটভাটা মালিকরা সম্মিলিতভাবে ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা ও হরি নদীর পাড়ের ১৪টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধসহ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. ইয়াসির আরেফিন ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ও রুদাঘরা ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে ভদ্রা ও হরি নদীর দু’পাশে ব্যক্তি মালিকানার জমির সঙ্গে নদীর চর ভরাটিয়া জমি অবৈধভাবে দখল করে এলাকার প্রভাবশালীরা বেশ কয়েকটি ইটভাটা গড়ে তোলে।
নদীর চর দখল ও এলাকার পরিবেশের ঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়ে ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ‘ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা ও হরি নদী দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১৪টি ইটভাটার মধ্যে থাকা সরকারি নদীর জায়গা থেকে ইটভাটা উচ্ছেদ/অপসারণ করে জমি অবমুক্ত করার জন্য খুলনা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেন। ’কিন্ত আদালতের সেই আদেশ যথাযথভাবে প্রতিপালন না হওয়ায় ৭ ডিসেম্বর রিটকারী আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট খুলনা জেলা প্রশাসক ও ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে জবাব দেয়ার নির্দেশনা দেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১০ জানুয়ারি আদালতে উপস্থিত হয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
বিচারপতি জে.বি.এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই ১৪টি অবৈধ ইটভাটা অপসারণ করে নদীর জায়গা অবমুক্ত করে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু তারপরও ইটভাটা মালিক পক্ষ সময় চেয়ে উচ্চ আদালতে একাধিক আবেদন করলে তা খারিজ করা হয়ে যায়। তারই প্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানুয়ারি মাসে ওইসব ভাটাগুলোর মধ্যে থাকা সরকারি জমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসকেবেটর বিপুল সংখ্যক শ্রমিক নিযুক্ত করে সরকারি নদীর জায়গা অবমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। যদিও ইতোমধ্যে কয়েকজন ইটভাটা মালিক তাদের ভেতর থাকা সরকারি জায়গা ছেড়ে দিতে স্ব উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন। অভিযান কার্যক্রম মনিটরিং করছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস.এম মুমিন লিংকন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল,এ) আতিকুল ইসলাম, ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান,উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আফরোজ শাহীন খসরু-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও পুলিশের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইটভাটা মালিকদের যৌথ উদ্যাগে উচু-চিমনি ও ক্লিন বা চুল্লি ভাঙ্গা কার্যক্রমের পাশাপাশি ইট সরিয়ে নেয়া শুরু করে। খর্ণিয়া ব্রিজ সংলগ্ন ‘নুরজাহান ব্রিক্স’র কর্তৃপক্ষ তিনদিন ধরে উঁচু চিমনি ও ক্লিন বা চুল্লি ভেঙ্গে এবং ইট সরিয়ে নিচ্ছেন। পাশে কে,বি-২ ব্রিক্স বুধবার তাদের চিমনি ভেঙ্গে নেয়াসহ ইট সরিয়ে নিচ্ছে। কে.পি.বি ব্রিক্স তাদের ক্লিনের আংশিক ভেঙ্গে নিচ্ছেন এবং ভাটার ভিতরে নদীর জায়গায় থাকা স্থাপনা সরাচ্ছেন। এছাড়া এস.বি ব্রিক্স, সেতু-১ ব্রিক্সও তাদের মধ্যে থাকা নদীর জায়গা ছেড়ে দিতে ক্লিন ভেঙ্গে ও অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন। এফ.এম.বি ব্রিক্স তাদের চিমনি ভেঙ্গে সরিয়ে নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে নুরজাহান ব্রিক্স’র মালিক শাহাজান জমাদ্দার বলেন,’আমি হাইকোর্টর নির্দেশ মান্য করে আমার ইটভাটার মধ্যে সরকারি জমির ওপর থাকা স্থাপনা শ্রমিক দিয়ে সরিয়ে নিচ্ছি’।
কে,পি,বি ব্রিক্স’র ব্যবস্থাপক মাসুদ জোয়াদ্দার জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা জানার পর থেকে আমাদের ইটভাটার মধ্যে থাকা নদীর জাগয়া থেকে মাটি মিকচার মিল, শ্রমিকদের স্থাপনা এবং ক্লিনের আংশিক ভেঙ্গে সরিয়ে নেয়া অব্যহত রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. ইয়াসির আরেফিন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং আইনবিধি মোতাবেক আমরা ইতোমধ্যে ওই ১৪টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। তাছাড়া সি.এস রেকর্ড অনুযায়ী নদীর জমি চিহ্নিত করে তা উদ্ধার করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে নদীর জাগয়া অবৈধ দখল মুক্ত করতে পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ৭ অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিলো আদালত
দেশের সব অবৈধ ইটভাটা সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ
রায়েরবাজারে শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে রায়েরবাজারে অবস্থিত সিটি করপোরেশনের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পরিত্যক্ত বাজার থেকে শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে।
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে ৫ নং জোনের জোনাল অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বাজার থেকে অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০০৬ ও ২০১৯ সালে পরিত্যক্ত বাজারের সামনে এবং এর ভেতরে গড়ে ওঠা বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেছে।
বারবার অভিযান চালানোর পরও এই ধরনের অবৈধ স্থাপনা বেশির ভাগই দোকানপাট বসানো হয়েছে।
এ ধরনের একটি অভিযানের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত রডসহ বাজারের কিছু উপকরণ নিলামের মাধ্যমে ৪৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: রায়েরবাজারে শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে ডিএনসিসি
৪০০ কোটি টাকার বিল বকেয়া: ডিএনসিসি এলাকায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে তিতাস
ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক
ডিএসসিসি’র অভিযানে নীলক্ষেতের ১৮৮টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নীলক্ষেত রোড সাইড মার্কেট তথা তুলা মার্কেটের ১৮৮টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে।
রবিবার ডিএসসিসি’র সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ২৬নং ওয়ার্ডের নীলক্ষেত তুলা মার্কেটে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রাত ১০টার পর বন্ধ থাকবে: ডিএসসিসি
নীলক্ষেত তুলা মার্কেটের প্রথম তলায় শুধু ৩৫টি দোকানই বৈধ। এছাড়াও তিন তলা মার্কেটের ২য় ও ৩য় তলা ৭৫টি করে মোট ১৫০টি এবং প্রথম তলায় বৈধ ৩৫টি দোকানের সঙ্গে অবৈধভাবে ৩৮টি দোকান সম্প্রসারণ ও নির্মাণ করা হয়। সবমিলিয়ে তুলা মার্কেটে মোট ১৮৮টি অবৈধ দোকান রয়েছে।
আজকের অভিযানে সকল অবৈধ দোকান ও দোকানের বর্ধিতাংশ উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘নীলক্ষেত তুলা মার্কেটের বৈধ ৩৫টি দোকানের ওপর ভিত্তি করে একটি অসাধু চক্র নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১৮৮টি অবৈধ দোকান নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করেছে। অভিযানে প্রথম তলার বৈধ ৩৫টি দোকান বাদে বাকী সকল অবৈধ দোকান ভেঙে ফেলা হবে। সকল অবৈধ দোকান না ভাঙা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।’
করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন পুরো উচ্ছেদ কার্যক্রম তদারকি করেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। আগামীকালও উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে ডিএসসিসি'র উচ্ছেদ অভিযান শুরু
গুলিস্তানে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযান
উচ্ছেদ অভিযান: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ বস্তিবাসীর
পুনর্বাসন নিশ্চিত না করে মহাখালীতে উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে সোমবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বস্তিবাসী।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ মহাখালীর সাততলা বস্তিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরুর পর দুপুর ১২টার দিকে আমতলী এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শত শত বস্তিবাসী।
বিক্ষোভের মুখে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বস্তিবাসীদের দাবি, যাদের অধিকাংশই নদী ভাঙনের শিকার, তাদের পুনর্বাসন করে তারপর বস্তি উচ্ছেদ করতে হবে।
গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ বলেন, মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ নির্বাচনের কাঠামো গঠনের পরামর্শ ড. কামালের
সরকার রাজনীতিকরণ করে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে বিভক্ত করেছে: ফখরুল
মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ: প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ
চাঁদপুরে রেললাইনের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
চাঁদপুর-লাকসম রেলপথের মৈশাদী বাজার এলাকায় তিনশ’ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রাম থেকে আসা টিম।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রেলওয়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিততে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় টিনের তৈরি, পাকা ও সেমিপাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
রেল কর্মকর্তারা জানান, পর্যায়ক্রমে রেলপথের চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া আগামী দুই মাস এই উচ্ছেদ অভিযান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ ডিএসসিসি মেয়রের
মৈশাদী অবৈধ দখলে থাকা বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, তারা বুধবার সকালে জানতে পারেন বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান হবে। এ মর্মে রেলওয়ে বিভাগের মাইকিং করার পর নিশ্চিত হন। সময় খুবই কম হওয়ায় তারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে পারেননি।
তারা তাদেরকে আরও আগে নোটিশ না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রেলওয়ের সম্পত্তিতে এমন বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান এই প্রথম হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
তারা আরও জানান, তিনশ’ ব্যবসায়ী এখন পথে বসেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম ইউএনবিকে বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান আমাদের পূর্বের কর্মসূচি। আগামী দুই মাস এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। যেখানে অবৈধ স্থাপনা সেখানে চলবে উচ্ছেদ। শুক্রবার থেকে বিকাল পর্যন্ত আমরা চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী রেলওয়ে স্টেশন ও তার আশপাশ এলাকায় প্রায় তিনশ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করেছি।’
তিনি বলেন, এর মধ্যে টিনসেড ও সেমিপাকা স্থাপনা ছিল। এসব স্থাপনায় প্রায় পাঁচশ’ লোক অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছিলো।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন সহকারী ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. শহীদুজ্জামান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুচিত্র রঞ্জন দাস, উর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী এসএসএই (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার, এসএসএই (কার্য) আতিকুর রহমান আখন্দ, রেলওয়ের বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশিদ, কানুনগো লাকসাম মো. কাউছার হামিদ, সার্ভেয়ার আমিনুল ইসলাম।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন রেলওয়ে (জিআরপি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ উল্যাহ বাহার, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইনচার্জ মো. খোরশেদ আলমসহ চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালী: খাস জমিতে সাবেক এমপির বাসভবনসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
ফরিদপুরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ