এমডি
নাহার চৌধুরীকে প্রথম বাংলাদেশি এমডি নিয়োগ দিল কোকা-কোলা
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বেভারেজ কোম্পানি কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে জু-উন নাহার চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশে প্রথম কোনো নারী হিসেবে তিনি এ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পেলেন।
কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দেশের বোতলজাতকরণ এবং ব্যবসায়িক অংশীদার, গ্রাহক ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন নাহার চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ‘রাষ্ট্রদূত ভ্রমণ অনুদান’ ঘোষণা
নাহার চৌধুরী ইউনিলিভারের মার্কেটিং বিভাগের ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ইউনিলিভার বাংলাদেশের বিভিন্ন পদে তিনি কাজ করেছেন।
তার নেতৃত্বে দেশব্যাপী ‘লাইফবয় হাত ধোয়া ক্যাম্পেইন/হ্যান্ডওয়াশিং ক্যাম্পেইন’ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নেয়। দেশের ৬০টির বেশি এলাকায় ৮৬ হাজার তরুণ একই সঙ্গে এ ক্যাম্পেইনে অংশ নেয়।
২০১৪ সালে রেকিট বেনকিজারে যোগদানের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ায় কর্মজীবন শুরু হয় জু-উন নাহার চৌধুরীর। সেখানে তিনি ডেটলের ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
পরবর্তী সময়ে ডানোন ইন্দোনেশিয়ার হেড অব ইনোভেশন হিসেবে কাজ করার পর তিনি এফএমসিজি পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই এন্ড-টু-এন্ড ই-কমার্স ফ্যাসিলিটেটর প্রতিষ্ঠানটি আসিয়ানভুক্ত সাতটি দেশে কাজ করে।
ইন্দোনেশিয়ায় আট বছর কাটিয়ে ২০২৩ সালে দেশে ফিরে তিনি এপেক্স-এর মার্কেটিং ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার খুঁজুন: ডিআইটিএফ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী
নতুন দায়িত্ব গ্রহণ সম্পর্কে কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জু-উন নাহার চৌধুরী বলেন, ‘বোতলজাত পার্টনার কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস (সিসিবিবি) ও আবদুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল) এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করে ভোক্তাদের সতেজ রাখতেও আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে কোকা-কোলার এই যাত্রায় নেতৃত্ব দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং আমাদের ব্র্যান্ড ও ফ্র্যাঞ্চাইজি কার্যক্রমকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
নাহার চৌধুরী বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে এই পদে নিয়োগ পেয়েছেন এবং তিনি ২০২১ সালে যোগ দেওয়া সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুংয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
ফ্র্যাঞ্চাইজ অপারেশনস ফর সাউথওয়েস্ট এশিয়ার (এসডব্লিউএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট অজয় বিজয় বাতিজা বলেন, ‘আমরা জু-উনকে কোকা-কোলায় স্বাগত জানাই। কোকা-কোলা কোম্পানি বাংলাদেশের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারে একটি টেকসই ব্যবসা গড়ে তোলার উপর তার দৃষ্টি পুনর্ব্যক্ত করে। জু-উন দেশে কোম্পানির যাত্রার একটি উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে যোগদান করেছেন এবং আমাদের অংশীদাররা এফএমসিজি এবং ই-কমার্সে তার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু অর্জন করবে।’
কোকা-কোলা বাংলাদেশের প্রথম কোম্পানি যারা বাংলাদেশে শতভাগ রিসাইকেল করা পিইটি বোতল বাজারে ছেড়েছে। ডিজিটাল মিউজিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কোক স্টুডিও বাংলার ২ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন+ সাবস্ক্রাইবার নিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। যা বাংলাদেশের কয়েকটি বড় ব্র্যান্ডের সম্মিলিত গ্রাহক সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
কমন ফান্ড ফর কমোডিটিজের এমডি নির্বাচিত হওয়ায় রাষ্ট্রদূত বেলালকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বেলাল টানা দ্বিতীয় মেয়াদে কমন ফান্ড ফর কমোডিটিজের (সিএফসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে ভোটে বিজয়ী হওয়ায় তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক শুভেচ্ছা বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে এই গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বিশ্বের দরিদ্র মানুষের জন্য আরও কাজ করার সুযোগ পাবেন রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বেলাল।
তার নেতৃত্বে সিএফসি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে ড. মোমেন আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশিদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
উল্লেখ্য, বুধবার (২২ নভেম্বর) নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রাষ্ট্রদূত বেলাল একমাত্র প্রতিপক্ষ ইতালির ড. মাসিমিলানো ফাবিয়ানের বিরুদ্ধে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা (৬৮ দশমিক ০১ শতাংশ ভোট) পেয়ে জয়লাভ করেছেন।
বুধবার প্রতিষ্ঠানটির ৩৫তম বার্ষিক গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় সদস্যগণ গোপন ব্যালটে তাদের ভোট প্রদান করেন।
রাষ্ট্রদূত বেলাল ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে ৪ বছরের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে কমন সিএফসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: ড. মোমেনকে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির ৩১তম বার্ষিক গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় রাষ্ট্রদূত বেলাল সর্বসম্মতিক্রমে ৪ বছরের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন।
সিএফসি একটি জাতিসংঘ অনুমোদিত আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা। এটি তার সদস্য দেশগুলোতে পণ্যমূল্য চেইনের সঙ্গে জড়িত প্রকল্পগুলোতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। সংস্থার লক্ষ্য হলো- পণ্য উৎপাদন ও বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ব্যবসা, সমবায় এবং প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দিয়ে টেকসই উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখা।
মোহাম্মদ বেলাল মার্চ ২০১৪ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় একই সঙ্গে তিনি ক্রোয়েশিয়া এবং বসনিয়া ও হারজেগভিনারও দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: ড. মোমেনকে পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
সিঙ্গাপুরে এশিয়ানেটের বোর্ড মিটিংয়ে ইউএনবির এমডি ও পরিচালক
ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান সম্পাদক এনায়েতউল্লাহ খান এবং পরিচালক নাহার খান সোমবার (২৩ অক্টোবর) গণমাধ্যমটির অংশীদার এশিয়ানেটের বোর্ড সভায় যোগ দিয়েছেন।
সোমবার সকাল ১১টায় সিঙ্গাপুরের কার্লটন শহরের একটি হোটেলে দুই দিনব্যাপী এশিয়ানেটের বোর্ড সভা ও ফোরাম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে মার্কিনিরা হামলার শিকার হলে জবাব দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন-অস্টিনের হুঁশিয়ারি
সম্মেলন শুরুর আগে, সকাল ১০টায় মিডিয়ানেট একটি কফি পান ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে এশিয়ানেট ২০২০-২৩ অর্থবছরের আর্থিক ফলাফলসহ বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করে।
এশিয়ানেট দুর্দান্ত ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া এক্সপোজারসহ প্রিমিয়াম ইমেল ও নিউজ ওয়্যার পরিষেবা সরবরাহ করে।
এছাড়াও, এশিয়ানেট সংবাদ মাধ্যমসমূহের জন্য একটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী বহুজাতিক বিতরণ পরিষেবা সরবরাহ করে।
এশিয়ানেট ১২টি ভাষার ১২টি জাতীয় সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে ১৯৮টি গণমাধ্যমে সংবাদ বিতরণ করছে।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের আমন্ত্রণে বেলজিয়াম গেলেন পলক
বাংলাদেশে একটি মিনি সুইজারল্যান্ড গড়ে তুলুন: সুইস বিনিয়োগকারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
দেশ টিভির এমডির ১৫ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ থাকবে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানের ১৫টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৩৪১ কোটি এক লাখ ২১ হাজার ৭৪২ টাকা ফ্রিজ না করতে হাইকোর্টের আদেশ ২১ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
বুধবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
খুরশীদ আলম খান জানান, এ আদেশের ফলে আরিফ হাসানের ওই ৩৪১ কোটি টাকা ফ্রিজ থাকবে। কাজী আরিফ হাসান ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হাসান টেলিকমের ১৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে মহানগর বিশেষ জজ আদালতে আবেদন করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০২০ সালে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দেন মহানগর বিশেষ জজ আদালত।
ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আরিফ হাসান হাইকোর্টে আসেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে গত বছর হাইকোর্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক।
তিনি আরও বলেন, শুনানি শেষে আদালত আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশটি স্থগিত করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে ওইদিন বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসবে বলে আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বংশী নদী দখল : সাভারের ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত আইনানুগ ছিল না: হাইকোর্ট
‘কীটনাশকের বিষক্রিয়ায়’ ২ ভাইয়ের মৃত্যু: পেস্টকন্ট্রোল কোম্পানির চেয়ারম্যান ও এমডি গ্রেপ্তার
রাজধানীর বসুন্ধরায় বাড়িতে স্প্রে করা ‘কীটনাশকের বিষক্রিয়ায়’ অসুস্থ হয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ওই পেস্টকন্ট্রোল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) টাঙ্গাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- কোম্পানির চেয়ারম্যান আশরাফ এবং এমডি ফরহাদ।
লালবাগ ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লালবাগ বিভাগের ডিবির একটি দল টাঙ্গাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
তারা এখন ঢাকার পথে রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বসুন্ধরায় ‘কীটনাশকের বিষক্রিয়ায়’ দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
পুলিশ ও শিশুটির পরিবার জানায়, বাচ্চাদের বাবা মোবারক হোসেন তেলাপোকা মারার উদ্দেশ্যে ডিসিএস অর্গানাইজেশন লিমিটেডকে নিয়োগ দেন। গত ২ জুন বসুন্ধরার ১ নম্বর ব্লকে তাদের নতুন বাড়িতে ডিসিএস অর্গানাইজেশন লিমিটেডের কর্মীরা কীটনাশক স্প্রে করে। কীটনাশক ব্যবহার করায় পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে একদিন বাইরে অবস্থান করে।
৪ জুন পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ফিরে আসার পর কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাদের দ্রুত ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
৫ জুন সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ বছর বয়সী জোহান মারা যায় এবং রাতে ১৫ বছর বয়সী জাহিন মারা যায়।
এ ঘটনায় গত ৫ জুন মোবারক হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বসুন্ধরায় কীটনাশক বিষ প্রয়োগের পর অসুস্থ হয়ে ৯ ও ১৫ বছর বয়সী দুই ভাইয়ের মৃত্যু
রাজধানীর ওয়ারীতে গ্যাসলাইনের আগুন নিভেছে
কুষ্টিয়ায় রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের এমডির গাড়িচালক হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিকিম কোম্পানির পরিচালকের গাড়িচালক সম্রাট (৩০) হত্যার প্রধান আসামি আব্দুল মমিনকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার রাতে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১২।
গ্রেপ্তার আব্দুল মমিন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাঁশেরবাদা মধ্যপাড়া গ্রামের মো. বাহাদুর খাঁ’র ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পিকআপ চাপায় বৃদ্ধার মৃত্যু
র্যাব-১২র অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মারুফ হোসেন পিপিএম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ঈশ্বরদীর মধ্য অরনকোলা রিফুজি কলোনীর আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে সম্রাট হোসেন গত তিন বছর ধরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিকিম কোম্পানির পরিচালকের গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ২৩ মার্চ সম্রাট দায়িত্বপালন শেষে নিজ বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন তার মোবাইলে ফোন দেয়। তখন ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরদিন কোম্পানির অন্য চালকদের কাছে নিহতের বাবা জানতে পারেন আগের দিন রাতে ডিউটি শেষে গাড়ি নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে গেছে সম্রাট। তখন পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে জানতে পারে সম্রাট বাঁশেরবাদা মধ্যপাড়ায় তার পূর্ব পরিচিত বন্ধু আব্দুল মমিনের বাসায় গিয়েছিলেন।
এতে আরও বলা হয়, গত ২৫ মার্চ রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর আড়িয়াবান্দা গ্রামের শিলাইদহ ঘাট থেকে সম্রাটের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে মমিনকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় হত্যা মামলা করেন।
এরপর র্যাব-৩ এর সহযোগীতায় বাংলামোটর এলাকা থেকে রবিবার (২৬ মার্চ) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৩
সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
খুলনা ওয়াসা এমডির দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমাদুল হক বসির রিটটি দায়ের করেন।
রিটে খুলনা ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতির অনুসন্ধান করতে দুদকের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, তার নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।
রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব, উপ-সচিব স্থানীয় সরকার (পানি সরবরাহ), পিএসসির চেয়ারম্যান, খুলনা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ, খুলনা ওয়াসার চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন ও খুলনা ওয়াসার এমডিকে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে জলাবদ্ধতার দায় ওয়াসা ও সিটি করপোরেশন উভয়ের: টিআইবি
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, খুলনা ওয়াসার এমডির অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তারপরও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছে। নিজের পদে থাকতে তিনি প্রবিধান সংশোধন করে নিচ্ছেন। তারপরও তার বিষয়ে কোনো তদন্ত হচ্ছে না।
রিট আবেদনটির ওপর আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।
আরও পড়ুন: এবার ঢাকা ওয়াসা বাড়াল পানির দাম
ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানের হালনাগাদ প্রতিবেদন মঙ্গলবার জমা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার ২০০৯ সাল থেকে ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি’র বেতন-বোনাসের হিসাব চাইলেন হাইকোর্ট
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম জানান যে মঙ্গলবার তিনি তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করবেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগে ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়ার অভিযোগ এনে রিটটি করেন।
রিট আবেদনে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সাত কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, তাকসিম ২০০৯ সাল থেকে গত ১৩ বছর ধরে ওয়াসার এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, তার মেয়াদে প্রতি ইউনিট পানির দাম ৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও তিনি তার পদে বহাল রয়েছেন।
সুমন আরও বলেন, ২০০৯ সালে তার পরীক্ষার ফলাফল পুনর্লিখন ও কারচুপি করার মাধ্যমে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। এমডি পদের জন্য ২০ বছরের প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতার প্রয়োজন, যা তার ছিল না।
তিনি বলেন, ‘তার নিয়োগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পরীক্ষা ও বিবেচনা করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করছে। যার অর্থ হল কিছু কারচুপি হয়েছিল, তবুও তার মেয়াদ পরে বাড়ানো হয়।’
তার নিয়োগ প্রক্রিয়া তদন্তের প্রয়োজনীয়তা দেখায় রিট পিটিশন দাখিল করা হয় বলে জানান তিনি।
সুমন বলেন, ২০০৯ সালে তিন বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পর ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের মেয়াদ তিনবার বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি পদে তাকসিমের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে রিট
ওয়াসার এমডির বেতন-বোনাসের হিসাব দিতেই হবে: চেম্বার আদালত
ওয়াসার এমডি পদে তাকসিমের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে রিট
‘জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে’ অভিযোগ করে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানকে ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়:নিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসার) এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে অনুমতি নিয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে এ রিট করেন।
রিটে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ মোট সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াসার এমডি ১৩ বছর ধরে আছেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি আছেন। এসময়ে পানির দাম ৬ টাকা থেকে ১৫ টাকা ইউনিট হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকার অভিযোগ বিভিন্ন পত্রিকায় উঠে এসেছে। তারপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত হচ্ছে, আমি যতটুকু জানি দুদকেও অনুসন্ধান হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে যখন তাকে নিয়োগ দেয়া হয়, নিয়োগ পরীক্ষায় নম্বরে ঘষামাজা করে, জাল জালিয়াতি করে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। ওয়াসার এমডি হতে হলে যে ধরনের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, সেটা ছিল না। কম করে হলেও ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, সেটা কিন্তু ছিল না। তারপরও তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, এরপর সেই মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে।
আমার বক্তব্য হলো দুদককে আমরা পার্টি করেছি। এই কথাগুলো সত্য হলে তার নিয়োগপত্রের তদন্ত হওয়া দরকার।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, তার নিয়োগপত্রে যা লেখা আছে, পৃথিবীর কোনো লোকের নিয়োগপত্রে এমন লেখা থাকে কি না আপনারা দেখবেন। তার নিয়োগপত্রে লেখা হয়েছে ভবিষ্যতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকালে পরীক্ষা ও নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর মানে বোঝা যাচ্ছে দুই নম্বরি হয়েছে। এরপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। এজন্যই আমরা তার নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে তার নিয়োগ অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, জন্মই যার অবৈধ হয়, পরে তার কর্মতে লুটপাট হবে, পানির দাম বাড়বে, ওয়াসার বাজে অবস্থা হবে, পানির মধ্যে ময়লা আবর্জনা পাওয়া যাবে এটাই স্বাভাবিক।
এ ধরনের অবৈধ দুর্নীতির মাধ্যমে যে নিয়োগ জনস্বার্থে সেটা বন্ধ করতে হবে। তার বেতন তো আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতির বেতনের থেকে বেশি।
তিনি নাকি অফিস করেন আমেরিকায় বসে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডির বেতন-বোনাসের হিসাব দিতেই হবে: চেম্বার আদালত
ওয়াসার এমডি’র বেতন-বোনাসের হিসাব চাইলেন হাইকোর্ট
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি কারাগারে
চার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) ও সিইও মামুন-উর-রশিদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার আসামীর আইনজীবী মামুন-উর-রশিদ এর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা করেন। মামলায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয়ে কথিত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী (এনজিও) প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এসওডি ঋণের নামে ৪ কোটি টাকা প্রদান ও পরে কোনো ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ না করে ঋণের অর্থ মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
অন্য আসামিরা হলেন-সচেতন সাহায্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মিসেস জেসমিন রশিদ, সভাপতি মিসেস হাসনা হেনা, সাধারণ সম্পাদক মিসেস নাছরিন আক্তার, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড প্রগতি সরণী শাখার সাবেক ম্যানেজার বর্তমানে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড নিকুঞ্জ শাখার ভিপি ও ম্যানেজার শোয়াইব মাহমুদ তুহিন, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড প্রগতি সরণী শাখা এক্সিকিউটিভ অফিসার, বর্তমানে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, গুলশান-১ শাখার শেখ মোহাম্মদ মুনসুরুল করিম, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের এডিশনাল এমডি মো. তারিকুল আজম, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড হেড অব এআরসিডি মো. আমিনুল ইসলাম।