শুল্ক প্রত্যাহার
শুল্ক আলোচনা: বৃহস্পতিবারের বৈঠকেও অগ্রগতির দেখা নেই
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত শুল্ক আলোচনায়ও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাণিজ্য, শুল্ক ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারে কোনো আশার আলো দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে কথার সৌজন্য প্রকাশ করা হলেও বৃহস্পতিবারের আলোচনার মূল সারাংশ হলো— আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হতে যাওয়া বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি এবং তা যে শিগগিরই হবে, এমন সম্ভাবনাও নেই।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ শুক্রবার ভোরে বলেন, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) অফিসে রাষ্ট্রদূত জেমিসন গ্রিয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনা শেষে উভয়পক্ষই ‘পারস্পরিক কল্যাণে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি’ পুনর্ব্যক্ত করেছে বলে তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার ছিল তিন দিনের শুল্ক আলোচনার দ্বিতীয় দিন। বৈঠক শেষে আজাদ বলেন, ‘আলোচনাটি ছিল বিস্তৃত, যা উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিককে ছুঁয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে অন্তর্বতী সরকারকে আহ্বান ফখরুলের
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
ঢাকায় অবস্থান করেও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি ও টেলিকম বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও আলোচনায় অংশ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কৃষি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও কপিরাইট সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সিনিয়র প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
তিন দিনের আলোচনার শেষ পর্বটি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সপ্তাহের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া চিঠিতে যে শুল্ক হার ঘোষণা করেছিলেন, তা কমানোর সম্ভাবনা এখন প্রায় নেই বললেই চলে।
১৪৭ দিন আগে
পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করল সরকার
খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার ও সাধারণ মানুষের কাছে চাল সহজলভ্য করতে চালের আমদানি শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণ শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআরের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ভোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী সীমার মধ্যে মূল্য রাখা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বন্যা: চালের আমদানি শুল্ক মওকুফের সুপারিশ
আগে চালের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশের পাশাপাশি রেগুলেটরি ডিউটি ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল। নতুন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, এই শুল্কগুলো বাদ দিয়ে কেবল ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর রাখা হয়েছে। এই কৌশলগত হ্রাসের ফলে চালের আমদানি মূল্য কেজিপ্রতি প্রায় ৯ টাকা ৬০ পয়সা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এনবিআর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছে, নীতি পরিবর্তনের ফলে বাজারে চালের প্রাপ্যতা বাড়বে। এতে ভোক্তারা লাভবান হবেন এবং সাধারণ ক্রেতার জন্য দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে।
এই কার্যকরী পদক্ষেপটি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
আরও পড়ুন: চাল আমদানিতে শুল্ক কমল
৩৯৯ দিন আগে
পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য এনবিআরকে অনুরোধ
পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পাম তেল ও চিনির শুল্ক হ্রাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি সস্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় এ অনুরোধ জানানো হয়।
সভার শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান বলেন, অত্যাবশ্যকীয় কয়েকটি পণ্যের (ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ ও মশুর ডাল) আন্তর্জাতিক মূল্যের প্রভাবে স্থানীয় বাজারে ঊর্ধ্বমূল্য পরিলক্ষিত হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় এ সকল পণ্যের মজুদ, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরস্থিতি স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি জানান, বর্তমানে জনস্বার্থে পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার এবং অপরিশোধিত সয়াবিন, অপরিশোধিত পাম ও অপরিশোধিত চিনির শুল্ক হ্রাসের জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করা হয়েছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজের কোয়ারেন্টাইন পরীক্ষা দ্রুত সম্পন্ন করে আইপি ইস্যুকরণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে।
পড়ুন: হিলিতে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে নিয়মিত প্রতিদিন দুটি টিম ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ বাজার মনিটরিং করা হয়। সারাদেশে জেলা-উপজেলায় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নেতৃত্বে এবং ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সহায়তায় বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। বিগত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে ও সর্বোপরি পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে টিসিবি'র মাধ্যমে সেপ্টেম্বর মাসে পেঁয়াজ বিক্রয়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। টিসিবি সেপ্টেম্বর ২০২১ মাস হতে প্রতিদিন (মাসে ২০-২৫ দিন) সারাদেশে ৪০০ ট্রাকে ৪শ' থেকে ১ হাজার কেজি পেঁয়াজ বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রয়োজনে ট্রাক প্রতি পেঁয়াজ বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে।
এছাড়া, পেঁয়াজের সঙ্গে অন্যান্য পণ্য (চিনি, সয়াবিন তেল ও মশুর ডাল) নিয়মিত বিক্রয় করা হচ্ছে। টিসিবি ঢাকাতে ৮০-৯৫টি ট্রাকের মাধ্যমে ট্রাকসেল নিয়মিত কার্যক্রম চালাচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমে ভারত ও তুরস্ক হতে ১৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। যা হতে বর্তমানে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ক্রয়কৃত আরও পেয়াজ সংগ্রহের জন্য পাইপলাইনে রয়েছে।
পড়ুন: খুলনায় প্রথম পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে সফল তড়িৎ বিশ্বাস
ফরিদপুরের পেঁয়াজের বাজারে হঠাৎ দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি
১৫১৬ দিন আগে
পেঁয়াজ আমদানির ৫ শতাংশ শুল্ক তুলে নিয়েছে সরকার
দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমাতে আরোপিত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার।
১৯০২ দিন আগে