নির্মাণ
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত: হাইকমিশনার
বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ভারত সহায়তা করতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।
বুধবার(২৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান ও প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে কানাডার বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে সহায়তা করবে এফআইপিএ: হাইকমিশনার
হাইকমিশনার বলেন, প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এটি আমার প্রথম বৈঠক, বলতে পারেন সৌজন্য সাক্ষাৎ। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। পরিবেশগত মিল থাকায় আমরা একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হই।
তিনি বলেন, ডিজাস্টার রিজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসট্রাকচারসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার সদস্য বাংলাদেশ। কাজেই এসব ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, গতবছর দুই দেশের এই মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে।
২০২১ সালে আমরা একটি সমঝোতা স্মারকও সই করেছি। এই সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। এর মধ্যে রিমোট সেন্সিং, দুর্যোগ ব্যবস্থা কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও তথ্য বিনিময়ে দুই দেশ পরস্পরকে সহায়তার বিষয় রয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, রিমোট সেন্সিং নিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে উভয়েই আগ্রহ প্রকাশ করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ ও বহুমুখী সম্পর্ক সমৃদ্ধির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের
ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মানায় অগ্নিকাণ্ডে এত হতাহত: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মানায় বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে অনেক মানুষ নিহত হয়েছে এবং অনেককে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখে বেইলি রোডের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি মন্তব্য করেন।
মেয়র বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক পরিদর্শন এবং তথ্য থেকে আমরা যতটুকু জানতে ও দেখতে পেয়েছি, এই ভবন নির্মাণে অনেক গাফিলতি রয়েছে। এই ভবন নির্মাণে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা, বিএনবিসি কোডে যে নির্ণায়কগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিন্ডিকেট রোধে কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তাপস
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিদর্শনে দেখলাম, ১০ তলা ভবন হওয়া সত্ত্বেও মাত্র একটি সিঁড়ি রয়েছে এবং সেই সিঁড়িটাও নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী প্রশস্ত না। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী পাঁচ তলার উপরে ভবন হলেই একটি ভবনে দুটো সিঁড়ি থাকতেই হবে এবং একটি সিঁড়ি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত থাকবে। অগ্নিকাণ্ড, ভূমিধ্বসসহ যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে সেটি ব্যবহৃত হবে। কিন্তু এই ভবনে তা মানা হয়নি বলেই অগ্নিকাণ্ডে এত হতাহত হয়েছে।’
এ সময় সরকারের কাছে পাঠানো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ বিধিমালা দ্রুত অনুমোদন পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তাপস বলেন, এ ধরনের ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন ও পরিপালন একান্ত আবশ্যক। বিগত বছরগুলোতে যে দুর্যোগগুলো হয়েছে সেগুলোর আলোকে এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি সাড়া প্রদানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন একটি খসড়া নীতিমালা প্রনয়ণ করছে। তাছাড়া ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণে সিটি করপোরেশনের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করে আমরা একটি নীতিমালা সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। সেটি নিয়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মত বিনিময় চলছে। আমরা আশা করব, সরকার দ্রুত এই নীতিমালাটির অনুমোদন দেবে।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান-প্রযুক্তির গবেষণায় বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে: তাপস
চাঁদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে তাপসের শোক
বাংলাদেশে ৯টি আইকনিক মসজিদ নির্মাণে সৌদির রাষ্ট্রদূতের সম্মতি
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, বাংলাদেশে ৯টি আইকনিক মসজিদ নির্মাণে সম্মতি জানিয়েছেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুহাইলান।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ধর্মমন্ত্রীর সঙ্গে তার অফিস কক্ষে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের দ্বিপক্ষীয় সভায় এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
এ সভায় ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বাংলাদেশে সৌদি সরকারের অর্থায়নে প্রস্তাবিত আইকনিক মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
আরও্র পড়ুন: আহমেদ রুবেলের বর্ণাঢ্য জীবন
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে আন্তরিক আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আইকনিক মসজিদ নির্মাণে সৌদি সরকারের আগ্রহের বিষয়টি খুবই ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন এবং তিনি সৌদি সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ৮টি বিভাগে ৮টি আইকনিক মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানী ঢাকাতে একটি বৃহৎ মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ঢাকার পূর্বাচলে প্রয়োজনীয় জায়গা বরাদ্দের জন্য আদেশ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন ধর্মমন্ত্রী।
সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর এ আকাঙ্ক্ষার কথা জেনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে ৯টি আইকনিক মসজিদ নির্মাণে সম্মতি দেন।
পরে ধর্মমন্ত্রী সৌদি সরকারের অর্থায়নে প্রস্তাবিত এরাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট স্থাপনের বিষয়টি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
আরও্র পড়ুন: অভিনেতা আহমেদ রুবেল আর নেই
তিনি জানান, ঢাকার বছিলায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিগ্রহণকৃত জায়গায় এরাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য স্থান নির্বাচন করা হয়েছে এবং এরই মধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে নকশা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি রাষ্ট্রদূতকে নকশাটি দেখার অনুরোধ জানান। সৌদি রাষ্ট্রদূত নকশাটি দেখে তার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। তিনি এখানে খেলাধুলার জন্য স্পোর্টস সেন্টার রাখার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
এ বছর হজ প্রক্রিয়াকরণের বিষয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূত সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, আগে হজ এজেন্সিগুলো নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল।
এছাড়া মধ্যস্বত্বভোগীরা হজযাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করত। কিন্তু হজ প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করার ফলে আমরা পুরো প্রক্রিয়াটিকেই খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি। এর ফলে হজযাত্রীদের কষ্ট অনেকাংশে কমেছে।
আরও্র পড়ুন: বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে: ধর্মমন্ত্রী
জমিতে রাস্তা নির্মাণে বাধা: ৩ জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পৌর এলাকায় অপরের জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণে বাধা দেওয়ায় তিনজনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে পৌর কাউন্সিলর মিনা খাতুন ও তার স্বামী জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) কাজিপুর আমলি আদালতে কাউন্সিলর মিনা খাতুন ও তার স্বামী জহুরুল ইসলামসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেছে ভুক্তভোগী।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
মামলায় বাদীর বিবরণ থেকে জানা যায়, পৌর কাউন্সিলর মিনা খাতুন ও তার স্বামী জহুরুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে আব্দুস সামাদের ঘর ভেঙে তাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করেন। এসময় আব্দুস সামাদ ও তার ভাই সাইফুল ইসলাম বাধা দেন।
এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মিনা, তার স্বামী জহুরুল ইসলাম ও তাদের স্বজনরা আব্দুস সামাদ ও তার ভাই সাইফুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
এসময় ঠেকাতে এলে আব্দুস সামাদের স্ত্রীকেও আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বেরিপোটল মহল্লায় মারামারির খবর শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সেখানে মারামারিতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে এবং ওই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বাস উল্টে আহত ১০
মহেশখালীতে নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের অনুমোদন পেল সামিট গ্রুপ
কক্সবাজারের মহেশখালীতে দ্বিতীয় এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে স্থানীয় সামিট গ্রুপ।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এই চুক্তির আওতায় সামিট গ্রুপের আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পুনরায় গ্যাসে রূপান্তরের জন্য এলএনজি টার্মিনাল হিসেবে নতুন ভাসমান স্টোরেজ ও রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট স্থাপন করবে।
অনুমোদন অনুযায়ী, সামিট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড ১৫ বছর মেয়াদি টার্মিনাল ইউজ এগ্রিমেন্ট (টিইউএ) এবং ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট (আইএ) সই করবে। এই চুক্তির আওতায় প্রতিদিন ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে গ্রুপটি। পুনরায় গ্যাসে রূপান্তরের খরচ পড়বে ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছরের ১৪ জুন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদনের পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
এটি হবে দেশের তৃতীয় এলএনজি টার্মিনাল। কক্সবাজারের মহেশখালীতে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলেরেট এনার্জি কর্তৃক ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এবং একই এলাকায় একই ক্ষমতাসম্পন্ন আরও একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করেছে সামিট গ্রুপ।
কাতার ও ওমান থেকে পেট্রোবাংলার আমদানি করা এলএনজি পুনরায় গ্যাসে রূপান্তর করার জন্য এক্সেলেরেট এনার্জি ও সামিট যথাক্রমে ২০১৮ ও ২০১৯ সাল থেকে সরকারকে এফএসআরইউ পরিষেবা দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সামিট গ্রুপের প্রস্তাবটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ) আইন-২০১০ এর অধীনে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়া হিসেবে উত্থাপন করে, যা সরকারকে প্রতিযোগিতামূলক নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়াই চুক্তি প্রদানের অনুমতি দেয়।
এর আগে সিসিইএ’র অনুমোদিত প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, প্রস্তাবিত সামিটের টার্মিনালের পুনঃগ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা হবে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি (এমএমসিএফডি)। কিন্তু এখন সামিট ৬০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
পেট্রোবাংলা ৩০০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করছে। এর মধ্যে প্রায় ২৩০০ এমএমসিএফডি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। আর ৭০০ এমএমসিএফডি আমদানি করা হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে এলএনজি, গম, সার সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে: ল্যাভরভ
ফলে ৪ হাজার এমএমসিএফডির চাহিদা মেটাতে দেশে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাসের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
সম্প্রতি পেট্রোবাংলা কাতার ও ওমানের সঙ্গে দুটি নতুন চুক্তি সই করেছে। এই চুক্তির আওতায় ২০২৬ সাল থেকে আরও এলএনজি সরবরাহ পাওয়া যাবে। এছাড়া ২০২৬ সাল থেকে অতিরিক্ত এলএনজি আমদানির জন্য এক্সেলরেট এনার্জির সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি নতুন চুক্তিও সই হয়েছে।
পেট্রোবাংলার পৃথক একটি প্রস্তাবে সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিগ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৬৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ'র এলএনজি কার্গো আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আরও পড়ুন: পেট্রোবাংলার সঙ্গে এক্সেলারেট এনার্জির এলএনজি সরবরাহ চুক্তি সই
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নতমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিদেশ থেকেও প্রশংসিত হবে এমন চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমি পরিচালক, শিল্পী, প্রযোজকসহ সকলকে অনুরোধ করবো বিদেশ থেকে প্রশংসা কুড়ায় এমন চলচ্চিত্র প্রযোজনা করার জন্য।’
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চলচ্চিত্র একটি সমাজকে সচেতন, বিনোদন ও সংস্কার করতে পারে এবং ইতিহাসকে কেন্দ্র করে মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
তিনি বলেন, 'চলচ্চিত্র আমাদের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, খুব বেশি দিন হয়নি সিনেমা হলগুলো গ্রামাঞ্চলে চলে গেছে, যেখানে মানুষ বিনোদনের জন্য যেতে পারত।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু ধীরে ধীরে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশেষ করে করোনাভাইরাস মহামারির সময় সিনেমা হলগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, মহামারি চলাকালীন তিনি সিনেমা হলের মালিকদের সঙ্গে বসে সিনেমা হলের কার্যক্রম পুনরায় চালু করার উপায় খুঁজে বের করেন এবং সিনেমা হলগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন করতে বলেন।’আরও পড়ুন: চঞ্চল ও জয়া ছাড়াও যারা পাচ্ছেন এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
তিনি বলেন, ‘সময় ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ১ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন, যাতে স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করা যায়।
তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে, আপনাদের সেই উদ্যোগ নিতে হবে এবং আমরা সেটাই চাই।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২৭টি ক্যাটাগরিতে ৩৩ জন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং তথ্য সচিব হুমায়ুন কবির খন্দকার বক্তব্য দেন।
'আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত' শিল্পী রওশন আরা রোজিনা অনুষ্ঠানে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এই পুরস্কারটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য প্রদত্ত সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার হিসাবে বিবেচিত হয়।
পরে শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
আরও পড়ুন: বিজয়ীদের হাতে উঠল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২
টেকসই পৃথিবী নির্মাণে জাতিসংঘ কাজ করে চলেছে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই পৃথিবী নির্মাণে জাতিসংঘ কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজিকে বিবেচনায় নিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ ছাড়া এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ভিত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিশুদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে: স্পিকার
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতকরণ এবং লিঙ্গ সহায়ক বাজেট প্রণয়নে গুরুত্বারোপ করেছেন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) জাতিসংঘ বাংলাদেশ কর্তৃক বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে জাতিসংঘ দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ইউনাইটেড ন্যাশনস নলেজ ফেয়ার শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্পিকার এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বিশুদ্ধ পানীয় জল ব্যবস্থাপনা এবং শতভাগ স্যানিটেশনে সরকার বিভিন্ন নীতি ও পরিকল্পনা নিয়েছে।
তিনি বলেন, সবার জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। সবার শক্তিশালী অংশীদারিত্ব এবং সামাজিক সহযোগিতার মাধ্যমেই বাংলাদেশের সাফল্য নিশ্চিত হবে।
এসময় স্পিকার জাতিসংঘের ৭৮তম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এ ধরনের আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরও সহযোগিতা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: সংসদে ৫ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ারম্যান মনোনয়ন স্পিকারের
নারীদের এগিয়ে নিতে পি-টুয়েন্টি সম্মেলন ভূমিকা রাখবে: স্পিকার
রানীশংকৈলে সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগের (এলজিইডি) আওতাধীন একটি নতুন সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্মাণাধীন এই সড়ক উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের খুটিয়াটলি বাজার হয়ে বনগাঁও মোড় থেকে বনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পূর্বের পাকা সড়কে যুক্ত হয়েছে।
জানা যায়, সড়ক নির্মাণের জন্য মাটি খননের পর সড়ক রোলার না করা, বালুর বদলে মাটি মিশ্রিত রাবিশ বালু দিয়ে বালু ফিলিং করা এবং সড়কের সাব-ব্যাচে রাবিশ বালু ব্যবহার করার অভিযোগ উঠছে।
আরও পড়ুন: সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোটে কোনো অনিয়ম দেখা যায়নি: ইসি রাশিদা
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ৫৭০ মিটার নতুন সড়ক নির্মাণে ৫৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯১ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ঠাকুরগাঁও ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম রুমান।
গত শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খনন করা সড়কটির বিভিন্ন স্থানে স্তুপ করে রাখা হয়েছে খোয়া ও রাবিশ বালু। তা ছাড়া দুই পাশের এজিং এর ইট বসানো হচ্ছে।
দেখা যায়, সড়কের সাব-ব্যাচের জন্য আনা বালুর আদলে মাটি মিশ্রিত রাবিশ বালু ও খোয়া সড়কে বিছানো হচ্ছে। তবে বালু ও খোয়া নিয়ে বেশ আপত্তি স্থানীয়দের। এ নিয়ে তাদের মাঝে বেশ ক্ষোভ রয়েছে।
স্থানীয়দের মধ্যে ফিরোজ আলী, আনিসুর রহমানসহ অনেকে অভিযোগ করেন, খোয়া ও এজিং এ নিন্ম মানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। বালুর বদলে মাটি বালু দেওয়া হচ্ছে। নামমাত্রে একবার রোলার করা হয়েছে।
সড়কে বালু ফিলিংয়ের পর পানি দিয়ে রোলার করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। তাছাড়া সড়কটির নির্মাণের বিস্তারিত বণনা দিয়ে সাইনবোর্ড দেওয়ার কথা থাকলেও তা সাটানো হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন।
ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম রুমান মুঠোফানে বলেন, কিছু ইট খারাপ থাকতে পারে। কারণ ইটগুলো বাইরে থেকে আনা হচ্ছে। ইটের ভেতরে কিছু ইট খারাপ থাকলে সেগুলো কাজে না লাগানোর জন্য মিস্ত্রিদের বলা রয়েছে।
মাটি যুক্ত বালু বিছানো বিষয়ে বলেন, মাটি বালু দিয়ে বালু ফিলিং ও সাব ব্যাচের কাজ করলে সড়কের কমপ্রেসার ভালো হয়। তাই এভাবে কাজ করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে রাণীশংকৈল উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্বে) মাইনুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, চিকন বালু দিয়েই বালু ফিলিং ও সাব ব্যাচের কাজ করতে হবে। কোনোভাবেই রাবিশ বালু ব্যবহারের সুযোগ নেই। বিষয়টি গুরত্বসহকারে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: জাবিতে পরীক্ষায় অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ
ইবিতে নিয়োগে অনিয়ম: ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
কেরানীগঞ্জে হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় আঞ্চলিক পার্ক
কেরানীগঞ্জে নির্মাণ করা হবে দেশের সবচেয়ে বড় আঞ্চলিক পার্ক। এই পার্কের প্রস্তাবিত নাম শেখ হাসিনা আঞ্চলিক পার্ক। যার আয়তন নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৪২ একর বা ১ হাজার ২৬৬ বিঘা।
শেখ হাসিনা আঞ্চলিক পার্কের বাস্তবায়ন ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানও ইতোমধ্যে নিয়োগ করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
রাজউকের প্রধান স্থপতি মোশতাক আহমেদ জানান, প্রায় ৪৪২ একর জমি নিয়ে তৈরি হতে চলছে শেখ হাসিনা আঞ্চলিক পার্ক। নির্মাণকাজের জন্য একটি পরামর্শক দল নিয়োগ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তারা দ্রুত পার্কের নকশা তৈরির কাজ করছে। প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের সার্বিক সহযোগিতায় পার্কের জায়গাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেব্রার মৃত্যুতে সাফারি পার্ক পরিদর্শনে তদন্ত কমিটি
রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিশাল এই জায়গা জুড়ে পরিকল্পনায় পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক শহর তৈরির উদ্দেশ্যে পাঁচটি বৃহৎ আঞ্চলিক পার্ক, ৪৯টি পানিকেন্দ্রিক পার্ক, আটটি ইকোপার্ক এবং ৯টি অন্যান্য পার্ক ও খেলার মাঠ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তারা আরও জানান, তারই ধারাবাহিকতায় কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা, কুল্লিরচক, বাঘৈর ও কাজীরগাঁও মৌজায় প্রায় ৪২২ একর জমি অধিগ্রহণ করে শেখ হাসিনা আঞ্চলিক পার্ক নামে প্রস্তাব করেছে ড্যাপ।
তারা জানান, এই পার্কের জন্য প্রস্তাবিত ভূমি ব্যবহার উন্মুক্ত স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শেখ হাসিনা আঞ্চলিক পার্কের পশ্চিম পাশে ১০০ ফুট প্রশস্ত নতুন রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে রাজউকের। ইতোমধ্যে পার্কের প্রস্তাবিত নাম ও প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ঢাকা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানান, রাজধানীর মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান ও জাতীয় চিড়িয়াখানার সঙ্গে ২০৮ একর অথবা ৬২৪ বিঘার ওই জমিতে উদ্যান গড়ে ওঠেছে ১৯৬১ সালে।
তিনি জানান, সে আয়তনের পরে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে রাজাধানীর রমনা পার্ক। যার আয়তন সাড়ে ৬৮ একর অথবা ২০৫ বিঘা জমির ওপর উদ্ভিদ উদ্যান ও রমনা পার্ককে পেছনে ফেলে আয়তনের দিক থেকে এবার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে কেরানীগঞ্জের শেখ হাসিনা আঞ্চলিক পার্কে।
রাজউকের বেশ কয়েক জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, রাজউকের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল ও স্থানীয় এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান বেশ কয়েক বার প্রস্তাবিত পার্কের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেছেন।
রাজউকের সদস্য ও প্রকল্প পরিকল্পনাকারী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) সামসুদ্দীন আহমেদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. আল আমীনসহ অন্যরা সঙ্গে ছিলেন।
রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদসহ রাজউকের প্রকল্প প্রতিনিধি দল জমি অধিগ্রহণ ও এলাকার সীমানা নির্ধারণ করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যে আঞ্চলিক পার্কের নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক ‘মানা বে’র উদ্বোধন
কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেষে হবে দৃষ্টিনন্দন বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ
চট্টগ্রামে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে বিরোধ: মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় জমির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে বিরোধের জেরে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে নিহত হোসনেরা বেগমের বড় ছেলে জাফর আহমদ (৩২) বাদী হয়ে প্রতিবেশী মো. মহসীনকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে কর্ণফুলী থানায় মামলা করেছেন। থানার মামলা নং-৪৩/২০২৩।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
মামলায় এজাহারভূক্ত ১৫ আসামি হলেন-শিকলবাহা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ব্লকপাড় এলাকার ইসমত হাজী বাড়ির মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. মহসীন (৪০), মো. মোসলেম (৩৮), মো. মুরাদ (২৮), মোহাম্মদ টিপু (২২) ও মোহাম্মদ ইমরান (২০) ও মৃত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আলতাজ বেগম (৬০), মো. বাবুল মিয়ার স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম (৩৬), মৃত নবীর আহমদের ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৪০) উভয়ের বাড়ি বাকলিয়া রাজাখালী সিরোজের বাড়ি, জামাল আহমদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪২), জামাল আহমদ (৪৫), আনার আহমদ (৩৫) উভয়ই পিতা মৃত কামাল আহমদ, দ্বীপকালার মোড়ল এলাকার আব্দুর সবুরের ছেলে মো. সাজ্জাদ (২২), মৃত মোহাম্মদ আলীর মেয়ে খাইরুন নেছা সোমা (১৮), মো. মহসীনের স্ত্রী ডেইজী আক্তার (৩২) ও মো. মোসলেমের স্ত্রী জেবু আক্তার (২৫)।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে পুলিশের দাবি, উপজেলার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত।
এদিকে এ ঘটনায় হোসনে আরা বেগমের দুই ছেলে মো. আরজু (২২) এবং মো. সিফাত (১৫) আহত হয়েছেন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলার বাদি জাফর আহমদ বলেন, সীমানা প্রাচীর করা নিয়ে আমার মা ও মেজ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন মামলার আসামিরা।
এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানাই।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুলাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই মামলায় এখন পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন- মৃত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আলতাজ বেগম (৬০), মো. বাবুল মিয়ার স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম (৩৬) ও মৃত মোহাম্মদ আলীর মেয়ে খাইরুন নেছা সোমা (১৮)।
বুধবার দুপুরে মামলা রেকর্ড হওয়ার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার বিবরণে উল্লেখ্য করা হয়, বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে হোসনে আরা বেগমের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী মো. মহসিন ও তার ভাই মো. মুসলিম পরিবারে গত ৫ ও ১০ এপ্রিল ঝগড়া হয়।
এ ঘটনায় আদালতে মামলা করে হোসনে আরা বেগমের পরিবার।
এর জেরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন হোসনে আরা বেগম ও তার ছেলে পারভেজকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
নারায়ণগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ